Tag: vladimir putin

vladimir putin

  • Doval meets Putin: মোদির তৈরি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি ফর্মুলা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    Doval meets Putin: মোদির তৈরি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি ফর্মুলা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর ‘নীল নকশা’ তুলে দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক চলছে রাশিয়ায়। বৃহস্পতিবার, তারই ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করলেন ডোভাল। সূত্রের খবর, ডোভালের এই রুশ সফরের লক্ষ্যই হল রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শান্তি ফর্মুলা নিয়েই তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    মোদির অপেক্ষায় পুতিন

    ভারতে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুতিন ও ডোভালের বৈঠকের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ঠিক কী কী কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে তা বিশদে জানা না গেলেও সূত্রের খবর, পুতিন জানিয়েছেন যে, তিনি এবছরের শেষে কাজানে হতে চলা ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। বৈঠকের ফাঁকেই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেগুলির বাস্তবায়নের কাজ কতদূর এগলো তা খতিয়ে দেখা  এবং ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করা হবে অক্টোবরের ওই বৈঠকে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। পুতিনকে উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, “আমরা আমাদের ভালো বন্ধু নরেন্দ্র মোদির জন্য অপেক্ষা করছি এবং তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।” শুধু পুতিনের সঙ্গেই নয়, গত বুধবার সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সার্গেই শোইগুর সঙ্গে বৈঠক করেন অজিত ডোভাল। ‘পারস্পরিক স্বার্থের’ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দুজনে আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    ভারতের কূটনৈতিক জয়

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইউক্রেন সফরের আড়াই সপ্তাহ পর রাশিয়া সফরে গিয়েছেন অজিত ডোভাল। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই দেশকে একসঙ্গে বসতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ভারত এই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের মতে, মোদির পরামর্শে যদি আলোচনায় বসে ইউক্রেন ও রাশিয়া তাহলে তা বিরাট কূটনৈতিক জয় হবে ভারতের। কারণ পুতিনের সঙ্গে মোদির সখ্যের কথা কারও অজানা নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে বার্তা মাসখানেক আগে তিনি দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে, সেই একই মন্ত্র তিনি দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকেও। ভলোদিমির জেলেনস্কিকে (Volodymyr Zelenskyy) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বললেন, “যুদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না।”

    শান্তির ললিত বাণী (PM Modi)

    পোল্যান্ড সফর সেরে মোদি গিয়েছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে। সেখানেই বুদ্ধের দেশের প্রতিনিধি আরও একবার বিশ্বকে শোনালেন শান্তির ললিত বাণী। বললেন, “যুদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। সমাধান পেতে হবে মুখোমুখি কথাবার্তা ও কূটনীতির মাধ্যমে। যুদ্ধ করে সময় নষ্ট না করে আমাদের তাই উচিত সেই পথে হাঁটা।” শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে একথা বলছেন, তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে মাসখানেক আগে রাশিয়া সফরে গিয়েও মোদি পুতিনের কানে দিয়েছিলেন এই ‘শান্তি-মন্ত্র’।

    ‘যুদ্ধক্ষেত্রে এখন সমাধান মেলে না’

    তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মস্কো (রাশিয়ার রাজধানী)-কিয়েভের (ইউক্রেনের রাজধানী) এহেন যুদ্ধের আবহেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বরাবর যুদ্ধ থেকে দূরে থেকেছি। কিন্তু তার মানে আমরা নিরপেক্ষ নই। আমরা শান্তির পক্ষে। আমরা বুদ্ধ এবং মহাত্মা গান্ধীর দেশের মানুষ। আমি এখানে শান্তির বার্তা নিয়েই এসেছি।” তিনি বলেন, “আমি পুতিনের মুখের ওপর বলেছিলাম, এটা যুদ্ধের সময় নয়। যুদ্ধক্ষেত্রে এখন সমাধান পাওয়া সম্ভব নয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাকে আশ্বস্ত করে বলছি, শান্তি স্থাপনের জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিতে ভারত প্রস্তুত। আমি যদি এখানে ব্যক্তিগতভাবে কোনও ভূমিকা নিতে পারি, তা-ও করব। আমি বন্ধু হিসেবে আপনাকে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের একটি শিশু হাসপাতালে রাশিয়ার হানায় মৃত শিশুদের আত্মার শান্তি কামনা করেন মোদি (PM Modi)। পরে বলেন, “যুদ্ধের বলি হয়েছে নিষ্পাপ শিশুরা, এটা হৃদয়বিদারক। মানবিকতায় বিশ্বাসী কোনও ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনা মেনে নিতে পারেন না।”

    পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদির সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘণ্টা তিনেক বৈঠক শেষে সেই তিনিই খুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “একটি ইতিহাস তৈরি হল। ইউক্রেনের স্বাধীনতার পর এই প্রথম এ দেশে পা রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেনের (Volodymyr Zelenskyy) জাতীয় সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে ভারত (PM Modi)। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ‘পুতিন’, কমলা হলেন ‘ট্রাম্প’! কী বললেন বাইডেন?

    Joe Biden: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ‘পুতিন’, কমলা হলেন ‘ট্রাম্প’! কী বললেন বাইডেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার বক্তব্য-বিভ্রাট বাইডেনের (Joe Biden)। ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ‘পুতিন’ বলে ডাকলেন। আবার কথায় কথায় কমলা হ্যারিসের কথা বলতে গিয়ে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্টকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বানিয়ে দিলেন। স্বভাবতই মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) বাইডেনের শারীরিক সক্ষমতা, বয়স নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    জেলেনস্কি হলেন ‘পুতিন’

    আমেরিকায় নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক চলছে। বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকেই বক্তব্য রাখতে ওঠেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (US President) জো বাইডেন (Joe Biden)। তাঁর পরের বক্তা ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। বাইডেনকে বলতে শোনা যায়, “আমি এ বার মঞ্চ ছেড়ে দিতে চাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে। যাঁর আছে সাহস, আছে কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা। আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে স্বাগত জানাচ্ছি।” নেটোর বৈঠকে পুতিন এলেন কোথা থেকে, তা ভেবেই হতচকিত হয়ে যায় বৈঠকে উপস্থিত অতিথিরা। অপ্রস্তুত দেখায় জেলেনস্কিকেও। ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে তা সংশোধন করে নেন বাইডেনও। বলেন, “জেলেনস্কি পুতিনকে হারাবেন।”

    হ্যারিস হলেন ‘ট্রাম্প’

    শুধু একবারই নয়, বাইডেন (Joe Biden) আরও একবার মুখ ফস্কান। ওই বৈঠকেই। তিনি বলেন, “দেখুন, আমি ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করতামই না, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য না হতেন।” বাইডেন যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন দর্শকাসনে বসে আমেরিকার শীর্ষ পদাধিকারীরা। অনেকেই মনে করছেন, দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে গুলিয়েছেন বাইডেন।

    আরও পড়ুন: বাজেটের আগে বিশেষ বৈঠক, অর্থনীতিবিদদের থেকে পরামর্শ নিলেন মোদি

    পরপর ভুল বাইডেনের (Joe Biden)

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ‘ভুল’ করেছেন জো বাইডেন (Joe Biden)। সাক্ষাৎকার থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডিবেটে জড়িয়েছে তাঁর কথা। এরই মাঝে কয়েকদিন আগেই এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে হোয়াই হাউজে এসেছিলেন পার্কিনসন রোগ বিশেষজ্ঞ। এই আবহে বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরও জল্পনা বেড়েছে। এরই মাঝে এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ‘হোঁচট’ খেলেন বাইডেন। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রচারে দাঁড়িয়ে বাইডেন বলেন, ‘২০২০ সালে ট্রাম্পকে আবারও হারাব’। আর তাঁর সেই মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া কথা নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। বাইডেনের পরপর ‘হোঁচট’ দেখে ইতিমধ্যেই ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী বদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন বাইডেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi In Russia: ভারতে আরও ৬টি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র গড়বে রাশিয়া!

