Tag: tmc

tmc

  • Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মধ্যে বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক। এবার দ্বিতীয় দফা ভোটের আগেই হামিদুল রহমানকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সম্প্রতি এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধী ভোটারদের উদ্দেশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এবার তাঁকে শোকজ করল কমিশন।

    ঠিক কী বলেছিলেন (Election Commission)?

    সম্প্রতি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। চোপড়া (Chopra) ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ের সভায় বক্তব্যের মাঝে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হামিদুল রহমান (Hamidul Rahaman) বলেছিলেন, “যে বিরোধী ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না তাঁদের মনে রাখতে হবে ২৬ এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। এলাকার বাহিনীর সঙ্গেই তখন থাকতে হবে। তখন কিছু হলে তাঁরা যেন বলতে না আসেন। তাই মূল্যবান ভোটগুলি নষ্ট করবেন না।” এই বক্তব্যের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ করেছে কমিশন (Election Commission)। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে চোপড়ার বিধায়ককে জবাব দিহি করতে বলেছে কমিশন। যদিও এ ব্যাপারে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এই বক্ত্যবের তীব্র নিন্দা করেছিল বিজেপি। চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুণ সিংহ পাল্টা সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) হামিদুল রহমানের এই বক্তব্যের পরেই কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “নিশ্চিত পরাজয় বুঝে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা হুমকি দিতে শুরু করেছেন। পঞ্চাতের মত ভোটলুঠ এবার আমরা করতে দেব না।”

    আরও পড়ুনঃ প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অন্যতম উত্তেজনার কেন্দ্র ছিল চোপড়া। সিপিএম ও কংগ্রেস মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তাদের উপর গুলি চালানো ও বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও হয়। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহতও হয়েছিল। এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেনি। একপ্রকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Election Commission) জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার লোকসভা ভোটে আর তৃণমূলকে (TMC) এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বালুরঘাট লোকসভায় ভোট। তার দুদিন আগেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক চলছে। বুধবার তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল প্রায় শতাধিক পরিবার। এদিন বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজেপিতে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এছাড়াও যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন (Sukanta Majumdar)

    এদিন মূলত তপন ব্লক একাধিক পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে। এই ব্লকের ৭০টি পরিবার যোগ দেয়। অন্যদিকে, বালুরঘাট শহরের একাধিক নতুন ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেছে। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় ৪০ জন নতুন ভোটার বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অন্যান্য দলের সমর্থক ছিলেন। এদিন লোকসভা নির্বাচনের শেষ প্রচার। প্রচারের শেষ দিন কুশমন্ডি ও হরিরামপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় হুড খোলা গাড়িতে নির্বাচনের শেষ প্রচার করলেন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রচার সেরে তিনি গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। বিজেপিতে যোগদান করার পর এক যোগদানকারী বলেন,আমরা ১০ নম্বর মালঞ্চা গ্রামপঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। কারণ, তৃণমূলে থাকাকালীন শুধু দুর্নীতি দেখেছি। তাই, দুর্নীতি মুক্ত করতে আজ বিজেপিতে আসলাম।

    আরও পড়ুন: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রচারের শেষদিন। তাই, জেলার কুশমন্ডি, হরিরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করলাম। সাধারণ মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছি। এদিনও সকাল থেকে দিনভর বিভিন্ন এলাকায় চুটিয়ে প্রচার করলাম। আর বহুদিন ধরেই তৃণমূল ছেড়ে বহু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করছে। প্রচারের শেষদিনেও যোগদান পর্ব লেগেই রয়েছে। যোগদানকারীরা বুঝেছে যে রাজ্য বাঁচাতে হলে বিজেপি দরকার তাই আজ তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    SSC Recruitment Scam: “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে গিয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মনের। চাকরি বাতিল হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, চাকরি হারানোর পর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি এই দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

     চাকরি বাতিল হয়েছে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতির (SSC Recruitment Scam)

    দলীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-২৩ সাল পর্যন্ত তৃণমূল পরিচালিত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন কবিতা বর্মন। তাঁর স্বামী প্রফুল্ল বর্মন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এবং হেমতাবাদের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদে ছিলেন। সেই সময় তিনি স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। কবিতা বর্মনের বিরুদ্ধে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জানা গিয়েছে, তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের বালিজোল উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আদালতের রায়ে তাঁর চাকরি চলে যায়। তবে, দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়েছে তা অকপটে স্বীকার করেন কবিতা দেবী।

    আরও পড়ুন: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে

    জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন, “হাইকোর্টের অর্ডার তো এখন মানতেই হবে। দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়েছে। তবে, আমার বিরুদ্ধে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সাদা খাতা জমা দিয়ে তো কারও চাকরি হয় না। গোটা প্যানেলটাই বাতিল হয়েছে, সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।” পাশাপাশি এই দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলেন,  “এরজন্য আমরা দায়ী নই। রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। যা করেছে রাজ্য সরকার। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev: বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেবের মুখে

    Dev: বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেবের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্রে মোদি, অমিত শাহ জনসভা করে ঝড় তুলে দিয়েছেন। মিঠুনের রোডশোয়ে জনজোয়ার প্রমাণ করে দিয়েছে সুকান্ত মজুমদারের ওপর বালুরঘাটবাসীর কতা আস্থা রয়েছে। এই আবহের মধ্যে এবার তৃণমূল প্রার্থীর বিপ্লব মিত্রের হয়ে জনসভা করতে এসে সুকান্তর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দেব (Dev)। ভোটের মুখে দেবের এই প্রশংসায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    সুকান্তর প্রশংসায় দেব (Dev)

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডিতে নির্বাচনী জনসভায় এসে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের প্রশংসা করলেন অভিনেতা তথা বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev)। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথা শোনা গেল দেবের মুখে। তিনি বলেন, “আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে বিজেপিতে। তাদের মধ্যে অন্যতম সুকান্তদা। আমার প্রিয় মানুষ সুকান্তদাকে শুভেচ্ছা। ভোটে হারা-জেতা রয়েছে।” দেবের মুখে সুকান্তর এই প্রশংসার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    আরও পড়ুন: স্ত্রীর কান্না দেখে চোখে জল “সন্দেশখালিরের বাঘের”, আদালতে অন্য শাহজাহানকে দেখলেন সকলে

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন

    এবারও বালুরঘাট থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন সুকান্ত। তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন বিপ্লব মিত্র। সেই বিপ্লবের সমর্থনেই এদিন বালুরঘাটে প্রচারে এসেছিলেন দেব। তাঁর মুখে সুকান্তর প্রশংসা শোনা যেতেই দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলছেন, এটা আমাদের কালচার। অপরপক্ষ যতই অভদ্রতা করুক তৃণমূলের এটি কালচার। এটাই তৃণমূল। এই শিক্ষাই আমরা পেয়েছি।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেবের (Dev) মতো সুপারস্টারও বলে সুকান্তদা আমার ভাল বন্ধু। এটাই সুকান্ত মজুমদার। দেব বলে আগে সুকান্তদাকে নিয়ে বলব তারপর বিপ্লবদাকে নিয়ে বলব।” প্রসঙ্গত, দেব এবারও তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন ঘাটাল থেকে। সেখানেও তুলছেন প্রচারে ঝড়। তবে তৃণমূলের তারকা প্রচারকদের তালিকায় বরাবরই সামনের সারিতে রয়েছেন তিনি। অন্যান্য প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে ঘুরছেন রাজ্যের নানা প্রান্তে। বুধবার গঙ্গারামপুরে রোড শো করবেন দেব। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, ওই রোড শোয়ে আখেরে দেব আমার জন্যই করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: দাবি মতো নির্বাচন খরচের টাকা না দেওয়ায় রিসর্টে তালা ঝোলালো তৃণমূল! শোরগোল

