Tag: tmc

tmc

  • Ranaghat: “স্ট্রংরুমে সিসি ক্যামেরা বন্ধ, পঞ্চায়েত ভোটের মতো তৃণমূল কারচুপি করবে!” আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর

    Ranaghat: “স্ট্রংরুমে সিসি ক্যামেরা বন্ধ, পঞ্চায়েত ভোটের মতো তৃণমূল কারচুপি করবে!” আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট (Ranaghat) কলেজে স্ট্রংরুমে বন্ধ সিসিটিভি! পঞ্চায়েত ভোটের মতো কারচুপির ছায়া দেখছে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। যদিও ক্যামেরা বন্ধ নিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। ভোট মিটে যাওয়ার পর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    স্ট্রংরুমের পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্ধ (Ranaghat)

    গত ১৩ই এপ্রিল ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রে। এই ভোট গ্রহণের ইভিএম এবং ভি ভি প্যাড  রানাঘাট কলেজের স্ট্রংরুমে রাখা হয়েছে। করা হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে, বুধবার রাতে সিসিটিভি বন্ধ নিয়ে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেরই প্রার্থী এদিন স্ট্রংরুম পরিদর্শন করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, আরও-র অনুমতি ছাড়া মহকুমা শাসক কী কারণে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে স্ট্রং রুমে যেতে দিয়েছিলেন। তার কিছুক্ষণ আগে যদিও তৃণমূল প্রার্থী স্ট্রংরুমের কাছে এসেছিলেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে তাঁর কাছে খবর যেতেই তিনি এসে উপস্থিত হন রানাঘাট কলেজে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন জগন্নাথ সরকারকে যখন ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল তখন স্ট্রংরুমের পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্ধ ছিল। আর এখানেই তার সন্দেহ মহকুমা শাসক কোনও ফন্দি এঁটেছেন বিজেপির সঙ্গে। তবে এই চিত্র নতুন নয় উত্তরপ্রদেশেও এ চিত্র দেখা গিয়েছে বলে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি।

    আরও পড়ুন: দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    স্ট্রংরুমে সিসি ক্যামেরা বন্ধ, তৃণমূল কারচুপি করবে! আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর

    পাল্টা অভিযোগ করেছেন রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীও রয়েছে সংখ্যায় কম। আমাকে জানানো হয়েছিল, প্রার্থীদের কে যেতে দেওয়া হবে স্ট্রংরুমে। তখন তার জন্য সময় বরাদ্দ করেনি কোনও আধিকারিক। পরবর্তীতে  স্ট্রং রুমে যাওয়ার কথা জানালে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় আমাকে। পরবর্তীতে আমি যখন আদালতে যাওয়ার হুমকি দিই, তখন আমাকে স্ট্রংরুমের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। গিয়ে দেখেন স্ট্রং রুমের পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ। আর তাতেই আমার সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত ভোটে হারা প্রার্থীকে প্রশাসনের মদতে জিতিয়েছে, এবারও সেরকমই অভিসন্ধি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, কমিশনের উচিত স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সক্রিয় করা। যদিও শাসকবিরোধী দুই শিবিরের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manteswar: ভোটের পরেই দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্ট খুন! বিজেপির তির তৃণমূল দুষ্কৃতীর দিকে

    Manteswar: ভোটের পরেই দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্ট খুন! বিজেপির তির তৃণমূল দুষ্কৃতীর দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চতুর্থ দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে। পঞ্চমদফার নির্বাচনী প্রচারে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজ্য। এবার এই সময়েই দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বরে (Manteswar) দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্টের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির দাবি তৃণমূল দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। অবশ্য এই রাজ্যে ভোট পরবর্তী কালে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা নতুন নয়, কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর একাধিক বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের খুনের ঘটনায় চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। 

    মৃতের পরিচয় (Manteswar)

