Tag: Weather Update

Weather Update

  • Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শহরে! শীত আসতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন

    Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শহরে! শীত আসতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। ঘূর্ণিঝড় মন্থা (Cyclone Mantha) শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, সংশ্লিষ্ট নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। অর্থাৎ ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাবে। আর তার জন্যই বৃষ্টি হবে বাংলায়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। কমপক্ষে আগামী তিন দিন বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া জারি থাকবে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বহু জেলায়। কলকাতাতেও (Kolkata) জারি হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা।

    ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি গতির দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Office) জানিয়েছে, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েক দিন ঝড়-বৃষ্টি চলবে। বৃহস্পতিবারই জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। অর্থাৎ বলা যায়, পুজোর দিন কলকাতায় বৃষ্টি হতে পারে। মূলত কয়েকটি জেলায় তুমুল বৃষ্টি হবে। সেই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া,পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে কলকাতা ও শহরতলিগুলিতে। আর আগামিকাল অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর শুক্রবার বৃষ্টি হবে সব জেলাতেই। বইতে পারে দমকা ঝোড়ো বাতাস। ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি গতির দমকা হাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। একই রকমভাবে শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা বৃষ্টি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রঝড় ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। রবিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে।

    উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই বৃষ্টি

    দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পার্বত্য জেলাগুলিতে অতি ভারী বর্ষণ, অন্যান্য জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবারও আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে অনুমান। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপকূলের কাছে সাগরে ঘণ্টায় ৩৫–৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে, তাই ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    কলকাতায় কবে শীত

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী কয়েক দিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে, বৃষ্টিও হতে পারে। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকবে। যদিও এই পারদ পতনকে শীতের আগমন বার্তা বলা যাবে না , এমনই অভিমত হাওয়া অফিসের। জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে গেলেও এখনও নভেম্বর মাস পড়েনি। শহরে শীত আসতে বেশ কিছুদিন দেরি। নিম্নচাপ কাটলেই পারদ ফের চড়বে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। ফলে এখনই রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। হালকা শীতের আমেজ রয়েছে ভোরের দিকে। জেলায় জেলায় শীত আসার ইঙ্গিত মিললেও শীত পড়তে পড়তে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

  • Cyclone Montha: ভিজল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা! মন্থার প্রভাবে বিপর্যস্ত অন্ধ্র-ওড়িশা

    Cyclone Montha: ভিজল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা! মন্থার প্রভাবে বিপর্যস্ত অন্ধ্র-ওড়িশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মন্থার (Cyclone Montha) প্রভাবে জগদ্ধাত্রী পুজোর আগেই কলকাতার আকাশে কালো মেঘ। তবে যতটা অন্ধ্র উপকূলে শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ার পর রাত পোহাতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। বুধবার ভোর থেকেই তার পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে রাজ্যে। আকাশ মেঘলা, সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি। যদিও ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে অন্ধ্র ও ওড়িশায় ব্যাহত জনজীবন৷ প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অন্ধ্রের কমপক্ষে ১৫ জেলা। ওড়িশার একাধিক জেলাতেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্য়েই অন্ধ্রে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছ পড়ে।

    কলকাতায় শুরু বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তি ক্ষয় হলেও মন্থা এখনও পুরোপুরি থামেনি। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আজও ঝিরঝিরে থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়ছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায়। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩১ ডিগ্রি, সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের মাত্র ৪০ শতাংশ ভূমিভাগে প্রবেশ করেছে। বাকী ৬০ শতাংশ উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে থেকে গিয়েছে সমুদ্রেপৃষ্ঠেই। ল্যান্ডফল হওয়ার সময় মান্থার গতি ধরা হয়েছিল ১১০ কিলোমিার প্রতি ঘণ্টা। কিন্তু অন্ধ্রের কাকিনাড়ায় যখন এটি ল্যান্ডফল করে তখন এটির গতি দাঁড়ায় ঘণ্টায় ৭৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ঘূর্ণিঝড়ের যে অংশ সুমদ্রপৃষ্টে রয়ে গিয়েছে সেটি জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করতে করতে ওড়িশা হয়ে বাংলা উপকূলে আসতে পারে।

