Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: “চা শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর, হল যোগদানপর্ব

    Suvendu Adhikari: “চা শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর, হল যোগদানপর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তরবঙ্গ থেকেই আওয়াজ উঠেছে কেন্দ্রে আরও একবার মোদি সরকার।” বুধবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে এসে এই কথাই বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন সভায় মানুষের ভিড় এবং উচ্ছ্বাস দেখে বেশ আল্পুত তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। শুধু তাই নয় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই মালবাজারেই ফাঁকা মাঠে সভা করেন। কিন্তু, বিজেপির সভায় প্রচুর মানুষ এসেছেন। এখানেই পরিষ্কার আগামী ১৯ তারিখের ভোটে মানুষ কোথায় ভোট দেবেন।

    চা শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল সরকার (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, চা-বলয়ের প্রচুর কাজ করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু, রাজ্যে তৃণমূল সরকার চা-শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে। সম্প্রতি কিছু চা-শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই টাকা কেন্দ্র সরকারের লেবার ওয়েলফেয়ার ফান্ডের টাকা। কেন্দ্র সরকারের দেওয়া ২৫০ কোটি টাকা থেকে কিছু টাকা তুলে চা-শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগে চা-শ্রমিকদের পি এফ নিয়ে তৃণমূল যে ধরনা, মিটিং করছে সেটা শুধু মাত্র নিজেদের ফায়দার জন্য। বাগান মালিকরা ওই টাকা তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। দু’বছর আগে যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় ৮জন নদীতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল, তখন রাতে মুখ্যমন্ত্রী আসেন নি। কারণ, তখন ভোট ছিল  না। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সেই রাতেই আসা শুধুমাত্র ভোটের জন্য।

    তৃণমূলের দাপুটে নেতা সহ অনেকেই যোগ দিলেন বিজেপিতে

    ভোটের মুখে ফের তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাল বিজেপি। এদিন সভা শুরুতেই একটা যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চা-বলয়ের দাপুটে নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলাপরিষদের মেন্টর অমরনাথ ঝা, কুমারগ্রামের লুইস কুজুর সহ অন্য কিছু নেতা যোগদান করেন। এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। সভায় হাজির ছিলেন সন্দেশখালির বেশ কিছু মহিলা।

    আরও পড়ুন: দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ, বোমাবাজি, ঝলসে গেল এক নাবালকের পা

    কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প তুলে ধরেন শুভেন্দু

    এই ভোটে সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে উচিৎ শিক্ষা দেবেন বলেও বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) দাবি করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি গত ৭ তারিখের ধূপগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সেই সভায় মানুষের যা ঢ্ল নেমেছে তাতে চিত্র পরিষ্কার হয়ে গেছে জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী জিতছেন। কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার এক কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ মানুষকে উজ্বলা গ্যাস দিয়েছে, কয়েক কোটি কিষান সম্মাননিধি দিয়েছে। সেই সঙ্গে কোভিডের সময় প্রত্যেকে মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন এর ব্যবস্থা করেছে। সেই সঙ্গে আরও ৫৫ টি গরিব দেশকে বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন দিয়েছেন। তাই ভারতবর্ষ এখন বিশ্বের দরবারে একটা উজ্জ্বল নাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ, বোমাবাজি, ঝলসে গেল এক নাবালকের পা

