Tag: tmc

tmc

  • Purulia:  লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purulia: লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির যুবনেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুর থানার জোড়থল গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম হরনাথ মণ্ডল (২২)। বাড়ির কাছের একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবকের মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। বিজেপির দাবি, লোকসভা ভোটের মুখে দলের যুবনেতাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, মৃত হরনাথ দলের যুবমোর্চার মণ্ডল সম্পাদক ছিলেন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন? (Purulia)

    দলের যুবনেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামে যান পুরুলিয়ার (Purulia)  বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও বিভাগ আহ্বায়ক বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী-সভ অন্য নেতারা। তাঁরা মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। মৃতের বাবা মনসারাম মণ্ডল বলেন, ‘আমার ছেলে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে কাজ করত। বাড়ি থাকলে বিজেপির সঙ্গে ঘোরাঘুরি করত। আজ সকালে গলায় গামছা জড়ানো মৃত অবস্থায় ছেলেকে পাওয়া গিয়েছে। কীভাবে ছেলের মৃত্যু হয়েছে, জানি না। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।’ মৃতের ভাই শচীন মণ্ডল বলেন, ‘গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দাদার দেহ পাওয়া গিয়েছে। মৃতদেহের অবস্থান দেখে আমাদের অনেক কিছু সন্দেহ হচ্ছে। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত জমির দলিল-নথিপত্র

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, “হরনাথ আমাদের দলের যুব সংগঠনে নেতা ছিলেন। দলের হয়ে ভালো কাজ করছিলেন। স্থানীয় মানুষের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, হরনাথের মৃত্যুর ঘটনাটি আমাদের কাছে অত্যন্ত সন্দেহজনক। ভোটের আগে আমাদের যুব নেতাকে খুন করেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। আমরা অতীতে বহুবার এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” শাসকদল তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুরুলিয় (Purulia) লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তাই বলে যে কোনও ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগানো উচিত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: গোঘাটে গৃহসম্পর্ক অভিযানে বেরিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর

    Hooghly: গোঘাটে গৃহসম্পর্ক অভিযানে বেরিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই জেলায় জেলায় শাসক দলের অত্যাচার এবং আক্রমণের অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভোটের প্রচারে জনসংযোগে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল বিজেপি কর্মীদের। গৃহসম্পর্ক অভিযান চলাকালীন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) গোঘাট ১ ব্লকে। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পুর নির্বাচনে শাসক দলের দ্বারা জেলায় জেলায় বিরোধী দলের কর্মীদের উপর আক্রমণের খবর সর্বত্র আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য (Hooghly)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) আক্রান্তদের মধ্যে একজন বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মালিক। তিনি বলেন, “আমরা এলাকায় কিছু বাড়িতে গৃহসম্পর্ক অভিযানে গেলে কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী আমাদের আক্রমণ করে। প্রথমে কিল, ঘুষি এবং এরপর লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে।” যদিও ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় (Hooghly) বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রাজু রানা বলেন, “তৃণমূলের কিছু গুন্ডা, দুষ্কৃতী সদলবলে আমাদের বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছে। তিন-চারজন দলের কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি দোষীদের গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে বড় আন্দোলন করব।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনার কথা ভিত্তিহীন জানিয়ে জেলা (Hooghly) তৃণমূলের পক্ষ থেকে সঞ্জিত পাখিরা বলেন, “বিজেপি যখন প্রচার করেছে সেই সময় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের টাকা দেয়নি। আমরা খবর পেয়ে এলাকার মানুষকে আটকানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত দিনহাটা! পার্টি অফিসে ভাঙচুর, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    Cooch Behar: ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত দিনহাটা! পার্টি অফিসে ভাঙচুর, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা (Cooch Behar)। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং দলীয় পতাকা ও ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল শুক্রবার। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় বসে অবস্থান-বিক্ষোভ করল বিজেপি। সেই সঙ্গে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে নিজেদের ক্ষোভকে প্রকাশ করলেন বিজপি কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ব্লকের শালামারা এলাকায়। উল্লেখ্যে, রাজ্যপাল গত বুধবার কোচবিহারে গিয়ে একাধিক এলাকায় রাজনৈতিক হিংসা কবলিত মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। গুন্ডা এবং দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজ্যে নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার আবেদন জানিয়েছেন।

