Tag: vladimir putin

vladimir putin

  • Nuclear Disarmament: বড় সংঘাতের সঙ্কেত! আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল রাশিয়ার

    Nuclear Disarmament: বড় সংঘাতের সঙ্কেত! আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘটনাচক্রে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেন সফরের পর দিনই এমন ঘোষণা করলেন পুতিন। মঙ্গলবার পুতিন বলেন, “আমি ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি, কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে আসছে।” আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’-ই ছিল শেষ চুক্তি। অন্যদিকে পুতিনের ঘোষণাকে “দুর্ভাগ্যজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন” বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

    কেন এই পদক্ষেপ পুতিনের?

    সোমবারই ইউক্রেনে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ ইউক্রেনকে নতুন করে সামরিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছেন বাইডেন৷ তার পরেই মস্কোর এই পদক্ষেপ নতুন করে আশঙ্কার সৃষ্টি করছে। পুতিনের এই বড় সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশ গুলিকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট৷ তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা ও তার ন্যাটো সহযোগীরা ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয়ের লক্ষ্যে কাজ কারছে, তাই এই সিদ্ধান্ত৷ প্রতিপক্ষ দেশগুলি রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার দখলের চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ ভ্লাদিমির পুতিনের৷ পুতিনের মতে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হার চায় আমেরিকা। একই সঙ্গে রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারের তথ্যও চায় তারা। এটা চলতে দেওয়া যায় না। ফলে মঙ্গলবার ‘স্টেট অফ দ্য নেশন’-এ ইউক্রেন যুদ্ধের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে বিশেষ ভাষণ দেন পুতিন। সেখানেই আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করার বিষয়টি ঘোষণা করেন ও সাফ জানিয়ে দেন, একে অপরের নজরদারিতে থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া করবে না রাশিয়া।

    আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মন্তব্য

    রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলল আমেরিকা। আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে পুতিনের এই ঘোষণা সত্ত্বেও আলোচনার দরজা বন্ধ করছে না তাঁর দেশ। এ প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেন বলেন, “আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যে পর্যায়েই থাকুক না কেন, কৌশলগত অস্ত্রের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যে কোনও সময় আলোচনায় বসতে রাজি।”

    পুতিনের এই ঘোষণার পরে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইউক্রেন জয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাশিয়া। মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করতেও দু’বার ভাববে না তারা। অন্যদিকে পুতিনের এই সিদ্ধান্ত পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উস্কে দিল বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

  • India Russia Relationship: পুতিনের উপস্থিতিতে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ বৈঠক অজিত ডোভালের

    India Russia Relationship: পুতিনের উপস্থিতিতে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ বৈঠক অজিত ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পশ্চিমা দেশগুলি ক্রমেই ‘শত্রুতা’ বাড়াচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে। এমনকী রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকও এড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এমন পরিস্থিতিতে এবার মস্কোতে পৌঁছলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেখানে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন অজিত ডোভাল। নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেন তাঁরা। সেই বৈঠকেই ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে করা হয় বিস্তারিত আলোচনা। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে দুই দেশই রাজি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে। লস্কর, জইশের মত জঙ্গি সংগঠনকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে মধ্য এশিয়ার দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ডোভাল।

    পুতিনের সঙ্গে ডোভালের বৈঠক

    মস্কোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের অফিস থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভারত-রশিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। বুধবার থেকে দুই দিনের রাশিয়া সফর শুরু করেছেন ডোভাল।”

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    অজিত ডোভাল এদিন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন। অজিত ডোভাল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আফগানিস্তানে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বৈঠকে ডোভাল বলেছিলেন, কোনও দেশই যাতে সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করার জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার না করে সেদিকে নজর রাখা জরুরি।

    ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, অজিত ডোভাল আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদকে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করার কথা বলেছেন। এদিকে আফগান নাগরিকদের জন্য ভারত যে সাহায্য পাঠিয়েছে, তারও উল্লেখ করেন অজিত ডোভাল। আফগানিস্তানে ভারতের উপস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতেও ভারত আফগানিস্তানের মানুষের পাশে থাকবে।

    সোমবার নয়া দিল্লিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ বলেছেন, রাশিয়া ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্কে আরও বৈচিত্র আনতে চায়। আর সেই কারণেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের রাশিয়া সফরের মাত্র তিন মাস পরেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই রাশিয়া সফর।

    প্রসঙ্গত, বুধবার অজিত ডোভাল আফগানিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পঞ্চম বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। যা আয়োজন করেছিল রাশিয়া। আজকের এই বৈঠকে রাশিয়া, ভারত ছাড়াও ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, চিন, তাজাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টারাও ছিলেন। 

  • Vladimir Putin: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চান পুতিন

    Vladimir Putin: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চান পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরই ভোল বদল রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin)। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়মিত সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। বাইডেনের ইউক্রেনকে এই প্রতিশ্রুতির দেওয়ার পরপরই পুতিনের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করা হয়। 

    কী বলেন পুতিন?     

