Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Suvendu AdhikarI: “কাঁথি-তমলুক বিজেপি জিতছে”, দিনভর তদারকি করে প্রত্যয়ী শুভেন্দু

    Suvendu AdhikarI: “কাঁথি-তমলুক বিজেপি জিতছে”, দিনভর তদারকি করে প্রত্যয়ী শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের গড় নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhijari)। তমলুক লোকসভার মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রাম। এই লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। এই আসনটি এবার বিজেপি-তৃণমূলের মানরক্ষার লড়াই। এমনকী নন্দীগ্রামে দিন কয়েক আগে ভোটপ্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক বদলার হুমকি দিয়ে আসেন। ফলে, এই আসনটিকে তিনি যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন তা বলাবাহুল্য। তবে, ভোট পর্ব শেষে এই আসনে বিজেপি বাজিমাত করতে চলেছে। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    কাঁথি ও তমলুক বিজেপি জিতছে! (Suvendu Adhijari)

    শনিবার সকালে ভোট দিয়ে নন্দীগ্রামে নিজের দলীয় কার্যালয়ে বসে দিনভর ভোটের তদারকি করেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhijari) । ভোটগ্রহণ শেষে তিনি বলেন, ‘কাঁথি ও তমলুক বিজেপি জিতছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় লোকসভায় যাচ্ছেন।’ এমনিতেই ভোটের দুদিন আগে নন্দীগ্রামে বিজেপির মহিলা কর্মীকে খুনের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অন্যদিকে, ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য দাবি করেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সোনাচূড়ায় ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ভিডিও পোস্ট করে এই দাবি করেন তিনি। অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে কমিশনের তরফে জানানো হয়, ওই বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই খারাপ ইভিএম বদলানোর কাজ করছিলেন কমিশনেরই কর্মীরা। তাকেই ছাপ্পা হচ্ছে বলে পোস্ট করেছেন দেবাংশু। সঙ্গে, কী করে কমিশনের লাইভ স্ট্রিমিয়ের ফুটেজ দেবাংশু পেলেন তার তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। মূলত, ছাপ্পার অভিযোগ করে মুখ পুড়েছে বিজেপি প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    নন্দীগ্রামে বসেই মনিটরিং শুভেন্দুর              

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামে বসেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhijari) তমলুক লোকসভার একাধিক বিধানসভা তিনি মনিটরিং করেন। আর দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এলাকা চষে বেড়়ান। কোথায় কোন এজেন্ট বসবে, বুথ ক্যাম্পে কর্মীদের জমায়েত সবই নিজে হাতে তদারকি করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুধু, তমলুক নয়, কাঁথি আসনও ছিল তাঁর পাখির চোখ। ফলে, ভোটের শেষে দুটি কেন্দ্রে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছে তাঁর চোখে মুখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Keshpur: “কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা”, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন হিরণ

    Keshpur: “কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা”, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। তাই, ভোটের আগের দিন রাত জেগেছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। একাধিক এলাকায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন। আর সকাল হতেই কেশপুরে (Keshpur) গড় সামলাতে তিনি ছুটে যান। কিন্তু, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর প্রবল বাধায় তিনি কেশপুর এলাকায় ঘুরে বেড়াতে পারেননি। গোটা বিধানসভা জুড়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে তৃণমূলের মস্তানবাহিনী। বুথে বুথে চালিয়েছে লুঠতরাজ। এমনই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ষষ্ঠ দফার ভোটদানপর্ব শেষ হতে না হতেই কেশপুর বিধানসভা এলাকায় পুনর্নির্বাচন দাবি করলেন ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ বলেন, ‘এটা দেখে পশ্চিমবঙ্গ মনে হচ্ছে না কি? কেশপুরকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

    দিনভর অশান্তি কেশপুরে (Keshpur)

    শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই অশান্ত হয়ে ওঠে কেশপুর (Keshpur)। রাস্তায় অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিজেপি প্রার্থী হিরণের গাড়ি রুখে দেয় তৃণমূল। হিরণের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। এমনকী গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন অনেকে। লাঠি হাতে বিজেপি প্রার্থীকে রুখে যান তৃণমূল কর্মীরা। তবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় হামলা চালাতে পারেননি। তবে, দফায় দফায় কেশপুরে চরম বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় বিজেপি প্রার্থীকে। শুধু তৃণমূল নয়, পুলিশও নানা অছিলায় বিজেপি প্রার্থীকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে দিনভর অশান্ত ছিল কেশপুর।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা, পুনর্নির্বাচন দাবি

