Tag: West Bengal

West Bengal

  • West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সকালে ধুন্ধুমারকাণ্ড বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হল বিজেপি (BJP MLAs Suspended) বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে। ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। সেদিন একটি বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। মন্ত্রীর জবাব না শুনেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পদ্ম-বিধায়করা। সেই কারণে রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য। এরই প্রতিবাদে সোমবার বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া বিধায়করা। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই ওই বিষয়ে পয়েন্ট অফ অর্ডার তোলেন অশোক লাহিড়ি।

    অশোকের বক্তব্য (West Bengal Assembly)

    তিনি বলেন, “কোন আইনে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হল, তা জানাতে হবে অধ্যক্ষকে।” অধ্যক্ষের বদলে এর জবাব দিতে শুরু করেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর পরেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্শালের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মনোজ। তাঁকে পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়। মনোজ এবং অগ্নিমিত্রা পল, দীপক বর্মন এবং শঙ্কর ঘোষকে পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

    কী বললেন শঙ্কর

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “বিধানসভার ভিতরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এর আগে মনোজ টিগ্গা, দেবলীনা হেমব্রম, আবদুল মান্নানদের মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবারও আমাদের হাসপাতালে পাঠাতে চায়। মার্শাল দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করা হল! বাংলার এই অপশাসন থেকে যদি মুক্তি দিতে না পারি, তাহলে আমরা বিজেপি কর্মীই নই।” তিনি বলেন, “ফ্লোরের মধ্যে আমাদের ফেলে মারা হয়েছে। মহিলা বিধায়কদের গায়েও হাত তুলেছে (BJP MLAs Suspended)। তারপর টানতে টানতে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে (West Bengal Assembly)। এমনকি, আগের দিনও এরা একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।”

    তুমুল হট্টগোল

    জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্করকে ‘মেনশন’ পর্বে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলেই স্পিকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পালটা চিৎকার শুরু করেন তৃণমূল বিধায়করা। এই সময় স্পিকার বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার হুঁশিয়ারি দেন। অভিযোগ, এই সময় কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। তার পরেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আবেদনের ভিত্তিতে চলতি অধিবেশনের জন্য বিজেপির চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।

    ডাকা হল মার্শাল

    সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভা থেকে বের করে দিতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার। সেই সময় বিধানসভার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি হয় বলে অভিযোগ। ঠেলাঠেলির চোটে বিধানসভা কক্ষেই পড়ে যান বিধায়ক শঙ্কর। তাঁর চশমা ভেঙে যায়। বিধানসভা কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে (West Bengal Assembly)। এরই মধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির অগ্নিমিত্রা। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন অরূপ এবং বিজেপি বিধায়করা। এই হট্টগোলের মধ্যেই তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। তিনি নিশানা করেন পদ্ম শিবিরকে (BJP MLAs Suspended)। এই সময় বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রাখেন বিজেপি বিধায়কদের। আলোচনা শুরু হয় নেতাজি সুভাষ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে।

    আসরে শুভেন্দু

    বিধানসভায় যখন এই সব কাণ্ড চলছে, তখন বিধানসভা কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (West Bengal Assembly)। তিনি ব্যস্ত ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসের একটি কর্মসূচিতে। বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের খবর পেয়ে বিধানসভায় চলে আসেন তিনি। এরপর পুরো ঘটনাটি শোনেন বিজেপি বিধায়কদের কাছ থেকে। তারপর তিনি বিধায়কদের ভাঙা চশমা, ঘড়ি নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। অধ্যক্ষের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় শুভেন্দুকে নিজের আসনে গিয়ে বসতে বলেন অধ্যক্ষ। সে কথা কানে না তুলে নিজের বক্তব্যই পেশ করতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (West Bengal Assembly)। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের হাতে তখন ধরা, ‘চুপ বিধানসভা চলছে’ লেখা পোস্টার (BJP MLAs Suspended)।

    বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “সিকিউরিটি মার্শাল আমাকে গোল করে ঘিরে রেখেছিল। ২০ জন মহিলা সিকিউরিটি দিয়ে সার্কেল করে রাখা হয়। ওরা চেয়েছিল আমি মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি করি। কিন্তু হাতদুটো ট্রাউজারের পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। আমি ঠিক করেই রেখেছিলাম, হাত বের করব না। ১৫ মিনিট ধরে ধর্না চালিয়েছিলাম।” প্রসঙ্গত, গত সোমবারও অধিবেশন চলাকালীন (West Bengal Assembly) সাসপেন্ড করা হয়েছিল মনোজকে।

  • Rain Forecast: সপ্তাহজুড়েই রাজ্যে চলবে ঝড়-বৃষ্টি, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের

    Rain Forecast: সপ্তাহজুড়েই রাজ্যে চলবে ঝড়-বৃষ্টি, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহ জুড়ে‌ই রাজ্যে হবে ঝড়-বৃষ্টি, এমন সম্ভাবনার কথা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Rain Forecast)। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র। এই আবহে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal)।

    মঙ্গল ও বুধবারে ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে (Rain Forecast)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি মঙ্গল, বুধবারেও ঝড়-বৃষ্টির জন্য দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্তই চলবে এমন ঝড়-বৃষ্টি। অন্যদিকে, এই আবহাওয়ায় তাপমাত্রার পারদও কিছুটা কমছে। কলকাতায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ ডিগ্রি।

