Tag: tmc

tmc

  • South 24 Parganas: মৃত বৃদ্ধার বার্ধক্যভাতার টাকা মাসের পর মাস তুলে নেওয়া হচ্ছে! কাঠগড়়ায় তৃণমূল

    South 24 Parganas: মৃত বৃদ্ধার বার্ধক্যভাতার টাকা মাসের পর মাস তুলে নেওয়া হচ্ছে! কাঠগড়়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মাসের পর মাস উঠে যাচ্ছে বার্ধক্য ভাতার টাকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দির বাজার বিধানসভার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত হাতছাড়়া হতেই এই দুর্নীতি সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,  মৃত বৃদ্ধার নাম অনুমতি হালদার। তাঁর বয়স ৭৫ বছর। ২০২০ সালের ৪ঠা জুন তাঁর মৃত্যু হয়। সেই মর্মে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে  প্রতিমাসেই বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে নেওয়া হয়। আর যা দেখে চক্ষু চরক গাছ তার পরিবারের লোকেদের। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিতে দুর্নীতির আঁতুরঘর, এমনটাই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। জানা গিয়েছে, এতদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড ছিল। গত পঞ্চায়েতে বিরোধী জোট পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে। স্থানীয় এক ব্যক্তি আরটিআই করেন। আর তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় সমস্ত বিষয়টি। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    অনুমতি হালদার হালদারের নামে শুধুমাত্র একটি বার্ধক্য ভাতার অ্যাকাউন্ট নয়। রয়েছে দু দুটি বার্ধক্য ভাতার অ্যাকাউন্ট। একটিতে তাঁর নামের সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া থাকলেও অন্যটিতে তাঁর নামের পাশে অ্যাকাউন্ট নম্বরটি অন্যজনের। কিন্তু সেই নম্বরটি কার তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। মৃতের ছেলে সঞ্জীবন হালদার বলেন, এই বিষয় নিয়ে সঠিক তদন্ত হোক। কে বা কারা আমার মায়ের নাম করে দুটি  অ্যাকাউন্ট থেকে দিনের পর দিন টাকা তুলছে তার অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা মোহন হালদার বলেন, এই সমস্ত কিছুই হয়েছে তৃণমূলের বোর্ডে। সেই সময়ে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব থাকা প্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির মদতে এসব দুর্নীতি হয়েছে। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় পাইক বলেন, এখনও আমাদের কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। এমন যদি হয়ে থাকে তার সঠিক তদন্ত করা হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: আজ ফের সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Sandeshkhali: আজ ফের সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, কথা বলবেন গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে। গতকাল শুক্রবারের পর শনিবারেও সন্দেশখালিতে যাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্প্রতি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমেছেন। একাধিক বার অগ্নি সংযগের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। বিজেপি বার বার মানুষের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছে।

    নিপীড়িতদের বক্তব্য শুনবে কমিশন (Sandeshkhali)

    গতকাল শুক্রবার মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়েছিলেন। শুনেছেন নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য। আজ শনিবার ফের একবার সকাল ১১ টায় একটি লঞ্চে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা। মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কমিশন যে উদ্বিগ্ন, তা স্পষ্ট। এর আগেও সেখানে গিয়েছিল জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। যদিও তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলাদের অভিযোগের কথা শুনে গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা। এই অত্যাচার, নিপীড়ন, গণধর্ষণ ও সেই সঙ্গে প্রশাসনের আইনের শাসন না থাকায় জাতীয় তফশিলি কমিশন এবং জাতীয় মাহিলা কমিশন – উভয়পক্ষ রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে। একই ভাবে আবার রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন এলাকা পরিদর্শনে যায়। এই দলে ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস। পরামর্শদাতা ছিলেন সুদেষ্ণা রায় সহ মোট ছয়জনের প্রতিনিধি। তাঁরাও গ্রামে ঘুরে ঘুরে এলাকা পরিদর্শন করেন। ইতিমধ্যে আবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশনের যাওয়ার কথা জানা গিয়েছে।

    ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি

    তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের কারণে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। গত ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায়। এরপর এলাকার দুষ্কৃতীরা তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণ করে। আর এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক হন শেখ শাহজাহান। এরপর এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, বাড়ির বউদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে পথে নামেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান বিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রামে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি

