Tag: Trump

Trump

  • Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বনেতা হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! বন্ধু মোদির (PM Modi) ওপর নির্ভরতাও বাড়ছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। তার প্রমাণ মিলল মোদি-ট্রাম্পের বৈঠকে। প্রত্যাশিতভাবেই ওই বৈঠকে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। পড়শি দেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপরেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যে আমেরিকার কোনও গোপন ভূমিকা নেই, তাও জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    আমেরিকা সফরে মোদি (Donald Trump)

    ফ্রান্স সফর সেরে দুদিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হোয়াইট হাউসে আসেন মোদি (Donald Trump)। সেখানেই হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। প্রত্যাশিতভাবেই সেই বৈঠকে ওঠে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। ওই বৈঠকেই ট্রাম্প বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন। বহু বছর ধরে এই চেষ্টা চলছে। আমি এ সংক্রান্ত খবরাখবর পড়ছি। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারটা আমি মোদির ওপরই ছাড়তে চাই।”

    কী বললেন ভারতের বিদেশ সচিব

    মোদি-ট্রাম্প বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী, অবস্থান ট্রাম্পকে জানিয়েছেন মোদি। নিজের উদ্বেগও ব্যক্ত করেছেন। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমরা ওদের সঙ্গে গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল আলোচনা করতে পারব। কিন্তু আপাতত ওখানকার পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে কথা বলছেন।”

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তারা হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে চিঠি দিয়েছে নয়াদিল্লিকে। হাসিনা সংক্রান্ত নথিপত্রও ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে ভারতে। এর পরেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ির বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে দেয় উন্মত্ত জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ধানমন্ডিতে হাসিনার সুধা সদনেও। হাসিনার কাকার বাড়িতেও হামলা চালায় জনতার একাংশ। ইউনূস ও তাঁর সরকারের উপদেষ্টারা অবশ্য বারবার দাবি করছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত। কয়েকটা জায়গায় অশান্তি হলেও, আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি সমাল দিচ্ছে। ভারতের উদ্বেগপ্রকাশকে অনভিপ্রেত বলছে ঢাকা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার মোদির (PM Modi) ওপরই ছাড়লেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

  • Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে (Hamas) চরম হুঁশিয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। সাফ জানিয়ে দিলেন, শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে সব কিছু ভেঙে পড়বে।

    হামাসের অত্যাচার! (Donald Trump)

    ইহুদি রাষ্ট্র ইজায়েলের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে যুদ্ধ চলেছে গাজার মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের। সম্প্রতি ৪২ দিনের যুদ্ধ বিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতি পর্বে অল্প অল্প করে হামাস মুক্তি দিচ্ছে বন্দিদের। যাঁদের এই জঙ্গি গোষ্ঠী মুক্তি দিচ্ছে, তাঁরা যে নিদারুণ অত্যাচারের শিকার হয়েছেন বন্দিদশা পর্বে, তা জানিয়েছেন মুক্তিপ্রাপ্তরা। এহেন আবহে এল মার্কিন প্রেসিডেন্টেরে হুঁশিয়ারি।

    চরম হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    সোমবার ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া হয়—আমি মনে করি এটি একটি উপযুক্ত সময়—তাহলে আমি বলব, যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন এবং সমস্ত কিছু ভেঙে পড়ুক।” খানিক থেমে তিনি বলেন, “তবে আমি আমার নিজস্ব মতামত দিচ্ছি। ইজরায়েল এটি অগ্রাহ্য করতে পারে।”  ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি গাজা কেনার এবং মালিকানা নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের এটি পুনর্গঠনের বিষয়ে, আমরা হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকে এর কিছু অংশ গড়ে তোলার দায়িত্ব দিতে পারি। অন্যরা আমাদের তত্ত্বাবধানে এটি করতে পারে। কিন্তু আমরা এর মালিকানা নেওয়া, এটি দখলে রাখা এবং নিশ্চিত করা যে হামাস যাতে ফিরে আসতে না পারে, এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফিরে আসার মতো কিছুই নেই। এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবশিষ্ট অংশও ভেঙে ফেলা হবে।”

    প্রসঙ্গত, হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র সোমবারই এক বিবৃতি জারি করে বলেছেন, পরবর্তী বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া, যা আগামী শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ নির্ধারিত ছিল, তা পরবর্তী ঘোষণা না করা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। হামাস জানিয়েছে, বন্দিবিনিময় পুনরায় (Hamas) শুরু করা ইজরায়েলি দখলদার বাহিনীর প্রতিশ্রুতি মেনে চলা এবং বিগত কয়েক সপ্তাহের দায়বদ্ধতা পূরণের ওপর নির্ভর করছে (Donald Trump)।

