Tag: us

us

  • Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করতে চান হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একইসঙ্গে চান আমেরিকায় (US) থাকা অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে। তবে তথাকথিত ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষিত রাখতে চান রিপাবলিকান পার্টির এই শীর্ষ নেতা।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    ‘মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, তিনি অফিসে প্রথম দিনেই একটি এক্সিকিউটিভ অ্যাকশনের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সেই সকল ব্যক্তিদের দেওয়া হয়, যারা সে দেশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের বাবা-মা অভিবাসী কিনা, তা বিবেচনা করা হয় না। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তাঁর আশা, সেদিনই দায়িত্ব নেওয়ার পরে অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করবেন। সারা দেশে কঠোর অভিযান পরিচালনা করবেন বলেও জানান তিনি। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আমেরিকায় রয়েছেন প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী। ট্রাম্প (Donald Trump) চান যাঁদের বৈধ স্ট্যাটাস নেই, তাঁদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হোক। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আপনাকে এটি করতে হবে। এটি একটি খুব কঠিন কাজ। আপনি জানেন, এখানে নিয়ম, বিধি, আইন রয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    ড্রিমারদের সুরক্ষা

    তবে ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রস্তুত হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প  বলেন, “রিপাবলিকানরা ‘ড্রিমার’ অভিবাসীদের সুরক্ষার ধারণাটি বিবেচনা করতে প্রস্তুত। যাদের শৈশবে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।” তিনি বলেন, “যাঁদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে তাঁরা হলেন সেই ব্যক্তিরা যাঁরা ১০ বছর ধরে অনলাইনে কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে দেশটিতে বৈধ উপায়ে আসার চেষ্টা করছেন। আমরা মানুষদের জন্য আসার প্রক্রিয়াকে খুব সহজ করব। তবে তাঁদের অবশ্যই পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তাঁদের অবশ্যই বলতে হবে যে স্ট্যাচু অব লিবার্টি কী। তাঁদের আমাদের দেশ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকতে হবে। তাঁদের অবশ্যই আমাদের দেশকে ভালোবাসতে হবে।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্পের (Donald Trump) জন্মগত নাগরিকত্বে (Birthright Citizenship) ইতি টানার পরিকল্পনা সহজে বাস্তবায়িত হবে না। এতে তাঁকে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এই অধিকারটি মার্কিন (US) সংবিধান স্বীকৃত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Syria War: রাশিয়ায় আসাদ, সিরিয়ার আইএস ঘাঁটিতে হামলা আমেরিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত

    Syria War: রাশিয়ায় আসাদ, সিরিয়ার আইএস ঘাঁটিতে হামলা আমেরিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ার (Syria War) দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সিরিয়া ছেড়েছেন। রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার কুর্সিতে ছিলেন আসাদ। তাঁর পরিবার ছয় দশক ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিল। ২০১১ সালে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা বার বার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে। অবশেষে তাতে ইতি পড়ল। পরিবার নিয়ে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে মস্কো। মানবিক কারণে আসাদকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল। এই আবহে সিরিয়ায় যাতে ফের আইসিস সক্রিয় না হতে পারে তাই সতর্ক রয়েছে আমেরিকা। সিরিয়ার এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা নিরাপদেই রয়েছেন, বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

    সিরিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা নিরাপদে

    সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে সচল রয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দূতাবাসের কর্মীরা। তাঁদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করছে দামাস্কাসের ভারতীয় দূতাবাস। সোমবার বিদেশ মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। সিরিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপরেও নজর রাখছে বিদেশ মন্ত্রক। পশ্চিম এশিয়ার ওই দেশের একতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার পক্ষেও সওয়াল করেছে দিল্লি। সরকারি হিসাবে সিরিয়ায় প্রায় ৯০ জন ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। 

    আইসিস ঘাঁটিতে হামলা

    রবিবার রাতে সিরিয়ায় আইসিস ঘাঁটি (US Hits ISIS Camp) লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় অবস্থিত অন্তত ৭৫টি আইসিস ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ করেছে তারা। হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, ‘‘আইসিস ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিরিয়ার মসনদের যে কোনও শূন্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আমেরিকা সে সম্পর্কে অবহিত। আমেরিকা কখনওই তা হতে দেবে না।’’ আসাদের পতন প্রসঙ্গেও রবিবার হোয়াইট হাউস থেকে মন্তব্য করেছেন বাইডেন। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিনে ন্যায়বিচার হয়েছে। সিরিয়ার পীড়িত জনগণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’’

