Tag: vladimir putin

vladimir putin

  • Putin-Modi Phone Call: ফোনালাপ, পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর পরামর্শ মোদির

    Putin-Modi Phone Call: ফোনালাপ, পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর পরামর্শ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পেরিয়ে গিয়েছে চার মাস। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যহত। রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ। ভারত কেন এখনও রাশিয়ার প্রতি নরম, সে নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপের দেশগুলি। এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের  (Vladimir Putin) সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ফোনে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা সমাধান করতে অনুরোধ জানিয়েছেন মোদি। গণতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের প্রসঙ্গও এদিন আলোচনায় তুলে ধরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও পুতিনের ডিসেম্বরের ভারত সফরের সময় বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কার্যকর করার বিষয়েও শুক্রবার কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে।   

    আরও পড়ুন: শতবর্ষে এই প্রথম, বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ রাশিয়া

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরু হওয়ার পরে বেশ কয়েকবার ফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন মোদি। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করার সময়ে ভারতীয়দের ওপর কোনও হামলা হবে না বলেও ভারতকে আশ্বস্থ করেছিল রাশিয়া। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতি জারি করে পুতিনের সঙ্গে মোদির ফোনালাপের বিষয়টি জানানো হয়।  

    আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের

    এর আগেও ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনকে সরাসরি কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। যদিও সেই আলোচনার পরেও ইউক্রেন-সঙ্কট সমাধানের কোনও সূত্র মেলেনি। আন্তর্জাতিক শক্তি ও খাদ্য সামগ্রীর আন্তর্জাতিক বাজার নিয়েও এদিন দুই দেশের প্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতেও ভাব বিনিময় হয়েছে দুপক্ষের মধ্যে।  

    গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশের ওপর রাশিয়ার এই আচমকা আঘাতে রাশিয়ার সঙ্গ ছাড়ে বিশ্বের বহু শক্তিশালী দেশ। রাশিয়ার থেকে তেল কেনাও বন্ধ করে তারা। তবে ভারত তেল কেনা বন্ধ করেনি। কম টাকায় ভারতকে তেল সরবরাহ করতে থাকে রাশিয়া। মোদি জানান, দেশের স্বার্থই সবার আগে বিবেচ্য। ভারতের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিতও হয়। ভারত যেমন সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি, তেমনি প্রত্যক্ষভাবে ইউক্রেনের পাশেও দাঁড়ায়নি। সবসময়ই ভারত ভারসাম্যের নীতি নিয়ে চলেছে।    

     

  • Russia Population: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    Russia Population: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই করোনার প্রকোপ, তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দেশবাসী হারিয়েছে রাশিয়া (Russia)। জনসংখ্যার সংকটে (Crisis) পড়তে চলেছে পুতিনের দেশ। আর এই সমস্যার সমাধানে প্রস্তাব দিলেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। দেশে জনসংখ্যার (Population) সংকটের মোকাবিলা করতে ১০ বা তার বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য মহিলাদের আর্থিক সাহায্য়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ১০টি শিশুর জন্ম দেওয়া এবং বাঁচিয়ে রাখার জন্য ১ মিলিয়ন রুবেল আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন পুতিন। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু এর জন্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে একটি শর্ত।

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    কোনও মহিলার দশ নম্বর সন্তানের যখন প্রথম জন্মদিন হবে এবং সে সময় যদি বাকি নয় সন্তান জীবিত থাকে, তবেই সরকারের তরফ থেকে এই টাকা পাওয়া যাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দিতে ‘মাদার হিরোইন’ নামে এই বিশেষ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টাইমস রেডিও’তে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছেন রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জেনি ম্যাথার্স।

    জেনি বলেছেন, ‘‘দশ বা তার বেশি সন্তান হলে মহিলাদের জন্য এই পুরষ্কারের চল সোভিয়েত যুগের। একে মাদার হিরোইন বলা হয়। রাশিয়ার জনসংখ্যা সঙ্কট দূর করতেই এই প্রয়াস। বর্তমানে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এই সঙ্কট আরও প্রবল হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    এই বছরের মার্চ মাস থেকে রাশিয়ায় ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা। এর পাশাপাশি ইউক্রেনে ৫০ হাজার জন সৈন্য মারা গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে জনবহুল করতে তাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন পুতিন।