    ঘটনা ঘটে রাত সাড়ে এগারোটায় (Cooch Behar)

    গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটায় শালমারা (Cooch Behar) বাজার সংলগ্ন বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলার চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ সকাল থেকে পথ অবরোধ করেন বিজেপির কর্মীরা। সেই সঙ্গে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বিজেপিকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি কর্মী তরণীকান্ত বর্মণ বলেন, “অপরাধীদের শাস্তি না হলে আমরা অবস্থান থেকে যাবো না।” পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

    উত্তপ্ত দিনহাটা

    জানা গিয়েছে, কোচবিহার লোকসভার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক গতকাল নিজের মনোনয়ন জমা করেছেন জেলা শাসকের দফতরে। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহের আশ্রিত তৃণমূল দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে নিশীথের উপর। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। নির্বাচনে হিংসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। রাজ্যের ডিজির কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন। কিন্তু এই আবহের মধ্যেই দিনহাটা ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিজেপি প্রার্থী নিশীথের সমর্থনে লাগানো পোস্টার, ফ্লেক্স, পতাকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছিঁড়ে দেয়। ফলে প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ করলে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “বিপ্লববাবুকে কেন দণ্ডি কাটিয়ে ঘরে ফেরানো হয়নি?” তৃণমূল প্রার্থীকে সরাসরি আক্রমণ সুকান্তের

    Balurghat: “বিপ্লববাবুকে কেন দণ্ডি কাটিয়ে ঘরে ফেরানো হয়নি?” তৃণমূল প্রার্থীকে সরাসরি আক্রমণ সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বেহিসেবি দণ্ডিকাণ্ড যে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের প্রচারের অস্ত্র, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। সেটাই ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। সুকৌশলে ওই তির ছুড়ে দিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তপনের গোফানগর অঞ্চলের বাদ সনইকর এলাকায় প্রচারে গিয়ে তিনি সেই ঘটনাকে তুলে ধরেন। দণ্ডিকাণ্ড নিয়ে এদিন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রকে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘বিপ্লব মিত্রও এক সময় বিজেপিতে যান। বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে ফেরেন। যদি বিজেপিতে যোগ দিয়ে ফের তৃণমূলে ফেরার প্রায়শ্চিত্ত এটা হয়, তাহলে বিপ্লববাবুকে কেন দণ্ডি কাটিয়ে ঘরে ফেরানো হয়নি? আদিবাসী মহিলাদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম, বিপ্লব মিত্রের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম থাকা উচিত।’

    “আদিবাসীদের নিচু চোখে দেখে তৃণমূল”

    উল্লেখ্য, গোফানগর অঞ্চলের তিন আদিবাসী মহিলাকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দণ্ডি কাটানোর ঘটনা ঘটে। এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন।পরে পুরনো ঘরে ফিরে আসতে চান। তাই দণ্ডি কাটিয়ে, প্রায়শ্চিত্ত করিয়ে তাঁদের তৃণমূলে নেওয়া হয়েছিল। সেই খবর প্রচার হতেই গোটা দেশে তোলপাড় পড়ে যায়। বিজেপি অভিযোগ তোলে, আদিবাসীদের নিচু চোখে দেখে তৃণমূল। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে কী হয়েছে সেটা আমার থেকে আপনারা ভালো জানেন। ভোট কম হয়েছে। ছাপ্পা বেশি হয়েছে। কিন্তু এই ভোট চিন্তা করে দিতে হবে। আপনার একটি ভোট ঠিক করবে ভারতবর্ষ কার হাতে থাকবে? নরেন্দ্র মোদির মতো শাসকের হাতে, নাকি যারা নিজের ভাই, ভাতিজাদের কথা ভাবে সেই চোরেদের হাতে? আজ গোটা পৃথিবী নরেন্দ্র মোদিকে ভরসা করে।’ বক্তব্যে বিনামূল্যে রেশন, ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।