    রাশিয়ায় আসাদ

    সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। রবিবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আসাদ। তাঁকে বিমানে উঠতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছিল না।  তবে সোমবার সকালে সে সব জল্পনার অবসান হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘বন্ধু’র কাছে আশ্রয় পেয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মানবিক কারণে তাঁকে নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সপরিবার মস্কোয় পৌঁছেও গিয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার একটি সরকারি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ‘‘সিরিয়া সঙ্কটের একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক সমাধানের কথা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছে রাশিয়া। আমরা চাই, রাষ্ট্রপুঞ্জের তৎপরতায় এ বিষয়ে আবার কথাবার্তা শুরু হোক।’’ সিরিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও রাশিয়া যোগাযোগ রেখেছে, দাবি সে দেশের সংবাদমাধ্যমের। বিদ্রোহী নেতারা সিরিয়ায় অবস্থিত রুশ সেনাঘাঁটি এবং দূতাবাস সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। মস্কো এ-ও জানিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিয়ার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত এবং রাশিয়া-সিরিয়া সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহী পুতিন। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যেতে চান তিনি।

    মুক্ত সিরিয়া!

    সিরিয়ার দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী রবিবার সকালে দামাস্কাসে ঢুকে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরেই সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করতে শুরু করে বিদ্রোহীরা। রবিবার এক প্রকার বিনা বাধায় রাজধানী ‘দখল’ করে নেয় বিদ্রোহীরা। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি সরকার। রবিবার দামাস্কাসের দখল নেওয়ার পরেই আসাদের ‘স্বৈরাচারী শাসন’ থেকে সিরিয়া মুক্ত হয়েছে বলে জানায় বিদ্রোহীরা। আসাদ দামাস্কাস ছাড়তেই উল্লাস শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং তাদের সমর্থকরা। রবিবার রাতে জানা যায়, দামাস্কাসে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের নেতা আবু মহম্মদ আল-জুলানিও। দামাস্কাসের উমায়েদ মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় ভাষণ দেন তিনি। আসাদের পতনকে সমগ্র সিরিয়াবাসীর জয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা জুলানির পরিচয়

    আক্রমণাত্মক নেতৃত্ব দিয়ে আসাদের শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন আবু মহম্মদ আল-জুলানি (Mohammed AL-Julani)। যিনি বর্তমানে সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বিদ্রোহী শক্তি হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর প্রধান। এই ইসলামিক গোষ্ঠীর সঙ্গে একসময় আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল। গোপন আস্তানা থেকে জুলানি বলেছেন, সিরিয়ায় বিপ্লবের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকারকে উৎখাত করা। এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কাউন্সিলের নেতৃত্ব থাকবে। ২০১৮ সালে এই জুলানির মাথার দাম এক কোটি ডলার ধার্য করেছিল আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৪ কোটি টাকা। পরে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে তিনিই দাবি করেছিলেন, নিরীহদের খুনকে তিনি কখনওই সমর্থন করেন না।

    আরও পড়ুন: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    ১৯৮২ সালে সৌদি আরবে জন্ম জুলানির। জন্মের পরে প্রথম সাত বছর কেটেছিলে রিয়াধে। জুলানির বাবা ছিলেন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৮৯ সালে সিরিয়ায় ফিরে আসে জুলানির পরিবার। ২০০৩ সালে আল-কায়দায় যোগ দিয়েছিলেন জুলানি। ২০১১ সালে আল-কায়েদার অধীনের নতুন ‘জাভাত আল-নুসরা’ গঠন করেন জুলানি। পরে তার নামই হয় এইচটিএস। ২০১৩ সালে আল-কায়দা ও আইসিস-এর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে জুলানি জানান, নিরীহ মানুষের হত্যা তিনি পছন্দ করেন না। এরপর ২০২২ সালে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে নিজের সরকারও গঠন করেন জুলানি। এবার দামাস্কাস দখল করল তাঁর এইচটিএস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, তোপ বিজেপির

