Tag: us

us

  • PM Modi: মোদিকে বিদায়ী চিঠি বাইডেনের! দুই দেশের সম্পর্ককে শক্ত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: মোদিকে বিদায়ী চিঠি বাইডেনের! দুই দেশের সম্পর্ককে শক্ত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় পালাবদলের তোড়জোড়। আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় বার দায়িত্ব নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিদায়ী চিঠি পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করে বাইডেনের বিদায়ী চিঠি তাঁর হাতে দেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। 

    মোদি-সুলিভান সাক্ষাত

    সোমবার মোদি ও সুলিভানের মধ্যে আলোচনায় ‘ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজি’ (আইসিইটি)-র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো প্রসঙ্গ এসেছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। বৈঠকের পরে এক্স পোস্টে মোদি লেখেন, ‘‘সুলিভানের সাথে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত হয়েছি। ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, জৈবপ্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। জনগণের স্বার্থে এবং বিশ্বের মঙ্গলের জন্য আমাদের দুই গণতন্ত্রের মধ্যে সম্পর্কের এই গতিকে তরাণ্বিত করার জন্য আমি উন্মুখ।’’ বাইডেনের চিঠিটি পাওয়ার পর গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মোদি। তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা স্মরণও করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে বাইডেন আরও মজবুত করেছেন বলে জানান মোদি।

    আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিযুক্ত সুলিভানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে এটাই শেষ বিদেশ সফর। ২০ জানুয়ারি ওই পদে বসবেন ট্রাম্পের মনোনীত মাইকেল ওয়াল্টজ। এদিন বৈঠক শেষে সুলিভান বলেন, ‘‘আগামী দিনে উন্নত প্রযুক্তিগত সহায়তা ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে।’’ ভারতের পরমাণু সংস্থাগুলির সঙ্গে আমেরিকার সহায়তারও বার্তা দেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jake Sullivan: রবিতে ভারতে আসছেন মার্কিন এনএসএ জেক সালিভান, ডোভালের সঙ্গে হবে আলোচনা

    Jake Sullivan: রবিতে ভারতে আসছেন মার্কিন এনএসএ জেক সালিভান, ডোভালের সঙ্গে হবে আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াশিংটনে চলছে পালাবদলের তোড়জোড়। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার আগে রবিবার ভারত সফরে আসছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান।  হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, দু’দিনের ভারত সফরে যাচ্ছেন সালিভান (Jake Sullivan)। এই সফরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। দিল্লি আইআইটিতে বিদেশনীতি সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভাতেও যোগ দেবেন। কথা বলবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও। বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও কথা বলতে পারেন সালিভান।

    সালিভানের সফরে আলোচনা

    আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বার দায়িত্ব নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদায়ী ডেমোক্র্যাট সরকার নিযুক্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে সালিভানের এটাই শেষ বিদেশ সফর। ২০ জানুয়ারি ওই পদে বসবেন ট্রাম্পের মনোনীত মাইকেল ওয়াল্টজ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সালিভানকে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের মামলা এবং খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ডোভালকে সমন পাঠানোর ‘আঁচ’ যাতে ভারত এবং আমেরিকার সামগ্রিক কৌশলগত সম্পর্কে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা। 

    আলাপচারিতার বিষয়

    রবিবারই দুদিনের সফরে দিল্লি আসছেন সালিভান। ৫ও ৬ জানুয়ারি ভারতেই থাকবেন তিনি। সরকারি সূত্রে খবর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আদানিদের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা, আমেরিকা ও কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থীদের তৎপরতা, ফৌজদারি মামলায় ডোভালকে আমেরিকার আদালতের সমনের পাশাপাশি আলোচনায় আসতে পারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিও। দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার আলাপচারিতায় ‘ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজি’ (আইসিইটি)-র ভারত-মহাসাগরীয় অঞ্চল সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রসঙ্গও আসবে বলে জানা গিয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি এই সফরে ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে দিল্লির আইআইটি-তে বক্তব্য রাখবেন তিনি ৷

