Tag: tmc

tmc

  • Nadia: ভোটের আগেই বাড়ির কাছে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    Nadia: ভোটের আগেই বাড়ির কাছে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়া থানা এলাকার মোক্তারপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাইদুল সেখ (৩৭)। তিনি তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই খুনের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে কি না তা নিয়ে দলের আন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়া থানা এলাকার মোক্তারপুর গ্রামে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাইদুলসাহেব সক্রিয়ভাবে দলীয় প্রার্থীর হয়ে খেটেছিলেন। মিটিং, মিছিলে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হয়ে তিনি দেওয়াল লিখন শুরু করেছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার অন্যান্য দিনের মতোই কাজে গিয়েছিলেন সাইদুল। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এরপর শুক্রবার রাতেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজতে বের হন। বাড়ির অদূরেই রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কর্মীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, সাইদুলের সারা শরীরে ক্ষত ছিল। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। সাইদুলকে দ্রুত উদ্ধার করে নতিডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় কংগ্রেস আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, পুরনো কোনও শত্রুতাতেই খুন হয়ে থাকতে পারেন সাইদুল। দলের কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এর সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘হিসেব খুললে কেউ মুখ দেখাতে পারবে না’’, বন্ড-ইস্যুতে বিরোধীদের তুলোধনা অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘হিসেব খুললে কেউ মুখ দেখাতে পারবে না’’, বন্ড-ইস্যুতে বিরোধীদের তুলোধনা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলেক্টোরাল বন্ড স্বচ্ছ, এমনই মন্তব্য করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিরোধীদের নিশানা করে তিনি আরও বলেন, ‘‘হিসেব খুললে কেউ মুখ দেখাতে পারবে না।’’ এর পাশাপাশি এই ইস্যুতে রাজ্যের শাসক তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শাহ। রীতিমতো পরিসংখ্যান পেশ করে তুলোধনা করেন বিরোধীদের। ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ-২০২৪’-র একটি মঞ্চে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড পেয়েছে। সব মিলিয়ে ২০ হাজার কোটির বন্ড বিক্রি হয়েছে। তাহলে ১৪ হাজার কোটি টাকার বন্ড কোথায় গেল? তৃণমূল ১৬০০ কোটির বন্ড পেয়েছে, কংগ্রেস ১৪০০ কোটির বনড পেয়েছে, বিআরএস ১২০০ কোটির বন্ড পেয়েছে, বিজেডি ৭৭৫ কোটির বন্ড পেয়েছে আর ডিএমকে ৬৩৯ কোটির বন্ড পেয়েছে।’’

    বিরোধীদের তুলোধনা

    তাঁর (Amit Shah) আরও সংযোজন, ‘‘১৩ রাজ্যে আমরা ক্ষমতায়, লোকসভায় আমাদের ৩০৩ সাংসদ, আমাদের সদস্য সংখ্যা ১১ কোটি। সেই অনুপাতে দেখতে গেলে যদি তৃণমূল যদি আমাদের মতো বড় দল হত, তাহলে তারা যুক্তির খাতিরে ২০ হাজার কোটির বন্ড পেত, বিআরএস পেত ৪০ হাজার কোটির বন্ড আর কংগ্রেস পেত ৯ হাজার কোটির বন্ড। আমার বক্তব্য, ৩০৩ সাংসদের দল হয়ে আমরা ৬০০০ কোটির বন্ড পেয়েছি, আর বাকি ২৪২ সাংসদের দলগুলি পেয়েছে ১৪০০০ কোটির বন্ড।’’

    ইলেক্টোরাল বন্ড ভারতীয় রাজনীতি থেকে কালো ধন (টাকা) হটানোর লক্ষ্যে আনা হয়েছে

    অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, ‘‘ইলেক্টোরাল বন্ড ভারতীয় রাজনীতি থেকে কালো ধন (টাকা) হটানোর লক্ষ্যে আনা হয়েছে। আমাকে কেউ এটা বলুক, ইলেক্টোরাল বন্ডের আগে কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলি চাঁদা পেত? বন্ডে কীভাবে টাকা আসে? সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজের চেক ব্যাঙ্ককে দিয়ে একটি বন্ড কেনে এবং নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে দিয়ে থাকে। এখানে গোপনীয়তার প্রশ্ন উঠছে। আর যখন নগদে চাঁদা আসত, তখন কী হত? সেই সময় কারও নাম প্রকাশ্যে এসেছে?’’

