Tag: tmc

tmc

  • Bankura: “কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর

    Bankura: “কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন শাসক দলের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে না দেওয়ার অভিযোগ বার বার করে বিরোধীরা। শান্তিপূর্ণভাবে লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য এবারের লোকসভা নির্বাচনে কমিশনের বিশেষ নজরে রয়েছে বাংলায়।  ইতিমধ্যেই ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে রাজ্যে। নজিরবিহীনভাবে এত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যে এবার ভোট করাতে চলেছে কমিশন। স্পর্শকাতর এলাকা তো বটেই, গ্রামের ওলিগলি সর্বত্রই চষে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।

    কমিশনকে কী হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল প্রার্থী? (Bankura)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী মেজিয়ায় প্রচারে গিয়ে বলেন, ” কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা গোলাপ ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবো। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করব। কিন্তু, যেন ওরা গুলি না চালায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে।” প্রসঙ্গত, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সোমবারই কমিশন জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আপডেট করা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে প্রতিদিন কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের। এই নির্দেশিকা জারি হতে না হতেই এবার পরোক্ষে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তৃণমূল প্রার্থী। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাসী রেখা পাত্র, পাচ্ছেন ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা!

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল প্রার্থীর এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বাঁকুড়ার (Bankura) বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী অযথা কেন গুলি চালাতে যাবে? তাহলে কী তৃণমূল প্রার্থী অন্যান্য নির্বাচনের মতো বোমা, বন্দুক দিয়ে আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করার পরিকল্পনা করে রেখেছেন, আর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে? কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনী শান্তি বজায় রাখার জন্য রয়েছে। শান্তি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। এবার তারকা প্রচারকদের নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ‘কান্ডারি’, তাই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে তারকা প্রচারকের তালিকার শীর্ষেই নাম রয়েছে তাঁর। তার পরেই ঠাঁই হয়েছে মোদির সেনাপতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

    পদ্ম-তারকা (Lok Sabha Elections 2024)

    তালিকায় রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নামও। তালিকায় বাংলা থেকে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মিঠুন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষও। সব (Lok Sabha Elections 2024) মিলিয়ে তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম রয়েছে ৪০ জনের। নাম রয়েছে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও।

    তৃণমূলের তালিকায় বাদ তারকারাই!

    পদ্মের তারকা প্রচারকের তালিকায় এক ঝাঁক উল্লেখযোগ্য নেতানেত্রীর উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকলেও, তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকায় ঠাঁই হয়নি আক্ষরিক অর্থেই যাঁরা তারকা, তাঁদের। তৃণমূলের এই তালিকায় নাম নেই কাঞ্চন মল্লিক, নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের। এ রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ৪২টি। সবক’টিতেই পদ্ম ফোটানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির আগে বঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্য নেতৃত্বকে তিনি টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন ৩৫টি। তার দিন কয়েক পরেই এ রাজ্যে এসে ৪২টি আসনই চাই বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন সুকান্ত-শুভেন্দুদের। সেই কারণেই প্রচারকের তালিকায় নাম রয়েছে গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতাদের।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাসী রেখা পাত্র, পাচ্ছেন ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা!

    কেবল বাংলা নয়, দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি একাই জিততে চায় অন্তত ৩৭০টি আসনে। এনডিএর বাকি শরিকরা অন্তত ৩০টি আসনে জিতে পূর্ণ করতে পারে ৪০০-র লক্ষ্যমাত্রা। পদ্ম শিবিরকে যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদি-শাহের দল যে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত মিলেছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থার করা একাধিক সমীক্ষায়। মোদি ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ধরে নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এখন শুধু অপেক্ষা করতে হবে কবে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদি (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: মমতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ! দিলীপ ঘোষকে শোকজ বিজেপির

    Lok Sabha Election 2024: মমতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ! দিলীপ ঘোষকে শোকজ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) আসনের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে৷ সেই নিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন৷ এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য় করে নির্বাচন সংক্রান্ত আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর এই আচরণে ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। এই ঘটনায় তাঁকে দলের তরফে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে।