    উত্তরবঙ্গে সোমবার ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেও সোমবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে ঝড়ের পূর্বাভাসও দিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের কর্তারা জানাচ্ছেন, স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা সময় আগে, এই ২৯ মে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছিল বর্ষা (West Bengal)। তারপর থেকে টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার (Rain Forecast) প্রবেশ ১৭ জুন ঘটেছে বলে জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে মাঝেমাঝে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যা শক্তি বাড়িয়ে পরে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর জেরে এই বর্ষা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু বৃষ্টিপাত হলেও ভরসা গরম বজায় থাকবে বলেই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা।

  • Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে এই অভিযান নিয়েই আলোচনা হয়। আনা হয় প্রস্তাবও। তবে প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দটি ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও, রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানাতে দ্বিধা করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব আনায় আমরা খুশি। বিজেপির সদস্যপদ নিতে গেলে প্রথমেই উল্লেখিত হয় নেশনস ফার্স্ট। দেশ ক্ষতবিক্ষত হলে সবাই এক সঙ্গে প্রতিবাদ করে। তাই এই প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করব।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি? সেনাকে কুর্নিশ জানাবেন। আমরা সমর্থন করব, আর আপনারা একটা লাইন রাখবেন না?” তিনি বলেন, “আমার আবেদন প্রস্তাবে অপারেশন সিঁদুর যুক্ত করুন। অতীতে আমার প্রস্তাব আপনারা নিয়েছেন। আর এটা তো দেশের প্রশ্ন।” এই সময় শাসক দলের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, “সিঁদুর কি সবাই পরে?” সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, সিঁদুর পরে না মাকুরা। ওরা চিনকে সমর্থন করে। যারা ধর্ম মানে না, তারা পরে না।”

    লড়াই পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে

    শুভেন্দুর দাবি, তাঁদের লড়াই কোনও নির্দিষ্ট জাতি-ধর্ম কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা যারা জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “যারা এখানে থেকে পাকিস্তানের কথা বলে, আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে (Operation Sindoor)। যারা এখানে জঙ্গি সংগঠন আনাসুরুল্লা বাংলাকে সমর্থন করে, লড়াইটা তাদের বিরুদ্ধে।” কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের প্রসঙ্গও টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল এনডিএ সরকার। জাতের ওপরে উঠে নাজমা হেপতুল্লা, আরিফ খানকে রাজ্যপাল করেছেন নরেন্দ্র মোদিজি।”

    সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

    ভারতীয় সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভারত মাতা যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তখন আমাদের বীর সেনারা ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে মাসুদ আজহার ছাড়া বাকি প্রায় সব জঙ্গিকে নির্বংশ করেছে। বিএসএফ-সহ প্যারা মিলিটারি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “তিন-চারজন যারা হাউসের সদস্য তাঁরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাইরে নানা কথা বলেছেন। আমি চাই এঁরা ক্ষমা চান।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের এই মন্তব্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেই সময় তৃণমূলের উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেন শুভেন্দু।

    ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি

    এদিকে, রাজ্যের (Operation Sindoor) ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে ১৮০টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা আছে। এই ১৮০টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ১১৯টি মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁর অভিযোগ, সংরক্ষণের বিষয়ে হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। পদ্মপার্টির অভিযোগ, ওই রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে কিছু না জানিয়ে চোরের মতো এসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিরোধী দলকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওবিসি সংরক্ষণ বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে।” তাঁর প্রশ্ন, “বিচারাধীন বিষয়ে (Operation Sindoor) কীভাবে সংরক্ষণ করা হল?” ওবিসি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইয়ের মদতে বাংলাদেশে শক্তি বাড়াচ্ছে জেএমবি। সেই সঙ্গে ফের পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে জামাত-উল-মুজাহিদিনের নেতারা। বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জামায়াত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB Terror Module) পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় সন্ত্রাসী মডিউল গঠনের পরিকল্পনা করছে। প্রথমে তিনটি জেলায় নতুন জঙ্গি মডিউল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসআই ও জেএমবি। এর পর আরও অন্তত চারটি জেলায় তারা মডিউল তৈরির ব‌্যাপারে আলোচনা করেছে ও প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সতর্ক রয়েছে।

    পরিকল্পনার বিস্তার

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেএমবি’র মডিউল (JMB Terror Module) গঠনের পরিকল্পনা দুটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ে রয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা। এখনও এই জেলাগুলিতে জেএমবির পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যরা রয়েছে, যারা এখন সক্রিয় নয়। জেএমবি নেতাদের আইএসআই নির্দেশ দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই তিনটি জেলায় নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। এর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়ছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও বীরভূম জেলা। এই অঞ্চলের অধিকাংশ জেলা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় জেএমবি’র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুবিধাজনক। বীরভূম, যদিও সীমান্তবর্তী নয়, তবে মুর্শিদাবাদের মাধ্যমে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লাল মাটির এই জেলা। সম্প্রতি একটি বৈঠকে এই ব‌্যাপারে রাজ‌্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর কলকাতা ও সারা রাজ‌্যজুড়ে নতুন করে নজরদারি শুরু করেছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। এছাড়াও রাজ‌্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরও শুরু করেছে নজরদারি।

    মডিউল গঠনের পদ্ধতি

    এবারও জেএমবি (JMB Terror Module) জঙ্গি সংগঠনের মূল টার্গেট এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেগুলির কোনওটাই সরকারের অনুমোদিত নয়। জেএমবি’র সদস্যরা প্রথমে অস্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লক্ষ্য করে তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচার চালায়। পরবর্তীতে, যুবক ও কিশোরদের মগজধোলাই করে তাদেরকে স্লিপার সেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগেও নিজেদের মতো করে বেআইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিল জেএমবি। ক্রমাগত মগজধোলাইয়ের পর শুরু করতে হবে নিয়োগের প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে স্লিপার সেলের ‘ঘুমন্ত’ সদস‌্যদের সক্রিয় করে তুলতে হবে। প্রয়োজনে টাকাও দিতে হবে তাদের। এভাবে বিশেষ কয়েকটি জায়গায় তৈরি করতে হবে নতুন জঙ্গি মডিউল। বৃদ্ধি করতে হবে জঙ্গি নেটওয়ার্ক।

