Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার কাণ্ডে পুলিশকে “অপদার্থ” বললেন সৌগত রায়

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার কাণ্ডে পুলিশকে “অপদার্থ” বললেন সৌগত রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করল সিবিআই। আর এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যোগ রয়েছে বলে বিরোধীরা সরব হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। এবার সেই বিরোধীদের সুরে দমদম লোকসভার প্রার্থী সৌগত রায় সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশকে তোপ দেখেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশের অপদার্থতা! (Sandeshkhali)

    শুক্রবার সকাল থেকে তল্লাশি চালানোর পর সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করে সিবিআই। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে পুলিশের রিভলভারও। বোমা উদ্ধার করতে শুক্রবার নামানো হয়েছিল এনএসজি। আর সেই অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশের ওপরেই দায় চাপাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের একটা অংশ। শুক্রবারই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, “পুলিশের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের নজরে থাকা উচিত ছিল। যারাই ঢুকিয়ে থাকুক, পুলিশের তো আগেই বের করা উচিত ছিল।” অন্যদিকে, দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় শনিবার প্রচারে বেরিয়ে সন্দেশখালিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে মন্তব্য করেন। রাজ্যের পুলিশকে ‘অপদার্থ’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যেই অস্ত্র রাখুক না কেন, বেআইনি অস্ত্র ধরা তো পুলিশেরই কাজ। এটা পুলিশের অপদার্থতা।” প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের পুলিশের ওপর দায় চাপালে কি শাসক দলের দিকে আঙুল উঠবে না?

    আরও পড়ুন: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    অস্ত্র উদ্ধারের কৃতিত্ব পুলিশের, দাবি পার্থ ভৌমিকের

    অস্ত্র মজুত এবং উদ্ধার করার বিষয়টি নাটক বলে অভিযোগ তৃণমূলের একটি অংশ। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দায়ী করার চেষ্টা করছে। এই আবহের মধ্যে বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক আবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। তিনি বলেন, “শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইডি, সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেনি। এখন যাদের হেফাজতে রয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সব তথ্য মিলছে। আসলে পুলিশের হেফাজতে থাকলেও এই অস্ত্র উদ্ধার হত। আসলে এই অস্ত্র উদ্ধারের সমস্ত কৃতিত্ব হচ্ছে পুলিশের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    CBI: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে হানা দিল সিবিআই (CBI) টিম। শুক্রবারের মতো শনিবারও তৃণমূল নেতা শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি ও দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুক্রবার আবু তালেবের বাড়িতে হানা দিয়ে সিবিআই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। এদিন সিবিআই টিম শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তুফান মৃধার বাড়িতে হানা দেয়।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা (CBI)

    স্থানীয় ও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে সন্দেশখালির সিবিআই (CBI) টিম রাজবাড়ি এলাকায় যায়। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তুফান মৃধার দোকানে প্রথমে হানা দেয়। তুফান শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু, দোকান বন্ধ থাকায় সেখান থেকে তুফানের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তুফান পরিবারের তরফে সিবিআই টিমকে জানানো হয়, সকালে কাজের সূত্রে বাইরে গিয়েছেন তিনি। তবে, এলাকার মানুষজন জানাচ্ছেন, গত তিন-চার দিন ওই দোকান বন্ধ রয়েছে। তুফানকেও এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। তবে, তিনি কোথায় আছেন তা প্রতিবেশীরা কেউ কিছু জানাতে পারেননি।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠকে কলকাতায় জেরা

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে ইডির আক্রান্ত হওয়ার মামলার প্রেক্ষিতে বার বার সন্দেশখালিতে সিবিআই হানা দেয়। শুক্রবার তালেবের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারের পর সিবিআই ডেকে পাঠায় এনএসজিকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সন্দেশখালিতে চলে আসেন এনএসজি কম্যান্ডোরা। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর এদিন শাহজাহানের অন্য এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। এর মধ্যে শনিবার শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এক জনকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। পাশাপাশি অভিযানও জারি রয়েছে। তবে, তুফানের বাড়িতে গিয়ে কী তথ্য জোগাড় করেছে তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে, তালেবের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে তুফান মৃধার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে তুফানের বাড়ির লোকজন কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে মিলল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভান্ডার, কে এই আবু তালেব?