    Murshidabad: দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ, বোমাবাজি, ঝলসে গেল এক নাবালকের পা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে দলেরই একাধিক বিধায়ক, কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। ভরতপুরের বিধায়ক তো প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এই আবহের মধ্যে এবার ইউসুফ পাঠানের নামে দেওয়াল লিখনকে ঘিরে তুমুল গন্ডগোল বাঁধল। বিধায়ক বনাম দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের মধ্যে গন্ডগোল প্রকাশ্যে চলে এল। চলল বেপরোয়া বোমাবাজি। আহত এক নাবালক-সহ মোট ৬ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরের আন্দুলবেড়িয়ায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের গোষ্ঠীর সঙ্গে রেজিনগরের বিধায়ক তথা বহরমপুর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের অনুগামীদের বিবাদ অনেক পুরানো। মাঝে মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হত। কিন্তু, নির্বাচনের প্রাক্কালে বিষয়টি আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে আন্দুলবেড়িয়া এলাকায় দেওয়াল লিখতে গিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা রবিউল আলম গোষ্ঠীর অনুগামীরা। সে সময়ে আবার ওই এলাকায় ছিলেন ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সভাপতির অনুগামীরা। দেওয়াল লিখনের সময়েই রবিউল আলমের গোষ্ঠীর লোকেদের ওপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বাড়ির সামনেই ছিল বছর দশেকের এক নাবালক। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে ঝলসে যায় তার পা। বোমাবাজির মধ্যে পড়ে আহত হন আরও পাঁচ জন। ক’দিন আগেই মুর্শিদাবাদে বোমা ফেটে এক ব্যক্তির হাত উড়ে গিয়েছে। এলাকায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যেই এই ধরনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুন: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহ-র

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    বিধায়ক রবিউল আলম বলেন, এটা দুজনের পারিবারিক বিষয়, দেওয়াল লিখন না। তৃণমূলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠী তথা দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল

    Loksabha Election 2024: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে তৃণমূলকে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি (Loksabha Election 2024)। দশম দফার প্রার্থিতালিকায় ঘোষণা করা হল বাংলার এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। আসানসোলে পদ্ম প্রতীকে লড়বেন প্রবীণ বিজেপি নেতা সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী চিত্র তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা। আর আলুওয়ালিয়া ‘ভূমিপুত্র’।

    আসানসোলের ‘ভূমিপুত্র’ (sabha Election 2024)

    পদ্ম-প্রার্থীর জন্ম আসানসোলে। পড়াশোনা সেন্ট জোসেফ স্কুলে। বাবার চাকরির সূত্রে অসমে চলে গেলেও, আসানসোলের সঙ্গে বন্ধন ছিন্ন হয়নি তাঁর। কলেজের পাট চুকিয়ে আলুওয়ালিয়া আইন পড়তে শুরু করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিয়ে করেন অবিভক্ত বর্ধমানের মেয়েকে। সেই অর্থে তিনি বাংলার জামাই। পদ্ম চিহ্নে এই প্রথম নয়, আগেও লড়েছেন পাঞ্জাবি আলুওয়ালিয়া (Loksabha Election 2024)। দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে জিতে পা রাখেন সংসদে। পরে জয়ী হন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকেও। এবার লড়ছেন আসানসোল কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্রে শত্রুঘ্নকে মাত দিতে বিজেপি প্রথমে প্রার্থী করেছিল ভোজপুরি শিল্পী পবন সিংকে। পরে কিস্তি মাত দিতে তাঁকে সরিয়ে ঘোষণা করা হয় আলুওয়ালিয়ার নাম।

    রাজনীতির আঙিনায় মৌ-লোভীর দল!

    ২০১৪ সালে আসানসোল কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করে সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে। পদ্মের টিকিটে হইহই করে জিতে যান রাজনীতির আঙিনায় সদ্য পা রাখা বাবুল। মোদি ম্যাজিকে ভর করে উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও জয়ী হন বাবুল। পরে মন্ত্রিত্ব খোয়া যাওয়ায় পদ্ম-মালঞ্চ ছেড়ে মধুর খোঁজে বাবুল গিয়ে বসেন ঘাসফুলে। বাবুল সাংসদ পদে ইস্তফা দিতেই অবাঙালি অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তাঁর নিজস্ব ক্যারিশ্মার জেরেই আসানসোলের কালো হিরের খনিতে ফোটে ঘাসফুল। সেই শত্রুঘ্নকেই ফের প্রার্থী করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    আরও পড়ুুন: “ভূপতিনগরের অভিযুক্তদের সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে”, হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলার জামাই। নাম ঘোষণা হয়েছে শুনে তিনি বলেন, “প্রার্থিতালিকা দেখেই জানলাম। বৃহস্পতিবারই আসানসোলে যাচ্ছি।” পক্ষকালের মধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে আলুওয়ালিয়াকে। আজ পর্যন্ত হারেননি নির্বাচনে। এবারও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, আলুওয়ালিয়া জিতলে বিজেপি মোক্ষম জবাব দিতে পারবে এক ‘গুণীজন’কে। মধুর লোভে যিনি পা রেখেছেন রাজনীতির আঙিনায়। পদ্মকানন ছেড়ে যিনি আশ্রয় নিয়েছেন ‘দুর্নীতি’র পাঁকে বেড়ে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা ঘাসফুলের জঙ্গলে (Loksabha Election 2024)।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহের

    Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে বিভ্রান্ত করছেন। বলছেন সিএএ-তে আবেদন জানালেই নাগরিকত্ব হারাবেন আপনি। তিনি সকলকে ভুল বোঝাচ্ছেন।” বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বংশিহারিতে সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে জনসভায় যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এই মন্তব্য করেন। তিনি তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করেন।

    সিএএ নিয়ে মমতাকে তোপ (Amit Shah)

    এদিন সিএএ ইস্যুতে মমতাকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । তিনি বলেন, “আমি বলছি, বাংলার শরণার্থীরা নির্ভয়ে আবেদন করুন। বাংলার শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র। মমতা সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বরং, আবেদন করলে শরনার্থীরা এদেশের নাগরিক হয়ে যাবেন। এই দেশের নাগরিকের যা অধিকার, সেই অধিকার আপনিও পেয়ে যাবেন। আর সেটা নিয়ে মমতা রাজনীতি করছে। আর এসব চলবে না। আসলে অনুপ্রবেশকারীরাই মমতার ভোটব্যাঙ্ক। তুষ্টিকরণ করা এই তৃণমূল দল কিচ্ছু করতে পারবে না। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প আটকে রেখেছেন মমতা। উন্নয়ন করতে পারে একমাত্র বিজেপি।” এরপর তিনি বলেন, “হাতজোড় করে বাংলার জনতাকে বলতে চাই, মমতা দিদি বাংলার লোকেদের বোকা বানাচ্ছেন। আমি বলতে চাই, ভয় না পেয়ে যত শরণার্থী এসেছেন, তাঁরা যেন নাগরিকত্বের আবেদন করেন। কারও নাম বাদ যাবে না।”

    আরও পড়ুন: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    ৩০ আসন পেলেই বন্ধ হবে অনুপ্রবেশ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, বিজেপি অসমে অনুপ্রবেশ খতম করেছে। বাংলায় লোকসভা ভোটে ৩০ আসন পেলে এখানে সীমান্ত টপকে কোনও ‘পরিন্দা’ও ঢুকতে পারবে না। ২০১৪-য় দু’টি আসন দিয়েছিলেন, ২০১৯-এ দিলেন ১৮টি আসন। ২০২৪ সালে ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করতে হবে। যাতে বিজেপির ৩৭০ আসন নিশ্চিত হয়। কী ভাবে ভোট দেবেন, বলে দিলেন তিনি। তিনি বলেন, “স্নান করে, শিবের পুজো করে ১৯ তারিখে পদ্ম প্রতীকে বোতাম টিপতে হবে। মমতা দিদিকে জবাব দিতে হবে। বাংলায় ৩০ আসন পার করবে বিজেপি। সোনার বাংলা দুর্নীতিতে ভরে গেছে। বাংলায় কাটমানি সংস্কৃতি। অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। বাংলায় কাটমানি করতে দেওয়া হবে না, গরু পাচার করতে দেওয়া হবে না। বাংলায় বিজেপি সরকার গড়তে হবে। বাংলা থেকে তৃণমূলের অপশাসন ঘটান।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “ডিসেম্বরেই ভেঙে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস”, ভোট প্রচারে বললেন অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “ডিসেম্বরেই ভেঙে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস”, ভোট প্রচারে বললেন অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার সভা থেকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, “তৃণমূল (TMC) এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভেঙে যাবে।” এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের জয়ী করুন। তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস নিজে থেকেই ভেঙে যাবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের মেয়াদ আমি দেখছি না।” বিজেপির তমলুকের প্রার্থীর এই বক্তব্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)।

    ঠিক কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Ganguly)?

    তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎবাবু (Abhijit Ganguly) বলেন, “প্রসঙ্গত তৃণমূল ভেঙে যাওয়ার যে ডেডলাইন, তা হল হল সম্ভাব্য ডেডলাইন। আর যদি কোনও কারণে সময় অতিক্রম করে যায় তাহলে আগামী বিধানসভার নির্বাচনের আগেই এই তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে। তবে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত না মিললেও দেড় বছর পর ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন ভোটের কথাও বলে রাখলাম। এই তৃণমূল দুর্বৃত্তদের আর একদিনও ক্ষমতায় রাখা যাবে না। ওরা পশ্চিমবঙ্গকে শেষ করে দিচ্ছে।”

    এনআইএ-র ওপর হামলা কাণ্ডে ফের তদন্তকারী আধিকারিক বদল, কে দায়িত্ব পেলেন?

    শুভেন্দুও বলেছিলেন

    ২০২২ সালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও শোনা গিয়েছিল ডিসেম্বরের তত্ত্ব। সে বছর বেশ কয়েকটি তারিখের উপর জোর দিয়েছিলেন তিনিও। ওই বছরের ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বরের উপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। পরে শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেছিলেন, “ডেড লাইনের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের ব্যাখ্যা। তিনি কোনও ডেডলাইন দেননি। এই দিনগুলি রাজনীতি ও সরকারি প্রশাসনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল।” এখন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশেই বিজেপির বিরাট আসনের ব্যবধানে সরকার গড়তে চলেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। অপরে তৃণমূল বিরাট দুর্নীতির কারণে অত্যন্ত বেক ফুটে রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপর এখন সবটা নির্ভর করছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে। ফলে অভিজিৎবাবুর (Abhijit Ganguly) বক্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    Suvendu Adhikari: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই লোকসভা নির্বাচনে যেটা হচ্ছে সেটা ট্রেলার। বিধানসভা নির্বাচনেই হবে মূল সিনেমা।” মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে বিজেপির বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একথা বলেন। পাশাপাশি আগামীদিনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে বিশেষ ভাতার কথা ঘোষণা করেন তিনি।

    “সংগ্রামী ভাতার” প্রতিশ্রুতি দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    লোকসভা ভোটের আবহের মধ্যেই ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) । বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ‘সংগ্রামী ভাতা’ দেওয়ার আশ্বাস দিলেন শুভেন্দু। সংগ্রামী ভাতার আওতায় কত টাকা করে সাম্মানিক দেওয়া হবে, সে কথাও জানিয়ে দিলেন তিনি। কারা পাবেন এই সংগ্রামী ভাতা? সে কথাও এদিনের সভা থেকে স্পষ্ট করে দেন শুভেন্দু অধিকারী। যাঁরা ‘মিথ্যা মামলায়’ জেলে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ বলে বুথকর্মীদের সভায় বার্তা বিরোধী দলনেতার। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বললেন, ‘যতজনকে জেল খাটিয়েছে, বিজেপি সরকার যেদিন রাজ্যে আসবে, তাঁদের সবাইকে সংগ্রামী ভাতা দেব আমরা। যত জনকে জেল খাটিয়েছে, প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেব।’ একইসঙ্গে পুলিশের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন, ‘যে তদন্তকারী অফিসাররা মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে এদের গ্রেফতার করেছেন, তাঁদের নাম লেখা থাকল।’ শুভেন্দুর বক্তব্য, এটা কোনও হুঁশিয়ারি নয়, এটা সতর্কবার্তা।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর প্রথম রামনবমী, কতটা প্রস্তুত অযোধ্যা?