  • PM Modi: আজ ফ্রান্স উড়ে যাবেন মোদি, বুধে আমেরিকা, বৈঠক হবে ট্রাম্পের সঙ্গে

    PM Modi: আজ ফ্রান্স উড়ে যাবেন মোদি, বুধে আমেরিকা, বৈঠক হবে ট্রাম্পের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মসনদে ট্রাম্প ২.০ প্রশাসন আসার পর এই প্রথম আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, সোমবার তিনি উড়ে যাবেন ফ্রান্সের উদ্দেশে। বুধবার সেখান থেকে রওনা দেবেন আমেরিকার (US) উদ্দেশে। ১০ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের প্যারিসে, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স অ্যাকশন সমিট’- এ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্স সফরের পর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন আমেরিকায়। ফ্রান্সে ‘ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার রিয়াক্টার’ যেখানে রয়েছে, সেই জায়গাও পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-ট্রাম্পের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ (PM Modi)

    তবে সমস্ত মহলের নজর রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির মার্কিন সফরের দিকে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদি-ট্রাম্পের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে, দুই দেশের মধ্যে ‘মিনি ট্রেড ডিল’ সংক্রান্ত বাণিজ্যিক কথাবার্তা হতে পারে। জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি আমেরিকায় মোদিকে (PM Modi) আমন্ত্রণ করে ফোন আসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন। পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।’’  মোদি-ট্রাম্পের কথায় স্বচ্ছ্ব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    মোদির (PM Modi) সফরের বিষয়ে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ১২ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অফিশিয়াল সফরে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মেয়াদ শুরুর পরে এটি হবে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের (দ্বিতীয়বার)অভিষেক হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া প্রথম কয়েকজন বিশ্বনেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হবেন অন্যতম।’’

  • Washington Plane crash: বিমান দুর্ঘটনার দায় ওবামা-বাইডেনের ওপর চাপালেন ট্রাম্প

    Washington Plane crash: বিমান দুর্ঘটনার দায় ওবামা-বাইডেনের ওপর চাপালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটনে (Washington Plane crash) বিমান দুর্ঘটনায় মৃত সকলেই। জেট বিমানের সঙ্গে সেনা কপ্টারের ধাক্কায় বিমানের ৬৭ জন যাত্রীই মৃত। তথ্য বলছে, বিগত দুই দশকে মার্কিন ইতিহাসে এটাই সবথেকে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। সম্প্রতি, প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তারপরেই সামনে এসেছে এই দুর্ঘটনা। তবে দুর্ঘটনার সব দায় তিনি প্রাক্তন দুই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বারাক ওবামার কাঁধেই চাপিয়েছেন।

    ট্রাম্পের দাবি (Washington Plane crash)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ফেডেরাল ডাইভার্সিটি পলিসি বা নীতির জন্যই (Washington Plane crash) এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, ওই বিমানে আমেরিকান ইগল ফ্লাইট ৫৩৪২-র সঙ্গে মার্কিন সেনার ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের ধাক্কা লাগে, রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সামনে। বিমানে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। হেলিকপ্টারে তিনজন জওয়ান ছিলেন। ওয়াশিংটনে রেগান জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে মাঝ আকাশে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর একাধিক সংস্থা বিমানবন্দর লাগোয়া পটোম্যাক নদীতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। মুখোমুখি সংঘর্ষে বিমানটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় এবং পটোম্যাক নদীতে পড়ে। ডুবুরিরা নদীতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালায়। হেলিকপ্টারটিও পড়ে ওই একই নদীতে।

    কী বললেন ট্রাম্প (Donald Trump)?

    দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও সামনে আসেনি। তদন্ত চলছে। মনে করা হচ্ছে, রেডিও কমিউনিকেশনে শোনা গিয়েছিল যে হেলিকপ্টারকে গতিপথ বদলাতে বলা হচ্ছিল। এরপরই দুর্ঘটনা ঘটে। এই আবহে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে মার্কিন সেনার হেলিকপ্টারের পাইলটকে নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সুরক্ষা ব্যবস্থা শিথিল করে দিয়েছে কি না, সেই বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা জানি না কী করে দুর্ঘটনা ঘটল, তবে বেশ কিছু ধারণা ও মতামত উঠে আসছে।’’ ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি নিরাপত্তাকে সবার ওপরে রাখি। কিন্তু ওবামা, বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটরা নীতিকে (পলিসি) কে প্রথমে রাখেন। তাঁরা আসলে বলতে চেয়েছেন আরও বেশি শ্বেতাঙ্গ। কিন্তু আমরা বলেছি যোগ্য লোকদের চাই।’’

  • Hindenburg Research: সরোসের সঙ্গে যোগসাজস! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা, জন্ম একঝাঁক প্রশ্নের