    Jalpaiguri: দাবি মতো নির্বাচন খরচের টাকা না দেওয়ায় রিসর্টে তালা ঝোলালো তৃণমূল! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি পার্ক এবং রিসর্টে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রীতিমতো তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে দলবল নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার নাগারাকাটা ব্লকের আপার কলাবাড়ি এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছ়ড়িয়ে পড়েছে।

    নির্বাচনের খরচের জন্য তোলা চায় তৃণমূল! (Jalpaiguri)

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) নাগরাকাটার তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রেম ছেত্রী লোকসভা ভোটের জন্য রিসর্টের মালিক শেখ জিয়াউর রহমানের কাছে টাকা দাবি করেন। শুধু তিনি একাই নন ওই এলাকার অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। ব্লক সভাপতিকে ১০ হাজার এবং অঞ্চল সভাপতিকে ৭ হাজার টাকাও রিসর্টের মালিক দেন। কিন্তু, ওই পরিমান টাকা নিতে তাঁরা অস্বীকার করেন। পাশাপাশি তাঁকে ফোনে হুমকি দেন, ভোট পার হওয়ার পরই ওই রিসর্ট  বন্ধ করে দেবেন। ভোট শেষ হওয়ার পরই তৃণমূল নেতারা এসে রিসর্ট বন্ধ করে দেয় বলে রিসর্টের মালিকের অভিযোগ। রিসর্টের মালিক শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং নাগরাকাটা ব্লক সভাপতি নির্বাচনের খরচের জন্য আমার কাছে টাকা দাবি করেন। আমি সাধ্যমতো টাকা দিই। কিন্তু, সেই  চাঁদার টাকা মন মতো না হওয়ায় পার্ক এবং রিসর্টে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যান তৃণমূল নেতারা। সেই মতো রিসর্টে এসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অনেক পর্যটক বেড়াতে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হন।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রেম ছেত্রীর বক্তব্য, টাকা নেওয়ার কোন বিষয় নেই। সেই রিসর্টে অনেক অনৈতিক কাজ হচ্ছিল। তাই গ্রামবাসীরা সম্মিলিতভাবে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা কেউ কেউ নিতে পারেন সেটা বড় কথা নয়। কম বয়সী মেয়েদের আনাগোনা বাড়ছিল রিসর্টে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এই বিষয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ জানান, এটাই তৃণমূলের দস্তুর। তোলাবাজি এবং কাটমানি তৃণমূলকে দিতেই হবে নাহলে কেউ সুষ্ঠু ভাবে বাঁচতে পারবে না। আর এই সব কিছুই কালীঘাট থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পুলিশের কাছে গিয়ে কোনও লাভ হবে না। আর তৃণমূলের তরফে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, এখানে অবৈধ কাজ কর্ম হত, তাহলে টাকা কেন চাইলেন তৃণমূল নেতারা, কেন পুলিশের কাছে গেলেন না তৃণমূল নেতারা? এখান থেকেই পরিষ্কার যে তৃণমূলকে টাকা দিলে সব বৈধ হয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “বাংলায় ৩০টি আসনে বিজেপি জয়ী হলে উত্তরবঙ্গে এইমস হবে”, ঘোষণা করলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “বাংলায় ৩০টি আসনে বিজেপি জয়ী হলে উত্তরবঙ্গে এইমস হবে”, ঘোষণা করলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রায়গঞ্জে এইমস হাসপাতাল তৈরি করাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাধা দিয়েছিলেন। এইমস তিনি কলকাতায় নিয়ে গিয়েছেন। আমি কথা দিচ্ছি, ৩০ টি আসনে বিজেপি জিতলে উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা এইমস তৈরি করা হবে।” রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের সমর্থনে জনসভা করতে এসে উত্তরবঙ্গে ‘এইমস’ তৈরির আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের রসাখোয়া এলাকায় জনসভায় যোগদেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “মোদিজির গ্যারান্টি, ৩০টি আসন জিতিয়ে দিন, আমরা উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা এইমস বানানোর কাজ শুরু করব।”