    আরও পড়ুন: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    সম্প্রতি, মার্কিন সফরে আমেরিকার পরবর্তী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে বৈঠক সারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্য়ে ৷ বৈঠকের পর এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে জয়শঙ্কর জানান, ওয়াল্টজের সঙ্গে কাজ করতে তিনি উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন ৷ ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক কোন পথে যাবে, সেই নিয়েই আলোচনা হয় ৷ অবশ্য, ওয়াল্টজের সঙ্গে দেখা করার আগেই সালিভানের সঙ্গেও বৈঠক সারেন জয়শঙ্কর ৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    Elon Musk: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর সতর্কবার্তা শোনালেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি মাস্ক। টেসলার সিইও-ও তিনি। ‘দ্য জো রোগান এক্সপিরিয়েন্স’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বর্তমানে আমেরিকার জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.১৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাস্কের মতে, যদি শীঘ্রই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ডলারের মূল্য “শূন্যে” নেমে যেতে পারে। এই অবস্থা দেশকে আর্থিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে।

    কী বললেন মাস্ক?

    মাস্ক জানান, ঋণের সুদ পরিশোধ করতে সরকারের মোট আয়ের খরচ হচ্ছে ২৩%। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তিনি বলেন, “যদি আমরা পদক্ষেপ না নিই, তবে পুরো সরকারি বাজেট শুধুমাত্র সুদ পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হবে। ফলে সামাজিক সুরক্ষা বা মেডিকেয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির জন্য কোনও তহবিল অবশিষ্ট থাকবে না।” মাস্কের এই ভবিষ্যদ্বাণী ইঙ্গিত করে যে, যদি দ্রুত সংস্কার করা না হয়, তবে একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

    কী বলছে সংখ্যাতত্ত্ব?

    মাস্কের (Elon Musk) আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা স্পষ্ট সংখ্যাতত্ত্বেই। ২০২৪ অর্থবর্ষে শুধুমাত্র সুদ পরিশোধেই ফেডারেল সরকার ব্যয় করেছে ১.১২৬৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ মোট আয় ছিল ৪.৯২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুদের খরচ বাজেটকে গ্রাস করে ফেলায়, মাস্কের এই সতর্কবার্তা নীতিনির্ধারক ও সাধারণ নাগরিকদের সচেতন হওয়ার সঙ্কেত দেয়। যদিও জেপি মর্গানের মতো কিছু বিশেষজ্ঞের যুক্তি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিফল্ট করবে না। কারণ এটি মার্কিন মুদ্রায় ঋণ ইস্যুর অস্বাভাবিক সম্ভাবনার আলোকে রয়েছে। মাস্ক অত্যন্ত দ্রুত “অর্থায়নের” নেতিবাচক প্রভাবগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেন না।

    আরও পড়ুন: প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধুরা

    এই পদ্ধতি একটি টেকনিক্যাল ডিফল্ট এড়াতে পারে। তবে এটি অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি এবং এর ফলে ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটাতে পারে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায় মাস্ক ও আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মানুষের সম্পদ রক্ষার জন্য রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেন। সম্পত্তির মূল্য সাধারণত মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে বাড়ে, যা মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ভাড়ার আয় প্রদান করে। সোনা কেনার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি (Elon Musk)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • US Firms: বরাত পেতে ভারতীয় সংস্থাকে ঘুষ! কাঠগড়ায় তিন বড় মার্কিন সংস্থা, মুখ বাঁচাতে জরিমানা

    US Firms: বরাত পেতে ভারতীয় সংস্থাকে ঘুষ! কাঠগড়ায় তিন বড় মার্কিন সংস্থা, মুখ বাঁচাতে জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Bribes) কারণে তদন্তের মুখে পড়েছে বেশ কিছু মার্কিন কোম্পানিও। সম্প্রতি এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, তিনটি মার্কিন কোম্পানি ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে আমেরিকার নিয়ন্ত্রকের কাছে মামলা নিষ্পত্তি করতে ও মামলার হাত থেকে রেহাই পেতে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিয়েছে (US Firms)।

