Tag: Varanasi

Varanasi

  • PM Modi: বারাণসীতে মোদির ‘অক্ষয়পাত্র’, এক সঙ্গে ১ লক্ষ পড়ুয়াকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা

    PM Modi: বারাণসীতে মোদির ‘অক্ষয়পাত্র’, এক সঙ্গে ১ লক্ষ পড়ুয়াকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক হাজার স্কুল পড়ুয়ার জন্য করা যাবে রান্না। আজ, বৃহস্পতিবার যোগী রাজ্যের বারাণসীতে এমনই একটি বিশাল মিড-ডে মিল (Mid-Day Meal) কিচেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কিচেনের নাম দেওয়া হয়েছে অক্ষয় পাত্র মিড-ডি মিল কিচেন (Akshay Patra Mid Day Meal Kitchen)। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাণসীতে তৈরি এই রান্নাঘরে রয়েছে অত্যাধুনিক ও উন্নত মানের রান্নার সরঞ্জাম। এই অতিকায় রান্না ঘরে অন্তত ২৫ হাজার স্কুল পড়ুয়ার মিড-ডি মিল বানানো যাবে।

    এই অক্ষয়পাত্র কিচেনের উদ্বোধন ছাড়াও এদিন ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন মোদি।  অক্ষয়পাত্র কিচেনটি রয়েছে বারাণসীর আরদানি বাজার এলাকায়। বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির জন্য অত্যানুধিক সব মেশিন রয়েছে এই রান্নাঘরে। চাল-ডাল, সবজির পাশাপাশি চাপাটিও এক সঙ্গে তৈরি করা যাবে বিপুল পরিমাণে। ২৫ হাজার শিশুর রান্না করা তো যাবেই, প্রয়োজনে ১ লক্ষ বাচ্চার খাবারও প্রস্তুত করা যাবে অত্যাধুনিক এই রান্নাঘরে। বারাণসী জেলার ১৪৩টি প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চারা উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন  এই রান্নাঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবে। এদিন কয়েকজন বাচ্চার সঙ্গে দেখাও করেন প্রধানমন্ত্রী। রন্ধনকর্মীর পাশাপাশি বিপুল আয়তনের রান্নাঘর পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে কর্মীও।

    আরও পড়ুন : ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    এই রান্নাঘরের পাশাপাশি এদিন আরও প্রায় ৩১টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মোদি। বলেন, আমরা উন্নয়নের পথ দেখিয়েছি। কাজ করার সংকল্প ও কঠিন পরিশ্রম করতে পারলে উন্নয়ন করা যায়। দেশজুড়ে যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন মোদি। হাসপাতাল তৈরি, ইনস্যুরেন্স সহ নানা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন দেশবাসী। তিনি বলেন, উন্নয়ন মানে হল দরিদ্র, দলিত, মহিলা এবং পিছড়েবর্গদের ক্ষমতায়ন। তিনি বলেন, বারাণসীতে যে প্রজেক্টগুলো লঞ্চ করা হল, তার সুফল পারেন জেলাবাসী। উন্নত হবে তাঁদের জীবনযাপনের সূচক।

    আরও পড়ুন : শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

  • Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন যেখানে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) রয়েছে, সেখানে এক সময় মন্দির ছিল। ১৯৩৬ সালের একটি হলফনামায় এই তথ্য মিলেছে। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরেই ছিল হিন্দু উপাসনার স্থান।

    হলফনামা অনুযায়ী, মসজিদের পূর্বদিকে অবস্থিত পিপুল গাছের নীচে আমরা গঙ্গেশ্বরের পুজো করি। এরপর আমরা রাধাকৃষ্ণের মূর্তি পুজো করি। ভিয়াস যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িতে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে আমরা আবার প্রাঙ্গনে আসি। গৌরীশঙ্কর নামে পরিচিত শিব এবং দশরথের যুগল মূর্তিও পুজো করি।  