    বাংলায় মন্থার প্রভাব

    সমুদ্র এখনও অশান্ত, ভাঁজ তুলছে ঢেউ। তাই ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ বহাল রয়েছে। আজ বুধবার বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, দিনের শুরু থেকেই আকাশে ঘন মেঘের ছাপ থাকবে। আজ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩০ থেকে ৩১ অক্টোবর পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এই দুদিন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের যে অংশ ইতিমধ্যেই ল্যান্ডফল করেছে সেটিও স্থলভাগ দিয়ে ছত্তিশগড়ের দিকে যাচ্ছে। আগামিকাল ঝাড়খণ্ড, বিহার হয়ে সেটি উত্তরবঙ্গে ঢুকবে। আগামিকাল অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। ল্যান্ডফল না করা অংশ যেটি সমুদ্রপৃষ্টে রয়েছে সেটির অভিমুখ ওড়িশা উপকূল। আজ দুপুরের পরে এর জেরে কলকাতায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হয়েছে, এই বৃষ্টি আরও বাড়বে। পাশাপাশি যে গুমোট গরম অনুভূত হচ্ছে তা কাটতে সময় লাগবে।

    অন্ধ্রপ্রদেশে মন্থার প্রভাব

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ স্থলভাগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মন্থা। বুধবার গভীর রাত আড়াইটে নাগাদ, তীব্র ঘূর্ণিঝড় থেকে দুর্বল হয়ে মন্থা উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের উপর দিয়ে বয়ে যায়। তারপর এটি আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়, বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসিমা জেলার মাকানাগুডেম গ্রামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজ্যের ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল ধ্বংস হয়েছে এবং ১.৩৮ লক্ষ হেক্টর বাগানের ফসল নষ্ট হয়েছে। মন্থার প্রভাবে, অন্ধ্রের নেলোর জেলায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অন্তত ৭৬ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, অন্ধ্র সরকার বিভিন্ন স্থানে ২১৯ টি চিকিৎসা শিবিরের ব্যবস্থা করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে ৮৬৫ টন পশুখাদ্যের ব্যবস্থাও করেছে। সরকার মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলা কৃষ্ণা, এলুরু এবং কাকিনাড়ায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

    ওড়িশায় মন্থার প্রভাব

    প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ওড়িশায় ভূমিধস এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ পাশাপাশি উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ ৷ দক্ষিণ ওড়িশার আটটি জেলা – মালকানগিরি, কোরাপুট, রায়গড়া, গজপতি, গঞ্জাম, কন্ধমাল, কালাহান্ডি এবং নবরঙ্গপুর থেকে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে । তবে, এই অঞ্চলের মোট ১৫টি জেলায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। গজপতি জেলার আনাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কাছাকাছি পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর পড়ে পাঁচটি গ্রামের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জায়গাটি আগে ভূমিধস-প্রবণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাই, অবরোধ দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ এছাড়াও রায়গড়া জেলার গুণুপুর, গুড়ারি এবং রামনাগুড়া এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। খ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি ঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় রাজ্যের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার জন্য ২০০০-টিরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং কোনও হতাহতের খবর নেই৷ এনডিআরএফ, ওডিআরএএফ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সমন্বয়ে ১৫৩টি উদ্ধারকারী দল (৬০০০ জনেরও বেশি কর্মী) দক্ষিণের আটটি জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষ যাতে উপকূলে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসন সমস্ত সৈকত সিল করে দিয়েছে।

  • Cyclone Montha: আজই ল্যান্ডফল! এগিয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Cyclone Montha: আজই ল্যান্ডফল! এগিয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মন্থা (Cyclone Montha)। বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে আসতে আসতে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে আরও শক্তি বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ১১০ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এর প্রভাবে অন্ধ্র এবং ওড়িশার উপকূলে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ তবে বাদ যাবে না বাংলাও ৷ ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে বঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ সেই সঙ্গে ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷

    অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

    অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্যোগ শুরু হয়েছে ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুতেও। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মঙ্গলবার। সেখানে ১৯টি জেলায় ঝড়বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন জেলায় দুর্যোগের কমলা সতর্কতা এবং চার জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা এবং রাতের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণি। ওই সময় মন্থার সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু জানিয়েছেন, সে রাজ্যের ৩,৭৭৮টি গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী কিছু এলাকাতেও। সেখানেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে প্রশাসন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দর থেকে বেশ কিছু উড়ান বাতিল করা হয়েছে।

    সতর্কতা ওড়িশায়

    মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে ওড়িশার দক্ষিণ ভাগের আট জেলায়। ওড়িশার গঞ্জাম, গজপটি, কোরাপুট, রায়গড় এবং মালাকানগিরি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই জেলাগুলিতেও দুর্যোগের লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। এ ছাড়া পুরী-সহ ওড়িশার ১১ জেলায় জারি রয়েছে ঝড়বৃষ্টির কমলা সতর্কতা। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। দুর্যোগ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আগে দুই রাজ্যেই নিচু এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে প্রশাসন।

    পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব কতটা

    রাতের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী দুই জেলা— দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়াও। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বেশ কয়েকটি জেলায় হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিও ৷ ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব থাকায় বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

    জেলায় জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা

    ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে বাংলার উপকূলে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসতে নির্দেশ। আগামিকাল ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা মৎস্যজীবীদের। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ওই দিন ভারী বৃষ্টি হবে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরেও। ৩০ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। উপকূলের জেলা দিয়ে শুরু হয়ে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া জেলা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে।

    কলকাতায় মন্থার প্রভাব

    কলকাতায় আজ, মঙ্গলবার সকালে ঝলমলে আকাশ। পরে আংশিক মেঘলা আকাশ। বিকেলের দিকে মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি কলকাতাতে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইবে।

    বন্ধ বিমান ও রেল পরিষেবা

    মন্থার কারণে ওড়িশা এবং বিশাখাপত্তনমের মধ্য দিয়ে যাওয়া ৩২টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এই নিয়ে ভুবনেশ্বরের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিপিআরও) দীপক রাউত এএনআইকে বলেন, ‘যাত্রীরা যাতে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য আমরা বিশাখাপত্তনমের মধ্য দিয়ে যাওয়া ৩২টি ট্রেন বাতিল করেছি। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ট্রেন চালানোর জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি; এদিকে লোকাল মেমু এবং অন্যান্য ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল ট্রেনের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হয়েছে… ডাইভারশনের বিষয়ে, টাটানগর-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেসের পথ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং দুটি ট্রেনকে সংক্ষিপ্তভাবে থামানো হয়েছে- ভুবনেশ্বর-জগদলপুর এক্সপ্রেস এবং রাউরকেলা-জগদলপুর এক্সপ্রেস।’এছাড়া ইস্ট কোস্ট রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিশাখাপত্তনম- তিরুপতি, বিশাখাপত্তনম-চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম- কিরণদুল, বিশাখাপত্তনম-কোরাপুট রুটে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে ৬৫টিরও বেশি লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করেছে রেল। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মন্থার কারণে মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের গন্নাভরম বিমানবন্দরে ৩০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার ঘোষণা করা হয়েছে। বিশাখপত্তনম বিমানবন্দর থেকেও মঙ্গলবারের জন্য সমস্ত ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করা হয়েছে।

  • Weather Update: আছড়ে পড়বে ‘মন্থা’! বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    Weather Update: আছড়ে পড়বে ‘মন্থা’! বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় (Weather Update) তৈরির ব্যাপক অনুকূল পরিস্থিতি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে শুক্রবার সকালে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। ক্রমে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মন্থা’। ২৫ অক্টোবর, শনিবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে বিরাট আকার নেবে। ২৬ তারিখ আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপের ফলে সৃষ্টি হওয়া সকল পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে আবহাওয়া দফতর।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update)?

