Tag: tmc

tmc

  • Lok Sabha Election 2024: বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা! অশান্তি একাধিক জায়গায়

    Lok Sabha Election 2024: বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা! অশান্তি একাধিক জায়গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চমদফা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সকাল থেকেই অশান্তির খবর উঠে আসছে। বারাকপুর, হুগলি, হাওড়া একাধিক কেন্দ্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী এজেন্টদের মারধর, বুথজ্যাম, ছাপ্পার অভিযোগের খবর উঠে এসেছে। আবার বারাকপুরের বিজেপি নেতা কৌস্তভের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, “আমার ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয়েছে।” এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    গাড়ি ভাঙচুর কৌস্তভের (Lok Sabha Election 2024)

    নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে বারাকপুরের মন্ডলপাড়ায় প্রথমে বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং পরে গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল সমর্থকেরা। পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মন্ডলপাড়া অশনি সংঘ ক্লাবের কাছে জমায়েত দেখে গাড়ি থেকে নামেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয় তৃণমূলের কর্মীরা। এরপর বিক্ষোভের পাশাপাশি শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। এই বিজেপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বুথ জ্যাম করা হচ্ছে এরপর আমাকে হামলা করা হয়। সেই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয় আমার গাড়ির কাচ।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় টিটাগড় থানার পুলিশ ও বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর জমায়েত সরিয়ে দেয় পুলিশ।

    টিটাগড়ে বুথ জ্যাম

    টিটাগড় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) অর্জুন সিং-কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ধ্স্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অর্জুন সিং-কে কালো পতাকা দেখানো হয়। দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান। এরপর অর্জুনের সমর্থনে জড়ো হন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেওয়া হয়। পরে পুলিশকর্তাদের নির্দেশে বিরাট বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

    কাউগাছিতে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা

    ভোটের দিনে (Lok Sabha Election 2024) বারাকপুর কাউগাছি ২ এলাকায় ৪৯, ৫০, ৫১ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ। বিজেপি এজেন্টরা বুথে ঢুকাতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মী সমর্থকরা তাঁকে বাধা দেন। এরপর প্রার্থীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপি এজেন্টদের বুথে ঢুকিয়ে দিয়ে সেখান থেকে বের হন প্রার্থী।

    আরও পড়ুনঃ মমতাকে আইনি নোটিস কার্তিক মহারাজের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি

    আমডাঙায় ভোটারদের হুমকি

    আমডাঙা বিধানসভার বোদাই সরদারপাড়া এলাকার ১৩০ নম্বর বুথে সাধারণ ভোটারদের (Lok Sabha Election 2024) বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিরুদ্ধে। ঘটনায় বারাসাত পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কিউআরটি টিম পৌঁছায়। মানুষের অভিযোগ, ভোট দিতে গেলে রাতের বেলা বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে হাত কেটে নেওয়া হবে। আর এই কারণে গ্রামের মহিলা থেকে পুরুষ কেউই ভোট দিতে যেতে পারছে না ভোট কেন্দ্রে। একই ভাবে দুই বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    বনগাঁ অসুস্থ প্রিসাইডিং অফিসার

    বনগাঁ লোকসভার নদিয়ার একটি কেন্দ্রে বিজেপির কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বনগাঁর বুথ কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিসাইডিং অফিসার (Lok Sabha Election 2024)। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বন্ধ হয় ভোট গ্রহণ কিছু সময়ের জন্য। ঘটনা ঘটেছে বনগাঁ পুরসভার বাগদার বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর ১০৭ নম্বর বুথে। অসুস্থ হলে তাঁকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আধঘণ্টা পর আবার ওই বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতাকে আইনি নোটিস কার্তিক মহারাজের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি

    Mamata Banerjee: মমতাকে আইনি নোটিস কার্তিক মহারাজের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আইনি নোটিস পাঠালেন কার্তিক মহারাজ। উল্লেখ্য এই সন্ন্যাসী মহারাজ ভারতসেবা আশ্রম সঙ্ঘের মহারাজ। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিভ্রান্তমূলক। সত্য প্রমাণ দিতে পারলে শাস্তি মাথা পেতে নেব।” তবে এটাও স্পষ্ট করলেন মমতা নিজের মন্তব্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি মামলা করব। এই প্রেক্ষিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন কার্তিক মহারাজ (Mamata Banerjee)?