    পুতিন (Vladimir Putin) বলেন, “আমাদের লক্ষ্য সামরিক সংঘর্ষের পরিমাণ আর বাড়ানো নয় বরং এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো। আমরা এই যুদ্ধের অবসানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং যত তাড়াতাড়ি আমরা তা করতে সমর্থ হব তত ভাল।” 

    তবে পুতিনের (Vladimir Putin) মন্তব্য নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এ বিষয়ে বলেন, “২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সৈন্য পাঠানোর মাধ্যমে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তা শেষ করতে তিনি যে আলোচনা চান সেটি নিশ্চিত করতে পুতিন কোনো ইঙ্গিত রাখেননি।”

    আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, কী কী বিধি জারি করল কেন্দ্র?  

    পুতিনকে (Vladimir Putin) ইঙ্গিত করে জন কিরবি আরও বলেন, ‘বরং তিনি যা করছেন তা তার দাবির পুরোপুরি বিপরীত। তিনি ইউক্রেনের জমিনে এবং আকাশে যা করছেন তা এমন একজন ব্যক্তির কথা নির্দেশ করে, যে কিনা ইউক্রেনের জনগণের উপর সহিংসতা চালিয়ে যেতে চায় এবং যুদ্ধ বাড়াতে চায়।’ 

    এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যহত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনকে ১৮৫ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য করবে মার্কিন প্রশাসন।

    নিয়মমাফিক বছর শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ঠিক তার আগের দিনই কয়েক ঘণ্টার মার্কিন সফর সেরেছেন জেলেনস্কি। তাই সাংবাদিক সম্মেলনের শুরু থেকেই একযোগে আমেরিকা ও ইউক্রেনকে আক্রমণ করেন পুতিন। সাফ জানিয়ে দেন, “এই যুদ্ধ বন্ধ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা বহুদিন ধরেই এই চেষ্টা করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যেভাবেই হোক, এই যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করছি।” সামরিক লড়াই থামিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে হলেও যুদ্ধ বন্ধ করার কথা উঠে এসেছে পুতিনের মন্তব্যে।

    রুশ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “আমরা তো দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছি। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষরা সেটা চাইছে না। তারা যত তাড়াতাড়ি যুদ্ধ বন্ধের গুরুত্ব বুঝতে পারে, ততই ভাল।” ইউক্রেনের জন্য প্রতিরক্ষার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই বিষয়টি নিয়েও আলাদা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর মতে, অযথাই যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে কিছু পক্ষ। তবে এইভাবে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • G20: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    G20: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) বালিতে হয়েছিল জি ২০ (G20) সম্মেলন। এই সম্মেলনে সবাই হাজির থাকলেও, ছিলেন না রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর ছড়ায়, অসুস্থ থাকায় ওই সম্মলনে গরহাজির ছিলেন তিনি। তবে ইন্দোনেশিয়ায় অনুপস্থিত থাকলেও, ভারতে (India) যে জি ২০ সম্মেলন হবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, তাতে উপস্থিত থাকতে পারেন পুতিন। তবে সব কিছু নির্ভর করছে পুতিনের নিজের ওপর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নিজেই এ খবর জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ভারতে জি ২০ সম্মলন শুরু হবে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে। শেষ হবে তার পরের দিন।

    শ্বেতলানা লুকাস বলেন…

    পুতিনের মুখপাত্র শ্বেতলানা লুকাস বলেন, আমি আশা করি, অবশ্যই (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) যাবেন। তবে এটা একান্তভাবেই স্থির করবেন তিনি স্বয়ং। আগামী সম্মেলন এখনও এক বছর দেরি। তাই আমি এখনই এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারছি না। তবে আমার মনে হয়, তাঁর যাওয়ার সমস্ত রকম সম্ভাবনা রয়েছে। লুকাস বলেন, জি ২০ সম্মেলন নিয়ে কোনও ইভেন্ট এড়াবে না রাশিয়া। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ায় জি ২০ সম্মেলনে পুতিন উপস্থিত না থাকলেও, সে দেশের তরফে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