    গত ১৩ মে সোমবার লোকসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্ট ছিলেন অভিজিৎ রায়। তিনি মন্তেশ্বরের (Manteswar) ১৬৮ নম্বর বুথে বিজেপির বুথের দায়িত্বে ছিলেন। আজ বৃহস্পতি বার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মাটির দেওয়ালে ঠেস দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফেলা ছিল দেহ। তাঁর দেহে ছিল না জামা, পরনে কেবল অন্তর্বাস, গালায় ক্ষতচিহ্ন। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভোটের আগের দিন অভিজিৎ রায়কে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল। এই ভোটে বিজেপি জয় লাভ করবে, তাই ভয় পেয়ে পরিকল্পনা করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    স্থানীয় বিজেপি নেতার বক্তব্য

    বর্ধমান জেলার (Manteswar) এক বিজেপির নেতার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে এই খুনের পিছনে তৃণমূল কর্মীরা রয়েছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা তোতা খান, সাবির খান একদিন আগেই হুমকি দিয়েছিল। এবারে মানুষ ভোটটা দিতে পেরেছে এটা বড় বিষয়। তৃণমূল হারবে জেনেই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।” তবে ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটের মুখে কেশপুরে বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে মার, স্বরূপনগরে আক্রান্ত কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ভোটের মুখে কেশপুরে বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে মার, স্বরূপনগরে আক্রান্ত কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে ‘আক্রান্ত’ বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি। গুরুতর আহত অবস্থায়  মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেশপুরে মণ্ডল সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে পেটাল তৃণমূল (BJP)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কেশপুর ১৪ নম্বর অঞ্চল ঝেতলার কুশপাতাতে বিজেপির (BJP) একটি মিটিং ছিল। সেখানে বাইকে যাচ্ছিলেন কেশপুর ৪নম্বরের মণ্ডল সভাপতি শুভেন্দু সামন্ত। অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে বাইক থেকে রাস্তায় ফেলে লাঠি বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখানো হয়। ঘটনার খবর জানতে পেরে বিজেপি কর্মীরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা চলে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় শুভেন্দুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু কেন এই হামলা? আক্রান্ত বিজেপি নেতা শুভেন্দু সামন্ত বলেন, প্রকাশ্য বৈঠকেই আমি বলেছিলাম ‘এবার দেব হারবে আর হিরণ জিতবে’। আর সেই কারণেই তৃণমূলের এই হামলা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে শুভেন্দু ভর্তি রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে আক্রান্ত বিজেপি কার্যকর্তার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ।

    বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির (BJP) ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ বলেন, নির্দিষ্টভাবে তৃণমূল নেতৃত্বের নামে থানায় অভিযোগ করা হবে। যদি পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে জেলা জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন করবে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটা তাদের আদি ও নব্য বিজেপির গোলমাল। এখানে তৃণমূলকে দোষারোপ করে লাভ নেই।

    আরও পড়ুন: দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    তৃণমূলে ভোট না দিলে বিজেপি কর্মীকে খুন করার হুমকি

    তৃণমূলের মিটিং এ না যাওয়ার কারণে বিজেপি (BJP) কর্মী ও তাঁর মাকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্বরূপনগর এলাকায়। জানা গিয়েছে,  সরূপনগরের তেতুলিয়া খালদার এলাকার ভীম বিশ্বাস নামে ওই বিজেপি কর্মীকে বুধবার রাতে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় তাঁর মা বাসন্তী বিশ্বাস ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় এবং শাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ অভিযোগ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই স্বরূপনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাসন্তী বিশ্বাস নামে ওই মহিলা। তিনি বলেন, আমরা বিজেপি করি। তৃণমূলের মিটিংয়ে যাইনি বলে মেরেছে। তৃণমূলে ভোট না দিলে কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: ভোটের আবহে বালি পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের উপ প্রধানের, শোরগোল

