Tag: tmc

tmc

  • Dev: “আবাসের বাড়ি পাইনি, মেলেনি সরকারি সুবিধা”, দেব-এর প্রচারে মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ

    Dev: “আবাসের বাড়ি পাইনি, মেলেনি সরকারি সুবিধা”, দেব-এর প্রচারে মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় তারকা প্রার্থী দেব-কে (Dev) নিয়ে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়লেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা। প্রকাশ্যে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ জানানোয় চরম বিড়ম্বনায় পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তবে, ভোটের মুখে এই ক্ষোভ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ (Dev)

    সোমবার বিকেলে কেশপুরে প্রচারে আসেন দেব (Dev)। তাঁর গাড়ির আগেই ছিল মন্ত্রী তথা কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহার গাড়ি। ছুতারগেড়্যার কাছে দলের নেতা-কর্মীদের জটলা দেখে গাড়ি দাঁড় করান শিউলি। রাস্তার পাশে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়। বাম আমলে এটিই সিপিএম কার্যালয় ছিল। পালাবদলের পরে ‘দখল’ হয়েছে বলে অভিযোগ। মন্ত্রী যখন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন তাঁর গাড়ির সামনে আসেন কাবরুল বেগম নামে স্থানীয় এক মহিলা। অভিযোগ করে বলেন, আবাসের বাড়ি দেয়নি। আমার বড় ছেলে শেখ বরজাহান আলি একশো শতাংশ প্রতিবন্ধী হয়েও সরকারি ওই প্রকল্পের সুবিধা পাননি। অথচ গ্রামের এমন অনেকে বাড়ি পেয়েছেন, যাঁদের পাওয়ার কথাই নয়। গাড়ির কাছে গিয়ে কাবরুল মন্ত্রীকে শোনান, “আমি মমতাকে দেখে পার্টি করেছি। এই পার্টি অফিসের জায়গাটা আমার শ্বশুরের। দেব আমার দেশের ছেলে। আমি কাউকে ভয় করিনি। অন্য অনেকে দু’তলা, তিনতলা বাড়ি করছে। আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটা কেন বাড়ি পাবেনি? এটা শুধু আমার ব্যাপার নয় আরও অনেকের ব্যাপার।”

    আরও পড়ুন: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    অভিযোগকারীকে বলতে বাধা!

    অদূরে তখন দেবের গাড়ি। প্রশ্নের মুখে অস্বস্তিতে পড়েন শিউলি। নেতা-কর্মীরা ওই মহিলাকে সরানোর চেষ্টা করেন। কাবরুল তখন বলে ওঠেন, “সরাচ্ছো কেন? দল করার জন্য দুর্দিনে মার খেয়েছি। সুদিনে আমাদের দল দেখেনি।” শিউলি বোঝানোর চেষ্টা করেন, “আরে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দিচ্ছে না তো।” কয়েকজন নেতার আশ্বাসে শেষে কাবরুল শান্ত হন। মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে এই ক্ষোভের কথা কানে উঠতেই কেশপুরের ভূমিপুত্র দেব (Dev) বললেন, “শুধু মানুষের ভালো কথা শোনার জন্য তো আর জনপ্রতিনিধি হয় না। মানুষের রাগ, অভিমান-এ সবও শুনতে হয়। মানুষ তাঁর কাছেই আক্ষেপ করেন, যাঁকে বিশ্বাস করেন।”

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এতদিন ধরে তৃণমূল করার পরও ওই মহিলা আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি কেন? স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ রফিকের দাবি, “ওঁর এক ছেলে বাড়ি পেয়েছে। উনি সেটা জানেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারদের তেজপাতা হিসেবে ব্যবহার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শীতলকুচির সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা তৃণমূলকে তোপ দাগলেন। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন রাখলেন। এমনিতেই শীতলকুচিতে বিজেপির ভালো ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। তবে, তৃণমূল এবার লোকসভায় ভোট টানার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

    তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্য রাজনীতির নিরিখে অন্যতম চর্চিত অঞ্চল হল শীতলকুচি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে গুলি চলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক দূর গড়িয়েছিল রাজনীতির জল। শাসক-বিরোধী চাপানউতোর চলেছে দীর্ঘদিন। সেই শীতলকুচির মাটিতেই নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সারলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতির বাতাবরণ। তৃণমূল, বিজেপি সব দলই একে অন্যকে নিশানা করছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছে না। এসবের মধ্যেই এবার শীতলকুচির সভা থেকে কড়া ভাষায় তৃণমূল শিবিরকে বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সভা মঞ্চ থেকে শীতলকুচির আমজনতার উদ্দেশে বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের তেজপাতা বলে মনে করেন।” সাধারণত, তেজপাতা হল প্রতিটি বাঙালির হেঁশেলের নিত্যদিনের ব্যবহারের একটি জিনিস। কিন্তু, সেটা শুধুই ব্যবহার হয় রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য, খাওয়ার জন্য নয়। রান্নার পর খাওয়ার সময় সেই তেজপাতা পাতে পড়লে সরিয়ে রাখা হয়। কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে শীতলকুচির নির্বাচনী প্রচার সভায় শুভেন্দুর দাবি, শাসক শিবির সেখানকার আমজনতাকে ‘তেজপাতা’ বলে মনে করেন। এরপরই শুভেন্দু ব্যাখ্যা দিলেন, “তেজপাতা তরকারিতে লাগে, কিন্তু খাওয়া যায় না।” ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন, দয়া করে এদের হাতে ব্যবহার হবেন না।’

    আরও পড়ুন: পক্ষপাতের অভিযোগে রাজ্যের ২ সিনিয়র নির্বাচনী অফিসারকে সরাল কমিশন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত কর্মীর বা়ড়িতে বিজেপি প্রতিনিধি দল, পাশে থাকার বার্তা

    South 24 Parganas: তৃণমূলের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত কর্মীর বা়ড়িতে বিজেপি প্রতিনিধি দল, পাশে থাকার বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দিরবাজার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেলারামপুর। চলেছিল গুলি, আর সেই গুলিতেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন বিজেপির অন্ধ ভক্ত সমর্থক সাইরাজ মোল্লা (২৫)। অভিযোগের তির ছিল শাসকদলের দিকে। এই ঘটনার পর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় বেশ কয়েকজন। বাড়িতে রয়েছে বিজেপি কর্মীর  স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তান। তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির বর্তমান লোকসভার প্রার্থী অশোক পুরকাইত,অগ্নিমিত্রা পল সহ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান এবং বহু এলাকার মানুষ।

    হাসপাতালে একমাস লড়াই করার পর মৃত্যু (South 24 Parganas)

    ঘটনার পর পরই বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল আহতের বাড়িতে আসেন। জখম বিজেপি কর্মীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল থেকে কলকাতা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে থাকেন সাইরাজ। প্রায় এক মাস ধরে লড়াই করা পর সোমবারই সবই শেষ। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় প্রচুর মানুষ ভিড় করতে থাকেন। বিজেপি কর্মীর দেহ খেলারামপুরে বাড়িতে আনার আগেই মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী অশোক কুমার পুরকাইত  সহ বিজেপি নেতৃত্বরা সেখানে হাজির হন। তবে, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এলাকায়। মৃতের পরিবার সহ এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে সাংবাদিকদের এলাকায় ছবি করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেয়। সাইরাজের অকাল মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ এলাকা। বিজেপি লোকসভার প্রার্থী অশোক কুমার পুরকাইত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের সুন্দরবন জেলার (South 24 Parganas) সভাপতি তথা মন্দির বাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার বলেন, এই মৃত্যুর ঘটনা অবশ্যই বেদনাদায়ক। আমরা সমবেদনা জানাই ওর পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে। তবে বিজেপি অহেতুক এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। এই জিনিসটি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করেছে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: সৌগতর সভায় গরহাজির নেতারা! ভোটের মুখে খড়দায় তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    Khardah: সৌগতর সভায় গরহাজির নেতারা! ভোটের মুখে খড়দায় তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমদম লোকসভার খড়দা (Khardah) বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী রণকৌশলের থেকে খড়দার গোষ্ঠী কোন্দল মেটানো এখন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে মস্তবড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত খড়দার ক্ষেত্রে লড়াইটা এবার যত না বেশী বিজেপি ও সিপিএমের সঙ্গে, তার থেকেও বেশি তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের! আর এটাই এখন তৃণমূলের প্রার্থীর কাছে মস্তবড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেই ব্যস্ত (Khardah)

