Tag: West Bengal

West Bengal

  • Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধীশূন্য পুরসভা অঞ্চলে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। আবার একই সঙ্গে শহর অঞ্চল বা ব্লকেগুলিতে তৃণমূল থেকে অনেক বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। লোকসভার ফলাফলে (Election Result 2024) তৃণমূলের বিপক্ষে এই জনমত বিজেপির জন্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক পুরসভায় বাজিমাত করেছে বিজেপি। অপর দিকে হিরণ, ঘাটালে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস বন্ধ করতে নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করলেন সামজিক মাধ্যমে।

    তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জনতা (Election Result 2024)

    রাজ্যের ২০২১ সালের পুরসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভাতেই বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। এইবারের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে শহরের জনতা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের কাছ থেকে। ভোটের ফলাফলে (Election Result 2024) দেখা যাচ্ছে পাঁচটি পুরসভার মধ্যে চারটি পুরসভা অঞ্চলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন অনেক বেশি পরিমাণে। গত দুই বছরের তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতি একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। তৃণমূল কথিত পুরসভার উন্নয়নমুখী কাজ কি দুর্নীতি ইস্যুর সামনে একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? এই প্রশ্ন এখন সব জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

    কোন কোন পুরসভায় এগিয়ে বিজেপি?

    পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকার ঘাটাল মহকুমার মধ্যে একমাত্র চন্দ্রকোনা পুরসভায় জয়কে অব্যাহত রাখতে পেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপর দিকে ঘাটাল, খড়ার, ক্ষীরপাই এবং রামজীবনপুর পুরসভায় এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। গতবারের পুর নির্বাচনে বিরোধীশূন্য ছিল এই পুরসভাগুলি। এবার এই এলাকাগুলিতে বাজিমাত করেছে বিজেপি। সামগ্রিক ভাবে এগিয়ে থাকা পুর এলাকাগুলির মধ্যে কোথাও এক হাজার আবার কোথাও দেড় হাজার ভোটে এগিয়ে (Election Result 2024) রয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    ফেসবুকে সন্ত্রাস বন্ধের আবেদন হিরণের

    ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরবর্তী হিংসা (Election Result 2024) নিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস বন্ধ করতে সামজিক মাধ্যমে নিজের আবেদন রেখেছেন হিরণ। তিনি নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করে বলেন, “আমি হেরে গিয়েছি। আমি হার স্বীকার করেছি। আমাকে প্রয়োজনে শাস্তি দিন। কিন্তু আমার কর্মীদের অত্যাচার করবেন না। গরিব অসহায় মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধ করেদিন। রাজনৈতিক অধিকারকে রক্ষা করে বেঁচে থাকার অধিকারে দয়া করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkali: গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা! খুন হওয়ার আতঙ্কে বিজেপি কর্মী

    Sandeshkali: গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা! খুন হওয়ার আতঙ্কে বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভায় এবার  বিপুল ভোটে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তবে, সন্দেশখালির মানুষ শাসক দলের সেই বিজয় রথ আটকে দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল দাঁত ফোটাতে পারেনি। লিড পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। ফল বের হওয়ার পর সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার নতুন করে অশান্তির শিকার হলেন এক বিজেপি কর্মী। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলল তৃণমূলের লোকজন! (Sandeshkhali)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কোড়াকাঠি এলাকার ২২৭ নম্বর বুথে বাড়ি বিজেপি কর্মী কৃশানু গাইনের। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। তিনি বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই নানাদিক থেকে আমাদের হুমকি আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। আমাকে মারধর করার জন্য জড়ো হয়েছে বুঝতে পেরে আমি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিই। আমাকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ির পাশে থাকা একটি চার চাকা গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর “জয় বাংলা” স্লোগান দিতে দিতে রাস্তার পাশে পুকুরে গাড়িটিকে ফেলে দেয়। ওরা বাড়িতে এসে আমাকে খুন করার হুমকি দিয়ে গিয়েছে। ওরা যে ভাবে হামলা চালিয়েছে তাতে আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। তবে, এই হামলা আমার সঙ্গে শুধু হয়েছে এমন নয়, এই এলাকার সব বিজেপি কর্মীদের একই অবস্থা। সকলের পরিবারের লোকজন চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