    আরও পড়ুন: ‘ভারতকে নিয়ে কৌতুহলী বিশ্ব’, জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদল বৈঠকে বললেন মোদি

    জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষে আগামী বছর দেশজুড়ে দুশোটির মতো ইভেন্টের আয়োজন করতে চাইছে নয়াদিল্লি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, প্রতিটি ইভেন্টেই রাশিয়া যোগ দেবে বলেও জানান পুতিনের মুখপাত্র। লুকাস বলেন, আমরা একটিও ইভেন্ট মিস করব না। সেটা ওয়ার্কি গ্রুপের বৈঠক হোক কিংবা সেমিনার অথবা কনফারেন্স। তিনি বলেন, এটার রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে তার পজিশন বুঝিয়ে দেওয়া, মতামত ব্যক্ত করা এবং অন্যান্য দেশ কী তুলে ধরছে, তা খুঁটিয়ে দেখা।

    এদিকে, ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর ভারত-রাশিয়ার যে বাৎসরিক সম্মেলন হয়, এবার তা হচ্ছে না। ফি বার এই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এবার দু তরফেই শিডিউলের সমস্যার জেরে হচ্ছে না ওই সম্মেলন। সূত্রের খবর, নিউক্লিয়ার হুমকির জেরে হচ্ছে না মোদি-পুতিন বৈঠক। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দুই দেশের দুই প্রধান মুখোমুখি হতে পারছেন না স্রেফ শিডিউলের সমস্যার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Vladimir Putin: মোদি দেশপ্রেমিক, ওঁর নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, জানালেন পুতিন

    Vladimir Putin: মোদি দেশপ্রেমিক, ওঁর নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, জানালেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুতিনের (Vladimir Putin) গলায় মোদি স্তুতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আমলে ভারতের (India) যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে তাও মনে করিয়ে দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার (Russia) ভালদাই ডিসকাসন ক্লাবের বার্ষিক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন পুতিন। তাঁর বক্তৃতার সিংহভাগ জুড়েই ছিল মোদি-প্রশস্তি। মোদির নেতৃত্বে ভারতের উন্নতির পাশাপাশি তিনি যে একজন দেশপ্রেমিক, তারও উল্লেখ করেন ভ্লাদিমির পুতিন। মোদির স্বাধীন বিদেশ নীতিরও প্রশংসা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    মস্কোর ভালদাই ডিসকাসন ক্লাবের ওই বার্ষিক সভায় এদিন পুতিনের (Vladimir Putin) গলায় শুধুই মোদির প্রশংসা! পুতিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনেক কিছুই হয়েছে। তিনি একজন দেশপ্রেমিক। তাঁর মেক ইন ইন্ডিয়ার আদর্শ অর্থনীতি এবং নীতির ক্ষেত্রে ভীষণ কার্যকরী। ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে তাঁরা গর্ববোধ করতেই পারেন।

    এক সময় ব্রিটিশ শাসনে থাকা দেশটি যে বর্তমানে প্রভূত উন্নতি করেছে, তাও স্মরণ করিয়ে দেন পুতিন (Vladimir Putin)। তিনি বলেন, বিকাশের ক্ষেত্রে ভারত ব্যাপক উন্নতি করেছে। ব্রিটিশ শাসন থেকে তার উত্তরণ হয়েছে আজকের ভারতে। প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষ এবং তার উন্নয়নের কারণে ভারত বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা ও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন:ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে চলেছেন পুতিন?

    এর পরেই পুতিনের (Vladimir Putin) গলায় শোনা যায় ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের কথা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বহু দশকের ঘনিষ্ঠ মিত্রতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে উভয়ের মধ্যে। আমাদের মধ্যে কখনওই কঠিন কোনও সমস্যা হয়নি। পরস্পরকে সমর্থন করে গিয়েছি। এখনও তাই হচ্ছে। পুতিন বলেন, আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতেও তাই হবে। মোদির আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতে সারের জোগান ৭.৬ গুণ বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি করেন পুতিন। কৃষিক্ষেত্রে বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