    জঙ্গি প্রশিক্ষণ পদ্ধতি

    এর পর নিয়োগ করা সদস‌্যদের প্রশিক্ষণের ব‌্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আগের পদ্ধতিতে সদস‌্যদের পাকিস্তান অথবা পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও তৈরি করা হতে পারে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। শিবিরে ওই নিয়োগ হওয়া সদস‌্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অস্ত্র। তাদের শেখানো হবে বিস্ফোরক তৈরি ও প্রয়োগের উপায়। এর পর শুরু হবে নাশকতা। কারণ, জেএমবি নেতাদের ইতিমধ্যেই ফের বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরির ‘স্বপ্ন’ দেখাতে শুরু করেছে আইএসআই। জেএমবি জঙ্গিদের কার্যকলাপ রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যদের উপর নজরদারি করতে শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

    বীরভূমের ভূমিকা

    এই জঙ্গি মডিউল (JMB Terror Module) তৈরিতে বীরভূম জেলার ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সালের বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তে দেখা গিয়েছে, বীরভূম একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হত। এছাড়া, বীরভূমের শান্তিপল্লী এলাকায় একটি সম্ভাব্য জেএমবি কলোনি স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল, যা স্লিপার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারত। এখন আইএসআইয়ের নির্দেশে জেএমবি টার্গেট করেছে অসম ও এই রাজ্যের কয়েকটি জায়গা। অসমের বরপেটা, নলবাড়ি, ধুবড়িকে জেএমবি টার্গেট করেছে। আর এই রাজ্যের সাত জেলায় গোপনে চলছে জঙ্গি মডিউল তৈরির চেষ্টা।

    আন্তর্জাতিক যোগসূত্র

    এই বিস্তারিত জঙ্গি মডিউলের কথা পুলিশ জানতে পেরেছে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গিকে জেরা করে। ধৃত আবাসুদ্দিন মোল্লার মোবাইল ফোনে পাওয়া কোডেড ও এনক্রিপ্টেড বার্তা থেকে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আনসার ঘাজওয়াতুল-হিন্দের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে, মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতারকৃত আজমল হোসেন ও সাহেব আলী খানের ফোনে বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) ও হিজবুত তাহরির (এইচইউটি)-এর সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

    সংগঠন (JMB Terror Module) বিস্তারের পরই অস্ত্র কিনে নাশকতার ছক করেছিল জঙ্গিরা, এমনই মনে করছেন গোয়েন্দারা। জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে হামলার ছক কষেছিল বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলা শাখা! জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সাজিবুল ইসলামকে জেরা করে এমনই পুলিশ আগেই এই তথ্য পেয়েছিল। অসম পুলিশ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার মতো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন জেএমবি মডিউল গঠনের খবর পাওয়া গিয়েছে, যেখানে আইইডি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণ ভারতেও জেএমবি’র সদস্যদের আশ্রয় নেওয়ার তথ্য রয়েছে, যা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনুসন্ধান করছে।

    আইএসআই-এর সাহায্য

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে পাক চর সংস্থা আইএসআই। আইএসআইয়ের আধিকারিকরা নিজেরা ও এজেন্ট মারফৎ যোগাযোগ করে চলেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির উপর নজর পড়ে গোয়েন্দাদের। ক্রমে এই রাজ‌্য-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার হতে শুরু করে জেএমবি নেতা ও লিঙ্কম‌্যানরা। কলকাতা থেকেও গ্রেফতার হয় অনেকে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ‌্য পুলিশের সঙ্গে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়। এর ফলে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে ওই দেশ থেকেও গ্রেফতার হয় বহু জঙ্গি। এক কথায়, দু’দেশেই জেএমবি ও নব‌্য জেএমবির শিরদাঁড়া ভেঙে দেন গোয়েন্দারা। যদিও এখনও পলাতক জেএমবির মূল মাথা সালাউদ্দিন সালেহিন। গোয়েন্দাদের কাছে আসা খবর অনুযায়ী, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাক চর সংস্থা ইতিমধ্যেই নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছে জেএমবির সঙ্গে। এর মধ্যেই জেএমবির কয়েকজন নেতার সঙ্গে রাজশাহি-সহ কয়েকটি জেলার ডেরায় বৈঠক হয়েছে আইএসআই এজেন্ট ও আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, আইএসআই আর্থিকভাবেও মদত জোগাতে শুরু করেছে ওই জঙ্গি নেতাদের।

    রাজ্যে জারি সতর্কতা

    পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জেএমবি’র (JMB Terror Module) সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যে জেএমবি’র মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করাই এখন আশু লক্ষ্য।

  • Red Road: ব্যবহৃত হবে সামরিক প্রয়োজনে, এবছর রেড রোডে ইদের নামাজ নয়, জানিয়ে দিল সেনা

    Red Road: ব্যবহৃত হবে সামরিক প্রয়োজনে, এবছর রেড রোডে ইদের নামাজ নয়, জানিয়ে দিল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ইদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে (Red Road)। এবার সেই জমায়েত ঘিরেই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। চলতি বছরে রেড রোডে ইদ-উজ-জোহা (৭-৮ জুন) জমায়েত আয়োজনের অনুমতি দিল না সেনাবাহিনী। ফোর্ট উইলিয়ামের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি)-র তরফে এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ওই সময়ে রেড রোড ও সংলগ্ন অঞ্চল সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে, ইদের (Red Road) জমায়েতের অনুমতির আবেদন নাকচ করা হয়েছে।

    কী বললেন কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি?