    ভারতসেবা আশ্রম সঙ্ঘের মহারাজ স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলিনি। মমতা (Mamata Banerjee) পুরো মিথ্যা কথা বলেছেন। আমি কোথাও কোনও জায়গায় এই কথা বলিনি। তৃণমূল কর্মীদের বুথ থেকে বের করে দেবো এই কথাও বিলিনি। আমি সন্ন্যাসী, আমি কোনও দল করিনা। প্রমাণ দিতে পারবেন না, এটাও সত্য কথা।” আবার ভারতসেবা আশ্রম সঙ্ঘের অধ্যক্ষ দিলীপ মহারাজ বলেন, “দেশ জুড়ে তো প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে মুখ খুলেছেন। আমি আর কী বলব, প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন।”

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    সন্ন্যাসীকে মিথ্যা অভিযোগ এবং বাক্য বাণে আক্রমণের বিরুদ্ধে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করছেন। তিনি পুরুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে বলেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশের মাটিতে গিয়েছিলেন, যখন ভারতের কথা বলেছিলেন তখন লাখ লাখ মানুষ তাঁর ভক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি ভারতের প্রতি বিদ্বেষী ছিলেন। বিবেকানন্দকে ধমকিয়ে ছিলেন। এমনকি অপমানও করেছিলেন। এখন আবার এখানে সেরকম হচ্ছে। বাংলার মাটিতে এই রকম ঘটনা ঘটছে। নির্বাচনের সময়ে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো ধমকানো, হিংসা করানোর ঘটনায় তৃণমূল সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশে ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ নিয়ে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রকাশ্যেই ধমকাচ্ছেন। মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বিশ্ব জুড়ে ইসকন, মিশনের লোক থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য, মানুষের সেবা করা। নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে এখন তাঁদেরকেই ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। লাখো মানুষের ভাবনার কথা ভাবছেন না”

    আরও পড়ুনঃ হুগলিতে বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, টাকা ছড়াচ্ছে আইপ্যাক অভিযোগ লকেটের

    ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গত শনিবার আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থণে সাধুদের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছিলেন, “সব সাধু সমান হন না। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি তিনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেবেন না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।” এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা ইমামদের নির্দেশ বিষয়ে মমতার চুপ থাকার কথা বলে সরব হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: হুগলিতে বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, টাকা ছড়াচ্ছে আইপ্যাক, অভিযোগ লকেটের

    Hooghly: হুগলিতে বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, টাকা ছড়াচ্ছে আইপ্যাক, অভিযোগ লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই রাজ্যে পঞ্চম দফা নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত ঝামেলার মধ্যে দিয়ে লোকসভার নির্বাচন শুরু হয়েছে। একাধিক বুথ কেন্দ্রে শাসক দলের নেতা-কর্মীরা ভয় দেখাচ্ছে বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। এদিকে হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার বালিপুর মেলাতলা হাইস্কুলে বুথ নম্বর ২৬১তে বিজেপির এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে। একই ভাবে খানাকুলের বালিপুর ২৫৯ এবং ২৬০ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টদের গায়ের জোরে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুগলি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এলাকায় আইপ্যাক টাকা নিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে সরব হয়েছেন।

    ঠিক কী বলেছেন লকেট (Hooghly)?

    বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Hooghly) তৃণমূলের আইপ্যাকের বিরুদ্ধে ভোটের আগেরদিন রাত থেকেই এলাকায় টাকা নিয়ে ভোট কেনার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, “রবিবার আইপ্যাকের জনা ২০ ছেলে ঢুকেছে এলাকায়। খবর এসেছে ওরা থলে ব্যাগে টাকা নিয়ে ঢুকেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে আছে। আজকের দিন ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করবে। তবে ওদের হাতে কিছুই নেই।” ভোটের দিন সোমবার সকাল থেকেই ভোটের ময়দানে তিনি। নিজের জয় নিয়ে এই বিজেপি প্রার্থী ভীষণ আশাবাদী। একই ভাবে রচনাকে নিশানা করে তিনি বলেন, “সক্রিয় রাজনীতি করতে গেলে রচনাকে বিজেপিতে যোগদান করতে হবে।” আবার তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। আমাদের প্রধান বিরোধিতা হল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এখানে কে অভিজ্ঞ, কে অনভিজ্ঞ, কে সিনেমা করে, কে কী করে তা বিষয় নয়। মানুষের জন্য আমি সবসময় থাকার চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের বিজেপি পোলিং এজেন্টের গায়ে হাত পড়লে সেভাবেই ট্রিটমেন্ট করব।”

