Tag: vladimir putin

vladimir putin

  • PM Modi: পুতিনকে ফের ফোন মোদির, কী পরামর্শ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে?

    PM Modi: পুতিনকে ফের ফোন মোদির, কী পরামর্শ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা জয়ের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারের পর ফের বুধবার প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন পুতিনকে। ২০২৪ সালে ব্রিকসের সভাপতিত্ব করবে রাশিয়া। তাই প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

    পুতিনকে ফোন মোদির (PM Modi)

    চলতি বছর অক্টোবরে হবে ব্রিকস সম্মেলন। এই সম্মেলনে সভাপতিত্বের জন্য রাশিয়াকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিকস সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক একাধিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্র প্রধানের। পরে এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। লিখেছেন, “রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ফের নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আগামী দিনে ভারত-রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও প্রশস্ত করার বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে।” 

    ফোন জেলেনস্কিকেও 

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মোদি-পুতিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্বে আরও জোর দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এজন্য একটি রোডম্যাপ তৈরিতে সম্মতিও জানিয়েছেন মোদি-পুতিন। কেবল পুতিন নন, এদিন প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকেও।

    আরও পড়ুুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

    প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশই দুই দেশকে অগ্রাধিকার দেয়। আগামী বছরগুলিতে এই অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে রাজি হয়েছেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিতে কতটা অগ্রগতি ঘটেছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে মোদি ও পুতিনের। এদিন আরও একবার যুদ্ধের পথ থেকে সরে এসে আলোচনা ও কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান করার পরামর্শও পুতিনকে দেন মোদি। রুশ জনগণের শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধিও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই প্রধানমন্ত্রী পুতিনকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। তার পরেও বন্ধ হয়নি যুদ্ধ।

    এজন্য অবশ্য ফাটল ধরেনি ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে। যুদ্ধের আবহে যখন আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ রেখেছে, তখনও জাতীয় স্বার্থে পুতিনের দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে মোদির (PM Modi) ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Cancer Vaccine: ক্যান্সারের টিকা প্রায় তৈরি! চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপ্লবের দাবি রুশ প্রেসিডেন্টের

    Cancer Vaccine: ক্যান্সারের টিকা প্রায় তৈরি! চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপ্লবের দাবি রুশ প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সারের ভ্যাকসিন (Cancer Vaccine) তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে রাশিয়া, এমনই দাবি করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো ফোরামে বক্তৃতার সময় পুতিন বলেন, “নতুন প্রজন্মের ক্যান্সারের টিকা বানিয়েছি আমরা। ভ্যাকসিন তৈরি প্রায় শেষের দিকেই। আমরা আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।” তবে রাশিয়া কী ধরনের ভ্যাকসিন বানিয়েছে, কোন ধরনের ক্যান্সারের প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে তা অবশ্য বলেননি পুতিন।

    ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা

    দেশ-বিদেশে একাধিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ক্যান্সারের (Cancer Vaccine) চিকিৎসা নিয়ে নানান গবেষণা চালাচ্ছে। গত বছরেই, ব্রিটেনের সরকার, জার্মানির বায়োএনটেক নামের এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, ‘পার্সোনালাইসজ ক্যান্সার ট্রিটমেন্টের’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। যা ১০ হাজার রোগীর দেহে করা হবে। আর তা চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। বিশ্বের অন্য দুই ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাও পরীক্ষামূলক ভাবে ক্যান্সারের টিকা তৈরি করেছে, যা ত্বকের ক্যান্সারে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস-এর বিরুদ্ধে বর্তমানে ছ’টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত টিকা রয়েছে। এই ভাইরাস জরায়ুমুখের ক্যান্সার-সহ অনেক ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ। একই সঙ্গে হেপাটাইটিস বি-র টিকাও রয়েছে, যা যকৃতের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: উপচে পড়া ভিড়! ভারত-কাতার বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করতে দোহায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ভারতে গবেষণা

    ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের (Cancer Vaccine) নতুন ভ্যাকসিন আসছে যার নাম সার্ভাভ্যাক। এইচপিভি টাইপ ৬, ১১, ১৬ ও ১৮ প্রজাতিকে ঠেকাতে পারবে এই টিকা। ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীদের জন্য এই টিকার ২টি ডোজ আছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। আর ১৫ থেকে ২৬ বছর অবধি এই টিকার তিনটি ডোজ আছে। এবার ক্যান্সার ভ্যাকসিন তৈরির খুব কাছে রাশিয়াও। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় বিপ্লবের ইঙ্গিত দিলেন পুতিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির জন্য ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক ক্রমশ উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি এই মত প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশের স্বার্থে মোদির ‘কঠোর’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি।  সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে নিয়ে পুতিন বলেন, ‘ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক সবদিক দিয়েই আরও দৃঢ় হচ্ছে। এই নীতির সবথেকে বড় গ্যারান্টি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে।’

    কী বললেন পুতিন

    সম্প্রতি পুতিনের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রুশ নেতা হিন্দিতে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছেন। পুতিন নিজে অবশ্য হিন্দি বলেননি। রুশ ভাষায় তাঁর বলা কথাগুলি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়েছে। ওই ভিডিও-তেই মোদির নীতির প্রশংসা করেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, “সত্যি বলতে গেলে, ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তাঁর কঠোর অবস্থান দেখে মাঝে মাঝে আমি বিস্মিত হই।” তিনি জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তার ভিত্তিতেই তাঁর মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে বা ভয় দেখাতে পারে না। পুতিন বলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারি না যে মোদিকে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে ভারত ও ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা যেতে পারে। আমি জানি তাদের উপর এমন চাপ রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ভারত-রুশ সম্পর্কে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। তবে পশ্চিমী দেশগুলির চাপের মুখে মাথা নত করেনি মোদি সরকার। জ্বালানি তেল কেনা প্রসঙ্গে ভারত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, দেশের জনগণের স্বার্থে সস্তায় তেল পেলে, তা কেনা হবেই। এমনকী যুদ্ধের সমালোচনা করলেও রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটাভুটি থেকে ধারাবাহিক ভাবে বিরত থেকেছে ভারত। দিন কয়েক আগেই, ভারত-রুশ সম্পর্ক নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, এই সম্পর্ক ভারতকে অতীতে বহুবার বহু সমস্যা থেকে রক্ষা করেছে। এই আবহে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে ফের ভারত বন্দনা শোনা গেল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি-নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পুতিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vladimir Putin: “৭-৮টা সন্তান দিন রাশিয়ার মহিলারা”! কেন এরকম আর্জি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের?

    Vladimir Putin: “৭-৮টা সন্তান দিন রাশিয়ার মহিলারা”! কেন এরকম আর্জি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষত মেটাতে জনসংখ্যা বাড়ানোর কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। রাশিয়ার মহিলাদের কাছে পুতিনের আর্জি, ৮ বা তার বেশি সন্তান প্রসব করে রাশিয়ার জনসংখ্যা বাড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। বড় পরিবার আদর্শ পরিবার নীতিকে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মস্কোতে ওয়ার্ল্ড রুশ পিপলস কাউন্সিলের ভাষণে একথা বলেন পুতিন। 

    কেন এই আবেদন

    প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে রাশিয়ার জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি ৩ লক্ষের বেশি মানুষ হতাহতের শিকার হয়েছেন। এই অবস্থায় পুতিন (Vladimir Putin) বলেন, “আগামী দশকে আমাদের লক্ষ্য হবে রাশিয়ার জনসংখ্যা বাড়ানো। আমাদের অনেক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী চার, পাঁচ বা তারও বেশি সন্তান নিয়ে শক্তিশালী বহু-প্রজন্মের পরিবারের ঐতিহ্য রক্ষা করেছে৷ আমাদের ঠাকুমা বা তাঁর মায়েরা ৭-৮ জন সন্তানের জন্ম দিতেন। এখনও অনেক বাড়িতে ৪-৫টা সন্তান হয়। আসুন আমরা পরিবারের এই ট্র্যাডিশন বজায় রাখি। পরিবার তো শুধু সমাজ বা রাষ্ট্রের ভিত্তি নয়, এটা নৈতিকতা এবং দায়িত্ববোধের বিষয়।”

    আরও পড়ুুন: “ধনী দেশগুলির উচিত কার্বন নির্গমন পুরোপুরি কমানো”, দুবাইতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আর কী বললেন পুতিন