    এই পরিস্থিতির জন্য দিনের শেষে ক্ষোভ উগরে দেন হিরণ। তিনি বলেন, “এটা ভোট হয়েছে না কি? এখানে তো পাগলু ড্যান্স হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে, লাঠি নিয়ে পাগলুরা ডান্স করেছে। ওরা জানে, এভাবে ভোট না করালে ওরা জিততে পারবে না। আসলে মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। তাই, বুথে বুথে ওদের বাহিনী লুঠ চালিয়েছে। আমাকে বিক্ষোভ দেখিয়ে বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আসলে এটা পশ্চিমবঙ্গ বলে মনে হচ্ছে না। পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে। আমরা কেশপুরে (Keshpur) পুনর্নির্বাচন দাবি করছি। কমিশনকে আজই দাবি জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকপোল করতে আসা বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবারে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) ফকির চাঁদ কলেজে চলছিল মকপোল। আর সেই সেখানেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের হয়ে মকপোল করতে আসেন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অনুপম রায় ও তাঁর সঙ্গীরা। তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় তাঁদের ওপর। তাঁদেরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বলেন, বিজেপি প্রার্থীর হয়ে মকপোল করতে আসা আমাদের দোষ। ওরা চর-কিল -ঘুষি-লাথি মারার পাশাপাশি আমাদের মোবাইল ফোন এবং টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এই বিষয় নিয়ে ডিএম থেকে শুরু করে এসপি প্রত্যেকের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনই পদক্ষেপ নেয়নি।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    শনিবার ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) থানায় যান বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ডায়মন্ডহারবার থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে। তবে এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী ও অভিজিৎ দাস বলেন, ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় ভাইপো অভিষেকের দুষ্কৃতী বাহিনীর সন্ত্রাসের আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে এলাকার মানুষজন। বিরোধী কর্মীদেরকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে না এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এই বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chaterjee: “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    Hiran Chaterjee: “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালে নিজের গড় বাঁচাতে রাত জাগলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। শনিবার ভোর থেকে ফের এলাকায় এলাকায় চষে বেড়়ালেন তিনি। পুলিশি সন্ত্রাসের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    কেশপুরে অর্ধেক বুথে এজেন্ট বসতে দেয়নি (Hiran Chaterjee)

    এদিন সকাল সকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, ‘সারারাত ধরে আনন্দপুর, কেশপুরে ঘুরেছি আমি। কোথাও আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখতে পাইনি। জওয়ানরা শুধুমাত্র স্কুলের ভিতরে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। এবং এরপর রাতে তাঁরা ঘুমিয়েছেন। আর কেশপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় এবং আনন্দপুর থানার ওসি সানি, এরা দু’জনে মিলে তৃণমূলকে জেতানোর জন্যে দায়িত্ব নিয়ে সারারাত আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গতকাল কেশপুর এবং আনন্দপুরে বোমের বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাদের দলের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চমকেছে, ধমকেছে। আজ সকাল থেকে আর্ধেক জায়গায় আমাদের পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে তৃণমূলের অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    হিরণের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ!

