Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিন”, চাকরিহারাদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিন”, চাকরিহারাদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার পর তৃণমূল থাকবে না। যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের বলব, ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের কাছে যান, কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিয়ে নিন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল আমলে যারা চাকরি পেয়েছেন, কার চাকরি থাকবে, কার চাকরি যাবে বলা অসম্ভব। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা পড়াশুনা করে চাকরি পেয়েছেন, তারা তো টাকা দিয়ে চাকরি পাননি। তাহলে তো আটা ও ভুষি এক হয়ে যাচ্ছে। যারা ঘুষ নিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি যাচ্ছে আর যারা পড়াশুনা করে চাকরি পেয়েছেন, তাদেরও চাকরি চলে যাচ্ছে।

    দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এদিকে রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন বালুঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত, বুথের অবস্থা কি তার খোঁজ খবর নিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। এদিন দুপুরে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম এলাকায় যান বিজেপি প্রার্থী। সেখানে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত। পাশাপাশি ওই এলাকায় কিছু তৃণমূলের লোকজন একটু হুমকি দিচ্ছে। তারা আবার দিনের বেলা বেরতে পারে না বলে জানান বিজেপি কর্মীরা । দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর, গোপালপুর ও হিলি ব্লকের তিওর সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেরান।

    আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    কী বললেন সুকান্ত?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বুধবার তো প্রচার শেষ হয়েছে। তাই, এদিন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, কেউ ভয় দেখাচ্ছে কি না এইসব শুনছি। ছোট খাটো ধমকানো চমকানো চলছে। ভয় দেখানো হচ্ছে, বিভিন্ন ভাতা বন্ধ হবে এইসব চলছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীর হাত উড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বোমা বাধঁতে গিয়ে হাত উড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ হল বোমা শিল্পর জন্য বিখ্যাত। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এইসব জায়গায় বোমা ঘরে ঘরে কুটির শিল্প এখন। বোমা তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “চোরেদের দল তৃণমূলে আর থাকব না”, অর্জুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন কাউন্সিলর

    Arjun Singh: “চোরেদের দল তৃণমূলে আর থাকব না”, অর্জুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) গড় ভাটপাড়ায় ফের তৃণমূলে ভাঙন। ভাটপাড়া পুরসভার ১০  নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দলবল বিজেপিতে যোগদান করলেন। ভোটের আগে এই ধস নামার ঘটনায় ব্যাকফুটে শাসক দল। পাশাপাশি, ভাটপাড়ায় আরও শক্তি বাড়ালো বিজেপি। ভোটের আগে এই যোগদানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙা হয়ে উঠেছেন।

    চোরদের দল তৃণমূলে আর থাকব না, বললেন দলত্যাগী কাউন্সিলর

    মঙ্গলবার রাতে ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলার চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হামলায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর সত্যেন রায় এবং তাঁর ছেলে শানু রায়। সত্যেনবাবু বলেন, পার্টি অফিসে একটি বিষয়ে আলোচনা চলছিল। পরে, সেটা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। সে সময় তৃণমূল নেতা দেবরাজ ঘোষ দলবল নিয়ে এসে আমাকে প্রথম মারধর করে। আমার ছেলে আমাকে বাঁচাতে এলে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। কিছুদিন আগে তার কিডনির অপারেশন হয়েছে। তাকেও রেয়াত করেনি। আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করি, আজ এটাই ফল পেলাম। পরে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার ঘটনার পর তৃণমূল নেতারা কেউ পাশে আসেনি। অর্জুন সিং (Arjun Singh) আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। যে দল আমাকে কোনও সম্মান দেয়নি, সেই দলের সঙ্গে আমি কোনও মতেই থাকতে পারবো না। তাই আমি বিজেপিতে যোগদান করলাম। চোরদের দলে আমি থাকবো না। আর বারাকপুরে পার্থ ভৌমিক হেরে বসে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    কী বললেন অর্জুন সিং? (Arjun Singh)