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে মিলল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভান্ডার, কে এই আবু তালেব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) লোকসভা ভোটের আবহের মধ্যেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হল। উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় শাসক দলের যোগ আরও সুস্পষ্ট হয়েছে। তবে, কে এই আবু তালেব। শাহজাহানের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক রয়েছে, তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কে এই আবু তালেব? (Sandeshkhali)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবু তালেবের বাড়ি ন্যাজাট থানার বাউনিয়া গ্রামে। তাঁর বয়স ৩০ বছর। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর অল্পদিনের মধ্যে তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। সেই সূত্রে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক পাড়ার বাসিন্দা তাসমিনা বিবির সঙ্গে আবু তালেবের বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত পাঁচ বছর ধরে মল্লিক পাড়ায় তিনি থাকতে শুরু করেন। এলাকায় তিনি টোটো চালাতেন। শাহজাহানের ভেড়ি দেখতেন। শাহজাহানের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও রয়েছে। অনেকে তাঁকে শাহজাহানের ডান হাত বলতেন। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    তালেবের বাড়ি থেকে অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার হতেই হতবাক এলাকাবাসী

    সরবেড়িয়া (Sandeshkhali) আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক পাড়ায় একদা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে সিবিআই টিম সাতসকালে সিআরপিএফ জওয়ান নিয়ে হানা দেয়। বাড়িতে আবু তালেবের স্ত্রী তাসমিনা বিবিসহ আরও একজন সদস্য ছিলেন। ঘরে তল্লাশি চালাতেই কিছু বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা দ্রুত এনএসজি-কে খবর দেয়। তারপর অত্যাধুনিক রোবটকে কাজে বোমার বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে আবু তালেবের স্ত্রীকে আটক করে সিবিআই। সাধারণ টোটো চালক ও ভেরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তির কাছে থেকে কীভাবে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেল তা সিবিআই খতিয়ে দেখছে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তালেব খুব ভালো ছেলে। তাঁর বাড়িতে বাইরে থেকে কাউকে আসতে কেউ দেখেনি। তবে, তাঁর বাড়ি থেকে এত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হল তা জেনে হতবাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    Sandeshkhali: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গড়ে ইডি হানার পর থেকে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর সন্দেশখালি নিয়ে চর্চা কিছুটা কমেছিল। তবে, শুক্রবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন সন্দেশখালিতে যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার হল তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পুলিশের রিভলভার উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় সব থেকে বেশি চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অস্ত্রভান্ডারে উদ্ধার হয়েছে পুলিশের রিভলভার (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়া গ্রাম থেকে যে অস্ত্রসম্ভার উদ্ধার হয়েছে, তার ছবি প্রকাশ করেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, শাহজাহাবন ঘনিষ্ঠের ডেরা ছেকে সিবিআই শুক্রবার ৭টি স্মল আর্মস, ৭টির মধ্যে ৪টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বাকি দেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে। ২২৮ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সমস্ত বোমা দেশি। একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি পরিচয়পত্র, সোনার গয়নার ব্যাগ, বিল উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া অস্ত্রভান্ডারে পুলিশের রিভলভার উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে কীভাবে পুলিশের সার্ভিস রিভলভার সরবেড়িয়ার ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হল? অস্ত্রের ডেরায় কে বা কারা পুলিশের রিভলভার দিয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। আর সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় বিদেশি অস্ত্রের জোগান কে দিল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করতে হবে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    গ্রামবাসীদের সরিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের এক ঘনিষ্ঠের আত্মীয়র বাড়িতে মিলেছে অস্ত্রের খোঁজ। মাটির নিচে বিপুল অস্ত্র লুকিয়ে রাখার খোঁজ মেলে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনএসজি কমান্ডো টিম। নামানো হয় ‘ক্যালিবার’ রোবট, ডিটেকশন ডগ। নিয়ে যাওয়া বালিবোঝাই বস্তা। অত্যাধুনিক এই রোবটিক্স ডিভাইস সরবেড়িয়ার গ্রামের পথ ধরে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। এরপর ওই বাড়ি থেকে একটি ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে আসে সেটি। গ্রামের আশপাশের লোকজনকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবস্থা করে একের পর এক বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “তৃণমূল যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে”, চাকরি বাতিল ইস্যুতে তোপ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূল যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে”, চাকরি বাতিল ইস্যুতে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মালদায় জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসএসসি চাকরি বাতিল নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দেগে মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূল যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদের জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি হয়েছে যে, ২৬ হাজার পরিবারের সুখ কেড়ে নিয়েছে। রুজিরুটি চলে গিয়েছে। যুব সমাজের উন্নতির সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল।” একই সঙ্গে বিজেপি সরকারের কাজের খতিয়ানও দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তৃণমূল দুর্নীতি করে আর মানুষকে ভুগতে হয় (Narendra Modi)

