Tag: us

us

  • Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারদিন ধরে চলা বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় নামানো হচ্ছে আমেরিকার নৌসেনার মেরিনবাহিনীকে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস (Los Angeles)। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার আন্দোলন দমন করতে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসামকে গ্রেফতারির প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।

    মেরিনবাহিনী (Donald Trump)

    মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আপাতত মেরিনবাহিনীর প্রায় ৭০০ সদস্যকে লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যেরা লস অ্যাঞ্জেলেসে না পৌঁছোচ্ছেন, ততক্ষণ মেরিনবাহিনীকে শহরে মোতায়েন রাখা হবে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে ঘিরে গত কয়েক দিনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। হিংসার আশ্রয় নিলে ফল ভালো হবে না বলে বিক্ষোভকারীদের আগেই কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নরের আপত্তি

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই আপত্তি জানান ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশের ডেমোক্র্যাট গভর্নর নিউসাম। এই সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর ফলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন নিউসাম। যদিও গভর্নরের এই কথায় কর্ণপাত করেননি ট্রাম্প। ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসনের সমালোচনা করে এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, “যদি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর, লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নিজেদের কাজ করতে না পারেন, সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।” বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গাবাজ ও ডাকাত বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। এই আবহে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন নিউসাম।

    লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

    গভর্নরের অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা জানান, নিউসামের সঙ্গে আলোচনা না করেই ট্রাম্প বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্প তাঁর নিজের সীমা অতিক্রম করেছেন। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এখানে কোনও বিদ্রোহ নেই। প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন (Donald Trump)।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের হুঁশিয়ারি

    শনিবারই ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ডার জার টম হুমান হুঁশিয়ারি (Los Angeles) দিয়েছিলেন, “ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর নিউসাম হোন বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস, বা অন্য কেউ – যিনিই অভিবাসন সংস্থার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।” সোমবার ট্রাম্পের মুখেও সেই হুঁশিয়ারিই শোনা গিয়েছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি যদি টমের জায়গায় থাকতাম, আমিও তা-ই করতাম। আমার মনে হয়, এটাই ভালো। গাভিন প্রচারে থাকতে চান। আমার মনে হয়, এটা ভালোই হবে।”

    নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প

    ২০২৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রোজ ৩ হাজার বেআইনি অভিবাসীকে গ্রেফতার করে বিতাড়িত করার লক্ষ্য ছিল ট্রাম্পের। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করাও ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিল (Donald Trump)। অবৈধ অভিবাসীদের রুখতে কঠোর পদক্ষেপের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেই পদক্ষেপের মধ্যে ছিল কর্মস্থল বা আদালত চত্বরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় অভিযান চালানো। ট্রাম্প বলেছিলেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রদেশ ক্যালিফর্নিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়, যা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।

    অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার

    অভিবাসন দমন এজেন্সি সূত্রে খবর, গত শুক্রবার একটি কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৪৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে। ওই দিন গ্রেটার এলএ-তেও আরও ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযান ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতির অংশ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Los Angeles)। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লস অ্যাঞ্জেলেস। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন বৈধ নথি না থাকায় অভিযুক্ত অভিবাসীরা (Donald Trump)।

    ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে পুলিশ বাধা দিতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের দিকে ইট ছুড়তে শুরু করে উন্মত্ত জনতা। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন দোকানে চলে অবাধে লুটপাট। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায়ই নিরস্ত্র জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস (Los Angeles)। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতেই মোতায়েন করা হয় বাহিনী (Donald Trump)।

  • Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেসে তৃতীয় দিনে পড়ল মার্কিন অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিংসা। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ফেডারেল আটক কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে (Donald Trump)। রবিবার একটি ফেডারেল ভবনের বাইরে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি বিক্ষোভকারী দলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ওই এলাকায় জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। তার পরেও ব্যাপক জনসমাবেশ হয় (Violent Mobs Riot)। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জ করে। ব্যবহার করে অন্যান্য কম প্রাণঘাতী অস্ত্র। কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল, কংক্রিটের টুকরো ও অন্যান্য বিপজ্জনক বস্তু ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত শুক্রবার (Donald Trump)

