Tag: tmc

tmc

  • Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে শেষ দফা ভোটের দিন ছাপ্পা ভোট (Re-Poll 2024) করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জাকির হোসেন নামে তৃণমূলের এক এজেন্টের নাম জড়ায়। পরে, তৃণমূলের ওই এজেন্টকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। কমিশনের নির্দেশ মেনে সোমবার দেগঙ্গার ৬১ নম্বরের ওই বুথ এবং  দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের একটি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। দুটি বুথেই এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।

    ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, বিক্ষোভ (Re-Poll 2024)

    শনিবার শেষ দফায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে (Re-Poll 2024) ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ ওঠে। ছাপ্পা ভোট পরিচালনা করেছেন ওই বুথের তৃণমূল এজেন্ট জাকির হোসেন। ভোট শেষ হওয়ার পর ওই তৃণমূল এজেন্টের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেগঙ্গা বিধানসভার অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দলীয় এজেন্টের গ্রেফতারির খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে কদম্বগাছি সর্দারপাড়ায় যান তৃণমূল নেতারা। ছিলেন তৃণমূলে দেগঙ্গার ব্লক সভাপতি। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন তৃণমূল এজেন্টকে গ্রেফতার করা হল তার জবাব দাবি করেন দলীয় নেতাদের কাছে। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। জাকির হোসেনের জামিন না হলে তাঁদেরও ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেন স্থানীয় মহিলারা। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তারা কোনও ক্রমে তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন, দেগঙ্গায় বিজেপি নেতাকে পুলিশি হেনস্থা

    সোমবার বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছি সর্দারপাড়া এফপি স্কুলের ৬১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে। পুনরায় ভোট হচ্ছে মথুরাপুর কেন্দ্রের কাকদ্বীপ বিধানসভার আদ্দিরমহল শ্রীচৈতন্য বিদ্যাপীঠ এফপি স্কুলের ২৬ নম্বর বুথেও। শনিবার সপ্তম  দফায় এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তির খবর আসে। গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। তবে, ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট এই দু’টি বুথেই আবার ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা খোলসা করেনি কমিশন। জানা গিয়েছে, এদিন দেগঙ্গার ৬১ নম্বর বুথে ভোট শুরু হলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে এলাকায় চলে আসেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা কাসেম আলি। অভিযোগ নিয়ে তিনি যখন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় তাঁকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাস তা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বরানগর। বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের বহিরাগতদের দাপাদাপি লেগেই ছিল। বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ভোটের শেষ বেলায় বরানগরে (Baranagar) বিজেপির পাটি অফিসে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী বরানগর বিধানসভা উপ নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী (Baranagar)

    এদিন বরানগরে (Baranagar) বিজেপির কার্যালয়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে ছুটতে ছুটতে এসে  পার্টি অফিসের ভিতরে  ঢোকেন। এরপরই পার্টি অফিসে থাকা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর  করা হয় আসবাবপত্র।  মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মীর। অন্যদিকে, বরানগরের রবীন্দ্র ভবনে ১০২ নম্বর বুথে এদিন ভুয়ো ভোটারকে তাড়া করেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। আলমবাজারে ভুয়ো ভোটার ধরার পরই তৃণমূলীদের হাতে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। বরানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী অপদার্থ!

    বরানগরে (Baranagar) পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সজল ঘোষ। তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে গর্জে উঠে বলেন, আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাবে। বুথ দখল করবে। সবকিছু লুট করবে তৃণমূল, তাহলে আপনাদের থেকে আমাদের কী সুবিধা হচ্ছে? আপনারা তো ওখানে উপস্থিত ছিলেন। আপনার একজন তো পালিয়েও গেল! ‘কী করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কী বলবেন আপনি?’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিক কোনও মুখ খোলেননি। পরে, সজলবাবু বলেন, সেন্ট্রাল বাহিনী অপদার্থ।

    বুথের সামনে তৃণমূলের জমায়েত!

    এদিন সকাল থেকেই বরানগর জুড়ে বুথে বরিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। বেলা বাড়তেই বুথের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের জমায়েত বাড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেসি কলেজের বুথের কাছেই তৃণমূল বেআইনিভাবে জমায়েত করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত সেখানে গেলে তৃণমূলের বাহিনী তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC: নির্বাচনী প্রচারে ৫২১ বার কপ্টার ব্যবহার করেছে তৃণমূল!

