Tag: tmc

tmc

  • Murshidabad: “দলটা করতে দেবে না ব্লক সভাপতি”, বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: “দলটা করতে দেবে না ব্লক সভাপতি”, বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ব্লক সভাপতির নেতৃত্বের হামলার ঘটনা ঘটেছে। দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার বদুয়া এলাকায় গ্রাম্য বিবাদের জেরে অশান্তি বাধে। বিষয়টি জানার পরই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ এলাকায় আসেন। পরে, বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার তৃণমূল নেতা কামাল হোসনের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা হয়। কামাল হোসেন বলেন, গ্রামের গন্ডগোলে পরিবারের কেউ জড়িত নয়। তারপরও ওরা আমাদের ওপর হামলা চালাল। বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। শনিবার সকালে আমার এক আত্মীয় বাজারে গেলে প্রকাশ্যে তাঁকে মারধর করা হয়। ও গুরুতর জখম হয়েছে। প্রথমে কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসলে ব্লক সভাপতি আমাদের তৃণমূল দলটা করতে দেবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত করে এসব করা হচ্ছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। জেলা সভাপতিকেও বলেছি। এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। এতে এলাকায় দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    ব্লক সভাপতি কী সাফাই দিলেন?

    বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর চক্রের সভাপতি গোলাম মুর্শেদ বলেন, গ্রাম্য বিবাদের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে অন্য কোনও কারণ নেই। আর ও তৃণমূলের কোনও পদে নেই। কংগ্রেসের সঙ্গে কে রয়েছে তা এলাকার মানুষ জানে। অকারণে আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে কোনও লাভ নেই। আর দলে কোনও কোন্দল নেই। সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুরে সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandopadhyay) । আর অভিষেক এলাকা ছাড়তেই সন্ধ্যা বেলায় তৃণমূলে বড় ভাঙ্গন ধরাল বিজেপি (BJP)। উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ির (Dhupguri) অন্তর্গত মাগুরমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইশচালা গ্রামে তৃণমূলের (TMC) শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। যারা যোগদান করেছেন তাদের মধ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান বুথ সভাপতিও রয়েছেন। 

    অভিষেক চলে যেতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান (BJP)

    লোকসভা ভোটের মুখে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছে বিজেপি (bjp)। কারণ, শাসকদলের ঘরে সিঁধ কেটে তারা নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ধুপগুড়ির দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা শেষ করে এলাকা ছাড়তেই তৃণমূলের কর্মীরা ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখালেন। শুক্রবার রাতে বিজেপির ঘরোয়া বৈঠকে তারা পুরনো দল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে নেন। বিজেপির ওই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন জলপাইগুড়ির বিদায়ী সংসদ তথা এবারেরও বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায়। তাঁর হাত ধরেই কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা আর করা যায় না। দুর্নীতিগ্রস্তরা সামনের সারিতে রয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়?

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ জানান, “তৃণমূল থেকে চলে আসা নেতাদের সঙ্গে তাঁদের অনুগামী প্রায় দেড়শো পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে আগামী শুক্রবার। একেবারে প্রথম দফাতেই ভোট জলপাইগুড়িতে। হাতে বাকি আর এক সপ্তাহেরও কম। ঠিক সেই সময়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান লোকসভা ভোটের ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার। তবে এই যোগদানের প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক শিবিরের থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ১০০ দিনের গরিবের টাকাও খেল শাসক দল! তৃণমূল নেতাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    South 24 Parganas: ১০০ দিনের গরিবের টাকাও খেল শাসক দল! তৃণমূল নেতাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতাধিক গরিব মানুষের ১০০ দিনের টাকা মেরে খাওয়ার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ অভিযোগ উঠল। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের এই ক্ষোভ সামনে চলে আসায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভার কুলপি ব্লকে চরম বিপাকে শাসক দল। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    লোকসভার ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন সব দল। মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারকে হাতিয়ার করে অক্সিজেন পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এই অবস্থায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভার কুলপি ব্লকের করঞ্জলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে ১০০ দিনের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করল করঞ্জলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। খাল কাটা থেকে শুরু করে শ্মশানের ঘাস কাটার কাজ করেছিলেন এলাকার মহিলা ও পুরুষেরা। প্রাক্তন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা অঞ্চল সভাপতি স্বপন  মাঝির নেতৃত্বে কাজ করেছিলেন এই এলাকার গরিব মানুষেরা। সেই টাকা তুলে খাওয়ার অভিযোগ উঠল করঞ্জলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, “আমরা কাজ করার পরও টাকা পেলাম না। অথচ যারা কাজ করেনি, তাদের কাছে সেই টাকা চলে গেল। খাতায় কলমে দেখানো হল, টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।”এরপরই তৃণমূল নেতা স্বপন মাঝিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলা থেকে সাধারণ মানুষ সকলে।