    নিশানা রাহুল গান্ধীকেও

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক লাভ হয়েছে। কারণ বিজেপি ক্ষমতায় আছে… রাহুল গান্ধী তো অভিযোগ করেছেন যে এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মাধ্যম এই ইলেক্টোরাল বন্ড। জানি না, কে রাহুল গান্ধীকে এই ধরনের কথা লিখে দেয় এবং তা তিনি বলেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration scam: কাকদ্বীপে রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার সময় ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা, মিলল তৃণমূল যোগ

    Ration scam: কাকদ্বীপে রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার সময় ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা, মিলল তৃণমূল যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাচারের অভিযোগ তুলে প্রায় দুশো বস্তা রেশন (Ration scam) সামগ্রী হাতেনাতে ধরলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় আটক ২। রেশন সামগ্রী ধরার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার বাপুজি দশ নম্বর চ্যাটার্জিচক এলাকায়। উল্লেখ্য, রাজ্যে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন। একই দুর্নীতির মামলায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ যোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে পাকড়াও হল (Ration scam)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোডাউন থেকে ভ্যান বোঝাই রেশন (Ration scam) সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটি ভ্যান খারাপ হয়ে যায়। তা দেখেই এলাকার বাসিন্দা দীননাথ নাইয়ার সন্দেহ হয়। এপপর তিনি এবং আরও গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে জানতে চান, ভ্যানে মাল কীসের? বস্তা বোঝাই সামগ্রীর সাথে থাকা লোকজন জানায় এই মাল রেশন সামগ্রী, এক গোডাউন থেকে অন্য গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়, এগুলি পাচার করা হচ্ছে।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এলাকাবাসী সুস্মিতা হালদার অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ওই রেশন ডিলার আমাদের কোনও রেশন (Ration scam) দিচ্ছে না। ফলে এই রেশন সামগ্রীগুলো এল কোথা থেকে? গত লক ডাউনের পরবর্তী সময় থেকেই আমাদের প্রাপ্য রেশনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তাই আজকে আমরা আটক করে প্রতিবাদ জানালাম।” এরপরেই রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলে এলাকার মানুষ মালবোঝাই ভ্যান আটক করে খবর দেয় কোস্টাল থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মাল বোঝাই ভ্যান সহ দুজনকে আটক করে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে এলাকাবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে জানা যায়, রেশন ডিলার দীননাথ নাইয়া বাপুজি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ফলে এলাকার মানুষের দাবি, শাসক দলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে এই দুর্নীতিতে।

    বিজপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এলাকার বিজেপি নেতা সুদীপ হালদার বলেন, “এলাকায় বহুদিন ধরে চাল-গম দিচ্ছিল না রেশন ডিলার। আর রাস্তা দিয়ে রেশন নিয়ে যেতেই সাধারণ মানুষ ধরে ফেলে। তৃণমূলের নেতা এই রেশন পাচারের (Ration scam) সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত করলেই মাথা খুঁজে পাওয়া যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন”, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    BJP: “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন”, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিপ্লব মিত্র মন্ত্রী আছেন, মন্ত্রীই থাকুন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সাংসদ হওয়ার পিছনে কেউ ছোটে নাকি? তৃণমূলের অনেকেই চাইছেন সুকান্ত মজুমদার জিতুন। তাই তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাতেও যাচ্ছেন না অনেকে।” এমনই মন্তব্য বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের। বুনিয়াদপুরের সুকান্ত ভবনে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের গরহাজির থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই সভায় বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র নিজের অনুগামীদের দিয়েই ঘর ভরান বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান গরহাজির

    তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন। তাই দলীয় বৈঠকেও যোগ দিচ্ছেন না তাঁরা।” যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সেদিন ব্যক্তিগত কাজে অনেকে সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতেই সুকান্ত ভবনে তৃণমূলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল সহ অনেক নেতা ছিলেন। উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান গরহাজির ছিলেন। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার, প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী সহ বিপ্লব বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাকেই ওই সভায় দেখা যায়নি। গত কয়েক বছর ধরে বিরোধী শিবিরকে কোণঠাসা করার অভিযোগ রয়েছে বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে। তাই লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লববাবু প্রার্থী হতেই শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে বলে এদিন কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত (BJP)।

    কী বলল তৃণমূল, কী জবাব সুকান্তের? (BJP)

    বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “সুকান্তবাবু এবার কয়েক লক্ষ ভোটে হারবেন। তিনি জেলার জন্য কোনও কাজ করেননি। তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী নেই। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী।” এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, “বিপ্লব মিত্র দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। তিনি গত বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছেন, আবার তিনি সাংসদ পদে প্রার্থী হয়েছেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সাংসদ পদের পিছনে কেন ছুটছেন? মন্ত্রী আছেন, মন্ত্রীই থাকুন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত, গোডাউনে সারি সারি গাড়ির হদিশ

    Sandeshkhali: শাহজাহানের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত, গোডাউনে সারি সারি গাড়ির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকালেই বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয় শেখ শাহাজাহানকে। এদিন বিকালে আট দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। শেখ শাহজাহানকে ঘনিষ্ঠ বাকি সাতজনকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। পাশাপাশি এদিন ফের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ায় অভিযান চালায় ইডি। সেখানে একটি গোডাউনে সারি সারি গাড়ির হদিশ পায় ইডি। সন্দেশখালিতে শাহজাহানের মাছের ডেরায় হানা দেয় ইডি।

     গোডাউনে মিলল সারি সারি গাড়ি (Sandeshkhali)

    গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের ডেরায় হানা দেওয়ার সময় এরকম একাধিক গাড়ির সন্ধান পেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ায় সন্ধান মিলল গাড়ির গোডাউনের। শাহজাহানের রাজনৈতিক গুরু মসলিন শেখ হচ্ছেন ওই গোডাউনের মালিক। গাড়ির গোডাউনের মধ্যে রয়েছে চারটি গাড়ি, তার মধ্যে শেখ শাহজাহান ও শেখ আলমগীরের গাড়িও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চারটি গাড়ির মধ্যে রয়েছে একটি হুডখোলা গাড়িও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির এই গোডাউনের মালিক মসলিন শেখের হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন শেখ শাহজাহান। সেই মসলিন শেখের গোডাউনেই এই বিলাসবহুল গাড়িগুলির সন্ধান পান ইডির অফিসাররা। এদিন সকাল থেকেই সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় অভিযান চালাচ্ছে ইডির তদন্তকারী দল। শাহজাহানের মাছের যে কারবার ছিল, সেই ডেরায় এদিন ইডি হানা দেয়। বেশ কিছু তথ্য পায়।

    আরও পড়ুন: পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শাহজাহান, উত্তম ও শিবুদের বাঁচাতে, বিস্ফোরক অর্জুন

    গুপ্তধনের সন্ধানে ইডি!

