Tag: wb

wb

  • Suvendu Adhikari: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হোক।” মঙ্গলবার এমনই দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই অভিযান উপলক্ষে ব্যাপক জমায়েত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আন্দোলনকারীদের রুখতে কোথাও রাস্তায় রাখা হয়েছে কন্টেনার, কোথাও আবার রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। আবার কোথাও ব্যারিকেডের গায়ে লাগানো হয়েছে গ্রিজের পুরু আস্তরণ। এতেও ক্ষান্ত হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। নির্বিচারে চালিয়েছে লাঠি, ব্যবহার করেছে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন বহু আন্দোলনকারী।

    রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি (Suvendu Adhikari)

    কর্মসূচি শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানেই দাবি তোলেন পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের। পুলিশের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “পুলিশকে আমি আবারও বলব, আপনারা ধরপাকড় বন্ধ করুন। আপনারা সামলাতে পারবেন না। সাঁতরাগাছির জনতাকে ভিডিও কল করে অনুরোধ করেছি, সাধারণ পুলিশ কর্মী ও ছাত্র সমাজ-সহ নিরীহ জনগণ আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশের জল কামানের জল শেষ, গ্যাস শেষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকেও অসহায় অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    “মমতার পদত্যাগ চাই”

    শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা (পুলিশ) বাধ্য হতেন গুলি চালাতে। নীচের তলার পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। তাঁদেরও স্ত্রী-মা-বোন আছে। আমরা চাই না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব কুমারদের ভুল পলিসির জন্য তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হোন।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “এটা সাধারণ মানুষের একটা সফল কার্যক্রম। তবে পুলিশের উসকানি ছিল। তারা প্রচুর মানুষকে মারধর করেছে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি অনুরোধ করব, আপনারা ধরপাকড়, মারধর বন্ধ করুন। জাগ্রত জনতার সঙ্গে পারবেন না। ফেল করবেন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা মমতার পদত্যাগ চাই। এই আন্দোলন একদিনের (RG Kar Incident) নয়। কর্মসূচি আরও হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগে বাধ্য করব। পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হোক আমরা চাইব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই বর্ষাকাল। তবে জাঁকিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়নি এখনও। তা সত্ত্বেও শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার (Dengue and malaria) প্রকোপ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে (Health Update) জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪১। মৃত্যুর কোনও খবর এখনও নেই। এপ্রিল মাসের শেষে এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা  ২ হাজার ১৬৪ জন। বাংলায় মৃত্যু হয়েছে এক ম্যালেরিয়া রোগীর। ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। বিভিন্ন জেলায় দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ।

    বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

    বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে একশোর ঘর। গত ছ’মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হাজার দেড়েক। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এর পরেই রয়েছে কলকাতা। এখানে মশা-বাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে একশোর কোঠা। মালদা, মুর্শিদাবাদ, আসানসোল এবং হুগলির ছবিটাও ভয় ধরায় মনে।

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছর জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০ ছাড়িয়েছে (Health Update)। মালদায়ও সংখ্যাটা প্রায় একই। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শোর ওপরে। হুগলিতে দেড়শোর কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, গত বছর এ রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ভেঙে দিয়েছিল গত এক যুগের রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলই প্রকাশ করুন’’, টেটের ৪২০০০ নিয়োগ নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এমতাবস্থায় জ্বর হলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে এই মর্মে নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। এজন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে।

    এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁটে-গাঁটে ব্যথা ছাড়াও, হালকা জ্বর এবং পেটে মোচড় দেওয়ার মতো উপসর্গও এবার দেখা যাচ্ছে। তাই পেট খারাপ ও অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গির (Dengue and malaria) এনএস ওয়ান পরীক্ষা লিখতে হবে প্রেসক্রিপশনে (Health Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WB Law And Order: রাজ্যে বাড়ছে গণপিটুনির ঘটনা, বাংলায় অরাজক পরিস্থিতি কেন?

