Tag: Trump

Trump

  • PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি। স্থানীয়দের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে আমাদের।” শুক্রবার বারাণসীর সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিন কয়েক আগেই ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতির দেশ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে জ্বালানি কিনে চলেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে ভারতকে একাধিকবার রক্তচক্ষু দেখিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা (PM Modi)

    তাকে কার্যত উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। তার জেরেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া এবং ভারতের ব্যাপারে ভাবতেই চান না তিনি। মৃত অর্থনীতি নিয়ে ডুবে যেতে পারে দুই দেশই। এই আবহেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে এল ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা। তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সরকার দেশের সব চেয়ে ভালো করার স্বার্থে যা কিছু প্রয়োজনীয়, সব করছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “তামাম বিশ্বে অস্থিরতার পরিবেশ বিরাজ করছে। সব দেশ তাদের নিজস্ব স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই ভারতকে তার অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের সরকার দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যারা দেশের জন্য সব থেকে ভালোটা চান এবং ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে দেখতে চান, তা সে যে কোনও রাজনৈতিক দলই হোক না কেন, তাদের উচিত মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে স্বদেশি পণ্যের জন্য একটি সংকল্প তৈরি করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি (PM Modi)। স্থানীয়দের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে (Donald Trump)।”

  • Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারতকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে তাতে যে ভারতের খুব একটা বড়সড় সমস্যা হবে না, তা জানিয়ে দিল সরকারি বিভিন্ন সূত্র। তাদের বক্তব্য, দেশের অর্থনীতির ওপর এর ‘অত্যন্ত সামান্য’ প্রভাব পড়বে। সূত্রের খবর, জিডিপিতে এর প্রভাব ০.২ শতাংশের বেশি হবে না।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য (Donald Trump)

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ভারতীয় এক অর্থনীতিবিদও বলেছিলেন, জিডিপি হয়তো ০.৩ শতাংশ পর্যন্ত স্লো হবে। ওই সূত্র এও জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে সরকার দামের দিক থেকে সংবেদনশীল কৃষি ও দুগ্ধ বাজার খুলে দেবে না। গোমাংস বা ‘নন-ভেজ মিল্ক’ (অর্থাৎ যেসব গরুকে পশু-ভিত্তিক খাবার যেমন হাড়গুঁড়া খাওয়ানো হয়, সেই গরুর দুধ) আমদানি করার অনুমতিও দেবে না। এগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। সরকার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় পদক্ষেপ করবে এবং কৃষক, উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গোষ্ঠীর কল্যাণেও দায়বদ্ধ থাকবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সরকার কৃষকদের স্বার্থে কোনও আপস করবে না। আর তাই জিএম ফসল আমদানি করার অনুমতিও দেয়নি।

    কী চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    প্রসঙ্গত, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত হয়ে রয়েছে। এই আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় তাদের কৃষক ও দুগ্ধ উৎপাদকরা যেন ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারে। ভারত বারবার বলেছে, এই বাজার খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি ভারতের জিডিপিতে ২০ শতাংশেরও কম অবদান রাখে। তবে দেশের ১৪৪ কোটির প্রায় অর্ধেক জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতে নিয়োজিত (Donald Trump)।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    এটি এত বড় ভোট ব্যাংক যে, কোনও সরকারই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করার ঝুঁকি নিতে পারে না। এই বাস্তব বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে ২০২১ সালে যখন তীব্র প্রতিবাদের মুখে বিজেপি সরকারকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এই বিষয়ে মতপার্থক্য ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে খবর। ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, “ভারত আমাদের ভালো বন্ধু। কিন্তু ওরা প্রায় সব দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক ধার্য করেছে। এটা আর চলতে পারে না (Indian Goods)।”

    ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আমেরিকা

    সামগ্রিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং গত চার বছর ধরেই এমনটি রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৩২ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানি ১১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৬.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। তার আগের বছরে (২০২২-২৩) এর পরিমাণ ছিল ৭৭.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে, আমদানি বেড়ে হয়েছে ৪৫.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ছিল ৪২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা