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল নেতা স্বপন মাঝি বলেন, আসলে টাকা সকলে পাননি, এটা ঠিক। সেই কারণে এলাকার মানুষ এসেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সামনে বৈঠক বসে সমাধান করব। বিজেপি নেতা অরুনাভ দাস বলেন, দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল বাঁচতে পারে না। গরিবের টাকও মেরে খাচ্ছে। মানুষ এবার নিজের দাবি আদায়ে পথে নেমেছেন। তৃণমূল যত দিন থাকবে, মানুষ ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবেন। সামনের নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengaluru Cafe Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ!  কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    Bengaluru Cafe Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bengaluru Cafe Blast) জড়িত ২ আইএস জঙ্গি ২৮ দিন ধরে আস্তানা গেড়েছিল এ রাজ্যেই। এমনটাই জানা গিয়েছে এনআইএ সূত্রে। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য থেকে জঙ্গিদের খোঁজ মেলায় তৃণমূল সরকারকে  তুলোধনা করেছে বিজেপি। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো জঙ্গিরা নাকি দুই দিন, বাংলার অতিথি য়ে এসেছিলেন। প্রশ্ন একটাই অতিথি-ই বটে! বাংলা এখন জঙ্গিদের ঘোরার জায়গা। তাদের মুক্তাঞ্চল। এই প্রথম নয়। এর আগেও, একাধিকবার বাংলা থেকে ধরা পড়েছে বহু জঙ্গি। তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলা যেন জঙ্গিদের সেফ-আস্তানা হয়ে উঠেছে বাংলা।

    জঙ্গিদের সেফ হেভেন

    বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডের (Bengaluru Cafe Blast)  মূল ২ অভিযুক্ত আস্তানা গেড়েছিল কলকাতাতেই। ২ জনকে দিঘা থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মূল চক্রীদের বাংলা থেকে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর তার কারণ সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বাংলায় ২৮ দিন ধরে ছিল! এই শহরের বুকে একের পর একে হোটেলে আত্মগোপন করে ছিল! নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতায় একের পর এক হোটেলে আস্তানা বদলেছে তারা। পুলিশ-গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গিরা সোজা পাড়ি দিয়েছে বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের উইক এন্ড ডেস্টিনেশন দিঘা। ভোটের আগে এই জঙ্গিরা ধরা পড়ায় ফের প্রশ্ন উঠেছে, বাংলা কি সন্ত্রাসবাসীদের ‘সেফ হেভেন’? জঙ্গিদের ‘স্লিপার সেল’গুলির আস্তানা? কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    কবে, কোথায় কারা ধরা পড়েছে 

    কখনও লস্কর-ই-তৈবা তো কখনও আইএস। বাংলায় কেন সক্রিয় জঙ্গি কার্যকলাপ? এরাজ্যকে কি নিরাপদ মনে করছে তারা? অতীতেও, বাংলা থেকে ধরা পড়েছে একাধিক জঙ্গি। ২০০৭ সালে বেঙ্গালুরু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় নাশকাত হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর সদস্য ধৃত ফৈয়াজ স্বীকার করে, সে দীর্ঘদিন কলকাতায় ছিল। লালবাজারের কাছেই বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি ঠিকানায় পাসপোর্টও বানিয়েছিল সে। পুণের জার্মান বেকারি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম)-এর প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ইয়াসিন ভটকল শুধু লুকিয়েই থাকেনি, কলকাতা থেকে বিস্ফোরকও নিয়ে গিয়েছিল। লস্কর-ই-তৈবার বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ আবদুল করিম টুন্ডাকে এ রাজ্য থেকেই ২০১৩-তে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ কাণ্ডে জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’ (জেএমবি)-র সদস্য কওসর ওরফে বোমা মিজান, হাবিবুর এবং জেএমবির চিফ সালাউদ্দিন সালে এ রাজ্যে দীর্ঘদিন থেকে সংগঠন তৈরির পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরিও করছিল। ২০২১ সালে কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তিন জেএমবি নেতা ধরা পড়ে। আল কায়দার উপমহাদেশীয় শীর্ষ নেতা আবু তালহা বহু দিন কোচবিহারে লুকিয়ে ছিল। সেখানে ভোটার কার্ড-সহ অন্য পরিচয়পত্রও বানিয়ে নিয়েছিল সে। ২০১৭-য় বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদেরও এ রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে আশ্রয় নেওয়া মুফাক্কির নামে এক বাংলাদেশি জঙ্গিকে ২০২৩-এ গ্রেফতার করে এনআইএ। ২০২১ সালে নিউটাউনে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায় পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত জসসি।