    Hindenburg Research: সরোসের সঙ্গে যোগসাজস! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা, জন্ম একঝাঁক প্রশ্নের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) সংস্থা। ‘স্বল্পায়ু’ এই সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বড়সড় বিপদে পড়েছিল বিভিন্ন সংস্থা। বিপদে পড়েছিল ভারতের আদানি গোষ্ঠীও। শেয়ার বাজারে পতনের পাশাপাশি আইনি ঝামেলায়ও জড়িয়ে পড়ে গৌতম আদানির সংস্থা। পরবর্তীকালে সেবি প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও বড় অভিযোগ এনেছিল এই সংস্থা। এহেন আলোড়ন ফেলা একটি সংস্থার ঝাঁপই (Shut Down) বন্ধ হতে চলেছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা ন্যাথান অ্যান্ডারসন জানান, এই সংস্থা তাঁর জীবনের একটি অধ্যায়, গোটা জীবন নয়। ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।  

    ন্যাথান অ্যান্ডারসনের নোট (Hindenburg Research)

    বুধবার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ব্যক্তিগত নোটে ন্যাথান অ্যান্ডারসন বলেন, “কাজের অত্যন্ত তীব্র এবং কখনও কখনও সর্বগ্রাসী প্রকৃতিই আমার এই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ।” প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। অ্যান্ডারসন লিখেছেন, “এটি অত্যন্ত তীব্র, এবং কখনও কখনও সর্বগ্রাসী ছিল। প্রায়ই ঘুমের মধ্যে আমি নতুন কোনও তদন্তের ধারা নিয়ে ভাবতে ভাবতে জেগে উঠি, অথবা কোনও সম্পাদনার বিষয়ে যা দিনে আমার অজান্তে আমাকে অস্থির করেছিল। অথবা সব কিছুর সাধারণ চাপের কারণে। আমরা ভীতিহীন নই—আমরা কেবল সত্যের প্রতি বিশ্বাস রাখি এবং আশা করি এটি আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “অদ্ভুত, হাস্যকর এবং উদ্ভট ঘটনাগুলোর দিনও ছিল।” হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করার কারণ প্রসঙ্গে অ্যান্ডারসন বলেন, “এর পেছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই— কোনও বিশেষ হুমকি, স্বাস্থ্য সমস্যা, বা বড় কোনও ব্যক্তিগত সমস্যাও নেই।”

    রাজনৈতিক চাপানউতোর

    আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির প্রধানের যোগসূত্রের উল্লেখ করে রিপোর্ট প্রকাশ করে আমেরিকার বেসরকারি সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর যখন তুঙ্গে, তখন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গকে পাল্টা আক্রমণ করে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা। গত অগাস্টে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর এক মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন যে, জনসমক্ষে প্রকাশিত তথ্যের কিছু মিথ্যা, ক্ষতিকর এবং বিদ্বেষমূলক অংশ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত লাভের জন্য পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। হিন্ডেনবার্গকে আক্রমণ শানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আমেরিকার এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে একাধিকবার ভারতে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে।

    অভিযোগ ভিত্তিহীন!

    গৌতম আদানির শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদানি গোষ্ঠীর তরফে বলা হয়েছিল, সবিস্তার তদন্তের পর প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল যে অভিযোগ ভিত্তিহীন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টও মামলা খারিজ করে দেয় (Shut Down)। হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg Research) মার্কিন সংস্থা। সেই সময় তারা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিল, আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির প্রধানের। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। যে বছর হিন্ডেনবার্গের জন্ম হয়, সেই বছরই সেবিতে যোগ দেন মাধবী। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে এও দাবি করা হয়, সেই সময় সম্ভাব্য নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নেন তাঁর স্বামী। রিপোর্টটিকে চরিত্রহননের চেষ্টা বলে উড়িয়ে দেন বুচ দম্পতি। তবে তাতে বিতর্ক থামেনি। 

    ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা!

    আদানি ও সেবির বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে। এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মোদির বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছিল ইন্ডি-জোটের অংশীদাররা। তখনই, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে জর্জ সরোসের যোগ নিয়ে একটা ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই ইঙ্গিত জোরালো হয়ে ওঠে, যখন সরাসরি জর্জ সরোস দাবি করে বসেন যে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে জবাবদিহি করতে হবে। তখন থেকেই হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের আসল উদ্দেশ্য সামনে আসতে থাকে। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, বিদেশ থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ‘অপচেষ্টা’ চলছে।

    অ্যান্ডারসন-পিস-সরোস যোগসাজস ফাঁস!