    দমদম লোকসভা কেন্দ্রের অধীন খড়দায় (Khardah) দলের কোন্দল মেটা তো দূরে থাক, উল্টে যত দিন যাচ্ছে তত বেআব্রু হচ্ছে কোন্দল। সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এবং বিজেপির শীলভদ্র দত্ত যখন খড়দহে চুটিয়ে প্রচার সারছেন তখন তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেই ব্যস্ত। দলীয় প্রার্থী সৌগত রায়কে নিয়ে কে কোথায় প্রচার করবেন, দেশের সরকার নির্বাচনে খড়দায় প্রচারের রণকৌশল কী হবে সেদিকে যেন কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই স্থানীয় স্তরের নেতা কর্মীদের একটা বড় অংশের। প্রার্থী হিসেবে সৌগত রায়ের ভূমিকা কি, কি ই বা ভূমিকা স্থানীয় বিধায়ক তথা কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দলেরই একাংশ। দিন কয়েক আগে রহড়া বাজারে দলীয় একটি সভায় স্থানীয় এক নেতার সঙ্গে মঞ্চে বিতর্কে জড়ান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: “গাছ-বাঁশঝাড়, বাড়ি-ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এরকম ঝড় দেখিনি”, বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা

    সৌগত রায়ের সভায় গরহাজির একাধিক নেতা

    কিছুদিন আগে ব্যবসায়ীকে তোলা চেয়ে মারধরের ঘটনায় প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের কোন্দল। সেখানে একপক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল। তারও কয়েক মাস আগে খড়দহ গ্রামীণ এলাকায় দুপক্ষ নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারের একটি হোটেল মালিকের কাছে তোলা চেয়ে না পেয়ে সেখানে ঢুকে মারপিট এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূলের এক নেতার ভাই ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। সেটিতেও প্রতিবাদের সুর শোনা গিয়েছিল শোভনদেবের গলায়। পরিস্থিতি যা তাতে খড়দা (Khardah) শহর এবং গ্রামীণ উভয় এলাকাতেই তৃণমূলের প্রতিপক্ষ এখন তৃণমূলই। মিটিং মিছিল থেকে দলীয় সভায় লোক হাজির করাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম অবস্থা! রবিবার খড়দহ রবীন্দ্রভবনে দলের প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে একটি কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানেও দলের কতিপায় কাউন্সিলর যেমন গরহাজির ছিলেন, তেমনি গ্রামীণ এলাকার কয়েকজন নেতাকেও সেখানে দেখা যায়নি।

    কী বললেন সৌগত?

    গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়ে  সৌগত রায় বলেন, ‘ কারও কারও অভিযোগ আছে। ইতিমধ্যেই দু তিন বার তাদের নিয়ে বসেছি এবং অনুরোধ করেছি। রবিবারের মিটিংয়েও কেউ কেউ অনুপস্থিত ছিল। আবার ওদের সঙ্গে বসবো এবং ওদের বোঝাবো নির্বাচনটা একটা আলাদা প্রেক্ষিত। এখানে ব্যক্তির কোনও বিষয় নেই, দলের বিষয় থাকে’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: সিঙ্গুরের তৃণমূলে বিরাট ধস! ২০০ জন কর্মী লকেটের হাত ধরে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Singur: সিঙ্গুরের তৃণমূলে বিরাট ধস! ২০০ জন কর্মী লকেটের হাত ধরে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারের আবহেই হুগলিতে তৃণমূলে বিরাট ভাঙন। রবিবার সিঙ্গুরে (Singur) তৃণমূলনেত্রী প্রতিমা দাস এবং তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে পদ্মশিবিরে পতাকা নিয়ে তৃণমূলকে উৎখাত করার হুঙ্কার দেন প্রতিমা। অবশ্য এই ঘটনায় তৃণমূল খুব একটা চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছে জেলা তৃণমূল।

    পশ্চিম বারুইপাড়ায় যোগদান মেলা (Singur)

    গতকাল রবিবার সিঙ্গুরের (Singur) পশ্চিম বারুইপাড়া এলাকায় বিজেপির তরফ থেকে আয়োজিত যোগদান মেলায় তৃণমূল থেকে আগত কর্মীদের বিজেপির পদ্ম আঁকা পতাকা তুলে দেন লকেট। সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে প্রতিমা হলেন সিঙ্গর পঞ্চায়েত সমিতির দুই বারের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বারুইপাড়া পলতাগড় এলাকার তৃণমূল কর্মী প্রদীপ দাস, শুকদেব দাস, রূপশ্রী পাত্র-সহ আরও অনেকে যোগদান করলেন। ওই দিন যোগদান পর্বের আগে পশ্চিম বারুইপাড়া এলাকার কালীমন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী লকেট।

    কী বললেন লকেট?

