Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Malda: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ালো তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    Malda: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ালো তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নাম জড়ালো তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনের। টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে টাকা ফিরিয়ে না দিতে চাওয়ার অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়েছে মালদার (Malda) গাজোল ব্লকে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Malda)

    অভিযোগকারীর নাম সুকুমার বালো। তাঁর বাড়ি গাজলের (Malda) শংকরপুর এলাকায়। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে ২০১৬ সালে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে গাজলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন আমার কাছ থেকে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেয়। প্রাথমিক চাকরি পদে নিয়োগের নিয়োগ পত্র দেওয়া হয় আমাকে। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে গাজোলের একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন আমার স্ত্রী। তারপর দুই সপ্তাহ পর এসআই অফিস থেকে নিয়োগ পত্রটি দেখতে চাওয়া হয় এবং সেখানেই এসআই অফিস জানিয়ে দেন নিয়োগপত্রটি নকল। তাই, সেটি বাতিল করা হয়েছে। তারপর টাকা ফেরতের জন্য গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনের কাছে আমরা যাই। প্রথমে, টাকা দিতে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তিনি একটি চেক দেন। কিন্তু, সেই চেক ব্যাংকে জমা দিলে সেই চেক বাউন্স হয়। আমরা সেই বিষয়ে তাকে জানিয়েছি। কিন্তু, তিনি আমাদের টাকা দেননি। অবশেষে মালদা জেলা আদালতে আমরা আদালত মামলা করি। মালদা জেলা আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেনকে টাকা ফেরতের জন্য জেলা আদালত নির্দেশ দেন। তারপরেও আদালতের নির্দেশকে না মেনে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আমরা আবারও জেলা আদালতের দ্বারস্থ হই। পাশাপাশি টাকা চাইতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন গাজল (Malda) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, সুকুমার বালো বলে আমি কাউকে চিনি না। এটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। আমার নাম কে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে। আইন সবার জন্য। যিনি অভিযোগ করেছেন সে ক্ষেত্রে তিনি যদি আমার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন তাহলে আমিও তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হব।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন?

    গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময়ী দেব বর্মন বলেন, আদালতের নির্দেশের পরও তৃণমূল নেতা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। ফলে, অবিলম্বে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটের আগে খেজুরিতে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: ভোটের আগে খেজুরিতে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট যত এগিয়ে আসছে শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুরে ক্রমশ জমি আলগা হচ্ছে তৃণমূলের। আর পাল্লা দিয়ে বিজেপির ভিত শক্ত হচ্ছে। এমনিতেই এই জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উদয়শঙ্কর মাইতি। শুক্রবার সন্ধ্যায় খেজুরির হলুদবাড়িতে বিজেপির (BJP) এক সভায় তৃণমূল ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটের আগে এই যোগদান বিজেপি কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)

    খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৫টি আসন। এরমধ্যে বিজেপির ৯টি, তৃণমূলের ৬টি। গত পঞ্চায়েত ভোটে উদয়শঙ্কর মাইতি বিজেপির (BJP) টিকিটে জয়ী হন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে বসেন তিনি। এছাড়া আরও একজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে সহ সভাপতির পদ পান। লোকসভা ভোটের মুখে সেই উদয়ের ফের বিজেপিতে ফিরলেন। তবে, উদয়বাবুর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফলে তৃণমূলের হাতে রইল ৭ জন। আর এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ৮। ফলে, এই পঞ্চায়েত সমিতিতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ হল বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের! তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ কমিশনের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সমুদ্ভব দাসের বলেন “শুনেছি উদয়বাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির সভায় তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। আমরা বিষয়টি ঠিক জানি না। তব, উদয়বাবু কয়েকদিন এলাকায় ছিলেন না। মোবাইলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এখন বিজেপিতে (BJP) গেলেও চলে যেতে পারেন। কারণ, বিজেপি তাঁর পুরানো দল। তাই, তিনি চলে গেলেও তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তাপস দোলুই বলেন, “বিজেপি সর্বভারতীয় দল। এখানে কেউ যদি নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিজেপিতে ফিরে আসেন স্বাগত। তাঁর মতো নেতা দলে ফিরে আসায় এলাকায় দলের সংগঠন আরও মজবুত হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। শুক্রবার দলীয় প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বীরভূমে প্রচারে ঝড় তোলেন তিনি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

    তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুরে বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম এবং তৃণমূল নেতা অশ্বীনি মণ্ডল কাউকে হুমকি দিলে আমাকে মেসেজ করবেন। ভোটের দিন যদি পাড়ায় আটকে রাখে তাহলে আমাকে বুথ নম্বর এবং পোলিং নম্বর দিয়ে মেসেজ করবেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে সিআরপিএফ চলে যাবে কথা দিলাম। কীভাবে এদের কোমর ভাঙতে হয় জানি। আমরা দিনহাটায় উদয়ন গুহকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। ফলে, তৃণমূলের কোনও দাদাগিরি চলবে না।

     মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো পুলিশ কর্মীদের বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ক্লোজ করা হবে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি কেষ্টকেও সতর্ক করেছিলাম। এখন তিহাড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।’ এরপর স্থানীয় শুভেন্দু- নুরুল ইসলাম, অশ্বিনী মণ্ডল, বলরাম বাগদী, রাজু মুখোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁদের তিনি সতর্ক করেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রসঙ্গ তোলেন শুভেন্দু  পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যে সমস্ত পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ক্লোজ করা হবে। আর অবসর নিলে অবসরকালীন সুবিধা বন্ধ করে দেবে।’ তিনি ঘোষণা করেন, মিথ্যা মামলায় যাঁদের জেল খাটতে হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ৫০০০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। সেটা হল ‘সংগ্রামী ভাতা।’ এদিনও তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। আমি বলছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৩ হাজার টাকা করে দেব লক্ষ্মীর ভান্ডার। রাজস্থানের মতো ৪৫০ টাকা করে গ্যাস করে দেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভোটের জন্য সিএএ করতে দিচ্ছেন না মমতা। বিরোধিতা করছেন। চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক।” শুক্রবার অমিত শাহ (Amit Shah) রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে প্রচারে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের প্রশ্ন, “সিএএ এই দেশে আসা উচিত কি না! বহু মানুষ আজ নাগরিকত্ব পাননি। অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দিচ্ছে মমতার সরকার। কিন্তু মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে।আমরা সকলকে নাগরিকত্ব দেব।”

    মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে বিজেপিকে ভোট দিন (Amit Shah)

    রানাঘাটের মাজদিয়া রেল বাজার হাই স্কুলের মাঠে সভা বিজেপি। সেখানে বক্তৃতা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রানাঘাটে তৃণমূলের প্রার্থী বিজেপি ছেড়ে আসা মুকুটমণি অধিকারী। বক্তৃতায় তাঁকে বার বার কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। জানালেন, এই ভোট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। নদিয়াবাসীর পক্ষ থেকে অমিত শাহকে স্বাগত জানালেন দলীয় কর্মীরা। তার পরেই মঞ্চে উঠলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বলুন, ‘ভারত মাতার জয়’। ‘জয় শ্রীরাম’।”এর পর একে একে মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতা, কর্মীদের নাম নেন শাহ (Amit Shah)। উপস্থিত সকলকে নমস্কার জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের উৎসাহের জন্য প্রণাম জানাই। এখানে এক ইঞ্চিও জায়গা রাখেননি। জগন্নাথজিকে জয়ী করানোর জন্য সকলে এসেছেন। জগন্নাথকে কমল চিহ্নে দেওয়া প্রতি ভোট নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করবে। জগন্নাথকে দেওয়া ভোট মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে।”

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    দুর্নীতিতে এক নম্বরে মমতার সরকার