    এদিন সকালে কেশপুর সহ একাধিক এলাকা চষে বেড়ানোর সময় বিজেপি প্রার্থীর (Hiran Chaterjee) গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। লাঠি হাতে তৃণমূলের লোকজন বিক্ষোভ দেখান। যদিও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেন। বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আরও অভিযোগ,কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলছে না। এটা ঠিক কী ধরনের গণতন্ত্র আমি জানি না। পঞ্চায়েত ভোটেও এমনটা হয়নি। নির্বাচন কমিশন কী করতে চাইছে, কেন করতে চাইছে, সেটা আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারছি না। সারা রাত আমরা কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছি। এছাড়া আমাদের কাছে কিছু করার নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে আস্থা রাখা তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি শুক্রবার রাতে আমার সঙ্গে অসভ্য ভাষায় কথা বলেছেন। অত্যন্ত নোংরা ভাষায় তিনি কথা বলেন আমার সঙ্গে। তিনি আমাকে বলেন, তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই এলাকা সামলানোর। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো আর আমার না। আমি কোনও দলভিত্তিক কথা বলব না। যেটা সত্য, আমি সেটাই বলছি এখানে। আমাদের দল গোটা পরিস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছে। কেশপুর, সবং, পিংলায় কিউআরটি টিম খায় না মাথায় দেয়, সেটাই বুঝলাম না আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দুদিন আগে বিজেপি নেতার মাকে কুপিয়ে খুন হওয়ার ঘটনা থেকে অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামে ভোটের আগের রাতে পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তৃণমূলের হয়ে পুলিশ প্রকাশ্যে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আর শনিবার ষষ্ঠদফা ভোটের দিন ভোর থেকেই রীতিমতো নিজের একাধিক কেন্দ্র চষে বেড়ালেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

     ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া! (Abhijit Ganguly)

    এদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুতি হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এবারই প্রথমবার নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। আর এদিন সকাল থেকেই তাঁকে দেখা গেল একেবারে অ্যাকশন মোডে। সাত সকালেই ছুটলেন হলদিয়া। অভিযোগ তুললেন, পুলিশি সন্ত্রাসের। এদিন সকালে বেরিয়েই তিনি অভিযোগ তোলেন, নন্দীগ্রামে ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। অভিজিৎ বলেন, “গভীর রাতে ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছে পুলিশ। ৩-৪ হাজার পুলিশ গাড়ি নিয়ে ঢুকেছিল এলাকায়। অবজারভারের কাছে জানানোর অনেক পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে মাঠে-ঘাটে লুকিয়েছিলেন। যেখানে জানানোর সেখানে আভযোগ জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: বাংলার শাহবাজের বলে বিদায় রাজস্থানের, আইপিএল ফাইনালে কলকাতার সামনে হায়দরাবাদ

    বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা

    এদিন সকালে হলদিয়ার ২০৮ নম্বর বুথে গিয়ে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী (Abhijit Ganguly) বলেন, “এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না। তাই আমাকে আসতে হয়েছে। বিজেপির মহিলা এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। আমি গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর বসতে দেওয়া হয় তাঁকে। কী করছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী এই প্রশ্ন শুনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী বাঁশি বাজাচ্ছিল, শ্যামের বাঁশি।” হলদিয়ার একটি বুথে তৃণমূলীরা বিজেপি প্রার্থীকে বিক্ষোভ দেখান। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর সন্ন্যাসীদের অপমান করার কারণ ব্যাখ্যা করলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর সন্ন্যাসীদের অপমান করার কারণ ব্যাখ্যা করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের গণনা। সেই গণনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদেরকে নিয়ে বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত গণনার প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার এই বৈঠক করা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসক তথা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী আধিকারিক বিজিন কৃষ্ণা এদিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনের আত্রেয়ী মিটিং হলে এই বৈঠক হয়। বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার এই বৈঠকের যোগ দেওয়ার জন্য এদিন কলকাতা থেকে বালুরঘাটে আসেন।

    গতবারের তুলনায় এবার লিড আরও বাড়বে! (Sukanta Majumdar)

    কোর কমিটির বৈঠক নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মূলত গণনাকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রস্তুতি আগে থেকেই শুরু করেছি। একবার ঝালিয়ে নেওয়া সব ঠিকঠাক আছে কিনা। এবার লিডের পরিমাণটা যেন গতবারের থেকে বাড়ে। গতবার তো ৩৪ হাজার লিড পেয়েছিলাম, এবার যেন তার থেকে বেশি লিড পায়। সেই জন্য এই বৈঠক। পাশাপাশি এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করা হল। এদিন জেলাশাসক সব দলের প্রার্থীদেরকে নিয়ে বৈঠক করেন। আমি বৈঠকে যোগ দিয়ে গণনা কেন্দ্রের কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বললাম।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    বাংলাদেশের সাংসদ খুনের তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় এজেন্সি!

    কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে খুন বাংলাদেশের সাংসদ। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যের ইন্টারন্যাল সিকিউরিটি ভয়ঙ্কর জায়গায় আছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি চিন্তিত। বাংলাদেশের সাংসদের খুনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, রাজ্য গোয়েন্দার ব্যর্থতার কথা। বিদেশের অতিথিদের সুরক্ষা দিতে না পারা এবং রাজ্য গোয়েন্দারা কোনও খোঁজ খবর রাখে না, এই ঘটনায় সেটাই প্রমাণ করছে। বিদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধি একজন সাংসদ তার সুরক্ষা দিতে ব্যার্থ পুলিশ। তাহলে রাজ্যের নাগরিকদের কি সুরক্ষা দেবে। দ্রুত খুনের কিনারা করতে না পারলে কলকাতা পুলিশের উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া।

    ষষ্ঠ দফার ভোট নিয়ে সরব

    রাত পোহালেই বাংলায় ষষ্ঠ দফার ভোট জঙ্গলমহল সহ উত্তপ্ত নন্দীগ্রামও। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হবে কি না  সেতো ভোটের দিন দেখা যাবে। কিন্তু, বাস্তবিকতা এইটা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব স্বচ্ছভাবে নির্বাচন করানোর। যদি তারা না পারে তাহলে নির্বাচন কমিশন থাকা, না থাকা একই ব্যাপার হল। নির্বাচন কমিশনকে কড়া হাতে এই দুষ্টদের দমন করতে হবে। যতই গুন্ডামি করুক সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    মুখ্যমন্ত্রী সন্ন্যাসীদের অপমান করেছেন

    বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের উদ্যোগে সাধু সন্তদের খালি পায়ে স্বাভীমান যাত্রা। সনাতনীদের অপমানের প্রতিবাদ। এখনও ক্ষমা চাইলেন না মমতা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ধর্মের সন্ন্যাসীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন না। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, হিন্দুরা একত্রিত হয়ে ভোট দেয় না। এইটা যদি ইসলাম সমাজের কিছু হতো তাহলে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিতেন, কারণ তিনি জানেন ইসলাম গুরুর কথায় মুসলিমরা একত্রিত হয়ে ভোট দেয়। তাই, মুখ্যমন্ত্রী সন্ন্যাসীদের অপমান করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত”, শাসকদলকে তোপ দাগলেন দিলীপ

    Dilip Ghosh: “তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত”, শাসকদলকে তোপ দাগলেন দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শনিবার দুপুরে বিজেপির বর্ধমান জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।

    তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়া উচিত (Dilip Ghosh)

    এদিন ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করলে যেমন চাকরি যায়, তেমনি ভুয়ো আইন করে যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের সরকার ফেলে দেওয়া উচিত। কারণ, নৈতিকভাবে তারা সংবিধানকে ধোকা দিয়ে জিতে এসেছে। যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারের আদৌ ক্ষমতায় থাকা উচিত কিনা বিবেচনা করা দরকার। আমার মতে, তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

     মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দেশ ভাগের চক্রান্ত করছেন

     মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধৃষ্টতা দেখুন, তিনি (Dilip Ghosh) বলছেন, কোর্টের রায় মানবো না। প্যাঁচে পরে তিনি বারবার কোর্টে যাচ্ছেন। যখন সিঙ্গুরে জমির জন্য কোর্টে গিয়ে জিতে টাটাদের তাড়িয়েছিলেন, তখন কোর্ট ঠিক ছিল। আজকে যেহেতু তাঁর অপকর্মের বিরুদ্ধে কোর্ট রায় দিয়েছে তাই তিনি কোর্টকে মানবেন না। আমরা জানি তিনি সংবিধান মানেন না, লোকসভার সিদ্ধান্ত মানেন না, সুপ্রিম কোর্টকে মানেন না। সিএএ, জিএসটির বিরোধিতা করেছেন, তিন তালাকের বিরোধিতা করছেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা হটানো হয়েছে, তিনি তাঁর বিরোধিতা করছেন। এই যে মানসিকতা এটা বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতা। স্বাধীনতার আগে এরকম হয়েছিল বলে দেশ ভাগ হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দেশ ভাগের চক্রান্ত করছেন। দেশ বিরোধিতা, রাষ্ট্র বিরোধিতা যারা করছেন তিনি তাদের সঙ্গে আছেন। তিনি তাদের সুরে কথা বলছেন। তিনি পাকিস্তান, বাংলাদেশের উগ্রপন্থীদের সুরে কথা বলছেন, এটা খুব ভয়ংকর।