    হুগলি (Singur) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজ প্রায় ২০০ জন তৃণমূল কর্মী এবং সিপিএম কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। প্রত্যেকেই নরেন্দ্র মোদির কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজেপিতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। এই যোগদানে মহিলাদের একটা বড় সংখ্যা ছিল। সংগঠন আরও শক্তিশালী হল। তৃণমূলের দুর্নীতি মানুষের মনে জাগরণ ঘটিয়েছে।”

    প্রতিমার বক্তব্য

    বিজেপিতে যোগদান করে প্রতিমা এদিন বলেন, “তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার, বগটুইয়ের গণহত্যা সব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ আমি বিজেপিতে যুক্ত হয়েছি। তৃণমূলে থাকার সময়েও আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কিন্তু এই লড়াইয়ে একা ছিলাম। সুশাসনের কামনায় বিজেপিতে যোগদান করলাম।” তবে এই প্রতিমা সিঙ্গুরের (Singur) মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী ছিলেন। প্রতিমা ২০১৮ সাল পর্যন্ত সমিতির সভাপতি এবং ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সহকারী সভাপতি ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার সইফুদ্দিনের গোপান জবানবন্দি নিতে কোর্টে আবেদন সিবিআই-এর

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির এই যোগদান সভাকে ঘিরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর (Singur) ব্লক সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষ বলেন, “প্রতিমা আগে দলে থাকেলও সম্প্রতি তাঁর কাজ দলে সক্রিয়তা ছিল না। সেই জন্য দল গতবারের পঞ্চায়েতে টিকিট দেয়নি। ফলে তাঁর না থাকা তৃণমূলে কোনও প্রভাব ফেলবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাম নবমীর ছুটি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর, হল যোগদানপর্ব

    Sukanta Majumdar: রাম নবমীর ছুটি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর, হল যোগদানপর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন যিনি জয় শ্রীরাম ডাক শুনতে পারতেন না, তিনি এখন রামনবমী ছুটি দিয়েছেন। কথায় বলে ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনওদিনই পূরণ হবে না, হতে পারে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। বালুরঘাটের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় এসে এইভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।  

    তৃণমূল ছেড়ে প্রায় আড়াইশো জন কর্মীর বিজেপিতে যোগদান (Sukanta Majumdar)

    এদিনের নির্বাচনী প্রচার সভায় আরএসপি-র পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূলের প্রায় আড়াইশো জন কর্মী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। মূলত, এদিন বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতের ফতেপুর এলাকায় একটি যোগদান কর্মসূচি ও একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভাতে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, তৃণমূলের থেকে কর্মীদের মোহভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে, এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ভোটের মুখে দলে দলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক আমাদের দলে নাম লেখাচ্ছেন। এতে আমাদের সংগঠন আরও অনেক মজবুত হল। আগামীদিনেও আরও বহু তৃণমূল কর্মী আমাদের দলে যোগদান করবেন। মানুষ তিতি বিরক্ত। তৃণমূলের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের সঙ্গে কেউ আর থাকতে চাইছে না।

    আরও পড়ুন: “গাছ-বাঁশঝাড়, বাড়ি-ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এরকম ঝড় দেখিনি”, বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) এই কটাক্ষককে উড়িয়ে দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন , সুকান্তবাবু শিক্ষিত অধ্যাপক, তিনি মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা কাম্য নয়। পাশাপাশি বাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বামেরা বিজেপিকে সাহায্য করছে, তা জানি। তবে, যত সংখ্যা বলছেন, তত সংখ্যায় যোগদান করেনি। মাত্র কয়েকজন যোগদান করেছেন। তৃণমূল থেকে কেউ যোগদান করেনি। ওরা মিথ্যা দাবি করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দোকানে ঢুকে অস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীকে হুমকি তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    Siliguri: দোকানে ঢুকে অস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীকে হুমকি তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে অস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীকে হুঁশিয়ারির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) বাগডোগরার গোঁসাইপুর এলাকায়। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হাতে অস্ত্র নিয়ে হুমকি দিতে দেখে সাধারণ মানুষ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার শিলিগুড়ির (Siliguri) বাগডোগরার গোঁসাইপুরের এক হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর দোকানে যান আপার বাগডোগরার গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কুলপ্রসাদ শর্মা ওরফে উজ্জ্বল শর্মা। জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর দোকান থেকে রড কেনার পর তার গুণগুত মান খারাপ হওয়ায় টাকা ফেরতের দাবি করেন অভিযুক্ত উজ্জ্বল। দোকানে ঢুকে কর্মরত কর্মচারী ও ক্রেতাদের ধাক্কাধাক্কি করার পাশাপাশি জিনিসপত্র ভাঙচুর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে। তাঁর এই কুকর্মে কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দোকানের কর্মচারী সহ ক্রেতারা। এরপরই সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি এই ছবি নিয়ে বাগডোগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। এ দিকে, এই ঘটনার পর উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে দল। উজ্জ্বল শর্মাকে অঞ্চল যুব সভাপতির পদ থেকে এবং সমস্ত দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করেছে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সমতল। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেন, ব্যবসায়ী দোকান থেকে খারাপ সামগ্রী দিয়েছে। তবে তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিলাম। হামলা করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।

