Tag: tmc

tmc

  • Nandigram: মাঝরাতে ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! জানা গেল পরিবারের বয়ানে

    Nandigram: মাঝরাতে ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! জানা গেল পরিবারের বয়ানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বুধবার রাতে বিজেপির মহিলা কর্মী রথীবালা আড়ি খুনের ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে নন্দীগ্রামের (Nandigram) সোনাচূড়া। রাতের ঘটনায় রথীবালার ছেলে তথা নন্দীগ্রামে বিজেপির তফসিলি মোর্চার সম্পাদক সঞ্জয় আড়িও গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে মনসাপুকুর বাজার এলাকায়। নিহতের বাড়িতে বিজেপি কর্মীরা ভিড় করে রয়েছেন। সেখানেই রাতের ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন নিহতের বউমা সুবর্ণা আড়ি।

    মাঝ রাতে ছেলে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! (Nandigram)

    সুবর্ণা আড়ি বলেন, রাত তখন প্রায় ২টো। বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন ভাসুর। তিনি বিজেপি নেতা। হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে। ফোনে কথা বলা শেষ করেই কাউকে কোনও কিছু না বলেই দরজা খুলে ছুটে বাইরে বেরিয়ে যান। কিছু দুষ্কৃতী নাকি বাজার এলাকায় জড়ো হয়েছে। বাইরে চিৎকারও হচ্ছে। বিপদ আঁচ করেই ভাসুরের পিছু পিছু গিয়েছিলেন শাশুড়ি। সেখানে তুমুল গন্ডগোলের মধ্যে খুঁজছিলেন ছেলেকে। সেই সময় শাশুড়িকে খুন করা হয়। ভাসুড় এবং শাশুড়িকে মরে গিয়েছে রটে যায়। আমি বাড়ি থেকে চিৎকার করতে করতে ছুটে যাই। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে গ্রামের (Nandigram) লোকেরাও ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে আসে। গ্রামের লোকেদের আসতে দেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। গ্রামের লোকেরা তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল শাশুড়ি আর ভাসুরকে। সেখানেই শাশুড়ির মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    ফাঁসির দাবি জানালেন নিহতের মেয়ে

    মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে (Nandigram) ছুটে যান মেয়ে। কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, “আমার দাদা আর মাকে মেরে দিল তৃণমূলের লোকেরা। ওরা ১০০ থেকে ১৫০ জন এসেছিল একসঙ্গে। সেই সময় বিজেপির থেকে ১৫০ জন এসেছিল একসঙ্গে। সেই সময় বিজেপির যাকে সামনে পেয়েছে, ওরা মেরেছে। মাকে তো আর ফিরে পাব না! আমি এই দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। এদের সকলের যেন ফাঁসির সাজা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি মহিলা কর্মীর মৃত্যুতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নন্দীগ্রাম। সেখানেই সভা করে কার্যত তৃণমূলকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপির সভায় কর্মী সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। সভা থেকেই শাসকদলকে উৎখাতের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে অভিষেককে তোপ দাগেন।

    ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু (Suvendu Adhikari)

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গতকাল উস্কানি দিয়ে গিয়েছেন যিনি, ভাইপোকেও উস্কানিদাতা হিসাবে আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের লড়াই চলছে চলবে। আর পুলিশ যদি কিছু না করে, মৃতের পরিবারকে নিয়ে কোর্টে যাব।” প্রসঙ্গত, বুধবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। সেখানে দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে সভা করেন তিনি। আর তারপরই বুধবার রাতেই বিজেপি নেতার মাকে কুপিয়ে খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারী অভিষেকের নাম না করে বলেন, ” হেলিকপ্টার করে এখানে এসে মিটিং করেছেন। আমতা, উদয়নারায়ণপুর হাওড়া থেকে গাড়ি করে লোক নিয়ে এসেছিল। নন্দীগ্রামের লোক ছিল না। এসে বলছেন বিরোধী দলনেতার বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় উনি ভয় পেয়েছেন। আরে ভয় পাওয়ার লোক আমি নই। আপনি কাওয়ার্ড ভীতু। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন, প্রোটেকশন নিয়ে ভোটে লড়ছেন লজ্জা লাগে না? ভোট ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলেছেন আমি ভোট লড়ব, ভোটের প্রচার করব, আমাকে যেন সিবিআই ইডি না ধরে। ১০ জুন পর্যন্ত প্রোটেকশন নিয়ে আপনি হেলিকপ্টার চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র আমাকে বলছেন ভয় পেয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব

    বৃহস্পতিবার দিনভর তপ্ত ছিল নন্দীগ্রাম। তৃণমূলের হামলায় বিজেপি মহিলা কর্মী খুনের পাশাপাশি ৭ জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এই সভার আগে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। একজনের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁকে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। থানায় গিয়েছিলাম। এফআইআরের নম্বর বসে থেকে নিয়ে এসেছি। খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। তারপরও যদি কিছু না করে আমি ওনার মেয়েকে দিয়ে উচ্চ আদালতে যাব সিবিআই তদন্তের দাবিতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে “গো ব্যাক” স্লোগান, ফের তপ্ত নন্দীগ্রাম

    Nandigram: তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে “গো ব্যাক” স্লোগান, ফের তপ্ত নন্দীগ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির মহিলা কর্মীর খুন হওয়ার খবর জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram)। তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এমনিতেই নন্দীগ্রাম জ্বলছে। এই অবস্থায় ভোটের আগে রাজনীতি করতে এসেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এলাকার মানুষ তা মেনে নিয়ে পারেননি বলেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

    তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে গো ব্যাক স্লোগান (Nandigram)

    ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের (Nandigram) সোনাচূড়ায় প্রাণ গিয়েছে এক বিজেপি কর্মীর। জখম আরও অন্তত সাত জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই তাঁকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এদিকে এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রতিনিধি দলকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান দেন গ্রামবাসীরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যরা। নন্দীগ্রামে প্রতিনিধি দল যেতেই, তাঁদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মনসাবাজার এলাকার বাসিন্দারা। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মনসাবাজার এলাকায় এসে লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কোন কোন দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাঁরা হামলা চালিয়েছে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় কী সবটাই জানার চেষ্টা করছিলেন। সূত্রের খবর, ঠিক সেই সময় মনসাবাজার লাগায়ো গ্রাম থেকে প্রচুর লোকজন বেরিয়ে আসেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে উদ্দেশ্য করে তাঁরা গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে সোনাচূড়া (Nandigram) এলাকায় সশস্ত্র বাইক বাহিনী হামলা চালায়। প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করেও বিক্ষোভও দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পথ অবরোধও চলে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, বুধবার রাতের ঘটনা পুরোটাই পারিবারিক বিবাদ থেকে হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। জোর করে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ভয়েস ম্যাসেজে অর্জুনকে গুলি করে খুনের হুমকি! কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী

    Arjun Singh: ভয়েস ম্যাসেজে অর্জুনকে গুলি করে খুনের হুমকি! কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন বীজপুরে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মী অর্জুন সিংকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের হামলায় ভাটপাড়ায় তিনজন বিজেপি কর্মী জখম হন। এবার ভোটের আগে অর্জুন সিংকে ভয়েস ম্যাসেজ করে খুনের হুমকি দিল এক দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীর পাঠানো সেই ভয়েস রেকর্ডিংসহ নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অর্জুনকে গুলি করে খুনের হুমকি! (Arjun Singh)

    ভয়েস ম্যাসেজে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) নাম করে ভোজপুরি ভাষায় বলা হয়েছে, “২৯ তারিখ পর্যন্ত অর্জুন তুই বেঁচে আছিস। এরপর তোর কাহানি খতম করব। ভরা বাজারে সকলের সামনেই তোকে গুলি করে খুন করব।” ৪১ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে বিজেপি প্রার্থী খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকি ফোন প্রসঙ্গে অর্জুন সিং এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা কোন জায়গায় গিয়েছে এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। একজন সহজেই আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছে। আমি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয়  পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলেছি।

    <

    p> 

    গণনার দিন শাসকদলের নেতারা গন্ডগোল করতে পারে!