    WB Law And Order: রাজ্যে বাড়ছে গণপিটুনির ঘটনা, বাংলায় অরাজক পরিস্থিতি কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এরা (বিজেপি) কোর্ট কিনে নিয়েছে। আমি সুপ্রিম কোর্টের কথা বলছি না। সিবিআইকে কিনে নিয়েছে, বিএসএফকে কিনে নিয়েছে।” কথাগুলি যিনি বলেছেন তিনি ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রীও বটে। তাঁরই রাজত্বে (WB Law And Order) গত কয়েকদিন ধরে নির্বিচারে চলছে গণপিটুনির ঘটনা। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই আইন হাতে তুলে নিয়েছে জনতা। স্বাভাবিক। যে রাজ্যের খোদ মুখ্যমন্ত্রীরই আস্থা নেই আদালতের ওপর, সে রাজ্যের জনগণের যে তা থাকবে না, তা বলাই বাহুল্য।

    রাজ্যের অরাজক পরিস্থিতি (WB Law And Order)

    অগত্যা কোথাও ছেলেধরা সন্দেহে হয়েছে গণধোলাই। কোথাও আবার মোবাইল চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন। কোথাও আবার তৃণমূল নেতার দাবি মতো জরিমানা না দেওয়ায় চুলের মুঠি ধরে তরুণীকে রাস্তায় ফেলে মার মমতার অনুগত এক সৈনিকের! রাজ্যের এই অরাজক পরিস্থিতিতে গোটা দেশে ছিছিক্কার! এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত কয়েকদিনে বঙ্গের রঙ্গভূমিতে কোন কোন ঘটনা জায়গা করে নিয়েছে সংবাদপত্রের প্রথম পাতা।

    মৃত্যু, মৃত্যু এবং মৃত্যু…

    রবিবারই চোপড়ায় এক তরুণ ও তরুণীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেছেন এক ব্যক্তি। পরে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম তাজম্মুল। চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ। এদিনই চোর সন্দেহে গণপিটুনির জেরে ঝাড়গ্রামে মৃত্যু হয়েছে পেশায় টোটো চালক বছর তেইশের সৌরভ সাউয়ের। হাসপাতালে (WB Law And Order) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাঁরই বন্ধু অক্ষয় মাহাত।

    গত শুক্রবারই খাস কলকাতায় বউবাজার এলাকার একটি ছাত্রাবাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ইরশাদ নামের এক তরুণের। মোবাইল চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বউবাজারের এই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা আগেই সল্টলেকের পোলের আইট এলাকায়ও মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় কার্যত ঠুঁটো হয়ে বসে রয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই, তবে তারা কবে শাস্তি পাবে, আদৌ পাবে কিনা, এসব প্রশ্নও উঠছে।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, খোদ মুখ্যমন্ত্রী যেখানে আদালতের ওপর ভরসা করছেন না, সেখানে জনগণ যে আইন হাতে তুলে নেবে, তা খুবই স্বাভাবিক। একজন মুখ্যমন্ত্রী, সংবিধান এবং রাজ্যবাসীকে রক্ষার দায় যাঁর ঘাড়ে, তাঁর আলটপকা মন্তব্যের পরিণতি কী হতে পারে, এই ঘটনাগুলোই তার জাজ্জ্বল্য প্রমাণ। রাজ্যের এই অরাজক পরিস্থিতিকে কটাক্ষ করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। এই তালিকায় যেমন রয়েছে বিজেপি, তেমনি রয়েছে সিপিএমও। রাজ্যের শাসক দলের প্রতি তাঁরা হেনেছেন কটাক্ষ-বাণ (WB Law And Order)।

    আর পড়ুন: জরিমানা না দেওয়ায় চুলের মুঠি ধরে মার তরুণীকে, ভাইরাল ভিডিওয় কাঠগড়ায় তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: বঙ্গে বাড়তে চলেছে বিজেপির আসন, ইঙ্গিত একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায়

    Lok Sabha Election 2024: বঙ্গে বাড়তে চলেছে বিজেপির আসন, ইঙ্গিত একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়লা জুন, শনিবার শেষ হল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচন হয়েছে ৫৪৩টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনও। গত মার্চ মাসে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে পরেই বিজেপি দাবি করেছিল, বাংলায় এবার আসন বাড়বে পদ্ম-পার্টির। বাংলায় যে এবার আরও বেশি কেন্দ্রে পদ্ম ফুটবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    আইবি-র রিপোর্ট (Lok Sabha Election 2024)

    শেষ দফার নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রচারে এসে তিনি বলেছিলেন, “দেশের মধ্যে পারফরমেন্সে এগিয়ে বঙ্গ বিজেপি।” যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দাবি, এবারও রাজ্যে ভালো করবে ঘাসফুল শিবির। ভোট কূশলী প্রশান্ত কিশোর অবশ্য দাবি করেছিলেন, বাংলায় এক নম্বর দল হবে বিজেপি। এদিকে, আইবি-র তরফে যে রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে, সেখানেও বলা হয়েছে বিজেপি পেতে পারে ২৮-৩০টি আসন। তবে এ রাজ্যে ঠিক কারা এগিয়ে, পিছিয়েই বা কারা, কী বলছে এক্সিট পোল, আসুন (Lok Sabha Election 2024) জেনে নেওয়া যাক।

    কী বলছে সমীক্ষা?