    সূত্রের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা সঠিক পথেই রয়েছে এবং ইতিবাচকভাবেই এগোচ্ছে। এই আলোচনার সূচনা হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। এই আলোচনাই এখনও চলছে। ওই সূত্রেরই খবর, চূড়ান্ত চুক্তির পর ২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা পুনর্বিবেচনা ও তা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। গত সপ্তাহে ভারতের একটি সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়, ভারত একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই চুক্তি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে অনুমান করা হয়েছিল, ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার (আগামী ৭ আগস্ট) আগেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু এখনই সেটি সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না (Donald Trump)।

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আলোচনার জন্য ভারত সফরে আসতে পারেন মার্কিন কর্তারা। তাই দিল্লি তার আস্তিনে রেখে দিয়েছে তুরুপের তাসটি। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উভয় পক্ষ ভারতে অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের শীর্ষস্থানীয় (Indian Goods) সরবরাহকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে জ্বালানি কেনার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দর কষাকষি হতে পারে (Donald Trump)।

  • Tariff War: বক্তব্যে ‘ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’! ট্রাম্প-প্রীতি দেখাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচিত রাহুল গান্ধী

    Tariff War: বক্তব্যে ‘ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’! ট্রাম্প-প্রীতি দেখাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচিত রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্প-প্রীতি দেখাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে বিতর্কের মুখে পড়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের “মৃত অর্থনীতি” মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাহুল চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে (Tariff War)। তবে তা যে ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি কংগ্রেসের এই নেতা। কারণ তাঁর দলের সহকর্মী এবং ‘ইন্ডি’ জোটের কিছু নেতাও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের মন্তব্যকে সমর্থন করার মাধ্যমে রাহুল একদিকে যেমন বিজেপিকে রাজনৈতিক পাল্টা আক্রমণের সুযোগ করে দিয়েছেন, তেমনই বিরোধ বাঁধিয়ে দিয়েছেন দলের অভ্যন্তরেই।

    ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য (Tariff War)

    রবিবার ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করার পরের দিনই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। ভারত ও রাশিয়ার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, তিনি একেবারেই চিন্তিত নন দিল্লি-মস্কোর মধ্যের এই সম্পর্ক নিয়ে। এই দুই দেশই তাদের মৃত অর্থনীতি এক সঙ্গে ধ্বংস করতে পারে। ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “আমি চিন্তা করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে। তারা চাইলে তাদের মৃত অর্থনীতিকে এক সঙ্গে তলিয়ে যেতে দিতে পারে। এতে আমার কিছু আসে যায় না। আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করি। ওদের শুল্ক হার অত্যন্ত বেশি। বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উচ্চ। একইভাবে, রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যেও প্রায় কোনও ব্যবসা নেই। সেটাই থাকা উচিত।”

    কংগ্রেসে মতবিরোধ

    ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই রাহুল সংসদে সাংবাদিকদের জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) ঠিকই বলেছেন। এটা সবাই জানে, শুধু প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ছাড়া। আমি খুশি যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যি কথাই বলেছেন।” রাহুল যখন ট্রাম্পের মন্তব্য সমর্থন করে (Tariff War) কেন্দ্রকে নিশানা করেন, তখন কংগ্রেসেরই প্রবীণ নেতা শশী থারুর এবং রাজীব শুক্লা ভারতের অর্থনীতির শক্তির দিকটি তুলে ধরেন। থারুর বলেন, “দিল্লির উচিত নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।” শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী)-র সাংসদ এবং বিরোধী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ট্রাম্পকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য স্রেফ অহংকার বা অজ্ঞতার প্রকাশ (Rahul Gandhi)।”

    রাহুলের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থনীতি ধ্বংস করার অভিযোগ এনে রাহুল দায়ী করেন নোটবন্দি এবং ত্রুটিপূর্ণ জিএসটিকে। লোকসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, “অ্যাসেম্বল ইন ইন্ডিয়া – যা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র একটি পরোক্ষ সমালোচনা – ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে, কৃষকদের পিষে ফেলা হয়েছে।” রাহুলের এই মন্তব্যের একেবারে উল্টো সুর শোনা গিয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা থারুরের গলায়। তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চলছে, ব্রিটেনের সঙ্গে একটি চুক্তি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছি। যদি আমেরিকায় প্রতিযোগিতা করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের মার্কিন বাজার ছেড়ে অন্য বাজারে বৈচিত্র্য আনতে হবে (Rahul Gandhi)। আমাদের কাছে বিকল্পের অভাব নেই।”