    এর মধ্যেই ফাঁস হয়ে যায় ন্যাথান অ্যান্ডারসনের সরাসরি যোগাযোগের বিষয়টি। কী ছিল সেই যোগসূত্র? হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মার্কিন আদালতে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং সাতজন অন্যান্য এক্সিকিউটিভ আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ঘুষের অভিযোগ এনেছিলেন নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের মার্কিন অ্যাটর্নি ব্রিয়ন পিস। জানা যায়, এই ব্রিয়নের স্ত্রী যে সংস্থার অন্যতম শীর্ষ ডিরেক্টর, সেই (এনজিও) সংস্থাটির মালিক হলেন ব্রায়ান স্টিভেনসন, যিনি কিনা আবার সরোসের মালিকানধীন ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও বটে। ফলে, সরোসের সঙ্গে পিস দম্পতির যোগসাজস পরিষ্কার হয়ে যায়। কাকতালীয়ভাবে, এর পরেই ব্রিয়ন পিস তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। 

    ঝাঁপ ফেলার সময়কাল

    উল্লেখ্য যে, নাথান অ্যান্ডারসনের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করার ঘোষণাটি এমন একটি সময়ে এল যখন দিন কয়েকের মধ্যে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই সংস্থা। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধের সময় জন্ম দিয়েছে বহু প্রশ্নের। এই সিদ্ধান্তটি এমন একটি সময়ে এল যখন হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির সদস্য রিপ্রেজেন্টেটিভ ল্যান্স গুডেন ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডকে চিঠি লিখে আদানি গ্রুপের তদন্ত সম্পর্কিত ন্যায়বিচার বিভাগের সমস্ত নথি ও রেকর্ড প্রকাশ করার দাবি জানান (Hindenburg Research)।

    কী বললেন গুডেন

    এর আগে রিপাবলিকান নেতা আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা বিতর্কিত অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ৭ জানুয়ারি গারল্যান্ডকে লেখা এক চিঠিতে ল্যান্স গুডেন বলেছিলেন, “অভিযোগে যেসব ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি সবই ভারতে ঘটেছে। এখানে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিক ও কর্তারা জড়িত, কোনও মার্কিন স্বার্থের ক্ষতি হয়নি (Shut Down)।” তিনি আরও বলেন, “যদি অভিযোগ প্রমাণিতও হয়, তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা চূড়ান্ত বিচারক হতে পারে না। কারণ এতে কোনও মার্কিন পক্ষের জড়িত থাকার প্রমাণ নেই (Hindenburg Research)।”

    আরও পড়ুন: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    গুডেনের দাবি

    গুডেন অবশ্য দাবি করেন, “আদানি মামলার অভিযোগ, যদি প্রমাণিতও হয়, তবুও আমেরিকাকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত এবং যথোপযুক্ত বিচারক করে তোলে না। এই ‘ঘুষ’গুলো অভিযোগ অনুযায়ী ভারতের রাজ্য সরকারের কর্তাদের কাছে, ভারতে, একটি ভারতীয় কোম্পানির ভারতীয় কর্তারা দিয়েছেন, যেখানে কোনও মার্কিন পক্ষের সরাসরি জড়িত থাকার বা ক্ষতির প্রমাণ নেই। অন্যদিকে, স্মার্টম্যাটিক একটি আমেরিকান কোম্পানি, যা আমাদের নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল, তার কর্তারা অর্থপাচার এবং বিদেশি সরকারকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল ন্যায়বিচার বিভাগের অভিযোগ অনুযায়ী। তবে, আমার সহকর্মী এবং আমি বহুবার চেষ্টা করেও নির্বাচনের আগে এই বিষয়ে আপনার বিভাগ থেকে কোনও ব্রিফিং পাইনি।”

    রিপাবলিকান ওই নেতা বলেন, “যদি এই মামলাটির (Hindenburg Research) সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ থাকে, তবে বিচার বিভাগ কেন এখনও একজন আমেরিকানকেও অভিযুক্ত করেনি? এই চক্রান্তের যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে কি কোনও আমেরিকান জড়িত ছিল না? গৌতম আদানির বিরুদ্ধে কেন বিচার বিভাগ এই মামলা পরিচালনা করছে, যখন অভিযোগের ঘটনাটি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত (Shut Down)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা শুরু করে দিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিন্ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার আগেই তিনি শুরু করে দিলেন ‘কাজ’! তাঁর দাবি, কানাডা (Canada) হতে চলেছে আমেরিকার ৫১তম স্টেট (প্রদেশ)। কেবল মুখের কথাই নয়, এ সংক্রান্ত ম্যাপও শেয়ার করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    কানাডা আমেরিকারই! (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দুটি ম্যাপ শেয়ার করেছেন ট্রাম্প। একটিতে তিনি দেখিয়েছেন, কানাডা আমেরিকারই অন্তর্গত আর একটি স্টেট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর কানাডা দখলে তিনি অর্থনৈতিক বাহিনী পাঠাবেন বলেও দাবি করেছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকার উপসাগর’ রাখবেন এবং নেটো মিত্রদের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় দাবি করবেন। তিনি বলেন, “কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এক সঙ্গে হলে, সেটা সত্যিই অসাধারণ কিছু হবে।” হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি যদি সেই কৃত্রিমভাবে আঁকা লাইনটি (মার্কিন-কানাডা সীমান্ত) সরিয়ে দেন এবং দেখেন এটি কেমন দেখায়, তবে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও অনেক ভালো হবে।” ট্রাম্প কানাডিয়ান পণ্য ও দেশের সামরিক সাহায্যের জন্য আমেরিকার ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেন, “ওয়াশিংটন তার থেকে কোনও উপকার পায় না।” এই প্রথম নয়। গতমাসেও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার জোর সওয়াল করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি, তিনি সেই সময়ে ট্রুডোকে ‘কানাডার গভর্নর’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।