    মোদির নেতৃত্বে ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করার পাশাপাশি এদিন পুতিন (Vladimir Putin) আমেরিকা ও তার দোসরদের একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমেরিকা ও তার সঙ্গীরা যে কাজ করছে, তার ফল ভুগতে হবে তাদেরও। তিনি বলেন, একমাত্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যদি এক লক্ষ্যে জোট বাঁধে তাহলেই উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা সম্ভব। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমী বিশ্ব যে খেলা খেলছে, তাকে আমি নিশ্চিতভাবে বলব বিপজ্জনক, রক্তাক্ত ও নোংরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার (Russia) ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে পুতিনকে চাপে ফেলেছিল আমেরিকা (USA)। এবার আমেরিকাকে পাল্টা চাপে ফেললেন পুতিন (Vladimir Putin)। প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্নোডেনকে (Edward Snowden) নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া। বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়াতেই আত্মগোপন করে ছিলেন স্নোডেন। এ বার পাকাপাকি ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব পেলেন তিনি। সোমবার স্নোডেনের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করে একটি ডিক্রিতে সই করেছেন পুতিন।

    আরও পড়ুন: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (NSA) চুক্তিভিত্তিক আধিকারিক ছিলেন স্নোডেন। ২০১৩ সালে এই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন তিনি৷ সেই নথিতে প্রকাশ্যে আসে যে শুধু বিদেশ নয়, খোদ মার্কিন নাগরিকদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছিল আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। এই ঘটনায় সেই সময় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়। সংস্থাটিতে কর্মরত থাকাকালীনই এই তথ্য ফাঁস করেন তিনি। তাঁর ফাঁস করা তথ্যের কারণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে আমেরিকার ওই গোয়েন্দা বিভাগ। দেশজুড়ে নজরদারির বিরুদ্ধে ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার প্রতিবাদে আওয়াজ তোলেন মার্কিন নাগরিকদের একাংশ।      
     
    এনএসএ-র গোপন তথ্য ফাঁস করায় ২০১৩ থেকেই স্নোডেনকে খুঁজছে মার্কিন সরকার। তারপর থেকেই তিনি রাশিয়ায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। আমেরিকা একাধিক বার স্নোডেনকে ফেরানোর কথা বললেও এতদিন রাশিয়া কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অভিযোগ ওঠে, রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের হয়ে স্নোডেন কাজ করছেন। তাই তাঁকে রক্ষা করে যাচ্ছে রাশিয়া। মস্কোতেই এত বছর নির্বাসিত ছিলেন স্নোডেন। চাপের মুখে পালাতে বাধ্য হন তিনি। মার্কিন প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে মামলা করেছে।  

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ৩০ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি পুতিনের      

    বিচারের জন্য স্নোডেনকে দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন সরকার। এবার রাশিয়া স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিয়ে আমেরিকার সব চেষ্টাকে মাটি করে দিল। স্নোডেন মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি যে আর আমেরিকার মাটিতে পা রাখবেন না তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

      

  • Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার (Russia) ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে পুতিনকে চাপে ফেলেছিল আমেরিকা (USA)। এবার আমেরিকাকে পাল্টা চাপে ফেললেন পুতিন (Vladimir Putin)। প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্নোডেনকে (Edward Snowden) নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া। বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়াতেই আত্মগোপন করে ছিলেন স্নোডেন। এ বার পাকাপাকি ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব পেলেন তিনি। সোমবার স্নোডেনের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করে একটি ডিক্রিতে সই করেছেন পুতিন।

    আরও পড়ুন: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (NSA) চুক্তিভিত্তিক আধিকারিক ছিলেন স্নোডেন। ২০১৩ সালে এই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন তিনি৷ সেই নথিতে প্রকাশ্যে আসে যে শুধু বিদেশ নয়, খোদ মার্কিন নাগরিকদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছিল আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। এই ঘটনায় সেই সময় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়। সংস্থাটিতে কর্মরত থাকাকালীনই এই তথ্য ফাঁস করেন তিনি। তাঁর ফাঁস করা তথ্যের কারণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে আমেরিকার ওই গোয়েন্দা বিভাগ। দেশজুড়ে নজরদারির বিরুদ্ধে ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার প্রতিবাদে আওয়াজ তোলেন মার্কিন নাগরিকদের একাংশ।      
     