    এনিয়ে কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের বিবৃতি সামনে এসেছে। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা চিঠি পেয়েছি। বৈঠক ডাকা হয়েছে। এরপর কমিটির সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেবেন কী পদক্ষেপ করা হবে।’’ প্রসঙ্গত, মহম্মদ আলি, মৌলানা শওকত আলি ও মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে যে খিলাফত-আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সেই স্মৃতিতেই চলে খিলাফত কমিটি। এই কমিটির কমিটির তরফেই বড় দুই ইদের নমাজের আয়োজন করা হয় রেড রোডে। তবে এবার সেনাবাহিনীর (Indian Army) এই সিদ্ধান্তের ফলে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এখন দেখার সেনার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খিলাফত কমিটি আদালতের দ্বারস্থ হয় কিনা।

    ১০ মে আবেদন করে কমিটি, সেনার জবাব আসে ৩১ মে

    রেড রোডের (Red Road) দীর্ঘ রাস্তায় প্রতি বছর রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষ একসঙ্গে ইদের নামাজের জন্য জড়ো হন। প্রোটোকল অনুযায়ী, কলকাতা খিলাফত কমিটি ১০ মে ইদের নামাজের জন্য অনুমতি চায়। এরপরে সেনাবাহিনী (Indian Army) তরফ থেকে জবাব আসে ৩১ মে এবং সেখানেই তাদের এই আবেদনকে নাকচ করা হয়। রেড রোডে বহু বছর ধরেই ইদের নামাজ চলে এবং বিরাট সংখ্যায় জমায়েতে হাজির থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নেত্রীদেরও।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইদের নামাজের ওই জমায়েতে হাজির থাকেন।

  • Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির পরে বঙ্গ সফরে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানেই তাঁকে স্বাগ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ (West Bengal)। আজ রবিবার একাধিক কর্মসূচিতে রয়েছে তাঁর। এনিয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পরে প্রথম রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে শাহের কনভয় কয়েক মিনিট থামে। গাড়ি থেকে নেমে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত সকল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে কয়েক মুহূর্ত থেকে আবার ফের গাড়িতে ওঠেন শাহ। তার পরে তাঁর কনভয় সোজা চলে যায় বাইপাসের ধারের এক হোটেলে।

    পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন

    গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, রবিবার তিনটি কর্মসূচি রয়েছে শাহের। এরমধ্যে সাংগঠনিক বৈঠকও করবেন তিনি। ওই বৈঠকে বিধানসভার রণকৌশল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের দিশা দেখাবেন তিনি (Amit Shah)। বিজেপির পাখির চোখ যে পশ্চিমবঙ্গ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রধানমন্ত্রীর পর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর সেই ইঙ্গিতই করছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিউটাউনের বৈঠকে ছাব্বিশের ভোটের (West Bengal) রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বিস্তারিতভাবেই।

    কলকাতার উদ্দেশে বিজেপি পদাধিকারীরা (Amit Shah)

    ইতিমধ্যে রাজ্যের অধিকাংশ সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতিদের নামও ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির (Amit Shah)। তাঁরা প্রত্যেকেই নেতাজি ইন্ডোরে শাহি সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির পদাধিকারীরা ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন কলকাতায়। এই সভায় বাংলার সাংসদ, বিধায়করাও হাজির থাকবেন। রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি পদাধিকারীরা যাচ্ছেন কলকাতার উদ্দেশে।বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস বাকি থাকতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিজেপি। একাধিক ইস্যুতে বর্তমানে কোনঠাসা শাসক দল।বিজেপি সূত্রে খবর, নেতাজি ইন্ডোরের কর্মসূচির আগে অবশ্য রাজাহাটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শাহ। সেখানে সিএফএসএলের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পর সেখান থেকেই তিনি যাবেন নেতাজি ইন্ডোরে। সাংগঠনিক সভা শেষে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেটি আয়োজিত হবে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটেয়।

  • PM Modi: ২৯ মে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন মোদি

    PM Modi: ২৯ মে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) বিধানসভা নির্বাচন। তাই সোমবার তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (PM Modi)। নামে প্রশাসনিক সফর হলেও, আদতে এর নেপথ্যে ছিল রাজনীতির গভীর অঙ্ক।

    আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে (PM Modi)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজনীতির আঁক কষতে ব্যস্ত, তখন সেই উত্তরবঙ্গেরই আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে ২৯ মে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রশাসনিক সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি জনসভাও করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে সভাস্থল ঘুরে দেখেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ এবং আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্য নেতারাও। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রশাসনিক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন। তবে প্রশাসনিক সভাটি কোথায় হবে, তা স্পষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা তথা ফালাকাটার বিধায়ক বলেন, “অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এখানে একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজনৈতিক সভাটির প্রস্তুতির দায়িত্বে আমরা রয়েছি। সেই প্রস্তুতি আমরা আজ থেকেই শুরু করে দিলাম।”

    কেন আলিপুরদুয়ারই?