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “রামমন্দির আগেই হওয়া উচিত ছিল কি না! এই কংগ্রেস, তৃণমূল, কমিউনিস্টেরা আটকে রেখেছিল এত বছর। দ্বিতীয় বার আপনারা প্রধানমন্ত্রী করেছেন। মামলা জিতে, ভূমিপুজো করে রামমন্দির করেছেন মোদি। আজ বলতে চাই, মোদিজি ১০ বছরে ৮০ কোটি গরিবের জন্য অনেক কাজ করেছেন। প্রতি মাসে যে ৫ কেজি চাল আসে, তা মোদি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। সন্দেশখালির প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “মমতা একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে মহিলাদের শোষণ করা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। করেছেন ওঁর নেতারা। ওঁর লজ্জা করা উচিত। সিবিআই তদন্ত করছে। বাংলার মা, বোনদের চিন্তার দরকার নেই। আমরা সন্দেশখালি অপরাধীদের উল্টো ঝোলাব। শাহ জানান, দুর্নীতিতে ‘এক নম্বরে মমতার সরকার। শিক্ষক, পুরনিয়োগ থেকে রেশন, কয়লা সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে মমতার সরকার।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, ভয় পাবেন না

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “মমতার মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫০ কোটি টাকা মিলেছে। এই সভায় কেউ এত টাকা দেখেছেন? এই টাকা কার? এই টাকা রানাঘাটের গরিব যুবকদের। এই মমতা এবং তৃণমূল এই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের ভয় পাবেন না।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে এই যে বিস্ফোরণ হচ্ছে, সকলকে ভয় দেখানোর জন্য করাচ্ছেন মমতা। রানাঘাটবাসীকে বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছি আমরা। ভয় পাবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শশী পাঁজা একজন মহিলা এবং মন্ত্রী তিনি কেন সন্দেশখালি নিয়ে মূর্খের মতো কথা বলছেন বুঝতে পারছি না। অপেক্ষা করুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুক্রবার তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে রোড শো করতে আসেন।

    সুকান্তর রোড শোয়ে জনজোয়ার (Sukanta Majumdar)

    এদিন কৃষ্ণনগর লোকসভার ভীমপুর থানার আশাননগর উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে থেকে শুরু হয় রোড শো। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে ভীমপুর বাজারে শেষ হয় এই রোড শো। এই রোড শোয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিনি আসতে পারেননি। এদিন সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) এই রোড শোয়ে বিজেপি কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রোড শোয়ে সাধারণ মানুষের ভিড়ে জনজোয়ারের আকার নেয়। আগামী ১৩ ই মে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। সেই কারণেই শেষ পর্যায়ের প্রচারে ব্যস্ত প্রতিটি রাজনৈতিক দল। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বহু বিতর্কিত নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তাঁর বিরুদ্ধে এবার বিজেপি কিছুটা চমক দিয়ে প্রার্থী করেছেন কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্যা তথা রাজবধূ অমৃতা রায়কে। এবারের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনেকটাই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে

    এদিন রোড শো শুরু করার আগে সাংবাদিকদের সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,  অপেক্ষা করুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সন্দেশখালিতে কোথা থেকে টাকা আসছে সবাই তা জানে। সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে। পাশাপাশি শশী পাঁজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি একজন মহিলা এবং রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে কীভাবে সন্দেশখালি নিয়ে মুর্খের মতো কথা বলতে পারেন। সেখানে রাজ্য পুলিশ ১৬৪ ধারায় মহিলাদের বয়ান নিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা পুলিশের সামনেই আদালতে ধর্ষনের ঘটনা কথা অভিযোগ করেছিলেন। এখানে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যে নোংরামি চলছে তা সময়ে এলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: গরমে  ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    Siliguri: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমের মধ্যে শুক্রবার থেকে আগামী ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শহর শিলিগুড়ি (Siliguri)। পুরসভার তরফে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে কথা জানানো হয়েছে। ফলে, চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা শহরবাসীর। পুর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন পুরবাসী।

    কেন জল সঙ্কট? (Siliguri)

    তিস্তা মহানন্দা ক্যানেল থেকে শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল নেওয়া হয়। গত পুজোর আগে সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে গজলডোবার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শুক্রবার থেকে সেই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে। বাঁধ মেরামত করার জন্য গজলডোবা ব্যারেজের সব স্লুইস গেট খুলে জলস্তর নামানো হয়েছে। এই তাই বাঁধ মেরামত চলাকালীন তিস্তা থেকে আর জল পাওয়া যাবে না।

      মেয়র কী সাফাই দিলেন?