    এনএসএ-র গোপন তথ্য ফাঁস করায় ২০১৩ থেকেই স্নোডেনকে খুঁজছে মার্কিন সরকার। তারপর থেকেই তিনি রাশিয়ায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। আমেরিকা একাধিক বার স্নোডেনকে ফেরানোর কথা বললেও এতদিন রাশিয়া কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অভিযোগ ওঠে, রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের হয়ে স্নোডেন কাজ করছেন। তাই তাঁকে রক্ষা করে যাচ্ছে রাশিয়া। মস্কোতেই এত বছর নির্বাসিত ছিলেন স্নোডেন। চাপের মুখে পালাতে বাধ্য হন তিনি। মার্কিন প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে মামলা করেছে।  

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ৩০ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি পুতিনের      

    বিচারের জন্য স্নোডেনকে দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন সরকার। এবার রাশিয়া স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিয়ে আমেরিকার সব চেষ্টাকে মাটি করে দিল। স্নোডেন মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি যে আর আমেরিকার মাটিতে পা রাখবেন না তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

      

  • Vladimir Putin: সীমান্তে ৩০ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    Vladimir Putin: সীমান্তে ৩০ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে সেনার গতিবিধি বাড়াল রাশিয়া (Russia)। আংশিক ভাবে রুশ সেনা (Russian Army) গতিবিধি বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত ৩ লক্ষ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World War II) পর এই প্রথম সেনার গতিবিধি বাড়াল পুতিনের দেশ। আড়াই কোটি রিজার্ভড সেনা থেকে এই ৩ লক্ষ সেনা টানা হয়েছে। বুধবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকায় সই করেছেন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)।

    এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, “পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। দেশের সুরক্ষার স্বার্থেই সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, রাশিয়ার দখলে থাকা ডনবাসের রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভোটাভুটি হবে। এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (US President Joe Biden) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,  যে রাশিয়া যদি  ইউক্রেনের কোনও অংশকে নিজেদের দেশে অন্তর্ভুক্ত করে তাহলে এর ফল ভুগতে হবে রাশিয়াকে। এবার পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন।

    আরও পড়ুন: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    পুতিন বলেন, “রাশিয়ার মূল লক্ষ্য ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলকে স্বাধীন করা। এই অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা ইউক্রেনের দাসত্বে থাকতে চান না।” পশ্চিমি দেশ প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, “ইউক্রেনে শান্তি ফিরে আসুক তা চায় না পশ্চিমের দেশগুলি। তাই পশ্চিমি দুনিয়ার আক্রোশ থেকে রাশিয়াকে রক্ষা করতে প্রায় ৩ লক্ষ সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। সেই থেকেই চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এরই মাঝে ডনবাসের দুই অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি পুতিন। ইউক্রেনীয়দের রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণাও করেছিলেন তিনি। এরই মাঝেই ভোটের মাধ্যমে  পাকাপাকি ভাবে পূর্ব ইউক্রেনকে নিজের দেশে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশের হুঁশিয়ারির জবাবে পুতিন বলেন, “আমি শুধু ডনবাস অঞ্চলকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলাম। সেই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ ইউক্রেনের সঙ্গে ফিরতে চায় না।”

    আরও পড়ুন: ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দেশের কলেজে ভর্তি করা যাবে না, সাফ জানাল কেন্দ্র

    পুতিন (Putin Threatens Western Countries) আরও দাবি করেন, “পশ্চিমি দেশগুলি পরমাণু অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে রাশিয়াকে। রাশিয়ার কাছে এর জবাব দেওয়ার জন্যে প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। আমি মিথ্যে বলছি না।” ইউক্রেন যুদ্ধকে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। বরাদ্দ করা হবে আরও টাকা। এর জেরে ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব। পুতিনের ভাষণের প্রতিবাদ করায় প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পুতিনের এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই নতুন করে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) । মূলত রাশিয়ার অর্থনীতিকে লক্ষ করেই চাপানো হবে নিষেধাজ্ঞা। যুদ্ধের জন্যে যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করা হবে। কী কী নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে তা অক্টোবরের বৈঠকে ঠিক করা হবে। অপরদিকে ইউক্রেনকে আরও সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউক্রেনক অস্ত্র সাহায্য বাড়ানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তিনি শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Modi) যে উপযুক্ত সময়ে ঠিক কথাটিই বলেছেন তা মেনে নিলেন ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। নিউ ইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭ তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন ফান্সের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই মোদি যে ঠিক কথাই বলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন মাক্রঁ।