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    পিটিশনের একটি অংশে লেখা, এর পরে আমরা গৌরী শঙ্করের মূর্তির কাছে তারকেশ্বর, তার পরে নন্দ কেশবস, তারপর মহাকালেশ্বর চবুতরের ওপর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে পিপুল গাছের নীচে, তারপর জ্ঞানবাপী কূপ, তার পর মাদাদি পঞ্চ বিনায়ক নামে পরিচিত গণেশজির পুজো করি। তারপর তৃতীয় পিপুল গাছের নীচে মহেশ্বর, তারপরে মুক্তেশ্বর যা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি লুকানো জায়গা, তারপরে আমরা শ্রীঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো করি…।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    সিভিল মামলায় এই এলাকাটি ওয়াকফ (Wakf) সম্পত্তির অংশ হিসেবে দাবি করা হয়। মামলার বাদী পক্ষ জানায়, মন্দিরের জমিতে তৈরি করা কোনও কাঠামোকে মসজিদ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। তারা ভারতে মুসলমান শাসনের শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি ও মন্দিরের উল্লেখ করেছে। ব্রিটিশ শাসিত ভারত সরকারও নোটে উল্লেখ করেছিল, অমুসলিমরাও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ওই জমি ব্যবহার করছে।

    আরও পড়ুন : খননকার্য এখনই নয়, কুতুব মিনার প্রসঙ্গে জানাল সংস্কৃত মন্ত্রক

    সোমবার বারাণসী জেলা আদালতে (Varanasi district court) শুনানি শেষ হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (kashi Viswanath temple)-জ্ঞানবাপী মসজিদ  মামলার। আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।

    প্রসঙ্গত, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মসজিদ কমিটির দাবি, দীর্ঘকাল মসজিদটি এই এলাকায়ই রয়েছে। যদিও হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বনাথের মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। সম্প্রতি মসজিদ এলাকায় ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয় আদালত। সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তির দাবি, ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষা (Videography survey) করার সময় মসজিদের ওজুখানার (Wuzukhana) জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) মিলেছে। তার পরেই ওজুখানা সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

     

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) মিলল ‘শিবলিঙ্গ’ (Shivling)। অন্তত এমনই দাবি হিন্দু আবেদনকারী সোহন লাল আর্যের। তাঁর দাবি, এই মামলায় চূড়ান্ত প্রমাণ মিলেছে।

    বারাণসীর (Varanasi) কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath temple) সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বহুদিন ধরে চলছে বিতর্ক। বিতর্কের অবসানে গড়া হয় কমিটি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষমেশ বারাণসী কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়াকে (ASI) দায়িত্ব দেয়। দিন আগে মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফি করতে যান আদালত কর্তৃক নিয়োজিত কয়েকজন। মসজিদ কমিটি তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরে সুপ্রিম কোর্টে মসজিদ সার্ভের কাজ বন্ধ করার দাবি জানান প্রবীণ আইনজীবি হুজেফা আহমদি। কিন্তু অঞ্জুমান ইনতেজামিয়া মসজিদ কমিটির তরফে করা সেই আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত।

    হিন্দু সংগঠনের দাবি, এক সময় ওই এলাকায় ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shringar Gauri Temple)। সেখানে পুজোর আবেদনও জানিয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। বছর খানেক আগে প্রার্থনার জন্য এলাকাটিতে প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, ওই চত্বরে আরও দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এপ্রিল মাসে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় বারাণসী আদালত। দিন কয়েক ধরে চলছিল ভিডিও সার্ভের  (Videography survey) কাজ।

    মসজিদ কমিটির বাধার জেরে প্রথমে বন্ধ হয়ে গেলেও ফের শুরু হয় ভিডিওগ্রাফি সার্ভের কাজ। এদিন সেখানে শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি হিন্দুদের আবেদনকারীর।

    আরও পড়ুন : উজ্জ্বয়িনী মসজিদ আদতে ছিল ভোজ আমলের হিন্দু মন্দির? প্রমাণ দেখাল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

    আর্য বলেন, যে এলাকায় ভিডিও সমীক্ষার কাজ হচ্ছিল, সেখানকার একটি কুয়োয় শিবলিঙ্গ মিলেছে। শিবলিঙ্গটি নন্দীর প্রতীক্ষায় রয়েছে। যে মুহূর্তে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখনই উপস্থিত জনতা হর হর মহাদেব ধ্বনি দিতে থাকে। ঘটনার পরে ম্যাজিস্ট্রেটকে এলাকাটি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ মন্দিরের গায়েই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, বিশ্বেশ্বরের এই মন্দির বিদেশি হানাদারদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকবার। ১৬৬৯ সালে মূল মন্দির দখল করে জ্ঞানবাপী মসজিদ (gyanvapi mosque) তৈরি করেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। এখনও মসজিদের গায়ে হিন্দু দেবদেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায় বলে দাবি হিন্দু সংগঠনের। অষ্টাদশ শতকে হিন্দুদের আবেগকে মান্যতা দিয়ে মসজিদের কাছেই আজকের বিশ্বনাথ মন্দিরটি তৈরি করেন মারাঠা রাজ্য মালওয়ার রানি অহল্যাবাই হোলকর।

    আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

     

  • gyanvapi mosque case: ফের পিছল জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি

    gyanvapi mosque case: ফের পিছল জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ফের পিছিয়ে গেল বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি। ২৬ মে, বৃহস্পতিবার এই মামলায় মসজিদ কমিটির আবেদন শুনবে বলে জানিয়েছে বারাণসী জেলা আদলত। আদালত উভয় পক্ষকেই কমিশনের প্রতিবেদনে আপত্তি জানাতে ও এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।  

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) চত্বরেই রয়েছে জ্ঞাপবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)। হিন্দুদের দাবি, মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে, ষোড়শ শতকে। মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) নির্দেশে। পরে বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন রানি অহল্যাবাই। ১৮০০ শতকে মন্দির কর্তৃপক্ষকে নন্দীর একটি মূর্তি উপহার দেন নেপালের রানা। সেই মূর্তি এখনও রয়েছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    এই জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের মা শৃঙ্গার গৌরীর পুজোর অধিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন পাঁচ মহিলা। সেই আবেদনের শুনানির পরে সোমবার পর্যন্ত নির্দেশ সংরক্ষিত রেখেছিলেন জেলা বিচারক এ কে বিশ্বাস। এর আগে দেশের শীর্ষ আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা শুনানির জন্য পাঠিয়েছিল বারাণসী জেলা আদালতে।

    মসজিদ পরিচালনা করে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (anjuman intezamia masjid committee)। এই কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতেই বারাণসী দায়রা আদালত থেকে ওই স্পর্শকাতর মামলা সরানো হয়। সোমবার মসজিদ কমিটির তরফে মসজিদ চত্বর রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত আবেদনটির শুনানি আগে করার আবেদন জানানো হয় বারাণসী জেলা আদালতে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    তারও আগে মসজিদে শুরু হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। ভিডিওগ্রাফির পর্বে নজরদারি করার জন্য আইনজীবী অজয় কুমার মিশ্রকে নিয়োগ করা হয় অ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে। মসজিদে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির (Videography survey) রিপোর্ট ফাঁস হওয়ায় সরানো হয়েছিল অজয় কুমারকে। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছিল মসজিদ কমিটি।

    সোমবার দুপুরে বিচারক বিশ্বাসের এজলাসে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি। তার আগেই অবশ্য আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের (ISI) বিশেষজ্ঞ দলের সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালত ওজুখানা ও তহ্খানা সিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায় বহাল রাখলেও, মসজিদে কোনও অবস্থায়ই নমাজ পাঠ বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

    সোমের পর মঙ্গলবারও ফের হয় শুনানি। হিন্দুদের তরফে আইনজীবী বিষ্ণু জৈন বলেন, আদালত দু পক্ষকেই কমিশনের রিপোর্টের ওপর অবজেকশন ফাইল করতে বলেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

  • Gyanvapi mosque: জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    Gyanvapi mosque: জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরে মা শৃঙ্গার গৌরীর নিত্য উপাসনার অধিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। সংবাদমাধ্যমের দৌলতে তাঁরা এখন খবরের শিরোনামে। এঁদের মধ্যে চারজনের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এই মহিলাদের পরিচয়।