    দিলীপকে শোকজ নোটিস

    ভোট (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষের উপর ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। দ্রুত দিলীপ ঘোষকে তাঁর আচরণের ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপির মহাসচিব অরুণ সিংয়ের স্বাক্ষরিত ওই শো-কজ নোটিসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি দিলীপের মন্তব্যের নিন্দা করে বলা হয়েছে, “মাননীয় দিলীপ ঘোষ, আপনার বক্তব্য অশোভনীয় এবং অসংসদীয়। ভারতীয় জনতা পার্টির নীতির পরিপন্থীও। দল এই বক্তব্যের নিন্দা করছে। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশানুসারে আপনি যত দ্রুত সম্ভব আপনার আচরণের ব্যাখ্যা দিন।” 

    আরও পড়ুুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারী তৃণমূলকে মানবে না তমলুক’, বললেন অভিজিৎ

    নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ

    বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপের বিরুদ্ধে সরাসরি আদর্শ নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর অফিস সূত্রে খবর, জেলাশাসকের কাছ থেকে ওই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে তা দিল্লিতে কমিশনের দফতরে পাঠানো হবে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদকে আক্রমণ করার পাশাপাশি মমতাকেও আক্রমণ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘বিহার, ইউপি থেকে দিদি গোয়াতে গিয়ে বলেন গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরাতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরার মেয়ে।’’ এর পরেই তিনি মমতার উদ্দেশে কুরুচিকর ভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী সমর্থক। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের আটমনোহরপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই ভোটের মুখে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের আট মনোহরপুর গ্রামে মঙ্গলবার দোল উৎসব চলছিল। ঠিক সেই সময় বক্স বাজানো কে কেন্দ্র করে এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর। এরপরেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাস, রড নিয়ে  বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরই জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দোল উৎসব চলাকালীন উচ্চস্বরে বক্স বাজানোয় এলাকার এক বাসিন্দা প্রতিবাদ করলে  দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়  কুলপি থানার পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

    আরও পড়ুন: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনায় কুলপি ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি স্বপন দাস বলেন,  কুলপি ব্লকে বিজেপি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেছে। তাই দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। তিনি এও জানান, আগামী দিনে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাবো। কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। কারণ ভোটের আগে কোন ইস্যু নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে এলাকায় গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidaba: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    Murshidaba: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলদিয়া-ফরাক্কা রাজ্য সড়কের উপর বাহাদুরপুর সংলগ্ন এক গ্যারেজে থেকে তৃণমূল নেতার বাইকের টুলবক্সে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে আজ। মুর্শিদাবাদ (Murshidaba) জেলার বড়ুয়ার থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই রাজ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় সবথেকে বেশি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং খুন, ধর্ষণ, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। সব থেকে বেশি রক্তক্ষয় এই জেলায় হয়। বেশিরভার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা করেছিল। এবার লোকসভার আগে তৃণমূল নেতার কাছে অস্ত্র উদ্ধারে শোরগোল পড়েছে।

    ধৃত তৃণমূল নেতার পরিচয় (Murshidaba)?

    মুর্শিদাবাদে (Murshidaba) ধৃত এই তৃণমূল নেতার নাম শামসুল আলম রিপন শেখ। তিনি দাবি করেন যে তিনি তৃণমূলের কান্দি মহকুমা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। ধৃতকে আজ পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক, রিপন শেখকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা যায়নি। রিপন শেখ বলেন, “আমার গাড়িতেই এই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসনো হয়েছে। আমি দোষী নই। আমি একজন তৃণমূল নেতা। আমি নির্দোষ, আল্লা আমায় মুক্ত করবেন।”

    তদন্তে পুলিশ

    স্থানীয় (Murshidaba) থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছেন। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। রিপন শেখের টুল বক্সে এই আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কারণ সন্ধান করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এই অস্ত্র, কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এই সব বিষয়ে জেরা করা হচ্ছে। এই আগ্নেয়াস্ত্রর সাথে আর অন্য কোনও যোগ রয়েছে কিনা, এইসব তথ্য জানার জন্য বরোয়া থানার পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারী তৃণমূলকে মানবে না তমলুক’, বললেন অভিজিৎ