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজে বাঁধ মেরামতির কাজ করতেই হবে।  না হলে এই বর্ষায়  বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যাবে। প্রচুর মানুষ  ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। সেই বিপর্যয় এড়ানোর জন্যই এই বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। তবে, মানুষ যাতে নির্জলা না থাকে তারজন্য শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় ২১ টি জলের ট্যাঙ্ক রাখা থাকবে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের তরফে ১ লক্ষ জলের পাউচ বিলি করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি দেখা দিত না। বামেরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সময় শিলিগুড়ির পানীয় জল প্রকল্পের বিকল্প জলাধার তৈরি করেনি। বিকল্প জলাধার থাকলে এধরনের পরিস্থিতির জন্য আগাম জল ধরে রেখে তা দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যেত।

    আরও পড়ুন: “নৈহাটিতে সব থেকে বেশি ভোটে হারবে তৃণমূল,” ঘোষণা অর্জুনের

    জল সঙ্কটের জন্য দায়ী তৃণমূল, বলছে  বিজেপি

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি কাউন্সিলর অমিত জৈন এই পরিস্থিতির জন্য মেয়রের অযোগ্যতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, গত একমাস ধরে শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জলের সঙ্কট চলছে। ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য মেয়র ও তাঁর কাউন্সিলররা কাজ করেননি। সেই ব্যর্থতাকে আড়াল করতে তিস্তা বাঁধ মেরামতকে অজুহাত করা হচ্ছে। ছ’মাস আগে কেন বাঁধ মেরামত করা হল না? কেন্দ্রীয় সরকার অম্রুত-২ প্রকল্পে শিলিগুড়ি পুরসভার জল প্রকল্পের জন্য টাকা অনুমোদন করেছে। সেই টাকা পেয়েও মেয়র কাজ শুরু করতে পারেনি। একাধিকবার টেন্ডার ডেকেও বিডার পাওয়া যায়নি। ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।  গৌতম বাবু ১০ বছর মন্ত্রী ছিলেন। তাহলে তিনি নিজের শহরের জন্য পানীয় জল প্রকল্পের ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি কেন? আসলে রাজনীতি, দলবাজি করার করতে গিয়ে তিনি  শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সমস্যাকে জটিল করেছেন। তার জেরে এখন তীব্র গরমে শহরবাসীকে জলকষ্টে থাকতে হচ্ছে।  তিনদিনের মধ্যে যদি শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাস্তায় নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “নৈহাটিতে সব থেকে বেশি ভোটে হারবে তৃণমূল,” ঘোষণা অর্জুনের

    Arjun Singh: “নৈহাটিতে সব থেকে বেশি ভোটে হারবে তৃণমূল,” ঘোষণা অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অর্জুন (Arjun Singh) গড়ে বারাকপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান পর্ব লেগেই রয়েছে। বৃহস্পতিবারই তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুক নৈহাটিতে তৃণমূলে ফের ধস নামল। তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বারাকপুরে ভোটের আগে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়িয়েই চলেছে বিজেপি।

    তিনশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে (Arjun Singh)

    বৃহস্পতিবার রাতে নৈহাটির সাহেব কলোনির মোড় থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুমিত ঘোষ-সহ তিনশো জন কর্মী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। কয়েকদিন আগেই এই নৈহাটিতেই যুব তৃণমূলের নেতা সহ বহু কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তার আগেই ভাটপাড়ার তৃণমূলের দাপুটে নেতা কয়েকশো কর্মী-সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে, ভোটের আগে একের পর এক যোগদান হওয়ায় ভোটের মধ্যে অর্জুন গড়ে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই বাড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আগামীদিনে আরও যোগদান করবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।

    যোগদান নিয়ে কী বললেন অর্জুন?