    মামলার হুমকি দিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে টানার চেষ্টা!

    এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা(Suvendu Adhikari) । তিনি বলেন, এসপি, ওসিদের বলব কমিশনের আওতায় কাজ করছেন। সাবধান হয়ে যান। নিরপেক্ষ হওয়ার চেষ্টা করুন। তিনি আরও বলেন, জোর করে পুলিশকে দিয়ে বিজেপির আন্দোলন ভাঙতে চাইছে তৃণমূল। মামলার হুমকি দিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে টানার চেষ্টা চলছে। তবুও, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিজেপি তৃণমূলের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: কে কোন দল করে বলার জন্য বা়ড়ি বাড়ি গিয়ে চাপ তৃণমূলের, কমিশনে যাবে অর্জুন

    Arjun Singh: কে কোন দল করে বলার জন্য বা়ড়ি বাড়ি গিয়ে চাপ তৃণমূলের, কমিশনে যাবে অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম। কে কোন দল করে বলার জন্য বা়ড়ি বাড়ি গিয়ে চাপ দিচ্ছে তৃণমূল। অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) গড় ভাটপাড়ায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তৃণমূল এই কাজ শুরু করতে চলেছে। রীতিমতো ফর্মে লেখা রয়েছে, একাধিক রাজনৈতিক দলের নাম। আর কেউ মতামত না জানতে চাইলে ইভিএমে নোটার মতো ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। তাদের মূলত ফ্লোটিং ভোটার হিসেবে তৃণমূল চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তৃণমূলের এই সমীক্ষা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ভোটের মুখে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বারাকপুর লোকসভায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ১৯ তারিখের মধ্যে সমীক্ষা শেষ করার নির্দেশ

    অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) খাসতালুক ভাটপাড়া। বামফ্রন্টের জমানাতেও অর্জুন গড় টলাতে পারেনি সিপিএম। ভাটপাড়াবাসী  দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন অর্জুন সিংকে। ২০০১ সাল থেকে বিধায়ক। বর্তমানে তার ছেলে বিজেপির বিধায়ক। গত লোকসভায় শেষ মুহূর্তে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন অর্জুন। বারাকপুর লোকসভায় সাতটি বিধানসভার মধ্যে ভাটপাড়ায় প্রায় ৩০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সেখানে ভাটপাড়ায় অর্জুনের ক্যারিশ্মা অটুট ছিল। প্রায় ১৩ হাজার ভোটে অর্জুন পুত্র পবন জয়ী হয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবে ভাটপাড়ায় অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। তাই, এবার অর্জুনের সেই গড়ে থাবা বাসাতে তৃণমূল এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাপ দিয়ে ভোটারদের কাছে থেকে কে কী দল করে তা জানতে চাইছে। ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে তারা তাকে ভোট দেন, তৃণমূল, বিজেপি না সিপিএমকে। ১৯ তারিখের মধ্যে সেই সমীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    বাড়ি বাড়ি গিয়ে কী করছে তৃণমূল?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার লিস্টের মতো সেখানে ভোটারের নাম এবং তাঁর বাবার নাম রয়েছে। এরপর সেই ব্যক্তি কোন ধর্মের সঙ্গে যুক্ত, মুসলিম, মতুয়া, জেনারেল, এসসি এবং এসটি। এরপর তৃণমূল, সিপিএম এবং বিজেপি-র নাম উল্লেখ রয়েছে। আর কেউ বলতে না চাইলে চিহ্নিত করা গেল না বলে উল্লেখ রয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই ফর্মে নির্দিষ্ট জায়গায় ফিলআপ করার জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু করা হচ্ছে। ভাটপাড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, আমরা এই কাজ শুরু করতে চলেছি। ভাল সাড়া মিলছে। তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, শুধু ভাটপাড়া নয়, সাত বিধানসভায় আমরা এভাবে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করব।