    এই গাড়ির গোডাউনটির চাবি পেতে গিয়েও শুরুতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল ইডির। পরবর্তীতে ওই গোডাউন সংলগ্ন একটি দোকান থেকে সেই চাবি পান ইডির অফিসাররা এবং গোডাউন খুলতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক সারিবদ্ধ গাড়ি। কিন্তু, কী কারণে এই গাড়িগুলিকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখে দেওয়া হয়েছিল সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এগুলি কি শুধুই গাড়ি, নাকি এর মধ্যে কোনও গোপন নথি-পত্রেরও খোঁজ পাওয়া যেতে পারে? আপাতত সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে গুপ্তধনের সন্ধান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শাহজাহান, উত্তম ও শিবুদের বাঁচাতে, বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শাহজাহান, উত্তম ও শিবুদের বাঁচাতে, বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাতেই দিল্লির উদ্দেশে তিনি রওনা দেবেন। তার আগেই বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সন্দেশখালির শাহজাহানের সঙ্গে পার্থর সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আর নৈহাটিতে ইডি অভিযান হবে বলেও ইঙ্গিত দিলেন বারাকপুরের সাংসদ।

    পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে শাহজাহান যোগ! (Arjun Singh)

    সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় বিঘার পর বিঘা জমি, একের পর এক ভেড়ি, প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে শেখ শাহজাহানের। এটা সকলের কমবেশি জানা। ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সিবিআই হেফাজতে থাকা সন্দেশখালির সেই শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ টেনে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, “নৈহাটিতে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিঘার পর বিঘা জমি কেনা রয়েছে। পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাদের বাঁচাতে। ওদের সম্পত্তির সঙ্গে বিধায়ক যুক্ত কিনা, সেটা দেখতে হবে। যতদুর জানি, মামুদপুর, পলাশী মাঝিপাড়া এবং জেটিয়া এলাকায় শাহজাহানের প্রচুর জমি রয়েছে। আর রাজারহাটে ১৩ বিঘা জমি শেখ শাহজাহানের সঙ্গে কার নামে রেজিস্টারি আছে তার প্রমাণ আর কিছুদিনের মধ্যেই দিয়ে দেবো। ২০২৪-এ লোকসভায় বিজেপি যদি আমাকে প্রার্থী করে তাহলে আমি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝিয়ে দেব। “এরপরই তিনি বলেন, “নৈহাটিতে খুব শীঘ্রই ইডি আসছে। আপনারা দেখতে পাবেন।” তবে, ই়ডি নৈহাটিতে কোথায় যাবেন তা তিনি খোলসা করেননি। শাহজাহানের সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেও দাবি অর্জুনের।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত, গোডাউনে সারি সারি গাড়ির হদিশ

    কী বললেন পার্থ?

    নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকই বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন অর্জুন। কেন লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরেও দেন তিনি। অর্জুন (Arjun Singh) ফের বিজেপিতে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্তও নেন। আর তারপরই পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুনের। যদিও পার্থ ভৌমিক অর্জুনের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “এতদিন কেন একথা বললেন না? আর দলের নির্দেশ মেনেই সন্দেশখালি গিয়েছিলাম।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূলে মোহভঙ্গ! কেষ্ট গড়ে বহু সংখ্যালঘু পরিবার যোগদান করল বিজেপিতে

    Birbhum: তৃণমূলে মোহভঙ্গ! কেষ্ট গড়ে বহু সংখ্যালঘু পরিবার যোগদান করল বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই কেষ্ট গড়ে ধাক্কা খেল তৃণমূল। তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বীরভূমে (Birbhum) শক্তি বাড়াল বিজেপি। ভোটের মুখে বহু সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করলেন। স্বাভাবিকভাবে বিজেপি কর্মীরা উজ্জীবিত।

    তৃণমূল দলটাতে শুধুই দুর্নীতি (Birbhum)