    “বিজেপি আদিবাসীদের সম্মান দেয়”

    দণ্ডিকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই এলাকার আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানো হয়েছিল। কিন্তু একই কাজ করেও বিপ্লব মিত্রকে দণ্ডি কাটানো হয়নি। এটা কেন হবে? জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা আমার বোনের মতো। সেও তো বিজেপিতে গিয়েছিল। সে কেন দণ্ডি কাটবে না? কিন্তু আমাদের দুই নিরীহ বোনকে দণ্ডি কাটানো হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি আদিবাসীদের সম্মান দিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করেছে।’

    দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছে, দাবি তৃণমূলের

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের বিরোধিতা করে তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে গিয়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। ওই সময় দল ওই ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। আদালতেও মামলা হয়েছে। দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছে। সুকান্তবাবুর কথায় তৃণমূল দল চলবে না।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানকাণ্ডে সিবিআই হানা দিল ইটভাটায়, তল্লাশি ঘনিষ্ঠ মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও

    Sandeshkhali: শাহজাহানকাণ্ডে সিবিআই হানা দিল ইটভাটায়, তল্লাশি ঘনিষ্ঠ মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে শাহজাহানের একের পর এক অনুগামীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখকে কয়েকদিন আগেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তাঁর সঙ্গে ইডি ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দুজন তৃণমূল নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এবার সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের সুতো কোথায় কোথায় গিঁট জড়িয়ে রয়েছে, সেই সন্ধানে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ইটভাটায় হানা সিবিআইয়ের (Sandeshkhali)

     ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার নেপথ্যে কী ছিল, সেই রহস্য উদঘাটনে আসরে নেমেছে সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর এক ইটভাটায় হানা দিয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। ইডির ওপর সেদিনের হামলার ঘটনায় এই ইটভাটারই এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম হানা দিয়েছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও। ওইমাছ ব্যবসায়ীর নাম আলি হোসেন ঘরামি। সূত্রের খবর, ইডির ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই-এর আতস কাচের তলায় রয়েছেন এই ব্যক্তিও। উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ইডির তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম গিয়েছিল সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায়। রেশন দুর্নীতিরঅভিযোগের তদন্তে। গন্তব্য ছিল, সন্দেশ (Sandeshkhali) খালির শেখ শাহজাহানের বাড়ি। সেদিন শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতে পারেনি ইডি। তার আগেই এক তীব্র জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। মাথা ফেটেছিল। রক্ত ঝরেছিল। সেদিন থেকেই এলাকা থেকে বেপাত্তা ছিল শেখ শাহজাহান। দীর্ঘদিন অধরা থাকার পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তার ওপরে ইডির ওপর হামলার ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

    আরও পড়ুন: মন্দিরে পুজো দিয়ে অনন্ত মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন নিশীথ

    শাহজাহান নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আসরে নেমেছে সিবিআই

    শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামেন সন্দেশখালিবাসী (Sandeshkhali)। দুদিন আগেই দুই তৃণমূল নেতাকে তাড়়া করে ঘরবন্দি করে দেন এলাকাবাসী। ইডি-র ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে নেমেই একের পর এক তথ্য উঠে আসছে সিবিআই-এর তদন্তকারী দলের হাতে। সেদিন থেকে কোথায় কোথায় গা ঢাকা দিয়েছিল শাহজাহান? কারাই বা তাকে সাহায্য করেছিল গা ঢাকা দিতে? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আসরে নেমেছে সিবিআই- এর টিম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কাঁটাতারের ওপারের ভোটারদের অধিকারে সরব, লোকসভার প্রচারে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    Malda: কাঁটাতারের ওপারের ভোটারদের অধিকারে সরব, লোকসভার প্রচারে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) অনেক ভোটার কাঁটাতারের ওপারে থেকে নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। নিজেদের প্রার্থীদের কখনই চোখে দেখেননি তাঁরা। নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা বলতেও পারেননি কোনও দিন। দক্ষিণ মালদার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র লোকসভা ভোটের প্রচার করলেন এই এলাকার মানুষদের উদ্দেশ্যে। প্রচারে নজর কাড়লেন সংবাদ মাধ্যমের। ইতিমধ্যে লোকসভার ভোটের প্রচারে মানুষের মন জয় করতে সবপক্ষ ময়দানে নেমে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী (Malda)?