    BJP: ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদল ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক ও বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মিলে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এমনই অভিযোগ করছে বিজেপি (BJP)। তারা এই অভিযোগ তুলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সেখানে সক্রিয় ডিপ স্টেট উপাদানগুলির বিরুদ্ধে। গত দুদশকে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। দুই দেশই কিছু মতভেদ ও বিধোধ থাকা সত্ত্বেও (Adani Indictment) সম্পর্ক আরও মজবুত করার অঙ্গীকার করার করেছে। এমতাবস্থায় উঠেছে অভিযোগ।

    বিজেপির দাবি (BJP)

    বিজেপির দাবি, রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেস অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) এর প্রতিবেদনগুলি ব্যবহার করেছে যা আদানি গ্রুপের ওপর এককভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং মোদীকে দুর্বল করতে সরকারের সাথে তার কথিত ঘনিষ্ঠতার কথা বলে বেড়াচ্ছে। ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং আরও সাতজনকে। গ্রুপের দাবি, অভিযোগ, ভিত্তিহীন।

    ওসিসিআরপির প্রতিবেদন

    ওসিসিআরপির প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হ্যাকাররা ইসরায়েলের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সরকার-বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। উভয় অভিযোগই অস্বীকার করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। বিজেপি আগেই রাহুল গান্ধী এবং ওসিসিআরপি এবং নবতিপর কোটিপতি আর্থিক সহায়তাকারী ও সমাজসেবী জর্জ সোরোসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করার অভিযোগ এনেছিল।

    আরও পড়ুন: এবার ঢাকার ইসকন মন্দিরে আগুন লাগাল মৌলবাদীরা, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি

    বৃহস্পতিবার বিজেপি একটি ফরাসি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উল্লেখ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ওসিসিআরপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং অন্য গভীর রাষ্ট্রের ব্যক্তিত্ব যেমন সোরোসের দ্বারা অর্থায়িত। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি (BJP) বলেছে, ওই রাষ্ট্রের স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টার্গেট করে ভারতকে অস্থিতিশীল করা। পদ্ম পার্টির দাবি,  এটি সবসময়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পিছনে থাকা একটি অ্যাজেন্ডা ছিল… ওসিসিআরপি রাষ্ট্রের অ্যাজেন্ডা পরিচালনার জন্য একটি সংবাদমাধ্যমের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।

    মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, “মার্কিন সরকার সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা প্রদান করে। তবে এটি এই সংগঠনগুলির (Adani Indictment) সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত বা দিকনির্দেশকে প্রভাবিত করে না (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করে দিলেন জো বাইডেন

    Joe Biden: হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করে দিলেন জো বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলেকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) রবিবার তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনকে (Hunter Biden) ক্ষমা করে দিয়েছেন। এর ফলে ফেডারেল অপরাধমূলক অস্ত্র ও কর ফাঁকির শাস্তির খাঁড়া থেকে মুক্তি পেলেন বাইডেন-পুত্র। ঘটনায় মার্কিন প্রদেশে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রেসিডেন্সির বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার না করার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে ছেলেকে ক্ষমা করে দিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    কী বললেন বাইডেন (Joe Biden)

    হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, “আজ আমি আমার ছেলে হান্টারের জন্য একটি ক্ষমার আদেশে স্বাক্ষর করেছি। আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন থেকেই বলেছিলাম যে আমি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করব না। আমি আমার কথা রেখেছি। এমনকী, যখন দেখেছি আমার ছেলেকে বেছে বেছে এবং অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তখনও।” ডেলাওয়ার ও ক্যালিফোর্নিয়ায় দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে বাইডেন বলেছিলেন, যে তিনি তাঁর ছেলেকে ক্ষমা করবেন না বা তাঁর সাজা লঘু করবেন না। এই সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন যখন হান্টার বাইডেন বন্দুক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং কর মামলায় দোষ স্বীকার করার পর শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছিলেন।

    হান্টারকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হয়েছে

    সেই বাইডেনই ছেলেকে ক্ষমা করলেন এমন একটা সময়ে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মাত্র দুমাসের মধ্যেই দায়িত্ব নিতে চলেছেন তিনি। জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে (Joe Biden), “যারা সিরিয়াস অ্যাডিকশনের কারণে তাঁদের কর সময়মতো পরিশোধ করতে পারেননি, কিন্তু পরে সুদ ও জরিমানা সহ তা পরিশোধ করেছেন, সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে অপরাধমূলক শাস্তি দেওয়া হয় না। তবে এটা পরিষ্কার যে হান্টারকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। হান্টার একজন মাদকাসক্তি থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তি, যিনি রিপাবলিকানদের, বিশেষ করে ট্রাম্পের, লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন।”