    Sandeshkhali: শাহজাহান বিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রামে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলন দমাতে সন্দেশখালিতে আরও সক্রিয় হল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আপাতত বেড়মজুর এলাকার কাঠপোলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তিনটি সিসি টিভি। আন্দোলনকারীদের ওপর নজরদারি করার জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। শনিবার সকাল থেকে থেকে কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন রয়েছে গ্রামে।

    দুয়ারে ক্যাম্প! (Sandeshkhali)

    শাহজাহান বাহিনী সন্দেশখালি জুড়ে তাণ্ডব করে বেড়াত। গ্রামবাসীরা সাহস করে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হত। অভিযোগ নেওয়া হত না। এমনই অভিযোগ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এখন গ্রামে ক্যাম্প করে অভিযোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, আগে পুলিশ এই পদক্ষেপ নিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই রুপ রাজ্যবাসীকে দেখতে হত না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হওয়ার কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। এখন ঠেলায় পড়ে পুলিশের টনক নড়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে থানার আইসি, এসডিপিও এবং বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সন্দেশখালিতে রয়েছেন। ডিআইজি বলেন, এদিন বেড়মজুর গ্রামে ক্যাম্প করা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি গ্রামগুলিতে  ক্যাম্প করে অভিযোগ জমা নেওয়া হবে। যে কোনও ধরনের অভিযোগ জানানো যাবে ক্যাম্পে। তার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি ক্যাম্পে একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। এছাড়াও থাকবেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।  দু-তিনজন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

     শাহজাহান অনুগামীদের ওপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির কাছারি এলাকায় শাহজাহান শেখের এক ‘অনুগামী’র মাছের ভেড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বেড়মজুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও হাতে লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা। দখল হয়ে যাওয়া জমিজমা ফেরতের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি,শাহজাহানকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বেলার দিকে পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ একাধিক জনকে আটক করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: দুধের শিশুকে সপাটে গালে চড়, অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ

    Hooghly: দুধের শিশুকে সপাটে গালে চড়, অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের দুধের শিশুকে গালে কষিয়ে চড় মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেত্রী আবার অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের শিক্ষিকা। কর্মী। ওই শিক্ষিকার মারে ওই ছোট্ট গালে পাঁচ আঙুলের ছাপ পড়ে যায় বলে অভিযোগ। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরের বড়া বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Hooghly)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর নাম যাদবী ঘোষ। তিনি হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। অন্যান্য দিনের মতো এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আসে। অভিযোগ, শুক্রবার স্কুল চলাকালীন তিন বছরের ওই পড়ুয়ার গালে চড় মারেন অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের শিক্ষিকা। এতটাই জোরে ওই শিশুটির গালে তিনি মেরেছেন যে কিছুক্ষণের জন্য সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিভাবকরা সেখানে জড়ো হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা তথা তৃণমূল নেত্রীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর বক্তব্য, তৃণমূল নেত্রী বলে তিনি নিজের দায়িত্ববোধ ভুলে গিয়েছেন। তিন বছরের দুধের শিশুর গায়ে এভাবে কেউ হাত তোলে। যদিও ছেলেটা দুষ্টুমি করে বা পড়া না পারে তারজন্য এভাবে কাউকে মারধর করা উচিত। আমরা ওই নেত্রীর কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এরপর এলাকার মানুষ থানায় খবর দেন।

    তৃণমূল নেত্রী কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেত্রী যাদবী ঘোষ বলেন, এখানে ৬ মাস কাজ করছি। কেউ আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনতে পারবে না। আর এখানে আমি তৃণমূল নেত্রী নয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা। ছাত্রকে মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এরকম অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। এ কাজ আমি করিনি। করতে পারি না। এটা ইচ্ছা করে করা হচ্ছে। তবে, তারা কেন করছে না আমি বুঝতে পারছি না। সমস্ত পড়ুয়াদের আমি ভালোবাসি।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কংগ্রেস প্রধানের স্বামীকে হাসুয়া দিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি কোপ!