    সি ভোটারের সমীক্ষায় প্রকাশ, বাংলায় বিজেপি পেতে পারে ২৩-২৭টি আসন, তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ১৩-১৭টি আসন, বাম-কংগ্রেস পেতে পারে ১-৩টি আসন। ‘জন কি বাতে’র সমীক্ষা অনুযায়ী, গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ২১-২৬টি আসন, তৃণমূল পেতে পারে ১৬-১৮টি আসন, বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে যেতে পারে ৩টি আসন। নিউজ ১৮ মেগা এক্সিট পোলের সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেতে পারে ২১-২৪টি আসন।

    আর পড়ুন: তৃতীয় বার মোদি সরকার, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপিই, বলছে এক্সিট পোল

    রিপাবলিক ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী, পদ্ম ফুটতে পারে ২১-২৫টি আসনে, আর ঘাসফুল মাথা তুলতে পারে ১৬-২০টি আসনে। রিপাবলিক পি এমএআরকিউয়ের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ২২টি আসন, তৃণমূল ২০টি। ইন্ডিয়া নিউজ-ডি ডাইনামিক্সের সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি পাবে ২১টি আসন, তৃণমূলের ঝুলিতে ১৯টি। এনডিটিভি ইন্ডিয়া-জন কি বাতের দাবি, বিজেপি পাবে ২১-২৬টি আসন, তৃণমূল ১৬-১৮টি। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, এ রাজ্যে বিজেপি পেতে পারে ৪২.৫ শতাংশ ভোট, তৃণমূল পেতে পারে ৪১.৫ শতাংশ ভোট, বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১৩.২ শতাংশ ভোট (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAPF: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    CAPF: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য গোটা দেশে খ্যাতি রয়েছে বাংলার! বিরোধীদের এহেন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই হিংসা ঠেকাতে রাজ্যে মোতায়েন থাকবে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (CAPF)। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বাহিনী থাকবে ৬ জুন পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ফল বের হবে ৪ জুন।

    রাজ্য চলছে শেষ দফার নির্বাচন (CAPF)

    পয়লা জুন, শনিবার লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন আসনে। রাজ্যের ৯টি আসনেও চলছে নির্বাচন। ১৭ হাজার ৪৭০টি বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৩ হাজার ৭৪৮টি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে ৯৬৭ কোম্পানি। ৩৩ হাজার ২৯২ জন রাজ্য পুলিশ কর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনে (CAPF)। কমিশন জানিয়েছে, সপ্তম তথা শেষ দফায় সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন ১০জন। পুলিশ পর্যবেক্ষক ৫জন। খরচ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ১১ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমিশনে জমা পড়েছে ৪০ হাজার ৪৬২টি অভিযোগ। এর মধ্যে ৩৫ হাজার ৯৮৬টি অভিযোগের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।

    বিধানসভা নির্বাচনে হিংসা

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের স্মৃতি এখনও ফিকে হয়ে যায়নি। সেই নির্বাচনে বাংলার বিভিন্ন পকেটে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও বিরোধীদের ওপর অত্যাচার হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছিল। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনেও ভোট হয়ে যাওয়ার পর কয়েকটি কেন্দ্রে অশান্তি হয়েছে বলে জেনেছে কমিশন। রাজনৈতিক মহলের মতে, তার পরেই ভোটের ফল বেরনোর দু’দিন পর পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

    আর পড়ুন: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, তার মধ্যে সিআরপিএফ-ই ১১৫ কোম্পানি, বিএসএফ ১১৮ কোম্পানি, সিআইএসএফ ৭১ কোম্পানি, আইটিবিপি ৩৬ কোম্পানি, এসএসবি ৬০ কোম্পানি। এদিকে, শেষ দফার নির্বাচনে ওয়েবকাস্টিংয়ের ওপর আরও বেশি করে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ পর্বে ক্যামেরা নিয়ে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলেও প্রিসাইডিং অফিসারদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে (CAPF)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, সংক্ষেপে সিএএ (CAA) অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির স্থান-কাল জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আপাতত এই শংসাপত্র বিলি হবে পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সিএএ আইন অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু করেছে সিএএ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি। প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে প্রথমবার তিনশো জন আবেদনকারীকে সিএএ-র শংসাপত্র বিলি করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিল্লিতে ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে এই শংসাপত্র তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং।