    পানামা খাল পুনরুদ্ধার!

    প্রেস কনফারেন্সে ট্রাম্প পানামা খাল পুনরুদ্ধার ও ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড অধিকার করার কথাও (Canada) বলেন। সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি তিনি। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্যই আমাদের প্রয়োজন মধ্য আমেরিকার বাণিজ্য পথ এবং ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল অধিকার করা। পানামা খাল আমাদের সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই ট্রাম্প (Donald Trump) পানামা খাল সংযুক্ত করার ইচ্ছে পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। পানামা খাল দিয়ে যাওয়া মার্কিন জাহাজগুলি থেকে অন্যায়ভাবে ফি আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ট্রাম্প জানান, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখান দিয়ে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরকে যুক্ত করা এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি পরিচালনার কাজে চিনের কোনও খবরদারি তিনি বরদাস্ত করবেন না। পানামা প্রশাসন এই খালটির পরিচালন ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে না পারলে আমেরিকা সেটির নিয়ন্ত্রণভার নিজের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

    পানামা খালের গুরুত্ব

    সমুদ্রপথে সারা বিশ্বের মোট পণ্য পরিবহণের প্রায় ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পানামা খাল ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা ছাড়াও পানামা খাল মূলত ব্যবহার করে চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই খাল ব্যবহার করলে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ উপকূল ঘুরে যেতে হয় না বলে সাশ্রয় হয় সময় ও জ্বালানি। নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় ও অবিবেচক আচরণ করা হচ্ছে। পানামা যে ফি নিচ্ছে, তা হাস্যকর (Canada)। আমাদের দেশকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। ট্রাম্প বলেছিলেন, এই চ্যানেলটি চালাবে শুধুমাত্র পানামা, চিন বা অন্য কেউ নয়। পানামা যদি কাজটা সুরক্ষিত, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্যভাবে করতে না পারে, তাহলে আমরা দাবি করব, বিনা প্রশ্নে পানামা খাল সম্পূর্ণভাবে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।   

    মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদল!

    এদিন ট্রাম্প বলেন, “আমরা মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকার উপসাগর রাখব, যা একটি সুন্দর নাম। এটি অনেক অঞ্চলের ধারণা দেয়। আমেরিকার উপসাগর। কী সুন্দর একটি নাম এবং এটি যথার্থও।” নেটো সদস্যদের তাদের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত বলেও মনে করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি মনে করি, নেটোর ৫ শতাংশ থাকা উচিত। তারা সবাই এটা করতে পারে (Canada)। ২ শতাংশ না হয়ে তাদের উচিত ৫ শতাংশে পৌঁছানো (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ট্রাম্প প্রশাসনে আরও এক ভারতীয়  বংশোদ্ভূতের অভিষেক, কী দায়িত্ব পেলেন কাশ?

    Donald Trump: ট্রাম্প প্রশাসনে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের অভিষেক, কী দায়িত্ব পেলেন কাশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক ভারতীয়  বংশোদ্ভূতের অভিষেক ট্রাম্প প্রশাসনে! আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) মন্ত্রিসভা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে চলছে ভারতীয়  বংশোদ্ভূতদের নিয়োগ। এবার এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন)-এর পরিচালক পদে ট্রাম্প বেছে নিলেন কাশ প্যাটেলকে (Kash Patel)।