    দক্ষিণ মালদার (Malda) বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র বলেন, “এই কাঁটাতারের ওপারের মানুষদের জীবনকে দুর্বিষহ করার জন্য একমাত্র দায়ী হল কংগ্রেস। আগের সাংসদেরা ভোটে জয়ী হয়ে এলাকার মানুষের কোনও খোঁজ নেননি। নেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নেই কোনও স্কুল। মানুষকে পেট চালাতে কাঁটাতার পার করে আসতে হয়। এলাকার সাংসদ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও দিন মানুষের কথা ভাবেননি। মানুষ অভিযোগ কাকেই বা জানাবেন? জনপ্রতিনিধিদের কেউ চোখে দেখেননি সেইসব এলাকার মানুষজন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর মেলেনি। আইসিডি সেন্টার নেই। নেই জল জীবন মিশনের জল। স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও সবরকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা।” কাঁটাতারের ওপারের জনগণের এইসকল বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা।

    কোন এলাকায় প্রচার করলেন?

    কালিয়াচক (Malda) থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় কাঁটাতারে ঘেরা এই ভূখণ্ডের মধ্যে একশোর বেশি ভোটার এবং ৩০০ পরিবারে রয়েছে। কাঁটাতারের ওই পার থেকে এসে মানুষকে কাজ করতে হয়। নিয়মিত কাঁটা তারের সীমান্ত খোলা হয়, এরপর মানুষ এসে কাজ করেন। এই এলাকার ভারত ভূ-খণ্ডের মানুষের কাছে সরকারি কোনও প্রকল্পের সাহায্য পৌঁছায়নি বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    কংগ্রেস জেলা (Malda) সভাপতি অর্জুন হালদার বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বিধায়ক হিসাবে কী কাজ করছেন, আগে তার হিসাব দিন। আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখা উচিত।” আবার তৃণমূল কগ্রেসের সহ-সভাপতি বলেন, “তিনি শহরের বিধায়ক, শহরের জন্য কী করেছেন আগে জানান। গ্রামে কী করেছেন? আমরাও তো বিরোধী দলে ছিলাম। সেই সময় সিপিএম শাসনে ছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে, আবদার করে কাজ করাতাম। বিধায়ক হিসাবে উনি কী করেছেন, আমরাও জানতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে লিড দিলেই মিলবে আবাস যোজনার টাকা, বেফাঁস পার্থ ভৌমিক

    North 24 Parganas: পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে লিড দিলেই মিলবে আবাস যোজনার টাকা, বেফাঁস পার্থ ভৌমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড সহ নানা কারণে জেলা তৃণমূল কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে। পাশাপাশি সিএএ ইস্যুতে মতুয়ারা বিজেপির ওপর বেজায় খুশি। দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মতুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে শাসকদল। ভোটের আগে পালে হাওয়া টানতে এবার ভোটারদের লোভ দেখালেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

    কী বলেছেন জেলা তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক? (North 24 Parganas)

    কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার রাজ্যের প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার অভিযোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারংবার করা হয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, যদি কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা না দেয় তাহলে রাজ্য সরকার আবাস যোজনার টাকা প্রাপকদের দেবে। আবাস যোজনার টাকার বিষয়ে নৈহাটির এক দলীয় কর্মসূচিতে বলতে গিয়ে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, যে চারটে পঞ্চায়েত নৈহাটি বিধানসভার মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে যারা ভালো ফল করবে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতাবে সেই পঞ্চায়েতকে আবাস যোজনার টাকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    কর্মীদের কী কড়া বার্তা দিলেন পার্থ?