    শুভেন্দুর দাবি

    পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক অপরাধীর মুক্তাঞ্চল, এটা আগেও প্রমাণিত। পঞ্জাব পুলিশ চপারে করে এখানে এসে পাঞ্জাবের দুষ্কৃতীদের এনকাউন্টার করেছে। মুজিবর রহমান খুনের দু’জন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত খুনির একজন হাওড়ায় হোমিওপ্যাথ ডাক্তার হিসেবে ছিল। পরে পার্ক সার্কাস থেকে মাজেদকেও ধরা হয়। পার্ক সার্কাস মানে শহরের প্রাণকেন্দ্র। মমতা নিজে দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দিল্লিতে জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যে ঘটনা ঘটেছিল, তার মূল অভিযুক্ত ফিরোজ৷ যে আমাকে হলদিয়ায় পাথর ছোড়ায় অভিযুক্ত, তার বাড়ি তমলুকের একটি গ্রামে। লাল্টু শেখ, আবদুল মান্নান ফেক আই কার্ড তৈরি করত। তারা গত বছর সোনারপুর থেকে গ্রেফতার হয়।”

    দিলীপের অভিমত

    বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, “জঙ্গিরা এখানে গা-ঢাকা মোটেই দেয়নি, ওরা জানে এখানে কেউ গায়ে হাত দেবে না। শেখ শাহজাহান তো দু’মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পুলিশ কি জানত না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানতেন শাহজাহান কোথায় আছে। কেন ধরেননি? ওরাই এই ধরনের লোককে আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করছে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর। আজ পর্যন্ত যত জঙ্গি সব এখানেই ধরা পড়েছে। কারণটা হল কোন ভয় নেই। এছাড়া এখান থেকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড করে তারা বাংলাদেশ থেকে আসছে। এখানে এসে ট্রেনিং নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটাচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    দিলীপের সংযোজন, “হুজি থেকে শুরু করে করে আল-কায়দা, আইএস জঙ্গিরা, ভিনরাজ্যের গ্যাংস্টাররা এখানে ধরা পড়েছে। মাসের পর মাস ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর যখন উপর থেকে ডান্ডা দিয়েছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’ঘণ্টার মধ্যে জঙ্গিদের ধরে ফেললেন। অথচ তারা দু’মাস ধরে ঘুরছিল। তখন কী করছিলেন। এটা কি মামার বাড়ি পেয়েছে। জঙ্গিরা ঘুরে বেড়াবে আর আপনি তাদের খাওয়াবেন, পুষবেন, সুরক্ষা দেবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    Mamata Banerjee: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে খাতা খুলতে জেলায় জেলায় জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জনজোয়ার দেখাতে ছোট ছোট মাঠে জনসভা করা হচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এনে সেই ছোট মাঠ ভরাচ্ছেন। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু, মাঠ ভরা দেখেও স্বস্তিতে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঠ ভরলেই ভোট জয় নিশ্চিত তা মনে করছেন না তিনি। তাঁর সভায় যারা আসছেন, সবাই যে তৃণমূলকে ভোট দেবেন না তা মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন। শনিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া জাবরকভিটা জুনিয়র হাইস্কুল মাঠে জলপাইগুড়ি আসনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রকাশ্য সভায় নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

     ঠিক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? (Mamata Banerjee)