    অশান্তির সূত্রপাত হয় শুক্রবার গভীর রাতে। এদিন জোর কদমে শুরু হয় মার্কিন অভিবাসন অভিযান। অভিবাসন আইন প্রয়োগের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল ভবন ও আটক কেন্দ্রগুলির বাইরে জড়ো হয়। কম্পটন এবং প্যারামাউন্ট এলাকায়ও বিশাল উত্তেজনা দেখা দেয়, যেখানে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি একটি হোম ডিপোর আশপাশেও বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ও ফ্ল্যাশ-ব্যাং গ্রেনেড ব্যবহার করে। সরকারি ভবনগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করার সময় লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ সাফ জানিয়ে দেয় যে তারা ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে নাগরিক অভিবাসন আইন প্রয়োগে কোনওরকম সহযোগিতা করে না। কেবল কারও অভিবাসন স্টেটাস যাচাইয়ের জন্য কাউকে আটক করার নীতিতেও বিশ্বাসী নয় তারা।

    ক্রমেই বাড়ছে হিংসা

    এদিকে, ক্রমেই হিংসা বৃদ্ধি এবং ফেডারেল কর্মী ও সম্পদের ওপর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএস নর্দার্ন কমান্ডকে ন্যাশনাল গার্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মোট ২,০০০ সেনাকে লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলে ৬০ দিনের জন্য অথবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের (Violent Mobs Riot) ৭৯তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড কমব্যাট টিমের ৩০০ সেনা সদস্যকে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে (Donald Trump)। এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, সৈন্যরা বর্তমানে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করায় মনোযোগ দিচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের কর্তারা জানান, জাতীয় রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় রেখেই কাজ চলছে।

    ট্রাম্পের বার্তা

    অন্যদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, অবৈধ অভিবাসীদের আগ্রাসন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি যেসব গোষ্ঠীকে সহিংস ও বিদ্রোহী ভিড় হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) বলেন, যারা আইনসম্মত বহিষ্কার অভিযান ব্যাহত করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প বলেন, “এক সময়ের মহান আমেরিকান শহর লস অ্যাঞ্জেলেস আজ অবৈধ অভিবাসী ও অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত ও দখলকৃত। এখন এই সহিংস, বিদ্রোহী ভিড় আমাদের ফেডারেল এজেন্টদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আমাদের বহিষ্কারের কর্মসূচি থামাতে চাইছে। কিন্তু এই আইনবিরোধী দাঙ্গা আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে তুলছে।” তিনি জানান, তিনি স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোএম, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন (Violent Mobs Riot) তাঁরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে অশান্তি বন্ধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “অবৈধদের বিতাড়িত করা হবে। লস অ্যাঞ্জেলেস মুক্ত হবে (Donald Trump)।”

    প্রসঙ্গত, রবিবারই নিউ জার্সিতে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার একটি ছোট্ট বক্তব্য রয়েছে। তা হল, ওরা থুতু ছিটিয়েছে, আমরা মেরেছি।” বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মানুষের দিকে থুতু ছিটিয়েছে। আপনারা জানেন যে, এটা ওদের (Violent Mobs Riot) নতুন কায়দা।” হুঁশিয়ারির সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “কেউ আমাদের পুলিশ আধিকারিক ও সেনার দিকে থুতু ছেটাবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। যদি এটা হয়, তাহলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে (Donald Trump)।”

  • China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক না থাকলে কোভিডের (Covid) থেকেও খারাপ কিছু ঘটতে পারে।” এমনই সতর্ক বার্তা দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিন (China) বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি আমেরিকায় একটি বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চিনা বিজ্ঞানী দম্পতিকে। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বলেন ওই বিশেষজ্ঞ। অভিযোগ, বছর তেত্রিশের ইউনকিং জিয়ান ও তাঁর স্বামী ঝুনইয়ং লিউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফিউসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম’ নামক একটি ছত্রাক পাচার করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এই ছত্রাকটি “হেড ব্লাইট” নামক এক ধরণের রোগ সৃষ্টি করে, যা গম, যব, ভুট্টা এবং ধানের ফসলকে আক্রান্ত করে (China)।