    আরও পড়ুন: ‘কমপক্ষে তিন সন্তান নিন’, নিদান মোহন ভাগবতের

    বাইডেন বলেন, “হান্টারের মামলার তথ্য বিবেচনা করে কোনও বিচার-বিবেচনা বোধ থাকা ব্যক্তি এ ছাড়া অন্য কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে না যে তাকে শুধু আমার ছেলে হওয়ার কারণে আলাদা করে টার্গেট (Hunter Biden) করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “হান্টারকে ভাঙার চেষ্টা করতে গিয়ে, তারা আমাকেও ভাঙার চেষ্টা করেছে – এবং এটা এখানে থামবে এমন কোনও কারণ নেই। তাই ঢের হয়েছে, আর না (Joe Biden)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ট্রাম্প প্রশাসনে আরও এক ভারতীয়  বংশোদ্ভূতের অভিষেক, কী দায়িত্ব পেলেন কাশ?

    Donald Trump: ট্রাম্প প্রশাসনে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের অভিষেক, কী দায়িত্ব পেলেন কাশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক ভারতীয়  বংশোদ্ভূতের অভিষেক ট্রাম্প প্রশাসনে! আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) মন্ত্রিসভা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে চলছে ভারতীয়  বংশোদ্ভূতদের নিয়োগ। এবার এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন)-এর পরিচালক পদে ট্রাম্প বেছে নিলেন কাশ প্যাটেলকে (Kash Patel)।

    কাশ প্যাটেল

    সিআইএর প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়েছিলেন কাশ। পরে ওই পদে বসানো হয় জন ব়্যাটক্লিফকে। কাশকে বসানো হল এফবিআইয়ের পরিচালক পদে। এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি এটা ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে কাশ্যপ ‘কাশ’ এফবিআই-এর পরবর্তী পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন।” কাশের পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল। তিনি দীর্ঘদিন হাউস পারমানেন্ট সিলেক্ট কমিটিতে কাউন্টার টেররিজমের উপদেষ্টা পদে কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে হোয়াইট হাউসে কাউন্টার টেররিজম ডিরেক্টরেট অফ দ্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সিনিয়র ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ২০২০ সালে আমেরিকার অস্থায়ী প্রতিরক্ষা সচিব ক্রিস মিলারের চিফ অফ স্টাফ নিযুক্ত হন কাশ।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) (শপথ নেবেন ২০ জানুয়ারি) বলেন, “আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে কাশ্যপ ‘কাশ’ প্যাটেল ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পরবর্তী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কাশ একজন মেধাবী আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রবক্তা, যিনি তাঁর পুরো কর্মজীবনে দুর্নীতির উন্মোচন, ন্যায়বিচারের সুরক্ষা এবং আমেরিকান জনগণের সুরক্ষার জন্য কাজ করেছেন। তিনি ‘রাশিয়া, রাশিয়া, রাশিয়া’ ষড়যন্ত্র উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং সত্য, জবাবদিহিতা ও সংবিধানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: মাও-মুক্ত ছত্তিশগড়ের গ্রাম, বিজলির আলোয় ঘুঁচল ‘আঁধার’

    তিনি বলেন, “আমার প্রথম মেয়াদের সময় কাশ অসাধারণ কাজ করেছেন। তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগের চিফ অব স্টাফ, ডেপুটি ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কাশ ৬০টিরও বেশি জুরি ট্রায়াল পরিচালনা করেছেন।”

    ট্রাম্প বলেন, “এই এফবিআই আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান অপরাধের মহামারী শেষ করবে, অভিবাসী অপরাধী গ্যাংগুলোকে ধ্বংস করবে এবং সীমান্ত জুড়ে মানব ও মাদক পাচারের দুষ্ট চক্র বন্ধ করবে।” তিনি বলেন, “কাশ (Kash Patel) আমাদের মহান অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির অধীনে কাজ করবেন, এফবিআই-এ বিশ্বস্ততা, সাহসিকতা এবং সততা পুনরুদ্ধার করতে (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) কি হিন্দ শূন্য হয়ে যাবে? সম্প্রতি দেশটিতে যেভাবে (ISKCON) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, যেভাবে হিন্দু সন্ন্যাসীদের (ISKCON) মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তার পরে স্বভাবিকভাবেই উঠছে এই প্রশ্ন। দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজকে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ন্যায় বিচারের দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায় সমাবেশ করছে। তবে তারাও নির্মম দমন-পীড়ন ও হামলার মুখোমুখি হচ্ছে।