    TMC: নির্বাচনী প্রচারে ৫২১ বার কপ্টার ব্যবহার করেছে তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি মা-মাটি-মানুষের নেত্রী! থাকেন টালির চালের বাড়িতে। তৃণমূল নেত্রীর এই ছবি দেখিয়েই ঘাসফুল প্রতীককে গরিবের দল বলে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (TMC)! অথচ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে এই দলই সব চেয়ে বেশি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে বলে খবর।

    কপ্টার ব্যবহারে এগিয়ে তৃণমূল (TMC)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, চলতি নির্বাচনে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে ৫২১বার। আর রাজ্যে তার বিরোধী দল বিজেপি ব্যবহার করেছে মাত্রই ১২৪ বার। কংগ্রেস ব্যবহার করেছে দু’বার। নির্দল প্রার্থীরা কপ্টার ব্যবহার করেছেন কংগ্রেসের মতোই, দু’বার। বাংলায় একবারও কপ্টার ব্যবহার করেনি বামেরা। একটা আঞ্চলিক দল(তৃণমূল অবশ্য দাবি করে তারা সর্বভারতীয় দল। তবে সর্বভারতীয় দল হতে গেলে যে মানদণ্ডের চৌকাঠ পেরতে হয়, তা পেরতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।) তৃণমূলের (TMC) কপ্টার ব্যবহারের বহর দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজনৈতিক মহলের।

    রাজ্যে প্রচারে রেকর্ড 

    কমিশন সূত্রে খবর, ৬৭৬ বার কপ্টার ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল তৃণমূল। তবে এতবার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কপ্টার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৫২১ বার। গত ১৬ মার্চ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। পয়লা জুন সপ্তম দফার নির্বাচন। ৩০ মে ছিল প্রচারের শেষ দিন। পঁচাত্তর দিন ধরে চলা নির্বাচনী প্রচারেও এগিয়ে বাংলা। কমিশন সূত্রে খবর, এই পঁচাত্তর দিনে বাংলায় সব মিলিয়ে প্রায় এক লাখ সভা, মিছিল হয়েছে। দেশে যা নজিরবিহীন। কমিশন সূত্রে খবর, দেশের কোথাও আর এত সভা-সমাবেশ-মিছিল হয়নি।

    আর পড়ুন: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    জানা গিয়েছে, বাংলায় কর্মসূচি করতে চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আবেদন জমা পড়েছিল ১৯ হাজার ২৭৬টি। এর মধ্যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৯৫ হাজার আবেদনের। এ রাজ্যে সব চেয়ে বেশি প্রচার হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে সভা-সমাবেশ-মিছিল হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৮টি। এই তালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। অন্যান্য জেলায় সভা-সমাবেশ-মিছিল হয়েছে তুলনায় কম (TMC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বাংলায় রক্ত ঝরল বিরোধীদের। কোথাও বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হল। বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবক্ষেত্রেই অভিযুক্ত তৃণমূল। ফলে, শনিবার সপ্তম দফা ভোটে সকাল থেকে একাধিক লোকসভা কেন্দ্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

    ভাঙড়ে অশান্তি! (Lok Sabha Election 2024)

     শনিবার মধ্যরাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। তৃণমূল- আইএসফ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূলত, পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। ঝামেলায় এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে। অভিযোগ আইএসএফের দিকে। পাল্টা দলীয় পতাকা লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। শনিবার সকালেও উত্তেজনা ছিল এলাকায়। আইএসএফও-এর দাবি, তাদের কর্মীরাও আহত হয়েছেন। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিকে, ভোটের রাতে দলীয় প্রার্থী নুর আলম খানের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফের। সেই ভাঙা গাড়ি নিয়ে রাতেই ভাঙড় থানায় যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। রাতভর ভাঙরের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালেই ভোটকে (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্র করে আইএসএফ-তৃণমূল খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এ বার ঘটনাস্থল ভাঙড়ের ফুলবাড়ি এলাকায়। অভিযোগ, বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে আইএসএফ কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে তৃণমূল। উল্টোদিকে, আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    জলে ফেলা হল ইভিএম

