Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: “ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক হলে কিষেনজিও আপনার লোক”, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক হলে কিষেনজিও আপনার লোক”, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চম দফা নির্বাচনের ভোটের প্রচার জমে উঠেছে। শুক্রবার ঝাড়গ্রামে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ছত্রধর মাহাতোর হাত ধরে জঙ্গলমহল চিনেছিলাম।” শনিবার এই কথার পাল্টা জবাব দিয়ে মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি তোপ দেগে বলেন, “ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক হলে কিষেনজিও আপনার লোক।” গত বারের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট প্রচারে জঙ্গলমহলের লালাগড়ে এসে মাওবাদীদের বন্ধু বলেছিলেন মমতা। লোকসভার এই ভোটে একবার ফের শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন লোকসভা ভোটের প্রচারের ময়দান থেকে তৃণমূলনেত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, “তা হলে জ্ঞানেশ্বরী হত্যাকাণ্ডের (ট্রেন দুর্ঘটনা) দায়িত্ব মমতাকে নিতে হবে। তিনশোর বেশি নিরীহ যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছিল। আপনি জঙ্গলমহল চিনতেন না। ২০১১ সাল, ৭ জানুয়ারি, সকাল ১০ টা ১৫। আমি লালগড়ের নেতাইয়ে গিয়ে দেহ কুড়িয়েছিলাম। আপনি কোথায় ছিলেন তখন? পরের দিন এসেছিলেন সাজানো বাগানে ফুল তুলতে। ছত্রধরবাবু ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের। নাম দিয়েছিল জনসাধারণের কমিটির। আপনার দলটা উঠে গিয়েছিল এখানে।” আবার মুখ্যমন্ত্রীর চটিতে সেফটিপিন লাগানোর বিষয় নিয়ে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “সেফটিপিন তো আপনার পায়ে ফুটেছে নন্দীগ্রামে। ১৯৫৬ ভোটে হেরেছেন। সেই সেফটিপিন তো আপনার কোনও দিন বেরোবে না। একই ভাবে প্রণত টুডুর পদত্যাগ আটকে দিতে চেয়েছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু হাইকোর্টের কান মুলে পদত্যাগ গ্রহণ করতে বাধ্য করে দিয়েছিল।”

    আরও পড়ুনঃ সোমবার ভোটের দিন ভিজবে বাংলা! ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস বেশ কিছু জেলায়

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেন, “বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজেকে বড় রাজনৈতিক নেতা ভাবেন। তার ভাবনা একদম ভুল।” আবার লালগড় ব্লক নির্বাচনী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল মহাতো বলেন, “ছত্রধরদা তৃণমূল কোনও দিন ছাড়েননি। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটের সময়ও তৃণমূলের সঙ্গেই ছিল। পাশাপাশি অরাজনৈতিক গণসংগঠন তৈরি করেছিলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: তারিখ ২৩, সময় সকাল ৯টা! দেবকে নিয়ে বোমা ফাটানোর ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু

    Jhargram: তারিখ ২৩, সময় সকাল ৯টা! দেবকে নিয়ে বোমা ফাটানোর ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহেই ফের একবার ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনার ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একেবারে দিনক্ষণ ঘোষণা করে জানালেন ২৩ মে, সকাল ৯টায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দেবকে নিয়ে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন।

    শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি  (Suvendu Adhikari)

    আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে ঘাটালে। আর তার আগে শনিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামে (Jhargram) এক নির্বাচনী প্রচার সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই এদিন তিনি বলেন, “২৩ তারিখ সকালবেলা ঘাটালের প্রার্থীর সম্পর্কে আমি এমন জিনিস ছাড়ব, আর ওদিন ঘর থেকে বেরোবেন না। ২৩ তারিখ সকাল বেলা। ফলো করবেন। ৯টার সময়, এক্স হ্যান্ডেলে। ঘাটালের হিরোকে জিরো করব হিরণকে দিয়ে।” 

    কী প্রতিক্রিয়া দেবের? 

