Tag: violence

violence

  • Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদ ঘুরে মানুষের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের যে সন্ত্রাস চলছে সেইসব আক্রান্ত পরিবারদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আজ মুর্শিদাবাদ জেলায় কলকাতা থেকে হাজার দুয়ারী এক্সপ্রেসে গিয়ে পৌঁছান। হিংসা কবলিত এলাকা এবং আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসা মুক্ত করার আহ্বান জানান রাজ্যপাল।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Murshidabad)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী, শাসক-নির্দল এবং শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সংঘর্ষে হিংসা কবলিত এলাকা হিসাবে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) পৌঁছালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমে বহরমপুর রোড স্টেশনে নামেন এবং সেখান থেকে নবগ্রামে নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে যান। রাজ্যপাল মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নিহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ঘটনার বিবরণ শোনেন, কীভাবে গত ১৫ ই জুন পঞ্চায়েত ভোটের নমিনেশন করে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা রড বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করে হত্যা করেছিল। পরিবার রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন, দোষীদের যেন অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হয়। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল এবং পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কোনও সমস্যা হলে রাজ্যপালকে অবশ্যই যেন জানান পরিবার।

    রাজ্যপাল কী বললেন? 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ক্যানিং, ভাঙর, বাসন্তী, দিনহাটা, সীতাই, শীতলকুচিতে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন। সর্বত্র রাজ্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনকে বার বার আইনের শাসন প্রয়োগের কথা বলেন। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথা বলেন। ঠিক একই ভাবে নবগ্রামে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস এবং হিংসা চলছে। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে হবে এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পদে থেকে বাংলার মানুষের জন্য কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল।   

    নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    এক দিকে যেমন রাজ্যের জুড়ে বোমা, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হচ্ছে তেমনি উত্তর থেকে দক্ষিণ হচ্ছে রক্তাক্ত। নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত সময়ের মধ্য দিয়ে এখনও পর্যন্ত শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আগামীকাল নির্বাচন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় সবথেকে বেশী স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত হয়েছে। ভোট পূর্ববর্তী কালে সবথেকে বেশী ৫ জন মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানা গেছে এই জেলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন মুর্শিদাবাদে রাজ্যপালের যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আইন শৃঙ্খলা ঠিকঠাক রাখা, প্রশাসনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্যপালের এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ‘‘একবারের জন্যও হিংসা বন্ধের আবেদন করেননি মুখ্যমন্ত্রী’’! তোপ দিলীপের

    Purba Bardhaman: ‘‘একবারের জন্যও হিংসা বন্ধের আবেদন করেননি মুখ্যমন্ত্রী’’! তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পঞ্চায়েতগুলিতে টিএমসি রয়েছে। শুধুই দুর্নীতি হয়েছে এত বছর ধরে। কিন্তু প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-কারও বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হয়নি। ঠিক এই ভাবেই পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Purba Bardhaman)?

    নির্বাচনী প্রচারে (Purba Bardhaman) এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না দুর্নীতি বন্ধ হোক। তিনি দুর্নীতি করাচ্ছেন এবং তিনিই দায়িত্ব নিয়ে হিংসা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। একবারের জন্য রাজনৈতিক হিংসা বন্ধের কথা বলেননি। তিনি মাথার ওপর বসে বসে সমস্ত দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। আজ সায়নী ঘোষের ইডিতে হাজিরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চুরি করার পর অনেকেই এমন কথা বলেন! এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, যাদের ইডি ডেকেছে, এখন কোথায় আছে খোঁজ নিয়ে দেখুন। এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা এদিন বলেছেন, বিজেপি চক্রান্ত করে সিবিআইকে লেলিয়ে দিচ্ছে। উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, যেখানে বিজেপি রাজ্যে রয়েছে, সেখানে দুর্নীতি সব থেকে কম হয়েছে। আর যেখানে বিজেপি নেই, সেখানে দুর্নীতি সব থেকে বেশি হচ্ছে।

    মনোনয়ন নিয়ে কী বললেন?

    দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রার্থীদের ইচ্ছে করে বিডিও অফিস থেকে নাম বাতিল করা হয়েছে। উলুবেড়িয়া প্রসঙ্গে বলেন, বিরোধীদের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূলের দুর্নীতি পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হয়েছে। অধিকাংশ বিরোধীদের মনোনয়ন বাতিলে বিডিও-এসপিরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বান্ডিল করে বিডিও অফিস থেকে মনোনয়নপত্র তুলে, বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পূরণ করে আবার বিডিও অফিসে জমা করেছে তৃণমূলের নেতারা। বিডিও সাহেবরা ভালো করে নজরই দেননি। কারণ তৃণমূলের মনোনয়ন ছিল বলে কথা। সৌদি আরব থেকেও পঞ্চায়েতে মনোনয়ন হয়েছে। ঠিক এই ভাবেই পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) এসে তৃণমূল সরকারের প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।

    বাহিনী প্রসঙ্গে কী বললেন?

    সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ (Purba Bardhaman) আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত এগারো বছরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন যে আজ সরকারি কর্মচারীরা বলেছেন, সেন্ট্রাল ফোর্স ছাড়া ভোট করতে যাবেন না। তাই তৃণমূলের তৈরি করা শাসন কাঠামো এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের জনমত গড়ে তুলতে হবে। তৃণমূলকে হারানোর জন্যই বিজেপি লড়ছে। তিনি আরও বলেন, নবজোয়ারের নামে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে রাজনীতি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল-বিকেল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গালিগালাজ করেন, আবার বিপদে পড়লে সেই বাহিনীর কাছে গিয়েই আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Anganwadi Center: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ, বাদ যাচ্ছে না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও!

    Anganwadi Center: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ, বাদ যাচ্ছে না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা! তাদের তাণ্ডবে কার্যত অতিষ্ঠ দাসপুরের খাটবাড়ই এলাকার মানুষ। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব থেকে বাদ যাচ্ছে না এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও (Anganwadi Center)। তাই স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে মানুষের ক্ষোভও বাড়ছে।

    কীভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা (Anganwadi Center)?

    এলাকার ভুক্তভোগী মানুষজন জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। রাত বাড়লে দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাটবাড়ই এলাকায় তারা দাপিয়ে বেড়ায়। বাড়ে মদ্যপদের দাপাদাপি। এমনকী রেহাই পায় না শিশুদের জন্য তৈরি এলাকার আইসিডিএস কেন্দ্রও (Anganwadi Center)। গত বুধবার রাতে তাণ্ডব কার্যত চরমে ওঠে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় আইসিডিএস কেন্দ্রের চেম্বার। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। জানা গিয়েছে, দাসপুরের প্রত্যন্ত এলাকার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করে প্রায় ৬০ জন শিশু। প্রায় ৪০ জন গর্ভবতী মহিলার পুষ্টিকর খাদ্যেরও সরবরাহ করা হয় এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই। কিন্তু সেখানেই দুষ্কৃতীদের দাপটে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী থেকে সহায়িকাদের।

    কী বলছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Anganwadi Center) কর্মীরা?

    অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কাবেরী সিংহরায়ের অভিযোগ, এর আগে পানীয় জলের ট্যাপের মুখ খুলে নিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। পরে তারা ভেঙে ফেলে আস্ত কল। ফলে এখন পানীয় জলের বন্দোবস্ত করতে হয় বাইরে থেকেই। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আবর্জনা ফেলার জন্য দিন কয়েক আগে তৈরি করা হয়েছিল চেম্বার। এবার সেই চেম্বারটিকেও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এমন কাণ্ডে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Anganwadi Center) কর্মী থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে। উল্লেখ্য, অতীতেও এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও কেন টনক নড়েনি প্রশাসনের? সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। কেন এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানাচ্ছেন দাসপুর এক পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে থানার দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। এতকিছুর পরেও আদৌ কি এলাকায় কমানো যাবে দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব? বাগে আনা যাবে মদ্যপদের? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: গ্রামের নাম বদলালেই কড়া শাস্তি, বিল পাশ মণিপুর বিধানসভায়

    Manipur Violence: গ্রামের নাম বদলালেই কড়া শাস্তি, বিল পাশ মণিপুর বিধানসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিগত সমীকরণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বদলে নেওয়া হচ্ছে গ্রামের নাম। হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরবাসীর (Manipur Violence) এহেন প্রবণতায় রাশ টানল মণিপুর সরকার। সাফ জানিয়ে দিল, জাতিগত সমীকরণের কথা ভেবে কোনও জায়গার নাম বদলানোর চেষ্টা হলে কারাদণ্ড হতে পারে তিন বছর পর্যন্ত। দু লাখ টাকা জরিমানাও হতে পারে।