    দম্পতি ধৃত (China)

    বর্তমানে এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন জিয়ান। তাঁকেই ছত্রাকটি পাঠান বিজ্ঞানী লিউ। তার পরেই দুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চোরাচালান, মিথ্যা বিবৃতি এবং ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের তরফে এই ঘটনাকে ‘কৃষি সন্ত্রাস’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, আমেরিকাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি করোনা ভাইরাসের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। যদি এই ঘটনার পরেও আমেরিকা চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করে, তবে এর পরিণতি হতে পারে অত্যন্ত মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক। ‘চায়না ইজ গোয়িং টু ওয়ার’ বইয়ের লেখক গর্ডন জি চ্যাংয়ের মতে, এই বিপদের একমাত্র প্রতিকার হল চিনের (China) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। এই ছত্রাকটি কোভিড-১৯ এর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। এতে আমেরিকার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে।

    যুদ্ধ ঘোষণার সমান

    চ্যাং বলেন, “এই কাজ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালের মে মাসে চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে, যেখানে আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘জনযুদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য এই ধরনের শব্দচয়ন কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” চ্যাং বলেন, “চিন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (China) বারবার যুদ্ধের কথা বলছেন এবং পুরো চিনা সমাজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছেন। আমরা হয়তো সামরিকভাবে শক্তিশালী, কিন্তু (Covid) আত্মরক্ষায় আমরা যতটা দৃঢ় হওয়া উচিত, ততটা নই।”

  • Shashi Tharoor: মার্কিন দেশে যুযুধান ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    Shashi Tharoor: মার্কিন দেশে যুযুধান ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এবং অপারেশন সিঁদুরের কারণ জানাতে আমেরিকায় গিয়েছে ভারতের প্রতিনিধি দল। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেসের শশী থারুর (Shashi Tharoor)। এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলও। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto)। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের প্রতিনিধি দলই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করার উদ্দেশ্যে সে দেশে গিয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে দুটি প্রতিনিধিদল একে অপরের মুখোমুখি না হলেও, দুই দলনেতা থারুর আর বিলাবলের বাগযুদ্ধ কিংবা বিবৃতিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে।

    নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন থারুররা (Shashi Tharoor)

    গত ২৪ মে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন থারুররা। সেই সময় ছুটিতে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। ফলে তাঁদের কারও সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেনি ভারতের প্রতিনিধি দল। থারুররা গায়ানা, পানামা, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিল সফর শেষে ফের আমেরিকায় পৌঁছন। এদিকে, রবিবারই আমেরিকায় পৌঁছেছে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, থারুররা ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে তো বটেই, মার্কিন আইনসভার প্রভাবশালী কমিটিগুলির সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবে। আর পাক প্রতিনিধি দল দেখা করবে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে। তবে ভারত ও পাকিস্তান এই দুই দেশের দুই প্রতিনিধি দল একই সময়ে আমেরিকার একই শহরে উপস্থিত থাকবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    ভারতের প্রতিনিধি দল

    থারুরের নেতৃত্বাধীন ভারতের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ ভুবনেশ্বর কলিতা, শিবসেনা সাংসদ মিলিন্দ দেওরা, প্রাক্তন কূটনীতিবিদ তরণজিৎ সিং সান্ধু। আর পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলে বিলাবল ছাড়াও রয়েছেন সে দেশের আর এক প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার, প্রাক্তন দুই বিদেশসচিব, আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রদূত এবং প্রাদেশিক সরকারের এক মন্ত্রীও।