    শুক্রবার হাওয়া অফিস থেকে একটা বুলেটিন দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর ঘূর্ণাবর্তের (Weather Update) প্রভাব নিম্নচাপ অঞ্চলটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। গত কয়েক ঘণ্টায় ধীরে ধীরে তা পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। ২৭ অক্টোবর সোমবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে। তারপর গতিবিধি কেমন হবে পরিস্থিতি দেখে আরও ঠিক করে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।

    আবার এই সপ্তাহের শেষে এবং আগামী সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনও রকম সতর্কতা জারি করা হয়নি। আগামী সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায় বৃষ্টি হবে। একই ভাবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে শনিবার থেকে বৃষ্টি হবে।

    কলকাতার আবহাওয়া কেমন?

    কলকাতার (Kolkata Weather) আবহাওয়া (Weather Update) শুক্রবার মোটের উপর পরিষ্কার। শহরের আকাশ মেঘ মুক্ত। বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পাশাপাশি দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন থাকবে ৪৪ শতাংশ। তবে সোমবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম থাইল্যান্ডে দেওয়া হয়েছে ‘মন্থা’। উৎসবের আবহে ঝড়ের প্রভাব যেন থামছেই না। শীতের আগে ঘূর্ণিঝড়ের একের পর এক প্রভাবে বাংলা যেন আশঙ্কার মধ্যেই রয়েছে। ঝড় এবং বৃষ্টির প্রভাব শীত না পড়া পর্যন্ত কি অবস্থায় থাকে তা নিয়ে একাংশের মনে উদ্বেগ রয়েই গিয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদল নেব”, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদল নেব”, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা উত্তর লোকসভার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে একযোগে ময়দানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেছে রাজ্য বিজেপি। একই ভাবে রাজ্যে লাগাতার নারী নির্যাতনের মতো ঘটনার প্রতিবাদে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সুকান্ত-শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    বদলাও হবে বদলও হবে (Suvendu Adhikari)

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুলিশকে একমাস সময় দিয়েছি। তার মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। না হলে বিজেপি ট্রিটমেন্ট করবে। নাগরাকাটার বুকেই ট্রিটমেন্ট হবে। বিজেপিকে মারধর করে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে না।” একই সঙ্গে মিছিলের শেষে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের নানা প্রান্তে রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হচ্ছে অনেকেই। এই সরকার সম্পূর্ণ ভাবে আদিবাসী বিরোধী সরকার। মিছিলের শেষ মানে আন্দোলনের শেষ নয়। বদলা চাইলে বদল করতে হবে। ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদল নেবো। বদলাও হবে বদলও হবে।”

    তির-ধনুক নিয়ে মিছিল বিজেপির

    বঙ্গ বিজেপির এসটি মোর্চার ডাকে প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্বদেন বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পাশে স্বাভাবিক ভাবেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), রাহুল সিনহা, দীপক বর্মণ সহ আরও অনেকে। মহিলা নেত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আদিবাসী সমাজের অস্ত্রকে মিছিলে প্রতীকী প্রতিবাদ রূপে ব্যবহার করতে দেখাও যায়। প্রত্যেক নেতানেত্রীর হাতে ছিল তির, ধনুক। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা করে। এরপরেই রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। অভিযুক্তদের ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়। বিজেপির স্পষ্ট দাবি অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূলের নেতা। আর তাই তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করছে না পুলিশ।

  • Weather Update: চলতি মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে বড় ঘূর্ণিঝড়! ফের কি ভিজবে রাজ্য?