    এদিন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় একটি ছোট মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্বাচনী জনসভা ছিল। সেখানে বক্তৃতা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে আমি এখানে গৌতম দেবের হয়ে জনসভা করতে এসেছিলাম। বড় মাঠ ভরে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম গৌতম জিতবে। কিন্তু, পরে দেখলাম বড় ব্যবধানে ভোটে গৌতম হেরেছে।” মাঠ ভরলেই যে তৃণমূলে জয় নিশ্চিত নয়, নিজের এই আশঙ্কা এভাবেই এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি উত্তেজিত হয়ে প্রশ্নের সুরে বলেন, “বিজেপি কী দিয়েছে? সবই তো আমি দিয়েছি। কেন আপনারা বিজেপিকে ভোট দেন?”

    আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    কী বলছে বিজেপি?

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথা শুনতে আর লোক পছন্দ করছে না। কেননা সকলেই জেনে গিয়েছেন উনি মিথ্যা কথা বলেন। মিথ্যাবাদী ও চোরদের কথা আর মানুষ শুনতে চাইছেন না। সে কারণেই তাঁর জনসভায় সাধারণ মানুষ হয় না। লোক দেখাতে ছোট ছোট মাঠে জনসভা করা হচ্ছে। আইসিডএস কর্মী, আশা কর্মী এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিয়ে সেই ছোট মাঠ ভরিয়ে দেখানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জনজোয়ার। সেটা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। আর সে কারণেই তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন মাঠ ভরলেই তৃণমূল জিতবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মূক-বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে

    Hooghly: মূক-বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। মূক-বধির যুবতীকে ভূল বুঝিয়ে বাড়ি থেকে বের করে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হুগলিতে (Hooghly)। জানা গেছে ২৫ বছরের ওই যুবতীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি তারই প্রতিবেশী। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার (Arrest) করেছে বলাগড় (Balagarh) থানার পুলিশ। তবে, অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কর্মী বলে জানা গেছে।

    অপরাধের ঘটনায় রাজনীতির রঙ (Hooghly)

    বলাগড় (Hooghly) বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক শেখ মইনুদ্দিনের অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তিনি বলেন, আমরা চাই নির্যাতিতা সুবিচার পাক। শাসকদলে থাকায় অপরাধ করে যেন ছাড় না পায়। যদিও পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। বলাগড় তৃণমূল ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ধর্ষণের ঘটনা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। আইনের কাজ আইন মেনেই হবে। সব ব্যাপারে তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়া বিজেপির কাজ।

    ঠিক কী হয়েছিল? 

    নির্যাতিতার মা জানান, “ছেলেটা দীর্ঘদিন থেকেই আমার মেয়ের সঙ্গে দুর্বব্যহার করে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ এটা করেছে। মেয়ে ওই ঘটনার পর আমাকে পুরো ঘটনা জানায়। সব কথা গ্রামের লোককে জানাই। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে নি। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। আমরা বাধ্য হয়ে থানায় গিয়ে কেস করি। যে ছেলেটা এই কাজ করেছে ও তৃণমূল করে। গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পুলিশ বলছে আজ হবে না। আমরা বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। পুলিশ কেসটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে?” আইনজীবী শুভঙ্কর পাল বলেন, “পরিবারের লোকেরা আমাকে জানিয়েছে অভিযুক্ত শাসক দল ঘনিষ্ঠ। সে ও তার পরিবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাই আমরা কোর্ট মনিটরিংয়ের জন্য আবেদন জানিয়েছি।” 

    আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    কেন গোপন জবানবন্দিতে দেরী?