    PM Modi In Russia: ভারতে আরও ৬টি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র গড়বে রাশিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে পারমাণবিক শক্তিতে (nuclear power units) সমৃদ্ধ করতে চায় রাশিয়া! অন্তত এমনই ইঙ্গিত মিলল মঙ্গলবার, রাশিয়ান স্টেট নিউক্লিয়ার এনার্জি কোম্পানি রোসাটমের কথায়। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতে আরও ছ’টি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে তারা। সোমবারই দু’দিনের সফরে রাশিয়ায় গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In Russia)।

    পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার (PM Modi In Russia)

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণেই রাশিয়ায় গিয়েছেন মোদি। সেখানে মোদি-পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। এই বৈঠকেই সস্তায় শক্তি সরবরাহ রবহার এবং অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। লো-কার্বন শক্তির উৎস হিসেবে বিশ্বে ক্রমেই বাড়ছে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার। ২০২৯ সালের মধ্যে এর ব্যবহার আরও বাড়বে। ইউরেনিয়ামের চেয়েও সস্তা হওয়ায় তামাম বিশ্ব ঝুঁকছে পারমাণবিক শক্তির দিকে।

    ভারতে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে দুটি ইউনিট

    মোদির এই সফর ভারত-রাশিয়ার ২২তম শীর্ষ সম্মেলন। ১৯তম দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে স্বাক্ষরিত চুক্তি মোতাবেক ২০১৮ সালেই ভারতে ছ’টি নয়া পারমাণবিক কেন্দ্র (PM Modi In Russia) নিয়ে চলছে আলোচনা। ভারতকে ১০০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন মডিউলার রিঅ্যাক্টর দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে পুতিনের দেশ। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সাহায্য করছে রাশিয়া। ভারতে প্রথম দু’টি ইউনিট চালু হয় যথাক্রমে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে। দু’টি কেন্দ্রই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। শেষের পথে আরও দু’টি ইউনিট নির্মাণের কাজ। ২০২১ সালেও শুরু হয়েছে আরও দু’টি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ।

    আর পড়ুন: ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে ঘুরছে পাকিস্তান, অথচ ভিক্ষুকদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত!

    ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগেই বলেছিলেন, “কুদানকুলাম পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিট এক এবং দুই ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে। ইউনিট তিন এবং ছয়ের কাজও চলছে জোরকদমে।” তিনি বলেন, “ভারতের শক্তি সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়া বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।” প্রসঙ্গত, ২০২২ ও ২০২৩ সালে রাসাটম কুদানকুলামে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করেছিল। তবে শক্তির জন্য ভারত কেবল রাশিয়ার ওপরই নির্ভর করে (nuclear power units) নেই। জ্বালানি সংগ্রহের জন্য নয়াদিল্লি স্পট চুক্তি করেছে কাজাখস্তান, ফ্রান্স, উজবেকিস্তান এবং কানাডার সঙ্গেও (PM Modi In Russia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi In Russia: গাড়ি চালাচ্ছেন পুতিন, সওয়ার মোদি, রাশিয়ায় ‘দুই হুজুরের গপ্পো’

    PM Modi In Russia: গাড়ি চালাচ্ছেন পুতিন, সওয়ার মোদি, রাশিয়ায় ‘দুই হুজুরের গপ্পো’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট্ট একটা ইলেকট্রিক গাড়ি। চালকের আসনে বসে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর পাশে বসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi In Russia)। বিদ্যুৎচালিত এই গাড়িতে করেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর বাসভবনের চতুর্দিক ঘুরিয়ে দেখালেন পুতিন। রাশিয়ার এক সাংবাদিক এক্স হ্যান্ডেলে ছবিটি পোস্ট করায় যে বিরল দৃশ্যের সাক্ষী রইল দুনিয়া।

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক (PM Modi In Russia)

    তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই রুশ প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে দুদিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন মোদি। সোমবার তাঁর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তার পরেই মোদিকে নিয়ে পুতিন বেরিয়ে পড়েন ‘হাওয়া খেতে’। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে পুতিন-মোদির এই ছোট্ট ছবির ব্যাপ্তি বড় বিশাল। কারণ এই যুদ্ধের কারণেই আমেরিকা এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ প্রায় একঘরে করে রেখেছে রাশিয়াকে। ভারতও গত কয়েক বছর ধরে এড়িয়ে চলছিল পুতিনের দেশকে। তার পর ভারতের গঙ্গা এবং রাশিয়ার মস্কোভা নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার জেরে ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ মাখামাখি করতে প্রকারান্তরে না বলেছিল আমেরিকা। মার্কিন সেই ‘চোখ রাঙানি’ উপেক্ষা করেই মোদির রাশিয়া সফর এবং একই গাড়িতে করে পুতিন-মোদির ‘বায়ুসেবন’।

    ‘দুই হুজুরের গপ্পো’

    রুশ সাংবাদিকের পোস্ট করা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ধীর গতিতে বিদ্যুৎচালিত গাড়িটি চালাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। কথা বলছেন মোদির সঙ্গে (PM Modi In Russia)। প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘুরিয়ে দেখানোর সময় এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে দেন পুতিন। নেমে পড়েন দুজন। তার পরেই দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে দেখা গেল খোশমেজাজে গল্প করতে। অন্য সময় দোভাষীর সাহায্যে বার্তালাপ করেন মোদি-পুতিন। এবার দেখা গেল, ভাষার বেড়াজাল ভেঙেই দিব্যি চলছে ‘দুই হুজুরের গপ্পো’।

    আর পড়ুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাই প্রধান ইস্যু আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে?

    এই ‘বায়ুসেবনে’র আগেই হয়ে গিয়েছে মোদির সম্মানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দেওয়া ভোজসভা। সেখানে নানা বিষয়ের মধ্যেও উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও। সূত্রের খবর, সেখানে পুতিনকে মোদি জানান, রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাতিষ্ঠানিক চুক্তিকে সম্মান করে ভারত। বিশ্বাস করে প্রাদেশিক ঐক্য এবং সার্বভৌমত্বেও। সেই ভাবনা থেকেই তিনি মনে করেন, যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। পুতিনকে (Vladimir Putin) মোদি পইপই করে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, আলোচনা ও কূটনীতিই এ ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দিতে পারে, যুদ্ধ নৈব নৈব চ (PM Modi In Russia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

  • PM Modi: অস্ট্রিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? কী কী বিষয়ে আলোচনা?

    PM Modi: অস্ট্রিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? কী কী বিষয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া সফরের মাঝেই দু’দিনের অস্ট্রিয়া (Vienna) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৯ জুলাই, মঙ্গলবার ভিয়েনায় যাবেন তিনি। সেখানে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার ভ্যান ডার বেলেন এবং চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই ভারত এবং অস্ট্রিয়ার ব্যবসায়ী নেতাদের সামনে ভাষণ দেবেন। প্রসঙ্গত, গত ৪০ বছর পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পা রাখছেন ভিয়েনায়। মোদির আগে এই দেশে পা রেখেছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, ১৯৮৩ সালে।

    দ্বিপাক্ষিক আলোচনা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর অস্ট্রিয়া সফরের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা জানান, অস্ট্রিয়া মধ্য ইউরোপের একটি দেশ। পরিকাঠামো, পুনর্নবীকরণ শক্তি, উচ্চ প্রযুক্তি ক্ষেত্র, স্টার্ট আপ সেক্টর, মিডিয়া এবং এন্টারটেনমেন্ট ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে। ভারত-অস্ট্রিয়া বাণিজ্য এবং লগ্নি-লিঙ্কেজের ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। কাটরা বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা আশাবাদী। আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। মিউচুয়াল ইন্টারেস্ট এবং অংশীদারিত্বের সুযোগ কীভাবে আরও প্রসারিত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে দুই দেশের।”