    কাশীপুরের বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে যান কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তাপস রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ ও ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কুলতলিতে বিজেপিসহ বিরোধীদের ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই রাগে ইভিএম জলে ফেলে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ক্যানিং গোলাবাড়ি বাজারে বিরোধী দলের ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এক সংবাদ কর্মী গুরুতর আহত হন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    জয়নগরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ

    জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের কুলতলি বিধানসভার মেরিগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০ এবং ৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। আহত ৬ জন। বিজেপির ২ জন এবং তৃণমূলের ১ জন কর্মীকে আহত অবস্থায় কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বিজেপি নেতার মেয়ের ওপর হামলা

    বারাসাত লোকসভার কদম্বগাছিতে উত্তেজনা। বিজেপির বুথ সভাপতির মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়ড়া শিবতলা এলাকার ঘটনা। আক্রান্ত ওই নাবালিকাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    Alipurduar: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেই শাসক দলকে নিশানা করেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকার খেলার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর এই অভিযোগকে কেন্দ্র রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা নিয়ে এসেছে! (Alipurduar)

    শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মাদারিহাটের (Alipurduar) বিধায়ক তথা এবারের লোকসভা ভোটের বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা বলেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে। এই টাকা কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে এক ব্যবসায়ীর কাছে আসে। তারপর পুলিশ গ্রিন করিডর করে আলিপুরদুয়ারে আনে। আমাদের কাছে খবর আছে, আলিপুরদুয়ারের এক ব্যবসায়ীর কাছে কলকাতা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এসেছে। এর আগে তৃণমূলের দুই নেতা কলকাতায় গিয়েছিলেন। এরপরই মঙ্গল-বুধবার নাগাদ পুলিশের সহযোগিতায় আলিপুরদুয়ারে টাকা আনা হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, এই টাকা ব্যবহার করে তৃণমূল আলিপুরদুয়ার আসনটি জেতার চেষ্টা করছে।” পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, “আলিপুরদুয়ারের এডিএম (জেলা পরিষদ) গত পঞ্চায়েত ভোটে  বেআইনিভাবে পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসক দলকে জেতানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাই আগামী ৪ জুন উনি গণনাতে ওই আধিকারিক থাকলে সঠিকভাবে গণনা হবে না।”

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “আসলে বিজেপি আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) হারবে বুঝেই এসব কথা বলছে। আমি বিজেপির নেতাদের মনে করিয়ে দিতে চাই , ইডি তো বিজেপির পকেটে থাকে। তাদের নেতাদের নির্দেশ শুনেই ওরা কাজ করে। তা এটাও জানাক ইডিকে। ওরা টাকা বাজেয়াপ্ত করুক। আসলে টাকার গল্পটা কিছুই নয়, এটা হচ্ছে হার স্বীকার করে নেওয়া। ওরা আলিপুরদুয়ারে হারতে চলেছে বুঝে আগাম একটা গীত গেয়ে রাখল। তৃণমূল এসব করে না। কারণ, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী কারা?

    Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সপ্তম দফা লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) ভোট গ্রহণ পর্ব। এই পর্বে রাজ্যে মোট ৯টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলি হল উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, বারাসত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, বসিরহাট, জয়নগর এবং যাদবপুর। কমিশন কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে ওয়েব কাস্টিং নিয়ে। ভোট গ্রহণের সময় ওয়েব কাস্টিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ হলে ভোট গ্রহণও বন্ধ হয়ে যাবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ব্যাপক মাত্রায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। 

    আসুন জেনে নিই কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কারা (Lok Sabha Election 2024)

    উত্তর কলকাতা

    উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) হলেন তিনবারের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে একাই ৫০% ভোট পেয়েছিলেন সুদীপ। বিজেপির রাহুল সিনহা ৩৭% ভোট পান। বিজেপির এই বারের প্রার্থী তাপস রায়, এবং কংগ্রেস-বাম সমর্থিত প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য।

    দক্ষিণ কলকাতা

    দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন মালা রায়। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রের মোট ৫৬ ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ২৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল।

    দমদম

    দমদম কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন আগের বারের বিদায়ী সাংসদ সৌগত রায়। তিনি ২০০৯ সালে সিপিএম থেকে ছিনিয়ে নেন এই আসনটি। আবার বরানগর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। অপরে এই কেন্দ্রে বিজেপির পক্ষ থেকে লোকসভার (Lok Sabha Election 2024)  প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত এবং বরানগর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ।