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি কর্মীদের ওপর ধারাল অস্ত্রের কোপ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি পঞ্চম দফায়

    পাল্টা রচনার বক্তব্য

    লকেটের অভিযোগকে অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থী (Hooghly) রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইপ্যাকের কাছে এক পয়সাও নেই। দেড় মাস ধরে খেটে কাজ করছি। ভোটের দিনের আবহাওয়া বেশ সুন্দর। গরম ততটা নেই। রোদের কষ্ট অনেক কম। সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। সবাইকে বলেছি শান্ত ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে। মাথা গরম করার সময় নয়। কেউ এসে উচ্চস্বরে কথা বললে আমরা রসগোল্লা খাইয়ে দেবো। আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। মানুষ আমাদের পাশে থাকবে। জয় নিয়ে আমি আশাবাদী।”

    ডোমজুড়ে উত্তেজনা

    শ্রীরামপুর (Hooghly) লোকসভার ডোমজুড়ে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দেবীপাড়ায় বিজেপির ওই কার্যালয়ে টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তেড়ে যায়। বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবার মগরায় এক বুথকর্মীকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মগরা উত্তম চন্দ্র হাই স্কুলের ২৮৭ এবং ২৮৮ নম্বর বুথ থেকে কৃষ্ণা দত্ত নামে বুথকর্মীকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলকর্মী এক যুবকের বিরুদ্ধে।আবার ধনিয়াখালিতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্র, বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন। পাল্টা তৃণমূল নেত্রীকে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন লকেট। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: ভোটের মুখে বিজেপির সভায় তৃণমূলের হামলা, তুলকালাম বরানগর

    Baranagar: ভোটের মুখে বিজেপির সভায় তৃণমূলের হামলা, তুলকালাম বরানগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে বরানগরে (Baranagar) নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। এবার বিজেপির দলীয় সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর বিধানসভা এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Baranagar)

    স্থানীয় ও বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, বরানগর (Baranagar) বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের সমর্থনে বরানগরে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ জনসভা যখন চলছে তখন সেখানে আচমকা এসে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিল। সভার মধ্যে ঢুকে পড়ে সভাতে থাকা বিজেপি নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে তৃণমূলের লোকজন কটূক্তি করতে শুরু করেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এরপরই বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হল। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এপ্রসঙ্গে বরানগর (Baranagar) বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ বলেন, “আমাদের সভা চলাকালীন আচমকা তৃণমূলের মিছিল ঢুকে পড়ে। তারপর চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। এর ফলে আমাদের সভায় ব্যাঘাত হচ্ছিল। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। ওখানকার সাধারণ মানুষ সব দেখেছে। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই এভাবে গুণ্ডামি করে কিছু হয় না। যা হবে তা মানুষের রায়েই হবে।” অন্যদিকে এই গণ্ডগোলের জন্য বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কেই দায়ী করছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। এপ্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, “তাপস রায় যখন এখানকার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন তখন তো দুর্নীতি বা এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা বলেননি। আজ দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি সবকিছুতেই দুর্নীতি দেখছেন। আজকের এই গণ্ডগোল তাঁর জন্যই হয়েছে। আমরা বিজেপির সভায় কোনও হামলা চালাইনি। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Humayun Kabir: ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের জের! হুমায়ুনকে সেন্সর করল কমিশন

    Humayun Kabir: ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের জের! হুমায়ুনকে সেন্সর করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহেই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে সতর্কবার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। আসলে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কাজিপাড়ায় এক দলীয় কর্মিসভায় হুমায়ুন কবিরের (Humayun Kabir) এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এবার হুমায়ুন কবিরকে সেন্সর করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সাফ জানিয়ে দিল, এই ধরনের মন্তব্য থেকে আগামী দিনে তাঁকে বিরত থাকতে হবে।

     কী বলেছিলেন হুমায়ুন? 