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন,  যাঁরা আদি তৃণমূল, শুরু থেকে তৃণমূল করেছেন, তৃণমূলের জন্য জেল খেটেছেন আজ তাঁদেরই দলে কোনও পাত্তা নেই। মিটিং মিছিলে ডাক পান না। এখন কয়েকজনকে লোক দেখানো করে ডাকছে, তাঁরা বুঝে গিয়েছে ভোট পর্যন্ত তাঁদের গুরুত্ব। তারপর আবার নব্যরা দাদাগিরি করে বেড়াবে। মানুষ আর তৃণমূলকে মেনে নিতে পারছে না। এবার নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস সবথেকে বেশি নৈহাটিতে হারবে। পার্থ ভৌমিক যে কুকর্ম করেছেন তার ফল এখানকার মানুষ বুঝিয়ে দেবেন। নৈহাটিতে, জগদ্দলে তৃণমূলে ধস নেমেছে। শেষ দিন যখন জাল গোটাবো সেদিন দেখবেন কোনও মাছ আর ওদিকে নেই। সব এদিকে চলে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • June Malia: জুন মালিয়া পেয়েছেন ২ কোটি! ১৫ কোটির কাজের খতিয়ান, রিপোর্ট কার্ড মিথ্যা বলছে বিজেপি

    June Malia: জুন মালিয়া পেয়েছেন ২ কোটি! ১৫ কোটির কাজের খতিয়ান, রিপোর্ট কার্ড মিথ্যা বলছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক হিসেবে তিনি কতটা যোগ্য তার প্রমাণ দিতে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করেছেন মেদিনীপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া (June Malia)। বিধায়ক হিসেবে তিনি এলাকায় কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, তা সবই উল্লেখ করা রয়েছে রিপোর্ট কার্ডে, তা জনসমক্ষে পেশ করা হচ্ছে। কিন্তু, জুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ড নিয়েই উঠল প্রশ্ন তুলল বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য, মিথ্যা রিপোর্ট কার্ড পেশ করেছেন জুন মালিয়া। ভোটের আগে রিপোর্ট কার্ডকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।

     ১৫ কোটির কাজ করেছে বিধায়ক! (June Malia)

    মেদিনীপুর পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড ও দুটি ব্লক নিয়ে মেদিনীপুর বিধানসভা। গত তিন বছর ধরে মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়া (June Malia) । গত তিন বছরে তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকায় কী কাজ করতে পেরেছেন, তার একটা হিসাব তুলে ধরেছেন এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। তিনি কী কী কাজ করেছেন, তার হিসাব তুলে ধরেছেন একটি পুস্তিকা আকারে। আর সেখানে ১৫ কোটির বেশি হিসাব দেখানো হয়েছে, যা মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় কাজ করা হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: “গরিব বাড়ির মেয়ে রেখাকে দেখে ভয় পাচ্ছেন পিসি-ভাইপো”, তোপ শুভেন্দুর

    রিপোর্ট কার্ড ভুল! সরব বিজেপি

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের অভিযোগ, একজন বিধায়ক (June Malia) গত তিন বছরে কত কোটি টাকা পান সরকারিভাবে? নিয়ম অনুযায়ী, তিনি পাবেন তিন বছরে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা, কীভাবে বিধায়ক গত তিন বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকারও বেশি হিসাব দেখাচ্ছেন তিনি। আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিজের প্রকল্প হিসাবে দেখাচ্ছেন জুন। মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় যে সমস্ত জায়গায় সরকারি কাজ  মেদিনীপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা মেদিনীপুর পুরসভা, পঞ্চায়েত করেছে সেই কাজও নিজের বিধায়ক তহবিলের কাজ বলে চালাচ্ছেন বিধায়ক। ভুল রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি শুধু অভিযোগই করতে জানে। তারা কাজ করতে জানে না। আমাদের সৎ সাহস রয়েছে, তাই আমরা রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছি। বিধায়ক (June Malia) তাঁর তত্ত্বাবধানে এই সমস্ত কাজ করিয়েছেন তারই হিসাব দিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে হামলা তৃণমূলের

    Bankura: শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে হামলা তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়র থানার জামকুড়ি গ্রামে। ভোটের আগে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে হামলা তৃণমূলের (Bankura)