    কমিশনে যাবে বিজেপি

    বিজেপি অর্জুন সিং বলেন, ভাটপাড়ার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাঁরা কখনও আমাকে ফেরাইনি। আসলে ভাটপাড়ার মানুষের সঙ্গে সব সময় আমি থাকি। ওরা সেটা জানে। তবে, এভাবে কে কোন দল করে তা জানা যায় না। এটা তৃণমূল জোর করে এসব করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব। আর এটুকু বলতে পারি, তৃণমূল যাই করুক না কেন কিছু করতে পারবে না। আমি এবার ভাটপাড়া থেকে ৪০ হাজার ভোটে জয়ী হব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diamond Harbour: ডায়মন্ড হারবারে বিসর্জনে রাম গান বাজানোয় দুষ্কৃতীদের হামলা! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    Diamond Harbour: ডায়মন্ড হারবারে বিসর্জনে রাম গান বাজানোয় দুষ্কৃতীদের হামলা! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) রক্ষাকালী পুজোর বিসর্জনের সময় রাম নামের গান বাজানোয় হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা। রাজ্যে রাম নবমীর আগে এই ধরনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মমতা সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছে বিজেপি। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    বিজেপির অভিযোগ (Diamond Harbour)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই ডায়মন্ড হারবারের সরিষার (Diamond Harbour) কলাগাছিয়া এলাকায় গ্রামের বাসিন্দাদের তরফে রক্ষাকালী পুজোর আয়োজন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেই কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের (Kali Idol Immersion ) সময় দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে আক্রমণ করে। কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় এক যুবক গেরুয়া জামা পরেছিলেন। বাজানো হচ্ছিল শ্রীরামকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গান (Ram Song)। সেই সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এরপর পুড়িয়ে দেওয়া হয় গেরুয়া গেঞ্জি। নিরঞ্জনে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষকে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করে পাল্টা ১১ জন বিজেপি (BJP) কর্মীকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

    এই ঘটনায় নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্য বিজেপি (BJP) পোস করে বলা হয়েছে, “পুলিশ ঘটনাস্থলে (Diamond Harbour) এলেও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে পুলিশ বিজেপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এগুলি পরিকল্পিত হামলার ছক। ভোটের কথা মাথায় রেখেই এগুলি করা হয়েছে।” উল্লেখ্য গতবারও রামনবমীর (ram navami) আগে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ অভিযুক্তদের না ধরে বেছে বেছে বিজেপি সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। নির্বাচনে যাতে ভাইপো (abhisekh banerjee) জেতেন তার জন্যই পরিকল্পনা করে এই সব করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৭ এপ্রিল রামনবমী। সেদিনও রাজ্যে অশান্তির ছবি ধরা পড়বে বলে মনে করছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (amit malviya)। সেই সময় যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (election commission) কাছে বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev at Alipurduar: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    Dev at Alipurduar: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কদিন বাদেই লোকসভা ভোট (lok sabha vote 2024), শেষ মুহূর্তে কোমর বেঁধে প্রচার চালাচ্ছেন সব দলের প্রার্থীরাই। তবে এই শাসক-বিরোধী দলের ভোটের লড়াইয়ে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর। তৃণমূল প্রার্থী দেব প্রচারে আসবেন তাই সরকারি স্কুল ছুটি! এই রাজ্যের সরকারি স্কুল এখন রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। কয়েকদিন আগে বীরভূমের এক স্কুলেই হয়েছে তৃণমূল মন্ত্রীর রাজনৈতিক সভা। এদিন ফের স্কুলে রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কমিশনে নালিশের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে (Dev at Alipurduar)।

    নিরাপত্তা অজুহাতে স্কুল ছুটি (Dev at Alipurduar)!