    বারাসত

    বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কাকালি ঘোষ দস্তিদার। তিনি একই কেন্দ্রের টানা তিনবারের সাংসদ ছিলেন। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন স্বপন মজুমদার এবং বাম প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।

    ডায়মন্ড হারবার

    ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে ৭.৯০ লাখ ভোটে জায়ী হয়েছিলেন তিনি। অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। আবার বাম প্রার্থী প্রতীর উর রহমান।

    মথুরাপুর

    মথুরাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন আশোক পুরকায়স্থ। অপরে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন বাপি হালদার।

    বসিরহাট

    বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রতিবাদী চরিত্র রেখা পাত্র, তৃণমূলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এবং সিপিএম প্রার্থী নীরাপদ সর্দার।

    জয়নগর

    জয়নগর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রতিমা মণ্ডল। বিজেপ প্রার্থী হয়েছেন আশোক কাণ্ডারী।

    যাদবপুর

    যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ, বিজেপির অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং সিপিএমের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুনঃভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    কত বাহিনী এই পর্বে?

    সপ্তমদফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) গ্রহণে রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনে বিশেষ জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সবরকম অশান্তিকে আটকাতে মোট ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু কলকাতাতেই মোতায়েন করা হয়েছে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বারাসতে থাকছে ৮১ কোম্পানি, বারাকপুরে ৮১ কোম্পানি আর বারুইপুরে থাকছে ১৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে বসিরহাটে ১১৬ কোম্পানি, ডায়মন্ডহারবারে ১১০ কোম্পানি, সুন্দরবনে ১১৪ কোম্পানি, বিধাননগরে ৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। অবাদ নির্বাচন করাই কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য। আগামী ৪ তারিখ হবে ভোট গণনা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhangar: ভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    Bhangar: ভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র আর একদিন পর শনিবারেই লোকসভার সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব। খুনের মামলায় আগে থেকেই জেলে রয়েছেন প্রতাপশালী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙড়ের (Bhangar) আরও এক প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই তৃণমূল নেতার নাম ইব্রাহিম মোল্লা ওরফে বাপি। জানা গিয়েছে তিনি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। ভোটের আগে এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    খুনের পরিকল্পনায় অভিযুক্ত (Bhangar)

    বাপি ওরফে ইব্রাহিম মোল্লা ভগবানপুর (Bhangar) এলাকার অঞ্চল সভাপতি। প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। প্রাক্তন প্রধান রেজিনা খতুনের স্বামী এই বাপির বিরুদ্ধে খুনের পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে খাইরুল ইসলামকে খুনের পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। এই খাইরুল ইসলাম আবার শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার দিন তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    আরও পড়ুনঃ রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    সিবিআই তলব করলে হাজিরা দেননি শওকত

    রাজ্যের শেষ পর্বের লোকসভার প্রস্তুতি বেশ জমজমাট। কমিশনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়ে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ওপর দিকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভাঙড় (Bhangar)। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ পর্বের প্রচারে সব দল ঝাপিয়ে পড়েছিল। আইএসএফের অনেক কর্মী, শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করতে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সমর্থন করে বাহবা দিয়েছিলেন এবং ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ইতিমধ্যে বুধবার ফের একবার কয়লাকাণ্ডে সিবিআই তলব করলে হাজিরা দেননি শওকত। ওপর দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভাঙড়ে সভা করতে গেলে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। পাল্টা বসিরহাটের সভা থেকে শুভেন্দু নিশানা করে বলেন যে শাহজাহান জেলে গিয়েছেন, এবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ব্যাগ গোছাচ্ছেন। সব চোরেদের জেলেই যেতে হবে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chaterjee: “কেশপুরে দুশোটি বুথে ভোট লুট করেছে তৃূণমূল, আদালতে যাব”, হুঁশিয়ারি হিরণের

    Hiran Chaterjee: “কেশপুরে দুশোটি বুথে ভোট লুট করেছে তৃূণমূল, আদালতে যাব”, হুঁশিয়ারি হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের দিন কেশপুরে দফায় দফায় তৃণমূলীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। বহু বুথে তাঁকে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বিজেপির এজেন্টও ছিল না বহু বুথে। ভোট শেষে কেশপুরে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কেশপুরকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে কেশপুরের প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন হিরণ।