    এদিন বক্তব্যের শুরুতে দেশবাসীর উদ্দেশে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দেওয়ার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বিরোধী তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন তিনি। মোদি (Narendra Modi) বলেন, “বিরোধীরা প্রথম দফার ভোটেই ধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের শাসনে শুধু দুর্নীতি হয়। সব ধরণের দুর্নীতি হয়। এরা উন্নয়নকে আটকে রেখেছে। তৃণমূল দুর্নীতি করে আর মানুষকে ভুগতে হয়। বাংলার কাটমানি আর কমিশন ছাড়া কিছু হয় না। কৃষকদেরও ওরা ছাড়ে না। আগে বাংলা সব দিক থেকে এগিয়ে ছিল। দেশকে নেতৃত্ব দিত। বাম আমল আর এখন তৃণমূলের আমলে এই বাংলা সব দিক দিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বালুরঘাটে বিজেপি নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল, পুলিশের সঙ্গে বচসা সুকান্তর

    সন্দেশখালি নিয়ে ফের সরব মোদি

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “সন্দেশখালি মহিলাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। মালদাতেও মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু, তৃণমূল সরকার অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তৃণমূল।”তিনি আরও বলেন, “বাংলায় ৫০ লক্ষের থেকে বেশি কৃষকদের জন্য আট হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু, তৃণমূল সরকার সেই টাকা কৃষকদের হাতে পৌঁছাতে দিচ্ছে না। তৃণমূলের নেতারা প্রকল্পের টাকা নিয়ে নেয়। কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আয়ুষ্মান প্রকল্পকেও আটকে দিয়েছে। মালদার আম চাষিদের জন্য অনেক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল সেখানেও কাটমানি চাইবে।”

    কংগ্রেস-তৃণমূল জোট নিয়ে কটাক্ষ মোদির

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, কংগ্রেস পুরো দেশে মহিলাদের মঙ্গলসূত্র এবং আদিবাসীদের গয়নার হিসাব করবে। কংগ্রেস একটা এক্সরে মেশিন নিয়ে এসেছে। মানুষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেবে। সেই সম্পত্তি নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কগুলিকে দেবে। আপনাদের কষ্টার্জিত টাকা অন্যদের হাতে চলে যাবে। তৃণমূল কিন্তু এর বিপক্ষে কোনও কথা  বলছে না। সমর্থন করছে। তুষ্ঠীকরণের প্রতিযোগিতা চলছে ওদের মধ্যে। তৃণমূল বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে আসছে। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের জোট রয়েছে। তুষ্টীকরণের জন্য এই দুই দল যা খুশি করতে পারে। মালদহে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি আরও বলেন, “তুষ্টীকরণের জন্য তৃণমূল এবং কংগ্রেস সিএএ বিরোধিতা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাটে বিজেপি নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল, পুলিশের সঙ্গে বচসা সুকান্তর