    অন্যদিকে, ভোট গণনার দিন পুলিশ, এসডিও’র সঙ্গে হাত মিলিয়ে শাসকদলের নেতারা গন্ডগোল তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শুধু আশঙ্কা প্রকাশ নয়, তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদনও জানিয়েছেন। আগামী ৪ জুন রয়েছে ভোট গণনা। বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। সেই মতো প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৪ জুন ভোট গণনা হওয়ার কথা রয়েছে। গণনা কেন্দ্রে তৃণমূল নেতারা গন্ডগোল পাকাতে পারেন এমনই আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর।

    পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কমিশনকে দেওয়া চিঠি পোস্ট করে অর্জুন সিং লিখেছেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমি জানতে পেরেছি বারাকপুরের পুলিশ, এসডিওর সঙ্গে যোগসাজস করে শাসক দলের নেতারা ভোট গণনা কেন্দ্রে অশান্তি তৈরি করতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে গণনার সময়  তৃণমূল নেতারা  গণনা  কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার  করেছিলেন। মূলত এলাকার তৃণমূল বিধায়ক, চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরা বিরোধী দলের এজেন্টদের হুমকি দিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিলেন। এবারও সেরকম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় শুধুমাত্র তৃণমূল প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট এবং গণনা এজেন্ট ছাড়া যাতে তৃণমূলের কোনও বিধায়ক, চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর যাতে ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা তথা জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর সঙ্গে অর্জুনের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ভোটের আগে বার বার একের অপরের বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধ দেখেছেন বারাকপুরবাসী। তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম বলেন, আসলে ভোটের দিনই বুঝে গিয়েছেন ফল কী হতে চলেছে। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছেন। আর হুমকির বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”, নন্দীগ্রাম থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”, নন্দীগ্রাম থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে থানায় ঢুকে পুলিশকে বিজেপির মহিলা কর্মী খুনের বিরুদ্ধে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”-ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেকের উস্কানি মূলক ভাষণের জন্যই খুনের ঘটনা ঘটেছে, এই অভিযোগ করেন শুভেন্দু। এদিন তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীকে উদ্দেশে করে খুনের বদলা নেওয়া হবে বলে তোপ দাগেন তিনি।

    উল্লেখ্য সকাল থেকেই বিজেপির ক্ষোভের আগুনে অশান্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের মনসা বাজার এলাকা। রাস্তায় গাছ ফেলে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    গতকাল রাতপাহারা দিতে গিয়ে গোলমালের মধ্যে খুন হন বিজেপি মহিলা কর্মী রথীবালা আড়ি। একই ভাবে গুরুতর জখম হন ছেলে সঞ্জয়। আজ বৃহস্পতিবার থানায় ঢুকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রাম থানায় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার বলেন, “খুনিরা থানায় এসেছিল। যারা খুন করেছে মাকেই খুন করছে। রথীবালা আড়ি শুধু সঞ্জয় আড়ির মা নন। তিনি আমারও মা। খুনিদের ডেকে কেন মিটিং করা হয়েছে? আইসিকে মজা দেখাব।” এই প্রসঙ্গে তিনি অভিষেককে নিশানা করে আরও বলেন, “আগের দিন বেশ কিছু জায়গায় ভাইপো সভা করে উস্কানি মূলক ভাষণ দিয়ে গিয়েছেন। এই খুনের পিছনে ভাইপোর মদত রয়েছে। একজন তপশিলি সম্প্রদায়ের মহিলাকে খুন করা হয়েছে। এসসি সমাজের মানুষের জীবনের মূল্য এত কম? আমরাও বদলা নেবো। নন্দীগ্রামও সন্দেশখালিতে পরিণত হয়েছে। সিবিআই তদন্তের দাবি করব।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের দাবি, “বিজেপিতে নব্য এবং আদি তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক লড়াই হয়েছে। সেই সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন রথীবালা।” কিন্তু বিজেপির দাবি তৃণমূল খুন করেছে। এরপর নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। 