    কাঠগড়ায় তিন কোম্পানি (US Firms)

    এই তিন কোম্পানি হল মুগ ইনকর্পোরেটেড, ওরাক্যল এবং অ্যালবেমার্ল কর্পোরেশন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বরাত পেতে তারা ভারতের বিভিন্ন দফতর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড  এবং ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনটি মামলার মধ্যে দুটিতে ভারতীয় রেলের পদস্থ কর্তাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছে মার্কিন ওই সংস্থাগুলি। বিষয়টি জানাজানি হতেই সক্রিয় হয় সে দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। তখন জরিমানা বাবদ গড়ে ঘুষের তিন গুণ টাকা জমা করেছে অভিযুক্ত তিন সংস্থা।

    ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

    মার্কিন তদন্তকারীরা জেনেছেন, আমেরিকান সংস্থা মুগ ইনকর্পোরেটেডের তরফে হ্যাল ও ভারতীয় রেলের পদস্থ কর্তাদের পাঁচ কোটি ডলারের বেশি ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সামরিক সরঞ্জাম, মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত সামগ্রী ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত ছোটবড় নানা সাইজের যন্ত্রপাতি নির্মাণে মুগের বিশ্বজোড়া নামডাক রয়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জামও তৈরি করে আমেরিকার এই সংস্থা। ওই প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে দক্ষিণ-মধ্য রেল থেকে ৩৪ হাজার ৩২৩ ডলার ও হ্যালের থেকে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩২৮ মার্কিন ডলারের বরাত হাতিয়ে নিতে চেয়েছে মুগ মোশন কন্ট্রোলস প্রাইভেট লিমিটেড। হ্যালের (US Firms) শীর্ষ আধিকারিকদের এজন্য পাঁচ শতাংশ কমিশন দিয়েছে মুগ। ধরা পড়ার পরে মুগকে জরিমানা বাবদ দিতে হয়েছে ১৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল গেল যৌথ কমিটিতে, ৯০ দিনে সিদ্ধান্ত নেবেন ৩১ সাংসদ

    অন্য দিকে, বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ওরাক্যলের বিরুদ্ধেও উঠেছে ভারতীয় রেলের কর্তাদের ৬৮ লাখ ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ। অ্যালবেমার্লে কর্পোরেশনের দেওয়া ঘুষের পরিমাণ ৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। অভিযোগ, মার্কিন এই সংস্থা ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে কর্মরত ইন্ডিয়ান অয়েলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে অবৈধ লেনদেন (Bribes) করেছে (US Firms)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করতে চান হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একইসঙ্গে চান আমেরিকায় (US) থাকা অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে। তবে তথাকথিত ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষিত রাখতে চান রিপাবলিকান পার্টির এই শীর্ষ নেতা।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    ‘মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, তিনি অফিসে প্রথম দিনেই একটি এক্সিকিউটিভ অ্যাকশনের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সেই সকল ব্যক্তিদের দেওয়া হয়, যারা সে দেশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের বাবা-মা অভিবাসী কিনা, তা বিবেচনা করা হয় না। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তাঁর আশা, সেদিনই দায়িত্ব নেওয়ার পরে অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করবেন। সারা দেশে কঠোর অভিযান পরিচালনা করবেন বলেও জানান তিনি। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আমেরিকায় রয়েছেন প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী। ট্রাম্প (Donald Trump) চান যাঁদের বৈধ স্ট্যাটাস নেই, তাঁদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হোক। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আপনাকে এটি করতে হবে। এটি একটি খুব কঠিন কাজ। আপনি জানেন, এখানে নিয়ম, বিধি, আইন রয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    ড্রিমারদের সুরক্ষা