    অধীরের বক্তব্য

    অপর দিকে বহরমপুরে (Murshidaba) সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বোমা মজুত প্রসঙ্গ নিয়ে বলেছিলেন, “সামনে লোকসভা ভোট। তাই বোমা অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। রিপন শেখকে পুলিশ ধরার পর আরও স্পষ্ট হল, দিদির দলের লোকেরা ভোটে জয়লাভ করার জন্য বোম-পিস্তল জোগাড় করছে। পুলিশ নাকা চেকিং এর সময় সেই আগ্নেয়াস্ত্র সমেত তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিকে মোটরসাইকেল সহ হাতেনাতে ধরে ফেলে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কতটা দুর্বল, তা এখানেই প্রমাণিত হয়। ভোটের সময় যত এগিয়ে আসবে, দৌরাত্ম্য তত বাড়বে দুষ্কৃতীদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হোলির দিনেই বিজেপি-কর্মী সমর্থকদেরকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Murshidabad: হোলির দিনেই বিজেপি-কর্মী সমর্থকদেরকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে হোলির দিনে বিজেপি-কর্মী সমর্থকদেরকে ব্যাপক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর এবং মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। লোকসভার ভোটের প্রচারে শাসক দল এলাকায় ভয় দেখিয়ে মানুষের মনে সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। ৩০টি পরিবারের উপর হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মূলত অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই। পাল্টা বিজেপির অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর থানার সাটুই চৌরীগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কাঠালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) বিজেপি কর্মীর স্ত্রী মিনা দুলই বলেন, “আমার স্বামী রঙ খেলে বাড়িতে ফিরে স্নান করতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় বাইকে করে এসে কয়েক জন আমার শ্বশুর মশাইয়ের মাথায় আঘাত করে। এরপর আটকাতে গেলে বাড়ির সকলকে মারধর করেছে। শুধু আমাদেরই নয়, হোলির দিন বহরমপুরের কাঠালিয়ায় স্বপন দোলুই-এর নেতৃত্বে এখানকার ৩০টি পরিবারের উপর হামলা চালান হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজন বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে, কিন্তু যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে ধরা হয়নি এবং আহত ব্যক্তিদের কোনও রকম ডাইরি নেয়নি পুলিশ।”

    আরও পড়ুনঃ শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে, হোলি খেলে বর্ধমানে লোকসভার প্রচারে দিলীপ ঘোষ

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বর্তমান বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী নির্মল কুমার সাহা বলেন, “এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। ভোট নিয়ে মানুষকে মারধর করা এবং বাড়ি-ঘর ভেঙে দেওয়াটাই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান কালচার। ভারতবর্ষের সব রাজ্যে ভোট হয়, কিন্তু এই রাজ্যের ভোট নিয়ে এরকম ঘটনা আর কোনও রাজ্যে ঘটে না।” আবার স্থানীয় বিজেপি নেত্রী অনামিকা ঘোষ তৃণমূলের আক্রমণ সম্পর্কে বলেন, “আমরা কোন জঙ্গল রাজত্বে বাস করছি। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তৃণমূলের দুর্নীতি ঢাকতে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করছে। বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বিজেপি করা যাবেনা। থাকতে গেলে তৃণমূলই করতে হবে।”

    নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করবে বিজেপি

    এই এলাকার (Murshidabad) বিজেপির কনভেনার সঞ্জিত হালদার বলেন, “এই এলাকার পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। ২০১৮ সাল থেকেই বিজেপি জয়ী হচ্ছে। তৃণমূল নেতা স্বপন দুলই বিজেপি কর্মীদের উপর প্রতিনিয়ত হামলা করে। আমরা প্রসাশনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছি। এবার আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবো। এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবি জানাই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জেলার (Murshidabad) তৃণমূল নেতা বলেন, “আমাদের কর্মী প্রভাত দলুইকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। সে এখন হাসপাতালে ভর্তি। যে দিন থেকে বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করেছে, আমাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সুবিচার চাই। এই ঘটনায় আমরাই আক্রান্ত। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের মুখে উদয়নের গড়ে ধস নামালেন নিশীথ, বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল নেতা

    Cooch Behar: ভোটের মুখে উদয়নের গড়ে ধস নামালেন নিশীথ, বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর খাসতালুকে ধস নামালো বিজেপি। যুব তৃণমূলের কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-২ ব্লকের সভাপতি সুকুমার বর্মন যোগ দিলেন বিজেপিতে। কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের হাত থেকে পদ্ম পতাকা তুলে নিলেন তিনি। সোমবার বিকেলে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বাসভবনে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন তিনি। লোকসভা ভোটের মুখেই যুব তৃণমূলের এই পদাধিকারীর বিজেপিতে যোগদান কোচবিহারে আরও শক্তি বাড়ালো বিজেপি। এমনই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    তৃণমূলে সিন্ডিকেট রাজ চলছে! (Cooch Behar)