    প্রশ্ন হল, কেন আলিপুরদুয়ারকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)? দীপক বলেন, “আলিপুরদুয়ারের এক দিকে সেভেন সিস্টার্স অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য রয়েছে। অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ চিকেন’স নেকও এই অঞ্চলেই। আলিপুরদুয়ারই উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ পথ। তাই আন্তর্জাতিকভাবে এই অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে হয়।” মনোজ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর সেনাকে সম্মান জানাতে আগামী ২৯ মে উত্তরবঙ্গে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জন্যই আমরা মাঠ দেখতে এসেছিলাম। কোন জায়গায় মঞ্চ করা যায়, সেই সব খতিয়ে দেখা হয়েছে।” তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুরের পর দেশের একাধিক জায়গায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী (West Bengal)। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে সভা করবেন তিনি (PM Modi)।

  • Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পশ্চিমবঙ্গ (Birbhum) থেকে গ্রেফতার ২ জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি। মূলত মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই করে (Militants Arrested) ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার কাজই এরা করত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বীরভূমের নলহাটি এবং মুরারইয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এসটিএফ। শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে পেশ করা হলে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    বীরভূম থেকে ধৃত ২ (Birbhum)

    বছর আঠাশের আজমল হোসেন ও সাহেব আলি খান দুজনেই বীরভূমের বাসিন্দা। প্রথমজন থাকেন নলহাটিতে, আর অন্যজন মুরারইয়ে। তবে দুজনেই জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য। জামাতের যে মডিউলের সদস্য এরা, তাদের দায়িত্ব ছিল মুসলমান যুবকদের মগজধোলাই করা। অশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তাও ছড়িয়ে দিত এরা। পুরোটাই হত এনক্রিপ্টেড ভার্সানে। দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে বিশেষ বিশেষ জায়গা ও বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর হামলার ছকও কষেছিল তারা। সেই নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে নিরন্তর মগজধোলাই করে যেত মুসমনান তরুণদের।

    বাজেয়াপ্ত হয়েছে এই জিনিসগুলি

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমলের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বই, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন এসটিএফের আধিকারিকরা। আজমল বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ও জেহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল সে। আজমল বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে যেতে চেয়েছিল বলে খবর। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশি দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল ও সাহেব। জেহাদিদের সঙ্গে টাকা লেনদেনও করত আজমল ও তার দোসর। আজমলের বাবা জার্জেশ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, তাঁর ছেলে কোনওভাবেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আজমল ছেলে কোনওদিন বাংলাদেশেও যায়নি বলেও দাবি তার। তিনি বলেন (Birbhum), “সাহেব মাঝে মাঝে আমার ছেলের কাছে আসত। সে-ই বইটই দিয়ে যেত। বৃহস্পতিবার রাতে আড়াই ঘণ্টা ধরে পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি চালায় (Militants Arrested)। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং বাংলাদেশি কিছু বই উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে তারা।”

    কী বলছে অপারেশন টিম

    অপারেশন টিমের ওসি ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এরা দুজনেই সক্রিয় ছিল দেশবিরোধী কাজে। দুজনকেই ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদের জেরা করে সম্পূর্ণ চক্রের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।” তিনি বলেন, “দেশের বাইরে দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল এবং সাহেব। তাদের সঙ্গে রীতিমতো টাকার লেনদেনও চলত বলে খবর।” জানা গিয়েছে (Birbhum), ধৃতদের আরও কয়েকজন সহযোগী বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের সাহায্যে আজমল ও সাহেব আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। এর পাশাপাশি ধৃতেরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’-এর মতাদর্শ প্রচার ও বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করেছিল। ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ শব্দের অর্থ ‘ভারতে সশস্ত্র জেহাদ’ (Militants Arrested)। সূত্রের খবর, চণ্ডীপুর গ্রামের আজমল পেশায় হাতুড়ে ডাক্তার। আর পাইকর থানার রুদ্রনগরের বাসিন্দা সাহেব দর্জির কাজ করে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাজে লোকজন আসত। সেই সুযোগেই তরুণদের মগজ ধোলাই এবং সংগঠনে নিয়োগের চেষ্টা করত তারা।

    বীরভূমের সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়

    বীরভূমের (Birbhum) সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল জমানায় বেশ বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গিদের। যেহেতু মুসলমানদের ভোটে ক্ষমতায় রয়েছেন বলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যেহেতু তিনি অবিরাম তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছেন, তাই, বিরোধীদের মতে, পেয়ে বসেছে জঙ্গিরা। পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ আশ্রয় ঠাওরে নিয়ে আড়ে বহরে বাড়ছে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, মগজ ধোলাইয়ের কাজও করে চলেছে অবিরাম। অসমর্থিত সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের হিন্দু বিতাড়নের ঘটনায়ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের উসকানি ছিল।

    জঙ্গি ধরা পড়েছে আগেও

    তবে বীরভূমের এই পাইকর থানা এলাকা নানা সময় খবরের শিরোনামে এসেছে জঙ্গি ধরা পড়ার কারণে। বছর পাঁচেক আগে এই থানারই কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা নাজিবুল্লা হাক্কানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেও জেএমবির সদস্য। নাজিবুল্লার আত্মীয়রা তাকে (Birbhum) নির্দোষ দাবি করলেও, এসটিএফ সেই সময় দাবি করেছিল, অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারের সূত্র ধরে গ্রেফতার হওয়া নাজিবুল্লা আদতে জঙ্গি সংগঠনের তাত্বিক নেতা। তার হাত ধরেই বীরভূমে নয়া মডিউল তৈরির কাজ এগোচ্ছিল। তার সপক্ষেও নাজিবুল্লার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা।