    তবে ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রস্তুত হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প  বলেন, “রিপাবলিকানরা ‘ড্রিমার’ অভিবাসীদের সুরক্ষার ধারণাটি বিবেচনা করতে প্রস্তুত। যাদের শৈশবে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।” তিনি বলেন, “যাঁদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে তাঁরা হলেন সেই ব্যক্তিরা যাঁরা ১০ বছর ধরে অনলাইনে কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে দেশটিতে বৈধ উপায়ে আসার চেষ্টা করছেন। আমরা মানুষদের জন্য আসার প্রক্রিয়াকে খুব সহজ করব। তবে তাঁদের অবশ্যই পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তাঁদের অবশ্যই বলতে হবে যে স্ট্যাচু অব লিবার্টি কী। তাঁদের আমাদের দেশ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকতে হবে। তাঁদের অবশ্যই আমাদের দেশকে ভালোবাসতে হবে।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্পের (Donald Trump) জন্মগত নাগরিকত্বে (Birthright Citizenship) ইতি টানার পরিকল্পনা সহজে বাস্তবায়িত হবে না। এতে তাঁকে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এই অধিকারটি মার্কিন (US) সংবিধান স্বীকৃত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Syria War: রাশিয়ায় আসাদ, সিরিয়ার আইএস ঘাঁটিতে হামলা আমেরিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত

    Syria War: রাশিয়ায় আসাদ, সিরিয়ার আইএস ঘাঁটিতে হামলা আমেরিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ার (Syria War) দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সিরিয়া ছেড়েছেন। রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার কুর্সিতে ছিলেন আসাদ। তাঁর পরিবার ছয় দশক ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিল। ২০১১ সালে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা বার বার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে। অবশেষে তাতে ইতি পড়ল। পরিবার নিয়ে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে মস্কো। মানবিক কারণে আসাদকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল। এই আবহে সিরিয়ায় যাতে ফের আইসিস সক্রিয় না হতে পারে তাই সতর্ক রয়েছে আমেরিকা। সিরিয়ার এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা নিরাপদেই রয়েছেন, বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

    সিরিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা নিরাপদে

    সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে সচল রয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দূতাবাসের কর্মীরা। তাঁদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করছে দামাস্কাসের ভারতীয় দূতাবাস। সোমবার বিদেশ মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। সিরিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপরেও নজর রাখছে বিদেশ মন্ত্রক। পশ্চিম এশিয়ার ওই দেশের একতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার পক্ষেও সওয়াল করেছে দিল্লি। সরকারি হিসাবে সিরিয়ায় প্রায় ৯০ জন ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। 

    আইসিস ঘাঁটিতে হামলা

    রবিবার রাতে সিরিয়ায় আইসিস ঘাঁটি (US Hits ISIS Camp) লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় অবস্থিত অন্তত ৭৫টি আইসিস ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ করেছে তারা। হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, ‘‘আইসিস ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিরিয়ার মসনদের যে কোনও শূন্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আমেরিকা সে সম্পর্কে অবহিত। আমেরিকা কখনওই তা হতে দেবে না।’’ আসাদের পতন প্রসঙ্গেও রবিবার হোয়াইট হাউস থেকে মন্তব্য করেছেন বাইডেন। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিনে ন্যায়বিচার হয়েছে। সিরিয়ার পীড়িত জনগণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’’

    রাশিয়ায় আসাদ

    সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। রবিবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আসাদ। তাঁকে বিমানে উঠতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছিল না।  তবে সোমবার সকালে সে সব জল্পনার অবসান হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘বন্ধু’র কাছে আশ্রয় পেয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মানবিক কারণে তাঁকে নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সপরিবার মস্কোয় পৌঁছেও গিয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার একটি সরকারি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ‘‘সিরিয়া সঙ্কটের একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক সমাধানের কথা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছে রাশিয়া। আমরা চাই, রাষ্ট্রপুঞ্জের তৎপরতায় এ বিষয়ে আবার কথাবার্তা শুরু হোক।’’ সিরিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও রাশিয়া যোগাযোগ রেখেছে, দাবি সে দেশের সংবাদমাধ্যমের। বিদ্রোহী নেতারা সিরিয়ায় অবস্থিত রুশ সেনাঘাঁটি এবং দূতাবাস সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। মস্কো এ-ও জানিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিয়ার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত এবং রাশিয়া-সিরিয়া সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহী পুতিন। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যেতে চান তিনি।

    মুক্ত সিরিয়া!