    বিধানসভায় পাশ নয়া বিল 

    এই মর্মে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সরকার। রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। বিলটির নাম ‘মণিপুর নেম অফ প্লেসেস বিল ২০২৪’। বিলটিতে (Manipur Violence) বলা হয়েছে, জাতিগত সমীকরণের প্রেক্ষিতে কোনও জায়গার সরকারি নাম বদলের চেষ্টা হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি-সহ দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।

    অশান্ত মণিপুর

    গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে গত বছর আচমকাই অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মণিপুরে একাধিক উপজাতির বাস। এর মধ্যে মূল দ্বন্দ্ব মেইতেইদের সঙ্গে কুকিদের। এ রাজ্যের জনসংখ্যার সিংহভাগই মেইতেই সম্প্রদায়ের। আর জো-কুকিরা রয়েছেন ৪০ শতাংশ। মেইতেইরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করেন জো-কুকি সহ অন্য জনগোষ্ঠীর মানুষ। গত বছর ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের মিছিলকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা।

    আরও পড়ুুন: ‘পুলিশ-প্রশাসন আমাদের কথা শোনে না’, দলীয় সভায় সুব্রত বক্সির কাছে নালিশ জেলা তৃণমূল নেতার

    তার পরে রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। এই মিছিলকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বাঁধে। যার জেরে খুন হন বহু মানুষ। জখমও হন বহু মানুষ। ভিটে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান লোকজন। পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীও নামানো হয়। তার পরেও মণিপুরে নেভেনি অশান্তির আগুন। জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি। পরে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে শান্তি ফেরে চিত্রাঙ্গদার দেশে। তার পরেই জাতিগত সমীকরণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বদলে ফেলা হচ্ছে গ্রামের নাম। মণিপুরবাসীর এই প্রবণতা রুখতেই নয়া বিল পাশ করল মণিপুর সরকার (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে আগ্নেয়াস্ত্র লুটের (Manipur Violence) ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। রবিবার মণিপুর প্রশাসনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। গত বছর বিষ্ণুপুরে পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে লুট হয়েছিল ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। অসমের গুয়াহাটিতে কামরূপ (মেট্রো) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সম্প্রতি ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে।

    কাদের নাম রয়েছে চার্জশিটে?

    চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, লইসরাম প্রেম সিং, খুমুকচাম ধীরেন ওরফে থাপকপা, মৈরাঙথেম আনন্দ সিং, এথোকপাম কাজিত ওরফে কিশোরজিৎ, লৌক্রাকপাম মাইকেল মাংগাংছা ওরফে মাইকেল, কনথৌজাম রোমোজিৎ মেইতেই ওরফে রোমোজিৎ এবং কেইশাম জনসন ওরফে জনসন। গোষ্ঠী হিংসার জেরে (Manipur Violence) গত বছর হঠাৎই অশান্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি। খুন হন বহু মানুষ। সন্দেহের চোখে কোনও গৃহস্থ দেখতে থাকেন বহু চেনা তাঁর প্রতিবেশীটিকেও।

    পুরানো সেই দিনের কথা

    অশান্তির আশঙ্কায় ভিটে ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন অনেকে। হামলা হয় পুলিশের ওপরও। গত অগাস্টের তিন তারিখে তিনশোরও বেশি অস্ত্র লুট করে জনতা। ১৯ হাজার ৮০০ রাউন্ড গুলি এবং অন্যান্য যুদ্ধ-সরঞ্জাম লুট হয়। বিষ্ণুপুরে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়েনের সদর দফতরের দুটি ঘরে রাখা ওই অস্ত্রশস্ত্রগুলি লুঠ হয়ে যায়। বিভিন্ন ক্যালিবারের প্রায় ৯ হাজার বুলেটও খোয়া যায়। লুঠ হয়ে যায় (Manipur Violence) একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি ঘটক রাইফেল, ১৯৫টি সেল্ফলোডিং রাইফেল, পাঁচটি এমপি-ফাইভ বন্দুক, ১৬.৯ এমএম পিস্তল, ২৫টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ২১টি কার্বাইন এবং ১২৪টি হ্যান্ড গ্রেনেডও।

