Tag: vote

vote

  • SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) মামলায় যুগান্তকারী রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সোমবার বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের প্যানেল। চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। হাইকোর্টের নির্দেশে দেখা দিয়েছে জটিলতা। বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।

    কী হবে চাকরি খোয়ানোদের নিয়ে? (SSC Recruitment Scam)

    এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার। পরের দফার নির্বাচন হবে ২৬ এপ্রিল। এই দফায় যাঁরা ভোটের ডিউটিতে যাবেন, তাঁদের ট্রেনিং হয়ে গিয়েছে। ভোট নিতে যাওয়ার আগে যে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়, তাও নিয়েছেন তাঁরা। তবে হাইকোর্টের এদিনের রায়ে চাকরি গিয়েছে এঁদের অনেকেরই। এমতাবস্থায় তাঁরা ভোটের ডিউটিতে (SSC Recruitment Scam) যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চাকরি খোয়ানো অযোগ্য শিক্ষকরা ভোটের ডিউটিতে যেতে পারবেন কিনা, চাকরি না থাকায় তাঁরা আদৌ যেতে রাজি হবেন কিনা, যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকে তাঁরা আর সরকারি কর্মী নন, তাই তাঁদের দিয়ে নির্বাচন করানো যাবে কিনা, এসব হাজারো প্রশ্ন উঠছে।

    কী বলছে কমিশন?

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের অ্যাডিশনাল সিইও অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “আমাদের ভোটকর্মীদের মধ্যে একটা অংশ শিক্ষক। তবে ভোট কর্মীদের ২০-২৫ শতাংশ রিজার্ভ থাকে। তাই তাঁদের দিয়েই ভোট করিয়ে নিতে পারব।” তিনি বলেন, “রিজার্ভ ফোর্সে থাকা ভোট কর্মীদের ডিসি অফিসে রিপোর্ট করার চিঠি চলে গিয়েছে। তাঁরা ডিসি অফিসে চলে যাবেন। ভোটের ডিউটি বণ্টনের দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের রিজার্ভ ভোট কর্মী দিয়ে রিপ্লেস করা হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি’’, নিয়োগ-মামলায় হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১২ হাজার ৯৪৬ জন সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৭৫৬ জন। গ্রুপ সি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল ২ হাজার ৬৭ জনকে। আর গ্রুপ ডি পদে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৫৫০ জন (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: ‘‘আরও বেশি করে ভোট দিন’’, পাঁচ ভাষায় প্রথম বারের ভোটারদের আবেদন মোদির

    Lok Sabha Election 2024: ‘‘আরও বেশি করে ভোট দিন’’, পাঁচ ভাষায় প্রথম বারের ভোটারদের আবেদন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। প্রথম দফায় ভোট হচ্ছে দেশের ১০২টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৩টি আসনও। এই তিনটি আসনই উত্তরবঙ্গে। এই আসনগুলির একটিতে ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের। এদিন সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনও হচ্ছে একই সঙ্গে।

    প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ (Lok Sabha Election 2024)

    ভোট শুরু হতেই দেশবাসীকে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাঁরা এবারই প্রথম ভোট দেবেন, তাঁরা যাতে আরও বেশি করে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হন, এক্স হ্যান্ডেলে পাঁচটি ভাষায় ট্যুইট করে সেই আবেদনই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (Lok Sabha Election 2024) লিখেছেন, “লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ আজ হচ্ছে। দেশের ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে। এই আসনগুলির ভোটারদের আমি অনুরোধ করছি রেকর্ড পরিমাণে ভোট দিন। আমি বিশেষত তরুণ এবং এবারই যাঁরা প্রথম ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের অনুরোধ করছি আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করুন ভোট-পর্বে। সব শেষে প্রতিটি ভোট গণনা হবে, প্রত্যেকের স্বর ম্যাটার করবে।”