    Balurghat: বালুরঘাটে বিজেপি নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল, পুলিশের সঙ্গে বচসা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার তপনের পতিরামপুরে বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ রায়কে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ক্যাম্প বসানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেই বুথে যান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তখন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা সুকান্তকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি যাতে কোনও ভাবে ওই এলাকায় ঢুকতে না পারে, তাঁকে ঘিরে রাখার অভিযোগ ওঠে। গোটা ঘটনার ভিডিও তোলেন সুকান্ত। সেটি তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাবেন বলে সূত্রের খবর।

    পুলিশ চুপচাপ বসে আছে, সরব সুকান্ত (Balurghat)

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাটের (Balurghat) আইসি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, “প্রার্থীকেই বুথে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ কিচ্ছু করছে না। পুলিশ চুপচাপ বসে আছে। ১০০ মিটারের মধ্যে থেকে ক্যাম্প অফিস না ওঠালে আমি এখানেই থাকব। এখান থেকে আমরা লিড পাব, সেটা ওরা জানে। তাই আমাদের মহিলা কর্মীদের হেনস্থা করছে।” বিজেপির দাবি, গঙ্গারামপুরে পুলিশকে কিনে নেওয়া হয়েছে। বারান্দায় উঠে তৃণমূলে লোকজন ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে। আশ্রমপাড়া, অমল বন্ধু হাইস্কুলের বুথে পুলিশি নজরদারি অভাবের অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি কর্মী খুন, শোরগোল

    বাড়ি বাড়ি ঘুরে ‘টাকা বিলি করছে তৃণমূল!

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার (Balurghat) হরসুরা অঞ্চলের রামপুর ও কৃষ্ণবাটি বুথে তৃণমূলের লোকজন টাকা দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ঢুকছিল বলে অভিযোগ বিজেপির। সেই সময় রাস্তায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আটকায় বিজেপি। এনিয়ে দু’তরফে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বিজেপি এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    তৃণমূলের গুন্ডা আবার নাকা চেকিং করছে!

    বালুরঘাটে (Balurghat) সাংবাদিক বৈঠকে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ” গঙ্গারামপুরে বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর পেয়েছি। কাল রাতে হামলাও হয়েছে আমাদের বুথ সভাপতির বাড়িতে। তাও সাহস দিয়ে বসিয়েছি। গঙ্গারামপুরেই সবচেয়ে বেশি গন্ডগোল হয়েছে। গঙ্গারামপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর বাড়ি, তাই ওখানে অশান্তি বেশি। তৃণমূল গুন্ডা আবার নাকা চেকিং লাগিয়েছে, কারা ভোট দিতে যাচ্ছেন। যাঁরা তৃণমূল ভোটার, তাঁদেরকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে।”

    সস্ত্রীক ভোট দিলেন সুকান্ত

    সস্ত্রীক ভোট দেন বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী এদিন বলেন, “গোটা রাজ্যটাই ওকে ঘুরতে হচ্ছে। যতটা পারছি, ওর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। যতটা পারছি ঠান্ডা খাওয়ানোর চেষ্টা করছি ওকে। খুব কম সময় পাই ওকে আমরা। আমিও কম পাই, আমার মেয়েরাও বাবাকে কম পায়। যখন পায় আর বাবাকে ছাড়তে চায় না।” পাশেই ছিলেন সুকান্ত। তাঁকে একেবারেই রাজনৈতিক প্রশ্ন করা হয়, জানতে চাওয়া তৃণমূল যে বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভয় দেখাচ্ছে, এটা কি সঠিক? সুকান্ত বলেন, “কেন্দ্রের জিনিস দেখলে ভয় পায়। আমরা কথা বলে দেখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি কর্মী খুন, শোরগোল