    জাতীয় সড়ক তৈরিতে বাধা দিচ্ছেন মমতা, সরব শাহ (Amit Shah)

    এদিন সভামঞ্চ থেকে এইমস-এর পাশাপাশি রায়গঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বারসই-রায়গঞ্জ সড়ক যোগাযোগের বিষয়েও সরব হন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “পার্শ্ববর্তী বিহার রাজ্যের সঙ্গেও সড়ক যোগাযোগ সুগম করার ব্যাপারে মমতাদি বাধা দিচ্ছে। বিহার সরকার এনওসি দিয়ে দিয়েছে। আমি নিজে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু, মমতাদির সরকার এই ব্যাপারে এনওসি দেয় নি।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে ৩০ থেকে ৩৫ টা আসনে জিতলে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে।”  তিনি বলেন, “২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্য থেকে ১৮ টা আসনে মানুষ আমাদের জিতিয়েছিল। তার ফলে গত ৫০০ বছর ধরে তাঁবুতে থাকা রামকে আমরা থাকার জন্য রামমন্দির তৈরি করতে পেরেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস বিরোধিতা করেও তা আটকাতে পারে নি। এবার নির্বাচনে এই রাজ্যে ৩০ থেকে ৩৫ টা আসনে আপনারা আমাদের জেতান।”

    আরও পড়ুন: “বাংলায় দুর্নীতির শাসন চলছে, চাকরি দিতে ঘুষ নিচ্ছে সরকার,” তোপ দাগলেন অমিত শাহ

    কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকা সাধারণ মানুষ পাননি

    অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য প্রচুর প্রকল্প বরাদ্দ করলেও তৃণমূল সরকার তা নিচুতলায় আসতে দিচ্ছে না। এই সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছালে মানুষের জাগরণ হবে। এই রাজ্যে ৩০’ র বেশি আসনে জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের এই অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারবে না। ইউপিএ সরকারের ১০ বছরে কেন্দ্র এই রাজ্যকে ২ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলো। বিজেপি সরকার গত ১০ বছরে এই রাজ্যকে ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু, সাধারণ মানুষের কাছে এই টাকা পৌঁছায়নি। উলটে তৃনমূল কংগ্রেসের নেতাদের জীবনযাপনের মান বেড়েছে।”

    ১০ বছর ধরে গরিবদের জন্য কাজ করেছেন মোদি

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “নরেন্দ্র মোদি দেশের গরিবদের জন্য গত ১০ বছর ধরে কাজ করে গিয়েছেন। ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিয়েছেন মোদি। ১২ কোটির বেশি শৌচালয়, ৪ কোটির বেশি মানুষকে ঘর, ১০ কোটি মানুষকে উজ্জ্বলার গ্যাস, ১৪ কোটি মানুষকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মোদি।” প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে ভোট রয়েছে দ্বিতীয় দফায়। ২৬ এপ্রিল হবে ভোটগ্রহণ। এ বার এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে কার্তিক পালকে। ২০১৯ সালে এই আসনে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। পরে তাঁকে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীও করা হয়েছিল। তবে এ বার বিজেপি দেবশ্রীকে আর এই আসন থেকে টিকিট দেয়নি। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ভোটের তিনদিন আগেই পাহাড়ে শিবির বদল! রাজুকে সমর্থনের বার্তা বিনয় তামাংয়ের

    Darjeeling: ভোটের তিনদিন আগেই পাহাড়ে শিবির বদল! রাজুকে সমর্থনের বার্তা বিনয় তামাংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ২৬ এপ্রিল দার্জিলিং-এ (Darjeeling) ভোটগ্রহণ। তার আগে বিজেপিকে (BJP) সমর্থন জানালেন পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং (Binay Tamang)। শেষ পাঁচ মাস তিনি কংগ্রেস দলের সদস্য ছিলেন। এরই মাঝে কংগ্রেস (Congress) দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক চুকিয়ে দিলেন বিনয়। ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে তিনি জানালেন দার্জিলিং কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে (Raju Bista) তিনি সমর্থন করবেন।

    কী বললেন বিনয় তামাং?