    আরও পড়ুুন: “৪০০ আসনে জিতবে বিজেপি”, প্রার্থী হয়েই বললেন রবি কিষান

    জানা গিয়েছে, উপজাতির লোকজন গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃতদের গণকবর দেওয়ার আয়োজন করেছিল চূড়াচাঁদপুরে। মে মাসের তিন তারিখে গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি হয়েছিলেন এঁরা। সেদিনের ওই সংঘর্ষে খুন হয়েছিলেন ২১৯জন। জখম হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা। তাতে আপত্তি জানায় জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। সংঘর্ষের সূত্রপাত সেখান থেকেই। যার জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে চিত্রাঙ্গদার দেশ। প্রসঙ্গত, মণিপুরের জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের। এঁরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। আর পাহাড়ি এলাকায় বাস করেন নাগা এবং কুকিরা। মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এঁরাই (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Smriti Irani: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    Smriti Irani: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। তাঁর সাফ কথা, সন্দেশখালিতে যে অরাজকতা হয়েছে, তা আদতে রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “সন্দেশখালিতে মহিলারা মিডিয়ার কাছে তাঁদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তৃণমূলের গুন্ডারা প্রতিটি ঘরে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের নিশানা করত। মমতার গুন্ডারা প্রতি রাতে মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেত বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মহিলারা।” স্মৃতি (Smriti Irani) বলেন, “এই মহিলাদের বক্তব্যগুলি শুনুন, মহিলাদের বাড়িতে এসে চিহ্নিত করে যেত তৃণমূলের গুন্ডারা। এরা সকলেই শেখ শাহজাহানের লোক। বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা মেয়েদের ধর্ষণ করছে। এ সবই হয়েছে সরকার ও প্রশাসনের মদতে।”

    অন্ধের রাজত্ব

    তিনি বলেন, বাংলায় অন্ধের রাজত্ব চলছে। মহিলারা বলছেন, এসবই হত পুলিশের সামনে। এরা সবাই শেখ শাহজাহানের লোক। রাজ্য সরকার বা প্রশাসন কোনও কাজ করছে না। আর বিধানসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে বিরোধী দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারের শিকার মহিলারা। তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা সাহায্য ও নিরাপত্তার জন্য চিৎকার করছেন।”

    তৃণমূলের গুন্ডাদের কীর্তি!

    স্মৃতি বলেন, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা দেখে আসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম। তাঁদের স্বামীদের বলা হয়েছে, তুমি স্বামী হতে পার, কিন্তু তোমার কোনও অধিকার নেই। মহিলারা বলছেন, নিয়ে চলে যাবে রাতের পর রাত। যতক্ষণ তাদের মন না ভরবে, ততক্ষণ তোমার রেহাই নেই।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিতে হবে শাহজাহান কোথায়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি রাজনৈতিক লাভের জন্য তফশিলি জাতি, মৎস্যজীবী পরিবার, কৃষক সম্প্রদায় ও তাঁদের মহিলাদের সম্মান নষ্ট করেছেন।”

    সন্দেশখালিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “এখন সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যাতে মহিলারা জমায়েত করতে না পারেন এবং কথা বলতে না পারেন।” তাঁর (Smriti Irani) প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন তৃণমূলের গুন্ডাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করতে দিলেন, যাতে মহিলাদের ধর্ষণ করে লাগাতার ধর্ষণ করা যায়?”

    আরও পড়ুুন: ছোট হচ্ছে ইন্ডি জোটের ‘পিন্ডি’, আড়েবহরে বাড়ছে এনডিএ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haldwani Violence: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি

    Haldwani Violence: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের হিংসার পর কেটে গিয়েছে আরও দুদিন। এখনও থমথমে উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি এলাকা (Haldwani Violence)। ফের অশান্তির আশঙ্কায় কাঁটা বনভুলপুরার বাসিন্দারা। ভয়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ভিটে ছাড়ছেন অনেকে। যাঁদের সে উপায় নেই, তাঁরা রয়েছেন ঘরে সিঁটিয়ে।