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের (Vladimir Putin) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাঁর বক্তব্য আপলোড করা হয়েছে। রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চের প্রধান প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন এবং রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই পুতিন বলেন,”প্রকৃত রুশ নাগরিক ছাড়া এই বিশ্বে রাশিয়ার কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। এটা নিজেদের উন্নততর জাত ভাবার বা শুদ্ধ রক্তের কোনও ব্যাপার নয়। রাশিয়ার সংবিধানেই বলা আছে, রুশ ভাষা আদতে একটা রাষ্ট্রগঠনের ভাষা। আর তাই রুশ নাগরিকত্ব জাতীয়তাবাদের থেকে অনেক বেশি কিছু।” রুশ প্রেসিডেন্ট জাতীয়তাবাদের কথা বললেও বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্লান্ত সেনা, বহু মানুষ দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাই জাতিকে রক্ষা করতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলছেন পুতিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vladimir Putin: বছর ঘুরলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রাশিয়ায়, ফের প্রার্থী হচ্ছেন পুতিন!

    Vladimir Putin: বছর ঘুরলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রাশিয়ায়, ফের প্রার্থী হচ্ছেন পুতিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্ধান্ত বদল করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)! আগে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের পর আর প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন না। তবে বর্তমানে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার এক সূত্রের খবর, সেই কারণেই সিদ্ধান্ত বদলেছেন পুতিন।

    জোসেফ স্তালিন

    রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ ছিল ৪ বছর। কোনও একজন পর পর টানা দুটো টার্ম থাকতে পারতেন রাষ্ট্রপতি পদে। তবে টানা ২৪ বছর ক্রেমলিনে ক্ষমতায় ছিলেন জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। টানা দু’ বারেরও বেশি যাতে প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যায় তাই একুশেই আইন বদলেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার আগেই অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ৬ বছর। যেহেতু বদলেছে আইন, তাই আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর কোনও বাধা রইল না পুতিনের সামনে।

    আইন বদল পুতিনের

    ২০০০ সালের মে মাস থেকে পর পর দু’টি টার্মে জিতে প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন পুতিন (Vladimir Putin)। যেহেতু দু’ বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যেত না, তাই অনুগত দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট পদে বসিয়ে পুতিন হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালের নির্বাচনে জিতে ফের হন প্রেসিডেন্ট। জয়ী হন ১৮-র নির্বাচনেও। তার পরেই পরিবর্তন করা হয় আইনে। নতুন বছরের মার্চ মাসে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। এই নির্বাচনেই লড়তে চাইছেন বছর একাত্তরের পুতিন। তবে এ ব্যাপারে এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন ক্রেমলিনের কর্তারা। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলেই, তা ঘোষণা করা হবে আনুষ্ঠানিকভাবে।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেককে তলব ইডি-র, বৃহস্পতিবারই হাজিরার নির্দেশ

    তবে পুতিন রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হলে তাঁর জয় যে নিশ্চিত, তা বলছে সে দেশের বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা। জানা গিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে রয়েছে রাশিয়ার ৮০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। প্রসঙ্গত, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এই আবহেই চলতি বছরের প্রথম দিকে শোনা গিয়েছিল অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে সেটা যে নিছকই জল্পনা ছিল, তার প্রমাণ মিলল প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসায়। জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে যাতে রাশিয়া হেরে না যায়, তাই এর শেষ দেখে ছাড়তে চান পুতিন। তাই তিনি বদলেছেন আগের সিদ্ধান্ত (Vladimir Putin)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    PM Modi: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে হয়ে গেল জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। আয়োজক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধানরা। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। একদম সঠিক কাজ করছেন তিনি। দেশে তৈরি গাড়ি ব্যবহার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই উদাহরণ তৈরি করেছে ভারত।” মঙ্গলবার দেশের বন্দর শহর ভ্লাদিভসতকে ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন পুতিন। সেখানেই তাঁর মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’

    দেশীয় পণ্যের ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করে পুতিন বলেন, “আগে আমাদের কাছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি গাড়ি ছিল না, এখন আমাদের কাছে রয়েছে। এটা সত্যি যে মার্সিডিজ বা অডি গাড়ির তুলনায় আমাদের তৈরি গাড়িগুলি অনেক শোভনীয় দেখতে। নয়ের দশকে আমরা অনেক গাড়ি কিনেছিলাম, কিন্তু এটা ইস্যু নয়। আমাদের বন্ধুদের দেখে শেখা উচিত। যেমন ভারত। ওরা দেশীয় প্রযুক্তিতে গাড়ি তৈরি ও তা ব্যবহারের ওপর নজর দিয়েছে। আমার মনে হয়, মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রচার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) একদম সঠিক কাজ করছেন। উনি একদম ঠিক।”