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড

    গত ২২ এপ্রিল (Shashi Tharoor) দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। ওই ঘটনায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে ভারত। এরপর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত (Bilawal Bhutto)। অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এবং অপারেশন সিঁদুরের বার্তা দিতে বিভিন্ন দেশে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। স্থির হয় এই সাতটি দল সফর করবে বিশ্বের ৩২টি দেশ। থারুরের নেতৃত্বাধীন দলটি যাবে আমেরিকায়। ভারতের দেখাদেখি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানও। আন্তর্জাতিক মহলের সামনে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবলকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলেন। পাক প্রতিনিধি দলের এক সদস্যের কথায়, “প্ররোচনা সত্ত্বেও আমরা পরিণতমনস্কতার সঙ্গে জবাব দিয়েছি। আমরা এই সত্যিটা তুলে ধরতেই এখানে এসেছি, স্লোগান দিতে নয় (Shashi Tharoor)।”

    অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা

    প্রথম দফায় যখন থারুরের দল নিউ ইয়র্কে গিয়েছিল, তখন তিনি অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, তিনি শাসক দলের প্রতিনিধি নন, বিরোধী দলের সদস্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনে করেন, পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার সময় এসেছে। থারুর বলেন, “ও দেশে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল রয়েই গিয়েছে। তাই কড়া আঘাত করা জরুরি ছিল (Bilawal Bhutto)।”

    কী বললেন থারুর

    থারুর বলেন, “আগামিকাল ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল থাকবে এবং আমরা (ভারতীয় প্রতিনিধি দল) একই তারিখে ওয়াশিংটনেই থাকব। ফলে একই শহরে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে আগ্রহ আরও বাড়তে পারে।” তবে পাক প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি সত্ত্বেও নির্ধারিত লক্ষ্যভিত্তিক শ্রোতাদের কাছে ভারতের বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন বলেই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন থারুর। তিনি বলেন, “এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ (Shashi Tharoor)। আমেরিকা একটি  গণমাধ্যমের ক্ষেত্র, যা বিশ্বের সংবাদ উৎপাদক হিসেবে কাজ করে। তাই আমাদের কাহিনি তাদের অগ্রাধিকারে নাও থাকতে পারে। কিন্তু যদি আমরা দক্ষিণ এশিয়া, ভারত বা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি, তাহলে আমাদের বার্তা খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারব।” তিনি (Shashi Tharoor) বলেন, “পাকিস্তানিরাও যে বিদেশে দল পাঠিয়েছে, এটা কোনও কাকতালীয় বিষয় নয়। তারা কেবলমাত্র কিছু নির্দিষ্ট রাজধানীকেই গুরুত্ব দিচ্ছে (Bilawal Bhutto)।”

  • US Defence Intelligence: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না ভারত, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

    US Defence Intelligence: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না ভারত, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও ভারতের (India) ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চলছে। একটি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানকে (US Defence Intelligence) কেবল একটি গৌণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে।

    ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট (US Defence Intelligence)

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার “২০২৫ ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট” রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত চিনকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে। সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাত সত্ত্বেও পাকিস্তানকে একটি গৌণ নিরাপত্তা সমস্যা হিসেবে দেখে ভারত সরকার। এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য একটি বিষয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের প্রভাব মোকাবিলা ও বৈশ্বিক নেতৃত্বে ভূমিকা জোরদারে ভারত, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে ভারত যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র বিক্রি ও তথ্য আদান-প্রদান করছে। রিপোর্টটি জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দু’টি বিতর্কিত জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভারত ও চিন চুক্তিতে পৌঁছালেও সীমান্ত নির্ধারণ সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী বিরোধের মীমাংসা এখনও হয়নি। তবে, এই পদক্ষেপ ২০২০ সালে বেড়ে যাওয়ায় উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করেছে (US Defence Intelligence)।

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (DIA) রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ২০২৫ সালেও “মেড ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগ চালিয়ে যাবে, যাতে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলা যায়, সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বেগগুলি হ্রাস করা যায় এবং সামরিক ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ করা যায়। রিপোর্টে পরমাণু সক্ষম অগ্নি-প্রাইম মধ্য-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অগ্নি-৫ এর মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেটলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিক্যাল প্রযুক্তির পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।

    মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারত ২০২৫ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। কারণ ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা লক্ষ্য অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। মোদি সরকারের অধীনে ভারত রাশিয়ায় তৈরি সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় কিছুটা কমালেও, রাশিয়ায় তৈরি ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমানের বড় মজুদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এখনও রাশিয়ার খুচরো যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভর করে (US Defence Intelligence)।

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানকে একটি গৌণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখে, কিন্তু পাকিস্তান ভারতকে অস্তিত্বের হুমকি বলে মনে করে। রিপোর্টে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ভারতীয় প্রচলিত সেনা শক্তির ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলার জন্য পাকিস্তান তার সামরিক আধুনিকীকরণ চালিয়ে যাবে, যার মধ্যে থাকবে (India) যুদ্ধক্ষেত্র উপযোগী পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “পাকিস্তান প্রায় নিশ্চিতভাবেই বিদেশি সরবরাহকারী ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র সামগ্রী সংগ্রহ করেছে (US Defence Intelligence)।”

  • Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে ভারত।” অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন মার্কিন সেনার প্রাক্তন রণকৌশলবিদ (US Army Warfare Expert)।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পড়শি দেশের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটিকে দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির এই অপারেশন উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে তামাম বিশ্বে। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত কেবল পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিই ধ্বংস করেনি, পাকিস্তানি বায়ুসেনার প্রায় এক ডজন বিমানঘাঁটিও ধ্বংস করেছে। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুদ্ধবিশারদরা।

    মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জন স্পেন্সার বলেন, “যে চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাকিস্তান, তা ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়াতেই পারবে না।” স্পেন্সার বলেন, “পাকিস্তানের গভীরে আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত সফলভাবে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি ড্রোন আক্রমণ এবং উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র।”

    স্পেন্সার বর্তমানে মডার্ন ওয়ারফেয়ার ইনস্টিটিউটের আরবান ওয়ারফেয়ার স্টাডিজের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ব্যবহৃত চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা ভারতের উন্নত সামরিক সক্ষমতার (Operation Sindoor) প্রমাণ। চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের তুলনায় দুর্বল। ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চিনা ও পাকিস্তানি উভয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের বার্তা স্পষ্ট ছিল। এটি যে কোনও সময় পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সব চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এটি ভূপৃষ্ঠের যে কোনও জায়গা থেকে এবং সমুদ্রের সাবমেরিন থেকে, আকাশে যুদ্ধবিমান থেকে এবং স্থলে লঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে (US Army Warfare Expert)। এটিই বিশ্বের একমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র যা চারটি উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে (Operation Sindoor)।

  • India: আমেরিকা থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ভারতের

    India: আমেরিকা থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের (India)। আনুষ্ঠানিকভাবে একথা নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডাব্লুটিওকে (WTO)। আমেরিকা ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওপর সুরক্ষা শুল্ক সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার জেরেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ডব্লুটিও-র কাউন্সিলর ফর ট্রেড ইন গুডসকে পাঠানো একটি নোটিশে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, তারা এগ্রিমেন্ট অন সেফগার্ডসের আর্টিকেল ৮.২ অনুযায়ী কিছু ছাড় এবং অন্যান্য বাধ্যবাধকতা স্থগিত রাখবে এবং প্রস্তাবিত পদক্ষেপ আর্টিকেল ১২.৫ এর অধীনে গ্রহণ করা হবে। যদি আলোচনার উদ্যোগ না নেওয়া হয় বা সমাধানে পৌঁছনো না যায়, তাহলে এই পাল্টা শুল্ক ৩০ দিনের মধ্যে কার্যকর হতে পারে।

    ক্ষতির সম্মুখীন (India)

    হিসেব বলছে, মার্কিন সুরক্ষা শুল্কের ফলে ভারতকে প্রায় ১.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, “এই সুরক্ষা শুল্কের কারণে মার্কিন মুলুকে ভারতে উৎপাদিত ৭.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার ওপর শুল্ক আদায় হবে ১.৯১ বিলিয়ন ডলার। অতএব, ভারতের প্রস্তাবিত ছাড় স্থগিত করার পদক্ষেপে আমেরিকা থেকে আসা পণ্যের ওপর সমপরিমাণ শুল্ক আদায়ে পরিণত হবে।”