    ২০০টি বুথে ভোট লুট, আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত (Hiran Chaterjee)

    ঘাটাল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে ঘাটাল লোকসভার স্ট্রং রুম। সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, “কেশপুরের অন্তত ২০০ টি বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। সেই সব বুথে তৃণমূল ছাপ্পা মেরেছে। কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কেশপুরের সেই সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। তৃণমূলের হাত ধরে তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ভোটের লুঠের জন্য আমরা ফের ভোটের দাবি জানিয়েছিলাম। এবার আদালতের দ্বারস্থ হব।” জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ঘাটাল লোকসভা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারী। বিজেপির বক্তব্য, দেবের এই লিডের সিংহভাগই জোগান দিয়েছিল কেশপুর। বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও এবারেও কেশপুরের ভোটে সকাল থেকে তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বাহিনীকে বিভ্রান্ত করে বুথের পর বুথে ভোট লুট করেছে। এবার সুবিচার চাইতে আদালতে যাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের বিধানসভা ভোটে এই কেশপুর থেকেই সিপিএম প্রার্থী প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। যা নিয়ে সে সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    কী বললেন দেব?

    বিজেপি প্রার্থীর (Hiran Chaterjee) আনা অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট হয়েছে, তাতেও সন্ত্রাসের কথা বললে হাস্যকর!” যদিও ভোট শেষে জয় নিশ্চিত বুঝে দেব দলীয় কর্মীদের নিয়ে সবুজ আবিরও খেলেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ঘোষণার পরও মেলেনি পাউচ, এক লিটার জলের দাম ৮০ টাকা! মেয়রকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Siliguri: ঘোষণার পরও মেলেনি পাউচ, এক লিটার জলের দাম ৮০ টাকা! মেয়রকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল হতেই শিলিগুড়িরবাসী হাতে বালতি, জ্যারিকেন, বোতল নিয়ে রাস্তায় জনে জনে জিজ্ঞেস করছেন, কোথায় জল পায়? অবাক জলপান নয়, এ আতঙ্কের জলপান! বৃহস্পতিবার দিনভর এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে শহর শিলিগুড়িতে। পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছে শহর শিলিগুড়ি (Siliguri)। আর এই জলকষ্টের জন্য এদিন পুরসভায় চরম বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মেয়র গৌতম দেব ও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। নিজের গাড়ি ছেড়ে এক মেয়র পারিষদ সদস্যের গাড়িতে এক প্রকার পালিয়ে যান মেয়র। শুনলেন চোর চোর স্লোগানও।

     হঠাৎ কেন জলের হাহাকার?(Siliguri)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভা এলাকায় সরবরাহ হওয়া পানীয় জলে ভয়ঙ্কর মাত্রায় দূষণ রয়েছে। গত দু’সপ্তাহ ধরে শহরবাসী দূষিত জল পান করেছেন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেকথা কবুল করেন মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। শহরবাসীকে পুরসভার নলবাহিত জল পান না করার তিনি আবেদনও জানান। মেয়রের এই ঘোষণায় শহরবাসী একদিকে যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, সেরকম পানীয় জলের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    ঘোষণার পরও মেলেনি জলের পাউচ, এক লিটার জলের দাম ৮০ টাকা!

    বুধবার মেয়র ঘোষণা করেছিলেন, পাড়ায় পাড়ায় পর্যাপ্ত জলের পাউচ দেওয়া হবে। থাকবে পুরসভার জলের ট্যাঙ্কও। কিন্তু, এদিন সকালে কোথাও জলের পাউচ বিতরণ করা হয়নি। সকাল ১০ টা নাগাদ কিছু জায়গায় জলের ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়। কিন্তু, সেখানেও লম্বা লাইন। কাজ ফেলে অফিস টাইমে এভাবে লাইন দিয়ে জল নেওয়ার ঘটনায় সকলেই ক্ষুব্ধ। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে জল বিক্রি করছেন।  অভিযোগ, লিটার পিছু জলের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সেই জল বিক্রি হচ্ছে ৭০থেকে ৮০ টাকায়। তাও সবখানে জল মিলছে না।

    এ যে আতঙ্কের জলপান!