    Balurghat: ভোটের আবহে বালি পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের উপ প্রধানের, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও লোকসভা ভোটের তিনটি দফা বাকি। তার মধ্যেই বালি পাচারের সঙ্গে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার কুশমণ্ডিতে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    গঙ্গারামপুর ব্লকের পর অবৈধ বালি পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে কুশমণ্ডি ব্লক (Balurghat) ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরও। সহযোগিতায় রয়েছে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ। টাঙন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার সময় একটি আর্থমুভার আটক করে পুলিশ ও ভূমি সংস্কার দফতর। তাতেই নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতার। যে আর্থমুভারটি আটক করা হয়েছে তাঁর মালিক বংশীহারী ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত এলাহাবাদ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আতাউর রহমান। ওই মেশিনটি লিজ নিয়ে তিনি অবৈধভাবে নদী থেকে বালি তুলছিলেন। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক প্রীতম দাস শর্মা বলেন, ‘ কালিকামরা গ্রামে টাঙন নদীর ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি পাচার করার খবর আসে। কুশমণ্ডি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে যৌথ অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় একটি আর্থমুভার। ওই মেশিনের মালিককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’ কালিকামরা গ্রামের বেশকিছু বাসিন্দার অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলছিলেন একজন ঠিকাদার। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবাদীদের হুমকি দেওয়া হত। এর পিছনে শাসকদলেরই মদত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে রাতের অন্ধকারে আন্দোলনকারী মহিলাকে বাড়ি থেকে অপহরণের চেষ্টা !

    বালি পাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুমকি দিল বিজেপি

    এনিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আতাউর রহমানের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অবৈধভাবে নদীর বালি পাচার বন্ধ করতে প্রশাসন যে পদক্ষেপ নিচ্ছে আমরা তাকে সমর্থন জানাচ্ছি। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস রায় বলেন, তৃণমূল দলটাই চোর। বালি পাচার করে ওদের সংসার চলে। দলের নেতাদের কাছেও পাচারের টাকা চলে যায়। ভোটের ফল বের হওয়ার পর আমরা আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের খাসতালুকে এক বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বজবজ পুরসভার পশ্চিম পূজালি এলাকায়। আহত ওই বিজেপি কর্মীর নাম ধীমান মণ্ডল। আক্রান্ত কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। আক্রান্ত কর্মীর পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    মূলত ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধ্যা আটটা নাগাদ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বজবজ বিধানসভার পশ্চিম পূজালি এলাকায় বিজেপির ওই সক্রিয় কর্মী ধীমান মণ্ডল দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপির ব্যানার ফেস্টুন লাগাচ্ছিলেন। আর তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নরেন্দ্র মোদির নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। ব্যানার ফেস্টুন খুলে দেওয়ার হুমকি দেন। আর তা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন বিজেপি কর্মী ধীমান। তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ১০-১২ জন তাঁকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। বিজেপি কর্মী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে  বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে তাঁর কপাল ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা বজবজ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের মদতেই হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় চিন্ময় বারুই, তাপস বিশ্বাস, মাহফুজুর রহমান এর নাম উঠে আসে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিগত পুরসভা নির্বাচনেও কোনও বিরোধী কর্মীকে এই পুরসভা থেকে নমিনেশন করতে দেয়নি। ভোট লুট করে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর লোকসভার আগেও সেই একইভাবে বিরোধীদের ওপরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এই গোটা ঘটনায় পূজালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পূজালি থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে রাতের অন্ধকারে আন্দোলনকারী মহিলাকে বাড়ি থেকে অপহরণের চেষ্টা !

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    আক্রান্ত কর্মীর সঙ্গে দেখা করার পর তৃণমূল ও পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। তিনি বলেন, ভাইপোর ভাইরাসরা এই সব কাজ করে বেড়াচ্ছে। ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূল এসব করছে। আমরা মেনে নেব না। পুলিশ সবকিছু জেনেও তৃণমূল কংগ্রেসের দলদাস হয়ে কাজ করছে। এই বিষয়ে যদি পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করে আমি নির্বাচন কমিশনেও যাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে রাতের অন্ধকারে আন্দোলনকারী মহিলাকে বাড়ি থেকে অপহরণের চেষ্টা!