    Malda: কংগ্রেস প্রধানের স্বামীকে হাসুয়া দিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি কোপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস প্রধানের বাড়িতে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সশস্ত্র আক্রমণ। উভয় পক্ষের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদার (Malda) কালিয়াচক। শুক্রবার সকালে তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায় কংগ্রেস প্রধানের বাড়িতে। কালিয়াচকের সিলামপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান ফিরোজা বিবির স্বামী নাসিরুদ্দিন শেখ ও দুই ভাইকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তবে ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Malda)?

    গতকাল বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে প্রধান ফিরোজা বিবি ও তাঁর স্বামী পঞ্চায়েতের অডিট করাতে কলকাতা গিয়েছিলেন। এরপর ওই দিন রাতেই কলকাতা থেকে বাড়ি (Malda) ফেরেন তাঁরা। পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁদের বাড়ির সদর দরজায় কয়েকজন ধাক্কা দেয়। এরপর দরজা খুলতে বলে ওই অজ্ঞাত পরিচিতেরা। ঠিক দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির লোকজনের ওপর হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। ঠিক এমনটাই অভিযোগ করে বলেন কংগ্রেস প্রধান। ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা হল মুকুল শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, ইব্রাহীম শেখ, জলিল শেখ, ফারিদুল। তারা প্রত্যেকে এলাকার তৃণমূল কর্মী। একই ভাবে বাড়ির গেট ভাঙচুর এবং ব্যাপক লুটপাঠ চালায় বলে অভিযোগও উঠেছে।

    কংগ্রেস প্রধানের অভিযোগ

    কংগ্রেসে প্রধান ফিরোজা বিবি বলেন, “বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা আমার স্বামী নাসিরুদ্দিনকে হাসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। বাঁচাতে ছুটে যাই আমি এবং স্বামীর দুই ভাই। এরপর দুষ্কৃতীরা আমাদের উপরও হামলা চালায়। একের পর এক তিনজনকেই কোপ দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় আশেপাশের স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যায় সিলামপুর গ্রামীন হাসপাতালে। কিন্তু স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় চিকিৎসকেরা মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন। ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর শাস্তি চাই।”

    ব্লক কংগ্রেস প্রধানের বক্তব্য

    ব্লকের (Malda) কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “আমাদের প্রধানের দাদু মানসিক রোগী। তাঁকে ঘিরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে আচমকা আক্রমণ করে। এরপর গলায় কোপ মারতে গিয়ে মাথায় আঘাত করে প্রধানের স্বামীর। মাথায় ৮টি শেলাই পড়েছে তাঁর। বর্তমানে তাঁর অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক। পুলিশের কাছে আমরা অভিযোগ জানাবো। তবে পুরাতন কোনও শত্রুতার জন্য এই ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ বা একশো দিনের কাজ নয়, এবার অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ সামনে এলো রাজ্যে। আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতির পর এবার কেন্দ্রের বরাদ্দ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় নয়ছয় হয়েছে। আর এই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা ব্লকে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। যদিও বিডিও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিজেপি। অপর দিকে পালটা তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। কিন্তু ফের একবার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    মূল অভিযোগ কী (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় (South 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানা ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি নয়ছয় হয়েছে। এই অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্লকের নামখানা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা স্নেহাশিস গিরি। তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে ব্লকের নামখানা, বুধাখালি, হরিপুর, শিবরামপুর ও নারায়ণপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলে ২০২২-‌২৩ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। অর্থ কমিশনের টাকা এলাকার রাস্তা, নিকাশি এবং পানীয় জলের প্রকল্পে খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজের টেন্ডার এবং লেনদেনে মোট ১৬৫টি বেনিয়ম হয়েছে।” এবার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এলাকার বিডিও। যদিও ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব দুর্নীতি মানতে নারাজ।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার জেলা সম্পাদক বিপ্লব নায়েক বলেন, “এই যোজনার টাকা সবটাই লুট হয়েছে। অবিলম্বে চোরেদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিডিও দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে তৃণমূলেরই পক্ষ নিয়েছেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নামখানার (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা অভিষেক দাস এই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে বলেছেন, “পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকাকে প্রকল্পের প্রতিটি ধাপে নিয়ম মেনে কাজের জন্য খরচ করা হয়েছে। কোনও অভিযোগের বাস্তব ভিত্তি নেই। তদন্ত হলে সত্যতা প্রমাণ হবে।”     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর, বিক্ষোভ দমাতে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ডিজি-র