    বীরভূম (Birbhum) জেলার দুবরাজপুর পুরসভার ৭, ৯, ১০, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ টি সংখ্যালঘু পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। এদিন দুবরাজপুর শহর মণ্ডল বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা। এদিনের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক টুটুন নন্দী, সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি মোতাহার খান, সহ সভানেত্রী রুবিনা বিবি, টিকলু খান, শহর মণ্ডল সভাপতি করুণাময় মুখোপাধ্যায়, গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতি শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মহম্মদ হামিদ খান ওরফে ভাসান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করে আসছি। কিন্তু, আমরা তৃণমূল দলে থেকে কিছু পাইনি। তৃণমূল দলটাতে শুধুই দুর্নীতি। বেকার ছেলেরা কিছু পায় না। আমার সঙ্গে যাঁরা বেকার ছেলেরা রয়েছে তাঁদেরও কিছু দেয়নি এই তৃণমূল দল। তাই, আমরা বিজেপিতে যোগদান করলাম। যদিও বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলতে চাননি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি-র বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, দুবরাজপুর পুরসভার ৪ টি ওয়ার্ডের ২০ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। তৃণমূল দলে যাঁরা এতদিন ছিল এবং ভেবেছিল দল তাঁদের পাশে থাকবে। কিন্তু, তা হয়নি। কারণ, দুবরাজপুর শহরের নেতারা যে ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা দুর্নীতি করছে তাতে মানুষ সোচ্চার হয়েছে। তৃণমূলে মোহভঙ্গ হয়েছে। তারজন্যই বিজেপিতে যোগদান করছে। আগামীদিনে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগদান করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipur Duar: “মনোজ আমার ভাই, আমি ওঁর অভিভাবক”, নির্বাচনী প্রচারে আশ্বাস জন বার্লার

    Alipur Duar: “মনোজ আমার ভাই, আমি ওঁর অভিভাবক”, নির্বাচনী প্রচারে আশ্বাস জন বার্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে নামবেন আলিপুর দুয়ারে (Alipur Duar) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা (John Barla)। উল্লেখ্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যের মোট ২০টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে। ইতি মধ্যে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং প্রচারে নেমে পড়েছেন। নিজের কেন্দ্রে টিকিট না মেলায় প্রথমে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও এরপর দলের হয়ে প্রচারে নামার আশ্বাস দেন জন বার্লা। তিনি বলেন, “দলের নির্দেশে কাজ করব।”

    কী জানালেন বার্লা (Alipur Duar)?

    আলিপুর দুয়ার (Alipur Duar) জংশন স্টেশন সংলগ্ন একটি রেলের অনুষ্ঠানে যোগদান করে জন বার্লা (John Barla) বলেন, “আমার পরিবার মোদি পরিবার। আমার পরিবার বিজেপির পরিবার। এত বড় পরিবারে কখনও কখনও তু তু ম্যায় ম্যায় বা মন কষাকষি হতেই পারে। পরিবারে কিছু হলে সমালানোর দায়িত্ব আমার। মনোজ আমার ভাই, আমি ওঁর অভিভাবক। দলের সকল প্রার্থীর জন্য প্রচার করব। মনোজ সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে জয়ী হবে। আগামী দিনে এই এলাকা আমি সামলাবো। এই এলাকার উন্নয়ন জন বার্লাই করবে।”

    বিজপির বক্তব্য

    বিজেপির ফালাকাটার বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ বলেন, “বিজেপি কোনও নেতাকে ছুঁড়ে ফেলে না। জন বার্লাকে নিশ্চয়ই কোনও বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে।” বিজেপির একাধিক নেতা আরও বলেন, তাঁকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন। তবে দিল্লি যাওয়া নিয়ে বার্লা (John Barla) নিজে কিছু না বললেও বিজেপ সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।

    মনোজ টিগ্গার বক্তব্য

    আলিপুর দুয়ার (Alipur Duar) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, “জন বার্লা (John Barla) আমার অবিভাবক, এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে জয়ী করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।” অপর দিকে তৃণমূলের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “বিজেপিকে হারাতে আমরা সব রকম চেষ্টা করব। এই চা বাগান পরিমণ্ডলে এই বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একদম সত্য।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতর থেকে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত নিপীড়িত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিষ্টান, শিখ, পারসি ধর্মের মানুষেরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিএএ-এর বিরুদ্ধে নিজের বিভ্রান্তিকর মতকে প্রচার প্রসার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই বার মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি ইস্তফা দেব।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সিএএ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপপ্রচার করছেন। সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে আইনকে ভুল ব্যাখ্যা করছেন। এই নিয়ে তাঁকে তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ একই ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “জাতীয় নিরপাত্তার বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেত্রী রাজনীতি করছেন। আপনি তোষণের রাজনীতি করছেন। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে না চাইলে আপনার পাশে কেউ থাকবে না। সিএএ চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবো। না হলে আপনি দেবেন তো? সিএএ লাগু হয়েছে কাউর নাগরিকত্ব যাবে না।”