    কোথায় কোথায় হচ্ছে ভোট

    প্রসঙ্গত, এদিন তামিলনাড়ুর ৩৯টি কেন্দ্রেই নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের ৫টি, অরুণাচলের ২টি, মেঘালয়ের ২টি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১টি, মিজোরামের ১টি, নাগাল্যান্ডের ১টি, পুদুচেরির ১টি, সিকিমের ১টি এবং লাক্ষাদ্বীপের ১টি আসনেও। এদিনই মতদান করবেন রাজস্থানের ১২টি, উত্তরপ্রদেশের ৮টি, মধ্যপ্রদেশের ৬টি, আসাম এবং মহারাষ্ট্রের ৫টি করে, বিহারের ৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৩টি কেন্দ্রের ভোটাররাও। ভোট দিচ্ছেন ত্রিপুরা, ছত্তিশগড় এবং জম্মু-কাশ্মীরের ১টি করে কেন্দ্রের ভোটাররাও। মণিপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্রের একটিতেও চলছে ভোটগ্রহণ। তবে আউটার মণিপুর কেন্দ্রে নির্বাচন হবে দু’দফায়। একটি অংশে নির্বাচন হচ্ছে এদিন। ওই কেন্দ্রের বাকি অংশে ভোট নেওয়া হবে ২৬ এপ্রিল।

    এদিন বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর ভাগ্যও পরীক্ষা চলছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক, নাগপুরের নীতিন গডকরি, অরুণাচল প্রদেশের কিরেন রিজিজু, বিকানেরের অর্জুন রাম মেঘওয়াল, ডিব্রুগড়ের সর্বানন্দ সোনোওয়াল, জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে জিতেন্দ্র সিংহ, কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে নকুন নাথের (Lok Sabha Election 2024)।

    আরও পড়ুুন: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসব শুরু, প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে দেশে

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পরীক্ষা! প্রথম পর্বের প্রচার শেষ, শুক্রে ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ

    Lok Sabha Election 2024: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পরীক্ষা! প্রথম পর্বের প্রচার শেষ, শুক্রে ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। পরীক্ষা শুরু হবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের। অষ্টাদশ লোকসভার সাত দফা ভোট-পর্বের (Lok Sabha Election 2024) প্রথম দফায় শুক্রবার দেশের ১৭টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হবে ১০২টি আসনে। প্রথম পর্বের প্রচারের পালা শেষ হয়েছে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায়। এই পর্বে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে। প্রথম ধাপে মোট ১,৬২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মাত্র ১৩৪ জন মহিলা প্রার্থী (৮%), বাকি ১,৪৯১ জন পুরুষ।

    কোথায় কোথায় ভোট

    শুক্রবার প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দু’টি করে আসনে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024) হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তিশগড়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পুদুচেরিতে। উল্লেখ্য, মণিপুরে মোট দু’টি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দু’দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার তাই আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বিহারের চার, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয়, উত্তরপ্রদেশের আট আসন, রাজস্থানের ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই দফায় সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ৩৯টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়। 

    লোকসভার পাশে বিধানসভাও

    লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ৬০ এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনের সবক’টিতেই ভোটগ্রহণ হবে এই দফায়। শুক্রবার যে ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে তার মধ্যে ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্র-সহ মোট ৫১টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। যার মধ্যে ৪০টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।

    প্রথম দফায় উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা

    নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রথম দফায় ভাগ্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত প্রার্থীদের মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন প্রাক্তন রাজ্যপাল রয়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি। নাগপুর আসন থেকে জয়ের হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন নিতিন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু অরুণাচল পশ্চিম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং অরুণাচল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নবম টুকি। অসমের ডিব্রুগড় কেন্দ্রের প্রার্থী কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংও প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। উধমপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করাই তাঁর লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যসভার সদস্য ভূপেন্দ্র যাদব আলওয়ার আসন থেকে কংগ্রেস বিধায়ক ললিত যাদবের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    আরও পড়ুন: ‘এই নির্বাচন উন্নত জীবনযাত্রার নির্ণায়ক’, ভোটের আগে এনডিএ প্রার্থীদের বিশেষ চিঠি মোদির

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন রাজস্থানের বিকানের সংসদীয় আসন থেকে আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং তামিলনাড়ুর নীলগিরিস আসনে কেন্দ্রীয় মৎস্য প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান। তামিলিসাই সুন্দররাজন, যিনি সম্প্রতি তেলঙ্গানার রাজ্যপাল এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, চেন্নাই দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ অন্যান্য বিশিষ্ট নামগুলির মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরমের পুত্র তথা শিবগঙ্গার সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম। কোয়েম্বাটুর আসন থেকে তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি কে আন্নামালাই, নীলগিরি থেকে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মন্ত্রী এ রাজা, থুথুকুডি থেকে ডিএমকে-র কানিমোঝি, মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া থেকে সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে নকুল নাথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঝালদা পুরসভায় এখনই হচ্ছে না আস্থাভোট