    কাশ প্যাটেল

    সিআইএর প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়েছিলেন কাশ। পরে ওই পদে বসানো হয় জন ব়্যাটক্লিফকে। কাশকে বসানো হল এফবিআইয়ের পরিচালক পদে। এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি এটা ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে কাশ্যপ ‘কাশ’ এফবিআই-এর পরবর্তী পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন।” কাশের পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল। তিনি দীর্ঘদিন হাউস পারমানেন্ট সিলেক্ট কমিটিতে কাউন্টার টেররিজমের উপদেষ্টা পদে কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে হোয়াইট হাউসে কাউন্টার টেররিজম ডিরেক্টরেট অফ দ্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সিনিয়র ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ২০২০ সালে আমেরিকার অস্থায়ী প্রতিরক্ষা সচিব ক্রিস মিলারের চিফ অফ স্টাফ নিযুক্ত হন কাশ।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) (শপথ নেবেন ২০ জানুয়ারি) বলেন, “আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে কাশ্যপ ‘কাশ’ প্যাটেল ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পরবর্তী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কাশ একজন মেধাবী আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রবক্তা, যিনি তাঁর পুরো কর্মজীবনে দুর্নীতির উন্মোচন, ন্যায়বিচারের সুরক্ষা এবং আমেরিকান জনগণের সুরক্ষার জন্য কাজ করেছেন। তিনি ‘রাশিয়া, রাশিয়া, রাশিয়া’ ষড়যন্ত্র উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং সত্য, জবাবদিহিতা ও সংবিধানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: মাও-মুক্ত ছত্তিশগড়ের গ্রাম, বিজলির আলোয় ঘুঁচল ‘আঁধার’

    তিনি বলেন, “আমার প্রথম মেয়াদের সময় কাশ অসাধারণ কাজ করেছেন। তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগের চিফ অব স্টাফ, ডেপুটি ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কাশ ৬০টিরও বেশি জুরি ট্রায়াল পরিচালনা করেছেন।”

    ট্রাম্প বলেন, “এই এফবিআই আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান অপরাধের মহামারী শেষ করবে, অভিবাসী অপরাধী গ্যাংগুলোকে ধ্বংস করবে এবং সীমান্ত জুড়ে মানব ও মাদক পাচারের দুষ্ট চক্র বন্ধ করবে।” তিনি বলেন, “কাশ (Kash Patel) আমাদের মহান অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির অধীনে কাজ করবেন, এফবিআই-এ বিশ্বস্ততা, সাহসিকতা এবং সততা পুনরুদ্ধার করতে (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Donald Trump: চিন-কানাডার পণ্যে চড়া আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

    Donald Trump: চিন-কানাডার পণ্যে চড়া আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। শেষমেশ সত্যিই হল। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগেই বড় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী (এখনও শপথ নেননি) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন তাঁর আগামী বাণিজ্য-নীতির কথা। তিনি বলেন, “২০ জানুয়ারি, আমার প্রথম এক্সিকিউটিভ নির্দেশগুলোর একটি হিসেবে, আমি সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিতে স্বাক্ষর করব, যা মেক্সিকো এবং কানাডা (Tariffs On China Canada) থেকে আমেরিকায় প্রবেশ করা সমস্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।”

    শুল্ক আরোপ (Donald Trump)

    তিনি যে মেক্সিকো, কানাডা এবং চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করবেন, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। সোমবার রীতিমতো ঘোষণাই করে দিলেন। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে একাধিক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের থেকে আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবেন।’ অন্য একটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘অতিরিক্ত শুল্কের বাইরে তিনি চিনের ওপরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।’ তিনি বলেন, “ফেন্টানিল পাচার মোকাবিলায় ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করা হবে।”

    ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি

    প্রসঙ্গত, শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি মিত্র এবং প্রতিপক্ষ উভয়ের উপরই ব্যাপক শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিন সেই সংক্রান্ত ঘোষণাটিই করলেন ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেনি চিন ও কানাডা। দুই দেশই জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের বাণিজ্যিক সহযোগিতা ‘মিউচুয়ালি বেনিফিসিয়াল’। চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ জানান, কেউই বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হবে না। ফেন্টানিল পাচার রোধে চিনের প্রচেষ্টার পক্ষে সাফাইও গেয়েছেন তিনি। লিউ বলেন, “চিন বিশ্বাস করে, চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা প্রকৃতিগতভাবে মিউচুয়ালি বেনিফিসিয়াল।”       

    কানাডা জানিয়েছে, এটি আমেরিকার জ্বালানি সরবরাহের জন্য অপরিহার্য এবং এই (Donald Trump) সম্পর্ক আমেরিকার শ্রমিকদের জন্যও উপকারী। কানাডার উপ প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা অবশ্যই নতুন প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    উল্লেখ্য যে, এর আগের দফায় হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন, ট্রাম্প চিনের সঙ্গে সর্বাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। শত শত বিলিয়ন ডলারের চিনা পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। সেই সময় তিনি যুক্তি হিসেবে (Tariffs On China Canada) উল্লেখ করেছিলেন অন্যায্য বাণিজ্য প্রথা, মেধাস্বত্ব চুরি এবং বাণিজ্য ঘাটতির কথা (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Tulsi Gabbard: তুলসী গ্যাবার্ডের হিন্দু প্রেম, কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য, ভারত প্রেমের বড় প্রমাণ

