Tag: West Bengal

West Bengal

  • Allowance of Imam: চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বিজেপির

    Allowance of Imam: চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে কোনওরকম ঘোষণা ছাড়া কাউকে না জানিয়ে চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা (Allowance of Imam)। রাজ্যে এখন দু দফার ভোট বাকি। আর এই আবহেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একেবারে সরকারি তথ্য সহ বড় অভিযোগ আনল বিজেপি (BJP on Imam Bhata)। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূল সরকারের ১২ বছরের শাসনে রাজ্যে মসজিদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। একই সঙ্গে করদাতাদের টাকায় কেন ইমাম – মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকী, এই ভাতা দিয়ে কী লাভ হচ্ছে তা সমীক্ষা করে দেখার দাবিও জানান তিনি।

    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি

    এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “রাজ্য সরকার চুপিসারে গত ২ মাস আগে থেকে রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার ইমাম মোয়াজ্জমের ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর জন্য রাজ্য সরকারের এ বছর খরচ হতে চলেছে ২০০ কোটি টাকা। এই ভাতা (Allowance of Imam) বাড়ানোর জন্য বাজেটে কোনও প্রভিশন ছিল না। কোনওরকম ঘোষণা ছাড়া কাউকে না জানিয়ে ভোটের ঠিক আগে আগে এই ভাতা বাড়িয়েছে। ভোটের আগে তিনি ঘুষ দিচ্ছেন। ইমাম, মোয়াজ্জেমদের পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে তাদের রাজনীতির ময়দানে নামাচ্ছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রায় ৪০ হাজার ইমাম মাসে ৩ হাজার টাকা ও ২৭ হাজার মোয়াজ্জেম ১,৫০০ টাকা ভাতা (Allowance of Imam) পাচ্ছেন। ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন।  
    যখন ইমাম ভাতা চালু হয়, তখন ১৬ হাজার ইমাম ভাতা পেতেন। একটি মসজিদে একজনই ইমাম ইমামতি করতেন। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মসজিদের সংখ্যা সরকারি হিসাবে ৪০ হাজার। অর্থাৎ ১২ বছরে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৪ হাজার মসজিদ তৈরি হয়েছে। যে রাজ্যে পুলিশ রামনবমীর মিছিলকে অনুমতি দেয় না, নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয় না সেখানে রাজ্য সরকারের মসজিদ তৈরির অনুমতি দেওয়ার নীতি কী? এই প্রশ্নও এদিন তিনি তুলেছেন। 