    আরও পড়ুনঃ রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকারীর ছবিতে মিলল পুলিশকর্তা-তৃণমূল নেতার যোগ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে দেবের অ্যাকাউন্টে”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে দেবের অ্যাকাউন্টে”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের নাম আগেই জড়িয়েছিল। এই নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে তলব করেছিল। হাজিরাও দিয়েছিলে দেব। এবার এনামুলের ডায়রির পাতা পোস্ট করে বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গরু পাচারের টাকা দেবের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে, এই বিষয়টি সামনে আসতেই ষষ্ঠদফা নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ‘দেবের কীর্তি’! (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছিলেন। তার ক্যাপশন ছিল ‘দেবের কীর্তি’। তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ নামে একটি সংস্থার লেজ়ার অ্যাকাউন্ট। তার ওপরে রয়েছে অন্য একটি সংস্থার নাম। তার শুধুমাত্র ‘ভেনচার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ অংশটি শুভেন্দুর পোস্টে দৃশ্যমান। পুরো নাম স্পষ্ট নয়। ওই লেজ়ার অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুযায়ী, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ এবং ‘ভেনচার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ লেখা সংস্থার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ২০১৬ সালের ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর ২৫ লক্ষ টাকা করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। অন্য একটি জায়গায় দেখা যাচ্ছে, একটি ডায়েরির পাতায় হাতে লেখা ‘দেব মোবাইল: ৭২ হাজার টাকা’ এবং ‘দেব ঘড়ি: ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা’। পাশেই একটি পাতায় ছাপানো অক্ষরে ইংরেজিতে লেখা ‘দেব মোবাইল অ্যান্ড দেব ওয়াচ’। শুভেন্দু বলেন, যে ডায়েরির পাতা আমি পোস্ট করেছি, তা এনামুল হকের। এনামুল গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। আবার হিরণ দাবি করেছেন, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ এনামুলেরই সংস্থা। এনামুলের সংস্থা থেকে দেবের সংস্থার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল।

    দেবের কীর্তি:

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    দেব কী বললেন?

    পাল্টা দেব এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “ও শুভেন্দুদা, তুমি নাকি কোথায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছ, হিরণের পাল্লায় পড়ে তোমাকে তো কাউন্সিলরে নামিয়ে দিচ্ছে। ভালবাসি বলে বললাম, আমিও জানি তুমি আমাকে ভালবাসো। আর রইল কথা গরু চুরির টাকা, তোমার কোলের ছেলে হিরো হিরণ, সে-ও পিন্টু মণ্ডলের থেকে টাকা নিয়েছে, তা হলে উনিও কি গরু চোর?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পোস্টাল ব্যালট ভোটে কারচুপি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panihati: পোস্টাল ব্যালট ভোটে কারচুপি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে প্রবীণদের পোস্টাল ভোটে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) এলাকায়। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা যে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাতে পারে তা কেউ ভাবতেই পারেনি। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। বুধবার অকল্পনীয় সেই ঘটনার সাক্ষীই হলেই উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পানিহাটি (Panihati) পুরসভা এলাকার অমরাবতীতে প্রবীণ নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করছিলেন সেক্টর অফিসারের নেতৃত্বে প্রশাসনিক আধিকারিক। সেই সময় সিনিয়র সিটিজেনদের ব্যালট ভোট নিয়ে বেআইনি হচ্ছে বলে বিজেপির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা- কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরা কথা বলতে গেলে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পানিহাটির অমরাবতী এলাকায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুয়ো এজেন্টের মাধ্যমে পোস্টাল ভোট করানোর অভিযোগ তুলে সেক্টর অফিসারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার (Panihati) চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, বিজেপি বহিরাগত লোকজনদের নিয়ে এসে ওই এলাকায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট করার চেষ্টা করছে। আমরা কোনও ভুয়ো এজেন্ট দিইনি। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে বিজেপি ভোটের আগে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই এই গন্ডগোল হয়েছে। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি করে জিততে চাইছে তৃণমূল। কারণ, মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই ওরা এখন এসব করে নিজেদের পক্ষে ভোট করতে চাইছে।  ভুয়ো এজেন্টের নামে সই করে ফলস ভোট দেওয়াচ্ছে তৃণমূল। এসব আমরা ধরে ফেলি। বাধা দিতে গেলেই ওরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম! জ্বলল বাড়ি-দোকান, পালিত হল বন্‌ধ