    থারুরের যুক্তি

    থারুর বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক আচরণ করে, তাহলে ভারতকে অন্য কোথাও এগিয়ে যেতে হবে। এটাই ভারতের শক্তি। আমরা চিনের মতো পুরোপুরি রফতানি- নির্ভর অর্থনীতির দেশ নই। আমাদের একটি শক্তিশালী ও বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। আমাদের দর কষাকষির জন্য যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সমর্থন করতে হবে যাতে সম্ভব হলে সেরা চুক্তিটি করা যায়। আর যদি ভালো চুক্তি সম্ভব নাও হয়, তাহলে আমাদের সেখান থেকে সরে আসতে হতেই পারে (Tariff War)।”

    রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ অমিত

    রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি বলেন, “কংগ্রেস নেতা যখন ট্রাম্পের মৃত অর্থনীতি মন্তব্যকে তোল্লাই দেন, তখন তিনি এক নয়া নিম্নস্তরে পৌঁছে যান। এটি ভারতীয় জনগণের আকাঙ্ক্ষা, সাফল্য এবং মঙ্গলকে লজ্জাজনকভাবে অপমান করা (Rahul Gandhi)”। তিনি বলেন, “কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, এখানে একমাত্র যা সত্যিকার অর্থে ‘মৃত’, তা হল রাহুল গান্ধীর নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও উত্তরাধিকার। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও ভারত আজ বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ। আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাঙ্ক এর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ওপরের দিকেই বলে জানিয়েছে।” মালব্য বলেন, “এটি কোনও মৃত অর্থনীতি নয়। এটি একটি উত্থানশীল, দৃঢ় ভারত।”

    তাঁর প্রশ্ন, “রাহুল গান্ধী আসলে কার হয়ে কথা বলছেন? কেন তিনি বারবার এমন বিদেশের হয়ে প্রচার করেন, যা ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে?” মালব্য বলেন, “আমি আজ একই বিষয়ে কংগ্রেসের দুই নেতার মন্তব্য শুনেছি (Rahul Gandhi)। একজন ভারতের স্বার্থে কথা বলেছেন, আর অন্যজন এমন সুরে কথা বলেছেন যা তাঁর বিদেশি (Tariff War) প্রভুদের খুশি করবে।”

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হালটা যে নরেন্দ্র মোদির হাতে, মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে তা বুঝিয়ে দিল ‘হাতি’। ভারতকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করেও, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর (American Bullying) ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে অতিরিক্ত পেনাল্টিও দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, নয়াদিল্লি অসহনীয় নন-মানিটরি ট্রেড ব্যারিয়ার্স বজায় রেখেছে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কিনছে এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার সময় মার্কিন চাপকে প্রতিহত করছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “মনে রাখবেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে খুব কম হয়েছে। কারণ ওরা অনেক বেশি শুল্ক নেয়। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি হারে শুল্ক নেওয়া দেশগুলির মধ্যে একটি। ওদের সঙ্গে ব্যবসায় অনেক বিরক্তিকর বাধা রয়েছে, যার সঙ্গে আর্থিক কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়া ওরা সব সময় সামরিক সরঞ্জামের একটি বড় অংশ কেনে রাশিয়া থেকে। রাশিয়ার জ্বালানিও ওরা সব চেয়ে বেশি কেনে।” তিনি লিখেছেন, “যখন সকলে চাইছে রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যালীলা বন্ধ করুক, তখন এসব কাজ ভালো নয়। তাই ভারত ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে এবং উল্লিখিত বিষয়গুলির জন্য একটি জরিমানাও নেওয়া হবে ১ অগাস্ট থেকে।”