    বিতর্কিত শুল্ক আরোপ

    প্রসঙ্গত, আমেরিকা প্রথম ২০১৮ সালের ৮ মার্চ প্রেসিডেন্সিয়াল ঘোষণার মাধ্যমে বিতর্কিত শুল্ক আরোপ করে। সেই হার ছিল ইস্পাতের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ। এই শুল্কগুলি জানুয়ারি ২০২০ সালে এবং ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ফের একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে পুনরায় বর্ধিত করা হয়, যা কার্যকর হয়েছে ২০২৫ সালের ১২ মার্চ থেকে।

    ভারতের যুক্তি, যদিও ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপগুলিকে ডাব্লুটিওর নিয়ম অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে সেফগার্ড হিসেবে ঘোষণা করেনি, তবুও এগুলি সেভাবেই কাজ করছে। এই কাজ ১৯৯৪ সালের সাধারণ শুল্ক ও বাণিজ্য চুক্তি এবং সেফগার্ড সংক্রান্ত চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ভারত এও জানিয়ে দিয়েছে, যেহেতু এগ্রিমেন্ট অন সেফগার্ডসের (India) অনুচ্ছেদ ১২.৩ অনুসারে কোনও আলোচনাই হয়নি, তাই ভারত মার্কিন পণ্যের ওপর সমপর্যায়ের শুল্ক আরোপের কথা ভাবছে। ভারতীয় এই শুল্ক (WTO) ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে জুনের শুরুতেই (India)।

  • Tulsi Gabbard: জঙ্গিদের খুঁজতে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    Tulsi Gabbard: জঙ্গিদের খুঁজতে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। শুক্রবারই জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, জঙ্গিদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)

    মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard) নিজের সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা (Pahalgam Attackers)। এর নিন্দা করছি এবং আমরা ভারতের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। যাঁরা তাদের প্রিয়জন হারালেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের সমস্ত নাগরিকের পাশে আছে আমেরিকা। এই জঘন্য হামলার জন্য দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা।’’

    বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসও নিন্দা জানিয়েছেন

    অন্যদিকে, মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসও জঙ্গি হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলা (Pahalgam Attackers) নিয়ে এক পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। পরে নিজের বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সেক্রেটারি রুবিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমেরিকা ভারতের পাশে আছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করছি আমরা।’’

    আগেই ভারতের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প

    প্রসঙ্গত, আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারতের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভারতের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন এবং গভীর সহানুভূতি রয়েছে।’’

    বুধবারই মোদিকে ফোন করেন ট্রাম্প

    গত বুধবারই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করে শোক প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এবিষয়ে বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এই জঘন্য হামলার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে আছে।’’

  • JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঠিক পরদিন, আজ মঙ্গলবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) জানালেন, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে শর্তাবলী চূড়ান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির মধ্যে মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

    মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট (JD Vance) বলেন, ‘‘আমাদের দেশ সর্বদা সেভাবেই বাণিজ্য বন্ধু বানাতে চায় যারা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা সবসময় নিজেদের জাতীয় স্বার্থকেই সামনে রাখি। আমরা চাই বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে একটি শক্তপোক্ত সম্পর্ক। যে দেশগুলি তাদের শ্রমিকদের সম্মান করে এবং নিজেদের রফতানি বাড়ানোর জন্য শ্রমিকদের মজুরি কেটে নেয় না বরং তাঁদের শ্রমের মূল্যকে সম্মান করে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা এমন দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সেই সমস্ত দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা উন্মুক্ত, স্থিতিশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ একটি বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’