    সিএএ শংসাপত্র বিলি শুরু (CAA)

    বুধ-সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০২৪ এর আওতায় পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব শংসাপত্র মঞ্জুরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ প্রথম দফার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে পশ্চিমবঙ্গের এমপাওয়ার্ড কমিটি। একইভাবে হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডেও বুধবার থেকে প্রথম দফার আবেদনপত্রগুলির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এমপাওয়ার্ড কমিটি।

    সিএএ

    গত ১১ মার্চ, দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ। যদিও ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি পাশ হওয়ার পর পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। বিলটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সব অ-মুসলিম মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অন্তত পাঁচ বছর ভারতে বাস করছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে সিএএতে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    আর পড়ুন: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    সিএএ আইনের ব্যাখ্যায় যাঁরা পাঁচ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত, তাঁদেরও আবেদনের কথা ভাবতে হতে পারে। এই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কিংবা তার পরে যাঁদের ভারতে জন্ম, তাঁদের বাবা-মা দুজনেই ভারতীয় হলে, তিনিও এ দেশের নাগরিক। কিন্তু বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজন ভারতীয় নাগরিক না হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে তাঁদের সন্তানের নাগরিকত্ব (CAA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    PM Modi: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে জনসভা করেন বারুইপুরে। সন্ধেয় কলকাতায় রোড-শো করার কথা। তার আগে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এক পেশে লড়াই হচ্ছে। এই লড়াই তৃণমূল লড়ছে স্রেফ অস্তিত্ব রক্ষার জন্য।”

    টিকে থাকার লড়াই তৃণমূলের! (PM Modi)

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে এখনও ভোট হয়নি ৯টি কেন্দ্রে। পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় নির্বাচন হবে এই কেন্দ্রগুলিতে। তার আগে দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলার ভোটে তৃণমূল দল কেবল টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন বাংলায় বিজেপির তিনটি আসন ছিল। সেখান থেকে বেড়ে ৮০টি (আসলে ৭৭টি) হয়েছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা প্রচুর সমর্থন পেয়েছিলাম।”

    বেস্ট পারফর্মিং রাজ্য

    এর পরেই তিনি বলেন, “গোটা দেশের মধ্যে বাংলা হবে বিজেপির বেস্ট পারফর্মিং রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে সব চেয়ে বেশি সাফল্য পাবে বিজেপি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় লাগাতার খুন আর হামলার ঘটনা ঘটছে। ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এই সব অত্যাচার সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বেরিয়ে এসে নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন।” সাক্ষাৎকারে প্রত্যাশিতভাবেই ওঠে ওবিসিদের শংসাপত্র বাতিলের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনিভাবে দেওয়া ওবিসি সংরক্ষণ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূল এখন উচ্চ আদালতকে আক্রমণ করছে। বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে।”

    আর পড়ুন: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসও। তিনি বলেন, “ওদের একটা সুনির্দিষ্ট ছক রয়েছে। প্রথম পাপ ওরা করেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানে মুসলমানদের সংরক্ষণ দেওয়ার পাপ করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনও বিধান নেই সংবিধানে। তাই সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। এবার ওরা পিছনের দরজা দিয়ে মুসলমানদের ওবিসির তালিকায় সংরক্ষণ দিতে চাইছে। কেড়ে নিতে চাইছে ওবিসিদের অধিকার।” নাম না করে ‘ইন্ডি’ জোটকেও আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “যাঁরা নতুন স্বপ্ন দেখে নতুন দৌড় শুরু করেছিলেন, তাঁদের কাছেও এটা শেষ দৌড়। কেবল নির্বাচনের নয়, ওদের অস্তিত্বেরই শেষ দৌড় (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    Lok Sabha Elections 2024: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটামুটি নির্বিঘ্নেই শেষ হল তৃতীয় দফার নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। আজ, ৭ মে নির্বাচন হয়েছে দেশের ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রে। কমিশন সূত্রে খবর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬০.১৯ শতাংশ। মতদানের হারের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি-শাসিত অসম। সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এই রাজ্যে। এখানে বিকেল ৫টি অবধি ভোট পড়েছে ৭৪.৮৬ শতাংশ।