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে ঘাটালের দুবারের সাংসদ দেবকে (Dev) এবারও প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর তাঁর বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী করেছে খড়্গপুরের বিধায়ক তথা বিজেপির তারকা নেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ এবছর ঘাটালে দুই তারকার মুখোমুখি লড়াই হবে। বর্তমানে ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রচারে একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমে ছাড়তে নারাজ। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতায় থাকতে বিনামূল্যে কংগ্রেস কেন রেশন দেয়নি? তোপ প্রহ্লাদ যোশীর

    উল্লেখ্য, ভোটের মুখে একাধিক বিতর্কে নাম জড়াচ্ছে দেবের। তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা গিয়েছে হাইকোর্টে। একটি ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ ঘিরেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের শেয়ার করা সেই ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে যখন ভোটের আগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, ঠিক সেই সময়ই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গলায়। যদিও কী এমন বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি বিরোধী দলনেতা। আর শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারি নিয়েও এখনও পর্যন্ত ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২৩ মে কী এমন তথ্য সামনে আসতে চলেছে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: শান্তনু ঠাকুরের বাইক র‍্যালিতে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shantanu Thakur: শান্তনু ঠাকুরের বাইক র‍্যালিতে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দিনের প্রচার ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদীয়ার কল্যাণী। দলীয় প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) বাইক র‍্যালিতে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি এলাকায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কল্যাণী থানার গয়েশপুর এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantanu Thakur)

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। আজ ছিল প্রচারের শেষ দিনের সময়সীমা। সেই শেষ দিনটিতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল সকাল থেকে প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এদিন কল্যাণীর গয়েশপুর এলাকায় একটি বাইক র‍্যালিতে  মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে বিশাল একটি বাইক মিছিল বের হয়। জানা যায়, শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) বাইক র‍্যালি যখন গয়েশপুরে গিয়ে পৌঁছায় তখন তৃণমূলের তরফে ওই এলাকায় একটি প্রচার কর্মসূচি করছিল। তৃণমূলের তরফ থেকে ওই এলাকায় বিজেপির মাইক কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে বলে। তাই নিয়েই শুরু হয় দু পক্ষের মধ্যে  কথা কাটাকাটি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছায় বিবাদ। খবর পেয়ে কেন্দ্র বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কল্যাণী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দীর্ঘক্ষণ উত্তেজনা চলার পর পুলিশ কোনও রকম ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর বিজেপির বাইক মিছিল সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) বলেন, তৃণমূল হারবে এখানে। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের তলায় আর মাটি নেই। বিশেষ করে গয়েশপুরের তারা বুঝতে পেরেছে বিজেপি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। তাই, এই হামলা চালিয়েছে। তবে, এই হামলার জবাব মানুষ আগামী ২০ তারিখে ভোট বাক্সের মাধ্যমে দেবে। অন্যদিকে, ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী গোসাই কর্মকারের পাল্টা অভিযোগ, আমাদের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে একটি প্রচার কর্মসূচি চলছিল, আমরা সেই কারণে কিছুক্ষণের জন্য বিজেপির কর্মীদের মাইকটা বন্ধ রাখার অনুরোধ করি। তখনই আমাকে ওরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে এবং পরে মারধর শুরু করে দেয়। আমরা হামলা চালাইনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের নারী নির্যাতন! ঘরে ঢুকে স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের নারী নির্যাতন! ঘরে ঢুকে স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের অত্যাচার এবং পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাত জাগা শুরু করেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলা আন্দোলনকারীরা। গত বৃহস্পতিবার রাতেই এক মহিলা আন্দোলনকারীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    জানা যাচ্ছে, ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। কোনও ভাবে নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করে ওই নাবালিকা। তার আওয়াজে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। সঙ্গে-সঙ্গে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক তৃণমূল সমর্থক। নির্যাতিতার পরিবার বিজেপি সমর্থক হওয়ায় তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করেছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার পুলিশ। নির্যাতিতার দিদা বলেন, “ঘরে আমার নাতনি ঘুমোচ্ছিল। ছেলেটা ঘরের পিছন থেকে ঢোকে। তারপর আমার নাতনির শ্লীলতাহানি করে। নাতনি চিৎকার করে বলে, দিদা আমায় বাঁচাও। আমায় মেরে ফেলে দিল। ততক্ষণে ছেলেটা পালিয়ে গিয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে তৃণমূল নেতার ছেলে করছে। তৃণমূলের মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল, আমরা যাইনি। সেই রাগে এই কাজ করেছে বলে মনে করা হয়। আমরা এখন বিজেপি-র সমর্থক।”

    আরও পড়ুন: ফের গরম, কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৮ ডিগ্রি! কবে বৃষ্টি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    অভিযুক্তের বাবার কী বক্তব্য?