    Weather Update: চলতি মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে বড় ঘূর্ণিঝড়! ফের কি ভিজবে রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যে বর্ষার বিদায় আগেই ঘটেছে। তবে তবুও বর্ষা পিছু ছাড়ছে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হতে চলেছে। নিম্নচাপের জেরে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় (Weather Update) আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের অধীন একটি সংস্থা ওয়েদার ফোরকাস্টিং সিস্টেম জানিয়েছে, ২৫ অক্টোবর ভোর তিনটে নাগাদ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ইন্দিরা পয়েন্টের কাছে বঙ্গোপসাগরে একটি অতি শক্তিশালী নিম্নচাপ (Cyclone Update) তৈরি হবে। তাই চলতি মাসেই একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

    রাতে বাতাসে ঠান্ডার আমেজ (Weather Update)

    দুর্গা পুজোর পর দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার তাপমাত্রা (Weather Update) নামতে শুরু করেছে। কলকাতা, হাওড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার সকাল এবং রাতে বাতাসে ঠান্ডার আমেজ দারুণ ভাবে বোঝা যাচ্ছে। তবে খুব একটা ভালো করে শীত এখনই পড়ছে না। অক্টোবরের শেষ এবং নভেম্বরের শুরুতে তাপমাত্রা আরও নামতে শুরু করবে বলে ইঙ্গিত করেছেন আবহাওয়াবিদদের একাংশ। উত্তরবঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের আকাশ সম্পূর্ণ ভাবে পরিষ্কার থাকবে। সকালের দিকে ধীরে ধীরে কুয়াশা দেখা যাবে। বিশেষ করে নদিয়া, মুর্শিদবাদ, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ একাধিক এলাকায় কুয়াশার প্রভাব বেশি বেশি করে দেখা যাবে।

    কলকাতায় তাপমাত্রা কমছে

    গত কয়েকদিনের তাপমাত্রার (Weather Update) বিচার করলে দেখা যাবে, কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে রয়েছে। সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা আবার স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি কম। তবে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার তাপমাত্রার (Cyclone Update) পরিমাণ সামান্য কমেছে।

    ২৭-এ আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়

    ২৭ অক্টোবর সকালে তামিলনাড়ু উপকূলের কাছে আসবে নিম্নচাপের ঝড়। এরপর তামিলনাড়ু হয়ে পশ্চিম দিকে পুদুচেরি উপকূল বরাবর আরব সাগরের দিকে যেতে পারে। আবার তামিলনাড়ু উপকূল থেকে বঙ্গপোসাগর হয়ে অন্ধ্র প্রদেশ ওড়িশ্যা উপকূলের কাছেও আছড়ে পড়বে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের (Weather Update) গঠন এবং শক্তি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে না জানা পর্যন্ত নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলা সম্ভবপর নয়।

  • Weather Update: বৃষ্টি বিদায়ের আগেই জাঁকিয়ে শীত! দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আগাম ঠান্ডা পড়ার ইঙ্গিত

    Weather Update: বৃষ্টি বিদায়ের আগেই জাঁকিয়ে শীত! দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আগাম ঠান্ডা পড়ার ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি বিদায় (Weather Update) নেয়নি এখনও। দেশ তথা রাজ্যের নানা প্রান্তে মাঝেমাঝেই হচ্ছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। তারই মধ্যে উত্তর-ভারতে (North India) শীতের পরশ লাগতে শুরু করেছে। হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও জম্মু–কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অধিকাংশ এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি এবং সমতলের অনেক রাজ্যে তাপমাত্রার পারদও নামতে শুরু করেছে। এই আবহেই মৌসভ ভবনের (IMD) পূর্বাভাস, চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে শীত (Winter Prediction) পড়তে পারে। শহর কলকাতাতেও ভোরের দিকে হালকা শিরশিরানি অনুভূত হচ্ছে। জোড়ে পাখা বা এসি কোনওটাই চালানো যাচ্ছে না।

    কবে বিদায় নিতে পারে বর্ষা?