    বর্ধমানের খাগড়গড়কাণ্ডে যে ১৯ জনকে সাজা শুনিয়েছিল আদালত, তাদের মধ্যে ছিল ওই বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল হাকিমও। তার বাড়ি বীরভূমেরই দেউচায় (Militants Arrested)। ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে যেসব জেলায় জঙ্গি জাল ছড়ানোর হদিশ পেয়েছিল এনআইএ, সেই তালিকায় ছিল বীরভূমও। ওই কাণ্ডে একাধিক অভিযুক্তের (Militants Arrested) খোঁজ মিলেছিল বীরভূমের (Birbhum) নিমড়া গ্রামে।

  • Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad violence) ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের চলে তাণ্ডব। ঘরছাড়া হন বহু হিন্দু পরিবার। সামশেরগঞ্জে খুন হন বাব-ছেলে। এই আবহে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি একটি বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই রিপোর্টেই রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন—মুর্শিদাবাদের ঘটনা (Murshidabad violence) ‘পূর্বপরিকল্পিত’ এবং ‘স্থানীয় প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা’ তার পেছনে দায়ী। রাজ্যপালের অভিযোগ, ধর্মীয় পরিচয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে শোষণের চিত্র এই অশান্তিতে উঠে এসেছে।

    হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার সুপারিশ

    রাজ্যপালের পর্যবেক্ষণ (Murshidabad violence) অনুযায়ী, “রাজ্যে যদি প্রশাসনিক ব্যর্থতা এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সংবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।” তাঁর আরও দাবি, ধারাবাহিক ব্যর্থতা চললে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথাও বিবেচনা করতে হবে কেন্দ্রকে। একইসঙ্গে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও মালদা—দুই সীমান্তবর্তী জেলার অশান্ত অঞ্চলগুলিতে স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের , “এই মুহূর্তে সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।” ঠিক এই কারণে হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার কথাও তিনি সুপারিশ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে

    কেন্দ্রকে পাঠানো ওই রিপোর্টে রাজ্যপাল একাধিকবার সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন (Murshidabad violence)। তিনি উল্লেখ করেছেন, “বাংলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে। মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার পর পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বাতাবরণ কাটছে না।” এই অবস্থায় রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সংবিধান মেনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই হিংসাদীর্ণ মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরজমিনে ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। এবার সোজা রিপোর্ট পাঠালেন অমিত শাহরের দফতরে।

  • Post Poll Violence: ৪ বছর পরেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, তৃণমূলের সবুজ সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?

    Post Poll Violence: ৪ বছর পরেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, তৃণমূলের সবুজ সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনটা ছিল ২ মে, ২০২১। আজ থেকে চার বছর আগে সপ্তদশ বিধানসভার নির্বাচনী ফল ঘোষণা হয়েছিল। দুপর ১ টার মধ্যেই নির্বাচনী ফলে স্পষ্ট হয় যে পশ্চিমবঙ্গে টানা তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে (Post Poll Violence) পরাজিত হয়েছিলেন। শাসক দলের নেতা-কর্মীরা “ঠিক ঠিক খেলা হবে এই মাটিতেই খেলা হবে” গান বাজিয়ে হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে দেয়। এরপর শুরু হয় রাজ্যজুড়ে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এবং হিংসালীলা (West Bengal)। বিজয় মিছিলের নামে বিজেপি কর্মী, আরএসএসের স্বয়ংসেবক এবং সাধারণ নিচুতলার হিন্দুদের টার্গেট করে শুরু হয় প্রশাসনিক মদতে সন্ত্রাস। তৃণমূলের স্লোগান ছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’, জয় নিশ্চিত বুঝেই নিজের মেয়ে মমতার হাতেই হিন্দু বাঙালিদের চরম অত্যাচারের শিকার হতে হয়। টানা হিংসায় মে মাসেই খুন করা হয় ২২ জনের বেশি মানুষকে।

    বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা

    দুপুর ২ টোর মধ্যেই কাঁকুড়গাছি রেলকলোনিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে হামলা করে ২০০ জনেরও বেশি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বাড়িতে নিজের মা-দাদার সামনেই পাথর দিয়ে থেঁতলে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় তাঁকে। বাড়িতে গৃহপালিত কুকুরগুলির গলায় ইলেকট্রিক তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মুড়িমুড়কির মতো বোমা মেরে গোটা বাড়ি তছনছ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর শুরু হয় দেদার লুটপাট। মৃত্যুর পর ৪ বছর কেটে গেলও, হাইকোর্টে মামলা চলছে। কিন্তু দোষীরা এখনও সাজা পায়নি। শাসক দলের নেতা বলে দোষীদের টিকিও ছুঁতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা।