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে রাতের অন্ধকারে আন্দোলনকারী মহিলাকে বাড়ি থেকে অপহরণের চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক সময় পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মহিলাদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ছিল শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে সরব হয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা। এরপর একের পর এক ভিডিও নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যজুড়ে। এই আবহের মধ্যে সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাকে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই মহিলারা সরব হয়েছেন। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    বুধবার দুপুরেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। সন্দেশখালির মহিলারা গিয়ে দেখা করেছিলেন তাঁর সঙ্গে। সেই তালিকায় ছিলেন এই প্রতিবাদী মহিলাও। এরপর রাত হতে না হতেই, তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সন্দেশখালিতে। ওই মহিলা বলেন, “রাতে আমার বাড়ির বাইরে কিছু কুকুর ডাকছিল। সেই শব্দ শুনেই আমি বাড়ির বাইরে বের হই। সঙ্গে সঙ্গে কেউ এসে আমার মুখ চেপে ধরে। সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। যদিও রাতের অন্ধকারে আমি কাউকেই চিনতে পারিনি। আমাকে ওরা টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি পুকুর পাড়ে পড়ে গিয়েছিলাম। ওখান থেকে আবার টানতে টানতে মাঠের উল্টোদিকে নিয়ে গিয়েছিল। আমার মুখ বেঁধে দিয়েছিল। আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজনও চলে আসে। আর ওখানে কুকুর ডাকাডাকি করছিল, তখন আমাকে ওখানেই ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ঘটনার পরই নির্যাতিতার পাশে এসে দাঁড়ান বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তিনি বলেন, শাহজাহান এই সব কাণ্ড করত। ও গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর নির্দেশে এখন এই সব অত্যাচার চলছে। তৃণমূলের মদতেই এসব হচ্ছে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। অন্যদিকে, তৃণমূলের বসিরহাট শহরের সভাপতি অভিজিৎ ঘোষ বলেন, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যে নাটক চলছে তা সবাই জানে। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা ভোটের আগে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মমতার সফরের আগে দলে বিরাট ভাঙন! খেজুরিতে ৪০০ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Purba Medinipur: মমতার সফরের আগে দলে বিরাট ভাঙন! খেজুরিতে ৪০০ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মধ্যেই বাংলায় ফের রাজনৈতিক শোরগোল। শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসালো বিজেপি। রাজ্যে ইতিমধ্যে চারদফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। পঞ্চম দফার নির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে রাজ্যে। আগামী ষষ্ঠ দফা নির্বাচন হল ২৫ মে। এই পর্বে মেদিনীপুর (Purba Medinipur), কাঁথি, তমলুকে ভোট গ্রহণ। আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট প্রচারে কাঁথি যাবেন। কিন্তু এর মধ্যেই খেজুরিতে তৃণমূলের বিরাট ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় ৪০০ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। পাল্টা তৃণমূল, বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কথাকেই তুলে ধরেছে। ভোটের মুখে তৃণমূল আরও চাপের মধ্যে পড়েছে।

    পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে (Purba Medinipur)

    জানা গিয়েছে গতকাল সন্ধ্যায় খেজুরিতে (Purba Medinipur) উদয় শঙ্কর মাইতি এবং দেব কুমার মাইতির হাত ধরে প্রায় ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অবশ্য এই দাবি বিজেপি করলেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপি নেতা উদয় শঙ্কর মাইতি বলেছেন, “আমার হাত ধরে ৪১৭ জন বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অবশ্য আগে ওঁরা সকলেই বিজেপি করতেন। আমি বিজপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিলাম। তখন আমার সঙ্গে ওঁরাও তৃণমূলে গিয়েছিলেন। আমি আবার বিজেপিতে যোগদান করায় সকলে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তবে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে তাই ওঁরা এখন পাগল হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল ভুল কথা বলেছে। ওঁদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপির মধ্যে কোনও রকম দ্বন্দ্ব নেই।”

    আরও পড়ুনঃ হাওড়া স্টেশনে ব্যস্ত সময়ে মহিলার পেটে ছুরি মেরে খুন! ত্রিকোণ প্রেম? চাঞ্চল্য