    সিরিয়ার দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী রবিবার সকালে দামাস্কাসে ঢুকে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরেই সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করতে শুরু করে বিদ্রোহীরা। রবিবার এক প্রকার বিনা বাধায় রাজধানী ‘দখল’ করে নেয় বিদ্রোহীরা। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি সরকার। রবিবার দামাস্কাসের দখল নেওয়ার পরেই আসাদের ‘স্বৈরাচারী শাসন’ থেকে সিরিয়া মুক্ত হয়েছে বলে জানায় বিদ্রোহীরা। আসাদ দামাস্কাস ছাড়তেই উল্লাস শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং তাদের সমর্থকরা। রবিবার রাতে জানা যায়, দামাস্কাসে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের নেতা আবু মহম্মদ আল-জুলানিও। দামাস্কাসের উমায়েদ মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় ভাষণ দেন তিনি। আসাদের পতনকে সমগ্র সিরিয়াবাসীর জয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা জুলানির পরিচয়

    আক্রমণাত্মক নেতৃত্ব দিয়ে আসাদের শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন আবু মহম্মদ আল-জুলানি (Mohammed AL-Julani)। যিনি বর্তমানে সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বিদ্রোহী শক্তি হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর প্রধান। এই ইসলামিক গোষ্ঠীর সঙ্গে একসময় আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল। গোপন আস্তানা থেকে জুলানি বলেছেন, সিরিয়ায় বিপ্লবের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকারকে উৎখাত করা। এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কাউন্সিলের নেতৃত্ব থাকবে। ২০১৮ সালে এই জুলানির মাথার দাম এক কোটি ডলার ধার্য করেছিল আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৪ কোটি টাকা। পরে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে তিনিই দাবি করেছিলেন, নিরীহদের খুনকে তিনি কখনওই সমর্থন করেন না।

    আরও পড়ুন: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    ১৯৮২ সালে সৌদি আরবে জন্ম জুলানির। জন্মের পরে প্রথম সাত বছর কেটেছিলে রিয়াধে। জুলানির বাবা ছিলেন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৮৯ সালে সিরিয়ায় ফিরে আসে জুলানির পরিবার। ২০০৩ সালে আল-কায়দায় যোগ দিয়েছিলেন জুলানি। ২০১১ সালে আল-কায়েদার অধীনের নতুন ‘জাভাত আল-নুসরা’ গঠন করেন জুলানি। পরে তার নামই হয় এইচটিএস। ২০১৩ সালে আল-কায়দা ও আইসিস-এর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে জুলানি জানান, নিরীহ মানুষের হত্যা তিনি পছন্দ করেন না। এরপর ২০২২ সালে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে নিজের সরকারও গঠন করেন জুলানি। এবার দামাস্কাস দখল করল তাঁর এইচটিএস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, তোপ বিজেপির

    BJP: ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদল ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক ও বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মিলে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এমনই অভিযোগ করছে বিজেপি (BJP)। তারা এই অভিযোগ তুলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সেখানে সক্রিয় ডিপ স্টেট উপাদানগুলির বিরুদ্ধে। গত দুদশকে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। দুই দেশই কিছু মতভেদ ও বিধোধ থাকা সত্ত্বেও (Adani Indictment) সম্পর্ক আরও মজবুত করার অঙ্গীকার করার করেছে। এমতাবস্থায় উঠেছে অভিযোগ।

    বিজেপির দাবি (BJP)