    গ্রেফতার ৩০

    হিংসার ঘটনায় রবিবার বিকেল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ জনকে। এদিকে, রাজ্য সরকারের তরফে আরও মিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। বনভুলপুরা এলাকায় এখনও জারি রয়েছে কারফিউ। কয়েকটি এলাকায় দোকানদানি খুলেছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও মিলছে। ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। রবিবার তিনি (Haldwani Violence) বলেন, “দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হলদোয়ানিতে দুষ্কৃতীরা মহিলা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করেছে। দুর্ব্যবহার করেছে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গেও। দুষ্কৃতীরা তাঁদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল। দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করতে দেওয়া হবে না কোনওভাবেই। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    হিংসার নেপথ্যে

    প্রসঙ্গত, হলদোয়ানিতে সরকারি জমি দখল করে মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করার অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলি তুলে দিতে পদক্ষেপ করেছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। ওই মাদ্রাসা ও মসজিদকে বেআইনি নির্মাণ বলে ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। এর পরেই আদালতের নির্দেশে ওই নির্মাণ দুটি ভাঙতে যায় পুলিশ-প্রশাসন। তখনই ছড়ায় হিংসা। পুলিশের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়দের একটা বড় অংশ। পুলিশকর্মী, পুরসভার কর্মীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। হামলায় জখম হয়েছেন পুলিশের কয়েকজন কর্মী। জখম হয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাইক এবং গাড়িতে।

    আরও পড়ুুন: সুবক্তা, দলের একনিষ্ঠ সৈনিক শমীক ভট্টাচার্যকেই রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বিজেপি

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী। দেরাদুন, হরিদ্বার ও উধম সিংহ নগরেও ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নজরদারির। গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। প্রশাসন জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। দোষীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ভয়ে ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যাচ্ছেন স্থানীয়দের অনেকেই। ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবারই হলদোয়ানি এলাকায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা পুলিশ আধিকারিক সহ যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন (Haldwani Violence) তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্তির আগুন, গুলি চলল মণিপুরে, উদ্ধার ১৩ লাশ  

    Manipur Violence: ফের অশান্তির আগুন, গুলি চলল মণিপুরে, উদ্ধার ১৩ লাশ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে (Manipur Violence)। হিংসার শিকার কমপক্ষে ১৩ জন। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে টেংনুপাল জেলার সাইবোলের কাছে লেইথু গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে সংঘর্ষ বাঁধে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর। এলোপাথাড়ি চলে গুলি। ঘটনাস্থল থেকে তখন নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন ১০ কিলোমিটার দূরে।

    হিংসার বলি ১৩

    খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসেন রক্ষীরা। ততক্ষণে পড়ে গিয়েছে ১৩টি লাশ। জানা গিয়েছে, যাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা কেউই লেইথু কিংবা আশপাশ এলাকার নন। সম্ভবত অন্য জায়গা থেকে এসেছিলেন। মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা কোন সম্প্রদায়ের, তাও জানা যায়নি। মণিপুর পুলিশের এক কর্তার কথায়, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারাই তদন্ত করবে বিষয়টি।” নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে (Manipur Violence) খবর, যে এলাকায় এদিন দেহ উদ্ধার হয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে সেখানে হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তাই ঠিক কী কারণে এখানে জ্বলল অশান্তির আগুন, তা নিয়ে ধন্দে বাহিনীর একাংশও। মাত্র এক দিন আগেই মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছিল মণিপুরের বিস্তীর্ণ অংশে। তার পরেই ফের জ্বলল হিংসার আগুন। যার বলি হলেন অন্তত ১৩ জন।

    ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছিল সরকার

    দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রবিবারই মণিপুরের কয়েকটি জায়গা বাদে সর্বত্র ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছিল সরকার। পরিষেবা চালু থাকার কথা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে। এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসব কথা বিবেচনা করেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল।” 

    আরও পড়ুুন: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    গত ৩ মে সংঘর্ষ শুরু হয় মণিপুরে। হিন্দু মেইতেইদের সঙ্গে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকিদের সংঘর্ষ বাঁধে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের বলি হয়েছেন ১৮০ জন। মেইতেইদের তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও। প্রসঙ্গত, মাত্র চারদিন আগেই কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় মণিপুরে সশস্ত্র সংগঠন ইউএনএলএফের। তার ঠিক চারদিন পরেই ফের সংঘর্ষ বাঁধায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিত্রাঙ্গদার দেশের বাসিন্দারা (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস ধরে চলার পর অবশেষে মণিপুরে (Manipur Violence) নিভেছে অশান্তির আগুন। এবার ব্যবস্থা নিতে শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেইতেইদের ন’টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তারা। চিত্রাঙ্গদার দেশের হিংসায় এই সংগঠনগুলি প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