    আরও পড়ুন: সিজোফ্রেনিয়া আসলে কী? জেনে নিন এই রোগের অজানা কিছু তথ্য

    ধর্ম নিয়ে রাজনীতি 

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জগন্নাথবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওবিসি এ শ্রেণিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছিলেন। আর ওবিসি বি শ্রেণিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল সনাতনী ওবিসিদের জন্য। তবে মুসলিমরাও তার সুযোগ পেতেন। কালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের আদেশকে বিজেপির আদেশ বলে দাবি করে বলেন, এই আদেশ তিনি মানেন না। তিনি মুসলিমদের সংরক্ষণ দেবেন। অবাক করার বিষয়, ওবিসি বি শ্রেণিতে সনাতনী ওবিসিদের জন্য যে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল তা নিয়ে তিনি একটি কথাও বললেন না। হাইকোর্টের রায়ে মুসলিমদের সংরক্ষণ বাতিল হয়ে যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ব্যথিত। একই সঙ্গে নির্দ্বিধায় তিনি হিন্দু সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করলেও আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ভোট পরবর্তী হিংসা! হাওড়ায় ঘরছাড়া ২০০ বিজেপি কর্মী, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Howrah: ভোট পরবর্তী হিংসা! হাওড়ায় ঘরছাড়া ২০০ বিজেপি কর্মী, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  হাওড়া (Howrah) লোকসভা কেন্দ্রে ভোট শেষ হতেই লাগাতার সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।  এমনিতেই ভোট গ্রহণ পর্ব থেকেই হাওড়া লোকসভার বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ভোট পর্ব মিটতেই হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয় একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি। তৃণমূল এতটাই বেশি সন্ত্রাস চালিয়েছে যে পাঁচলার বেলডুবি গ্রাম কার্যত পুরুষ শূন্য হয়ে গিয়েছে। আতঙ্কে এই গ্রামের প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    পঞ্চম দফায় হাওড়ার (Howrah) বেলডুবি গ্রামের উত্তর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯ এবং ৭০ নম্বর বুথে ভোট গ্রহণ হয়েছিল। তবে ভোটগ্রহণের মাঝপথে অশান্তি ছড়ায়। অভিযোগ, ওই বুথে ছাপ্পা ভোটের চেষ্টা করছিল তৃণমূলের কর্মীরা। তাতে বাধা দিয়েছিলেন বিজেপির দুজন এজেন্ট। এর পরেই তাদের বুথের মধ্যে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাদের সরিয়ে দিলেও রাস্তায় বের হলে তাদের প্রাণে মারার হুমকি দেয় তৃণমূল কর্মীরা। আরও অভিযোগ, ভোট শেষ হওয়ার পরেই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শেখ রুহুল আমিন এবং তাঁর দলবল বিজেপির এজেন্টদের পাশাপাশি সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং বাড়ির পুরুষদের মারধর করে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পরে প্রাণভয়ে ঘরছাড়া হয়ে পড়েন বহু বিজেপির কর্মী সমর্থক। সবমিলিয়ে ২০০ জন বিজেপির কর্মী সমর্থক এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। এই মুহূর্তে তারা জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে অভুক্ত অবস্থায় তাদের দিন কাটছে।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল প্রধান শেখ রুহুল আমিন বলেন, ভোটের দিন বুথে ঝামেলা হয়েছিল। তাও সেরকম কিছু নয়। ঝামেলা মিটে গিয়েছে। উলটে বিজেপি কর্মীরা রাতে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা কোনও হামলা করিনি। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে ২০০ কর্মী ঘরছাড়া হয়ে জঙ্গলে রয়েছেন। চরম আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুনের মামলায় নাম জড়াল একাধিক তৃণমূল নেতার

    Nandigram: নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুনের মামলায় নাম জড়াল একাধিক তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম (Nandigram) খুনের মামালায় নাম জড়াল বেশকিছু তৃণমূল নেতার নাম। ষষ্ঠ দফা লোকসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। রাজনৈতিক সংঘর্ষে এলাকা ছাড়া হয়ে রয়েছে বেশ কিছু লোকজন। বিজেপির অভিযোগে তৃণমূল বেশ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। শাসক দল যে অনেকটাই চাপের মুখে তা রাজনীতির একাংশের মানুষও মনে করছেন। আগামীকাল শনিবার ভোট গ্রহণ এলাকায়।

    পিটিয়ে খুন করা হয় (Nandigram)!

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিজেপি মহিলা কর্মী রথিবালা আড়িকে পিটিয়ে খুন করে জনা ২৫ তৃণমূল দুষ্কৃতী। এই মর্মে মৃতা বিজেপির কর্মীর মেয়ে মঞ্জু আড়ি থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। এই এফআইআরে নাম রয়েছে শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তথা ব্লক তৃণমূল সহসভাপতি শেখ আল্লারাজি সহ আরও কিছু স্থানীয় তৃণমূল নেতা। গতবুধবার গভীর রাতে সোনাচূড়া, গড়চক্রবেড়িয়া এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। মনসাবাজার এলাকার কাছে হামলার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা দেবু রায়। হামলা করে মারা হয় রথিবালা রায়কে। খুনের সঙ্গে আরও প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন খোকন সীট, শেখ শামসুল ইসলাম। উল্লেখ্য ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসায় দেবব্রত মাইতি নামে এক বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত ১১ জন এখনও জেলার বাইরে।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “দেবু রায়, খোকন সীটেরা গড়চক্রবেড়িয়া থেকে লোক নিয়ে গিয়ে খুন করিয়েছে। এফআইআর দায়েরর পরেও অভিযুক্ত আল্লারাজি নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে আইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত চাই।”

    আরও পড়ুনঃ মাঝরাতে ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! জানা গেল পরিবারের বয়ানে