    Nandigram: বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম! জ্বলল বাড়ি-দোকান, পালিত হল বন্‌ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি-ঘর দোকান, ভাঙচুর-বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত এলাকা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাতে না যায় তাই নন্দীগ্রাম থানা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এলাকায়। একই সঙ্গে রয়েছে পুলিশ। আজ সোনাচূড়া, মনসা বাজার এলাকয় বিজেপির পক্ষ থেকে বন্‌ধ পালিত হয়। অপর দিকে বিকেল পাঁচটায় সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী।

    সকাল থেকেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)

    ২৫ মে শনিবার ভোট, আজই নন্দীগ্রামে (Nandigram) নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। কিন্তু ইতিমধ্যে এক বিজেপি কর্মী মহিলাকে খুনের ঘটনায় বিজেপি ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে এলাকায়। মূল অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। খুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি-ঘর, দোকান। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০০ কোম্পানির উপর বাহিনীকে এলাকায় মজুত করা হয়েছে। আরও ফোর্স নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ব্যানার লাগাতে গিয়ে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। এরপর বিজেপি সমর্থিত মহিলাকে খুন করা হয়। তবে এই খুনের পিছনে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানি মূলক ভাষণকেই বিজেপি দায়ী করেছে। এরপর বিজেপি আজ প্রতিবাদে বন্‌ধ ডাকা হয়।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, “একজন মহিলাকে নন্দীগ্রামে (Nandigram) খুন করা হয়েছে। আমি গুন্ডাদের কীভাবে সোজা করতে হয় তা আমি জানি। কেষ্ট, শাহজাহানরা কোথায়? সব কিছুর বদল হবে। একজন মাঝ বয়সী মহিলাকে মেরে দিলে বদলা অবশ্যই হবে।” নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ“নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    কী বলেছিলেন অভিষেক?

    তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক প্রচার সভায় বলেছিলেন, “নন্দীগ্রাম (Nandigram) ১ নম্বর ব্লকে সোনাচূড়া, হরিপুর, গোকুলনগর, ভেকুটিয়া আর আর দু’নম্বর ব্লকের বয়ালনগর ১, বয়াল ২ এই জায়গায় যাঁরা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তাঁদের তালিকা আমার কাছে রয়েছে। এর পরিণতি খুব খারাপ হবে সতর্ক করলাম। কোনও বাবা বাঁচাবে না। কেউ বাঁচাবে না।” আবার তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, “অভিষেক কোনও প্ররোচনা দেননি। আক্রমণের কথা তিনি বলেননি। বিজেপির পতাকা বাঁধার লোক নেই ওই এলাকায়।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বৈধতার নথি জমা দিতে বলে রাজ্যের শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে ঠিক এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদেরদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা। যোগ্যদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অযোগ্য শিক্ষকদেরদের বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল।”