    সোমবার আলিপুরদুয়ারে (Aliporeduar) ভোট প্রচারে আসেন এবারের লোকসভা ভোটের ঘাটাল কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। আর দেব আসবে বলেই নিরাপত্তা অজুহাতে ছুটি দেওয়া হল স্কুল। অন্তত নোটিশে তাই উল্লেখ করেছে আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলের নোটিশে (school notice) স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সব ক্লাস চতুর্থ পিরিয়ডের পরে ছুটি হয়ে যাবে, কারণ সাংসদ শ্রী দীপক অধিকারী (Dev at Alipurduar) সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ আকাশ পথে হেলিকপ্টারে বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করবেন। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    বিদ্যালয়ে ছুটি দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রসঙ্গে জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্চ অমিত কুমার দত্ত বলেছেন, “স্কুলের মাঠে হেলিপ্যাড হয়েছে, মাইক বাজছে। ক্লাস করাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না। যেহেতু আমাদের এখানে ব্যবস্থা হয়েছে, পরিস্থিতির সাপেক্ষে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।” এবার আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনায় আবারও বন্ধ হল পঠন-পাঠন। তবে দেব (Dev at Alipurduar) আসবে বলে নিরাপত্তা রক্ষার্থে স্কুল ছুটি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। ভোটের (election) জন্য বা ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে কেন বারবার পঠনপাঠনে বাধা হচ্ছে সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে স্কুলের শিক্ষক মুখে কিছু না বললেও তাঁর উপর যে চাপ রয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বিজেপি। বিজেপির আলিপুরদুয়ারের (Dev at Alipurduar) প্রার্থী মনোজ টিগ্গা এই এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের নেতারা শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন না। তাই শিশুদের পড়াশুনা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। তাঁরা ভোটের জন্য যা খুশি করতে পারেন। তবে আমরা এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবো।”

    আরও পড়ুনঃ শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি উৎসব, জানুন এই মহাব্রতের তাৎপর্য

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এদিকে জেলার (Dev at Alipurduar) তৃণমূলের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুলে কে হেলিপ্যাড তৈরি করেছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখবো।” আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যসভার সদস্য আরও বলেন, “এই কেন্দ্রে বিজপির হার যে নিশ্চিত তা বুঝে গিয়েছেন তাঁরা। সে জন্যই বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন তাঁরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি পুলিশ ক্যাম্পে হামলা, আক্রান্ত পুলিশ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি পুলিশ ক্যাম্পে হামলা, আক্রান্ত পুলিশ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল সন্দেশখালির নাম। এবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শীতুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পে। ক্যাম্পের ভিতরে থাকা কনস্টেবল সন্দীপ সাহার ওপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তবে, কী কারণে এই হামলা তা পরিষ্কার নয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এনিয়ে ঝামলো হয়। এবার সেই তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১টা নাগাদ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূল দুষ্কৃতী। এরপর ক্যাম্পের ভিতরে থাকা কনস্টেবল সন্দীপ সাহার ওপরে হামলা চালায় তারা। লাঠি, রড দিয়ে ওই পুলিশকর্মীকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশ ক্যাম্প ছেড়ে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অন্য পুলিশকর্মীরা সন্দীপ সাহাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত পুলিশ কর্মীর অবস্থা গুরুতর। তিনি আইসিইউ-তে ভর্তি। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। যার ফলে অস্ত্রোপচার করা হবে। জানা গিয়েছে, ঘটনার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে। যদিও পরিবারের লোকজনের দাবি, হামলার ঘটনায় তারা কেউ জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    এমনিতেই সন্ধে নামতে জনবিরল হয়ে যায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শীতুলিয়ার মতো এলাকা। সোমবার রাতেও সেখানে জনমানুষ ছিল না। স্থানীয়রা বাসিন্দারা বলেন, গভীর রাতে পুলিশ ক্যাম্প থেকে চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুনতে পাই আমরা। কিন্তু, আমরা ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বের হইনি। সকালে পুলিশকর্মীর আহত হওয়ার ঘটনার বিষয়টি আমরা জানতে পারি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share