    এ বিষয়ে ডাঃ ম্যাথার্স বলেন, পুতিন বলে আসছেন যে যাঁদের বড় পরিবার আছে, তাঁরা বেশি দেশপ্রেমিক।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপক হারে জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় ১৯৪৪ সালে এই বিশেষ আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এটি বন্ধ হয়ে যায় সেই পুরষ্কার। জনসংখ্যা বাড়াতে গত ১৬ অগস্ট আবার এই আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পুতিন।

    জানা গিয়েছে, গত কয়েক দশকে রাশিয়ার জনসংখ্যা কমেছে। চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ।

    এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, এই তেরো লক্ষ টাকাতে কী ১০টি সন্তান এই যুগে মানুষ করা  সম্ভব? তাই কতটা কার্যকর হবে রুশ রাষ্ট্রপতির এই পরিকল্পনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। 

     

  • Vladimir Putin: অস্ত্রোপচার পুতিনের! কেমন আছেন রুশ নেতা?

    Vladimir Putin: অস্ত্রোপচার পুতিনের! কেমন আছেন রুশ নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা চলছিলই,  এবার এল অস্ত্রোপচারের খবর। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President) ভ্লাদিমির পুতিনের(Vladimir Putin) তলপেটে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। কোনওরকম জটিলতা ছাড়াই পুতিনের তলপেটে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, বলে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের খবর। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিনের তলপেটে অস্ত্রোপচার করে ফ্লুইড বের করা হয়। অস্ত্রোপচারটি হয় ১২ ও ১৩ মে’র রাতে। তবে এর সঙ্গে ক্যান্সারের কোনও সম্পর্ক নেই।

    রাশিয়ার ফরেন ইনটেলিজেন্স (Foreign Intelligence Service) সার্ভিসের সঙ্গে টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘জেনারেল এসভিআর’র কথোপকথন থেকেই এই খবর জানা যায়। এই অস্ত্রোপচারের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠকেও অংশ নিতে পারেননি রুশ নেতা। নেতাদের উদ্দেশে পুতিনের বক্তব্য আগে থেকে রেকর্ড করা ছিল। তাই বৈঠকে দেখানো হয়।

    ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের তরফে  টেলিগ্রাম বার্তারও কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়। যেখানে রুশ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, পুতিনের যে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল তা এখনও হয়নি। এটা চিকিৎসার একটি ধাপ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের অস্ত্রোপচার এবং তার সাময়িকভাবে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়াটি, পরের দিন ‘ডিপফেইক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেখানো হয়। যদিও এই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।  

    আরও পড়ুন: পুতিনের অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    এর আগেও পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রাক্তন ব্রিটিশ গুপ্তচর ক্রিস্টোফার স্টেলি জানান, পুতিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। তা নিরাময় যোগ্য কিনা সে সম্পর্কেও কিছু নিশ্চিত করে বলেননি স্টেলি। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান দাবি করেছিলেন, পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে তিনজন করে চিকিৎসক থাকছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন একজন ক্যানসার স্পেশালিস্টও। পুতিনের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে মুখ খোলেন রাশিয়ার এক ধনকুবেরও। তবে ক্রেমলিন কখনওই রুশ নেতা পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে কিছু খবর প্রকাশ্যে আনেনি।  

  • Vladimir Putin: পুতিনের  অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    Vladimir Putin: পুতিনের  অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে হালকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটা, কম্বলে, মোটা জ্যাকেটে নিজেকে মুড়ে রাখা, কখনও বা ঘনঘন কাশি, নানা ভিডিওয় এইসব চিত্র ধরা পড়ছিল। জল্পনাও চলছিল যে, পুতিন (Putin) কি গুরতর অসুস্থ? এবার এক বিদেশি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট (Russian President) ভ্লাদিমির পুতিনের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। প্রাক্তন ব্রিটিশ গুপ্তচর ক্রিস্টোফার স্টেলি (Christopher Steele) ওই সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুতিনের শরীর ভাল নেই। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