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা (Purba Medinipur) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বিজেপি মিথ্যাচার করছে। ৪০ জনকে চারশ জন বলে চালানো হচ্ছে। ওখানে ৪০ জন ছিল কিনা সন্দেহ রেয়েছে। নাটক করে মিথ্যাচার করা হয়েছে। সকলকে উত্তরীয় পরিয়ে যোগদানের নাটক করা হয়েছে। কিন্তু এই সব চলবে না। খেজুরিতে তৃণমূল আছে থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বসিরহাট এবং দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির

    BJP: বসিরহাট এবং দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল চায় বিজেপি। নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী রেখা পাত্র। মূলত বিজেপির অভিযোগ হল, তৃণমূল প্রার্থী নিজের মনোনয়ন জমা করার সময় প্রয়োজনীয় নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা দেননি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত ছিল জমা করার শেষ সময়। আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপির দাবি, অফিস অফ প্রফিট-এর আওতায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত। তিনি সরকারি লাভজনক পদে রয়েছেন। এভাবেই বীরভূমের দেবাশিষ ধরের বদলা চাইছে বিজেপি।

    নির্বাচনী বিধি মানা হয়নি (BJP)

    বিজেপির (BJP) বক্তব্য, নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী শেষ ১০ বছরে যদি কোনও সরকারি পরিষেবা পেয়ে থাকেন এবং সেই সঙ্গে সরকারি বিল যদি বকেয়া থাকে, তাহলে তা মিটিয়ে দিতে হয়। হাজি নুরুলের সরকারের ঘরে কোনও রকম বকেয়া যে নেই, তা হলফনামায় জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি ২০১৪ সালের ১৮ মে পর্যন্ত লোকসভার সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালের ১৮ মে তাঁর ১০ বছর সম্পূর্ণ হয়েছিল। মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১২ দিন আগে। কিন্তু নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তাঁরও নো ডিউজ় সার্টিফিকেট দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। আবার দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী মালা রায় পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে ইস্তফা না দিয়ে লোকসভা ভোটের মনোনয়ন করেছেন। তিনিও লাভজনক পদে রয়েছেনদুই ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধি মানা হয়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    বীরভূমে প্রথমে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছিলেন প্রাক্তন আমলা দেবাশিষ ধর। মনোনয়ন জমা করার পর রাজ্য সরকারের নো ডিউজ সার্টিফিকেট না থাকায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করেছিল কমিশন। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের মনোনয়ন যাতে বাতিল হয় তার জন্য আমরা কমিশনে জানিয়েছি। যা আইন এবং নির্বাচনবিধি তা মেনে কাজ হয়নি। আমাদের প্রার্থী দেবাশিষ ধরের মনোনয়নও বাতিল হয়েছে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব। প্রয়োজনে হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে যাব। একই ভাবে মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। যা ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর আওতাধীন। তাঁর মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত। তিনি লাভজনক পদে রয়েছেন।”

    আরও পড়ুনঃ ভগবানপুরে কান কাটা হল বিজেপি কর্মীর, বোলপুরে বাড়িতে আগুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “স্ক্রুটিনির শেষ পর্যন্ত তথ্য জমা করা যায়। বুধবার স্ক্রুটিনির শেষ দিন। তার মধ্যেই সব জমা করা হবে। বিজেপির স্বপ্ন পূরণ হবে না।” আবার মালা রায়কে প্রশ্ন করলে উত্তরে বলেন, “আমি ২০১৯ সাল থেকে সাংসদ। আইন বহির্ভূত কোনও কাজ করা হয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhisekh Banerjee: “ডায়মন্ড হারবারে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী অভিষেক-ভাইরাসের বিরুদ্ধেই লড়াই”, কটাক্ষ ববির

    Abhisekh Banerjee: “ডায়মন্ড হারবারে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী অভিষেক-ভাইরাসের বিরুদ্ধেই লড়াই”, কটাক্ষ ববির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুন সপ্তম দফায় ভোট রয়েছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে। এবছর এই কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisekh Banerjee) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত তিনি। কিন্তু প্রচারে নামার আগেই বাধার সম্মুখীন হলেন ওই প্রার্থী। যদিও তাতে একেবারেই দমে যাননি তিনি, বরং এবার অভিষেকের গড়ে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই হুংকার দিলেন।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ অভিজিতের (Abhisekh Banerjee)

    মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার কপাট হাট থেকে ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) স্টেশন বাজার পর্যন্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেন বিজেপি প্রার্থী। এরপর ডায়মন্ডহারবার এম বাজারের সামনে তিনি একটি স্ট্রিট কর্নার করেন। মূলত গাড়ির ওপরে দাঁড়িয়ে আলো-মাইক ছাড়াই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানালেন অভিজিৎবাবু।

    বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ  

    এদিন বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ তোলেন, এম বাজারের সামনে সভার জন্য যে মঞ্চ বাঁধা হচ্ছিল, তার ডেকরেটরকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে মঞ্চ বাঁধতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে লাইট, মাইক কোনও কিছুই লাগাতে দেওয়া হয়নি। আর তাই অগত্যা নিজের প্রচার গাড়ির উপরে দাঁড়িয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisekh Banerjee) বিরুদ্ধে হুংকার দিলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলার চুলের মুঠি ধরল পুলিশ! ক্লোজ করা হল তুফানগঞ্জের এসআইকে

    অভিষেকের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি

    এই স্ট্রিট কর্নার থেকে তিনি বলেন,”যদি এতই মানুষের জন্য কাজ করে থাকে, তাহলে বিরোধী দলের প্রার্থীদের ভয় পাচ্ছেন কেন উনি? কেন মঞ্চ বাঁধতে দেওয়া হচ্ছে না! লাইট, মাইক কেন দেওয়া হল না?” তিনি জানান, আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee) ভয় পেয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারে লোকসভা নির্বাচনের লড়াই তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস এদের বিরুদ্ধে নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নামক যে ভাইরাস ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে তার বিনাশ করার জন্য এই লড়াই।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীরা রয়েছেন আতঙ্কে! নিজে গিয়ে অভিযোগ শুনলেন রেখা পাত্র

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীরা রয়েছেন আতঙ্কে! নিজে গিয়ে অভিযোগ শুনলেন রেখা পাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাগদি পাড়ায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তিনি বৃহস্পতি বার এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছেন। এলাকার মানুষ সমাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তৃণমূলের দিকে নিশানা করেছে গ্রামবাসীরা। একই ভাবে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রেখা। ফলে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাগদি পাড়ার মহিলারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে বলেন, “আমরা ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। যখন তখন বাড়িতে ঢুকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের নেতার। সন্ধ্যা হলেই বাড়িতে অত্যাচার করতে আসছে, মারধর করছে। এমন কী যুবতী মেয়েকে মাটিতে ফেলে জামা টেনে ছিঁড়ে দিয়েছে। আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। অনেক লোক ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। ভোট হবে কীভাবে এলাকায়! পুলিশ তৃণমূলের কথা শুনছে। আমরা কীভাবে নির্বিঘ্নে ভোট দেবো?”

    কমিশন বদ্ধপরিকর

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, উত্তর ২৪ পরগনার নির্বাচন কমিশনের আধিকারিককে দিয়ে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এরপর আজ সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল চলছে এলাকায়। বাগদি পাড়ায় বিজেপি প্রার্থীর রেখা পাত্র গেলে তাঁকে অভিযোগ জানান এলাকার মানুষ।“

    কিন্তু কমিশন বদ্ধপরিকর, জেলা প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে সন্দেশখালিতে যাতে ভোট নির্ভীক এবং শান্তিপূর্ণ হয়। অপরে সবরকম ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করার কথা কমিশন বললেও প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাগদি পাড়ার রামপুর কাঠপল এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে সিবিআই সন্দেশখালিকান্ডের বিষয় নিয়ে অভিযোগ দায়ের করার জন্য একটি পোর্টাল খুলেছে। কিন্তু তারপরেও কী কোনও প্রশাসনিক দুর্বলতা রয়েছে? নাকি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ রাজ্য প্রশাসন সঠিকভাবে পালন করছে না। ভোটের মুখে এমন নানান প্রশ্ন উঠছে এলাকায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share