    কোচবিহারের (Cooch Behar) রাজনীতিতে উদয়ন বনাম নিশীথের লড়াই নতুন কোনও ঘটনা নয়। মাঝেমধ্যেই যুযুধান দুই পক্ষের দুই নেতার মুখে কথার ফুলঝুরি দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি তো একেবারে প্রকাশ্য রাস্তায় বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই নেতা। উদয়ন তো বিজেপি প্রার্থী নিশীথের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই আবহে এবার খোদ উদয়নের খাসতালুকে যুব তৃণমূলের এই ভাঙন ধরিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। কিন্তু, ঘাসফুলের সঙ্গ ছেড়ে পদ্মে নাম লেখালেন কেন যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি? এই প্রসঙ্গে সুকুমার বর্মন বলেন, যাঁরা এলাকায় দলীয় সংগঠন তৈরি করতে গিয়ে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, বর্তমানে সেই দুর্দিনের কর্মীরা ‘অবহেলিত, লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত’। এখন দলের মধ্যে কোনও নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। তৃণমূলে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রধান ঠিক করা হয়েছে। এ দলে থাকা যায় না।

    আরও পড়ুন: “অন্য পার্টির লোক আমাদের ভুল বুঝিয়ে ছিল, রেখার পাশে রয়েছি”, বললেন বিক্ষোভকারীরা

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    যুব তৃণমূলের দিনহাটা-২ ব্লকের সভাপতির এই দলবদলের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য বলেন, সুকুমার বর্মন শুধু খাতায় কলমেই ব্লকের যুব সভাপতি ছিলেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই দলে কোনও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। এমনকী ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছিলেন। তাই, এই দল বদলের কোনও প্রভাব এলাকায় পড়বে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Serampore: “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে, বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট”, কল্যাণকে আক্রমণ কবীরের

    Serampore: “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে, বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট”, কল্যাণকে আক্রমণ কবীরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ময়দানে প্রাক্তন শ্বশুর-জামাইয়ের লড়াই ব্যাপক ভাবে জমে উঠেছে। কেউ কারুর জমি এক ইঞ্চি ছেড়ে দিতে নারাজ। শ্রীরামপুর (Serampore) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন কবীর শঙ্কর বোস অপরদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ নির্বাচনের প্রচারে বলেছিলেন বাউন্ডারি হাঁকাবেন। এবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কবীর বলেন, ‘বোল্ড আউট হবেন।”

    মাহশে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু কবীরের (Serampore)

    শ্রীরামপুরে (Serampore) পরপর তিনবারের তৃণমূল সাংসদ হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও তাঁর আশা জয়ের। অপরদিকে বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী কবীর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন। এবারের লোকসভায় দুই প্রার্থী পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এদিন বিকেলে মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী কবীর। ঘটনাচক্রে বিজেপি প্রার্থী কবির শঙ্কর বোস হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের প্রাক্তন স্বামী। প্রাক্তন শ্বশুরকে আক্রমণ করে কবির শঙ্কর বলেন, “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে। বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট হবেন। ৪ জুন ব্যাগপত্র গুছিয়ে চলে যেতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ “যেখানেই দাঁড়াব সেখানেই জিতব”, কেন্দ্র বদলেও স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ

    কী বললেন কবীর?

    এদিন শ্রীরামপুরের (Serampore) বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর, কল্যাণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সব মানুষের একটা অতীত থাকে এবং বর্তমানও থাকে। এই প্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ থাকে। আমি একজন আইনজীবী, তিনিও আইনজীবী। উনার প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। কিন্তু তিনি যে দলে রয়েছেন, সেই দল মাথা থেকে পা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। এই বাংলায় তাঁদের মুখ দেখানোর জায়গা নেই।”

    উপরাষ্ট্রপতিকে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন কল্যাণ

    উল্লেখ্য শ্রীরামপুরের (Serampore) তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রতিক সময়ে সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়ে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে বিকৃত অঙ্গভঙ্গী করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। আবার বিভিন্ন সময়ে সমাজিক মাধ্যমে ঠাকুরের সামনে বাঁধ ভাঙা কান্নার ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। আবার একটা সময় দলের অন্দরে অভিষেকের সঙ্গে সংঘাত চরমে উঠলে এলাকায় কল্যাণের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। ফলে তৃণমূলের অন্দরের কোন্দলকে বিজেপি কতটা কাজে লাগাতে পারে, সেটাই এখন দেখার।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: “ভুয়ো জবকার্ডের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার!”, বিস্ফোরক দাবিতে প্রচার শুরু অসীমের

    Purba Bardhaman: “ভুয়ো জবকার্ডের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার!”, বিস্ফোরক দাবিতে প্রচার শুরু অসীমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভুয়ো জবকার্ডের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হচ্ছে” বলে বিস্ফোরক দাবি তুলে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। রবিবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর সোমবার থেকে সংসদীয় ক্ষেত্রে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নিজের গানের মাধ্যমে এলাকায় প্রচার শুরু করেছেন তিনি। একই ভাবে রাজ্যে মমতা সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন।

    কী বলেছেন অসীম সরকার (Purba Bardhaman)?

    পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন শর্মিলা সরকার। অপরদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অসীম সরকার। তিনি এদিন লোকসভার ভোটে প্রচারে গিয়ে বলেন, “১০০ দিনের টাকা চুরি করে তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে। ১ কোটি ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড করে যে টাকা নিয়েছে সেই টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে দেওয়া হয়েছে। টাকার হিসেব দিলেই সব বোঝা যাবে। জেতা সিট হলেই তৃণমূল জয়ী হবে এমন কোনও কথা নেই। বামেদের অনেক আসন জেতা ছিল, আজ কি আর আছে? বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে ভোট দিতে হবে। তবে মানুষ যদি গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে তৃণমূল আরব সাগরে গিয়ে পড়বে। প্রতি বুথে এবার থেকে ৬ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। সঠিক ভাবে ভোটের গণনা হবে। মানুষের রায়ে গেরুয়া ঝড় উঠবে রাজ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ রানিমার নাম ঘোষণা হতেই দেওয়ালে লিখন শুরু, রাজবাড়ীতে বিজেপির উচ্ছ্বাস

    শর্মিলাকে আক্রমণ

    এদিন গানের মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) তৃণমূল প্রার্থীকে তীব্র আক্রমণ করেন অসীমবাবু। তিনি তৃণমূল প্রার্থীকে নিজের স্বরচিত কবি গানের মাধ্যমে ভোটের প্রচারে আক্রমণ করে বলেন, “ও মা শর্মিলা সরকার তুমি নাকি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, তুমি অদৃশ্য মন দেখতে পার, কিন্তু চোর দেখার চোখ নেই।” তিনি কালনার ১০৮ শিব মন্দিরে পুজো দেন এবং কালনা শহরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আবিরও খেলেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে জেলার (Purba Bardhaman) তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ বলেন, “অনেক তদন্ত বিজেপি করাচ্ছে। কিন্তু কোনও ভাবেই তৃণমূলকে দোষী প্রমাণ করতে পারবেন না। অসীম সরকার এই এলাকার মানুষ নন। তাঁর অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়। তাঁকে বিজেপির লোকজন পাত্তা দেয় না। আমি আর কী পাত্তা দেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে আর বেশি দেরি নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলের তরফে নাম ঘোষণা হতেই রঙের উৎসবের দিনেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়লেন রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। মন্দিরে পুজো দিয়ে দিনভর চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে হোলি খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপি প্রার্থী।

    কে এই কার্তিক পাল? (Raiganj)

    রবিবার রাতেই দিল্লি থেকে রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কার্তিক পালের নাম ঘোষণা করা হয়। বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ফলে, রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে সামিল কার্তিকবাবু। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবু ভূমিপুত্র। একসময় তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি এলাকায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। ২০১৯ সালের পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এলাকায় তাঁর নিবিড় জনসংযোগ রয়েছে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। ফলে, কার্তিকবাবু প্রার্থী হওয়াতে শুধু বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা খুশি হয়েছেন তা নয়, সাধারণ মানুষও বেজায় খুশি।

    আরও পড়ুন: চন্দ্রনাথের বাড়িতে উদ্ধার ৪১ লাখ, চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রীকে তলব ইডির

    দোল ও হোলিতে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কালিয়াগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরেই জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন কার্তিক পাল। মাড়োয়ারি পট্টিতে দোল উৎসবে সামিল হন তিনি। তারপর  কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলোনিতে অবস্থিত প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মূর্তিতে মাল্যদান করেন। দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাহেবঘাটা এলাকায় এক নাবালিকার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের সমাধিস্থলেও মাল্যদান করেন। পাশাপাশি পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। মঙ্গলবার শেঠ কলোনি, মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকায় হোলি খেলার পাশাপাশি চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। পরে, কার্তিকবাবু বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আমার বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সঙ্গে আমারপ মূল লড়াই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share