    Sandeshkhali: ফের শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর, বিক্ষোভ দমাতে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ডিজি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় যারা গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও জ্বলছে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকায় লাঠি, বাঁশ-হাতে রাস্তায় নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি, তোয়েব মোল্লাদের বিরুদ্ধে জনরোষ আছড়ে পড়ল।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর (Sandeshkhali)

    শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে অশান্ত হতে শুরু করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। গ্রামবাসীদের জমি দখল করে ভেড়়ি করা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তোয়েবের বিরুদ্ধে জনতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভেড়ির আলাঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে, সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর। বেড়মজুর এলাকার মানুষের অভিযুক্তদেরও তালিকায় প্রথম নাম রয়েছে তাঁর। শুক্রবার সকালে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতেই হামলার অভিযোগ ওঠে। বেড়ার পাঁচিল ভেঙে ফেলা হয়।  বাড়ির ভিতর ঢুকেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, একুশের নির্বাচনের পর থেকে ওই তণমূল নেতার দলবল আমাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছে। বাড়িঘর দখল করেছে, জমি দখল করেছে, প্রতিবাদ করলেও মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে ব্যাপক মারধরও করা হয়েছে। এবার সেই ক্ষোভই আছড়ে পড়ল তৃণমূল নেতার পরিবারের ওপর। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূলনেতার স্ত্রীর বক্তব্য,  “আমার স্বামী কিচ্ছু করেনি। কোনও ভাঙচুর করেনি। সব ওরা গায়ের জোরে করছে। শাহজাহান শেখের সঙ্গে দল করে, এটাই ওদের রাগ।” আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “গ্রামবাসীদের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে আইনের শাসন মেনে নেব।

    সন্দেশখালিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি

    এদিকে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করল বসিরহাট জেলা পুলিশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি বলেন, আইন হাতে তুলে নেবেন না। যা অভিযোগ রয়েছে, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এদিন বেড়মজুরে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন। জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে গ্রামবাসীদের কথা বলিয়ে দেন।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান (Sheikh Shahjahan), তোমাকে জানাই স্যালুট, সুশীল নাগরিকবৃন্দ’। এমনই পোস্টার লক্ষ্য করা গেল কংগ্রেসের কার্যালয়ে। গত বুধবার পার্টি অফিসের সামনে পাঁচিলের লোহার গ্রিলে লাগানো এই পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার শহরের মধ্যেই। পোস্টারের এমন ব্যঙ্গাত্মক টিপ্পনী দেখে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, এই বিষয়ে দলের কোনও ভূমিকা নেই। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি দেড় মাস পরে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেও এখনও গ্রেফতার হননি শাহজাহান। উল্টে আরও নটি জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দত্ত বলেন, “আমাদের জেলার দলীয় দফতরটি শহরের এমন একটি স্থানে যে সেখানে অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তবে এই পোস্টারের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আলিপুরদুয়ার শুধু নয়, গোটা বাংলার মানুষের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় জেলার তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের সঙ্গে এই রাজ্যে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের পার্টি অফিসে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) এই ধরনের পোস্টার এবং ব্যানার অত্যন্ত অনভিপ্রেত। কংগ্রেস বিজেপির হয়ে কাজ করছে। শাসক দলকে বদনাম করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় আলিপুরদুয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের শাসনে রয়েছে। তৃণমূল চাইলে পুলিশকে দিয়ে সন্ধান করুক এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে। শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ঘিরে ব্যানার এবং পোস্টারে স্পষ্ট হয়েছে যে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষুব্ধ। আর তাই তৃণমূল ভয় পেয়ে সব কিছুর মধ্যে বিজেপির ভূত দেখছে। ওই দুষ্কৃতীর গ্রেফতার চাই।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