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) বলছে, গুজরাটের বড় অংশ থেকেই বর্ষা বিদায়ের পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। যে অংশে বর্ষা এখনও থমকে রয়েছে সেখান থেকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বর্ষা চলে যেতে পারে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের একটা বড় অংশেও বর্ষা বিদায়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখান থেকেও বর্ষা বিদায় নিতে পারে বর্ষা। আর তার পরের ফেজেই বাংলাতেও বর্ষা বিদায়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করেছেন আবহবিদদের বড় অংশ। তবে, শুক্রবারও বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস রয়েছে। বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে এদিনও থাকছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা থাকছে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও।

    শীতের অনুকূল পরিবেশ

    আইএমডি (Winter Prediction) জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে দেশের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭১–২০২০ সালের গড় ৭৫.৪ মিলিমিটারের তুলনায় এবারের বৃষ্টি সেই গড় ছাড়িয়ে যাবে। তবে, মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের বাইরে দেশের অধিকাংশ স্থানে অক্টোবর মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, অক্টোবর–ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে (South Indian States) আর্দ্রতা বাড়ার সম্ভাবনা। বিশেষ করে তামিলনাড়ু, কেরল ও উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে গড়ের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস। আবহাওয়া দফতরের ইঙ্গিত, এই পরিস্থিতি আগামী কয়েক সপ্তাহ চলবে এবং তার জেরেই আগাম শীতের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। বর্ষা বিদায়ের পর শীত আসার আগে শুরু হবে সাইক্লোনের মরসুম। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম ভাগ পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় চলবে। এর মাঝেই ঘটবে শীতের আগমন।

    উত্তর-পশ্চিম ভারতে তুষারপাত

    এরইমধ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ব্য়াপক তুষারপাতের ছবি দেখা গিয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। উত্তর ভারতের বড় অঞ্চল বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে। কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশের বড় অংশ তো বটেই, তুষারপাত দেখা গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের বড় অংশেও। কেদারনাথ থেকে গুলমার্গ, মানালি ধবধবে সাদা বরফে ঢাকা পড়তেই খুশির হাওয়া পর্যটকদের মধ্যেও। অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের আরু ভ্যালিতেও তুষারপাতের ছবি দেখা যায়। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার হেমকুন্ড সাহিব গুরুদ্বার বরফে ঢাকা পড়ে। একইসঙ্গে কেদারনাথেও পুণ্যার্থীরা বছরের প্রথম তুষারপাত (Snowfall in Himachal) দেখেন।

    আগে পুজো, আগে শীত

    হাওয়া অফিস (Weather Update) বলছে আচমকা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার আগমণের কারণেই বরফ পড়ছে পার্বত্য অঞ্চলে। তবে অক্টোবরের শুরুতে এভাবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সাধারণত দেখা যায় না। সেদিক থেকে দেখলে এবার যেন সবটাই আগাম। আগে পুজোর মতোই, আগে শীতের নাচন। এই তুষারপাতের জেরে ঠান্ডা শীতল বাতাস পেতে শুরু করে দিচ্ছে দিল্লি, পঞ্জাবের বড় অংশ। দিল্লি এবং উত্তরের সমতলভূমির বহু অংশে বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছে হু হু করে। বাংলাতে যদিও এখনও শীতের পরিবেশ আসেনি। পাওয়ার-প্লে-র শেষের দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং চালাচ্ছে বর্ষা। বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গেও মাঝেমাঝেই চলছে ধারাপাত। পুজোর মুখে ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গ। আর পুজো কাটতে ভেসেছে উত্তরবঙ্গ। এখনও পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় দুর্যোগের ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট।

    কলকাতার আকাশ রোদ ঝলমল!

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের আকাশে রোদ ঝলমল করছে। কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বৃহস্পতিবারও হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়ায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অস্বস্তিকর গরম নয়, তবে শুষ্ক থাকবে দিন। বাংলায় এই মুহূর্তে ঠান্ডার কোনও লক্ষণ নেই। বরং ঠান্ডা-গরম আবহাওয়ার মিশ্রণে অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন। আলিপুর হাওয়া অফিসের তথ্য অনুসারে এই ধরনের আবহাওয়া আপাতত বাংলায় অব্যাহত থাকবে। এই সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি হ্রাস পাবে এটা সত্য, তবে এর অর্থ এই নয় যে শীত (Winter Prediction)  শুরু হবে। বরং এই মাসজুড়ে তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে।