    নন্দীগ্রামে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ

    অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়ায়  শুক্রবার রাতে ৬ জন তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ওখানে গিয়ে হেরেছেন, তাই সেখানে জেতার সম্ভাবনা  নেই। বড় আকারে লিড আমরা পাব। শুভেন্দু অধিকারী ওখানকার বিধায়ক তিনি লড়াই করছেন। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে সেরকম রক্ত ঝরেনি, খুন হয়নি। কিন্তু, শেষের দিকে আবার শুরু হয়ে গেল। যত ভোটের শেষের দিকে আসছে তত ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মারপিটের রাজনীতি করি না। যদি করতাম তাহলে উত্তরবঙ্গে দেখিয়ে দিতাম। এই যে আমার বিরুদ্ধে কেস করেছে আমি কি মারতে গেছি? আমরা এইসব রাজনীতি করিনা। কারণ, মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    Nandigram: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ভোট। তার আগে নন্দীগ্রামে (Nadigram) পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করা হল মহিলা বিজেপি কর্মীকে। তাঁর ছেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আহত ওই যুবক বিজেপির এসসি মোর্চার সম্পাদক। থানায় দেবব্রত রায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরও টনক নড়েনি পুলিশের।

    খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন (Nadigram)

    বৃহস্পতিবার বিকালে নন্দীগ্রামে (Nadigram) রাজ্যস্তরের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যান। সন্ধেবেলা তেখালি বাজারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা যায় দেবব্রত রায় ওরফে দেবু রায়কে। বিজেপি কর্মী খুনে অভিযোগপত্রে দু’নম্বরেই নাম রয়েছে তাঁর। তাঁকেই কি না দেখা গেল পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশের সামনে বহাল তবিয়তে তিনি ঘুরে বেরিয়েছেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। অভিযোগ, বিজেপির এসসি মোর্চার অঞ্চল সম্পাদক সঞ্জয় আড়িকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলে বাঁচাতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে খুন বিজেপি নেতার মা। কুপিয়ে, মাথায় রড দিয়ে মেরে খুন করা হয় তাঁকে। ঘটনা প্রসঙ্গে নিহতের মেয়ে বলেন, তৃণমূলের লোকেরা আমার মাকে মেরে দিল। আমার দাদাকেও মারল। আমার দাদা বাঁচবে নাকি ঠিক নেই।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    নিহতের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    তৃণমূল নেতারা নন্দীগ্রাম (Nadigram) এলাকায় গেলে গো ব্যাক স্লোগান দেয় গ্রামবাসীরা। এদিকে এই ঘটনার জন্য সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিহতের পরিবারের দেওয়া অভিযোগপত্রে লেখা রয়েছে, ২২ মে তারিখ, নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভামঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মীদের শায়েস্তা করার বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই দেবব্রত রায় সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, নামের তালিকা দিয়ে অভিযোগ করার পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে, হামলাকারীরা এলাকায় দাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের ভূমিকা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ভোট পরবর্তী হিংসা! হাওড়ায় ঘরছাড়া ২০০ বিজেপি কর্মী, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Howrah: ভোট পরবর্তী হিংসা! হাওড়ায় ঘরছাড়া ২০০ বিজেপি কর্মী, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  হাওড়া (Howrah) লোকসভা কেন্দ্রে ভোট শেষ হতেই লাগাতার সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।  এমনিতেই ভোট গ্রহণ পর্ব থেকেই হাওড়া লোকসভার বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ভোট পর্ব মিটতেই হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয় একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি। তৃণমূল এতটাই বেশি সন্ত্রাস চালিয়েছে যে পাঁচলার বেলডুবি গ্রাম কার্যত পুরুষ শূন্য হয়ে গিয়েছে। আতঙ্কে এই গ্রামের প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    পঞ্চম দফায় হাওড়ার (Howrah) বেলডুবি গ্রামের উত্তর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯ এবং ৭০ নম্বর বুথে ভোট গ্রহণ হয়েছিল। তবে ভোটগ্রহণের মাঝপথে অশান্তি ছড়ায়। অভিযোগ, ওই বুথে ছাপ্পা ভোটের চেষ্টা করছিল তৃণমূলের কর্মীরা। তাতে বাধা দিয়েছিলেন বিজেপির দুজন এজেন্ট। এর পরেই তাদের বুথের মধ্যে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাদের সরিয়ে দিলেও রাস্তায় বের হলে তাদের প্রাণে মারার হুমকি দেয় তৃণমূল কর্মীরা। আরও অভিযোগ, ভোট শেষ হওয়ার পরেই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শেখ রুহুল আমিন এবং তাঁর দলবল বিজেপির এজেন্টদের পাশাপাশি সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং বাড়ির পুরুষদের মারধর করে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পরে প্রাণভয়ে ঘরছাড়া হয়ে পড়েন বহু বিজেপির কর্মী সমর্থক। সবমিলিয়ে ২০০ জন বিজেপির কর্মী সমর্থক এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। এই মুহূর্তে তারা জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে অভুক্ত অবস্থায় তাদের দিন কাটছে।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল প্রধান শেখ রুহুল আমিন বলেন, ভোটের দিন বুথে ঝামেলা হয়েছিল। তাও সেরকম কিছু নয়। ঝামেলা মিটে গিয়েছে। উলটে বিজেপি কর্মীরা রাতে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা কোনও হামলা করিনি। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে ২০০ কর্মী ঘরছাড়া হয়ে জঙ্গলে রয়েছেন। চরম আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: মাঝরাতে ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! জানা গেল পরিবারের বয়ানে