    একটি ভিডিও বার্তা জারি করে বিনয় তামাং বলেছেন, “এখন দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়। এই প্রেক্ষিতে আমি সমর্থন করছি বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে। পাহাড়ের মানুষের কাছে বলব আপনারাও তাঁকে সমর্থন করুন। যা পরিস্থিতি তাতে দিল্লিতে আবার নরেন্দ্র মোদির সরকার আসবে। এ কথা নিশ্চিত দুবছর পর রাজ্য ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। তাই সব দিক বিবেচনা করে রাজু বিস্তাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা অনেকদিন আগেই খন্ড খন্ড হয়ে গেছে। সোমবার রাতে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিনয়। সমর্থকরা তাঁকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ্রহ জানান। এরপরই বিনয় জানান, “আমি রাজু বিস্তাকে সমর্থন করবো। সংগঠনের নেতারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল তৃণমূল ছাড়া যাকে খুশি সমর্থন করা যেতে পারে।”

    টিকিট না পেয়ে কি কংগ্রেস ত্যাগ?

    প্রসঙ্গত পাহাড়ে আন্দোলন চলাকালীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সদস্য ছিলেন বিনায় তামাং। তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তৎকালীন সুপ্রিমো বিমল গুরুং-এর অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন। পাহাড় থেকে বিমলের পলায়ন পর্বের পর উত্থান হয় বিনয় তামাং-এর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে হন জিটিএ প্রধান। তবে তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি তাঁর। মাস পাঁচেক আগে অধীর চৌধুরীর হাত থেকে পতাকা নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। অবশেষে কংগ্রেসের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হল তাঁর। অন্যদিকে বিনয় কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল তাঁকে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে পারে। কিন্তু তা হয়নি। হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ডের ঘনিষ্ঠ তথা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মুনীশ তামাংকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। মুনীশকে প্রার্থী করার পরেই ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন বিনয়। শেষ পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে বিজেপিকে সমর্থন করলেন।

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালিকাণ্ডে ফের বসিরহাট এসপি অফিসে সিবিআই হানা

    রাজু বিস্তারের জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়ল

    কংগ্রেস সূত্রের খবর পাহাড় এবং সমতলের পরিচিত মুখ বিনয়কে প্রার্থী চেয়ে দিল্লিতে প্রস্তাব পাঠান হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিস্থিতিতে বদল আসে। হামরো পার্টির অজয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা ভিপি সিং, পবন খেরা এবং গোলাম আহমেদ মীর। মুনীশ গোর্খা পরিসংঘের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার পরেই অজয় ইন্ডিয়া জোটের শরিক হয়ে যান। এই পরিস্থিতিতে বিনয় শিবির তখনই কংগ্রেসের থেকে নিজেদের দূরত্ব বৃদ্ধি করতে শুরু করেছিল। এমনিতেই প্রত্যেকবার পাহাড়ে কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। বিনয় তামাং কংগ্রেস থেকে সরে আসায় কংগ্রেসের ভোট নোটার তুলনায় কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমদিকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ধাক্কা কাটিয়ে রাজু বিস্তা পাহাড়ের রাজনীতির বেশ কয়েকটি মুখকে সঙ্গী করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন বিনয় শিবির রাজু বিস্তারের সমর্থন করায় রাজুর জয়ের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “বাংলায় দুর্নীতির শাসন চলছে, চাকরি দিতে ঘুষ নিচ্ছে সরকার,” তোপ দাগলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “বাংলায় দুর্নীতির শাসন চলছে, চাকরি দিতে ঘুষ নিচ্ছে সরকার,” তোপ দাগলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় দুর্নীতির শাসন চলছে। চাকরি দিতে ঘুষ নিচ্ছে সরকার।” মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের করণদিঘিতে সভা করে এভাবে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “হাইকোর্ট চাকরি বাতিল করেছে সোমবার। ওঁদের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। কাটমানি, চাকরি নিয়ে দুর্নীতি বাংলায় আটকানো প্রয়োজন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা হয় বাংলায়, এর কারণ তৃণমূল কংগ্রেস।”