  • Weather Report: ধেয়ে আসছে অতি গভীর নিম্নচাপ, অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Report: ধেয়ে আসছে অতি গভীর নিম্নচাপ, অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতেই দুর্যোগের মেঘ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। দুর্গাপুজোর শেষ দিকে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, আগেই তা জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তা সত্য প্রমাণিত করে যার জেরে বুধবার, নবমীর রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, দশমীর দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই মতো বৃহস্পতিবার কলকাতায় জারি করা হল কমলা সতর্কতা।

    নিম্নচাপের অবস্থান…

    পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি ছিল, তা ইতিমধ্যেই উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়েছে এবং আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আপাতত গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দশমীর বিকেলে-সন্ধ্যায় আরও শক্তিশালী হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। একাদশীর সকালে অতি গভীর নিম্নচাপ রূপেই এই সিস্টেম ওড়িশার গোপালপুর এবং পারাদ্বীপের মধ্যে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। যে কারণে ৪ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে।

    অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    নিম্নচাপের জেরে বুধবার রাত থেকেই বৃষ্টিতে হয়েছে কলকাতা সহ সংলগ্ন অঞ্চলে। জলমগ্ন হয়ে পড়ে একাধিক এলাকা। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে কলকাতা ও হাওড়ায়। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদিয়াতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। চলবে রবিবার পর্যন্ত।

    বৃষ্টির দোসর দমকা হাওয়া…

    বৃষ্টির পাশাপাশি, আলিপুর সতর্কতা জারি করেছে হাওয়ার দাপট নিয়েও। পূর্বাভাস, এই নিম্নচাপ ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। অতি বৃষ্টির সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর উপকূল জেলাতে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন জেলা গুলিতেও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্রে ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। সে কারণেই শুক্রবার পর্যন্ত বাংলা ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা। বাংলা ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    ভাসবে উত্তরও…!

    দক্ষিণের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গেও। আবহাওয়া দফতর বলছে দ্বাদশী থেকে ত্রয়োদশীতে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গ-সিকিমে। প্রবল বৃষ্টিতে বিপাকে পড়তে পারেন উত্তরের পর্যটকরা। দশমীতে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে মালদা ও দুই দিনাজপুরে। বৃষ্টির সঙ্গে দ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসও বইতে পারে।

  • Puja Weather Update: মহাষ্টমীর দুপুরে বৃষ্টি শুরু কলকাতায়, নিম্নচাপের জেরে ভাসতে পারে নবমী-দশমী!

    Puja Weather Update: মহাষ্টমীর দুপুরে বৃষ্টি শুরু কলকাতায়, নিম্নচাপের জেরে ভাসতে পারে নবমী-দশমী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠী-সপ্তমীতে বিরতি দিয়ে অষ্টমীতে ফের শুরু হল বৃষ্টির ইনিংস।

    মহাষ্টমীর দুপুরে বৃষ্টি

    মহাষ্টমীর (Maha Ashtami) সকাল শুরু হয়েছিল শরতের রোদ ঝলমলে আকাশে। সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছিল পুষ্পাঞ্জলী। তবে, মহাষ্টমীর দুপুরে শহরে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েই রেখেছিল আবহাওয়া দফতর। সেই মতো, বেলা ১২টার কিছুটা পর থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২-৩ ঘণ্টা হবে এই বৃষ্টিপাত। একইসঙ্গে, তাদের পূর্বাভাস, দক্ষিণ কলকাতায় বেশি পরিমাণে হবে বর্ষণ। পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও মাঝারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এই জেলাগুলি হল পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ এব‌ং পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলাগুলির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস

    এদিকে, হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বর্তমানে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে খাম্বাত উপসাগরের কাছে। তার সঙ্গে জোড়া অক্ষরেখা দক্ষিণ গুজরাট থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। একইসঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি ঘনীভূত হয়ে ১ অক্টোবর নাগাদ নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই নিম্নচাপটি ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে আসতে পারে, এমন সম্ভাবনা আছে। ফলে নবমী থেকে দশমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গজুড়ে আবহাওয়া পাল্টে যাবে বলে আশঙ্কা।

    ভাসবে নবমী-দশমী?