    অভিযুক্ত ছেলেটির বাবা বলেন, ঘটনাটি কিছুই জানি না। রাত্রিবেলা এই ঘটনা ঘটে থাকলেও কোনও চিৎকার বা কিছুই হয়নি। তাই জানি না। তাছাড়া আমার ছেলে তো রাতে ঘরেই ছিল। তবে এটা একটা চক্রান্ত চলছে বুঝতেই পারছি। কারণ যারা বিজেপি করে তারা বলেছিল যে আমাদের দল কর। কিন্তু, ছেলে যায়নি বলে ওকে ফাঁসানো হচ্ছে। এসব ঘটনার সঙ্গে আমরা কোনওভাবেই জড়িত নই। ওরা ভোটের আগে এসব করে পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন মিটতেই ফের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালার এলাকা। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা মহম্মদ আজাহারউদ্দিন ওরফে সিজারের বাড়িতে বোমাবাজি করার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, তৃণমূলের ভরতপুর-২ ব্লকের সভাপতির অনুগামীরা ওই বোমাবাজি করেছে। আর ভোট মিটতেই দলীয় নেতার ওপর ব্লক সভাপতির লোকজনের এই বোমাবাজি করার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, আক্রান্ত পুলিশ কর্মী! (Murshidabad)

    সিজার তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুর-২ ব্লক (Murshidabad) প্রাক্তন সভাপতি। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। শনিবার সাত সকালে সালার থানার উজুনিয়া গ্রামে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুর-২ ব্লক প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিনের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী বোমাবাজি শুরু করে। সেই সময় তৃণমূল নেতার বাড়ির লোকজন তালাবন্ধ করে ভিতরেই থেকে যায়। বোমাবাজির খবর পেয়ে সালার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেই সময় বোমার আঘাতে এক পুলিশকর্মী জখম হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শাসকদলের ব্লক সভাপতি অত্যাচারে প্রাণ নাশের আশঙ্কায় আতঙ্কিত প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা আজহারউদ্দিন সিজার। ইতিমধ্যেই তিনি থানায় অভিযোগ জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের গরম, কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৮ ডিগ্রি! কবে বৃষ্টি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    ব্লক সভাপতি আমাকে খুন করার চেষ্টা করছে

    তৃণমূল নেতা সিজার (Murshidabad) বলেন, ভোট মিটতেই পরিকল্পিতভাবেই দলের ব্লক সভাপতি আমাকে খুন করার ছক কষেছে। ও নিজেকে একজন খুনের মামলায় অভিযুক্ত। দুষ্কৃতীদের দিয়ে এসব করেছে। যে ভাবে আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে, তাতে আমাকে খুন করা ব্লক সভাপতির উদ্দেশ্য তা পরিষ্কার। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    অভিযুক্ত ব্লক সভাপতির কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, সিজার সব সময় দুষ্কৃতীদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। গ্রামের কোনও বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। তারপরই এসব বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের সামনেই হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। সবটাই মিথ্যা অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: “পরিবর্তন দরকার, নাহলে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে”, বললেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: “পরিবর্তন দরকার, নাহলে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে”, বললেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে রোড শো করে প্রচারে ঝড় তুললেন বলিউড সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শুক্রবার সন্ধ্যায় বীজপুর বিধানসভার হালিশহরে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে রোড শো করে মিঠুন। সুপারস্টারকে দেখতে রাস্তার দুধারে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। বিশেষ করে মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

    অর্জুনের সমর্থনে রোড শোয়ে মিঠুন (Mithun Chakraborty)

    আগামী সোমবার রাজ্যের অন্যতম নজর কাড়া কেন্দ্র বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নির্বাচন। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে। এই কেন্দ্রে লড়াই হবে মূলত ত্রিমুখী। তবে, বারাকপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এবং তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের মধ্যে। আর এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর প্রচারে বারাকপুরে আসছেন একের পর এক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী থেকে সেলেবরা। শেষ মুহূর্তের প্রচারে শুক্রবার সন্ধ্যায় বারাকপুর কেন্দ্রে নেমেছিল তারাদের মেলা। এদিন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এর জন্য প্রচার করলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন সন্ধ্যায় হালিশহর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। সেই শোভাযাত্রায় প্রার্থী অর্জুন সিং এর সঙ্গে প্রচার চালালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। মনোজ ঘোষ নামে এক বাসিন্দা বলেন, এদিন মহাগুরুকে দেখার জন্য আমি বিকাল থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম। মোবাইলে তাঁর ছবিও তুলেছি। কিন্তু, রাস্তায় এত ভিড় ছিল যে আমি মহাগুরুর সঙ্গে হ্যান্ডসেক করতে পারিনি। এই আফশোস থেকে গেল।