    বিজেপির দাবি, রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেস অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) এর প্রতিবেদনগুলি ব্যবহার করেছে যা আদানি গ্রুপের ওপর এককভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং মোদীকে দুর্বল করতে সরকারের সাথে তার কথিত ঘনিষ্ঠতার কথা বলে বেড়াচ্ছে। ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং আরও সাতজনকে। গ্রুপের দাবি, অভিযোগ, ভিত্তিহীন।

    ওসিসিআরপির প্রতিবেদন

    ওসিসিআরপির প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হ্যাকাররা ইসরায়েলের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সরকার-বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। উভয় অভিযোগই অস্বীকার করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। বিজেপি আগেই রাহুল গান্ধী এবং ওসিসিআরপি এবং নবতিপর কোটিপতি আর্থিক সহায়তাকারী ও সমাজসেবী জর্জ সোরোসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করার অভিযোগ এনেছিল।

    আরও পড়ুন: এবার ঢাকার ইসকন মন্দিরে আগুন লাগাল মৌলবাদীরা, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি

    বৃহস্পতিবার বিজেপি একটি ফরাসি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উল্লেখ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ওসিসিআরপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং অন্য গভীর রাষ্ট্রের ব্যক্তিত্ব যেমন সোরোসের দ্বারা অর্থায়িত। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি (BJP) বলেছে, ওই রাষ্ট্রের স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টার্গেট করে ভারতকে অস্থিতিশীল করা। পদ্ম পার্টির দাবি,  এটি সবসময়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পিছনে থাকা একটি অ্যাজেন্ডা ছিল… ওসিসিআরপি রাষ্ট্রের অ্যাজেন্ডা পরিচালনার জন্য একটি সংবাদমাধ্যমের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।

    মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, “মার্কিন সরকার সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা প্রদান করে। তবে এটি এই সংগঠনগুলির (Adani Indictment) সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত বা দিকনির্দেশকে প্রভাবিত করে না (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করে দিলেন জো বাইডেন

    Joe Biden: হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করে দিলেন জো বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলেকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) রবিবার তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনকে (Hunter Biden) ক্ষমা করে দিয়েছেন। এর ফলে ফেডারেল অপরাধমূলক অস্ত্র ও কর ফাঁকির শাস্তির খাঁড়া থেকে মুক্তি পেলেন বাইডেন-পুত্র। ঘটনায় মার্কিন প্রদেশে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রেসিডেন্সির বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার না করার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে ছেলেকে ক্ষমা করে দিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    কী বললেন বাইডেন (Joe Biden)

    হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, “আজ আমি আমার ছেলে হান্টারের জন্য একটি ক্ষমার আদেশে স্বাক্ষর করেছি। আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন থেকেই বলেছিলাম যে আমি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করব না। আমি আমার কথা রেখেছি। এমনকী, যখন দেখেছি আমার ছেলেকে বেছে বেছে এবং অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তখনও।” ডেলাওয়ার ও ক্যালিফোর্নিয়ায় দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে বাইডেন বলেছিলেন, যে তিনি তাঁর ছেলেকে ক্ষমা করবেন না বা তাঁর সাজা লঘু করবেন না। এই সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন যখন হান্টার বাইডেন বন্দুক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং কর মামলায় দোষ স্বীকার করার পর শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছিলেন।

    হান্টারকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হয়েছে

    সেই বাইডেনই ছেলেকে ক্ষমা করলেন এমন একটা সময়ে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মাত্র দুমাসের মধ্যেই দায়িত্ব নিতে চলেছেন তিনি। জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে (Joe Biden), “যারা সিরিয়াস অ্যাডিকশনের কারণে তাঁদের কর সময়মতো পরিশোধ করতে পারেননি, কিন্তু পরে সুদ ও জরিমানা সহ তা পরিশোধ করেছেন, সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে অপরাধমূলক শাস্তি দেওয়া হয় না। তবে এটা পরিষ্কার যে হান্টারকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। হান্টার একজন মাদকাসক্তি থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তি, যিনি রিপাবলিকানদের, বিশেষ করে ট্রাম্পের, লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন।”