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, নবমী থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দশমীতে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলা। দশমীর দিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি চলবে। ওই দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। ওই চার জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগ!

    দক্ষিণবঙ্গে যখন বৃষ্টিপাত হবে, উত্তরবঙ্গে আবার দুর্যোগের আশঙ্কা। সেখানে দার্জিলিং-সহ পার্বত্য পাঁচ জেলাতে রয়েছে দুর্যোগের আশঙ্কা। ভারী বৃষ্টি দেখা যাবে মালদহ, দুই দিনাজপুরে। এই ভাবে ঝড়-বৃষ্টি-বাদল নিয়ে কাটাতে হবে শুক্রবার পর্যন্ত। চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকেই কমবে বৃষ্টিপাত। রবিবার একেবারে হালকা হয়ে যেতে পারে বৃষ্টি।

  • Weather Update: আসছে আগের চেয়ে শক্তিশালী নিম্নচাপ! পুজোর মূল চারদিনও কি ভাসবে কলকাতা?

    Weather Update: আসছে আগের চেয়ে শক্তিশালী নিম্নচাপ! পুজোর মূল চারদিনও কি ভাসবে কলকাতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে নতুন করে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। শুক্রবারের মধ্যেই তা ঘনীভূত হওয়ার কথা। উৎসবমুখর (Weather Update) মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন দুর্গাপুজোর আনন্দে কি তাহলে আঘাত হানবে অসুর বৃষ্টি? বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও ফের এক পশলা বৃষ্টিতে (Rain in Kolkata) ভিজেছে শহর। বৃষ্টি মাথায় করেই মণ্ডপমুখী হয়েছে পুজোপ্রেমীরা। শুক্রবারও হালকা বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ঝড়বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়াতেও। এই দুই জেলায় হলুদ সতর্কতা রয়েছে।

    উপকূলঘেঁষা জেলাগুলিতে দুর্যোগের সম্ভাবনা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর ও সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তা থেকে নতুন যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, সেটি আগেরটির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। শুধু নিম্নচাপ হিসেবে এটি থেমে থাকবে না, আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে। তার পর স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এর জেরে উপকূলবর্তী এলাকায় চলতে পারে দুর্যোগের তাণ্ডব। তবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে নয়, এই নিম্নচাপ দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। ফলে দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে ওই দুই রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলঘেঁষা জেলাগুলিতেও দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে ভারী বর্ষণ। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    পুজোয় চলবে মেঘ-বৃষ্টির খেলা

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ থেকে মেঘপুঞ্জ ঢুকে পড়ে বাংলার আকাশে। আর তাতেই বৃষ্টির সাক্ষী থাকে কলকাতা (Rain in Kolkata)। কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা। সন্ধ্যা ঘনাতেই প্রবল বৃষ্টি দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনা, বসিরহাট, হওড়া অঞ্চলে। ধীরে সেই মেঘপুঞ্জ ভাঙড়, নিউ টাউন, সল্টলেক হয়ে কলকাতার দিকেও অগ্রসর হয়। কলকাতাতেও নানা প্রান্তে ফের প্রবল বর্ষণের ছবি দেখা যায়। ২৬ তারিখ রাত থেকে ২৮ তারিখ সকাল পর্যন্ত নিম্নচাপের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে। আকাশ মূলত মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। সঙ্গে কিছুটা বৃষ্টি হবে। পূর্বাভাস বলছে, আপাতত সপ্তমী পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তার পর বৃষ্টি কমতে পারে। তাই পুজোর প্রথম দু-একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। শাস্ত্র অনুযায়ী এবার দেবীর আগমন গজে। এটি শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। গজে আগমন হলে বসুন্ধরা শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠে। বৃষ্টিও হয় অল্প-বিস্তর।

LinkedIn
Share