    চিন্ময় মহারাজ (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্তও চিন্ময় মহারাজকে আটকে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সনাতনী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাঁর আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করতে গিয়েও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির, জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, হরকা তুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলাম (হেই)-এর মতো উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সাজাপ্রাপ্ত জিহাদিরা। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় মহারাজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা সনাতনীদের। চিন্ময় মহারাজ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করেছেন, তিনি বিএনপির নেতা। ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করার পর পরের দিনই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে।

    হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

    চিন্ময় মহারাজ ছিলেন বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁকে গ্রেফতার করে হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিতে চেয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থী ও হিন্দু-বিরোধী এলিমেন্টরা চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। ২৭ নভেম্বর ভোরের দিকে চট্টগ্রাম শহরের মেথরপট্টি এলাকায় মনসা মায়ের মন্দিরে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। হজারিগলিতে কালী মন্দিরেও আগুন লাগিয়ে দেয় ইসলামপন্থী জনতা। হরিজন সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বহু হিন্দু বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, উগ্রপন্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলমানদের “ছুরি ধারালো করার” আহ্বান (ISKCON) জানাচ্ছে। তারা যাতে ইসকনের সদস্যদের হত্যা করতে পারে, তাই ছুরি ধারালো করার আহ্বান। চট্টগ্রাম শহরের হিন্দুরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর (Bangladesh Crisis)। এবারের অত্যাচার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    চরমে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার যদি এই হিংসা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে বহু হিন্দু খুন হতে পারেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন হিন্দু মহিলারা। চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর) বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার তুঙ্গে। নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। হামলা চালনো হচ্ছে হিন্দুদের বাড়িতে। রাতের অন্ধকারে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুনও। স্থানীয় মিডিয়াকে এই ঘটনাগুলো প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বেশিরভাগই কোনও এক অজানা কারণে নৃশংসতার এই ছবি তুলে ধরা থেকে বিরত থেকেছে।

    বিহারিদের অত্যাচার!

    ‘স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ’ কমিউনিটির সদস্যরা, যারা বিহারি নামেও পরিচিত, তারাও হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপরাধগুলো গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলি অদ্ভুতভাবে নীরব রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর কারণ সম্ভবত ইউনূসের প্রভাব এবং বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কানেকশনের কারণে (ISKCON)।

    ক্লিন্টনের কারবার

    দেশে লাগাতার হিন্দু নিধন যজ্ঞ চললেও, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আমেরিকা সফরের সময় ইউনূসকে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে, বিল ক্লিনটন নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী সংগঠন হিজব-উত-তাহরির-এর নেতা মাহফুজ আলমের প্রশংসা করেন। এই সংগঠন খিলাফত প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে। সেই সংগঠনেরই হয়ে সাফাই গাইতে দেখা যায় বিল ক্লিনটনকে। হিন্দুদের (Bangladesh Crisis) পীড়ন করার পাশাপাশি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাও শুরু করে দিয়েছে ইউনূস সরকার। অক্টোবরে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের গায়ে জঙ্গি সংগঠনের তকমা সেঁটে দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, সরকার আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

    এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামি শক্তির আধিপত্য। হিন্দু ও খ্রিষ্টান-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য তেমন কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। তাই সমালোচনাও হবে না। মৌলবাদীদের পাশাপাশি করেকম্মে (ISKCON) খাবে জঙ্গিরাও (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Jim Rogers: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    Jim Rogers: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদি (PM Modi) সাহেব অনেক ভালো কথা বলেছেন এবং তিনি কিছু ভালো কাজ করেছেন।” কথাগুলি বললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী জিম রজার্স (Jim Rogers)। গ্লোবাল বাজার বিশ্লেষণে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গির জন্যও পরিচিত তিনি। তিনি ভারতের প্রবৃদ্ধি এবং গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের উন্নতির বিষয়ে তাঁর দক্ষতা এবং কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টির জন্যও সুপরিচিত।

    আশাবাদী রজার্স (Jim Rogers)

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের অর্থনৈতিক গতিপথ নিয়ে আশা প্রকাশ করেন রজার্স। গত দশকে সরকারের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। ভারতের অর্থনৈতিক শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। রজার্স বলেন, “অনেক দশক ধরে দিল্লি অনেক ভালো বিষয় নিয়ে কথা বলেছে। কিন্তু তারা সত্যিই তা বাস্তবে প্রয়োগ করেনি। আমার কখনও মনে হয়নি যে দিল্লি অর্থনীতি বুঝেছে এবং কী হওয়া উচিত, তা উপলব্ধি করেছে।”

    কী বললেন রজার্স?