    Tulsi Gabbard: তুলসী গ্যাবার্ডের হিন্দু প্রেম, কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য, ভারত প্রেমের বড় প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মকে ভালোবেসে তাঁর মা হিন্দু হয়েছিলেন। সন্তানদের নাম দিয়েছিলেন হিন্দুদের নামে। এহেন এক মার্কিন মহিলার এক সন্তান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard) বর্তমানে খবরের শিরোনামে। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি এসেছিলেন খবরের হেডলাইনে। সেবার মার্কিন দেশে সফর করাকালীন (Donald Trump) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন গীতা। তখনই প্রকাশ পেয়েছিল তুলসীর গীতা-প্রেম। তিনি বলেছিলেন, “হিন্দু ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম, গীতা শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ।”

    তুলসীই প্রথম হিন্দু মার্কিন কংগ্রেসে (Tulsi Gabbard)

    এক সময় তুলসী ছিলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। পরে যোগ দেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানে। সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রচার করেছেন ট্রাম্পের হয়ে। তার জেরে জুটেছে পুরস্কারও। ট্রাম্প তাঁকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ পদে বসিয়ে দিয়েছেন। তুলসী প্রথম হিন্দু হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। সারা জীবন নিরামিষ খেয়ে আসছেন। শপথগ্রহণ করেছিলেন পবিত্র হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভাগবত গীতায় হাত রেখে। হিন্দু ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাঁর মা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তুলসীকেও বড় করেছিলেন সেই ধর্মের আদর্শেই। সেই কারণেই তুলসীও মনে-প্রাণে মায় ধর্মেও হিন্দু (Tulsi Gabbard)। হাওয়াইয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুলসী। তিনি কেবল হাউজের প্রথম হিন্দু সদস্যই হননি, কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বকারী প্রথম আমেরিকান সামোয়ানও হয়েছিলেন। তুলসি (Tulsi Gabbard) সেনাবাহিনীর এক অভিজ্ঞ সদস্য। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে কাজ করার সুবাদে ইরাক ও কুয়েতে মোতায়েন ছিলেন তুলসি। দু’বছর ধরে হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতেও কাজ করেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

    তুলসীর জনপ্রিয়তা

    ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান-দুই দলেই তুলসীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সে কথা স্বীকারও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ডেমেক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে, একজন প্রাক্তন প্রার্থী হিসেবে তাঁর উভয় দলের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে–তিনি এখন গর্বিত রিপাবলিকান।” তুলসীর ভারত-প্রেম বেশ পুরানো। ২০১৪ সালে প্রথম হিন্দু-আমেরিকান কংগ্রেসওম্যান তুলসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তর্জাতিক যোগ দিবস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে সমর্থনের অঙ্গীকার করেছিলেন। এক বিবৃতিতে তুলসী বলেছিলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির রাষ্ট্রসঙ্ঘে আহ্বানকে সমর্থন করার জন্য একটি প্রস্তাব পাশ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তুলসী এবং মোদি-দুজনেই একমত হন যে যোগব্যায়াম শুধুমাত্র শারীরিক অনুশীলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি জীবনধারা সচেতনতা এবং বিশ্বদৃষ্টি, যা স্বাস্থ্যের উন্নতি, শান্তির প্রচার এবং (Donald Trump) বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান প্রদান করতে পারে।” তিনি এও বলেছিলেন, “প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থগুলিতে আধুনিক বিশ্বের জন্য যে বিশাল জ্ঞান রয়েছে, তা পশ্চিমি বিশ্বকে বিস্মিত করবে।” আন্তর্জাতিক যোগ দিবস প্রতিষ্ঠায় মোদির প্রস্তাবের পক্ষে জোরালো সওয়ালও করেছিলেন তুলসী।

    কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য

    কাশ্মীর নিয়েও তুলসী সুন্দর মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীরের জটিল ইতিহাস বোঝা আমাদের মতো বাইরের লোকদের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে এবং এখনও ফিরে আসতে পারেনি। অঞ্চলটির নীতিগুলি ঐতিহাসিকভাবে অধিকার, বিশেষ করে নারীদের অধিকার সীমিত করেছিল।” তুলসীর মতে, সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো নতুন আশা এবং উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, “এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান ভারতের অভ্যন্তর থেকেই আসা উচিত। এটি একটি সার্বভৌম দেশের পরিস্থিতি… যা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দ্বারা সমাধান করতে হবে, যাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ এখানে নির্ভর করছে।”