    আরও পড়ুন: ‘কমপক্ষে তিন সন্তান নিন’, নিদান মোহন ভাগবতের

    বাইডেন বলেন, “হান্টারের মামলার তথ্য বিবেচনা করে কোনও বিচার-বিবেচনা বোধ থাকা ব্যক্তি এ ছাড়া অন্য কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে না যে তাকে শুধু আমার ছেলে হওয়ার কারণে আলাদা করে টার্গেট (Hunter Biden) করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “হান্টারকে ভাঙার চেষ্টা করতে গিয়ে, তারা আমাকেও ভাঙার চেষ্টা করেছে – এবং এটা এখানে থামবে এমন কোনও কারণ নেই। তাই ঢের হয়েছে, আর না (Joe Biden)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ট্রাম্প প্রশাসনে আরও এক ভারতীয়  বংশোদ্ভূতের অভিষেক, কী দায়িত্ব পেলেন কাশ?

    Donald Trump: ট্রাম্প প্রশাসনে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের অভিষেক, কী দায়িত্ব পেলেন কাশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক ভারতীয়  বংশোদ্ভূতের অভিষেক ট্রাম্প প্রশাসনে! আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) মন্ত্রিসভা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে চলছে ভারতীয়  বংশোদ্ভূতদের নিয়োগ। এবার এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন)-এর পরিচালক পদে ট্রাম্প বেছে নিলেন কাশ প্যাটেলকে (Kash Patel)।

    কাশ প্যাটেল

    সিআইএর প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়েছিলেন কাশ। পরে ওই পদে বসানো হয় জন ব়্যাটক্লিফকে। কাশকে বসানো হল এফবিআইয়ের পরিচালক পদে। এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি এটা ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে কাশ্যপ ‘কাশ’ এফবিআই-এর পরবর্তী পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন।” কাশের পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল। তিনি দীর্ঘদিন হাউস পারমানেন্ট সিলেক্ট কমিটিতে কাউন্টার টেররিজমের উপদেষ্টা পদে কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে হোয়াইট হাউসে কাউন্টার টেররিজম ডিরেক্টরেট অফ দ্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সিনিয়র ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ২০২০ সালে আমেরিকার অস্থায়ী প্রতিরক্ষা সচিব ক্রিস মিলারের চিফ অফ স্টাফ নিযুক্ত হন কাশ।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) (শপথ নেবেন ২০ জানুয়ারি) বলেন, “আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে কাশ্যপ ‘কাশ’ প্যাটেল ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পরবর্তী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কাশ একজন মেধাবী আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রবক্তা, যিনি তাঁর পুরো কর্মজীবনে দুর্নীতির উন্মোচন, ন্যায়বিচারের সুরক্ষা এবং আমেরিকান জনগণের সুরক্ষার জন্য কাজ করেছেন। তিনি ‘রাশিয়া, রাশিয়া, রাশিয়া’ ষড়যন্ত্র উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং সত্য, জবাবদিহিতা ও সংবিধানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: মাও-মুক্ত ছত্তিশগড়ের গ্রাম, বিজলির আলোয় ঘুঁচল ‘আঁধার’

    তিনি বলেন, “আমার প্রথম মেয়াদের সময় কাশ অসাধারণ কাজ করেছেন। তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগের চিফ অব স্টাফ, ডেপুটি ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কাশ ৬০টিরও বেশি জুরি ট্রায়াল পরিচালনা করেছেন।”