    এক কর্মিসভায় হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) বলতে শোনা যায়, ‘‘২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি তাহলে রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে রামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি।’’

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    এর আগে ওই মন্তব্যের জন্য আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে হুমায়ুনকে (Humayun Kabir) শোকজ করা হয়েছিল। সেই শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে এবার তাঁকে সেন্সর করার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ বিজেপির (Humayun Kabir) 

    বিতর্কিত মন্তব্যটিকে ইস্যু করে নির্বাচন কমিশনে আগেই নালিশ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। বিজেপির অভিযোগ ছিল ওই মন্তব্যের মাধ্যমে বিরোধী দলের কর্মীদের ও সাধারণ ভোটারদের মনে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা হয়েছে। বিজেপির সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১০ মে হুমায়ুন কবিরকে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেদিন কর্মিসভার মন্তব্যের জন্য জবাব তলব করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের থেকে। শোকজ নোটিশের জবাবও দিয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। 

    আরও পড়ুন: মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ! চোরাশিকারিদের হাতে খুন বনরক্ষী

    হুমায়ুনের বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় কমিশন

    হুমায়ুনের (Humayun Kabir) বক্তব্য ছিল, তাঁর বক্তব্যের একটি অংশকে তুলে এমনভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে, যাতে সেটি ভীতি সঞ্চারক ও আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার সামিল বলে মনে হয়। যদিও হুমায়ুনের সেই বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন। তাই এবার ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে সতর্ক করে দিল কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Sahajahan: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    Sheikh Sahajahan: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan) আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মে মাসের শেষেই সন্দেশখালির এই নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে চলেছে ইডি এবং সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই সংস্থাই এবার সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে শাহজাহানের নাম দিতে চলেছে। একই ভাবে এই তৃণমূল নেতার সঙ্গে অভিযুক্তের তালিকায় নাম থাকবে শেখ আলমগীর, দিদার মোল্লা এবং শিবু হাজরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার আলোড়ন ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।

    চলতি মাসের শেষেই চার্জশিট (Sheikh Sahajahan)

    সিবিআই তদন্তকারী সংস্থা কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার ৯০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা করতে হয়। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) গ্রেফতারের ২৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা। তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষেই সিবিআই চার্জশিট জমা করবে। আবার ইডি, কাউকে গ্রেফতার করার ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট দাখিল করতে হয়। এবার এই মাসের ৩১ তারিখ শেষ হচ্ছে সেই মিয়াদের দিন। তাই মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে চার্জশিট জমা করতেই হবে। আর তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছেন রাজ্যের শেষ দফায় ভোট সন্দেশখালি, তাই নির্বাচনী আবহে এই চার্জশিট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    ঘটনার সূত্রপাত ৫ জানুয়ারি

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ইডির আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করে শাহজাহান (Sheikh Sahajahan) বাহিনী। ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনা জওয়ান আহত হন মারের আঘাতে। সেই সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের গাড়িকেও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকেই শাহজাহান পলাতক হন। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় ন্যাজাট থানার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অপর দিকে সন্দেশখালির মহিলারা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সরব হন। শাহজানের অনুগামী উত্তম-শিবু, সিরাজ, জিয়াউদ্দিনের মতো দুষ্কৃতীরা জোর করে চাষের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করেছে। একই ভাবে বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর যৌন শোষণ চালাতো। এমনকি কম বয়সী সুন্দরী বাড়ির বউদের এলাকাকে থেকে দূরে বা কোনও অন্য রাজ্যের রাখতে বাধ্য হতেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে সিবিআই ক্যাম্প করে মানুষের অভিযোগদায়ের করেছে। অপর দিকে রেশন দুর্নীতির কালো টাকাকে সাদা করার ক্ষেত্রে শাহজাহানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মনে করছে ইডি। বেআইনি কাজ, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, জমি দখল, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারায় চার্জশিট গঠন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শুরু রাজ্যে, জেনে নিন ৭ কেন্দ্রের প্রার্থী কারা?