    রজার্স বর্তমান সরকারের অধীনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি (Jim Rogers) বলেন, ‘‘এখন, জীবনে প্রথম বারের মতো আমি মনে হচ্ছে যে, দিল্লি এটা (অর্থনীতি) বুঝছে এবং তারা সত্যিই এটি বাস্তবায়ন করতে চায়, এবং পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।’’ তিনি ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার ও প্রবৃদ্ধি কৌশল সম্পর্কে নতুন করে আশার আলোর কথা শোনান। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মোদি সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পণ্য ও পরিষেবা কর, দেউলিয়া ও দেউলিয়া আইন, এবং ব্যবসা পরিচালনা উন্নত করার লক্ষ্যে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ।

    আরও পড়ুন: ‘পরিবারের যত্ন নিন’, ওড়িশায় দলীয় বৈঠকে কর্মীদের ‘পরামর্শ’ প্রধানমন্ত্রীর

    মোদি সরকারের এই সব পদক্ষেপের সুফলও ফলেছে। ২০১৪ সালের আগে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারত। মোদি জমানায় সেই দেশই উঠে এসেছে পাঁচ নম্বরে। দীর্ঘকাল এই জায়গাটা ধরে রেখেছিল ব্রিটেন। সেই রাজার দেশকে নীচে নামিয়ে পঞ্চম স্থানটি দখল করেছে মোদির (PM Modi) ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, অচিরেই ভারত উঠে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে (Jim Rogers)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bribery Charges: ঘুষ দেওয়ার অভিযোগই ওঠেনি মার্কিন মুলুকে, বিবৃতি দিয়ে জানাল আদানি গোষ্ঠী

    Bribery Charges: ঘুষ দেওয়ার অভিযোগই ওঠেনি মার্কিন মুলুকে, বিবৃতি দিয়ে জানাল আদানি গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে গৌতম আদানি-সহ (Adani Green) তিনজনের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার (Bribery Charges) অভিযোগই ওঠেনি। বুধবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে এমনই দাবি করল আদানি শিল্পগোষ্ঠী।

    আদানি গোষ্ঠীর বিবৃতি (Bribery Charges)

    তবে গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর এবং সংস্থার অন্যতম শীর্ষ কর্তা বিনীত জৈনকে আমেরিকার ন্যায় বিচার দফতর অন্য তিনটি অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। আদানি শিল্পগোষ্ঠী বিদেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করেনি বলেও দাবি করেছে গৌতমের সংস্থা। শেয়ার বাজারের ফাইলিংয়ে এসবই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর তরফে। ঘুষকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে বিভ্রান্তিকর বলেও দাবি করা হয়েছে আদানিদের জারি করা ওই বিবৃতিতে।

    তিন অভিযোগে কাঠগড়ায়

    প্রসঙ্গত, ঘুষকাণ্ডে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম-সহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শেয়ার বাজার ফাইলিংয়ে আদানি গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, সিকিউরিটিজ জালিয়াতি ষড়যন্ত্র, অনলাইন লেনদেন জালিয়াতি ষড়যন্ত্র এবং সিকিউরিটিজ জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে আদানিদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার মার্কিন মুলুকের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও ন্যায় বিচার দফতর গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর ও তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Bribery Charges) তোলে, তাঁরা ২৬.৫ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত আদায় করেছিলেন।

    এর থেকে আদানিদের ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার মুনাফা লুটে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ঘুষ দিয়ে বরাত আদায়ের তথ্য গোপন রেখে এই প্রকল্পের জন্য আদানি গ্রিন সংস্থা বাজারে বন্ড ছেড়ে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে ৭৫ কোটি মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে মার্কিন লগ্নিকারীদের কাছ থেকে তোলা হয়েছে ১৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে গুরু দায়িত্বে বাঙালি, মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাথায় কলকাতার জয়ন্ত