    শাসক দলের দুষ্কৃতীদের উল্লাস

    তখন রাত ৮টা। নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর শাসক দলের দুষ্কৃতীদের উল্লাসে গোটা গ্রাম আতঙ্কে ভয়ে সিটিয়ে গিয়েছিল। কৃষ্ণনগর শহরের কাছেই বাড়ি ছিল পলাশ মণ্ডলের। পেশায় দিন মজুর ছিলেন। প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধার কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাতেন। নির্বাচন চলাকালীন মমতার দুর্নীতি এবং কর্মসংস্থান নেই বলে বিক্ষোভ সভায় বিজেপি মঞ্চের বাঁশ বেঁধেছিলেন তিনি। এলাকায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য লিফলেটও বিলি করেছিলেন। ফল প্রকাশের আগেও হুমকি দিয়েছিল এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। হুমকি উপেক্ষা করে তবুও বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দিনে রাত ১১ টায় বাড়িতে বড় বড় দা, তলোয়ার নিয়ে হামলা করে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী। ভয়ে পলাশ নিজের বউ আর দুই মেয়েকে নিয়ে চৌকির নিচে লুকিয়ে পড়েন। ঘরের টিন কেটে দুর্বৃত্তরা ঢুকে নীচ থেকে মারতে মারতে পলাশকে টেনে হিঁচড়ে বের করে (West Bengal)। এরপর শুরু হয় ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে এলোপাথাড়ি কোপ। শেষে যাওয়ার সময় কানের কাছে মাথায় গুলি করে যায় হত্যাকারীরা। সব কিছু শেষ হয়ে যায়! পরিবারে একমাত্র রোজগার করতেন পলাশ। কীভাবে চলছে পলাশের ফেলে যাওয়া সংসার জানেন? স্ত্রী এখন লোকের বাড়িতে কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালান। আর ভয়-আতঙ্কে এখনও নিজের বাড়িতে ঢুকতে ভয় পান (Post Poll Violence)।

    ৭১ জনকে হত্যা

    ওই বছর ২ মে থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে মোট ৭১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তালিকায় কোনও জেলা বাদ ছিল না। তৃণমূলের লাগাম ছাড়া অত্যচারে ১ লক্ষ মানুষ নিজের বাড়ি-ঘর ঘরছাড়া হয়েছিল। মানুষ বাংলা ছেড়ে অসম, ঝাড়খণ্ডে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। ৪০ হাজার মানুষের বাসস্থানকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সওকত মোল্লা, শেখ শাহজানের নেতৃত্বে তৃণমূলী গুণ্ডারা হিন্দুদের দোকান, বাড়ি, ফসলের ক্ষেতে বুলডোজার চালিয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। নন্দীগ্রামে এক মহিলা শুধুমাত্র হিন্দু বলে ধর্ষণ করা হয়। অত্যাচারের মাত্রা লাগাম ছাড়া ছিল দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বীরভূম এবং কোচবিহার জেলায়। দোষীদের একজনেরও সাজা হয়নি। দেখে নিন জেলা ভিত্তিক মৃতদের তালিকা –

    ভোটপরবর্তী হিংসায় মৃতের নাম, স্থান এবং তারিখ

    বাঁকুড়া (৩ জন)

    ১। অরূপ রুইদাস, ইন্দাস,  ৩ মে ২০২১

    ২।  কুশ ক্ষেত্রপাল, কোতলপুর, ৮ মে ২০২১

    ৩। গৌর দাস, বিষ্ণুপুর, ১৬ মে ২০২১

    বীরভূম (৫ জন) (Post Poll Violence)

    ৪। গৌরব সরকার, বোলপুর,  ২ এপ্রিল ২০২১

    ৫। জাকির হোসেন, ময়ূরেশ্বের,  ৮ মে ২০২১

    ৬। প্রসেঞ্জিৎ দাস, রামপুরহাট, ২৩ মে ২০২১

    ৭। মনোজ জসওয়াল, নলহাটি, ৬ মে ২০২১

    ৮। মিঠুন বাগদি, ১৪ জুন ২০২১

    কোচবিহার (১৪ জন) (West Bengal)

    ৯। মিঠুন বর্মণ, শীতলকুচি, ২৭ মার্চ ২০২১

    ১০। মানিক মৈত্র, শীতলকুচি, ৩ মার্চ ২০২১

    ১১। হারাধন রায়, দিনহাটা, ৪ মার্চ ২০২১

    ১২। ধীরেন বর্মণ, শীতলকুচি, ২৪ মে ২০২১

    ১২। অলোকলতা মণ্ডল, তফানগঞ্জ, ২৫ মে ২০২১

    ১৪। অনিল বর্মণ, শীতলকুচি, ২৯ মে ২০২১

    ১৫। শ্রীধর দাস, দিনহাটা, ২৩ জুন ২০২১

    ১৬। আনন্দ বর্মণ, শীতলকুচি, ২৭ মার্চ ২০২১

    ১৭। রবিন বর্মণ, শীতলকুচি, ৪ মে ২০২১

    ১৮। বিশ্ব বর্মণ, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ১৯। বিপুল রায়, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২০। বিকাশ চন্দ্র বর্মণ, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২১। বীরেন্দ্রনাথ রায়, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২২। ফারুখ মণ্ডল, তুফানগঞ্জ, ৪ মে ২০২১

    হুগলি (২ জন)

    ২৩। রবি হরি, আরামবাগ, ৪ জুন ২০২১

    ২৪। সুকুমার মণ্ডল, কৃষ্ণরামপুর, ৭ মে ২০২১

    হাওড়া (১ জন)

    ২৫। গুড্ডু চৌরাসিয়া, শিবপুর, ১০ মে ২০২১

    জলপাইগুড়ি (১ জন)

    ২৬। সুশান্ত রায়, জলপাইগুড়ি, ২ মে ২০২১

    ঝাড়গ্রাম (২ জন)

    ২৭। কিশোর মান্ডি, বিনপুর, ৫ মে ২০২১

    ২৮। তারক সাহু, ঝাড়গ্রাম, ৩১ মার্চ ২০২১

    কলকাতা (২ জন)

    ২৯। অভিজিৎ সরকার, কাঁকুড়গাছি, ২ মে ২০২১

    ৩০। নাম পাওয়া যায়নি, অন্বেষা বেরা অভিযোগ করেছেন।

    মালদা (৩ জন)