    আরও পড়ুন: ফের গরম, কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৮ ডিগ্রি! কবে বৃষ্টি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    পরিবর্তন দরকার, নাহলে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে, বললেন মিঠুন

    রোড শো শেষে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেন, মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ আর ভিড় দেখছি তাতে আমি আশাবাদী যে এবারও অর্জুন সিং বারাকপুর নিজে দখলে রাখবে। আর পশ্চিম বঙ্গে পরিবর্তন দরকার। নইলে আগামী দিনে এই রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।”  এদিনের বিজেপির এই শোভা যাত্রা হালিশহর থেকে বের হয়ে বলদে ঘাটা পর্যন্ত যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev: চাকরি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত দেবের প্রতিনিধি, টাকা ফেরত পেলেন অভিযোগকারী

    Dev: চাকরি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত দেবের প্রতিনিধি, টাকা ফেরত পেলেন অভিযোগকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দেবের (Dev) প্রতিনিধি রামপদ মান্নাকে আশা কর্মীর চাকরির জন্য ২ লক্ষ দিয়েছিলেন ঘাটালের ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা গঙ্গেশ সাঁতরা। মেয়ে মৌসুমী সাঁতরার চাকরির জন্য তিনটি কিস্তিতে সেই টাকা দিয়েছিলেন। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মী সত্য ঘোষের মাধ্যমে রামপদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল। কিন্তু দেড় বছর হয়ে গেলেও চাকরি পাননি মৌসুমী। তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টেও মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই অভিযোগকারী দাবি করলেন, ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তিনি ফেরত পেয়ে গিয়েছেন।

    ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন অভিযোগকারী

    চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। তা-ও পাননি। এই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন গঙ্গেশ। হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চেও মামলা হয়। ভোটের আবহে এই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয় ঘাটালের রাজনীতি। শোরগোলের মধ্যেই শুক্রবার গঙ্গেশ দাবি করলেন, চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত পেয়েছেন তিনি। ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আমি হাতে পেয়েছি। আমি খুবই খুশি।  বাড়ির সকলেই খুশি।’ কিন্তু টাকা ফেরত দিলেন কে? গঙ্গেশের দাবি, সত্য ঘোষই তাঁর টাকা ফেরত দিয়ে গিয়েছেন। মৌসুমীর স্বামী নির্মল হাজরাও বলেন, “সত্য ঘোষ আমাদের টাকা ফেরত দিয়ে গিয়েছেন। আমাদের আর কোনও অভিযোগ নেই। আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি চলছে।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    দেবের (Dev) প্রতিনিধি কী বললেন?

    গঙ্গেশের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে অবশ্য কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রামপদ। তিনি বলেন, “আমি জানি না কার থেকে কে টাকা নিয়েছিল আর কে কাকে ফেরত দিয়েছে। আমার নাম করে কেউ কিছু করেছে কি না, সেটা জানব কী করে! ওই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: দেগঙ্গায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    Lok Sabha Election 2024: দেগঙ্গায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের হুমকির মুখে পড়লেন বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। শুধু তাই নয় এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। আক্রন্ত বিজেপি কর্মীদের পক্ষ থেকে সামজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও বিনিময় করায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (Lok Sabha Election 2024) দেগঙ্গায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছে (Lok Sabha Election 2024)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার (Lok Sabha Election 2024) ২ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি চন্দনা দাস অভিযোগ করে জানিয়েছেন, “বেড়াচাঁপা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইয়াজপুর দাসপাড়া এলাকায় বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলাম আমরা। এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আকতারুল মোল্লা প্রথমে হুমকি দেন। এরপর তিনি বলেন, এখানে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি। তাই বেরিয়ে যান। এরপর আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্পের কথা প্রচার করতে গেলে আমাদের আটকে দেওয়া হয়। এরপর হার্মাদ বাহিনী আমাদের ঘিরে ধরে মারধর করে। গাড়িতে করা হয় ব্যাপক ভাঙচুর। কোনও ক্রমে আমরা পালিয়ে প্রাণে বাঁচি। ইতিমধ্যে আমরা দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”