    এর আগেও পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে ক্রেমলিন (Kremlin) এসব দাবির বিষয়ে কিছু জানায়নি। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Former US President Donald Trump) নিয়ে বই লিখেছিলেন স্টেলি। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবার পুতিনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খবর প্রকাশ করে স্টেলি বলেন, “রাশিয়া ও অন্যান্য সূত্র থেকে যা জানতে পারছি, পুতিন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই রোগ নিরাময়যোগ্য কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।” তবে ইউক্রেনে (Ukraine) সামরিক অভিযান পুতিনেরই মস্তিষ্ক -প্রসূত বলে জানান স্টেলি।

    [tw]


    [/tw]

    ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই পুতিনের ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা চলছে।  ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই মৃত্যু পথযাত্রী পুতিন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন সেই দেশেরই এক ধনকুবের। 

    এক রুশ ধনকুবেরের সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করেছে একটি ব্রিটিশ ম্যাগাজিন। যেখানে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা এবং পুতিনের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে মুখ খোলেন ওই ধনকুবের। তবে তাঁর কথা যে রেকর্ড করা হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে তিনি জানতেন না। ১১ মিনিটের সেই কথোপকথনের রেকর্ডিং সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে ওই ধনকুবের জানান, “রাশিয়ার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন পুতিন। শুধু রাশিয়াই (Russia) নয়, ইউক্রেন-সহ আরও একাধিক দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। আসলে ওঁর মস্তিষ্কের বিকৃতিই গোটা পৃথিবী উল্টে দিতে পারে।” এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইছি, পুতিনের মৃত্যু হোক। ওঁর ক্যানসার ওঁকে খেয়ে নিক। নইলে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ওঁকে ক্ষমতা থেকে সরানো হোক।”

    আরও পড়ুন: ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পুতিন, জল্পনা বিভিন্ন মহলে

    তবে ওই ধনকুবের একা নন, এর আগে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান দাবি করেছেন, পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁর দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, পুতিন যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে তিনজন করে চিকিৎসক থাকছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন একজন ক্যানসার স্পেশালিস্টও। 

  • Mukesh Ambani: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের

    Mukesh Ambani: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia war) ফি-দিনই প্রাণ খোয়াচ্ছেন দুই দেশের মানুষ। ভিটে-মাটি ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছেন প্রতিবেশী কোনও দেশের শরনার্থী শিবিরে। সর্বনাশের এই দিকের উল্টো ছবিও আছে। সেখানে শুধুই লাভের কড়ি ঘরে তুলছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। মাস দুয়েকের যুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন মুদ্রা লাভ করেছে ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির সংস্থা।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। মাসদুয়েক পেরিয়ে গেলেও, যুদ্ধ থামার আশু কোনও লক্ষণ নেই। প্রত্যাশিতভাবেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দুই দেশেই মূল্যবৃদ্ধি লাগাম ছাড়া। তবে যুদ্ধের এই আবহে যখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী, তখন রাশিয়ায় হু-হু করে পড়ছে অশোধিত তেলের (crude oil) দর। তার জেরেই লাভবান হচ্ছে মুকেশের (Mukesh ambani) কোম্পানি। মুকেশের কোম্পানি রিলায়েন্সের লাভের সিংহভাগ আসে অশোধিত তেল শোধন করে বিক্রি করে। অঙ্কের হিসেবে প্রায় ৬২ শতাংশ। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেল বেচেই কোটি ডলার রোজগার করছে মুকেশের সংস্থা। 

    ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকার জো বাইডেন (Joe Biden) সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) ন্যাটোর (NATO) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও কার্যত বয়কট করে রাশিয়াকে। স্বাভাবিকভাবেই তেলের খদ্দের জোটেনি। অর্থনীতির নিয়মেই তলানিতে তেলের দাম। এমতাবস্থায় ব্যারেল ব্যারেল তেল কিনেছে বিভিন্ন রিফাইনারি কোম্পানিগুলি। এর মধ্যে রয়েছে মুকেশের সংস্থাও। গত ত্রৈমাসিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, মাস দুয়েকের এই যুদ্ধের আবহে কয়েক মিলিয়ন ডলার লাভ করেছে আম্বানি গোষ্ঠী।