    আরও পড়ুুন: লুকিয়ে একা পর্ন ছবি দেখা কি দণ্ডনীয় অপরাধ? যুগান্তকারী মন্তব্য কেরল হাইকোর্টের

    তিনি বলেন, “আমাদের কাছে নিজস্ব তৈরি গাড়ি রয়েছে। আমাদের সেগুলি ব্যবহার করা উচিত। ওই গাড়িতে কোনও সমস্যা নেই। এতে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিক্রি বাড়বে। এমন একটা চেইন তৈরি করতে হবে, যাতে কোন শ্রেণির আধিকারিকরা কী ধরনের গাড়ি ব্যবহার করেন, তা জেনে সেই অনুযায়ী গাড়ি তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই গাড়ি কেনা নিয়ে একাধিক প্রস্তাবনা আনা হয়েছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের অটোমোবাইল সংস্থা রয়েছে। আর আমাদের সেই গাড়িগুলি ব্যবহার করা উচিত। এই পদক্ষেপের জন্য আমাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের সঙ্গে থাকা কোনও নীতির বিরোধিতা বা লঙ্ঘন করতে হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন ভ্লাদিমির পুতিনের, কী কথা হল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন ভ্লাদিমির পুতিনের, কী কথা হল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেপ্টেম্বরে ভারতে রয়েছে জি২০-র শীর্ষ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে পুতিন আসবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথাই জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের বদলে ওই সম্মলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভারভ।

    জি ২০ সম্মেলন

    ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে বসছে জি২০ সম্মেলন। জি২০-র সদস্যভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা আসছেন এই সম্মেলনে যোগ দিতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আসবেন। তবে আসবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞমহলের একাংশের মতে, যেহেতু ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি রয়েছে বিশ্বজুড়ে, তাই ভারতে আসতে পারছেন না তিনি।

    পুতিনের গরহাজিরার কারণ

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোদি টেলিফোনে জেনেছেন জি২০ সম্মেলনে পুতিন কেন হাজির হতে পারছেন না। নয়াদিল্লির প্রতি মস্কোর ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে জি ২০ সম্মেলনে পুতিনের গরহাজিরার কারণ হিসেবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেছিলেন, “সে সময় জরুরি সামরিক সক্রিয়তার কারণেই প্রেসিডেন্ট পুতিন শারীরিকভাবে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে হাজির থাকতে পারবেন না।” তবে সশরীরে হাজির না হলেও, ভার্চুয়ালি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন পুতিন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ইন্দিরা গান্ধী যখন চাঁদে পৌঁছলেন…’’! এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেই চাঁদে পাঠালেন মমতা

    এই প্রথম নয়, গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও ব্রিকস সম্মলনে উপস্থিত হননি পুতিন। সেখানেও পাঠানো হয়েছিল রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীকে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য দেশ। এই আদালতই ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং শিশুদের জোর করে স্থানান্তরিত করার অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে জারি করেছে গ্রেফতারি পরওয়ানা। জি২০ সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার অংশগ্রহণ করেন দিল্লিতে বিশ্ব ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বি২০ সম্মেলনে। প্রসঙ্গত, তিনদিনের জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসবেন সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা। আসবেন অতিথি দেশের সদস্যরাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Yevgeny Prigozhin: বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের

    Yevgeny Prigozhin: বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের (Yevgeny Prigozhin)। বুধবারে ১০ জন যাত্রীকে নিয়ে বিমান ভেঙে পড়ে রাশিয়ায়। এই বিমানেই ছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। রুশ সংবাদ মাধ্যম এই খবর প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, বিমানে ইয়েভগেনি ছিলেন এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

    দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল (Yevgeny Prigozhin)?