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল নেতা তথা সভাপতি দেবু রায় বলেছেন, “বুধবার রাতের আমাদের এক কর্মী পলাশের টোটো ভাঙচুর করে বিজেপির কর্মীরা। আমরা ২৮৪ নম্বর বুথ পাহারা দিচ্ছিলাম। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর ২০ মিনিটের মাথায় জানতে পারি বিজেপির এক মহিলা কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যেহেতু আমি দল চালাই তাই আমাকে খুনের মামলায় ফাঁসনো হচ্ছে।” আবার তৃণমূল নেতা শেখ আল্লারাজি বলেছেন, “আমার বাড়ি থেকে ওই এলাকা অনেক দূরে। আমাদের যাতায়েত নেই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হলদিয়ায় ডেকে আমাকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। আমি রাজি হইনি। তাই ফাঁসানো হচ্ছে।” আবার সুফিয়ান বলেন, “তৃণমূলের কেউ এই ঘটনা জড়িত নন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: মাঝরাতে ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! জানা গেল পরিবারের বয়ানে

    Nandigram: মাঝরাতে ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! জানা গেল পরিবারের বয়ানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বুধবার রাতে বিজেপির মহিলা কর্মী রথীবালা আড়ি খুনের ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে নন্দীগ্রামের (Nandigram) সোনাচূড়া। রাতের ঘটনায় রথীবালার ছেলে তথা নন্দীগ্রামে বিজেপির তফসিলি মোর্চার সম্পাদক সঞ্জয় আড়িও গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে মনসাপুকুর বাজার এলাকায়। নিহতের বাড়িতে বিজেপি কর্মীরা ভিড় করে রয়েছেন। সেখানেই রাতের ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন নিহতের বউমা সুবর্ণা আড়ি।

    মাঝ রাতে ছেলে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়েছিলেন মা, তারপরই খুন! (Nandigram)

    সুবর্ণা আড়ি বলেন, রাত তখন প্রায় ২টো। বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন ভাসুর। তিনি বিজেপি নেতা। হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে। ফোনে কথা বলা শেষ করেই কাউকে কোনও কিছু না বলেই দরজা খুলে ছুটে বাইরে বেরিয়ে যান। কিছু দুষ্কৃতী নাকি বাজার এলাকায় জড়ো হয়েছে। বাইরে চিৎকারও হচ্ছে। বিপদ আঁচ করেই ভাসুরের পিছু পিছু গিয়েছিলেন শাশুড়ি। সেখানে তুমুল গন্ডগোলের মধ্যে খুঁজছিলেন ছেলেকে। সেই সময় শাশুড়িকে খুন করা হয়। ভাসুড় এবং শাশুড়িকে মরে গিয়েছে রটে যায়। আমি বাড়ি থেকে চিৎকার করতে করতে ছুটে যাই। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে গ্রামের (Nandigram) লোকেরাও ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে আসে। গ্রামের লোকেদের আসতে দেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। গ্রামের লোকেরা তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল শাশুড়ি আর ভাসুরকে। সেখানেই শাশুড়ির মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    ফাঁসির দাবি জানালেন নিহতের মেয়ে

    মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে (Nandigram) ছুটে যান মেয়ে। কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, “আমার দাদা আর মাকে মেরে দিল তৃণমূলের লোকেরা। ওরা ১০০ থেকে ১৫০ জন এসেছিল একসঙ্গে। সেই সময় বিজেপির থেকে ১৫০ জন এসেছিল একসঙ্গে। সেই সময় বিজেপির যাকে সামনে পেয়েছে, ওরা মেরেছে। মাকে তো আর ফিরে পাব না! আমি এই দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। এদের সকলের যেন ফাঁসির সাজা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি মহিলা কর্মীর মৃত্যুতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নন্দীগ্রাম। সেখানেই সভা করে কার্যত তৃণমূলকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপির সভায় কর্মী সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। সভা থেকেই শাসকদলকে উৎখাতের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে অভিষেককে তোপ দাগেন।

    ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু (Suvendu Adhikari)

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গতকাল উস্কানি দিয়ে গিয়েছেন যিনি, ভাইপোকেও উস্কানিদাতা হিসাবে আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের লড়াই চলছে চলবে। আর পুলিশ যদি কিছু না করে, মৃতের পরিবারকে নিয়ে কোর্টে যাব।” প্রসঙ্গত, বুধবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। সেখানে দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে সভা করেন তিনি। আর তারপরই বুধবার রাতেই বিজেপি নেতার মাকে কুপিয়ে খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারী অভিষেকের নাম না করে বলেন, ” হেলিকপ্টার করে এখানে এসে মিটিং করেছেন। আমতা, উদয়নারায়ণপুর হাওড়া থেকে গাড়ি করে লোক নিয়ে এসেছিল। নন্দীগ্রামের লোক ছিল না। এসে বলছেন বিরোধী দলনেতার বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় উনি ভয় পেয়েছেন। আরে ভয় পাওয়ার লোক আমি নই। আপনি কাওয়ার্ড ভীতু। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন, প্রোটেকশন নিয়ে ভোটে লড়ছেন লজ্জা লাগে না? ভোট ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলেছেন আমি ভোট লড়ব, ভোটের প্রচার করব, আমাকে যেন সিবিআই ইডি না ধরে। ১০ জুন পর্যন্ত প্রোটেকশন নিয়ে আপনি হেলিকপ্টার চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র আমাকে বলছেন ভয় পেয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব

    বৃহস্পতিবার দিনভর তপ্ত ছিল নন্দীগ্রাম। তৃণমূলের হামলায় বিজেপি মহিলা কর্মী খুনের পাশাপাশি ৭ জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এই সভার আগে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। একজনের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁকে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। থানায় গিয়েছিলাম। এফআইআরের নম্বর বসে থেকে নিয়ে এসেছি। খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। তারপরও যদি কিছু না করে আমি ওনার মেয়েকে দিয়ে উচ্চ আদালতে যাব সিবিআই তদন্তের দাবিতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে “গো ব্যাক” স্লোগান, ফের তপ্ত নন্দীগ্রাম

    Nandigram: তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে “গো ব্যাক” স্লোগান, ফের তপ্ত নন্দীগ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির মহিলা কর্মীর খুন হওয়ার খবর জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram)। তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এমনিতেই নন্দীগ্রাম জ্বলছে। এই অবস্থায় ভোটের আগে রাজনীতি করতে এসেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এলাকার মানুষ তা মেনে নিয়ে পারেননি বলেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

    তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে গো ব্যাক স্লোগান (Nandigram)

    ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের (Nandigram) সোনাচূড়ায় প্রাণ গিয়েছে এক বিজেপি কর্মীর। জখম আরও অন্তত সাত জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই তাঁকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এদিকে এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রতিনিধি দলকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান দেন গ্রামবাসীরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যরা। নন্দীগ্রামে প্রতিনিধি দল যেতেই, তাঁদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মনসাবাজার এলাকার বাসিন্দারা। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মনসাবাজার এলাকায় এসে লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কোন কোন দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাঁরা হামলা চালিয়েছে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় কী সবটাই জানার চেষ্টা করছিলেন। সূত্রের খবর, ঠিক সেই সময় মনসাবাজার লাগায়ো গ্রাম থেকে প্রচুর লোকজন বেরিয়ে আসেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে উদ্দেশ্য করে তাঁরা গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে সোনাচূড়া (Nandigram) এলাকায় সশস্ত্র বাইক বাহিনী হামলা চালায়। প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করেও বিক্ষোভও দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পথ অবরোধও চলে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, বুধবার রাতের ঘটনা পুরোটাই পারিবারিক বিবাদ থেকে হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। জোর করে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ভয়েস ম্যাসেজে অর্জুনকে গুলি করে খুনের হুমকি! কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী

    Arjun Singh: ভয়েস ম্যাসেজে অর্জুনকে গুলি করে খুনের হুমকি! কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন বীজপুরে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মী অর্জুন সিংকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের হামলায় ভাটপাড়ায় তিনজন বিজেপি কর্মী জখম হন। এবার ভোটের আগে অর্জুন সিংকে ভয়েস ম্যাসেজ করে খুনের হুমকি দিল এক দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীর পাঠানো সেই ভয়েস রেকর্ডিংসহ নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অর্জুনকে গুলি করে খুনের হুমকি! (Arjun Singh)

    ভয়েস ম্যাসেজে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) নাম করে ভোজপুরি ভাষায় বলা হয়েছে, “২৯ তারিখ পর্যন্ত অর্জুন তুই বেঁচে আছিস। এরপর তোর কাহানি খতম করব। ভরা বাজারে সকলের সামনেই তোকে গুলি করে খুন করব।” ৪১ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে বিজেপি প্রার্থী খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকি ফোন প্রসঙ্গে অর্জুন সিং এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা কোন জায়গায় গিয়েছে এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। একজন সহজেই আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছে। আমি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয়  পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলেছি।

    <

    p> 

    গণনার দিন শাসকদলের নেতারা গন্ডগোল করতে পারে!