    আরও পড়ুন: ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার! বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূলের

    ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ব্যবসায়ী মহল। বাগডোগরা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের বক্তব্য, এভাবে দিনেদুপুরে অস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকলে রাতে কী হবে? তৃণমূল নেতা বলে কী পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। আমরা আর ব্যবসা করতে পারব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার! বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূলের

    Cooch Behar: ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার! বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাত আনুমানিক বারোটা সাড়ে বারোটা নাগাদ কোচবিহার (Cooch Behar) ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারী এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শিব বর্মনের বিরুদ্ধে এলাকায় লাগানো বিজেপির ব্যানার ফেস্টুন খোলার অভিযোগ ওঠে। এই সময় ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী পূর্ণ বর্মনের বাড়ির সামনে পতাকা ফেস্টুন খোলার সময় ঘটনা তিনি দেখে ফেলেন। এরপর তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি কর্মীর উপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করে মারধর করে। ঘটনায় গুরুতর জখম এক বিজেপি কর্মী। অপর দিকে অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।

    আহত বিজেপি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি (Cooch Behar)

    তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা চড়াও হয় বিজেপি কর্মী পূর্ণবাবুর উপর। সেই সঙ্গে চলে বেধড়ক মারধর। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কোচবিহার (Cooch Behar) এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার কথা অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের কাছে শিবু বর্মন সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার সকালে আহত পূর্ণ বর্মনকে দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হন কোচবিহার বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। গোটা ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি করে অভিযুক্ত শিব বর্মনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা (Cooch Behar) সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “গতকাল রাত ১২ টার সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে আমাদের বিজেপির কর্মীর উপর। আসলে তৃণমূলের লোকেরা রাস্তায় লাগানো বিজেপির পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ছিল। ঠিক এমন সময় পূর্ণ বাবু দেখে ফেলায় প্রতিবাদ করেন। আর এই ঘটনায় তাঁকে লাঠি দিয়ে খুব মারধর করে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী। তিনি এখন হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন। তৃণমূল হারার ভয়ে এই আচরণ করছে। আমরা কমিশনে যাবো।”

    আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী প্রচারে শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, রাস্তা সারাইয়ের দাবি

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Cooch Behar) তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। এখানে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। বিজেপির জেলা সভাপতির বক্তব্য গ্রহণ যোগ্য নয়। নিশীথ এবং মালতী দেবী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছে।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রবিবাসরীয় প্রচারে বালুরঘাটে চুটিয়ে জনসংযোগ করলেন সুকান্ত, হল যোগদান পর্ব

    Sukanta Majumdar: রবিবাসরীয় প্রচারে বালুরঘাটে চুটিয়ে জনসংযোগ করলেন সুকান্ত, হল যোগদান পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল প্রায় ৩০ টি পরিবার। রবিবার বিজেপির প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে হল যোগদান পর্ব। মূলত, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের খরাইল বুথ থেকে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার।