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিল। তাঁকে অপমান করা হচ্ছিল। মারধর করা হচ্ছিল। আমরা তো তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিরাপত্তা দিতে পারি না। বিজেপি আসলে সন্মান পাবেন বুঝতে পেরেই তিনি দলে যোগ দিয়েছেন। আমার দলের কর্মীদের হামলা করলে তৃণমূল বুঝতে পারবে কী হবে। মানুষ তার যোগ্য জবাব এবার ভোটে দিয়ে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: গোষ্ঠীকোন্দল! ধারাল অস্ত্রের কোপ, দলীয় কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী

    Murshidabad: গোষ্ঠীকোন্দল! ধারাল অস্ত্রের কোপ, দলীয় কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ। প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। ২৬ এপ্রিল রাজ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট। আর এরই মধ্যে বুধবার বিকেলে গন্ডগোলে উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা। 

    ঠিক কি ঘটেছিল? 

    জানা গেছে মিটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে রঘুনাথগঞ্জের গিরিয়া অঞ্চলের ভৈরব টোলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই গণ্ডগোল এমনই অভিযোগ উঠছে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় তিনজন। ইতিমধ্যেই জখমদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর (Jangipur) মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও হাসান শেখ নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের (Baharampur Medical College) রেফার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। জঙ্গিপুর আউটপুস থানার ওসি (OC) সুমিত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পুলিশ এলাকায় তদন্ত (Investigation) চালাচ্ছেন। আক্রান্ত এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলেরই মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। মারধরের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: চতুর্থ দফায় চাহিদা সবচেয়ে বেশি, দ্বিতীয়-তৃতীয় দফায় বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    তৃণমূলে কোন্দল লেগেই রয়েছে!

    যদিও তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল কোনও নতুন ঘটনা নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনার তালিকা অনেক লম্বা। এর আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালার থানার পূর্ব গ্রামে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল দলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সম্প্রতি তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা ঘটেছিল হুগলিতে। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachana Banerjee) সমর্থনে জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় কেড়ে নেওয়া হল বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর (Manoranjan Byapari) মাইক। এই ঘটনায় মঞ্চ ছাড়েন ‘অপমানিত’ বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: চতুর্থ দফায় চাহিদা সবচেয়ে বেশি, দ্বিতীয়-তৃতীয় দফায় বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Lok Sabha Election 2024: চতুর্থ দফায় চাহিদা সবচেয়ে বেশি, দ্বিতীয়-তৃতীয় দফায় বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। প্রথম দফার তুলনায় দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। চলতি লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের জন্য দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রস্তাব করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মোতায়েনের পরিকল্পনা যে ভাবে চলছে, তাতে চতুর্থ দফাতেই বাহিনীর চাহিদা সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে অনুমান। 

    কী বলছে কমিশন

    মুখ্য নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) আধিকারিকের দফতরের অনেকে মনে করছেন, রাজ্যে প্রতি দফায় বাহিনীর চাহিদা বাড়ছে। সেই অনুপাতে চতুর্থ দফায় বাহিনীর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি হবে বলে অনুমান। ১৩ মে চতুর্থ দফায় আটটি কেন্দ্রে ভোট হবে। স্বাভাবিক ভাবেই বুথ সংখ্যা বাড়বে। আগের দফাগুলির তুলনায় বেশি থাকতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ (ক্রিটিকাল) এবং অতি-ঝুঁকিপূর্ণ (ভালনারেবল) এলাকার সংখ্যাও। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘একটি দফার ভোট শেষ হওয়ার পরেই পরের দফার জন্য বাহিনীর তথ্য পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে চতুর্থ দফায় বেশি সংখ্যায় বাহিনী প্রয়োজন।’’নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, চতুর্থ দফায় প্রায় ৭৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তম দফায় রাজ্যে মোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাটা প্রায় পৌঁছে যাবে ১২০০ কোম্পানিতে। 

    আরও পড়ুন: কোথায় উঠবে তাপমাত্রার পারদ! লু-তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ, কবে নামবে বৃষ্টি?