    মুকেশের কোম্পানি রিলায়েন্সের যমজ রিফাইনারি (Oil refinery) কারখানা রয়েছে এদেশেই। ওই দুই কারখানা থেকে প্রতিদিন ১.৪ মিলিয়ন ব্যারেল অশোধিত তেল শোধন হয়। তেলের গুণমান ভাল হওয়ায় বিক্রিবাটাও বেশ ভাল। প্রত্যাশিতভাবেই লাভের কাঁড়ি কাঁড়ি কড়ি উঠেছে আম্বানির ঘরে।

    খর বৈশাখেই আম্বানির পৌষমাস!

     

  • Modi Biden Virtual Meet: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ হবে না, আমেরিকাকে সটান জবাব ভারতের 

    Modi Biden Virtual Meet: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ হবে না, আমেরিকাকে সটান জবাব ভারতের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে(Russia Ukraine war) ফের একবার ভারসাম্যের নীতি নিল ভারত (India)। আমেরিকাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হোক চাইলেও, রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করবে না নয়াদিল্লি। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় (India-US 2+2 dialogue) একথা সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে। এই যুদ্ধ নিয়ে গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে দু ভাগে। এক দিকে রয়েছে রাশিয়ার মিত্র দেশগুলি। অন্য দিকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ন্যাটোভুক্ত (NATO) দেশগুলির পাশাপাশি আমেরিকাও (USA)। যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Russian President Vladimir Putin) দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)। 

    ভারত যেন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কেনে, সে ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন কর্তাব্যক্তিরা। তবে ভারত যে তাতে বিশেষ কান দেয়নি, তার প্রমাণ মেলে এই কিছু দিন আগেই রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত যে কোনও একপক্ষ নেবে না, তা প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যাশিতভাবেই আমেরিকার হুমকিও ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি নয়াদিল্লি।

    ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জয়শঙ্করের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh)। আর ব্লিঙ্কেন ছাড়া আমেরিকার পক্ষে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। জয়শঙ্কর মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে(Antony Blinken) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারত যুদ্ধ চায় না। তবে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধের কথাও আপাতত ভাবা হচ্ছে না। 

    জয়শঙ্কর বলেন, আপনারা যদি রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার বিষয়টি দেখেন, তবে আমি বলব আপনারা ইউরোপের দিকে তাকান। আমরা জ্বালানি কিনি প্রয়োজনের জন্য। তবে আমরা এক মাসে যে পরিমাণ জ্বালানি কিনি, সেই পরিমাণ জ্বালানি ইউরোপ কেনে এক বেলায়। ভারত যে যুদ্ধের বিপক্ষে,তা ফের একবার স্পষ্ট করে দেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর বলেন, আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী আমরা। আমরা হিংসারও বিরুদ্ধে। হিংসা রুখতে যে কোনও পদক্ষেপ করতেও রাজি আমরা।

    ভারত যে রাশিয়া থেকে খুবই কম পরিমাণ জ্বালানি কেনে, গত সপ্তাহে তা জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের (White House) প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া যে পরিমাণ জ্বালানি রফতানি করে, তার এক থেকে দু’শতাংশ কেনে ভারত। তবে মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাইডেন সরকার।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে তাঁদের দেশের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমিকতার পক্ষে। সে দেশের মূল্যবোধকেও গুরুত্ব দিই আমরা। দশকের পর দশক ধরে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক (India Russia friendship) গড়ে উঠেছে। সেই সময় আমেরিকা ভারতের বন্ধু দেশ ছিল না। তবে এখন আমরা ভারতের বন্ধু হতে উৎসাহী।

    চিন ও পাকিস্তানকে চাপে রাখতে আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বেও আগ্রহী ভারত। তবে সেজন্য এখনই রাশিয়ার হাত ছাড়তে রাজি নয় সাউথ ব্লক। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক (India-US bilateral relation) বৈঠকে ঠারে-ঠারে সেই কথাটাই আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন জয়শঙ্কর।

     

LinkedIn
Share