    কী বললেন তুলসী

    তুলসী (Tulsi Gabbard) বলেন, “আজ হিন্দু আমেরিকানদের প্রোফাইলিং এবং লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে… আগামীকাল কি মুসলিম বা ইহুদি আমেরিকানদের পালা আসবে?” তিনি বলেন, “এটি ধর্মীয় এবং জাতিগত প্রোফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। অতীতের নির্বাচনে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার ধর্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা করেছে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, তাঁর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীরা হিন্দুধর্মকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে দাবি করেছিলেন। এই ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তুলসী বলেন, “ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মগুলোর প্রতি ভীতি সঞ্চারের প্রচেষ্টা এখনও রয়ে গেছে।”

    হিন্দু নিধনযজ্ঞ নিয়ে মন্তব্য

    বাংলাদেশে হিন্দু নিধনযজ্ঞ দেখে তুলসী বলেছিলেন, “এই ধরনের ঘৃণা ও হিংসা দেখে আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে।” বাংলাদেশের সরকারকে হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ-সহ সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে ঘৃণার জিহাদি শক্তি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। তুলসী বলেন, “এই ধরনের হিংসা বিশ্বাসের মৌলিক নীতিগুলির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ঈশ্বর হলেন ভালোবাসা এবং তাঁর প্রকৃত সেবকরা সেই ভালোবাসা পৃথিবীতে (Donald Trump) ধারণ ও প্রকাশ করে (Tulsi Gabbard)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Vivek Ramaswamy: মার্কিন ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন বিবেক রামস্বামী, কেন তাঁকে বাছলেন ট্রাম্প?

    Vivek Ramaswamy: মার্কিন ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন বিবেক রামস্বামী, কেন তাঁকে বাছলেন ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিম ট্রাম্পে (Donald Trump) জায়গা পাচ্ছেন ‘গর্বিত হিন্দু’ বিবেক রামস্বামী (Vivek Ramaswamy)। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। তাঁর মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাবেন, তা ঠিক করতে শুরু করে দিয়েছেন রিপাবলিকান এই নেতা। শপথ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    টিম ট্রাম্পে জায়গা (Vivek Ramaswamy)

    তখনই জানা গিয়েছে, টিম ট্রাম্পে জায়গা পেয়েছেন ‘গর্বিত হিন্দু’ বিবেক রামস্বামী। প্রথমে রিপাবলিকান পার্টিতে প্রেসিডন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন রামস্বামী। পরে সরে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেন ট্রাম্পকে (Donald Trump)। তার পর থেকে সময় যত গড়িয়েছে ট্রাম্পের সঙ্গে রামস্বামীর সম্পর্কের গাঁটছড়া ততই মজবুত হয়েছে। রামস্বামীকে (Vivek Ramaswamy) দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতো তিনিও বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাবেন। তিনি বলেছিলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের প্রতি কোনও ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আমরা এই অবৈধ বসবাসকারীদের এ দেশে থাকতে দেব না। তাদের সন্তানদের মার্কিন নাগরিকত্বও বাতিল করব।”

    ‘গর্বিত হিন্দু’

    নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক ভোটার রামস্বামীর (Vivek Ramaswamy) ধর্মীয় পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন। রামস্বামীর স্পষ্ট জবাব, “আমি হিন্দু। হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমি গর্বিত। নিজের ধর্মীয় পরিচয় লুকোতে রাজি নই। আমার মতে, এতে ধর্মীয় স্বাধীনতার লড়াইয়ে আমি আরও বেশি করে তৎপর হতে পারব। কেরিয়ারের জন্য মিথ্যে কথা বলব না।” হার্ভার্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক রামস্বামীর বয়স মাত্রই ৩৯। এই অল্প বয়সেই তিনি বিলিয়নেয়ার। তিনি ট্রাম্পের (Donald Trump) অন্যতম প্রধান সমর্থক। মনেপ্রাণে কট্টর পুঁজিবাদী। ভারতীয় অভিবাসী পিতামাতার সন্তান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন রামস্বামী। তিনি তাঁর বায়োটেক কোম্পানি রোভ্যান্ট সায়েন্সেসের মাধ্যমে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন। প্রযুক্তি, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন। ‘এক্সেলেন্স ক্যাপিটালিজম’ শব্দটিকে জনপ্রিয় করেছেন তিনি। এই ধারণা সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলির চেয়ে ব্যবসায়িক অগ্রাধিকারকে উৎসাহিত করে।

    আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের আওয়ামি লিগের

    রামস্বামীর বায়োটেক থেকে রাজনীতিতে স্থানান্তর শুরু হয় ২০২১ সালে। এ বছরই প্রকাশিত হয় তাঁর বই— ওক, ইঙ্ক (ইনকর্পোরেশন)। এই বইতে তিনি কর্পোরেট আমেরিকার সামাজিক ইস্যুতে মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতার সমালোচনা করেন। কট্টর পুঁজিবাদের সমর্থক হলেও রামস্বামী (Vivek Ramaswamy) যাপন করেন অতি সাধারণ মানের জীবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share