    Lok Sabha Election 2024: পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শুরু রাজ্যে, জেনে নিন ৭ কেন্দ্রের প্রার্থী কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) পঞ্চম দফায় রাজ্যে মোট ৭টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। সেই কেন্দ্রগুলি হল-হুগলি, আরামবাগ, শ্রীরামপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, বনগাঁ ও বারাকপুর। সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। মোতায়েন করা হয়েছে মোট ৬১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকছে ২৫ হাজার ৫১৪ জন রাজ্য পুলিশ। স্পর্শকাতর বুথগুলিতে রয়েছে কমিশনের বিশেষ নজর।

    কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কে কে (Lok Sabha Election 2024)?

    এই পর্বের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ৭টি কেন্দ্রের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসংখ্যা রয়েছে বনগাঁয় ১৫, বারাকপুরে ১৪, হাওড়াতে ১৪, উলুবেড়িয়াতে ১২, শ্রীরামপুরে ১১, হুগলিতে ১২ জন এবং আরামবাগে ১০ জন। মোট প্রার্থী রয়েছেন ৮৮ জন। গত শনিবার বিকেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রচার শেষ করেছিল। ভোটারদের মন জয় করতে সবারই প্রচার ছিল বেশ জমজমাট। 

    এরাজ্যের ৭টি কেন্দ্রে মূল প্রার্থীরা হলেন-

    ১. হুগলি-লকেট চট্টোপাধ্যায় (বিজেপি), রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস) ও মনোদীপ ঘোষ (সিপিএম)

    ২. শ্রীরামপুর-কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস), দীপ্সিতা ধর (সিপিএম) ও কবীরশঙ্কর বসু (বিজেপি)

    ৩. আরামবাগ-মিতালী বাগ (তৃণমূল কংগ্রেস), বিপ্লবকুমার মৈত্র (সিপিএম) ও অরূপকান্তি দিগর (বিজেপি)

    ৪. হাওড়া-প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস), রথীন চক্রবর্তী (বিজেপি) ও সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় (সিপিএম)

    ৫. উলুবেড়িয়া-সাজদা আহমেদ (তৃণমূল কংগ্রেস), আজহার মল্লিক (কংগ্রেস), অরুণউদয় পালচৌধুরী (বিজেপি)

    ৬. বনগাঁ-প্রদীপকুমার বিশ্বাস (কংগ্রেস), বিশ্বজিৎ দাস ( তৃণমূল কংগ্রেস) ও শান্তনু ঠাকুর (বিজেপি)

    ৭. বারাকপুর-অর্জুন সিংস (বিজেপি), পার্থ ভৌমিক (তৃণমূল কংগ্রেস) ও দেবদূত ঘোষ (সিপিএম)

    আরও পড়ুনঃ“ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মোট ভোটকেন্দ্র কত?

    এই পর্বের নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সাত কেন্দ্রে ১৩,১৮১টি ভোটকেন্দ্র থাকছে। সাতটি লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ৭৭১১টি স্পর্শকাতর কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে বনগাঁয় ৫৫০টি, ১০৬৯টি বারাকপুরে, ৬০৫টি হাওড়াতে। পঞ্চম দফার ভোটে সোমবার ১০০ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। মোট ৯৩টি মডেল পোলিং স্টেশন থাকছে। সেই সঙ্গে মহিলা পরিচালিত ১৪৬০ ভোটকেন্দ্র থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Mamata Banerjee: “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চমদফা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীকে আক্রমণ করলেন। সাধুদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা, কার্তিক মহারাজ সম্পর্কে বলেন, “তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন।” পাল্টা মহারাজ এই দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে অস্বীকার করেছেন। একই ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মমতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে ‘ইমামদের রাজনীতি’ করার কথা বলে পাল্টা নিশানা করেন।