    Sandeshkhali: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার বাধা দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। শুক্রবার সন্দেশখালি পথে রওনা দেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতৃত্ব সন্দেশখালির পথে এদিন রওনা দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোজেরহাট এলাকায় দিয়ে তাঁদের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা। ভোজেরহাট এলাকায় পুলিশ তাঁদে বাধা দেয়। আর মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি যেতে পারেননি। বিজেপি-র প্রতিনিধিদের যখন ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তখন সন্দেশখালি জ্বলছে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথাও বলেন।

    শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘরে আগুন (Sandeshkhali)

    বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের মাছের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার  কাছাড়ি এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তৈয়েব খানের মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়ে খাক। স্থানীয়দের বক্তব্য, তৈয়েব এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি করেছিলেন। কাউকে কোনও টাকাপয়সা দেননি। চাইতে গেলে হুমকি দিতেন। ফলে, বহুদিন ধরেই শাহজাহানের এই অনুগামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা়ড়ছিল। শুক্রবার কার্যত বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, শাহজাহানের পাশাপাশি তাঁর অনুগামীরাও এলাকায় তাণ্ডব চালাত। ভয়ে আমরা কেউ কথা বলতে পারতাম না। নিজেদের স্বার্থের তারা জমি দখল করে রাখত। ইডি-র ওপর হামলার পর শাহজাহান ফেরার হয়ে যায়। তাঁর অনুগামীরাও সব বেপাত্তা হয়ে যান। এর আগে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন মহিলারা। শাহজাহানের ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এতদিন অসহায় গ্রামবাসীরা যে  অত্যাচার চালিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন এলাকাবাসী। আলঘর পুড়িয়ে দিয়ে শাহজাহান অনুগামীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। যদিও পরে, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করা, মাছচাষের জলাশয় দখল করা এবং বাড়ির সুন্দরী বউ থাকলে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে রাতভর অত্যাচার, নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার তাঁদেরই অভিযোগ এবং আন্দোলনের চাপে শেখ শাহজাহানের নামে দখল করা খেলার মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্লাজ শুরু করল প্রশাসন। খেলার মাঠ দখল করার পর অনুগামীরা নাম রেখেছিল ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নামের উপর চুনকাম করে দেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে এদিনই ফের আগুন জ্বলল সন্দেশখালিতে। শাহজাহানের ভাই সিরাজের ভেড়ির আলাঘরে আচমকাই কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের সেই ক্ষোভের আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় আলাঘর। কারণ শাহজাহানের মতো তাঁর ভাই সিরাজুদ্দিনও নাকি অন্যের জমি জোর করে দখলে ছিল সিদ্ধহস্ত। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাসিন্দারা। যদিও কেউ কেউ বলছেন, আগুন লাগিয়েছে শাহজাহানেরই অনুগামীরা। 

    পুলিশের উপস্থিতিতে মাঠ ফেরানো হয় (Sandeshkhali)

    একটা সময় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সব থেকে বড় মাঠের নাম ছিল ঋষি অরবিন্দ মিশন ময়দান। এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এই মাঠ ছিল প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু টুর্নামেন্টের নাম করে বিরাট মাঠকে দখল করে নেয় শেখ শাহজাহানের বাহিনী। এলাকার মানুষের আন্দোলনের চাপে অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার, পুলিশের উপস্থিতিতেই মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নাম মুছে দেওয়া হয়। এলাকার মাঠ আবার ফিরে পাওয়ার আশায় অত্যন্ত খুশি এলাকাবাসী।

    এলাকার মানুষের দাবি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের দাবি, “শাহজাহান-উত্তম-শিবুরা এলাকায় সাম্রাজ্য বিস্তার করে রেখেছে। সরকারি জমি, খেলার মাঠ, বিঘার পর বিঘা চাষের জমি দখল করে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়ার ভেড়ি নির্মাণ করেছে তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, তোলাবাজি এবং অত্যাচারের সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে তারা।” তবে আজ মাঠ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকার মানুষ একত্রিত হন। সেই সঙ্গে মাঠে লাগানো হয় চারাগাছ। গ্রামের মানুষ বলেন, “ছিল খেলার মাঠ, কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডারা দখল করে নেয়। মাঠে কেউ ঢুকতে পারত না, সব সময় তালা মারা থাকত।” এবার এই মাঠ দখলমুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু মূল অভিযুক্ত পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share