    সোমবারই তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন ভান্স

    প্রসঙ্গত, সোমবারই তিন দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance)। সোমবার সকালে দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। ভান্সের সঙ্গে সফরে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা ভান্স এবং তিন শিশুসন্তান— ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল। ভান্সের তিন সন্তানই ভারতীয় পোশাক পরে এদেশে আসে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে এলেন মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স। দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে (JD Vance) ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়।

  • PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছরের মোদি (PM Modi) রাজত্বে ভারতের জিডিপি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দশম স্থানে থাকা ভারত চলে এসেছে পঞ্চম স্থানে। অর্থনীতিবিদদের মতে, অচিরেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে।

    নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্শিতে বসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তারপর থেকে অর্থনীতির পারা উঠতে থাকে চড়চড়িয়ে। এই সময়কালে ভারত বিশ্বের সব চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চমকপ্রদ, শতাংশের বিচারে ১০৫। আইএমএফের মতে, ভারতের বর্তমান জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে এই পরিমাণ ছিল ২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন নরেন্দ্র মোদির প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ এক বছরও হয়নি। তারপর থেকে জিডিপির হিসেবে ভারত তার অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি করে ফেলেছে (PM Modi)।

    অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত

    তথ্য বলছে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত। বর্তমানে জাপানের জিডিপি ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত এই সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে অনুমান। বর্তমান গড় প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৭ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত জার্মানিকেও (বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি) পিছনে ফেলে দেবে। জার্মানির বর্তমান জিডিপি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    পীযুষ গোয়েলের বক্তব্য

    বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ভারতের ১০ বছরের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে অসাধারণ আখ্যা দিয়ে এই সময়ে দেশের জিডিপি দ্বিগুণ হওয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ১০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখে ভারত। পেছেনে ফেলে দিয়েছে চিন (৭৬ শতাংশ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৬৬ শতাংশ), জার্মানি (৪৪ শতাংশ), ফ্রান্স (৩৮ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্য (২৮ শতাংশ)-এর মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলিকে। ভারতের অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় এটি জি-৭, জি-২০ ও ব্রিকসের সব সদস্য দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন বাস্তব! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি গত দশকে ভারতকে তাঁর জিডিপি দ্বিগুণ করার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা দেশকে শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করবে (PM Modi)।”

    ভারত শীর্ষে

    প্রবৃদ্ধির গতির দিক থেকে ভারত শীর্ষে থাকলেও, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩০.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং চিন (১৯.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার)। জার্মানি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তৃতীয়, জাপান ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ এবং ভারত ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ভারতকে শীর্ষ দুটি স্থানে উঠতে গেলে দু’দশকেরও বেশি সময় লাগবে। যদিও এটি উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২.৫২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনামূলকভাবে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ ৭১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল!

    প্রসঙ্গত, ভারতের জিডিপি প্রথম ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল। ২০০৭ সালে ওই হার হয়। ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছতে ৭ বছর সময় লেগেছে। ২০১৪ সালের ছবি। আর কোভিড-১৯ অতিমারি সত্ত্বেও, ভারত ২০২১ সালে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে গিয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ বছর। এই গতিতে যদি অগ্রগতি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে ভারত প্রতি দেড় বছরে তার জিডিপিতে এক ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার জন্য প্রস্তুত, এবং সম্ভবত ২০৩২ সালের শেষ নাগাদ ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে (PM Modi)।

    প্রবৃদ্ধির পিছনের প্রধান কারণ

    দেশের এই প্রবৃদ্ধির পিছনে প্রধান যেসব কারণ লুকিয়ে রয়েছে, সেগুলি হল উচ্চতর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর এবং অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল কৃষিখাত পরিচালিত হয়েছিল, যা অনিয়মিত জলবায়ু সত্ত্বেও, গ্রামীণ অর্থনীতির গতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের কর্পোরেট সেক্টরের পারফর্মেন্সও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তার জেরে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। মোদি সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া, পিএলআই, এমএসএমই ঋণ ইত্যাদি নীতির মাধ্যমে ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক পরিকাঠামো তৈরি ও তাকে বাস্তবায়িত করেছে (PM Modi)।

LinkedIn
Share