    রাশিয়ার সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী একটি বেসরকারি সংস্থার এমব্রেয়ার লিগ্যাসি বিমানে যাত্রা করছিলেন তিনি। মস্কো থেকে প্রায় ১০০ কিমি উত্তরে টিবের একালাকয় কুজ়েনকিনো গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে বিমানটি। রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে বলা হয় মৃতদের মধ্যে বিমানে সাতজন যাত্রী এবং তিনজন পাইলট ছিলেন। এই বিমানের মধ্যে ছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigozhin)। 

    কে এই ওয়াগানার প্রধান?

    রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকে একেবারে সামনে থেকেই লড়াই করছিল ওয়াগানার গ্রুপ। কিন্তু কয়েক মাস আগেই পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigozhin)। রাশিয়া থেকে পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকিও দেন তিনি। এরপর থেকে তাঁর নামটি সংবাদ শিরনামে উঠে আসে। এরপর থেকেই পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল ধরে প্রিগোজিনের। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার, আইএস এবং আল-কায়দায়র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বিশেষ ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে আফ্রিকাকে নিজের ঠিকানা হিসেবে ঘোষণা করে  একটি ফোন নম্বর দিয়ে সকলকে এই ঘোষিত যুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

    পুতিনের সঙ্গে মতভেদ হয়েছিল

    পুতিন ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে (Yevgeny Prigozhin) হত্যা করতে পারেন বলে একটি অভিযোগ উঠেছিল জুলাই মাসের সময় থেকেই। এমনও কথা শুনতে পাওয়া গিয়েছিলল যে, মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বেলারুশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। কিভ, ডনবাস এবং ইউক্রেনের অনেক এলাকা দখলের জন্য বিশেষ দায়িত্ব ছিল এই প্রিগোজিনের উপর। কিন্তু আচমাকা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন পুতিনের বিরুদ্ধেই। তার পর থেকেই পুতিনের রোষে পড়েন ‘বন্ধু’ প্রিগোজিন। বেলারুশের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ মাঝপথে থামান তিনি। এবার বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যুতে পুতিন জড়িত বলে অভিযোগ তুলছেন ওয়াগানার যোদ্ধারা। তাঁদের অভিযোগ, রুশ সেনা পরিকল্পিত ভাবে খুন করছেন প্রিগোজিনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Wagner: পুতিনের ‘ব্যাঘ্র গর্জনে’র ধাক্কায় ‘মিউ মিউ’ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের!

    Wagner: পুতিনের ‘ব্যাঘ্র গর্জনে’র ধাক্কায় ‘মিউ মিউ’ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের উদ্দেশ্য পুতিনকে (Vladimir Putin) গদিচ্যুত করা নয়। আমরা একটা প্রতীকী প্রতিবাদ করেছিলাম মাত্র।” এই ‘মিউ মিউ’ বার্তা রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার (Wagner) গ্রুপের প্রধান অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনের। তিনি বলেন, “দেশে ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে যে আশঙ্কা আমাদের মনে ছিল, সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে আমাদের পদযাত্রায়।” ১১ মিনিটের এক অডিও বার্তায় ওয়াগনার প্রধান বলেন, “আমাদের দলের সদস্যরা রাশিয়ার মাটিতে কোনও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়নি। আমরা রুশ সেনার সঙ্গে যুদ্ধও করিনি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত, রাশিয়ার একটি যুদ্ধ বিমানকে গুলি করে নামানোর জন্য।” 

    ওয়াগনারের বিদ্রোহ

    ওয়াগনার (Wagner) রুশ সেনার অংশ নয়। তবে বছর দেড়েক ধরে রুশ বাহিনীর সহযোগী হয়ে অংশ নিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে। এর আগে লিবিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং মোজাম্বিকের মতো দেশে গৃহযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন ওয়াগনারের সেনারা। সম্প্রতি রুশ সেনা পরিকল্পিতভাবে ওয়াগনার যোদ্ধাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন ওয়াগনার প্রধান। এর পরেই মস্কোর বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় ভাড়াটে যোদ্ধাদের ওই বাহিনী। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে বড় অভিযান শুরু করেন ওয়াগনার গ্রুপের কয়েক হাজার যোদ্ধা।