    Jhalda: ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঝালদা পুরসভায় এখনই হচ্ছে না আস্থাভোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে ৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। জেলা শাসকের উপস্থিতি এই ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। কিন্তু, বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নতুন নির্দেশ মেনে আগামী ৮ ডিসেম্বর পুরসভায় আস্থাভোট হচ্ছে না। 

    আস্থাভোট নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের কী পর্যবেক্ষণ? (Jhalda)

    ঝালদা (Jhalda) পুরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলা করেছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দুও। পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলার এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলার পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছিলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থাভোট করাতে হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তা নিয়ে রিপোর্টও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। বুধবার বিচারপতি সিংহের সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানায়, চেয়ারপার্সন অপসারণের পৃথক এবং নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। চেয়ারপার্সনকে অপসারণের ক্ষেত্রে সেই নিয়মই মেনে চলতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আদালত এই বিষয়ে আস্থাভোট করানোর নির্দেশ দিতে পারে না। পুরসভায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। সে ক্ষেত্রে পুরসভা যদি মনে করে, আস্থাভোট করানো প্রয়োজন, তা হলে তা-ই হবে।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। চেয়ারম্যানকে  সরাতে চেয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই আদালতে যায়। তবে, এবার আস্থাভোট না করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়েও তৃণমূল নেতার সামনে দিতে হচ্ছে ভোট!

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়েও তৃণমূল নেতার সামনে দিতে হচ্ছে ভোট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হুগলি জেলার আরামবাগ। তৃণমূলের (TMC) ভোটগ্রহণ কর্মসূচিতে কারচুপির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। একাধিক জেলার কর্মসূচিতে এরকম গণ্ডগোলের উদাহরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে আগেই, যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। এবার আরামবাগে নবজোয়ার কর্মসূচির ভোটাভুটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আরামবাগের কালিপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে অভিষেকের অধিবেশন শুরু করার আগেই ভোটাভুটি শুরু হয়। কিন্তু এই ভোটাভুটিতেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে।

    ভোটাভুটি নিয়ে কী অভিযোগ (TMC)?

    অভিযোগ, ভোট চলাকালীন আরামবাগের হরিণখোলা এক নম্বর অঞ্চলের সভাপতি (TMC) পার্থ হাজারি ভোট বাক্সের কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং তাঁর সামনে ভোট দিতে হচ্ছে তৃণমূ্লের নেতা-কর্মীদের। আরও অভিযোগ, জেরক্স করে এনে ভোটার স্লিপ ভোট বাক্সে দেওয়া হচ্ছে। এরপর আই প্যাকের লোকেরা তা জানতে পেরে প্রাথমিকভাবে হরিণখোলা এক নম্বর অঞ্চলের যে তাঁবুতে ভোট হচ্ছিল, তা বন্ধ করে দেন।

    কী বললেন কুণাল ঘোষ (TMC)?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” যদি কোথাও এই রকম ঘটনা ঘটে, সেখানে পুনরায় ভোট করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এত বড় একটা কর্মকাণ্ড চলছে। একটা দলের (TMC) প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এরকম ভোটগ্রহণ কর্মসূচি প্রথম। সেখানে এক-আধটা জায়গায় এরকম বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটতেই পারে। এতে আসল বিষয়টিতে কোনও অসুবিধা হবে না। কুণাল যাই বলুন, এই রকম কারচুপি করে ভোট হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় তৃণমূল মহলে। যদিও যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ উঠছে, সেই পার্থ হাজারি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের (TMC) জন্যই চলছে ভোটগ্রহণ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার হুগলি জেলায় দ্বিতীয় দিনের নবজোয়ার কর্মসূচিতে একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC)। মঙ্গলবার দুপুরে তারকেশ্বর মন্দিরে যান অভিষেক। সেখানে পুজো দেন। এরপর যান রাধানগর রামমোহন রায় মেমোরিয়ালে। সেখান থেকে কামারপুকুরে শ্রী রামকৃষ্ণের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেখান থেকে রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যান আরামবাগের কালীপুর মাঠে। প্রসঙ্গত, গত মে মাস থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। জেলায় জেলায় জন সংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। এর মাঝেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য চলছে ভোটগ্রহণ কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayet: চাঁদা তুলে রাস্তা সারাইয়ে নামলেন গ্রামবাসীরা, জানেনই না পঞ্চায়েত প্রধান!