    উদ্বাস্তু মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে অপপ্রচার

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধিতা করেছেন বলে মমতাকে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। মমতা হাবড়ার সভা থেকে বলেন, “সিএএ-এর সঙ্গে এনআরসি যুক্ত। আপনারা আবেদন করলেই নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে। এটা এনআরসির সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনাদের ডিটেনশেন ক্যাম্পে নিয়ে যাবে। এই আবেদন করতে গেলে বারবার ভাববেন।” উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের আমলে সংসদে রাজ্যের অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে পার্লামেন্টে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সিপিএম বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে রাজ্যে সরকার গড়ে, এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার আগে উদ্বাস্তু মতুয়া নাগরিকদের নাগরিকত্ব নিয়ে কথা বললেও, মা মাটির সরকার গঠনের পর নাগরিকত্ব নিয়ে একবারে উল্টো মেরুতে অবস্থান করছেন বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    Arjun Singh: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কথা দিয়ে কথা রাখেনি তৃণমূল।” বারাকপুর লোকসভায় পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণার পরই প্রকাশ্যে সেকথা বলেছিলেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং (Arjun Singh)।  পরে, পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তবে, কোন দলের হয়ে তিনি ভোটে লড়াই করবেন তা নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি। তাঁর হুঁশিয়ারি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন অর্জুন।

     

    বিজেপিতে অর্জুন! (Arjun Singh)

    ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরই দলের প্রতি ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন অর্জুন (Arjun Singh)। পরে, ভাটপাড়ার মজদুর ভবন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগানো হয়। তারপর থেকেই একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, অর্জুন বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন। তবে, অর্জুন প্রকাশ্যে তা বলেননি। বৃহস্পতিবার অর্জুন সিং বলেন, “তৃণমূলে ফেরা আমার ভুল ছিল। আমি আর তৃণমূল করব না। আমি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছি। দুপুরের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, কলকাতা বা দিল্লিতে যোগ দিতে পারি। আমি শুধু একা নই, তৃণমূলের বড় একা নেতা আমার সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। পাশাপাশি বারাকপুরের বহু তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগদান করবেন। তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তৃণমূলের বহু পুরানো কর্মী বসে গিয়েছেন, তাঁরা সকলে বিজেপিতে চলে আসবেন। আর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি দল ঠিক করবেন।”

    মমতাকে বিঁধলেন অর্জুন

    বুধবারই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুন (Arjun Singh) প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, “ও তো এখনও বিজেপিরই সাংসদ”। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকেই এদিন টেনে এনেছেন বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ। ২০১৯ সালে তৃণমূলের টিকিট না পেয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অর্জুন। বারাকপুর থেকে জয়ীও হন। জিতে আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। এরপর মমতার এই মন্তব্যে এদিন অর্জুন বলেন, “আমি ব্রিগেডের মঞ্চে ছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাকে শুনতে হল আমি বিজেপির সাংসদ। তা হলেই বুঝুন তৃণমূল দলটার কী অবস্থা!” বৃহস্পতিবার রাতের বিমানেই রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশে। দিল্লিতে গিয়ে শুক্রবার যোগদান করবেন পদ্ম শিবিরে। তারপরে ওইদিনই ফিরে আসবেন বাংলায়। নতুন করে শুরু করবেন কাজ। তবে, বারাকপুরে তিনি বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়বেন কি না তা তাঁর দল অর্থাৎ বিজেপিই ঠিক করবে বলে জানালেন অর্জুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share