    বাংলায় ভোটের হার (Lok Sabha Elections 2024)

    এদিন ভোট হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চারটি আসনেও (Lok Sabha Elections 2024)। কমিশন সূত্রে খবর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৭৩.৩০ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে মালদহ দক্ষিণে পোলিং হয়েছে ৭৩.৬৮ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট দানের হার ৭২.১৩ শতাংশ। মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৬.৪৯ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের চার কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। এদিন উপনির্বাচন হয়েছে ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রেও। সেখানে ভোটদানের হার ৭৩.৬৮ শতাংশ।

    অভিযোগের পাহাড়

    এই দফায় বাংলার চার কেন্দ্র মিলিয়ে কমিশনের কাছে সব মিলিয়ে জমা পড়ছে ৪৩৩টি অভিযোগ। এর মধ্যে দলগতভাবে অভিযোগ জমা পড়েছে ২৫৩টি। সব চেয়ে বেশি অভিযোগ করেছে সিপিএম। তারা অভিযোগ করেছে ১৬৩টি। কংগ্রেসের অভিযোগের সংখ্যা ২৯টি, বিজেপির ২৭টি এবং তৃণমূলের ১৮টি। এই দফায়ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া নাজিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫৯ নম্বর বুথে এক ভোটারের ভোট দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম রেজা বিশ্বাস।

    আরও পড়ুুন: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    মালদহের চাঁচলে আবার বোমা মারার হুমকি দিয়ে তুলে দেওয়া বিজেপির সহায়তা বুথ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। চাঁচল বিধানসভার মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমসাডাঙি ২২১ নম্বর বুথের ঘটনা। বিজেপি কর্মী শঙ্কর দাসের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবু সরকার দলবল নিয়ে এসে বোমা মারার হুমকি দিয়ে তাঁদের ক্যাম্প তুলে দেয়। মালদহ দক্ষিণের শামসেরগঞ্জের জোতশালীর ১২৫ ও ১২৬ নম্বর বুথে অশান্তি বাঁধানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট দিতে আসা কংগ্রেসের এক বৃদ্ধ সমর্থককে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শামসেরগঞ্জেরই ২১৯ নম্বর বুথেও। হামলা হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তিনটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দিকে। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC: বিলম্বিত বোধদয়! এবার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করবে রাজ্য শিক্ষা দফতর

    SSC: বিলম্বিত বোধদয়! এবার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করবে রাজ্য শিক্ষা দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওএমআর শিট থাকলে আইনি জটিলতা কম হত। ফলে যোগ্যদের চাকরিও সুরক্ষিত থাকত, অযোগ্যদের তথ্যও মিলত।” কথাগুলি বললেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এই একই ভুল যাতে ফের না হয়, তাই ওএমআর শিট সংরক্ষণের পদ্ধতিতেই পরিবর্তন করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

    ওএমআর শিট সংরক্ষণ (SSC)

    জানা গিয়েছে, নতুন করে যেসব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগ করা হবে, আগামী ১০ বছর পর্যন্ত সব পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট সংরক্ষণ করে রাখা হবে। নিয়োগ পদ্ধতির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রশ্নপত্রের কার্বন কপিও থাকবে পরীক্ষার্থীদের কাছে (SSC)। নয়া এই সিদ্ধান্তে স্কুল শিক্ষা দফতরের সবুজ সঙ্কতের অপেক্ষায় রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপর থেকে নিয়োগের যা পরীক্ষা হবে, সেখানে ওএমআর শিট সংরক্ষণ করে রাখা হবে ১০ বছর।”

    যোগ্য-অযোগ্য বাছাই সহজ হত

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ছাব্বিশ হাজার জন। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন এঁরা। অযোগ্যদের ভিড়ে পড়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন যোগ্য প্রার্থীরাও। সোমবার হাইকোর্টের রায় প্রকাশ্যে আসার পর কারও কারও মতে, পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা থাকলে চাকরি খোয়াতে হত না যোগ্যদের। যোগ্য-অযোগ্য শনাক্ত করাও হত অনায়াস। এ প্রসঙ্গে এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, “যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল এসএসসি। গত ১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল। আদালত তাতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের ১৮ তারিখে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “আরও বেশি করে ভোট দিন”, আবেদন মোদি, শাহের