    ওয়াগনারের অগ্রগতি

    শুক্রবার রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নেওয়ার পর শনিবার সকালে পশ্চিম রাশিয়ার শহর ভোরোনেজের দখল নেন ওয়াগনারের যোদ্ধারা। এর পর তাঁরা এগোতে থাকেন মস্কোর দিকে। সক্রিয় হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওয়াগনার যোদ্ধাদের ওপর আকাশপথে হামলা চালানোর পাশাপাশি ইউক্রেনে থাকা ওয়াগনার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয় নৃশংস চেচেন কমান্ডার রমজান কাদিরভের মিলিশিয়া বাহিনীকে। ওয়াগনার প্রধানকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এর পরেই রণে ভঙ্গ দেন ওয়াগনার প্রধান। বাহিনীকে ফেরার নির্দেশ দিয়ে আত্মগোপন করেন।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    পরে এক অডিও বার্তায় তিনি (Wagner) বলেন, “রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরা আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।” রুশ সেনা বা তাদের সহযোগীরা আক্রমণ করলে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রত্যাঘাত করার নির্দেশও এদিন অডিও বার্তায় দিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান।

    পুতিনের ব্যাঘ্র গর্জনের ধাক্কায়ই কি মিউ মিউ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Crisis: রাশিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! বিদ্রোহ দমনে কড়া বার্তা পুতিনের

    Russia Crisis: রাশিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! বিদ্রোহ দমনে কড়া বার্তা পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে দশা রাশিয়ার (Russia Crisis) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin)। বছর দেড়েক ধরে যুদ্ধ চললেও, এখনও সম্ভব হয়নি ইউক্রেন বিজয়! এমতাবস্থায় রাশিয়ার অন্দরেই মাথাচাড়া দিল বিদ্রোহ। মস্কোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন রাশিয়ার পেশাদার যোদ্ধারা। সূত্রের খবর, প্রায় ২৫ হাজার সেনার বাহিনী ক্রমেই এগোচ্ছে মস্কোর দিকে। বিদ্রোহ দমন করতে পেশাদার যোদ্ধাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    ওয়াগনারের প্রধানকে গ্রেফতারের নির্দেশ

    পেশাদার যোদ্ধা গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজিন প্রগোজিনকে সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া সরকার। দেওয়া হয়েছে গ্রেফতারের নির্দেশও। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই ওয়াগনার যোদ্ধারা ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। মস্কোর (Russia Crisis) সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধও ঘোষণা করেছে তারা। এমতাবস্থায় পুতিনের কড়া বার্তা, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে বা যাঁরা হাতে অস্ত্র তুলে নেবেন, তাঁরা দেশের কাছে বিশ্বাসঘাতক বলে গণ্য হবেন।

    পুতিনের হুমকি

    এদিকে, ওয়াগনার বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের চেষ্টা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, পুতিন প্রতিরক্ষমন্ত্রক, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রক ও ন্যাশনাল গার্ডের কাছ থেকে নিয়মিত এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছেন। দেশের অভ্যন্তরণী বিদ্রোহ (Russia Crisis) ঠেকাতে শনিবার জাতির উদ্দেশে আবেগতাড়িত ভাষণ দেন পুতিন। তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশের পিঠে ছুরি মারা। এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা বেইমানি, বিশ্বাসঘাতকতা। অতি উচ্চাকাঙ্খা এবং ব্যক্তিস্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। যে বা যাঁরা দেশের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, সচেতনভাবেই এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন, সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা যাঁদের, সন্ত্রাসবাদীদের মতো ব্ল্যাকমেল করছেন, দেশের আইন এবং নাগরিকদের কাছে তাঁদের কঠোর শাস্তি অনিবার্য। তিনি বলেন, এই ধরনের অভ্যন্তরীণ অশান্তি আমাদের রাষ্ট্রীয় ও জাতিগত পরিচয়ের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটা সমগ্র রাশিয়া ও দেশের নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত ধাক্কার। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি আমাদের নাগরিকদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এই সময় জাতীয় ঐক্য অবশ্যই জরুরি।

    এদিকে, ওয়াগনার (Russia Crisis) প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ক্রেমলিনকে দায়ি করে প্রগোজিন বলেন, আমরা মস্কো যাচ্ছি এবং যে কেউ আমাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী আমাদের শিবিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, আমাদের প্রচুর সংখ্যক যোদ্ধা, আমাদের কমরেডদের হত্যা করেছে।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকার পর এবার মিশর সফরে মোদি, যাবেন আল হাকিম মসজিদে, কেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share