    কোনও সংস্থা মার্কিন শেয়ার বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে, তারা সে দেশের সব আইন মেনে চলতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে আদানিরা ঘুষের টাকার একাংশ বন্ডের মাধ্যমে আমেরিকার বাজার থেকে সংগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ। সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী, এটা বেআইনি। তার জেরে দায়ের হয়েছে মামলা। যদিও বিবৃতি (Adani Green) দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী (Bribery Charges)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bangladesh: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না, ইউনূসদের কড়া হুঁশিয়ারি আমেরিকার

    Bangladesh: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না, ইউনূসদের কড়া হুঁশিয়ারি আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (United state) বিপুল জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে বুধবার আমেরিকার বিদেশ দফতর বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, কোনও পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চলবে না। প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সেদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তিন দফায় বাংলাদেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডও বাতিল করেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, এমনটাই অভিযোগ। এনিয়ে আমেরকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘‘আমরা চাই সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারকে যথাযথভাবে সম্মান দেখানো হোক।’’

    বাইডেন সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইউনূস সরকার

    জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সরকার (United state) ইউনূসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতার পালাবদল হয়, জামাত-বিএনপির সহায়তায় ক্ষমতার মসনদে বসেন ইউনূস। এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছিল আমেরিকার বিদেশ দফতর। কিন্তু ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এডিটর কাউন্সিলও এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এনিয়ে তারা প্রেস বিবৃতি জারি করেছে। ঢাকা ট্রাইবুনাল নিউজ পেপার এই ঘটনায় প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ১৬৭ জন সাংবাদিককে প্রেস কার্ড বাতিল করেছে ইউনূস সরকার। এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অনভিপ্রেত এবং অগণতান্ত্রিক।

    কী বলছেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র? 

    বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সরকার বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্পর্কে কেমন অবস্থান নিতে চলেছে, তা বিদায়ী সরকারের বিদেশ নীতিতেই পরিষ্কার। সেই দিশানির্দেশ দেখিয়ে দিয়েছে বুধবার। শুধু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সওয়াল নয়, ইউনূস সরকারকে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। ১০ নভেম্বর আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ধরপাকড়-হামলার প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের মন্তব্য— ‘‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত পোষণ করতে পারার অধিকারকে সমর্থন করি। আমেরিকা মনে করে, কোনও গণতন্ত্রিক পরিবেশের জন্য এগুলি অপরিহার্য।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আসীন হওয়াটা (India US Trade Security Ties) এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। তাঁকে ঘিরে আশার আলো দেখছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কারণ মার্কিন দেশে ক্ষমতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’। তবে উদ্বেগ যে একেবারেই নেই, তা নয়। উদ্বেগ রয়েছে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য বন্ধন নিয়ে। তবে, দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)

    ট্রাম্প হতে চলেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো। এর আগের দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ট্রাম্পের উদ্যোগেই হয়েছিল ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সখ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরেও ভারত-আমেরিকা সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলেও ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    ভারতের পাশে ট্রাম্প

    ভারতের সঙ্গে ট্রাম্প (Donald Trump) বরাবরই সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজ অনুপ্রবেশের সময় ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দু’টি সি গার্ডিয়ান ড্রোনের লিজ মঞ্জুর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ট্রাম্প। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় মোদি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন ট্রাম্প। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তাও উপলদ্ধি করেছিলেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ট্রাম্প (Donald Trump) ভারতে বৃহত্তর বিনিয়োগের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    ভারতীয়দের আমেরিকায় বিনিয়োগ করার আহ্বান করেছিলেন। ডাম্পিং সমস্যায় চিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি। এর আগের মেয়াদে ট্রাম্প ভারতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রাকৃতিক শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ক্যাম্পে আক্রমণের সময় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা আঘাত করার অধিকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন তিনি। সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ওপর মুসলমানদের হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন ট্রাম্প।

    নানা বিষয়ে মতের মিল হওয়ায় ট্রাম্প যে ভারতের পাশেই থাকবেন, সে ব্যাপারে আশাবাদী (India US Trade Security Ties) ভারত। উদ্বেগ বলতে ওইটুকুই, সেটা হল বাণিজ্য চুক্তি। তবে, ট্রাম্পের (Donald Trump) দ্বিতীয় দফায় দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share