    অন্যদিকে, ভোট গণনার দিন পুলিশ, এসডিও’র সঙ্গে হাত মিলিয়ে শাসকদলের নেতারা গন্ডগোল তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শুধু আশঙ্কা প্রকাশ নয়, তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদনও জানিয়েছেন। আগামী ৪ জুন রয়েছে ভোট গণনা। বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। সেই মতো প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৪ জুন ভোট গণনা হওয়ার কথা রয়েছে। গণনা কেন্দ্রে তৃণমূল নেতারা গন্ডগোল পাকাতে পারেন এমনই আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর।

    পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কমিশনকে দেওয়া চিঠি পোস্ট করে অর্জুন সিং লিখেছেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমি জানতে পেরেছি বারাকপুরের পুলিশ, এসডিওর সঙ্গে যোগসাজস করে শাসক দলের নেতারা ভোট গণনা কেন্দ্রে অশান্তি তৈরি করতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে গণনার সময়  তৃণমূল নেতারা  গণনা  কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার  করেছিলেন। মূলত এলাকার তৃণমূল বিধায়ক, চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরা বিরোধী দলের এজেন্টদের হুমকি দিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিলেন। এবারও সেরকম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় শুধুমাত্র তৃণমূল প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট এবং গণনা এজেন্ট ছাড়া যাতে তৃণমূলের কোনও বিধায়ক, চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর যাতে ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা তথা জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর সঙ্গে অর্জুনের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ভোটের আগে বার বার একের অপরের বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধ দেখেছেন বারাকপুরবাসী। তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম বলেন, আসলে ভোটের দিনই বুঝে গিয়েছেন ফল কী হতে চলেছে। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছেন। আর হুমকির বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”, নন্দীগ্রাম থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”, নন্দীগ্রাম থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে থানায় ঢুকে পুলিশকে বিজেপির মহিলা কর্মী খুনের বিরুদ্ধে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”-ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেকের উস্কানি মূলক ভাষণের জন্যই খুনের ঘটনা ঘটেছে, এই অভিযোগ করেন শুভেন্দু। এদিন তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীকে উদ্দেশে করে খুনের বদলা নেওয়া হবে বলে তোপ দাগেন তিনি।

    উল্লেখ্য সকাল থেকেই বিজেপির ক্ষোভের আগুনে অশান্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের মনসা বাজার এলাকা। রাস্তায় গাছ ফেলে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    গতকাল রাতপাহারা দিতে গিয়ে গোলমালের মধ্যে খুন হন বিজেপি মহিলা কর্মী রথীবালা আড়ি। একই ভাবে গুরুতর জখম হন ছেলে সঞ্জয়। আজ বৃহস্পতিবার থানায় ঢুকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রাম থানায় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার বলেন, “খুনিরা থানায় এসেছিল। যারা খুন করেছে মাকেই খুন করছে। রথীবালা আড়ি শুধু সঞ্জয় আড়ির মা নন। তিনি আমারও মা। খুনিদের ডেকে কেন মিটিং করা হয়েছে? আইসিকে মজা দেখাব।” এই প্রসঙ্গে তিনি অভিষেককে নিশানা করে আরও বলেন, “আগের দিন বেশ কিছু জায়গায় ভাইপো সভা করে উস্কানি মূলক ভাষণ দিয়ে গিয়েছেন। এই খুনের পিছনে ভাইপোর মদত রয়েছে। একজন তপশিলি সম্প্রদায়ের মহিলাকে খুন করা হয়েছে। এসসি সমাজের মানুষের জীবনের মূল্য এত কম? আমরাও বদলা নেবো। নন্দীগ্রামও সন্দেশখালিতে পরিণত হয়েছে। সিবিআই তদন্তের দাবি করব।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের দাবি, “বিজেপিতে নব্য এবং আদি তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক লড়াই হয়েছে। সেই সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন রথীবালা।” কিন্তু বিজেপির দাবি তৃণমূল খুন করেছে। এরপর নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। 

    আরও পড়ুনঃ রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকারীর ছবিতে মিলল পুলিশকর্তা-তৃণমূল নেতার যোগ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: অবশেষে ফিরলেন মহারাজরা! রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলে শাসকদল ঘনিষ্ঠ মাফিয়ার নাম