    আরও পড়ুনঃ নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দেব! অডিও প্রকাশ করে মারাত্মক অভিযোগ হিরণের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে দেগঙ্গা (Lok Sabha Election 2024) বিধানসভার তৃণমূল নির্বাচনী কমিটির সদস্য তুষার কান্তি দাস বলেন, “এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে একটা প্রচার অভিযান চালানো হয়েছিল ঠিক। কিন্তু প্রচারে এসে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অপপ্রচার করছিলেন। তৃণমূল সরকারের দেওয়া প্রকল্প সম্পর্কে কুৎসা করা হচ্ছিল। এই জন্য তৃণমূলের স্থানীয় সদস্যরা প্রতিবাদ করেছিলেন। তবে মারধর বা হুমকির কোনও রকম ঘটনা ঘটেনি। লোকসভার ভোটে বিজেপি হার বুঝতে পেরেই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: “বড় শিল্প তো আসেই না”- ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারকে বিঁধলেন নির্মলা

    Nirmala Sitharaman: “বড় শিল্প তো আসেই না”- ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারকে বিঁধলেন নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে কলকাতায় দাঁড়িয়ে সরকারকে ব্যর্থতার অভিযোগে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় দাঁড়িয়ে শিল্পায়নের প্রসঙ্গ তুলে পূর্বতন বাম এবং বর্তমান তৃণমূল সরকারকে একাধারে ব্যর্থতার অভিযোগে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 

    সীতারামনের মন্তব্য  (Nirmala Sitharaman)

    এদিন এক সংগঠনের আয়োজিত নাগরিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলকাতায় আসেন নির্মলা। সেখানেই সীতারামনের দাবি করেন, এক সময় বাংলা শিল্পের নিরিখে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির অন্যতম হিসেবে গণ্য হত। কিন্তু গত ৫০ বছরে পরিস্থিতি লাগাতার অবনতির দিকে অগ্রসর হয়েছে। যদিও বর্তমান সরকারকে একটু বেশি দুষলেন নির্মলা। তিনি বলেন, “শিল্পের হাল এখন বামফ্রন্ট জমানার থেকেও অনেক বেশি খারাপ হয়েছে। বড় শিল্প তো আসেই না। বরং যারা ছিল তাদের অনেকে রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছে।” এছাড়াও এদিন  তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, তোলাবাজি এবং গুন্ডাগিরির অভিযোগ তুলে তাঁর মন্তব্য, এই সব কারণেই বড় সংস্থা থাকছে না। শিল্প তৈরির অনুকূল পরিবেশই নেই। 

    সন্দেশখালি ইস্যুতেও আক্রমণ  

    এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির অন্যতম অস্ত্র সন্দেশখালি (Sandeshkhali Issues)। নারী নির্যাতনের অভিযোগ থেকে ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে এই এলাকার নাম। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি ইস্যুতেও আক্রমণ শানান নির্মলা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “সন্দেশখালিতে ভিক্টিম শেমিং করছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও করেছেন। পার্ক স্ট্রিটের সময়।’’

    মূলধন তৈরির নিরিখেও পিছিয়ে রাজ্য 

    মূলধন তৈরির নিরিখেও রাজ্য পিছিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। তাঁর দাবি, এখানে এক সময়ে মূলধন সৃষ্টির হার ছিল ৬.৭%। এখন তা ২.৬%। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির এটি অন্যতম কারণ। 

    আরও পড়ুন: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    কুণাল ঘোষের মন্তব্য

    নির্মলার মন্তব্যের প্রসঙ্গে তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘নির্মলা সীতারামন যে পরিবেশে থাকেন, সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়। এখানে গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ভাবনা প্রতিষ্ঠা করেছেন। শুধু শিল্প লগ্নি হয়নি, তার বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বহু মানুষ যুক্ত হয়েছেন।’’  কুণালের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে মূল্যায়ন করতে করোনার সময় লকডাউন চলাকালীন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে এ রাজ্যের তুলনা করলেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) তা বুঝতে পারতেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: তৃণমূল নেতার মদতেই সক্রিয় মাফিয়ারা, রমরমিয়ে চলছে বালি-পাথর পাচার