    Panchayet: চাঁদা তুলে রাস্তা সারাইয়ে নামলেন গ্রামবাসীরা, জানেনই না পঞ্চায়েত প্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। মাটির রাস্তা হয়নি পাকা। বর্ষায় কর্দমাক্ত রাস্তায় হাঁটাচলা করাই দায় হয়ে যায়। কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। স্কুলের কচিকাঁচারা রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় খালে, নালায় পড়ে যায়। অবশেষে বাসিন্দারা নিজেরাই চাঁদা তুলে, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রাস্তা সারাই শুরু করলেন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফোসকারডাঙা এলাকার ঘটনা। তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন সত্যিই যেন এখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে! সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, গ্রামের এই সমস্যা এবং তা থেকে প্রতিকার পেতে গ্রামবাসীরা যে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন, তা নাকি তিনি জানেনই না। বলা বাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এটা বিরোধীদের বড় অস্ত্র হতে চলেছে। 

    কীভাবে তৈরি হচ্ছে রাস্তা?

    গ্রামবাসীদের চাঁদায় এখানে বালি ও পাথর কেনা হয়েছে। তারপর কোদাল, বেলচা হাতে নিয়ে রাস্তা সারাইয়ের কাজে নেমেছেন বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা রবিবার থেকে এই কাজ শুরু করেছেন। আগামি কয়েকদিনে রাস্তা সারাইয়ের কাজ সম্পন্ন করবেন বলে জানা গিয়েছে। গ্রামের পঞ্চায়েত ও গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় ফোসকারডাঙা এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 
     

    রাস্তা সারাইয়ে গ্রামের মহিলারাও, কী বললেন তাঁরা?

    গ্রামের পুরুষদের সাথে রাস্তা সারাইয়ের কাজে হাত দিয়েছেন মহিলারাও। গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তী রায় বলেন, “অনেক বলেও আমাদের এলাকার রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষায় এলাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। অসুস্থ মানুষকে কাঁধে করে পাকা রাস্তায় তুলে সেখান থেকে গাড়িতে তুলতে হয়। স্কুলের বাচ্চারা এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খালে, নালায় পড়ে যায়। গ্রামের পঞ্চায়েত ও অঞ্চলের (Panchayet) প্রধানকে বলেও কোন কাজ হয়নি। তাই নিজেরা চাঁদা তুলে সেই টাকা দিয়ে বালি, পাথর কিনেছি। আর আমরা নিজেরা কাজ করে বর্ষার আগেই রাস্তা তৈরি করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে হবে”, রাজ্যকে নির্দেশ রাজীব কুমারের

    Lok Sabha Election 2024: “হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে হবে”, রাজ্যকে নির্দেশ রাজীব কুমারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বিঘ্নে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ব্যবস্থা করুক রাজ্য।” মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা ও ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, “হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে হবে। এই বিষয়টাকে নিশ্চিত করতে হবে। ভয়মুক্ত হয়ে যাতে প্রত্যেকে উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে পারেন।”

    কড়া হাতে হিংসা দমন

    নির্বাচন পূর্ববর্তী ও নির্বাচনোত্তর পর্যায়ের হিংসাকে কড়া হাতে দমন করা হবে বলেও জানান তিনি। রাজীব বলেন, “কোনওরকম সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে।” তিনি বলেন, “একটা বিষয়ই সুনিশ্চিত করে বলে দিতে চাই, কোনওভাবেই নির্বাচনে কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। টাকার খেলাও বরদাস্ত করা হবে না। ভোটার উৎসবের মেজাজে ভোট দেবেন, এ ব্যাপারে প্রশাসন ও আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার যেন তাঁদের অধঃস্তনদের এক্ষেত্রে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। যদি তাঁরা করেন তো ভালো, না হলে আমরা তাঁদের দিয়ে করিয়ে নেব।”

    “সিটিজেন্স ভিজিলেন্সের”