    ভারত-অস্ট্রিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বর্ষ পূর্তি

    সোমবারই রাশিয়া সরকারের আমন্ত্রণে মস্কোয় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই রাতেই তাঁর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মোদি-পুতিনের এই সাক্ষাৎকার ছিল ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলন শেষেই অস্ট্রিয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। চলতি বছর ভারত-অস্ট্রিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বর্ষ পূর্তি। ১৯৫৫ সালে অস্ট্রিয়ায় প্রথম পা রাখেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরু। তবে প্রধানমন্ত্রী না গেলেও, বিভিন্ন সময় ভারতের রাষ্ট্রপতিরা গিয়েছেন অস্ট্রিয়া সফরে।

    আর পড়ুন: বিপত্তারিণী পুজোয় তেরো সংখ্যার বিশেষ তাৎপর্য আছে, কেন জানেন?

    ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর এই চারদিনের সফরে পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে। অস্ট্রিয়া সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “অস্ট্রিয়ার চান্সেলরের সঙ্গে একযোগে আমি পারস্পরিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। অস্ট্রিয়ায় (Vienna) বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে আমি উন্মুখ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘ভারতবাসীর হিতে সময় নষ্ট না করে আপনি সিদ্ধান্ত নেন’’, মোদির প্রশংসায় পুতিন

    PM Modi: ‘‘ভারতবাসীর হিতে সময় নষ্ট না করে আপনি সিদ্ধান্ত নেন’’, মোদির প্রশংসায় পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উন্নতিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ সেকারণেই দেশের জনগণ তাঁকে ফের নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন৷ এমনই অভিমত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য সোমবার মস্কো পৌঁছেছেন মোদি৷ বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্তুরভ। এদিন নিজের সরকারি বাসভবন নভো-ওগারিওভোতে মোদিকে একান্ত নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান পুতিন (Vladimir Putin)৷ সেখানেই দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ একান্তে আলোচনা হয়।

    মোদি-পুতিন আলাপ (Modi-Putin Meeting)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সম্মানে সোমবার নৈশভোজের আয়োজন করেনরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। সেখানে ভারতে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে৷ সেই প্রসঙ্গে পুতিন জানান, দেশের স্বার্থে নিজের পুরো জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ দেশের মানুষ সেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন৷ পুতিন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন৷ তবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই ৷ আপনার দীর্ঘ কয়েক বছরের কাজের ফলস্বরূপ দেশের জনগণ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনি একজন অত্যন্ত কর্মঠ ব্যক্তি৷ আপনার নিজস্ব কিছু ধারণা এবং মতামত রয়েছে৷ ভারত তথা ভারতবাসীর হিতে আপনি সময় নষ্ট না করে যেকোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ৷’’

    মোদির বার্তা

    রাশিয়া পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘আগামিকাল দু’দেশের আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি ৷ আমার বিশ্বাস এই আলোচনার মাধ্যমে ভারত ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’’ এদিনের একান্ত সাক্ষাৎকারকে ‘‘দুই ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত বন্ধুর বৈঠক’’ বলে উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রক৷ প্রসঙ্গত, গত এক দশকে এটি ছিল মোদি এবং পুতিনের ১৭তম বৈঠক। যদিও ২০১৫ সালের পর এই প্রথম আবার মস্কোয় গেলেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মোদীর দু’দিনের এই রাশিয়া সফরে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা। মঙ্গলে ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন দুই রাষ্ট্রনেতা।

    শঙ্কিত চিন ও পশ্চিম বিশ্ব

    ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্ব নিয়ে শঙ্কিত চিন। এশিয়ার মাটিতে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্ক ভালো চোখে দেখে না বেজিং। অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মোদির-রাশিয়া (PM Modi) সফর মেনে নিতে পারছে না পশ্চিম দুনিয়াও। রাশিয়ার মাটিতে পা রাখার পরে এক্স হ্যান্ডলে মোদি লেখেন, ‘‘আমরা দু’দেশের মধ্যে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারি আরও গভীর করার জন্য উন্মুখ। বিশেষত, ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্রে।’’ এদিন রাশিয়াই প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: আজ রাশিয়া যাচ্ছেন মোদি, ‘‘ওরা হিংসায় জ্বলছে’’, পশ্চিমকে কটাক্ষ ক্রেমলিনের