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ। বরং নিজের অবস্থানেই অটল রয়েছে ভারত। অর্থনৈতিক অধীনতার বদলে অগ্রাধিকার দিয়েছে কৌশলগত সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে (Donald Trump)। সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সঙ্গীকে ১৫ শতাংশ বা তারও কম হারে শুল্কের সুবিধা দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘বন্ধুদেশ’ হওয়ায় ভারতও তেমনটাই আশা করেছিল। ভারতের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি আমেরিকার কৃষিপণ্যকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিত এবং নিজস্ব শিল্প রক্ষার নীতি শিথিল করত, তাহলে মার্কিন শুল্কে ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। ভারত তা তো করেইনি, উল্টে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে কঠোর অবস্থান নেয় মোদি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির এই কঠোর অবস্থানেই ‘ব্যবসায়ী’ ট্রাম্প বুঝে যান, এই দেশ নয়া ‘ইন্ডিয়া’ নয়, বরং (American Bullying) ‘মোদির ভারত’।

    বন্ধুদেশকে শাস্তি

    বন্ধুদেশকে শাস্তি দেওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেটি হল ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জেরে ভারত-পাক যে সংঘাত হয়েছিল, তাতে রাশ টেনেছিলেন তিনি। ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি হয়েছে তাঁরই হস্তক্ষেপে। ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ প্রত্যাশী ট্রাম্পের এহেন দাবিকেও নস্যাৎ করে দেয় নয়াদিল্লি। বিভিন্ন সময় নানা জায়গায় ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, পাকিস্তান অনুনয়-বিনয় করায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপে নয় (Donald Trump)। বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তির দেশের তালিকায় আমেরিকা রয়েছে এক নম্বরে, চারে রয়েছে ভারত। তাই ফোর্থ হওয়া স্টুডেন্টটি যেভাবে ‘ফার্স্টবয়’কে উপেক্ষা করছে, সেটা ভালো চোখে দেখেননি ট্রাম্প। অথচ মোদি জমানায় ভারত বরাবর তা-ই করে এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র  

    রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় জারি করে নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন রক্তচক্ষুর ভয়ে যখন বিড়াল সেজে বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে সেঁধিয়ে গিয়েছে টেবিলের তলায়, সেই সময়ও রাশিয়া থেকে বীর-বিক্রমে নিয়মিত তেল কিনে চলেছেন “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র মানুষের (নরেন্দ্র মোদি নিজেকে এভাবেই পরিচয় দেন) দেশ। তার জেরে ব্যয় কমেছে ভারতের জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় জীবাশ্ম জ্বালানির দাম, কমতে থাকে রাশিয়ার তেলের দর (American Bullying)। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাঁচিয়ে তিনি আদতে আরও বেশি করে মজবুত করেছেন দেশীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডটি।

    বন্ধুত্বের বার্তা

    ২০২০ সালে গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র আয়োজন করে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন মোদি। পরে ট্রাম্পও পাল্টা বন্ধুত্বের বার্তা দিতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’র। তার পরিণতি যে এমন হবে, চার বছর পরে মার্কিন কুর্সিতে ফিরে তা ভাবতেও পারেননি ট্রাম্প। তাঁর আশা ছিল, ভারত আর পাঁচটা দেশের মতোই মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করতে পারবে না (Donald Trump)। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করবেন মোদি। কিন্তু তা না হওয়ায় বড্ড হতাশ হয়েছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। এহ বাহ্য। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক অস্ত্র কিংবা যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনে আসছে রাশিয়া থেকে। সেই নেহরু জমানা থেকে শুরু করে ভায়া অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং হয়ে বর্তমানে মোদি আমলেও ছেদ পড়েনি তাতে। কারণ মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রচিত হয়েছে প্রয়োজন এবং নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে (American Bullying)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা তারও আগে বিভিন্ন সংঘাতের সময় বারবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে মস্কো।

    ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা

    অথচ ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকা আফগানিস্তানে মুজাহিদিন যুদ্ধ চালানোর জন্য পাকিস্তানকে কোলে টেনে নিয়েছিল। যার জেরে তখন ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজারের দোর। সেই সময়ও প্রকৃত বন্ধুর মতোই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। এমতাবস্থায় ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা তাঁর দেশ যদি আশা করে, ভারত দশকের পর দশক ধরে গড়ে তোলা অস্ত্র ব্যবসার কার্যকর সামঞ্জস্যতা, প্রশিক্ষণ প্রোটোকল এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা ছিঁড়ে বেরিয়ে স্রেফ মার্কিন খামখেয়ালিপনা মেটাতে পদক্ষেপ করবে, তবে তা হবে আদতে অবাস্তব এবং মূর্খের স্বর্গে বাস করার শামিল (Donald Trump)। বস্তুত, এই ঘটনা কেবল বাণিজ্য সংক্রান্ত নয়। এটা ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। ব্যবসায়ী ট্রাম্পের আগ্রাসী এবং লেনদেন নির্ভর কূটনীতির সামনে নতিস্বীকার না করে ভারত তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে, ভারত কোনও বৈশ্বিক শক্তির তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হবে না। হবে না ‘জো হুজুরে’র মতো ধামাধারীও। তা সে সামরিক সিদ্ধান্তই হোক কিংবা জ্বালানি কেনা কিংবা বাণিজ্য নীতি – ভারত সিদ্ধান্ত নেবে তার জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই, অন্য কোনও দেশকে খুশি করতে নয়।

    কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত

    ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে নয়াদিল্লি দেখিয়ে দিয়েছে, কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত মোদির ভারত। বন্ধুরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে আমেরিকা ভেবে ছিল, চাপে পড়ে বাপ বলবে ভারত। তবে তা না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ তামাম দুনিয়াকে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে (American Bullying), কোনও মূল্যেই ভারত তার সার্বভৌমত্ব বিক্রি করবে না, এমনকি পৃথিবীর সব চেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের কাছেও নয়। ভারত কারও উপগ্রহ হয়ে থাকতে চায় না, চায় না কৃপার পাত্র হয়ে থাকতে, সে নিজেই হতে চায় গ্রহ, বাঁচতে চায় নিজের শর্তে। মোদির ভারত কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না, বরং চোখে চোখ রেখে কথা বলে।

    ওহ, ডার্লিং ইয়ে হ্যায় নয়া ইন্ডিয়া (Donald Trump)!

  • Donald Trump: ‘দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত,’ শুল্ক-যুদ্ধে সাফ কথা নয়াদিল্লির

    Donald Trump: ‘দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত,’ শুল্ক-যুদ্ধে সাফ কথা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা (Donald Trump)। এর প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুলল নয়াদিল্লি। সাফ জানিয়ে দিল, দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত সরকার। বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতের (Indias Reaction) বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এই শুল্কের কী প্রভাব পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখছে সরকার।

    ভারতের বিবৃতি (Donald Trump)

    বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তা সরকারের নজরে এসেছে। সরকার এর প্রভাব খতিয়ে দেখছে। একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ এবং দুই দেশই উপকৃত হবে এমন একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তির জন্য গত কয়েক মাস ধরে ভারত এবং আমেরিকা আলোচনা চালাচ্ছে। আমরা সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কৃষক, উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের স্বার্থরক্ষা ও তাঁদের উন্নয়নকেই সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারত সরকারের ওই বিবৃতিতে এও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে ভারত সরকার। উদাহরণ হিসেবে সম্প্রতি ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই স্বাক্ষরিত হয় ওই চুক্তি। ওই চুক্তিতে আদতে লাভবান হবে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশই।

    রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘মাখামাখি’ সম্পর্ক

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘মাখামাখি’ সম্পর্ক ভালো চোখে দেখেনি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই কারণেই নয়াদিল্লির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি একটি জরিমানাও চাপানো হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে সেই পেনাল্টির পরিমাণ কত বা কী হতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টে তার উল্লেখ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া হামলা বন্ধ না করলে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য করা দেশগুলির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে (Donald Trump)।

    বুধবার বিকেলে ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের পাতায় তিনি এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে ভারতকে (Indias Reaction) বন্ধুরাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেও, নয়াদিল্লি চড়া হারে শুল্ক নেয় বলে অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাশিয়া থেকে ভারত যে অস্ত্র এবং জ্বালানি কিনছে, সে কথাও সমাজমাধ্যমে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তার পরেই ২৫ শতাংশ হারে শুল্কের ঘোষণা।

    এর পরেই বিবৃতি জারি করে ভারত। জানিয়ে দেয়, সরকার দেশের কৃষক, উদ্যোগপতি, ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প রক্ষার ওপর সব থেকে বেশি জোর দেয় (Indias Reaction)। জাতীয় স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য সরকার সব রকম পদক্ষেপ করবে (Donald Trump)।

  • PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিনি পেছনে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। দৌড়ে তাঁকে ধরতে পারেননি অন্য কোনও বিশ্বনেতাও (Global List)। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আরও একবার তিনি দখল করলেন মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের শীর্ষস্থান। ‘ফার্স্ট বয়’ নরেন্দ্র মোদি পেয়েছেন ৭৫ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত নেতা। আগেও তিনিই হয়েছিলেন প্রথম। এবারও টলানো গেল না তাঁর আসন। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার জয়ী হওয়ার পরেও দেশ ও বিদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়েও অনেক বেশি পোক্ত হয়েছে।

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার (PM Modi)

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অনুমোদনের রেটিং ট্র্যাক করে। সেই নিরিখে দেখা গিয়েছে, প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ঢের পেছনে রয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে মাত্রই ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। প্রসঙ্গত, এ বছরের গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং করা হয়েছিল ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। ২০টিরও বেশি দেশের নেতাদের মধ্যে থেকে মানুষ পছন্দ করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদিকেই।

    সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি

    যেসব রাষ্ট্রনেতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল (PM Modi)। মর্নিং কনসাল্ট একটি আমেরিকান সংস্থা। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিস্টের কাজ করে এরা। এই সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এভাবে ভাবেননি। আর ৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিতভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি।

    মোদিই প্রথম

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের তৈরি করা ওই তালিকায় নরেন্দ্র মোদির পরেই রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লি-জে-মিয়ং। তিনি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। থার্ড হয়েছেন আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই। তিনি পেয়েছেন ৫৭ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ওই তালিকার চার নম্বরে রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে ৫৬ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল। ৫৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল পেয়ে ফিফথ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিস। তালিকায় এর পর রয়েছে মেক্সিকো। সে (PM Modi) দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তাঁর পরে রয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের কারিন কেলার সাটার। তিনি পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Global List)। তিনি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ৫০ শতাংশ মানুষ তাঁর বিরোধিতা করেছেন।

    কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা

    এদিকে, বিশ্বের সব চেয়ে কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা পেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পেট্র ফিয়ালা। তাঁরা পেয়েছেন মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ৭৪ শতাংশ মানুষই তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পেয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। জার্মানির ফ্রেডরিক মর্জ পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন। তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রাজিলের লুলা দ্য সিলভা পেয়েছেন ৩২ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রিটেনের কিয়ের স্টার্মার পেয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন। আর ২০ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন জাপানের শিগেরু ইশিবা।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “১০০ কোটিরও বেশি ভারতীয়ের প্রিয় এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সম্মানপ্রাপ্ত নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও মর্নিং কনসাল্ট সমীক্ষা অনুসারে বিশ্বনেতাদের তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। মোদিজির নেতৃত্বে ভারত নিরাপদ।” ট্যুইট-বার্তায় কেন্দ্রীয় (PM Modi) মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও লেখেন, “বিশ্বমঞ্চে মোদিজির নেতৃত্ব ভারতকে গৌরবের আসনে বসিয়েছে। তাঁর দৃঢ়তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ভারতকে বিশ্ব রাজনীতিতে এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে (Global List)।”

    বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজনের আবহে মোদির এই আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা শুধু ভারতীয় রাজনীতির জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিসরের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে যেখানে চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ স্পষ্ট, সেখানে ভারতের সতর্ক ও ভারসাম্যপূর্ণ নেতৃত্বকে আশার আলো দেখছে অনেক দেশ (PM Modi)।

  • Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুলাই নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন বিলিয়নিয়র ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তাঁর দলের নাম আমেরিকা পার্টি। এক্স হ্যান্ডেল তিনি জানিয়েছেন তাঁর এই নয়া দলের কথা। ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মতদ্বৈততা চরমে ওঠে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ইলন মাস্কের। তার পরেই আত্মপ্রকাশ করে মাস্কের নয়া দল। ট্রাম্পের বিলটিকে মাস্ক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এক বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন।

    মাস্কের দলের তিন স্তম্ভ (Elon Musk)