    ঠিক কী বলেছেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শনিবার আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে সাধুদের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, “কেউ কেউ করেন না। সব সাধু সমান হন না। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি তিনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেবেন না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।” এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আসানসোলে একটি রামকৃষ্ণ মিশন আছে। সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল সেই সময় আমি পুরো সমর্থন করে ছিলাম, ইসকনকেও আমি ৭০০ একর জমি দিয়েছি। কিন্তু দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে বলে বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার জন্য বলো কেন করবেন সাধুসন্তরা এই কাজ? কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই শ্রদ্ধা করেন। তাঁদের কাছে একটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আছে। ওঁদের আমি ভালবাসাতে পারি। কিন্তু ওঁরা ভোট দেয় না কখনও। আমি কেন তাহলে ওদের ভোট দিতে বলব। তবে কেউ কেউ ভায়োলেট করছে, সবাই নয়।”

    পাল্টা বক্তব্য কার্তিক মহারাজের

    ভারতসেবাশ্রম সঙ্ঘের স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ অর্থাৎ কার্তিক মহারাজ, মমতার (Mamata Banerjee), বক্তব্যের অভিযোগকে অস্বীকার করে বলেছেন, “আমি কোনও জায়গায় এই রকম বক্তব্য রাখিনি। আমার পক্ষে বলা অসম্ভব। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের লোক নই। আমি একজন সন্ন্যাসী, তবে হিন্দু ধর্মের উপর যখন আঘাত আসে আমি প্রতিবাদ করি। আমাদের উপর আঘাত আসলে আমাদের অনুগামীরা নানা ভাবে প্রতিবাদ করে থাকেন। তবে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আমাদের ভক্তরা হাইকোর্টে যাবেন, মামলাও দায়ের করবেন।”

    আরও পড়ুনঃ কাকদ্বীপে গায়ের জোরে জমি দখল করে টোটো স্ট্যান্ড! অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতার (Mamata Banerjee) এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, “ইমামেরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা? বিজেপির কোনও মঞ্চে তাঁরা ছিলেন না। তাঁরা বাংলায় সনাতন হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করবেন। বিজেপি নুপুর শর্মাকে সাসপেন্ড করে কিন্তু মমতা হুমায়ুন কবীরের কথা চুপ করে শোনেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Banerjee: কল্যাণের বাড়ির সামনে ‘হায় হায়’ স্লোগান! বিক্ষোভে সামিল মহিলারা

    Kalyan Banerjee: কল্যাণের বাড়ির সামনে ‘হায় হায়’ স্লোগান! বিক্ষোভে সামিল মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার পঞ্চম দফার ভোট রয়েছে শ্রীরামপুরে। তাই শনিবার ছিল শেষ বেলার প্রচার। কিন্তু আচমকাই শনিবার বিকেলে শ্রীরামপুরের (Sreerampur) তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) আবাসনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    শনিবার প্রচার পর্ব শেষ করে নিজের ফ্ল্যাটে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন শ্রীরামপুরের (Sreerampur) বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। ঠিক সেই সময়েই আবাসনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘হায় হায়’ স্লোগান তুলে প্রতিবাদে সামিল একদল মহিলা। 

    কী কারণে এই বিক্ষোভ?

    মহিলাদের অভিযোগ, মহিলাদের সম্পর্কে আপত্তিকর কথাবার্তা বলছেন তৃণমূল প্রার্থী (Kalyan Banerjee)। সেই কারণেই তাঁরা এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে আসেননি তাঁরা। বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, ‘‘তিনি মহিলাদের সম্পর্কে বিভিন্ন রকম কথা বলে যাচ্ছেন। তাঁকে কে এই অধিকার দিয়েছে? মহিলাদের সম্পর্কে তিনি যে মন্তব্যগুলি করছেন, সেটা বন্ধ করা হোক।’’ বিক্ষোভরত মহিলাদের দাবি, তৃণমূল প্রার্থী যেন মহিলাদের কাছে ক্ষমা চান তাঁর মন্তব্যের জন্য। 

    আরও পড়ুন: প্রচারের শেষ বেলায় রচনা আর ধোঁয়া দেখার ‘রিস্ক’ নিলেন না!

    কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য (Kalyan Banerjee) 

    এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বাম-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ উস্কে দিয়েছেন। কল্যাণের বক্তব্য, ‘‘আমার মনে হয়, বিজেপি ও সিপিএম মিলে আমার উপর যে কোনও মুহূর্তে হামলা করতে পারে। সেলিমের সঙ্গে বিজেপির অসম্ভব ভাল সেট। সেলিম এখানে আসার পর থেকে বিভিন্ন রকমের ঘটনা ঘটছে। ওঁর সঙ্গে কবীরশংকর বোসেরও কথা হয়েছে। ওঁরা মিলিতভাবে আমার উপর আক্রমণ করতে পারে।’’ 
    অন্যদিকে আবার এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী কবীরশংকর বোস পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন,‘‘ইন্ডিয়া জোটে কে আছে! তৃণমূল ও সিপিএম। বিজেপিকে ওঁরা ভয় পেয়ে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কাকদ্বীপে গায়ের জোরে জমি দখল করে টোটো স্ট্যান্ড! অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: কাকদ্বীপে গায়ের জোরে জমি দখল করে টোটো স্ট্যান্ড! অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে আবার শাসকদলের দাদাগিরি! আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নিজের জায়গায় পাঁচিল দিতে পারছেন না অভিযোগকারী। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ভোটের মধ্যেই এই আচরণ শাসক দলের। এই আচরণ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই জেলায় জোর করে জমি দখলের ঘটনায় বিজেপি বার বার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। 

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (South 24 Parganas)?

    ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর হাট এলাকায়। উল্লেখ্য অভিযোগকারী চিত্তরঞ্জন হালদার পেশায় ব্যবসায়ী দীর্ঘ দিন ধরে নিজের রায়ত্ব জায়গায় পান, এরপর বরজের বিভিন্ন বাঁশ খুঁটি পাটকাঠি রেখে ব্যবসা করে আসছিলেন। কিন্তু  শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের প্রধানের স্বামী এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীরা হঠাৎ করে জোর করে সেই জায়গার উপরে ঘর বেঁধে টোটো স্ট্যান্ড করে দেয়। এরপর জোড়া ফুলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কাজে বাধা দিতে গেলে চিত্তরঞ্জন হালদার এবং তাঁর পরিবারের মহিলাদের উপরে নানা রকম অত্যাচার করা হয়। ঘটনার সেই ভিডিও দেখে আঁতকে উঠে পরিবার। আর সেই সময়ের ভিডিও ভাইরাল হয় সামজিক মাধ্যমে। সেখানে বিধায়কের নামের স্লোগান দিতে দিতে দখল করা হয় জায়গা। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    দায়ের হয়েছে অভিযোগ (South 24 Parganas)

    এই বিষয়ে হারু পয়েন্ট কোস্টাল থানায় (South 24 Parganas) একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফ থেকে। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত, এমনকি চিত্তরঞ্জন হালদার কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিজের জায়গায় পাঁচিল করার অনুমতি পায়। কিন্তু বর্তমানে কোর্টের নির্দেশে পাঁচিল করতে গেলে আবার শাসক দলের নেতারা জোর করে তাঁদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    শাসকদলের দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ পরিবার। নিজের রায়ত্ব জায়গায় দলিল রেকর্ড, কোটের অর্ডার বর্তমান থাকা সত্ত্বেও কেন ঘর করতে পারছে না, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পরিবার। অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে শাসকদলের তৃণমূলের যুব সভাপতি দেবপ্রসাদ প্রামাণিক বলেন, “এই জায়গাটি বিদ্যুৎ দফতরের জায়গা, চিত্তরঞ্জন হালদার ভুয়া কাগজপত্র করেছেন।” তবে এই বিষয় নিয়ে কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও কিছুই প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    আরও পড়ুনঃ “ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক হলে কিষেনজিও আপনার লোক”, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    বিজপির বক্তব্য

    তবে এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলা বিজেপি কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসন, কোর্ট-আদালত কোনও কিছুই মানে না এই ছবি সর্বত্র রয়েছে। যদি বিদ্যুৎ দফতরের জায়গা হয় তাহলে বিদ্যুৎ দফতর কেন বাধা দিচ্ছে না, কেন পার্টি অফিসের টোটো স্ট্যান্ড করা হচ্ছে  সে প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share