    ওই অধিবেশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেছিলেন এটা যুদ্ধের উপযুক্ত সময় নয়। এটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কিংবা প্রতীচ্যের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিরোধিতাও নয়। এই সময়টা আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করার সময়।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে ছ মাসেরও বেশি সময়। এহেন যুদ্ধের আবহে সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন মোদি ও মাক্রঁ। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। এবং এটা আমি আপনাকে ফোনেও বলেছি। আজ আমরা মুখোমুখি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আমরা শান্তির পথে অগ্রসর হব, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত এবং রাশিয়া একজন আরেকজনের পাশে রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদি পুতিনকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছি। আমাদের খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলার পথ খোঁজা উচিত। জ্বালানির নিরাপত্তা এবং সারের সমস্যা সমাধানের পথও খোঁজা উচিত। ইউক্রেনে পাঠরত পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে সাহায্য করায় আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই। মোদির এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুতিন জানান, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বে তিনি ভারতের অবস্থান জানেন। পুতিন বলেন, আমি আপনার অবস্থান জানি। উদ্বেগের কারণও জানি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসবে ইতি টানব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ukraine: জমি হারাচ্ছে রুশ সেনা? অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, দাবি ইউক্রেনের

    Ukraine: জমি হারাচ্ছে রুশ সেনা? অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, দাবি ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সাত মাস অতিক্রান্ত। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine war) যে এত দীর্ঘায়িত হবে তা স্পপ্নেও কেউ ভাবতে পারেননি। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন, একপেশেভাবে রুশ সেনা ইউক্রেন (Ukraine) দখল করে নেবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেন সেনাবাহিনী যেভাবে রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে যুদ্ধ করে যাচ্ছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে।

    প্রথমদিকে, রুশ সেনা যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর আক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রুশ সেনা পিছু হঠতে শুরু করেছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২৯ অগাস্ট থেকে ইউক্রেনে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার রুশ সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন। সারা বিশ্ব এখন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করছে এবং শক্তিধর দেশগুলো ইউক্রেনকে আর্থিক থেকে শুরু করে সামরিক, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে সাহায্য করছে।

    ইউক্রেনীয় সেনা রাশিয়ার কাছে হারানো এলাকাগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, উত্তর খারকিভ অঞ্চল সহ বেশ কিছু জায়গায় ইউক্রেনীয় সেনা দ্রুত অগ্রসর হওয়ার ফলে সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে মস্কো বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সেনার পাল্টা আক্রমণের ফলে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলগুলি থেকে মস্কোর নিয়ন্ত্রণ আলগা হচ্ছে। এই জায়গাগুলিতে রাশিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার প্রচেষ্টায় প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ব্যাটালিয়ন জওয়ান ও সামরিক যানের অতিরিক্ত খরচ করছে।

    আরও পড়ুন: ১৮ লক্ষ বছর পুরনো ‘মানুষের দাঁত’ আবিষ্কার জর্জিয়ায়! কী বলছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা?

    ফলে প্রায় প্রতিদিনই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে পুতিনের দেশকে। প্রতিদিন নিহত হচ্ছেন শত শত সেনা জওয়ান। ধ্বংস হচ্ছে ডজন খানেক যানবাহনের। মার্কিন গোয়েন্দাদের মতে, রাশিয়ার একটি ব্যাটালিয়ন সেনা পূর্ব ইউক্রেনে নদী অতিক্রম করার সময় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর আক্রমণে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। তাই রুশ সেনা পুনরায় পূর্ব ইউক্রেনে তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চাপে রয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভ বাহিনীর পাল্টা আক্রমণ শুরু করার আগে ইউক্রেনে রুশ সেনা মাত্র ১০০ জনের মতো ইউক্রেনীয় জওয়ানকে আটক করেছিল।

    ইউক্রেন সেনার এক উচ্চ আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তারা প্রায় ১২০০ রুশ যুদ্ধট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান ও ড্রোনকে ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত প্রায় ৫,৮০০ রুশ সৈন্যকে তারা হত্যা করেছে এবং সেপ্টেম্বর মাস থেকেই তারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমন শুরু করেছে।

    ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের (Ukraine Russia war) কিছু ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা প্রায় ৪০০টির মতো ভিডিও যাচাই করে বৈধ ঘোষণা করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী বিধ্বস্ত। যদিও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাশিয়া জানিয়েছে যে তারা নিশ্চিত যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্যগুলি সফল হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share