    মঙ্গলবার বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়রে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে, বুধবার বিকালে বাঁকুড়ার বালসীতে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সভায় যোগ দিতে বুধবার বিকালে বিজেপির কোতুলপুর মণ্ডলের কর্মীরা একটি ছোট ট্রাকে করে বালসীর দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, ট্রাকটি পাত্রসায়র ব্লকের জামকুড়ির কাছাকাছি যেতেই জনা দশেক দুষ্কৃতী হাতে লাঠি, টাঙি নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। বিজেপি কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি ট্রাকটিতে ভাঙচুর চালানো হয়। ট্রাকটি লক্ষ্য করে একাধিক বোমাও ছোড়া হয়। যদিও সেই ভাঙা ট্রাকে চড়েই সভায় হাজির হন বিজেপি কর্মীরা। পরে, আক্রান্ত কর্মীরা সমস্ত বিষয়টি দলীয় প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-র কাছে জানান। আক্রান্ত কর্মীদের বত্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিষ্ণুপুরের (Bankura) বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় মানুষের ভিড় দেখে তৃণমূলের কিছু ছিঁচকে আমাদের গাড়ির ওপর আক্রমণ করেছে। ভাবছে এই ভাবে সন্ত্রাস বজায় রাখবে। এখানে আমরাই জিতব। আমি কমিশনের অবজারভারের সঙ্গে দেখা করব। আর পাত্রসায়র, কোতুলপুর এই সব জায়গায় বারবার এমন হচ্ছে। আমি কথা বলব বিষয়টি নিয়ে।” যদিও বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “শুনছিলাম ওদের মিছিলে লোক আসতে চাইছে না। বিজেপি প্রার্থী সেই কারণে মদ- মাংসের ব্যবস্থা করেছিলেন। দেখুন নেশা করে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে কি না। তৃণমূল এসবের সঙ্গে যুক্ত নয়। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো,” বলছেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারাই

    Sandeshkhali: “স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো,” বলছেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিজেপি নেতার স্টিং ভিডিও নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র থেকে শুরু করে রাজ্যস্তরের নেতারা একে ফেক ভিডিও বলেছেন। এই আবহের মধ্যে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা স্টিং ভিডিওকে পুরো ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

    স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতারা রাজ্য জুড়ে বিজেপির সভা মঞ্চে গিয়ে তৃণমূলের অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরেছেন। শাহজাহান বাহিনী মহিলাদের ওপর কীভাবে অত্যাচার করেছে তা নির্যাতিতাদের মুখে রাজ্যবাসী শুনেছেন। উত্তরবঙ্গ-সহ একাধিক জেলায় বিজেপির প্রচারে থাকার পরে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা ঝাড়গ্রামে এসেছেন। তাঁরা তাঁদের অত্যাচারের কাহিনি শোনাচ্ছেন ও জাগ্রত করছেন অন্য মহিলাদের। ভোট আবহের মধ্যে সম্প্রতি সন্দেশখালিতে বিজেপি নেতার স্টিং-ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিওতে বিজেপি নেতার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শুভেন্দুর পরিকল্পনাতেই টাকার বিনিময়ে সন্দেশখালির মেয়েদের দিয়ে নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে। তবে, শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দাবি করেছেন, ভিডিওটি ডিপফেক প্রযুক্তিতে তৈরি হয়ে থাকতে পারে। ওই ভিডিও প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামে এসে সন্দেশখালির নির্যাতিতারাও বলেন, “ওই স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো। তৃণমূলের মন্ত্রীরা চোর। মেয়েদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। হাজার হাজার মহিলা কি মিথ্যা কথা বলছেন?” কারণ, সন্দেশখালির নির্যাতিতারা শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। ফলে, তাঁদের এই বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে ভিডিও তৈরি করে হারানো মাটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে।

    আরও পড়ুন: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    কী বললেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী?

    বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পুষ্প চেট্যালের বক্তব্য, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতাদের ওপর কী ধরনের অত্যাচার হয়েছে তা তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মহিলাদের শোনাচ্ছেন। এক হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরিণতি মহিলারা শুনছেন। মহিলারা জেগে উঠছেন। এসব ফেক ভিডিও দেখিয়ে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না। মহিলা ভোট আমাদের পক্ষেই থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share