    BJP: ভোটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি কর্মী খুন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে এক বিজেপি (BJP) কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দীনবন্ধু ওরফে ধনঞ্জয় মিদ্যা। তাঁর বাড়ি ময়নার বাকচা এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে পানের বরোজের ভিতর থেকে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP)

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীনবন্ধুবাবু বিজেপির (BJP) সক্রিয় কর্মী। এবারও লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মিটিং, মিছিলে যেতেন। বুথ কর্মী হিসেবে দেওয়াল লিখনও করেছেন। দীনবন্ধুর বাবার নাম সুদর্শন। তিনিও গ্রাম গোড়া মহাল বিজেপির সক্রিয় কর্মী। বুধবার থেকে রহস্যজনকভাবে দীনবন্ধুবাবুর আর খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা দীনবন্ধুর খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালাতে থাকেন। মাঝ রাতের সময় একটা পানের বোরজ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, যুবকের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে পিটিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, দেহের বেশ কিছুটা অংশ মাটির সঙ্গে স্পর্শ করা ছিল। হাঁটু মাটিতে লেগেছিল। খবর পেয়ে ময়না থানার পুলিশ এলাকায় পৌঁছয়। তবে, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে, পুলিশ বুঝিয়ে তাঁদের থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের জেলা বিজেপি সভাপতি ও বিধায়ক হলদিয়া তাপসী মণ্ডল অবশ্য দাবি করেছেন, “এটা একটা পরিকল্পিত খুন। কারণ, যে ভাবে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাতে আত্মহত্যার ঘটনা নয়। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। শাসক দলের ভূমিকাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, পুলিশের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত আমরা করাতে চাই না। সেখানে সেন্ট্রাল ফোর্স লাগবে।”রাজ্য যুব তৃণমূল সহ সভাপতি পার্থ সারথি মাইতি বলেন, “ময়নাতদন্ত হলে বোঝা যাবে, খুন না আত্মহত্যা। নিজেরা বিজেপি কর্মীকে মেরে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: আজ দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যের তিন আসনে ৪৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ

    Lok Sabha Election 2024: আজ দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যের তিন আসনে ৪৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কড়া নিরাপত্তায় তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুর হল। দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন রয়েছে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট। এই তিনটি লোকসভাতে গতবার বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। এবার নিজেদের আসন ধরে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। ভোটকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই তিনটি লোকসভা এলাকা সরগরম হয়ে রয়েছে।

    দ্বিতীয় দফার ভোটে তিন আসনে মোট ৪৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে (Lok Sabha Election 2024)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে মোট পোলিং স্টেশন ১৯৯৯ টি। এরমধ্যে ক্রিটিক্যাল বুথের সংখ্যা ৪০৮ টি। রায়গঞ্জ মোট পোলিং স্টেশন ১৭৩০ টি। এরমধ্যে ক্রিটিক্যাল বুথের সংখ্যা ৪১৮ টি। দার্জিলিংয়ের তুলনায় এই কেন্দ্রে ক্রিটিক্যাল বুথের সংখ্যা কিছুটা বেশি। বালুরঘাটে মোট পোলিং স্টেশন ১৫৬৯ টি। এই লোকসভায় ক্রিটিক্যাল বুথের সংখ্যা ৩০৮ টি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ৩ টি লোকসভা কেন্দ্রে মোট পোলিং স্টেশন ৫২৯৮ টি। আর সব মিলিয়ে মোট ক্রিটিক্যাল  বুথের সংখ্যা ১১৩৪। রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটে তিন আসনে মোট ৪৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। এর মধ্যে দার্জিলিংয়ে রয়েছেন ১৪ জন প্রার্থী। ১২ জন পুরুষ ও ২ মহিলা প্রার্থী। রায়গঞ্জে মোট প্রার্থী ২০ জন, যার মধ্যে রয়েছে ১৯ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা। বালুরঘাট কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৩। সবাই পুরুষ। তিনটি লোকসভা মিলিয়ে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫১ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৫৫।

    দ্বিতীয় দফার ভোটে কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে?

    শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে ভোট (Lok Sabha Election 2024)।  দ্বিতীয় দফার ভোটে ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় দফার ভোটে থাকবে ১২ হাজার ৯৮৩ জন রাজ্য পুলিশ। দার্জিলিং লোকসভায় ৭৩৯টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। এই লোকসভায় ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। রায়গঞ্জ লোকসভায় ২১০টি স্পর্শকাতর বুথ। কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে ১১১ কোম্পানি। বালুরঘাট লোকসভায় ১৯২টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, ৭৩ কোম্পানি। রায়গঞ্জে ২০ জন প্রার্থী, সেজন্য ইভিএমে থাকবে ২টি করে ব্যালট ইউনিট। একটি ইভিএমের ব্যালট ইউনিটে ১৫ জন প্রার্থী ও একটি নোটার অপশন থাকে। রায়গঞ্জে যেহেতু মোট ২০ জন প্রার্থী, সেজন্য ইভিএমে ২টি করে ব্যালট ইউনিটের ব্যবস্থা। বাকি দুটি লোকসভায় একটি করে ইভিএম থাকবে।

    পর্যবেক্ষকদের নাম, ফোন নম্বর, এবং ইমেইল আইডি

    প্রথম দফার মত, দ্বিতীয় দফার ৩ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষকদের নাম, ফোন নম্বর, এবং ইমেইল আইডি প্রকাশ্যে আনল নির্বাচন কমিশন। ভোটাররা কোনও ক্ষেত্রে ভোট দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে তাঁরা সংশ্লিষ্ট ফোন নম্বর এবং ইমেইল আইডিতে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

    এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষকদের তালিকা

     দার্জিলিং :- পুষ্কর কাঠুরিয়া (ফোন নম্বর – 7318695201), (email ID  – deodarj@gmail.com) বি নিশান্থ রাও (ফোন নম্বর – 7319349201), (email ID chennai.ddit.inv3.3@incometax.gov.in) রায়গঞ্জ:-  শ্রী হারশ সিদ্ধার্থ (ফোন নম্বর – 9046227872), (Email Id – exobs.raiganj@gmail.com) বালুরঘাট :- শ্রী ভাঙ্গেপাটিল পুশকারাজ রমেশ (ফোন নম্বর :- 7586926462) (Email Id – expenditureobserver.blg6pc@gmail.com

    সাধারণ পর্যবেক্ষকের নাম, ফোন নম্বর

     দার্জিলিং :- – শ্রী বিক্রম সিং মালিক  (ফোন নম্বর – 736494505), (Email Id – genobs04darj@gmail.com) রায়গঞ্জ –  শ্রী শ্রীধর বাবু আড্ডাকানি (ফোন নম্বর – 9046227870), (Email Id – genobs.raiganj@gmail.com) বালুরঘাট – শ্রী নর্মাদেশ্বর লাল (ফোন নম্বর – 7384269466), (Email Id – generalobserver.blg6pc@gmail.com)

     পুলিশ পর্যবেক্ষকের নাম ও ফোন নম্বর

     দার্জিলিং :- শ্রী প্রদীপ কুমার যাদব (ফোন নম্বর – 7318748206), (Email Id – policeobserver24@gmail.com) রায়গঞ্জ :- শ্রী সুভাষ চন্দ্র ডুবেই (ফোন নম্বর – 9046227871), (Email Id – udpoliceobserver@gmail.com) বালুরঘাট :- শ্রী হনুমন্তারায়া (ফোন নম্বর – 7384013279), (Email Id -observerddnj@gmail.com)   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “চাকরীপ্রার্থী পিছু আট লক্ষ করে টাকা চেয়েছিলেন অভিষেকের ভাই”, বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