    Siliguri: অবশেষে ফিরলেন মহারাজরা! রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলে শাসকদল ঘনিষ্ঠ মাফিয়ার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ধীমান নামে এক জমি মাফিয়া শিলিগুড়িতে (Siliguri) রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টার মূল পান্ডা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছে না। এদিকে ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার সেভক রোডে রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউসে ফিরে আসেন মহারাজরা।

     কে এই ধীমান? (Siliguri)

    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীমান নামে জনৈক জমি মাফিয়া কলকাতার বাসিন্দা। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে তার ওঠাবসা। সেই সুবাদে রাজ্য পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই পুলিশ প্রশাসনকে হাতের পুতুল করে তিনি শিলিগুড়িতে অনেকদিন ধরেই জমির অবৈধ কারবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আর জমির এই অবৈধ করাবারের সুবিধার জন্য শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। মাঝে মধ্যে সেখানে এসে থাকেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কেন রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টা?

    আইনি জটিলতা, পারিবারিক কলহ থাকা জমির ওপর নজর ধীমান নামে ওই ব্যক্তির। শিলিগুড়িতে তাঁর একাধিক এজেন্ট বা গুন্ডা রয়েছে। তাদের দিয়েই জমি দখল নেওয়া হয়। রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের কাজে তিনি প্রদীপ রায়কে ব্যবহার করেছিলেন। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাসিন্দাদের ভয় দেখিয়ে, প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে জমির দখল নেওয়া হয়। শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরের প্রাণকেন্দ্র সেভক রোডের ধারে যেখানে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি রয়েছে সেখানে এক কাঠা জমির দাম কোটি টাকারও বেশি। রামকৃষ্ণ মিশনের এখানে প্রায় দু’একর জমি রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এই জমির মোট মূল্য ১০০কোটি টাকারও বেশি। পুলিশ জানিয়েছে এই জমিটি রামকৃষ্ণ মিশনের।

    ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের একাংশের মদত রয়েছে!

    শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি দীপক সরকার বলেন, জমিটি প্রথমে টুকরে সিং বলে এক ব্যক্তির ছিল। তিনি ওই জমি হরদওয়াল সিং গিল নামে আরেকজনের কাছে বিক্রি করেন। হারদওয়াল সিং গিল পরেওই জমি এসকে রায় নামে একজনকে বিক্রি করেন। সেই ব্যক্তির উত্তরাধিকার না থাকায় জমিটি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করেন। তবে, মিউটেশন না হওয়ায় সরকারি নথিতে জমিটির মালিক এখনও টুকরে সিংকে দেখাচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন, এতদিন পর কীভাবে প্রদীপ রায় ও সঙ্গীরা এখবর পেল। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফরের একাংশ  এধরনের জটিল জমির খবর জমি মাফিয়াদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ধীমান নামে জনৈক ব্যক্তি এই ধরনের জমির খোঁজে থাকেন। 

    অবশেষে সেবকে রামকৃষ্ণ মিশনে ফিরলেন মহারাজ

    বৃহস্পতিবার রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ ভক্তিনগর থানার আইসি’র নেতৃত্বে মিশনের ভেতরে প্রবেশ করেন। মিশনের জমির দ্বায়িত্ব মহারাজের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক শিব প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, সেবক হাউস থেকে ফের আগের মতো আমাদের মিশনের বিভিন্ন কাজ শুরু করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুন, জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট চাইল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুন, জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট চাইল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে তমলুকে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024)। আর তার আগে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ-জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন। কী কারণে মৃত্যু? সে বিষয়েও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিল কমিশন। একইসঙ্গে অশান্তি প্রবণ অঞ্চলে রুট মার্চ করানোরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    ভোটের আবহে (Lok Sabha Election 2024) বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় একটি হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে এলাকায় হামলা চালায়। এক মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। রথীবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি (BJP) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রথীবালার পুত্র সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জখমদের তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এসপিকে ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভোটব্যাঙ্ক! তৃণমূল জমানায় ওবিসি হয়েছিল যারা, খারিজ করেছে হাইকোর্ট, দেখুন তালিকা

    রিপোর্ট তলব কমিশনের 

    যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই এই খুন। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম (Nandigram) এলাকায় প্রচারের শেষ দিন বৃহস্পতিবারই। আর ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে প্রচারের শেষ দিনে এই অশান্তির ঘটনায় এবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কমিশন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share