    যদিও মাস্কের দলটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয়নি, তাদের কোনও সংবিধানও নেই। তবে মাস্কের দলটি মূলত তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এগুলি হল, আগ্রাসী আর্থিক রক্ষণশীলতা – ঋণ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর ওপর জোর, প্রযুক্তিগত গতি বৃদ্ধি – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবোটিক্স এবং বিশেষ করে জ্বালানি খাতে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করার পক্ষে জোরালো অবস্থান এবং মধ্যম ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব – রাজনৈতিক চরমপন্থীদের দ্বারা বিমুখ হওয়া সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বের দাবি। প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাস্কের নয়া দলের প্রতি জনগণের কিছুটা আগ্রহ রয়েছে। ৪০ শতাংশ ভোটার এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে মাস্কের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তাঁর অনুকূলতা সূচক বর্তমানে -১৮।

    আগেও ছাপ ফেলতে পারেনি তৃতীয় কোনও দল

    তবে ১৭৭৬ সাল থেকে আমেরিকায় তৃতীয় রাজনৈতিক দলগুলির ইতিহাস মাস্কের আকাঙ্ক্ষার এক হতাশাজনক ছবি তুলে ধরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বরাবরই চ্যালেঞ্জারদের দমন করেছে (Elon Musk)। থিওডোর রুজভেল্টের প্রগ্রেসিভ বুল মুস পার্টি ১৯১২ সালে ২৭ শতাংশ ভোট জয়ী হলেও, অল্পদিনেই ভেঙে পড়ে। রস পেরোর রিফর্ম পার্টি ওই বছরই ভোট পেয়েছিল ১৯ শতাংশ ভোট। পেরো নেতৃত্ব ছাড়ার পরেই দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে নয়া পার্টি। লিবার্টেরিয়ান ও গ্রিন পার্টির মতো ধারাবাহিক চেষ্টাগুলোও দশকের পর দশক ধরে সংগ্রাম করে চলেছে। কিন্তু সম্মিলিতভাবে কংগ্রেসের ১ শতাংশ আসনও পায়নি।

    কাঠামোগত বাধাও রয়েছে। নয়া দলকে প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আইনের অধীনে লাখ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যেই ১১ লাখ স্বাক্ষর বা ৭৫ হাজার নিবন্ধিত সদস্য লাগবে। “স্পয়লার এফেক্ট”ও একটি বড় বাধা। কারণ তৃতীয় দলগুলো প্রায়ই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের ভোট কেটে নেয়। তাই তাদের প্রতিপক্ষই জয়ী হয়। তাই মাস্কের দল আমেরিকায় পানি পাবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সে দেশের রাজনৈতিক (Donald Trump) বিশেষজ্ঞরা। ভ্যালডোস্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বার্নার্ড টামাস বলেন, “এটা ব্যবসা চালানোর মতো নয়। এর জন্য একটি তৃণমূলস্তরের আন্দোলনের প্রয়োজন। শুধু টাকাটাই যথেষ্ট নয় (Elon Musk)।”

  • Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুরোদস্তুর রাজনীতিক হয়ে গেলেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। শনিবার একটি নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। দলের নাম আমেরিকা পার্টি। দল গড়ার আগে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন এই ধনকুবের। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে নয়া দলের ধারণা (Donald Trump) নিয়ে জনমত যাচাই করতে ভোটাভুটি করিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মেলে বিপুল সাড়া। তার পরেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাশ হওয়ার পরেই নয়া রাজনৈতিক দল খুলে ফেললেন মাস্ক। নয়া পার্টির ঘোষণা করে এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক লেখেন, ‘২ টু ১ এর ফ্যাক্টরে আপনারা একটি নয়া রাজনৈতিক দল চান এবং আপনি সেটাই পাবেন। আজ আমেরিকা পার্টি আপনাকে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে।’

    মাস্কের হুঁশিয়ারি (Elon Musk)