    যদিও সন্দেশখালি (Sandeshkhali) তৃণমূলের বিধায়ক সুকুমার মাহাত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। আক্রান্তরা পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে পারে। তারা আইন অনুয়ায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Titagar: প্রকাশ্যে বোমাবাজি, চলল গুলি! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত টিটাগড়

    Titagar: প্রকাশ্যে বোমাবাজি, চলল গুলি! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত টিটাগড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল টিটাগড় (Titagar) । তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বোমাবাজির সঙ্গে কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagar)

    বারাকপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। সেই আনন্দে বৃহস্পতিবার খড়দার টিটাগড় (Titagar) ডোমপট্টি এলাকায় তৃণমূলের এক পক্ষ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাতে সেখানে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানের বাইরে কালু ও রামু গোষ্ঠীর এক যুবককে মারধরের অভিযোগ ওঠে অর্জুন বাঁশফোড় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেই সময় খবর পেয়ে রামু ও কালুর গোষ্ঠীর দলবল সেখানে যায়। তারপর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ ধস্তাধস্তি- সংঘর্ষের মাঝে চার রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে খড়দা থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    দুপক্ষই তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন

    অর্জুন বাঁশফোড় ঘনিষ্ঠ আকাশ বাঁশফোড় বলেন, অনুষ্ঠান শেষে টিটাগড়ে (Titagar) খাওয়া দাওয়া চলছিল। পাড়ার মহিলারা তখন খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। সেই সময় রামুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। আমাদের লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। সবাই খাবার ফেলে ভয়ে পালিয়ে যায়। রামুরা সব বিজেপি কর্মী। যদিও রামু বাঁশফোড় বলেন, আমরা বিজেপি করি না। তৃণমূল দল করি। পার্থ ভৌমিকের মিটিংয়ে আমরা গিয়েছিলাম। বরং, অর্জুন, আকাশরা বিজেপি করে। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা কোনও গুলি চালাইনি। বোমাবাজি করিনি। ফাঁসানোর জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বারাকপুরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, ফল বের হওয়ার পর মাত্র তিনটে ঘটনা ঘটেছিল। আর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই সব ঘটনা দলের অনুমোদন নেই। পুলিশ প্রশাসন দেখছে। বিজেপি নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়়িত নই। এটা তৃণমূলের দলীয় কোন্দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    Election Result 2024: বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ এবং রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের দুই মন্ত্রী সহ চার বিধায়ক। তাঁরা হলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ইতিমধ্যে ভোটের পর জামিন পেয়েছেন। বাকি তিনজন এখনও জেলে। লোকসভার ফলাফলকে (Election Result 2024) এবার বিধানসভা নিরিখে খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, দুই জন তৃণমূল প্রতিনিধি নিজের কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছেন। এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। 

    বিধানসভায় পিছিয়ে জীবনকৃষ্ণ (Election Result 2024)

    মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার বিধানসভা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভা (Election Result 2024) কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জনকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান। বড়ঞার বিধানসভায় জীবনকৃষ্ণ ৫০০ ভোটে কংগ্রেসের কাছে পিছিয়ে রয়েছেন। এই বিধানসভায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অধীর। আর তৃণমূল বিধায়ক হয়েছেন তৃতীয়। এক নম্বরের উঠে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা। ফলে তৃণমূলের দুর্নীতি, এই কেন্দ্রে একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে বলা যেতে পারে লোকসভায় তৃণমূল জয়ী হলেও বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক পিছিয়ে পড়েছেন।

    হাবড়ায় পিছিয়ে জ্যোতিপ্রিয়

    রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা কেন্দ্র হল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া। এই বিধানসভা বারাসত কেন্দ্রের অন্তর্গত। তৃণমূল প্রার্থী কাকালি ঘোষ দস্তিদার হাবড়া কেন্দ্রে ২৯ হাজার ভোটে (Election Result 2024) পিছিয়ে পড়েছেন। ফলে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল মন্ত্রী নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়েছেন। আবার জেল সূত্রে খবর, জেলের মধ্যে গণনার সময় পার্থ টিভির সমানে যাননি, বালু-মানিক উভয়ে টিভিতে ফলাফল দেখেছেন। বালু উচ্ছ্বসিত হলেও, মানিক খুব একটা ভাব প্রকাশ করেননি।

    আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটের সব ওয়ার্ডে তৃণমূল কুপোকাত, আরও শক্তি বৃদ্ধি পেল সুকান্তর

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের পক্ষে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “এই ফলাফলকে (Election Result 2024) সরলীকরণ করা যাবে না। সবটাই স্থানীয় প্রভাব পড়েছে। নিচুতলা থেকে সব কিছু ভালো করে দেখতে হবে। কারণ কী ছিল এবং ফলাফলকে ভাল করে পর্যালোচনা করতে হবে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাটের সব ওয়ার্ডে তৃণমূল কুপোকাত, আরও শক্তি বৃদ্ধি পেল সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাটের সব ওয়ার্ডে তৃণমূল কুপোকাত, আরও শক্তি বৃদ্ধি পেল সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। যদিও শেষ হাসি হেসেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। দ্বিতীয়বারের জন্য বালুরঘাট লোকসভার মানুষ তাঁর ওপর আস্থা রেখেছেন। এমনকী বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। বালুরঘাটের ২৫ টি ওয়ার্ডেই ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। শহরে প্রায় ২৫ হাজার লিড পেয়েছে বিজেপি। যা নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    প্রবল গেরুয়া ঝড়ে বালুরঘাট পুরসভায় কুপোকাত হয়েছে তৃণমূল (Sukanta Majumdar)

    গতবার লোকসভায় লিড ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার। প্রবল গেরুয়া ঝড়ে এবার কুপোকাত হয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা (Sukanta Majumdar)। খোদ বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান, টাউন সভাপতি এমনকী গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ওয়ার্ডেও খাবি খেয়েছে তৃণমূল। প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের দিক থেকে কার্যত মুখ ফিরিয়েছেন বালুরঘাট শহরের ভোটাররা। বিধানসভাতেও বিজেপিকে ব্যাপক লিড দিয়েছিল এই শহর। প্রসঙ্গত,বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রায় ৬৮১ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে। তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর ওয়ার্ড ১৮ নম্বরেও ৬৩৮ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে শাসক দল। এছাড়াও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারপার্সন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী তথা সুকান্ত মজুমদারের নিজের ওয়ার্ড ২২ নম্বরে তৃণমূল ৬০৩ ভোটে পিছিয়ে। টাউন সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডলের ওয়ার্ড ১২ নম্বরে ৭৮১ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তবে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরজিৎ সাহার ওয়ার্ডে সব থেকে কম ৪৫১ ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। একইভাবে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার এমসিআইসি মহেশ পারেখের ওয়ার্ডে ৫৭৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বাকি ওয়ার্ডে এক, দেড় হাজারের বেশি ভোটে লিড পেয়েছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    শহরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার লিড নিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভোটের আগে বিপ্লব মিত্র গোষ্ঠীর নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, তাতে লাভ কিছুই হয়নি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বালুরঘাটে এসে  নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তারপর বালুরঘাটের চেয়ারম্যান, টাউন সভাপতি ও কাউন্সিলররা কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছিলেন। এরপরও কার্যত গেরুয়া ঝড়ে লন্ডভন্ড তৃণমূল। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বালুরঘাট শহরের তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির ১০ হাজার মার্জিন কমাতে পারলেই জিততেন দলের প্রার্থী। তাই, একদিকে যখন তৃণমূল শহরে বিপদ দেখছে, বিজেপি ধন্যবাদ জানাচ্ছে সেখানকার ভোটারদের। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আগেই বলেছিলাম জিতব। এই শহরের মানুষ আমাকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। শহরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। এই শহরের মানুষের আশীর্বাদ মাথায় রেখে আমি আবার উন্নয়নের কাজে নামব।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, গত লোকসভা, বিধানসভাতেও আমরা পিছিয়ে ছিলাম। আমরা কেন শহরের ভোটারদের মন জয় করতে পারছি না তা পর্যালোচনা করে দেখব। এবারের ফল আমাদের অবাক করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    Abhijit Ganguly: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে হারলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। হাফ ছেড়ে বাঁচলেন তমলুকের বাসিন্দারাও। তাঁরাও মনে প্রাণে চাইছিলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) জয়। তমলুক লোকসভার ফলাফলই সেকথা বলছে। কারণ, এই লোকসভার সাতটি বিধানসভার কোথাও দাঁত ফোটাতে পারেননি তৃণমূল প্রার্থী।