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্যের মমতার সরকারকে তোপ দেগে বলেন, “শিক্ষকদেরকে এখন ২ শ্রেণীতে ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। আমাদের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর কথা অনুসারে শিক্ষক ও ব্যতিক্রমী শিক্ষক। এসএসসি আদালতে গিয়ে বলেছে প্রায় ৮ হাজার অযোগ্য শিক্ষক রয়েছে। এই অযোগ্যদের বাঁচাতে গিয়ে গোটা রাজ্যের ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষককে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে নথি চাওয়া হচ্ছে। সেই জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে আগামী ২৭ মের মধ্যে চাকরি সংক্রান্ত নথি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে দেওয়া দিতে হবে। যাঁরা আজ থেকে ৩০-৩৫ বছর আগে চাকরি পেয়ছেন তাঁদের কাছ থেকে নথি চাওয়ার মানে কী? এমন কী কিছু শিক্ষক, যাঁরা কয়েক বছরের মধ্যে অবসর নেবেন তাঁদের কাছেও তথ্য চাওয়া হচ্ছে। যোগ্যদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অযোগ্যদের বাঁচাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    ভোট পরবর্তী হিংসা হাওড়ায়! বিজেপির কর্মীর বাড়িতে পড়ল পর পর বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    আর কী বললেন?

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা দফতরের কাছে এই তথ্য তো থাকা উচিত। এসএসসি-র সুপারিশ পত্র চাওয়া উচিত। ত্রিশ বছর আগে এসএসসি ছিল না। সেই সময় কমিটির মাধ্যামে চাকরি হত। কমিটি চিঠি পাঠাত। সেই চিঠি এখন খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। অযোগ্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। বার বার সকল শিক্ষকদের হেয় এবং অপমান করা হচ্ছে। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। সিপিএম যদি চাকরি দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি করে থাকে সেগুলিকে বার করুক। সিপিএম ধোয়া তুলসি পাতা নয়। সিপিএমের লোকগুলি এখন তৃণমূলের গিয়েছে।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: লেপার্ডের চামড়া পাচার! গ্রেফতার হলেন দুই তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    Murshidabad: লেপার্ডের চামড়া পাচার! গ্রেফতার হলেন দুই তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেপার্ডের চামড়া সহ গ্রেফতার হলেন দুই তৃণমূল নেতা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতিঝিল এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে  পড়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো এবং বহরমপুর উত্তর-দক্ষিণ রেঞ্জের বনদফতরের যৌথ অভিযানে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থানার মতিঝিল পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন একটি বেসরকারি হোটেল থেকে লেপার্ডের চামড়া সহ দুজনকে আটক করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৮৮ সেন্টিমিটার লম্বা পূর্ণবয়স্ক একটি লেপার্ডের চামড়া। ধৃত দুজনকে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বনদফতর। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষন আইনের ৯, ৩৯, ৪০(বি) সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম সাবিরুল ইসলাম ও মাসারুল মণ্ডল। দুজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদ থানার গুধিয়া এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাদের কাছে কী করে এই চামড়া এল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পাচার করার জন্য তাঁরা মজুত করেছিলেন কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত সাবিরুল ইসলাম তেতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আকরুমা বিবির স্বামী। অন্যদিকে সাবিরুলের ভাই মাসারুল। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করেন তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনের মাস কয়েক আগে আবু তাহের খানের হাত ধরে আবারও তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন সাবিরুল সহ তার অনুগামীরা। দুই ভাই কোথা থেকে সেই লেপার্ডের চামড়া আনছিলেন এবং কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং বনদফতর। বুধবার ধৃতদের লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত বিচারক সুমন দাস ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) (দক্ষিণ) জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, তৃণমূল দলটাই চোরের দল। তাই, ওই দলের নেতারা তো চোর হবে। গরু, সোনা, কয়লা পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল। এবার চামড়়া পাচারে যুক্ত এই দল। এই দলের কাছে থেকে এর বাইরে আর কী আশা করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share