    Nandigram: মাঝরাতে ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! জানা গেল পরিবারের বয়ানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বুধবার রাতে বিজেপির মহিলা কর্মী রথীবালা আড়ি খুনের ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে নন্দীগ্রামের (Nandigram) সোনাচূড়া। রাতের ঘটনায় রথীবালার ছেলে তথা নন্দীগ্রামে বিজেপির তফসিলি মোর্চার সম্পাদক সঞ্জয় আড়িও গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে মনসাপুকুর বাজার এলাকায়। নিহতের বাড়িতে বিজেপি কর্মীরা ভিড় করে রয়েছেন। সেখানেই রাতের ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন নিহতের বউমা সুবর্ণা আড়ি।

    মাঝ রাতে ছেলে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! (Nandigram)

    সুবর্ণা আড়ি বলেন, রাত তখন প্রায় ২টো। বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন ভাসুর। তিনি বিজেপি নেতা। হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে। ফোনে কথা বলা শেষ করেই কাউকে কোনও কিছু না বলেই দরজা খুলে ছুটে বাইরে বেরিয়ে যান। কিছু দুষ্কৃতী নাকি বাজার এলাকায় জড়ো হয়েছে। বাইরে চিৎকারও হচ্ছে। বিপদ আঁচ করেই ভাসুরের পিছু পিছু গিয়েছিলেন শাশুড়ি। সেখানে তুমুল গন্ডগোলের মধ্যে খুঁজছিলেন ছেলেকে। সেই সময় শাশুড়িকে খুন করা হয়। ভাসুড় এবং শাশুড়িকে মরে গিয়েছে রটে যায়। আমি বাড়ি থেকে চিৎকার করতে করতে ছুটে যাই। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে গ্রামের (Nandigram) লোকেরাও ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে আসে। গ্রামের লোকেদের আসতে দেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। গ্রামের লোকেরা তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল শাশুড়ি আর ভাসুরকে। সেখানেই শাশুড়ির মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    ফাঁসির দাবি জানালেন নিহতের মেয়ে

    মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে (Nandigram) ছুটে যান মেয়ে। কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, “আমার দাদা আর মাকে মেরে দিল তৃণমূলের লোকেরা। ওরা ১০০ থেকে ১৫০ জন এসেছিল একসঙ্গে। সেই সময় বিজেপির থেকে ১৫০ জন এসেছিল একসঙ্গে। সেই সময় বিজেপির যাকে সামনে পেয়েছে, ওরা মেরেছে। মাকে তো আর ফিরে পাব না! আমি এই দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। এদের সকলের যেন ফাঁসির সাজা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share