    সাতটি বিধানসভাতেই জয় বিজেপির (Abhijit Ganguly)

    চাকরি চুরি মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) তৃণমূলের স্বরূপ প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। ফলে, হাজার অপপ্রচারের পরেও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে জিততে পারল না তৃণমূল। এখানকার সাতটি বিধানসভাতেই জয়ী হয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে নন্দীগ্রাম, ময়না এবং হলদিয়া বিধানসভা ছিল বিজেপির দখলে। বাকি তমলুক , পাঁশকুড়া পূর্ব, নন্দকুমার এবং মহিষাদল ছিল তৃণমূলের দখলে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন ময়না কেন্দ্রে। তিনি এই কেন্দ্রে ১, ১০, ৯০১টি ভোট পেয়েছেন। এখানে তিনি ৯,৫৪৮টি ভোট বেশি পেয়েছেন তৃণমূলের চেয়ে। তবে, সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন হলদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে। হলদিয়া কেন্দ্রে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পেয়েছেন মোট ১,১০,৭৭২টি ভোট। সেখানে ৮৯,৪৭১ ভোট পেয়েছে তৃণমূল।  

    আরও পড়ুন: রবি-সন্ধ্যায় শপথ মোদির, নতুন সরকারে আইনমন্ত্রী হচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    তমলুক পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে ধরাশায়ী তৃণমূল

    তমলুক বিধানসভায় বিজেপি লিড পেয়েছে  ১৮, ২১৭টি ভোট। এই কেন্দ্রে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। এখানে ১,১০,৮৯৫টি ভোট পেয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এই তমলুক কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে তৃণমূল পরিচালিত তাম্রলিপ্ত পুরসভা। এখানকার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। জেলা শহরেই তৃণমূলের ভরাডুবি ঘটেছে বলা যায়। নন্দকুমার এবং পাঁশকুড়া পূর্বে লিড পেয়েছে বিজেপি। এছাড়া মহিষাদল বিধানসভায় তৃণমূলের থেকে ৯৬৩১টি ভোট বেশি পেয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    নন্দীগ্রামে জয়ের মার্জিন বাড়িয়েছে বিজেপি

    প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মানুষজন এবার ঢেলে ভোট দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেখানে বিজেপির জয়ের মার্জিন বেড়ে হয়েছে ৭২৯৮টি। এবার এখানে বিজেপি পেয়েছে ১,০৯,১৫৪টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ১,০১,৮৫৬টি ভোট।  এছাড়া পোস্টাল ব্যালটের ভোটেও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূলের চেয়ে ১৭৭৮টি ভোট বেশি পেয়েছেন। তাঁর জেতায় তমলুকের মানুষজন খুশি। জেলার তমলুক-সহ প্রতিটি বিধানসভা ও পুরসভায় তৃণমূল মুখ থুবড়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কান্দিতে বিজেপির লিড পাওয়া ওয়ার্ডে ট্যাপ কল- পাইপ লাইন কাটছে দুষ্কৃতীরা, শোরগোল

    Murshidabad: কান্দিতে বিজেপির লিড পাওয়া ওয়ার্ডে ট্যাপ কল- পাইপ লাইন কাটছে দুষ্কৃতীরা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে সরকারি ট্যাপ কল এবং জলের পাইপ লাইনের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুরসভার কর্মকর্তারা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    বিজেপির লিড পাওয়া ওয়ার্ডে ট্যাপ কল- পাইপ লাইন কাটছে দুষ্কৃতীরা (Murshidabad)

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি পুরসভা বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভার অধীনে রয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে কান্দি পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র চারটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। ১২ টি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে বিজেপি এবং দুটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। ভোটের এই ফল সামনে আসতেই দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিজেপি সহ বিরোধীরা যে সব ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে, সেখানে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা রাস্তার ধারে থাকা ট্যাপ কল এবং জলের সংযোগের লাইন কেটে দিয়ে পানীয় জল সরবরাহ পরিষেবা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতী তান্ডব নিয়ে বৃহস্পতিবার কান্দি পুরসভা কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে পুলিশকে জানিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: রবি-সন্ধ্যায় শপথ মোদির, নতুন সরকারে আইনমন্ত্রী হচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    কান্দি পুরসভার (Murshidabad) চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক বলেন, ‘নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মনে পুরসভার সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য গত দু’দিন ধরে রাতের অন্ধকারে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে ট্যাপ কল ও জলের সংযোগ ভেঙে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমরা গোটা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর এবং আমাদের বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে জানিয়েছি।’ চেয়ারম্যান আরও অভিযোগ করেন, ‘কিছু মানুষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন লোকসভা নির্বাচনে কান্দি পুরসভা এলাকায় তৃণমূল আশানুরূপ ভোট না পাওয়াতে বদলা নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিষেবা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। যারা এই কাজ করছেন, সকলকে অনুরোধ করছি আপনাদের কোনও সমস্যা থাকলে পুরসভাতে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন। আমরা সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।”