    সম্প্রতি, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁ লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকার ১৯২৭টি বুথের দলীয় প্রতিনিধিরা ওই কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ছিলেন বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস, জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ সহ দলীয় পদাধিকারী ও জনপ্রতিনিধিরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বনগাঁ লোকসভা আসনে ২০১৯ সাল থেকেই বিজেপি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সে বার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর প্রায় ১ লক্ষ ৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। এই লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে একমাত্র স্বরূপনগর ছাড়া বাকিগুলিতে বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও একই ফল হয়। তারপরে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা তৃণমূলের পক্ষে স্বস্তিদায়ক হয়নি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, এ বারের লড়াই যথেষ্ট কঠিন। বনগাঁ শহরে নির্বাচনী কর্মিসভায় এসে পার্থ ভৌমিক দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “পঞ্চায়েত বা পুর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা নিজেদের এলাকায় যে ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন, লোকসভা ভোটে সেই সব এলাকায় জয়ের ব্যবধান কমে গেলে দল তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে।” এরপরই তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোট কমলে ধরে নিতে হবে নিজের ভোটের সময় আপনি যে পরিশ্রম করেছিলেন, লোকসভা ভোটে তা করেননি। দল তখন নিশ্চিত ভাবেই আপনাদের বুঝে নেবে এবং কড়া পদক্ষেপও করবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর আবাস যোজনার বক্তব্যের বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শীলভদ্র দত্ত বলেন, আসলে পার্থ ভৌমিক বুঝতে পেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে না। সেই কারণে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বগটুইকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে স্বজন হারানো পরিবারের পাশে বিজেপি

    Birbhum: বগটুইকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে স্বজন হারানো পরিবারের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিতে স্বজন হারানো পরিবারের পাশে বিজেপিদ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিতে স্বজন হারানো পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির প্রতিনিধিদল। এদিন নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানালেন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রশ্মি দে সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। একই সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপি।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Birbhum)?

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে ও গুলি করে খুন করা হয়। সেইরাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম। প্রথমে কোপানো হয় এবং এরপর বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে খুন করা হয় ১০ জন শিশু ও মহিলাকে। ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ সেই ঘটনার প্রথম বর্ষপূর্তিতে বগটুই গ্রামে (Birbhum) একই ঘটনায় দুটি শহীদ বেদী তৈরী করা হয়। একটি শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যটিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আজ সেই বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যে বগটুই ফের রাজনৈতিক দলগুলির নজরে।

    বিজপির বক্তব্য

    ঘটনায় বিজেপির জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা দাবি করে বলেন, “স্বজন হারানো পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখ সহ তাঁর আত্মীয় স্বজনেরা বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত। তাই একজন সহযোদ্ধা হিসেবে আমরা তাঁর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে এসেছি। পাশাপাশি নিহতদের আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমরা এসেছি। তৃণমূল দুষ্কৃতী এবং খুনিদের কঠিন শাস্তি চাই।”

    পরিবারের বক্তব্য

    বগটুই গ্রামে (Birbhum) স্বজনহারাদের পরিবারের পক্ষে মিহিলাল শেখ বলেন, “আমার খুব ভালো লাগল, আমার এই শোকের দিনে জেলা বিজেপির নেতারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমাকে চাকরি থেকে বঞ্চনা করেছেন। আমার চাকরির বেতন বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই। সিবিআই তদন্ত করার ফলে অভিযুক্তেরা জেলে রয়েছে। রাজ্য প্রশাসন তদন্ত করলে এতদিনে মুক্তি পেয়ে যেতো। তৃণমূল প্রতিশ্রুতি দিলেও আমাদের জন্য কোন কিছুই করেনি। দোষীদের শাস্তি চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “লোকসভা ভোটে কোনও ভাবেই হিংসা বরদাস্ত নয়”, দিনহাটাকাণ্ডে কড়া বার্তা রাজ্যপালের  