    Bankura: “চাকরীপ্রার্থী পিছু আট লক্ষ করে টাকা চেয়েছিলেন অভিষেকের ভাই”, বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে এই ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই যোগ্যরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন। এই আবহের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বাঁকুড়ার (Bankura) সভায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সৌমিত্র খাঁ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    চাকরীপ্রার্থী পিছু আট লক্ষ করে টাকা চেয়েছিলেন অভিষেকের ভাই (Bankura)

    বাঁকুড়ার (Bankura) রতনপুরে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, তৃণমূলে থাকার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু ছেলের চাকরির জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তিনি তাঁর ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেছিলেন। আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গেলে তিনি প্রার্থী পিছ আট লক্ষ টাকা দাবি করেন। সৌমিত্রর কথায়, ” আমি ওনার ছোট ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললাম অভিষেকদা বলল চাকরি করে দেবেন। তো কী করতে পারবেন? আমায় বললেন, দাদা তোমার কাছ থেকে বেশি নেব না। এক কাজ করো আট লক্ষ টাকা আর দু’লক্ষ টাকা তোমার জন্য। মোট ১০ লক্ষ টাকা করে ১০০টা ক্যান্ডিডেট এনে দিতে পারো।”  এরপরই সৌমিত্র খাঁ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর দাবি করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আসতেন আমি তাঁর প্যান্ট জামা খুলে নিতাম।” শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আদালত যে করছে তা বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্যে আরও পরিষ্কার হয়ে গেল। এই নির্বাচনে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বড়জোড়ার (Bankura) তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওর হিম্মত রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোশাক খুলে নেওয়ার? ও তো তিনটে-চারটে লোক আর পয়সার থলি নিয়ে ঘুরছে। আর এই ভোটে পাবলিক ওকে যোগ্য জবাব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিন”, চাকরিহারাদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিন”, চাকরিহারাদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার পর তৃণমূল থাকবে না। যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের বলব, ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের কাছে যান, কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিয়ে নিন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল আমলে যারা চাকরি পেয়েছেন, কার চাকরি থাকবে, কার চাকরি যাবে বলা অসম্ভব। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা পড়াশুনা করে চাকরি পেয়েছেন, তারা তো টাকা দিয়ে চাকরি পাননি। তাহলে তো আটা ও ভুষি এক হয়ে যাচ্ছে। যারা ঘুষ নিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি যাচ্ছে আর যারা পড়াশুনা করে চাকরি পেয়েছেন, তাদেরও চাকরি চলে যাচ্ছে।

    দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এদিকে রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন বালুঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত, বুথের অবস্থা কি তার খোঁজ খবর নিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। এদিন দুপুরে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম এলাকায় যান বিজেপি প্রার্থী। সেখানে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত। পাশাপাশি ওই এলাকায় কিছু তৃণমূলের লোকজন একটু হুমকি দিচ্ছে। তারা আবার দিনের বেলা বেরতে পারে না বলে জানান বিজেপি কর্মীরা । দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর, গোপালপুর ও হিলি ব্লকের তিওর সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেরান।

    আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    কী বললেন সুকান্ত?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বুধবার তো প্রচার শেষ হয়েছে। তাই, এদিন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, কেউ ভয় দেখাচ্ছে কি না এইসব শুনছি। ছোট খাটো ধমকানো চমকানো চলছে। ভয় দেখানো হচ্ছে, বিভিন্ন ভাতা বন্ধ হবে এইসব চলছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীর হাত উড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বোমা বাধঁতে গিয়ে হাত উড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ হল বোমা শিল্পর জন্য বিখ্যাত। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এইসব জায়গায় বোমা ঘরে ঘরে কুটির শিল্প এখন। বোমা তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share