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা সম্পাদিকা বিনীতা রায় বলেন,”কান্দি পুরসভা এলাকায় পরাজয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা বদলা নেওয়ার জন্য কল ভেঙেছে। আমরাও গোটা বিষয়টি নিয়ে কান্দি থানার দ্বারস্থ হয়েছি। গোটা ঘটনার সমাধান করার জন্য পুলিশ আমাদের কাছ থেকে দু’দিনের সময় চেয়েছে ।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক তেমনই এইবারের লোকসভা নির্বাচনের পরও সন্ত্রাসের চিত্র অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার, ফল প্রকাশের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী, বারুইপুর সহ একাধিক এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালিয়েছে। মানুষ অত্যাচারের শিকার হয়ে নিজেদের ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্ব বার বার তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা অফিসে খোলা হয়েছে ‘আশ্রয় কেন্দ্র’।

    আশ্রয় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে আইনি সহযোগিতা (Post Poll Violence) 

    ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের টার্গেট করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তীতে তৃণমূল রীতিমতো তাণ্ডব (Post Poll Violence) চালিয়েছে। কোথাও রড, কোথাও বাঁশ, আবার কোথাও আসবাবপত্র ফেলে মারধর করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। নিজের প্রাণকে হাতে নিয়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা বিজেপির কার্যালয়ের খোলা হয়েছে অফিস। এই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়ে করা হচ্ছে কর্মীদের চিকিৎসা। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাবার। বাড়ি ছাড়াদের বাড়িতে ফেরাতে প্রশাসনের একাধিক স্তরে কথা বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে আইনি সহযোগিতা। জেলার বিজেপির নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০ জন বিজেপি কর্মীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এই জেলা কেন্দ্রে।

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছিল। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী এবং মা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন এই বিজেপি পরিবার। বিজেপি নেত্রী বলেছিলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।” আবার আজ বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আবার শুভেন্দু রাজ্যপালকে চিঠি লিখে হিংসায় নিপীড়িত মানুষের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WBJEE Exam 2024: “খুঁটিয়ে পড়তে হবে পাঠ্য বই,” টিপস দিলেন জয়েন্টের কৃতীরা

    WBJEE Exam 2024: “খুঁটিয়ে পড়তে হবে পাঠ্য বই,” টিপস দিলেন জয়েন্টের কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়েন্ট এন্ট্রাসে ফের জেলার পড়ুয়াদের জয়জয়কার। জয়েন্টের (WBJEE Exam 2024) মেধাতালিকায় প্রথম দশজনের মধ্যে রয়েছেন সিবিএসই বোর্ডের ৪ জন পরীক্ষার্থী। আবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনে পাশ করেছেন ৪ জন পরীক্ষার্থী এবং বাকি দুজন আইএসসি বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রী। রাজ্য জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কিংশুক পাত্র। দ্বিতীয় হয়েছেন কল্যাণীর শুভ্রদীপ পাল। তৃতীয় হয়েছেন কৃষ্ণগরের বিবস্বন বিশ্বাস। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস, জয়েন্টে সপ্তম স্থান অর্জন করেছেন।

    এক থেকে দশের মধ্যে থাকব আশা করেছিলাম (WBJEE Exam 2024)

    রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে (WBJEE Exam 2024) প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়া জিলা স্কুলের কিংশুক পাত্র। বাঁকুড়া শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বাসিন্দা কিংশুক, ছোট থেকেই বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্র এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭৭ নম্বর পেলেও মেধা তালিকায় স্থান পাননি। তবে, এবার সকলকে টপকে একেবারে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন কিংশুক। কিংশুকের এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর পরিবার। তাঁর পছন্দের বিষয় অঙ্ক। কিংশুক বলেন, “এক থেকে দশের মধ্যে থাকব আশা করেছিলাম। তবে, প্রথম হব আশা করিনি। খবরটা জানতে পেরে খুবই আনন্দ হচ্ছে। আমি মোটামুটি সারাদিন পড়াশুনা নিয়েই থাকতাম। পড়াশুনা ছাড়া বিশেষ কিছু করতাম না। বিজ্ঞান নিয়ে আমার বেশি আগ্রহ। মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং দু’টোই পেয়েছি। এবার যেটা ভাল লাগবে সেটা নিয়ে এগোব। আলাদা করে আমার কোনও স্বপ্ন নেই। ভবিষ্যতে যেখানে কাজ করব সেটাই ভাল করে করতে চাই।আর পড়াশুনার বিষয়ে বলব, পাঠ্যপুস্তক খুঁটিয়ে পড়তে হবে। পরিশ্রমের বিকল্প নেই।”

    আরও পড়ুন: “লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    পাঠ্য পুস্তুক খুঁটিয়ে পড়তে হবে

    জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (WBJEE Exam 2024) দ্বিতীয় হয়েছেন হালিশহরের জেঠিয়ার নান্না হসপিটাল রোডের শুভ্রদীপ পাল। তিনি পড়াশুনা করতেন কল্যাণীর স্কুলে। ইঞ্জিনিয়ারিং এ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকের ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। ছেলের এই সাফল্যে খুশি বাবা-মা প্রতিবেশীরাও। জগদীশ চন্দ্র বোস ইনস্টিটিউটে তিনদিনের একটি ক্যাম্প চলছে। সেখানে রয়েছেন শুভ্রদীপ। বাবা নীশিথ পাল বলেন, ছেলেকে পড়াশুনার জন্য বলতে হত না। ছেলের এই সাফল্যে আনন্দের ভাষা নেই। শুভ্রদীপ বলেন, পাঠ্য পুস্তুক খুঁটিয়ে পড়তে হবে। আর প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা মন দিয়ে পড়লেই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানালেন তিনি। অপর দিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য করে মমতাকে বলেন, “বিজেপি চুপ করে থাকবে না, শুধরে যান।”

    কী লিখেছেন চিঠিতে শুভেন্দু (Post Poll Violence)?

    রাজ্যের তৃণমূল একক ভাবে আসন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে জেলায় জেলায় সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শুভেন্দু ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান রাজ্যপালকে। হিংসা কবলিত স্থান দ্রুত পরিদর্শন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা লেখেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে চিঠি সম্পর্কে লিখেছেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলা চালানো এখন পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন বিজেপি কর্মীদের প্রাণ হারাতে হয়েছিল, একই ভাবে লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। যে গুন্ডারা বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের। এ নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি।”

    ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত?

    ফল প্রকাশের পর থেকে এই রাজ্যের জেলায় জেলায় হিংসা (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার থেকে ক্যানিং পর্যন্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “তৃণমূল গণতন্ত্র মানে না৷ তাই ওদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না। বিজেপি কিন্তু চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে জবাব দেবে, তখন কিন্তু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। মমতা আপনি নিজে ২৯টা আসন পেয়েছিলেন। আপনিও একদিন বিরোধী ছিলেন। আপনার কাছে মাত্র ১টি আসন ছিল। তবে বিজেপির কাছে ১২ জনকে সাংসদ রয়েছে। আপনি প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদেরকে হারানোর অপচেষ্টা করেছেন। জেলাশাসককে চাপ দিয়েছেন আরেকবার গণনা করার জন্য। আপনি শুধরে যান। এখনও সময় আছে। আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে আপনার দেখা করা উচিত। কারণ তাঁরা বিজেপির ভোটার হলেও, আপনার রাজ্যের নাগরিক।”

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    সন্দেশখালিতে বাধা সুকান্তকে

    রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) বাদ গেল না উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখাঁর বামুনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম। খবর শোনার পর আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে যান সুকান্ত। তাঁকে দেখে তাঁর গাড়ি আটকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূলের নেতাকর্মী সমর্থকরা। একই সঙ্গে জয় বাংলা ও গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। এরপর প্রশাসনের তৎপরতায় সঙ্গে সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের গাড়িগুলিকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share