    PM Modi: আজ রাশিয়া যাচ্ছেন মোদি, ‘‘ওরা হিংসায় জ্বলছে’’, পশ্চিমকে কটাক্ষ ক্রেমলিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ বছর পর ফের রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, সোমবারই দুই দিনের সফরে মস্কো উড়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ জুলাই সেখান থেকে দেশে ফিরবেন তিনি। ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও সারবেন মোদি। 

    মোদি-পুতিন আলোচনা (PM Modi)

    ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ব্যবসায়িক সম্পর্ক সুমধুর। তেল, কয়লা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম, রাশিয়া থেকে আমদানি করে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে মস্কোয় দু’দেশের বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সম্ভবনা রয়েছে৷ এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ তিনি বলেন, “বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার মতো কিছু সমস্যা আছে৷ সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের একে অপরের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ।” বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে প্রতিরক্ষা সমঝোতার বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে মোদি-পুতিনের আলোচনায়।

    মোদির সফর প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (PM Modi)

    জয়শঙ্কর গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ায় তাঁর শেষ সফরের কথাও এক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি বলেন, “গত বছরের শেষের দিকে আমি মস্কো গিয়েছিলাম৷ সেই সময়ে, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি বার্তা নিয়ে গিয়েছিলাম যে আমরা বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷” তিনি আরও যোগ করেছেন, বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন একটি নিয়মিত ঘটনা ৷ ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী৷

    আরও পড়ুন: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব

    ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে মোদিকে (PM Modi) রাশিয়া যেতে দেখা যায়নি। সে দিক থেকে এই সফর খুবই উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। আমেরিকার চোখরাঙানি থাকার পরেও রাশিয়ার সঙ্গে কখনওই বন্ধুত্ব নষ্ট করতে চায়নি ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করলেও রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে সে ভাবে সরব হয়নি ভারত। এমনকি, রাষ্ট্রপুঞ্জেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেনি দিল্লি। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই প্রথম রাশিয়া সফর মোদির৷ শেষবার ২০১৯ সালে রাশিয়া গিয়েছিলেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর রুশ সফর নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকোভ বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির এই সফর দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মস্কোয় মোদির অনুষ্ঠান সাড়া ফেলবে।’’

    মোদির সফর নিয়ে কী বলছে ক্রেমলিন

    এই আবহে মোদি-পুতিনের এই বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ক্রেমলিন। রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন প্রশাসনের এক মুখপাত্র দাবি করেন, পশ্চিমী দেশগুলি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর রুশ সফর নিয়ে ‘ঈর্ষান্বিত’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই মস্কো সফরকে তারা ‘ঈর্ষার চোখে দেখছে’। দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পূর্ণাঙ্গ সফরের প্রত্যাশা করছি। রুশ-ভারত সম্পর্কের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ওরা (পশ্চিমী দেশগুলি) হিংসায় জ্বলছে। ওরা খুব কড়াভাবে নজর রাখছে। এর অর্থ, এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে ওরা। ভুল কিছু করছে না। এটা অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়ার মতোই হতে চলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: বন্ধু মোদিকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট

    PM Modi: বন্ধু মোদিকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু মোদিকে (PM Modi) নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পাশাপাশি দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছেও রাশিয়া থেকে এসেছে শুভেচ্ছাবার্তা। এক বিশেষ বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী একাধিক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যেও ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক অটুট। এমনকী এই সম্পর্ক আরও নতুনভাবে মজবুত হয়েছে। গত কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বেড়েছে।’’ এর পাশাপাশি ওই শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ রয়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, যৌথ প্রকল্পেরও। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে আগামী দিনের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই শুভেচ্ছা বার্তায়। প্রসঙ্গত চলতি বছরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন বসে দিল্লিতে। এই শীর্ষ সম্মেলনেরও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে এবং এর জন্য ভারতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পুতিনের সাক্ষাৎ