    বিয়ের আগে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন লক্ষ্মী দেবী। বিয়ের পরে চলে আসেন বারাণসীতে। তাঁর স্বামী সোহনলাল আর্য। বারাণসী প্রান্তের ভিএইচপির সহ-সভাপতি। তিনিই প্রথম দাবি করেছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার ভিতরে পাওয়া কালো পাথরের কাঠামোটি আদতে একটি শিবলিঙ্গ। ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন লক্ষ্মীদেবী। বলেন, আইনি লড়াইয়ে যোগ দিতে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম স্বামীর কাছে। বছর ছেষট্টির এই মহিলা বলেন, আমি ও বারাণসীর অন্য মহিলারা নিয়মিত মা শৃঙ্গার গৌরীর পুজো করতে পারছিলাম না। বিশ্বেশ্বরের বাহন নন্দীর মূর্তি দেখে খুব খারাপ লেগেছিল। প্রসঙ্গত, ১৮০০ সাল নাগাদ নেপালের রানা বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে নন্দীর এই মূর্তিটি উপহার দিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    কাশী বিশ্বনাথ-জ্ঞানবাপী মামলার আরও এক ‘পার্টি’ হলেন সীতা সাহু। বছর চল্লিশের সীতা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর মা প্রভাবতী দেবী এক সময় উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে বিজেপির টিকিটে পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর স্বামী বালগোপাল সাহু একটি জেনারেল স্টোরের মালিক। বিজেপির স্থানীয় মহানগর ইউনিটের সদস্য। তিনি বলেন, সীতা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বিয়ের আগে যোগ দিয়েছিলেন আরএসএসের প্রশিক্ষণ শিবিরে। সীতা বলেন, নবরাত্রির সময় শৃঙ্গার গৌরী চত্বরে যাওয়ার সময় আমরা প্রতিদিন প্রার্থনা করতে পারতাম না। আমরা কেবল চত্বরটা দেখতে পেতাম।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    রেখা পাঠকের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পুরোটাই বারাণসীতে। তিনি বারাণসীর অতিপরিচিত লাট ভৈরব মন্দিরের মহন্ত দয়াশঙ্কর ত্রিপাঠীর মেয়ে। তিনি বলেন, দেবতার প্রতি ভালবাসা আমার রক্তে রয়েছে। দয়াশঙ্কর বলেন, আমরা শুধু সম্মান চাই। হিন্দুত্বের জন্য মরতেও প্রস্তুত আমরা। নবরাত্রির সময় পুজো করতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে রেখার। বলেন, সব মন্দিরে নবরাত্রির সময় যেভাবে পুজো করা হয়, শৃঙ্গার গৌরীর মন্দিরেও সেইভাবেই করা উচিত।

    ছোট্ট একটি বিউটি পার্লারের মালিক মঞ্জু ব্যাস। স্বামী বিক্রম ব্যাসকে নিয়ে ছোট্ট সংসার তাঁর। কিরোশী মেয়ে বারাণসী শহরের বাইরে পড়াশোনা করে। মঞ্জু বলেন, অনেকেই আমাদের সম্পর্কে জানতে চায়। আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।

    পিটিশন দাখিল করেছিলেন রাখি সিংহও। তবে তিনি ঠিক কে, তা জানা যায়নি। দিল্লিতে থাকলেও, তিনি কখনও বাকিদের সঙ্গে দেখা করেননি। রেখা বলেন, দয়া করে ওঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না। আমরা এখন চারজন। 

     

  • Gyanvapi mosque: কড়া নিরাপত্তায় ফের শুরু জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার কাজ

    Gyanvapi mosque: কড়া নিরাপত্তায় ফের শুরু জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সে (Gyanvapi mosque) সমীক্ষার কাজ। শনিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ফের শুরু হয়েছে ভিডিওগ্রাফির কাজ। আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি। ভিডিওগ্রাফি করতে আসা দলের লোকজনকে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছে তারা।

    বারাণসীর একটি জমিতে পাশাপাশি রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) । মামলাকারীদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো হত। হিন্দুদের কাছে এই দেবীপীঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুঘল আমলে এই মন্দির দখল করে মসজিদ বানানো হয় বলে দাবি হিন্দুদের একটি গোষ্ঠীর।

    বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের কোনও নিদর্শন রয়েছে কিনা, তা জানতে আদালত একজন কোর্ট কমিশনারকে (court commissioner) নিযুক্ত করে। তাঁর সঙ্গে থাকা ভিডিওগ্রাফার দাবি করেন, মসজিদের গায়ে অস্পষ্ট কয়েকটি স্বস্তিক চিহ্ন রয়েছে। এর পরেই কোর্ট কমিশনার অজয় কুমার মিশ্রকে সরানোর দাবি জানায় মসজিদ কমিটি। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে মসজিদ কমিটি।

    আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

    ফি-বছর চৈত্র নবরাত্রিতে শৃঙ্গার গৌরীতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় ভক্তদের। সেই যুক্তির ভিত্তিতেই ওই স্থানে মন্দির রয়েছে বলে আদালতে আবেদন করেছিলেন মামলাকারীরা। এই মামলার বিবাদেই আদালত নিয়োগ করেছিল কোর্ট কমিশনারকে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কমিটি ও জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির মধ্যে অবশ্য কোনও বিরোধ নেই। মন্দিরের করিডর বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় জমিও দিয়েছিল মসজিদ কমিটি। বর্তমানে এই মসজিদ পরিচালনা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া কমিটি। এই কমিটিরই দাবি, কোর্ট নিযুক্ত কমিশনার পক্ষপাতিত্ব করছেন। তার জেরেই ভিডিওগ্রাফির কাজ করতে মসজিদ কমিটি বাধা দেয়। তাদের এ-ও যুক্তি, মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিতরে ভিডিওগ্রাফি করার আদেশ অ্যাডভোকেট কমিশনারের নেই।

    তবে আদালতের নির্দেশে এদিন ফের শুরু হয়েছে ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার কাজ। এই সমীক্ষাকে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে হয় বৈঠক। বৈঠকে কমিশনের কাজ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য তাঁদের কাছে আবেদন জানানো হয়। জেলাশাসক আয়োজিত ওই বৈঠকে হিন্দু এবং মুসলিম দু’পক্ষের আইনজীবীরাই উপস্থিত ছিলেন। তার আগের দিনই অবশ্য এক আদেশে জেলা আদালত বলেছে যে, ভিডিওগ্রাফির জন্য কমপ্লেক্সের নির্দিষ্ট এলাকায় ঢোকার জন্য চাবি পাওয়া না গেলে তালা ভাঙতে হবে।

     

     

  • Uma Bharti on Gyanvapi: অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

    Uma Bharti on Gyanvapi: অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় তো পহলি ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়! অযোধ্যায় রাম-জন্মভূমি বাবরি মসজিদ (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid) মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার পর এই ধ্বনি গর্জে উঠেছিল দেশে। এবার কাশীর জ্ঞানবাপী (Gyanvapi mosque) ও মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah) নিয়েও উঠতে শুরু করেছে দাবি যে সেখানেও হিন্দু মন্দির ভেঙেই তৈরি করা হয়েছে মসজিদ।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ যে মন্দির ভেঙেই তৈরি করা হয়েছিল, তা নিয়ে দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এবার এই দাবি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী (Uma Bharti)। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ এবং শেষনাগের ভাস্কর্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের। সেই প্রেক্ষিতেই উমার দাবি, কাশীতে বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছিল মসজিদ। ১৯৯১ সালে সংসদে যখন উপাসনালয় আইন ’৯১ উত্থাপিত হয়, তখনই তিনি দাবি করেছিলেন কেবল রামমন্দির ইস্যুই নয়, কাশীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার মসজিদ বিবাদের সমাধান একসঙ্গে করা উচিত। একটি বৈদুতিন সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথা বলেন উমা।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছে মসজিদ। হিন্দু-মুসলমান দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের আলাদা আলাদা দাবির মধ্যে মসজিদে সমীক্ষা চালানো হয় আদালতের নির্দেশে। দুটি সমীক্ষার রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়ায় অনেক বড় বড় তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে শিবলিঙ্গ। মসজিদ চত্বরে রয়েছে শেষনাগও। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের।

    আরও পড়ুন : শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    এমতাবস্থায় একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন উমা। তাঁর দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ এলাকায় শুরু থেকেই মন্দির ছিল। মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে সংসদে যখন উপাসনালয় আইন ’৯১ উত্থাপিত হয়, তখনই আমি দাবি করেছিলাম  কেবল রামমন্দির ইস্যুই নয়, কাশীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার মসজিদ বিবাদের সমাধান একসঙ্গে করা উচিত।  

    আরও পড়ুন : “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    মন্দির ভেঙে যে মসজিদ হয়েছে, তার প্রমাণ সাপেক্ষে যুক্তিও পেশ করেন উমা। তিনি বলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদের পরিবর্তে সেখানে মন্দির ছিল। তাই আজও বিশ্বনাথ মন্দিরে নন্দীর মুখ জ্ঞানবাপী মসজিদের দিকে। মন্দির নির্মাণের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ উপায় বের করা উচিত। অযোধ্যা, মথুরা, কাশী একসঙ্গে বিবাদের নিষ্পত্তি করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। জ্ঞানবাপী চত্বরে সমীক্ষায় যেসব তথ্য উঠে আসছে, তার পরে আর নতুন করে মন্দিরের অস্তিত্ব প্রমাণ করার দরকার নেই বলেও মনে করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

LinkedIn
Share