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ওএমআর দুর্নীতি, ওএমআর কারচুপি, ওএমআরের তথ্য লোপাট সহ নানা অভিযোগ ওঠে। এই কারচুপিতে নাম জড়ায় গাজিয়াবাদের এক সংস্থার। এনওয়াইএসএ কমিউনিকেশনস প্রাইভেট লিমিটেডই মূল্যায়ন করেছিল ওএমআর শিট। এই সংস্থার হার্ডডিস্কে যাঁরা ১ বা ২ পেয়েছিলেন, কমিশনের সার্ভারে তাঁদের দেখানো হয়েছে ৫১ কিংবা ৫২ পেয়েছেন বলে। উল্টোটাও হয়েছে। মূল্যায়নকারী সংস্থার সার্ভারে যাঁর নম্বর দেখাচ্ছে ৪০, কমিশনের সার্ভারে তা কমিয়ে দেখানো হয়েছে ১০। এই কারচুপি রুখতেই নয়া ব্যবস্থা (SSC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: দিনহাটাতেই ‘বন্দি’ থাকতে হবে উদয়নকে, ফরমান কমিশনের, বিপাকে তৃণমূল!

    Lok Sabha Elections 2024: দিনহাটাতেই ‘বন্দি’ থাকতে হবে উদয়নকে, ফরমান কমিশনের, বিপাকে তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপাকে পড়ে গেল তৃণমূল! এলাকাবন্দি হয়ে গেলেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া উদয়ন গুহ। শুক্রবার নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) চলাকালীন নিজের এলাকা ছেড়ে বেরোতে পারবেন না তৃণমূলের এই মন্ত্রী। কমিশনের নির্দেশ, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট চলাকালীন কোচবিহারের এই তৃণমূল নেতা নিজের এলাকা ছেড়ে বেরতে পারবেন না। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র দিনহাটায়ই ‘বন্দি’ থাকতে হবে। অন্য কোথাও যাতায়াত করতে পারবেন না।

    কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন নিশীথ (Lok Sabha Elections 2024)

    দিন কয়েক আগে কমিশনকে উদয়নের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চিঠি দিয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি (Lok Sabha Elections 2024) লিখেছিলেন, “আপনারা জানেন উদয়ন গুহই যাবতীয় অশান্তি পাকিয়ে থাকেন। আদর্শ আচরণ বিধি চালু থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া মিছিলে আমায় দু’বার আক্রমণ করেছেন।” একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অশান্তির প্রসঙ্গও তোলেন বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উদয়ন গুহর নাম ছিল। তাঁর ঘৃণাভাষণের জেরে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হিংসায় উদ্বুদ্ধ করছেন উদয়ন গুহ।” আরও লিখেছেন, “উনি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে ঘৃণা ভাষণের জন্য খ্যাত।” নিশীথ জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সময় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়নের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা মুশকিল।

    আরও পড়ুুন: সনাতন ধর্মের যজ্ঞের আগুনেই জন্ম গণিত-বিজ্ঞান-কলাশাস্ত্রের বহু সূত্রের!

    উদয়নের ‘উত্তরণ’

    এক সময় ফরওয়ার্ড ব্লক করতেন উদয়ন। তাঁর বাবা কমল গুহ বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন। কমল প্রয়াত হওয়ার পর রাজ্যে পালাবদলের পর ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে নাম লেখান উদয়ন। বাম আমলে উদয়নের দল যাঁদের ওপর অত্যাচার করত, তাঁরা কখনওই চাননি উদয়ন তৃণমূলে যোগ দিন। তবে দলনেত্রী উদয়নকে তৃণমূলে নেওয়ায় ছুঁচো গিলতে বাধ্য হন হার্ডকোর তৃণমূল নেতারা। তার প্রমাণ মিলেছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের কাছে গোহারা হেরে যান উদয়ন। সাংসদ পদ ছেড়ে বিধায়ক হতে না চাওয়ায় বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন নিশীথ। তার পরেই হয় উপনির্বাচন। এবার উদয়ন জেতেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯ ভোটে। সেই সময় বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, উপনির্বাচনে বাম কায়দায় ভোট করিয়ে জয়ের মার্জিন দেড় লাখেরও বেশি করে ফেলেছেন একুশের নির্বাচনে ‘হেরো’ উদয়ন (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share