    Jalpaiguri: তৃণমূল নেতার মদতেই সক্রিয় মাফিয়ারা, রমরমিয়ে চলছে বালি-পাথর পাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা যেন বালি -পাথর মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ভোট পার হতেই ফের সক্রিয় বালি-পাথর মাফিয়ারা। এই মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এতটাই যে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের মারধর, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর সহ প্রাণে মারার হুমকিও দিচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই বেআইনি কারবার চলছে। ভূ-ততত্ত্ববিদদের আশঙ্কা,  বালি -পাথর উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই যদি লাগাম না টানা হয় তাহলে আগামীদিনে ভয়ংকর বিপর্যয়ের মুখে পড়বে গোটা ডুয়ার্স সহ গোটা জলপাইগুড়ি জেলা।

    মাফিয়াদের হাতে বার বার আক্রান্ত প্রশাসনের কর্মীরা (Jalpaiguri)

    বৃহস্পতিবারও বালি,পাথর বোঝাই ওভারলোডিং ডাম্পারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ধূপগুড়ির (Jalpaiguri)  ভূমি রাজস্ব দফতরের এক রেভিনিউ অফিসার। দিন দুয়েক আগেও অবৈধ বালি  পাচার করা রুখতে গিয়ে ময়নাগুড়ির এক রেভিনিউ আধিকারিককে বালি মাফিয়ারা মারধর ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সব কিছু জেনেও প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, মাল ব্লকের লিস, ঘিষ সহ বিভিন্ন নদী থেকে সারাদিন বালি এবং পাথর উত্তোলন করে চলেছে একদল বালি ও পাথর মাফিয়া। অভিযোগ, মাফিয়ারা পাহাড়ের গা ঘেষে বিভিন্ন মেশিন বসিয়ে পাহাড় কেটে পাথর নিয়ে পাচার করছেন। দিনভর নদীতে বালি উত্তোলন করে রাতে শুরু হয় তার পাচার। রাত বাড়তেই মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি থেকে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তার দখল নেয় বালি ও পাথর বোঝাই ডাম্পার। যে এলাকা থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে প্রকাশ্যেই তা দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন এখানে ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করছেন। প্রতিদিন কয়েকশ গাড়ি বালি এবং পাথর পাচার করছে তারা।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    জেলা তৃণমূল নেতার মদতেই চলছে এই কারবার!

    একটি সূত্রের খবর, শাসক দলের এক জেলা (Jalpaiguri) নেতার সক্রিয় মদতে এই পাচার চলছে। শুধু তাই নয় তাঁর মাথায় রাজ্যের এক মন্ত্রীর হাত আছে বলেও জানা  গিয়েছে। ওই জেলা নেতার বেশ কয়েকটি ডাম্পার, আর্থ মুভারসহ বিভিন্ন রকম খনন করার যন্ত্র রয়েছে। সেইসব যন্ত্রপাতি নদী বক্ষে নামিয়ে দিয়ে খনন করা হয়। যা কিনা পুরোপুরি বেআইনি। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে? কার সাধ্য আছে? মাথায় যে মন্ত্রীর হাত রয়েছে। তাই মালবাজার থানা, ক্রান্তি থানা, ময়নাগুড়ি থানা এলাকা পেড়িয়ে বুক চিতিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে যাচ্ছে গাড়ি গুলি। রাতে পাচারের বড় সুবিধা সেই সময় রাস্তায় শুধু পুলিশ থাকে, ভূমি ও রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা থাকে না। তাই রাতের সময়টাকেই বেছে নেয় পাচারকারীরা।

    পাচারে যুক্ত তৃণমূলের লোকজন, স্বীকার শাসক দলের নেতার

    এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তমাল ঘোষ বলেন, এই পাচারের ব্যবসায় আমাদের দলের লোক সরাসরি জড়িত। দলের এক জেলা কমিটির সদস্যের সক্রিয়তায় এই পাচার চক্র চলে। তিনি এখন বালি পাথরের মাফিয়ায় পরিণত হয়েছেন। যার ফলে দল বিপাকে পড়ছে। অন্যদিকে, এই বিষয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, গোটা পাচার চক্র চলছে তৃণমূলের মদতে। তাই সরকারি আধিকারিকদের গায়ে হাত তোলার সাহস পায় মাফিয়ারা। আর পুলিশ তাদের দেখতেই পায়না। তাই পাচারকারীরাও বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share