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেন, তার আগে তাঁর হয়ে প্রচারে শত শত মিলিয়ন ডলার ঢেলেছিলেন মাস্ক। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে মাস্ককে বসিয়েছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির নেতৃত্বে। সরকারি ব্যয় হ্রাস করার পক্ষে ছিলেন মাস্ক। পরে নানা কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মাস্কের। ট্যাক্স কাট এবং ব্যয় বিল – দ্য বিগ বিউটিফুল বিল নিয়ে ট্রাম্প-মাস্কের বিরোধ চরমে ওঠে। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সামান্য ব্যবধানে পাশ হয়ে যায় ট্রাম্পের বিল। এর পরেই মাস্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে নয়া দল গড়বেন তিনি। মাস্কের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ৪ জুলাই বিলটিতে সই করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। বিলটি পরিণত হয় আইনে। তার পরেই এদিন মাস্ক জন্ম দেন আমেরিকান পার্টির।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা

    মাস্ক (Elon Musk) নয়া দল খোলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা। কারণ মাস্কের সমর্থকদের সিংহভাগই রিপাবলিকান। আগামী বছর মধ্যবর্তী কংগ্রেসনাল নির্বাচনে মাস্কের দল নির্বাচনী ময়দানে নামলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ট্রাম্পের দল। ভোট কাটাকুটির খেলার সুযোগ নিতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। মার্কিন কংগ্রেসে আটকে যেতে পারে বহু বিল। ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট পদ না খোয়ালেও, ক্ষমতার রাশ রিপাবলিকানদের হাতে নাও থাকতে পারে (Elon Musk)।

  • PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে যাওয়া আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে রাজ্যে বিজেপি সরকারের এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, কীভাবে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ট্রাম্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কানাডায় আছেন, তাই ওয়াশিংটনে কেন থামবেন না? আমরা এক সঙ্গে খাবার খাব এবং কথা বলব।” মোদি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণটি জানিয়েছিলেন। আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে ভ্রমণ করা আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিই আমায় এখানে এনেছে।”

    মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ওড়িশা ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা এবং মহাপ্রভুর আশীর্বাদে পুরী শ্রীমন্দির সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও সমাধান করা হয়েছে। কোটি কোটি ভক্তের অনুরোধকে সম্মান করতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মাঝি এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “এখানে সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীমন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রত্নভান্ডারও খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য একটি করা হয়েছে।”

    বিজেপি জমানায় ওড়িশার প্রভূত উন্নতি

    বিজেপি জমানায় যে ওড়িশার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশার দরিদ্র পরিবারগুলি আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেতে পারত না। কিন্তু এখন রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনা উভয়ই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ওড়িশার প্রায় তিন কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” নকশাল দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিজেপি সরকার হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজাতি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, নকশাল সম্পর্কিত (Donald Trump) হিংসা এখন মাত্র ২০টি জেলায় সীমাবদ্ধ। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি (PM Modi)।”

  • Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।” ঠিক এই ভাষাতেই ভারত-পাকিস্তানকে সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Ceasefire) ক্রেডিট দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার পর্যন্তও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির ক্রেডিট নিজেকেই দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি ফোনে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই সময় মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই। তৃতীয় কোনও পক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। তার পর এদিন প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ওরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    বুধবার হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রাধন আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ট্রাম্প। ‘পাকিস্তানকে ভালোবাসি’ বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এহেন আবহেই সুর বদলে ফেললেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। মধ্যাহ্নভোজ শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওঁকে (মুনিরকে) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ওঁরা যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতের সঙ্গে আমরা বাণিজ্যিক চুক্তি করছি। পাকিস্তানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।” তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাও হয়েছে। আমি খুব খুশি যে, দুই স্মার্ট ব্যক্তি যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। উভয় দেশের নেতারা খুবই বিচক্ষণ। সময়ে যুদ্ধ থামিয়েছে। পরমাণু যুদ্ধ হতে পারত। কারণ দুটিই পরমাণু শক্তিধর দেশ। ওরাই সিদ্ধান্ত নিল।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে কার্যত লেজেগোবরে দশা হয় ইসলামাবাদের (Donald Trump)। তার পরেই ভারতকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। স্থগিত রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত ও পাকিস্তানের তরফে এই যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারংবার বলতে থাকেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই শান্তি স্থাপন করেছেন। পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর বস্তুত ঢোক গিললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই (ভারত-পাকিস্তান) নিয়েছে (Donald Trump)।

LinkedIn
Share