    ৩১। মনোজ মণ্ডল, মোথাবাড়ি, ৩ মে ২০২১

    ৩২। চৈতন্য মণ্ডল, মোথাবাড়ি, ৩ মে ২০২১

    ৩৩। দেবাশিস সরকার, গাজোল, ২ মে ২০২১

    নদিয়া (৫ জন)

    ৩৪। উত্তম ঘোষ, চাকদা, ২ মে ২০২১

    ৩৫। ধর্ম মণ্ডল, চাপড়া, ৬ মে ২০২১

    ৩৬। সাগর মাঝি, চাকদা, ২ মে ২০২১

    ৩৭। দিলীপ কীর্তনিয়া

    ৩৮। পলাশ মণ্ডল, কৃষ্ণনগর, ১৩ মে ২০২১

    উত্তর ২৪ পরগনা (১৩ জন)

    ৩৯। শোভারানী মণ্ডল, জগদ্দল, ৩ মে ২০২১

    ৪০। হারান অধিকারী, সোনারপুর, ২ মে ২০২১

    ৪১। আকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ২ মে ২০২১

    ৪২। সন্তু মণ্ডল, নৈহাটি, ৩ মে ২০২১

    ৪৩। জ্যোৎস্না মল্লিক, বারাসাত, ১২ মে ২০২১

    ৪৪। রোহিত প্রকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ৬ জুন ২০২১

    ৪৫। রোহিত প্রকাশ, ভাটপাড়া, ০৬ জুন ২০২১

    ৪৬। শিবনাথ বারুই, হিংলগঞ্জ, ৫ মে ২০২১

    ৪৭। জয়দেব মিস্ত্রি, হিংলগঞ্জ, ৫ মে ২০২১

    ৪৮। বিক্রম ঢালি, মিনাখাঁ, ৬ মে ২০২১

    ৪৯। জয়প্রকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ৬ মে ২০২১

    ৫০। প্রসেঞ্জিত দাস, বাগুইহাটি, ২৩ মে ২০২১

    ৫১। রঞ্জিত দাস, আমডাঙ্গা, ১৩ মে ২০২১

    পশ্চিম মেদিনীপুর (১ জন)

    ৫২। বিশ্বজিত মাহেশ, স্বয়ং, ৪ মে ২০২১

    পূর্ব বর্ধমান (৬ জন)

    ৫৩। বলরাম মাঝি, কেতুগ্রাম, ৫ মে ২০২১

    ৫৪। কাকলি ক্ষেত্রপাল, জামালপুর, ৩ মে ২০২১

    ৫৫। নারায়ণ দে, বর্ধমান, ৬ মে ২০২১

    ৫৬। দুর্গা বালা, রাইনা, ৩ মে ২০২১

    ৫৭। বাবুল দাস, রাইনা, ৮ মে ২০২১

    ৫৮। সোম হাঁসদা, ভাতার, ২৩ জুন ২০২১

    পূর্ব মেদিনীপুর (২ জন)

    ৫৯। দেবব্রত মাইতি, নন্দীগ্রাম, ১৩ মে ২০২১

    ৬০। দেবাশিস শীল, তমলুক, ২৩ মে ২০২১

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১১ জন)

    ৬১। সৌরভ বর, মথুরাপুর, ২ মে ২০২১

    ৬২। রাঞ্জিত দাস, আমডাঙ্গা, ১৩ মে ২০২১

    ৬৩। অরিন্দম মিদ্দে, ডায়মন্ড হারবার, ১৫ মে ২০২১

    ৬৪। প্রদীপ বৈদ্য, বাসন্তী, ১৮ মে ২০২১

    ৬৫। নির্মল মণ্ডল, সোনারপুর, ২০ মে ২০২১

    ৬৬। রাজু সামন্ত, ডায়মন্ড হারবার, ২৮ মে ২০২১

    ৬৭। চন্দন হালদার, সাতগাঁছি, ২ জুলাই ২০২১

    ৬৮। ঊষা দাস, বজবজ, ৬ জুলাই, ২০২১

    ৬৯। হারান অধিকারী, সোনারপুর, ২ মে ২০২১

    ৭০। মানস সাহা, মগরাহাট, ২২ সেপ্টম্বর ২০২১

    ৭১। মিঠুন ঘোষ, রায়গঞ্জ, ১৮ অক্টোবর ২০২১

    এই সন্ত্রাসে পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নিষ্ক্রিয় (Post Poll Violence)। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি সত্ত্বেও হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। সরকারের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন। মানবাধিকার কমিশন, মহিলা ও শিশু সুরক্ষা কমিশন, এসসি-এসটি কমিশন-সহ একাধিক সংস্থা হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে (West Bengal)। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে থানায় অভিযোগ বা মামলা গ্রহণ করেনি। নির্যাতিতরা অগত্যা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইমেল-এর মাধ্যমে অভিযোগ নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দেলের রায়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংন্থা এবং সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তদন্ত এখনও চলছে, রাজ্য সরকার হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতাও করেনি। উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা এখনও উন্মুক্ত এবং এলাকায় ভয়ের পরিবেশ বজায় রাখতে সক্ষম। এই হিংসার পর থেকেই পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরসভার নির্বাচন এবং লোকসভার ভোটের পরও ভোট পরবর্তী হিংসা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের (West Bengal) রাজনীতিকরণ ১০০ শতাংশ সার্থক হয়েছে। এ রাজ্যে ভোটের অর্থ হল হিংসা, ধর্ষণ, খুন, অত্যাচার আর লুটপাট। রাজনীতিতে অত্যাচার এবং হিংসা কবে বন্ধ হবে তাও এই রাজ্যের মানুষের কাছে একটি বড় প্রশ্ন (Post Poll Violence)।

LinkedIn
Share