    ইউএপিএ অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে। মণিপুরে মেইতেইরা সংখ্যাগুরু। অভিযোগ, এদেরই ন’টি সংগঠন প্রত্যক্ষভাবে হিংসায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ। যে সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি (Manipur Violence) হল, জঙ্গিগোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মির রাজনৈতিক শাখা রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাকের সশস্ত্র শাখা রেড আর্মি এবং কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র শাখা কাংলেইপাক রেড আর্মি।

    আগেই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মণিপুরে যে সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “মণিপুরের ঘটনা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মণিপুরের ঘটনায় অনেকেই তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার এক যোগে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “অদূর ভবিষ্যতে মণিপুরে উঠবে শান্তির সূর্য, মণিপুর আবার এগিয়ে যাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে, এই সংসদ সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে সমাধান করব। শান্তি স্থাপন হবেই।”

    আরও পড়ুুন: জে পি নাড্ডার নাম করে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা!

    গত ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরে’র কর্মসূচিকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তার জেরেই শুরু হয় মেইতেই-কুকি সংঘর্ষ। মেইতেইরা হিন্দু। আর কুকি সহ সেখানকার তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সিংহভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় (Manipur Violence) দু’শোজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর হিংসায় (Manipur Violence) আরও ন’টি মামলার তদন্তভার বর্তাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানান, সব মিলিয়ে ১৭টি মামলার তদন্তভার পেল সিবিআই। তবে এই ১৭টি মামলায়ই সীমাবদ্ধ থাকবে না সিবিআই, আরও বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তভারও পেতে পারে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। মহিলাদের প্রতি অপরাধ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে সিবিআইকে। মণিপুরে সিবিআইয়ের হাতে যে আটটি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুটি মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। আধিকারিকরা জানান, এর ওপর আরও ন’টি মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাঁরা জানান, চূড়াচাঁদপুর জেলায় যৌন নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে তাঁদের হাতে।

    চিত্রাঙ্গদার দেশে সিবিআই

    মণিপুরে (Manipur Violence) ঘটনার তদন্ত করাটা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কাছে খুবই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চিত্রাঙ্গদার দেশে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার শেকড় মূলত দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গভীরে। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে যাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে, তাই তদন্ত করতে গিয়ে আধিকারিকদের পা ফেলতে হচ্ছে সাবধানে। তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে, পরীক্ষার জন্য সেগুলি পাঠানো হবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। মহিলা সংক্রান্ত যেসব মামলার তদন্তে নেমেছে সিবিআই, সেগুলিতে মহিলা আধিকারিকদের কাজে লাগানো হয়েছে। নির্যাতিত মহিলাদের বয়ান রেকর্ড এবং প্রশ্ন করার জন্যও কাজে লাগানো হচ্ছে ওই মহিলা আধিকারিকদের।

    আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ৩ মে হিংসা শুরু হয় মণিপুরে (Manipur Violence)। মেইতেই এবং কুকিদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয় উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্য। হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। জখমও হয়েছেন কয়েকশো। দীর্ঘদিন ধরে তফশিলি জাতির দাবি জানিয়ে আসছেন মেইতেইরা। এই নিয়েই শুরু হয় সংঘর্ষ। এদিকে, দোরগোড়ায় স্বাধীনতা দিবস। তার আগে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল মণিপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, উপদ্রুত অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলা-বারুদ। স্বাধীনতা দিবসে বনধের ডাক দিয়েছে উপত্যকার কয়েকটি সংগঠন। এক আধিকারিক বলেন, শনিবার চূড়াচাঁদপুরে পিস গ্রাউন্ডে স্বাধীনতা দিবসের রিহার্সাল হয়েছে। অংশ নিয়েছিল বিএসএফ, পুলিশ এবং অসম রাইফেলস।

    আরও পড়ুুন: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, দেওয়ালে ভারত-বিরোধী পোস্টার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share