    CV Ananda Bose: “লোকসভা ভোটে কোনও ভাবেই হিংসা বরদাস্ত নয়”, দিনহাটাকাণ্ডে কড়া বার্তা রাজ্যপালের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঠেকাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। একমাস পর নির্যাতিতা নিজের বাড়িতে ফিরলেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যপাল পুলিশকে নিরাপত্তার দায়িত্ব বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে বুধবার সারা দিন দিনহাটায় পরিদর্শন করেন তিনি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “লোকসভা ভোটে কোনও ভাবেই হিংসা বরদাস্ত নয়।”

    কী বলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)?

    মঙ্গলবার রাতে বিজেপির লোকসভার প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে, উওর উত্তরবঙ্গে উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের অনুগামীরা আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় এসডিপিও আহত হন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন দিনহাটায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেন, “এই বাংলায় হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসা শেষ করা পর্যন্ত সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে হবে। কোনও গুণ্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। বাংলার সকল সাধারণ মানুষ স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোট চান। আমি রাজ্যপাল হিসাবে সবার পাশে থাকবো।” একই সঙ্গে রাজভবনের তরফে যে পোর্টাল খোলা হয়েছে, সেখানেও জনসাধারণেরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    পিঠে কাণ্ডে কী বললেন?

    কোচবিহারের দিনহাটার বুড়িরহাট গ্রামের এক মহিলা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলেন, রাত ১২ টায় পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে পিঠে বানানোর ডাক পড়ত। আর এই ডাক উপেক্ষা করলে জুটত অত্যাচার। একই ভাবে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান-সিরাজেরা, এলাকার মহিলাদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে যৌন শোষণ চালাতো। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। এবার দিনহাটায় নির্যাতিত মহিলার বাড়িতে গিয়ে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনা থেকে দুষ্কৃতীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কোনও ভাবে হিংসা, গুণ্ডামিকে বরদাস্ত করা হবে না।” একই ভাবে রাজ্যের ডিজি ও জেলার পুলিশ সুপারকে এই বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্যাতিতাকে বাড়িতে সবরকম সুরক্ষা এবং সাহায্যের আশ্বাস দেন রাজ্যপাল।   

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: লকেটের দেওয়াল লিখন করতে গিয়েই রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Hooghly: লকেটের দেওয়াল লিখন করতে গিয়েই রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলি (Hooghly) লোকসভায় দুই তারকার লড়াই জমে উঠেছে। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে এই কেন্দ্রটি বিজেপি দখল করে। সাংসদ নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবারও তাঁকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে এবার লকেটের বিরুদ্ধে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে পাণ্ডুয়াতে দলীয় প্রার্থীর প্রচার কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এতেই কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। বিজেপি কর্মীরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। আর দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন করতে গিয়ে রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ধনেখালি এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে হুগলির (Hooghly) ধনেখালির মাঝেরপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখন চলছিল। বিজেপি কর্মী যুগল মান্ডি সহ কয়েকজন দেওয়াল লিখনের কাজ করছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এসে তাঁদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের ওপর লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মী যুগল সহ কয়েকজন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁদের প্রথমে ধনেখালি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যার পর যুগল মান্ডিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। জখম বিজেপি কর্মী যুগল মান্ডি বলেন, মাঝেরপাড়ায় দলীয় প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখছিলাম। সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আমাদের টিটকারি করে। এরপর দু’জন দলীয় কর্মীকে মারধর করে আটকে রাখা হয়। তাদের আমি ছাড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হই। আমাকে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আরও এক বিজেপি কর্মী মনোজিৎ গুঁই বলেন, লকেটদির নামে দেওয়াল লেখার সময় লাঠি, বাঁশ নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের লোকজন। বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর জখম হন আমাদের সহকর্মী যুগল। ও এখন হাসপাতালে ভর্তি। যদিও, তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে কৃষ্ণনগরের রানি মা, শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান বহু সংখ্যালঘু পরিবারের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share