    রাজীব বলেন, “সিটিজেন্স ভিজিলেন্সেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অভিযোগ ছবি তুলে কিংবা লিখে পাঠিয়ে দেবেন। লোকেশন আমরাই খুঁজে নেব। কোথাও বুথে, ভোটকেন্দ্রে কোনও অনিয়ম হচ্ছে কিনা, তা দেখলেই আমাদের জানান।” তিনি জানান, যেসব ভোটারের ৪০ শতাংশের বেশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তাঁদের ঘর থেকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে (Lok Sabha Election 2024)। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী সব রাজ্যেই গিয়েছে। গোটা দেশে যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়েছে, তার মাত্র ১০ শতাংশ বাংলায় এসেছে।” বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই, তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজীব। বলেন, “রাজ্য পুলিশ অবশ্যই থাকবে। রাজ্য পুলিশেরই প্রাথমিক ও প্রথম দায়িত্ব নির্বাচনে নিরাপত্তা ও শান্তি সুনিশ্চিত করা।” বিভিন্ন নির্বাচনে অশান্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আশা করছি, এবার সেরকম কিছু হবে না। যদি হয়, তাহলে জেলা প্রশাসনই বিষয়টি দেখে নেবে। যদি না দেখে, তাহলে আমরা জেলা প্রশাসনকে দিয়েই ব্যাপারটা দেখিয়ে নেব (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Vote For Note: ‘সাংসদ-বিধায়কদের রক্ষাকবচ নয়’, ভোটের বদলে নোট মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়

    Vote For Note: ‘সাংসদ-বিধায়কদের রক্ষাকবচ নয়’, ভোটের বদলে নোট মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের বদলে নোট (Vote For Note) মামলায় ঐতিহাসিক রায় সু্প্রিম কোর্টের। এবার থেকে এই মামলায় কোনও সাংসদ বা বিধায়ক ঘুষ নিয়েছেন এমনতর অভিযোগ উঠলে কোনওরকম রক্ষাকবচ ছাড়াই যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা যাবে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ দিয়েছে এই রায়।

    ‘রক্ষাকবচ নয়’

    সাংসদ বা বিধায়কদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ভাষণ দেওয়া বা ভোট দেওয়ার অভিযোগের বিরুদ্ধে সাংসদ-বিধায়কদের রক্ষাকবচ দিয়েছিল পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। ১৯৯৮ সালের সাংবিধানিক বেঞ্চের সেই নির্দেশ এদিন খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের যুক্তি, ’৯৮ সালের ওই রায় ভারতীয় সংবিধানের ১০৫ ও ১৯৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। তাই (Vote For Note) খারিজ করে দেওয়া হল ওই রায়। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আইনপ্রণেতাদের দুর্নীতি ও ঘুষ ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রকে ভেঙে দিচ্ছে।” তিনি বলেন (Vote For Note), “পিভি নরসিংহ রাও মামলার রায়ে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে কোনও আইনপ্রণেতা যিনি ঘুষ নিয়ে ভোট দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা যায় না, পাশাপাশি যিনি ঘুষ না নিয়ে ভোট দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায়।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও ওই বেঞ্চে ছিলেন পিএস নরসিংহ, এস বোপান্না, এমএম সুন্দ্রেশ, জেবি পার্দিওয়ালা, সঞ্জয় কুমার ও মনোজ মিশ্র। বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, ঘুষ নিয়ে রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট দিলেও, কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে। চন্দ্রচূড় বলেন, “ঘুষ তখনই সম্পূর্ণ হয়, যখন তা গ্রহণ করা হয়। ঘুষকে মান্যতা দেয় না সংবিধানের স্বাধীকার। আমরা সব দিক পর্যালোচনা করেই পুরানো সিদ্ধান্তকে বাতিল করছি।”

    আরও পড়ুুন: মমতার সভার আগেই শুভেন্দু গড়ে ধরাশায়ী তৃণমূল, সমবায় বোর্ড দখল বিজেপির