    পুরসভার (Siliguri) ট্যাঙ্কের জলে অধিকাংশ মানুষ আর ভরসা করতে পারছেন না। সকলেরই প্রশ্ন, কোথা থেকে আনা হচ্ছে এই জল। আদৌ কি নিরাপদ এই জল? দোকান থেকে কেনা বোতল, জ্যারিকেন বন্দি জল নিয়েও মানুষের মনে একই প্রশ্ন। শহরে জলের হাহাকার দেখা দেওয়ায়, মুনাফা করতে দূষিত জল ভরে বিক্রি করার আশঙ্কাও রয়েছে শহরবাসীর। তাই,কষ্টে জল জোগার করলেও সেটাও আতঙ্কের জলপান বলে মনে করেন সকলে।

     মেয়রকে ঘিরে উঠল চোর-চোর স্লোগান

    এই জল কেলেঙ্কারিতে গোটা শহর (Siliguri) ক্ষোভে ফুঁসছে। মেয়রের সমালোচনায় সরব গোটা শহর। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুরসভায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। তাতে সাধারণ মানুষও শামিল হন। মেয়র, ডেপুটি মেয়র পুরসভায় গেলে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁদের উদ্দেশ্য করে চোর চোর স্লোগান ওঠে। কোনও মতে এক মেয়র পারিষদ সদস্যের গাড়ি করে এলাকা ছেড়ে কার্যত পালিয়ে যান মেয়র গৌতম দেব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: কাজ দেওয়ার নাম করে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, বিক্ষোভ বিজেপির

    Balurghat: কাজ দেওয়ার নাম করে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে এনে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম রাকেশ শীল। তিনি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সভাপতি। মাস দুয়েক আগে বালুরঘাট (Balurghat) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মহিলা কর্মীদের মধ্যে গোলমালের ঘটনাতেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল। শহরে অবৈধ নির্মাণেও নাম জড়ায় তাঁর। শেষ পর্যন্ত তাঁকে শ্রমিক সংগঠনের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে, এখনও শহরে তৃণমূলের বাহুবলী নেতা হিসাবে তিনি পরিচিত। তবে, ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত হলেও পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করেনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট (Balurghat) থানার ১০০ মিটারের মধ্যে রাকেশের মোবাইলের দোকান। ওই দোকানের দোতলায় বাথরুম সহ বিশ্রাম কক্ষ রয়েছে। সেখানেই গত মঙ্গলবার এক নাবালিকাকে তিনি ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাবা-মা পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা এখন মহারাষ্ট্রে রয়েছেন। সে দাদুর বাড়িতে থাকে। তাকে কোনও কাজে লাগানোর চেষ্টা করছিলেন তার মামিমা। তৃণমূল নেতা রাকেশ তাঁর পূর্বপরিচিত। তাই ভাগ্নির কাজের জন্য তিনি রাকেশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ওই নেতা নিজেরে দোকানে ওই নাবালিকা ডেকে পাঠান। এরপর নিজের দোকানের দোতলার বিশ্রাম কক্ষের বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কোনওরকমে ওই নাবালিকা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে, সে তার মামিমাকে গোটা বিষয়টি জানায়। ওই নাবালিকার মামিমা বালুরঘাট থানায় ওই নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই খবর জানাজানি হতেই জেলা জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। বালুরঘাট থানার পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শারীরিক পরীক্ষা করার পর ওই নাবালিকাকে বালুরঘাট আদালতে নিয়ে গিয়ে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। যদিও রাকেশের শীলের দাবি, “আমি ওদের চিনিই না। আমার এবিষয়ে কিছুই জানা নেই। আমার দোকানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পুলিশ তার ফুটেজ তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    বিজেপির থানা ঘেরাও

    ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের দাবিতে বালুরঘাট (Balurghat)থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির মহিলা মোর্চা। বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে বালুঘাট শহরে মিছিল করে এসে বালুরঘাট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাকেশ শীলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি ও কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।  

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, ‘আগেও ওই নেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসায় তাঁকে দলীয় পদ থেকে সরানো হয়েছে। এটা আইনগত বিষয়। আইন তার নিজের পথেই চলবে।’ এনিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর বক্তব্য, ‘ওই তৃণমূল নেতা দীর্ঘদিন ধরেই নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। বহু অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। তবুও তৃণমূল তাঁকে প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা হয়েছে। দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share