    সন্দেশখালির অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে পারে মোদি (Amit Shah)

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “মা, মাটি, মানুষের স্লোগান দিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল। আর ক্ষমতায় এসে সন্দেশখালিতে মাকে অপমান করেছে। আর বাংলার মাটি অনুপ্রবেশকারীদের হাতে মমতা দিদি তুলে দিয়েছে। আর বাংলার মানুষকে অত্যাচার, বঞ্চনা করেই চলেছে তৃণমূল সরকার।” এরপর কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর যে অবিচার হয়েছে তাদের শাস্তি পাওয়া প্রয়োজন নয় কি? তৃণমূল থাকলে অভিযুক্তরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে না। অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে পারে একমাত্র মোদি। আর সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আর মমতা দিদি অনুপ্রবেশকারীদের এই বাংলায় জায়গা করে দিচ্ছে। অনুপ্রবেশ আটকাতে পারবেন না মমতা। বাংলাকে হিংসা থেকে মুক্ত করতে হলে নরেন্দ্র মোদিকে দরকার। তৃণমূলের নেতাদের ঘর দেখুন, যাঁরা ঝুপড়িতে থাকতেন, তাঁরা এখন চার তলায় থাকেন। বড় বড় গাড়িতে ঘোরেন। এই টাকা আপনাদের। বাংলাকে যদি হিংসা থেকে মুক্ত করতে হয়, অনুপ্রবেশ রুখতে হয়, শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে হয়, তবে একমাত্র রাস্তা হল নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বানানো।”

    আরও পড়ুন: “রড, লাঠি ও টাঙি নিয়ে ব্যাপক হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মালদায় অমিত শাহ রোড শোয়ে জনজোয়ার

    গত লোকসভা নির্বাচনে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে খুব কম ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। আর এবার ফের ওই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হয়েছেন শ্রীরূপা। তাঁর প্রচারে রাজ্যে এসেছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রার্থীকে পাশে বসিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রোড শো করেন শাহ। বিপুল সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়ে সেই রোড শো-তে। দলীয় কর্মী-সমর্থদের উদ্দেশে শাহ বলেছেন, “ইংরেজবাজার থেকে দেড় লক্ষেরও বেশি লিড দিতে হবে।”ভোট ঘোষণার পর রাজ্যে এক বারই এসেছেন শাহ। লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে প্রায়ই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কেউ না কেউ আসছেন। লোকসভা ভোট ঘোষণার পর রাজ্যে তিন দিন এসে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোট ঘোষণার আগেও এসেছেন তিনি। অনুরাগ ঠাকুর থেকে রাজনাথ সিং- কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা একাধিক সভা করছেন বাংলায়। তবে, ভোট ঘোষণার পর শাহ এক বারই রাজ্যে এসেছিলেন। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সভা করে গিয়েছেন তিনি। এবার দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে প্রচারে এসে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    Shahjahan Sheikh: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিকবার সমন পাঠিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। তার পরেও বারংবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) ভাই সিরাজউদ্দিন শেখ। ঘটনার পঞ্চান্ন দিন পরে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত শাহজাহানকে। এবার সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল ইডি।

    বিদেশে পালাতে পারে সিরাজউদ্দিন (Shahjahan Sheikh)

    তদন্ত এড়াতে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করতে পারে সিরাজউদ্দিন। সে যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে ইডি। সিরাজউদ্দিনের ছবি ও তার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও পাঠানো হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) আর এক ভাই আলমগিরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (গ্রেফতার হতেই দায় ঝেড়ে ফেলতে সাসপেন্ড করা হয় শাহজাহানকে) দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও দিদারবক্স মোল্লাকে।

    সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, মহিলা নির্যাতন, জমি জবরদখল, স্থানীয়দের ওপর জুলুমবাজির যেসব অভিযোগ সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানায় দায়ের হয়েছিল আঠারো থেকে চব্বিশ সালের মধ্যে, সেই অভিযোগগুলিতে নাম রয়েছে শাহজাহান-সহ অন্যদের। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এলাকাবাসীর অভিযোগ নেওয়ার জন্য যে পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল, সেখানে সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অন্তত ১০০টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এতে যেমন ছিল জমি দখলের অভিযোগ, তেমন ছিল অকারণে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও।

    আরও পড়ুুন: ফের ‘কেরালা স্টোরি’র গল্প! বিহার, কর্নাটকে ‘লাভ জিহাদে’র ফাঁদে হিন্দু তরুণীরা

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ সর্দার পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ‘এক আদিবাসী মহিলার ৩৩ শতক চাষের জমি দখল করে মার্কেট তৈরি করেছে সিরাজউদ্দিন। টাকার জন্য সিরাজউদ্দিনের দোরে ঘুরেও ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। গাড়ি করে বসিরহাটে তুলে নিয়ে গিয়ে জমি লিখিয়ে নিয়েছে, ভয়ে কারও কাছে মুখ খুলতে পারিনি।’ ইডি সূত্রে খবর, এসব মামলার তদন্ত সূত্রেই সিরাজউদ্দিনকে তলব করেছিল ইডি।

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান মায় সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। অভিযোগের আঙুল ওঠে শাহজাহান অনুগামীদের দিকে। তার পর থেকেই নিত্য খবরের শিরোনামে রয়েছে শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) অ্যান্ড কোং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bankura: “রড, লাঠি ও টাঙি নিয়ে ব্যাপক হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    Bankura: “রড, লাঠি ও টাঙি নিয়ে ব্যাপক হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে তৃণমূলের ফতোয়ার বিরোধিতা করায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের শিবডাঙা গ্রামে। সোনামুখী থানার ওই গ্রামে দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের হামলায় এক শিশু সহ সাতজন জখম হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বাঁকুডার (Bankura) সোনামুখী থানার শিবডাঙা গ্রামে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে দেওয়াল লিখনের প্রস্তুতি নেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। গ্রামের একাধিক দেওয়ালে চুনের প্রলেপ লাগানো হয়। অভিযোগ, সোমবার রাতে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ফতোয়া দেয় গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে কোনও দেওয়াল লিখন করা চলবে না। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, তৃণমূলের ফতোয়ার  প্রতিবাদ জানালে তৃণমূল কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে রড, লাঠি ও টাঙি নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে। অভিযোগ, পরিবারের মহিলা ও শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। পরে, আহত অবস্থায় ৭ জন বিজেপি কর্মীকে স্থানীয় সোনামুখী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এক বিজেপি কর্মীর আঘাত গুরুতর থাকায় রাতেই তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: “আমি যে যোগ্য কেউ তা বিশ্বাস করবে না”, চাকরি হারিয়ে আক্ষেপ চন্দননগরের কার্তিক ধারার

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, বিষ্ণুপুর লোকসভায় নিজেদের হার নিশ্চিত জেনে এখন তৃণমূল কর্মীরা মরিয়া হয়ে এই হামলা চালাচ্ছে। সন্ত্রাস করে ওরা বাজিমাত করতে চাইছে। এসব করে কোনও লাভ হবে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি কর্মীরাই তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে। যে সমস্ত এলাকায় পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছে না, সেই জায়গায় লড়াই লাগিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন বিজেপি কর্মীরা। কেউ আহত হয়ে থাকলে তা বিজেপির কোন্দলের জের। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share