    আদালত সূত্রে জানা গেছে যুবতী যেহেতু সাংকেতিক ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারে না সেই কারণে সাংকেতিক ভাষা জানা দোভাষীর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই মত শনিবার আদালতে দোভাষীর উপস্থিতিতে বিচারক গোপন জবানবন্দি নেবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার তো বাড়ির মহিলারা পান। তারপরেও কেন বিজেপি করবি?’ প্রশ্ন করেই বিজেপির বুথস্তরের এক নেতাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা এলাকার কুমারগঞ্জে। সুকান্ত মজুমদারের খাসতালুকে এই হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর পঞ্চায়েতের জল্পর গ্রামে বিজেপির বুথ সহসভাপতি সঞ্জয় রায় বাড়িতে খেতে বসেছিলেন। সেই সময় পাশের গ্রামের কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাঁশ-লাঠি নিয়ে বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। সঞ্জয়ের মা প্রথমে সামনে যান। খানিক বাদে সঞ্জয়ও সামনে আসেন। তখনই তাঁকে হামলাকারীরা বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার সুবিধা নিবি, আবার বিজেপি করবি।” এরপরই বেদম পেটাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে, পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি। আক্রান্ত বিজেপি নেতা সঞ্জয় রায় বলেন, ‘এর আগেও আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। বিজেপি করি বলে ভোট আসলেই আমার ওপর আক্রমণ নেমে আসে। এখনও অভিযোগপত্র থেকে নাম তুলে নিতে ফোনে হুমকি আসছে। আমাদের দাবি, দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    সঞ্জয়ের বাড়িতে যান বিজেপির জেলা (Balurghat) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত হারার ভয়েই এভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ করছে তৃণমূল। ভোটে ওদের হার নিশ্চিত। প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলব। তৃণমূল এই কাজে যুক্ত বলে মানতে নারাজ এলাকার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে কুমারগঞ্জে। একটাও গণ্ডগোল হয়নি। এখন কেন হবে। সঞ্জয় রায় নামে বিজেপির কাউকে চিনি না। তবে, যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তবে আমরা অবশ্যই তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করব। এই ঘটনার খোঁজ নিচ্ছি। দলের কেউ যুক্ত থাকলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: বারাকপুরে ফের তৃণমূলে ধস, অর্জুনের হাত ধরে কয়েকশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Arjun Singh: বারাকপুরে ফের তৃণমূলে ধস, অর্জুনের হাত ধরে কয়েকশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই বারাকপুরে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) হাত ধরে একাধিক বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। এবার ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জ্যোতি পান্ডের স্বামী তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে সহ কয়েকশো কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করলেন। লোকসভা ভোটের আগে এই যোগদানপর্বে বিজেপি কর্মীরা অনেতটাই অক্সিজেন পেলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বারাকপুরে (Arjun Singh)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় নৈহাটিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয় সিং ভবনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ভাটপাড়া এলাকার নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে। তিনি পরিবহণ দফতরের আরটিএ’রও সদস্য ছিলেন। এছাড়া আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু বাম কর্মীও এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। যোগদান পর্বে হাজির ছিলেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও বারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, প্রিয়াঙ্গু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শুধু ভাটপাড়া লেখা নয়, গোটা বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপি শক্তিশালী হল। সারা বছর ধরে তিনি নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। বহু মানুষ তার কাছ থেকে উপকৃত হয়। তিনি আসায় বারাকপুরে দল আরও মজবুত হল।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি

    বিজেপিতে যোগদানকারী নেতার কী বক্তব্য?

    বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে বলেন, তৃণমূল দলটা করা যায় না। ওই দলে থেকে কাজ করার সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। বিজেপিতে যোগ দিলাম। যে দায়িত্বদল দেবে, আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আমার স্ত্রী সহ বহু কর্মী-সমর্থক আগামীদিনে বিজেপিতে যোগদান করবে।

    তৃণমূল প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    যোগদান পর্ব প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, ও তলে তলে অর্জুনের (Arjun Singh) সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। অতীতেও বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। দলে থেকে বিশ্বাসঘাতকতার থেকে প্রতিপক্ষ দলে চলে যাওয়া ভালো। তৃণমূলের শক্তি মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য যা কাজ করেছেন। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এবারের ভোটে উজার করে ভোট দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024), আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চলছে শাসক-বিরোধী দলের তীব্র লড়াই। ভোটের মুখে এবার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিরোধী ভোটারদের প্রকাশ্যে দেখে নেবার হুমকি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার (Chopra) বিধায়ক হামিদুল রহমান। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে পরিস্থিতি হবে ভয়ঙ্কর । ২৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবার পর তৃণমূল বাহিনীই থাকবে, তখন বিরোধী ভোটারদের (Voter) কিছু হলে তার সমাধান তিনি করবেন না বলে প্রকাশ্যে জানালেন তৃণমূল বিধায়ক।

    চোপড়ায় সভায় হুমকি (Uttar Dinajpur)

    বুধবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী (TMC Candidate) গোপাল লামার সমর্থনে চোপড়া ব্লকের (Uttar Dinajpur) মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোপড়ার বিধায়ক বিরোধী দলের ভোটারদের এমনই হুমকি দিলেন। বিধায়কের এই হুমকির পরেই জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে এই নির্বাচনী প্রচারে হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছে চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুন সিংহ।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    চোপড়া (Uttar Dinajpur) তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল সভায় বলেছেন, “চোপড়ার প্রতিটি পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য। এলাকায় প্রতিটি বুথে ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূল কংগ্রেস না পেলে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দিয়ে দলের নেতাদের দিয়ে উন্নয়ন করাবো। পঞ্চায়েত সদস্যদের শুধু বুথে লিড দিলেই হবে না, বুথে বুথে ৯০ শতাংশ ভোট দলের প্রার্থী গোপাল লামাকে দিতে হবে। যদি এই কাজ না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।” ঘটনায় এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই প্রসঙ্গে চুপ থাকেননি চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিজেপি নেতা বরুন সিংহও। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক হামিদুল রহমানকে অত হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা বলেছেন, “ভোটে তৃণমূল সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন (lok sabha vote 2024) দুটি আলাদা নির্বাচন। নির্বাচনে বল খাটাতে গেলে তার পরিনাম ভাল হবে না।”

    আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে, জানালেন অমিত মালব্য

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তপ্ত ছিল চোপড়া

    উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা ছিল চোপড়া (Uttar Dinajpur)। বিরোধী সিপিএম (CPIM), কংগ্রেস (congress) মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মিছিলের উপর গুলি, বোম ছোড়া হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও পর্যন্ত হয়েছিল। গুলি এবং বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনগুলি জয় লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “ক্রিকেট হোক বা রাজনীতি, ব্যাটসম্যান ভালো হলেই জয় নিশ্চিত”, ব্যাট হাতে নিয়ে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “ক্রিকেট হোক বা রাজনীতি, ব্যাটসম্যান ভালো হলেই জয় নিশ্চিত”, ব্যাট হাতে নিয়ে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে ব্যাট হাতে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামে নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেললেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বললেন, ছোটদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে ছোটবেলার স্মৃতি ফিরে এল। ক্রিকেটের ময়দান হোক বা রাজনীতির ময়দান ব্যাটসম্যান ভালো হলেই জয় নিশ্চিত।

    প্রচারের ফাঁকে ক্রিকেট খেললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদীপুর, আলিপুর, দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেঁটে প্রচার করলেন বালুরঘাট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি বিভিন্ন দোকানে গিয়েও তিনি জনসংযোগ সারেন। সুকান্তর সমর্থনে আগামী ১৬ই এপ্রিল বালুরঘাটে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনসভায় এলাকার মানুষদেরকে আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। এদিন প্রচারে ফাঁকে মাঠের মধ্যে কয়েকটি বাচ্চাকে ক্রিকেট খেলতে দেখে তিনি সোজা সেখানে চলে যান। এরপরই ব্যাট হাতে নিয়ে খেলাও করেন।

    আরও পড়ুন: এনআইএ-র ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ জামিনযোগ্য ধারা পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমি আজ নির্বাচনী প্রচারে বালুরঘাট ব্লকের কয়েকটি গ্রামে এসেছি। ভোট প্রচারে ভালো সারা পাচ্ছি। বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে তৃণমূল। একটা ভোটও যেন অন্য কোথাও না যায় বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওরা তো আমাদের ডায়লগ চুরি করে বলছে। চুরি করা তো তৃণমূলের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। আমরা বলতাম, বাংলাতে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি। এখন দেখছি তৃণমূল সেটাও নকল করছে। মুখ্যমন্ত্রীর কি নিজের ডায়লগ শেষ হয়ে গেছে নাকি? বাংলায় সরকার বদলের শাহের হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব আগে ২০০ টি আসনে জিতে দেখাক বলে খোঁচা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এইটা লোকসভা ভোটের কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়ে শপথ নেওয়া হয়ে গিয়েছে ধরে নিন। বিদেশ সহ অন্যান্য দেশ থেকে ওনাকে আমন্ত্রণ জানানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share