    বালুরঘাটে জনসংযোগে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    পাশাপাশি রবিবার সাত সকালে ভোট প্রচারে বের হন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাট পাইকারি বাজারে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোট প্রচার শুরু করলেন তিনি। কথা বললেন ক্রেতা- বিক্রেতা সকলের সঙ্গে। আলোচনায় উঠে এল সিএএ, কৃষক সম্মান নিধির মতো বিভিন্ন বিষয় যা সাধারণ মানুষের জীবনকে ছুঁয়ে যায়। রবিবার সকাল সকাল ভোট প্রচারে বেরিয়ে সুকান্ত বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিলেন। কিছুদিন আগেই এই পাইকারি বাজার নিয়ে পুরসভার সঙ্গে কৃষকদের সমস্যা হয়েছিল। স্থায়ী বাজার চেয়ে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সুকান্ত মজুমদার এদিন সেই সমস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন, পাইকারি বাজারের বাজার করতে আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: “গতবারের তুলনায় এবার জয়ের ব্যবধান বাড়বে”, আত্মবিশ্বাসী বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়

    ভোটের দলীয় প্রচার নিয়ে গানের ভিডিও -অডিও রিলিজ

    বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিগত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসেবে তার বরাদ্দ টাকা কোথায় কী খরচ করেছেন তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এছাড়া কোন কোন প্রকল্প তিনি শুরু করেছেন তারও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এছাড়াও লোকসভা ভোটের দলীয় প্রচার নিয়ে একটি গানের ভিডিও -অডিও রিলিজ করেন সুকান্তবাবু, যা ভোট প্রচারে আগামীদিনে গোটা রাজ্যজুড়ে ব্যবহার হবে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগামী ৭ এপ্রিল বালুরঘাট ও জলপাইগুড়িতে সভা করতে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, সকালে আমি বালুরঘাট পাইকারি বাজারে প্রচার করলাম। প্রচারে গিয়ে ব্যাবসায়ীদের অভাব অভিযোগ শুনলাম। আমার হাত ধরে ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের একটি বুথ থেকে তৃণমূল ছেড়ে ২৫-৩০ পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। এছাড়া বিগত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসেবে আমার বরাদ্দ টাকা কোথায় কী খরচ হয়েছে তা তুলে ধরেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: নির্বাচনী প্রচারে শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, রাস্তা সারাইয়ের দাবি

    Birbhum: নির্বাচনী প্রচারে শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, রাস্তা সারাইয়ের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট প্রচারে বেড়িয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি -২ নম্বর ব্লকের নোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলপুর গ্রামে। তবে এই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এরকম প্রতিবাদ নতুন কিছু নয়। নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে আগেও এলাকাবাসী নিজেদের প্রাপ্য ঘর, রাস্তা, পানীয় জল অথবা নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবে এই ভোটের প্রচারে ঘটনায় তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

    রাস্তা সারাইয়ের দাবীতে বিক্ষোভ (Birbhum)

    আজ গোকুলপুর (Birbhum) গ্রামে ভোট প্রচারে যান বীরভূমের তিনবারের সাংসদ ও চতুর্থবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়। সেই সময় গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের দাবীতে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের মধ্যে শুভ্র মার্জিত অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন গ্রামের রাস্তা সারাই না হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। তাই এদিন তাঁকে সেই ভাঙা-কর্দমাক্ত রাস্তায় পায়ে হেঁটে যাওয়ার দাবী করি আমরা। এই রাস্তা চলাচলের যোগ্য নয়। কোনও টোটো ঢুকতে পারে না। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছেনা। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিরাট সমস্যা রয়েছে।” পরে শতাব্দী রায় প্রতিশ্রুতি দিলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ সরিয়ে নেন। ঘটনায় বিরাট বিড়ম্বনায় পড়েন এই তৃণমূল প্রার্থী।

    আরও পড়ুনঃ মোদির প্রশংসায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ডালু বাবু, পাল্টা তৃণমূলকে তুলোধনা

    শতাব্দীর বক্তব্য

    এই ঘটনায় এলাকার (Birbhum) গ্রামবাসীদের বক্তব্য, “আমি দেখলাম রাস্তা খুব খারাপ। এখানে কে জন প্রতিনিধি ছিল জানার দরকার নেই, আমি দায়িত্ব নেবো। তবে রাস্তার জন্য ৮০ লক্ষ বাজেট করা হয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল তারিখের মধ্যে মোটামুটি চলাচলের যোগ্য করা হবে।” ঘটনায় এলাকার মধ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পুরসভার নির্বাচনে বারবার মানুষের অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। একাধিক সময়ে আবার দলীয় কর্মীদের উপর নিজের রাগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। দলের কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। সবটা মিলিয়ে এই তারকা প্রার্থীর প্রচার যে খুব একটা সহজ মসৃণ হচ্ছে না তাও আরও একবার প্রকাশিত হল। এখন মানুষের ভোট কোন দিকে যায় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share