    ২০১২ সালে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ সীতা সোরেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে রাজ্যসভায় ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদে সুরক্ষাকবচ দাবি করেন তিনি। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত বছর এই মামলার শুনানির পর সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল রায় (Vote For Note)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: বাংলায় ২৯টি আসন পাবে বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: বাংলায় ২৯টি আসন পাবে বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আব কি বার, চারশো পার।’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) বিজেপি নেতা-কর্মীদের কানে এই মন্ত্রই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সেই মন্ত্রদীক্ষা বাস্তবায়িত করতে প্রাণপাত করছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেমন ফল করতে পারে বিজেপি, বাংলায় তৃণমূলেরই বা কী হাল, তা জানতে সমীক্ষা করছে বিভিন্ন সমীক্ষক দল। সম্প্রতি এমন একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ‘ফেডারেল পুথিয়াথালাইমুরাই এপ্ট ২০২৪’ নামের একটি সংস্থা সম্প্রতি করেছিল সমীক্ষাটি। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) বাংলায় বাড়বে বিজেপির ভোট। প্রত্যাশিতভাবেই কমবে তৃণমূলের ভোট। কেরলে বাড়বে কংগ্রেসের ভোটের হার। বাংলা ও কেরল দুই রাজ্যেই করুণ হতে পারে বামেদের দশা। সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে পেতে পারে রেকর্ড সংখ্যক আসন। বাংলায় বিজেপি পেতে পারে ৪১.৭৮ শতাংশ ভোট। ভোট কমতে পারে তৃণমূলের। তারা পেতে পারে ৩১.৮৬ শতাংশ ভোট। কেরলে দ্বিতীয় স্থান দখল করতে লড়াই হবে বিজেপি এবং সিপিএমের মধ্যে।

    বিজেপির আসন কত?

    সমীক্ষা অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ২৯টি আসন পেতে পারে। রাজ্যের মোট আসন ৪২টি। তার মধ্যে ২৯টি পেতে পারে পদ্ম শিবির। তৃণমূল সরকার পেতে পারে ১৩টি আসন। অন্য দলগুলির প্রাপ্তির ভাঁড়ার থাকবে শূন্য। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন পায় বিজেপি। এবার সেটাই বেড়ে হতে পারে ২৯টি। বিজেপির আসন বাড়ায় এক ধাক্কায় তৃণমূলের আসন কমে যেতে পারে ৯টি। দলের ভোট শেয়ার কমতে পারে ১১ শতাংশ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এ রাজ্যে পেয়েছিল দুটি আসন। এবার সেই দুটি আসন আর পাবে না গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। কংগ্রেসের ভোট কমবে এক শতাংশ। আর বামেদের ভোট কমবে চার শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: আইপ্যাকের নাম করে হুমায়ুন কবীরকে মন্ত্রী করার টোপ! চাওয়া হল ১০ লক্ষ টাকা

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের গুচ্ছ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। কলঙ্ক লেগেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়েও। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো তৃণমূলের গায়ে লেগেছে সন্দেশখালির কালিও। সব মিলিয়ে, কার্যত লেজেগোবরে দশা তৃণমূলের। যার জেরেই বাড়তে চলেছে বিজেপির আসন (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission Of India: আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে, জেলায় নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের 

    Election Commission Of India: আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে, জেলায় নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024)। ভোটের সময় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক, চায় না জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission Of India)। তাই এখন থেকেই নজরদারি শুরু করে দিল তারা। সব জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ, আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনকে। জেলায় জেলায় কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলেই রিপোর্ট দিতে হবে। সম্প্রতি  রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেই জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশন সূত্রের দাবি, ৫ জানুয়ারি থেকে রিপোর্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে জেলাশাসকদের। সাধারণত, ভোটের ছ’মাস আগে থেকে আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট নিতে শুরু করে কমিশন (Election Commission Of India)। তাতে গত নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় জেলায় পরিস্থিতির তথ্য দেওয়ার কথা। এ ছাড়াও ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে প্রতি সপ্তাহের সবিস্তার তথ্য পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, অতীতের কোন ভোটে কোনও বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকলে, সেই তথ্যও জানানোর কথা জেলা-কর্তাদের। ভোট বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণ আইনশৃঙ্খলা ছাড়াও, জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, অস্ত্র উদ্ধার, অতীতের ভোটগুলিতে গোলমাল পাকানো ব্যক্তিদের এখনকার তথ্য ইত্যাদি সবই জানাতে হবে প্রতি সাত দিন অন্তর।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতির ট্র্যাকে পয়লা নম্বরেই থাকবে ভারত! পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের

    ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক

    বছরের শুরুতেই লোকসভা ভোট প্রস্তুতি নিয়ে জেলাশাসক দের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। নির্ভুল ভোটার তালিকা যাতে তৈরি হয় সে বিষয়েও জেলাশাসকদের ফের সতর্ক করলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রগুলির কী পরিস্থিতি, নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী স্কুলগুলির পরিকাঠামো ঠিকঠাক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share