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি তাঁর রাশিয়া সফরে দেখা করেন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সূত্রের খবর, সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন পুতিন এবং তাঁর পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় আক্ষেপও করেন তিনি। জানা গিয়েছে, নতুন বছরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মোদিকে রাশিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন পুতিন। প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। বুধবারই এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাফল্য কামনা করেন ভ্লাদিমির পুতিন।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী ভারত

    রাশিয়া ইউক্রেনের সমস্যায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। দুই দেশকেই আলোচনা করে সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে পুতিন জয়শঙ্করের সফরের সময় বলেন, ‘‘আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এই নিয়ে আমরা একসঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে দুই দেশেরই কোনও না কোনও সময়ে নানা সংকট ঘনিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল ঘটে গেল সেতু ধ্বংসের মতো ঘটনাও (Russia-Crimea Bridge Blast)। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের একমাত্র সেতু ছিল এটি। আর সেই সেতুতেই ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ ঘটার ফলে সেতুর একাধিক অংশ ধসে পড়ে। যার ফলে ফের একবার রাশিয়াকে বিপদের মুখে পড়তে হল। রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটিতে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণকে রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    ক্রিমিয়া এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র উপায় ১৯ কিলোমিটার লম্বা কের্চ সেতু (Kerch Bridge)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রুশ বাহিনীর কাছে রসদ, অস্ত্র, জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র পথ ছিল কের্চ সেতু। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই ব্রিজে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাশিয়ার যুদ্ধে এই আঘাতের ফলে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ও কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা জানতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন রুশ গোয়েন্দারা।

    গতকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই রাশিয়া প্রশাসন নড়েচড়ে বসছে। যুদ্ধের আবহে এই বিস্ফোরণকে (Russia-Crimea Bridge Blast) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সন্দেহের তির ইউক্রেনের দিকেই রয়েছে বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬ টা নাগাদ রাশিয়ান ডুবুরিদের কের্চ ব্রিজ পরিদর্শন করতে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন সেতুর ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশকে অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ফলে এই সেতু ফের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত করার জন্য যা যা করণীয়, তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার তরফে।

    অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণের (Russia-Crimea Bridge Blast) পিছনে ইউক্রেন রয়েছে বলে দাবি করলে, পুতিন তথা রাশিয়ার প্রশাসনের তরফে ইউক্রেনের উপর তার আক্রমণ বাড়ানোর ও প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মনে করা হয়েছে, এবার যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়াও ছিনিয়ে নিতে চাইছে ইউক্রেনীয় সেনা (Russia-Ukraine War)। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলকে নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। পরে গণভোটের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অঙ্গীভূতও করা হয়। এরপর যোগাযোগের জন্য সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে দুই লেনের এই সেতু উদ্বোধন করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

    তবে জানেন কি, একসময় ক্রিমিয়া (Crimea) রাশিয়ার (Russia) দখলে ছিল। যদিও এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র ছিল। কিন্তু প্রায় ৬০ বছর আগে রাশিয়া ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। ১৯৫৪ সালে ইউএসএসআর সুপ্রিম সোভিয়েতের প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান ক্লিমেন্ট ভোরোশিলভ এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেসময় ইউক্রেন-রাশিয়া ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতে একজোট হয়েছিলেন ও বাইরের শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। রাশিয়ার শত্রুদের থেকে ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতেই ইউক্রেনের কাছে এই উপদ্বীপকে হস্তান্তর করা হয়। যদিও মনে করা হয়, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্যই ক্লিমেন্টের এই পদক্ষেপ। কিন্তু পরে ফের রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলে নিলে রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং এখনও তা অব্যাহত।

LinkedIn
Share