    ট্রাম্প বলেন, “এই এফবিআই আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান অপরাধের মহামারী শেষ করবে, অভিবাসী অপরাধী গ্যাংগুলোকে ধ্বংস করবে এবং সীমান্ত জুড়ে মানব ও মাদক পাচারের দুষ্ট চক্র বন্ধ করবে।” তিনি বলেন, “কাশ (Kash Patel) আমাদের মহান অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির অধীনে কাজ করবেন, এফবিআই-এ বিশ্বস্ততা, সাহসিকতা এবং সততা পুনরুদ্ধার করতে (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) কি হিন্দ শূন্য হয়ে যাবে? সম্প্রতি দেশটিতে যেভাবে (ISKCON) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, যেভাবে হিন্দু সন্ন্যাসীদের (ISKCON) মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তার পরে স্বভাবিকভাবেই উঠছে এই প্রশ্ন। দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজকে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ন্যায় বিচারের দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায় সমাবেশ করছে। তবে তারাও নির্মম দমন-পীড়ন ও হামলার মুখোমুখি হচ্ছে।

    চিন্ময় মহারাজ (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্তও চিন্ময় মহারাজকে আটকে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সনাতনী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাঁর আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করতে গিয়েও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির, জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, হরকা তুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলাম (হেই)-এর মতো উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সাজাপ্রাপ্ত জিহাদিরা। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় মহারাজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা সনাতনীদের। চিন্ময় মহারাজ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করেছেন, তিনি বিএনপির নেতা। ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করার পর পরের দিনই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে।

    হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

    চিন্ময় মহারাজ ছিলেন বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁকে গ্রেফতার করে হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিতে চেয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থী ও হিন্দু-বিরোধী এলিমেন্টরা চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। ২৭ নভেম্বর ভোরের দিকে চট্টগ্রাম শহরের মেথরপট্টি এলাকায় মনসা মায়ের মন্দিরে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। হজারিগলিতে কালী মন্দিরেও আগুন লাগিয়ে দেয় ইসলামপন্থী জনতা। হরিজন সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বহু হিন্দু বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, উগ্রপন্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলমানদের “ছুরি ধারালো করার” আহ্বান (ISKCON) জানাচ্ছে। তারা যাতে ইসকনের সদস্যদের হত্যা করতে পারে, তাই ছুরি ধারালো করার আহ্বান। চট্টগ্রাম শহরের হিন্দুরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর (Bangladesh Crisis)। এবারের অত্যাচার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    চরমে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার যদি এই হিংসা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে বহু হিন্দু খুন হতে পারেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন হিন্দু মহিলারা। চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর) বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার তুঙ্গে। নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। হামলা চালনো হচ্ছে হিন্দুদের বাড়িতে। রাতের অন্ধকারে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুনও। স্থানীয় মিডিয়াকে এই ঘটনাগুলো প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বেশিরভাগই কোনও এক অজানা কারণে নৃশংসতার এই ছবি তুলে ধরা থেকে বিরত থেকেছে।

    বিহারিদের অত্যাচার!

    ‘স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ’ কমিউনিটির সদস্যরা, যারা বিহারি নামেও পরিচিত, তারাও হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপরাধগুলো গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলি অদ্ভুতভাবে নীরব রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর কারণ সম্ভবত ইউনূসের প্রভাব এবং বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কানেকশনের কারণে (ISKCON)।

    ক্লিন্টনের কারবার

    দেশে লাগাতার হিন্দু নিধন যজ্ঞ চললেও, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আমেরিকা সফরের সময় ইউনূসকে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে, বিল ক্লিনটন নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী সংগঠন হিজব-উত-তাহরির-এর নেতা মাহফুজ আলমের প্রশংসা করেন। এই সংগঠন খিলাফত প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে। সেই সংগঠনেরই হয়ে সাফাই গাইতে দেখা যায় বিল ক্লিনটনকে। হিন্দুদের (Bangladesh Crisis) পীড়ন করার পাশাপাশি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাও শুরু করে দিয়েছে ইউনূস সরকার। অক্টোবরে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের গায়ে জঙ্গি সংগঠনের তকমা সেঁটে দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, সরকার আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

    এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামি শক্তির আধিপত্য। হিন্দু ও খ্রিষ্টান-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য তেমন কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। তাই সমালোচনাও হবে না। মৌলবাদীদের পাশাপাশি করেকম্মে (ISKCON) খাবে জঙ্গিরাও (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share