    দ্বিতীয় দফায় কোথায় কত বাহিনী

    দ্বিতীয় দফায় ভোটের দিন জেলার পুলিশ কন্ট্রোলরুমগুলিতে থাকবেন আধা সামরিক বাহিনী। জেলার কোথায়, কী ধরনের গোলমাল চলছে তার নজরদারি রাখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) থাকছে ৩০৩ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃতীয় দফায় সেই সংখ্যাটা বেড়ে হবে ৪০৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় পর্বে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে ৮৮ কোম্পানি। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ১১১ কোম্পানি। বালুরঘাটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ৭৩ কোম্পানি। মোট মিলিয়ে দ্বিতীয় দফার ৩ টি লোকসভা কেন্দ্রে কাজে লাগানো হবে ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কোথায় উঠবে তাপমাত্রার পারদ! লু-তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ, কবে নামবে বৃষ্টি?

    Weather Update: কোথায় উঠবে তাপমাত্রার পারদ! লু-তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ, কবে নামবে বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দহন-জ্বালায় জেরবার জনজীবন। আগুন ঢালছে সূর্যদেব। বেলা ১১টার পর বাইরে বার হওয়া যেন বিভীষিকা। প্রকৃতির এই রুদ্রমূর্তি দেখে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে জনমানসে। মানুষের প্রার্থনা আর না, এবার ধারাপাতে ভিজুক ধরিত্রী। কিন্তু, তাঁদের আশায় জল ঢেলে আপাতত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) বার্তা, এপ্রিল মাস জুড়ে দক্ষিণবঙ্গে রয়েছে তাপপ্রবাহের (Heat Wave) সম্ভাবনা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও এই ভোগান্তি অব্যাহত থাকবে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    পারদ ঊর্ধ্বমুখী

    টানা আট দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে চলছে তাপপ্রবাহ (Heat Wave)। বেড়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তে আরও বাড়বে গরম। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া, এই চার জেলায় জারি হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা। কিছু জায়গায় লু বইবে। চরম তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশে। কলকাতাতেও গরম বাড়বে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে সপ্তাহভর। বৃহস্পতি ও শুক্রবার চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকবে ৯টি জেলায়। ২৫ তারিখে ঝাড়গ্রাম, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর তীব্র তাপপ্রবাহ চলতে পারে। আপাতত কলকাতার এবং দক্ষিণবঙ্গের জন্য বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই আগামী সাত দিন। উত্তরবঙ্গের দুই জেলা— উত্তর দিনাজপুর এবং মালদহেও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    কলকাতার আবহাওয়া

    কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর তাপমাত্রা থাকবে। বৃহস্পতিবারও কলকাতার তাপমাত্রা (Weather Update) ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশাপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়ালের কাছাকাছি। গতকাল অর্থাৎ বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ। এপ্রিল মাসের শেষে কলকাতার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। আপাতত কলকাতায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Abhijit Ganguly: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির রায় দিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে। ভোটের মুখে চরম বেকায়দায় পড়েছে তৃণমূল। রাজ্যজুড়ে তৃণমূল নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়চে হচ্ছে। রাজ্যেজুড়ে এই ক্ষোভে ব্যালটে প্রভাব পড়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। স্বাভাবিকভাবে এই রায়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন। বুধবারও বিচারব্যবস্থাকে তিনি কড়া আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। 

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোহিঙ্গা নন তো? (Abhijit Ganguly)

    বুধবার বিকেলে এক নির্বাচনী সভায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভারতের নাগরিক? না রোহিঙ্গা? মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে বলতে পারেন যে, ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থা না কি বিজেপির বিচারব্যবস্থা? কাল তিনি একথা বলেছেন। এখন প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভারতবর্ষের নাগরিক? না কি তিনি অন্য কোথা থেকে এসেছেন? কোথা থেকে এসেছেন তিনি? তিনি রোহিঙ্গা নন তো? এই প্রশ্ন আজ আমাদের তুলতে হবে’। মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘তুমি জেনে রাখো, ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে এই অভিযোগ করায় তোমাকে নাক খদ দিতে হবে। আমাকে ভারত সরকার ও এই বিচারব্যবস্থা তার অন্তর্ভুক্ত হতে দিয়েছিল বলে আমি গর্বিত। ভারতের প্রতিটা মানুষ গর্বিত। অনেক রায় অনেক সরকারের বিরুদ্ধে, অনেক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে যায়। সেজন্য কেউ কোনও দিন বলেছে, এই বিচারব্যবস্থা, বিজেপির বিচারব্যবস্থা’? বিজেপি প্রার্থীর প্রশ্ন, ‘বিজেপির বিচারব্যবস্থা হলে কী ভাবে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে বেআইনি ঘোষণা করল। নির্লজ্জ মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকার যোগ্যতা আর তাঁর নেই। তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আর মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্মোধন করি না’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে”, তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে”, তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই ইস্যুকে সামনে রেখে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  

    এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে (Suvendu Adhikari)

    লোকসভা ভোটে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে বুধবার ডিমারিতে এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু। সেখানে চাকরি বাতিল ইস্যুতে শাসকদলকে এক হাত নেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন,  ‘একুশের আগে বলেছিল ডবল ডবল চাকরি হবে। এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে।’ এমনিতেই আদালতে শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সুদ সহ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এই ইস্যুতে শিলিগুড়িতে শুভেন্দু চাকরিহারাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনারা টাকা ফেরত না দিয়ে চাকরি চোর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করুন। এরপর এদিন তমলুকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকে বলছেন আমরা যোগ্য। প্রশ্ন হচ্ছে, কারা যোগ্য আর অযোগ্য এই রিপোর্টটা দেওয়ার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। কে যোগ্য আর কে অযোগ্য সেই তালিকা পর্যন্ত আদালতে দেওয়া হয়নি। এখানে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই।’

    আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    চাকরিহারাদের একাংশ পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন

    এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা নিয়োগ প্যানেল বাতিল হওয়ার ফলে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, সবার চাকরি বাতিল হয়েছে। যাঁদের চাকরি যেতে বসেছে, তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই নিজেদের ‘যোগ্য’ বলে দাবি করছেন। তাঁরাও রাস্তায় নেমেছেন। সরব হচ্ছেন। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবার ‘ন্যায্য’ চাকরিপ্রাপকদের একাংশ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকেই কলকাতায় শহিদ মিনারের পাদদেশে জমায়েত করতে শুরু করেছেন। বুধবারও তাঁদের দেখা গিয়েছে সেখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। আদালতের এই রায়ে অথৈ জলে পড়েছেন ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া যোগ্য শিক্ষকেরা। এমন পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। একই ভাবে বুধবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশনও। অন্যদিকে চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আটা আর ভুষি আলাদা করতে হবে। যাঁরা অযোগ্য তাঁদের বাদ দিয়ে, যোগ্যদের পাশে থাকবে বিজেপি। চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি।” শুধু তাই নয়, যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এখানেই শেষ নয়, “অযোগ্যদের ঢাল হয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, ঠিক এমন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেবের মুখে

    মমতাকে তোপ সুকান্তর

    এরপর সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের পাশে থাকবেন সেকথা বলছেন না। উনি বলছেন, আমি সবার পাশে থাকব। মানে, যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও পাশে থাকবেন। ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের শিখণ্ডী করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু কি পারতেন না, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের নামের তালিকা আলাদা করে আদালতের হাতে তুলে দিতে। তাহলেই তো যোগ্যদের কিছুই হত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাকি করলেন। তিনি রাজনীতি করলেন। যে পাঁচ হাজার জনের কাছ থেকে তাঁর নেতারা পয়সা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, তাঁদের বাঁচানোর জন্য কুড়ি হাজার যোগ্য শিক্ষককে ঢাল করলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ঋণ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা, আদালতের রায়ে ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের

    SSC Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ঋণ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা, আদালতের রায়ে ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। আচমকা চাকরি চলে যাওয়ার ঘটনায় আকাশ ভেঙে পড়েছে চাকরি হারা শিক্ষকদের পরিবারে। সকলেই চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। এই আবহের মধ্যে চিন্তায় পড়েছে ব্যাঙ্কও। কারণ, বহু শিক্ষক ব্যাঙ্ক থেকে গৃহ ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন। সেই টাকা এবার পরিশোধ করবেন কীভাবে? এটাই এখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মস্তবড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    চাকরিহারাদের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে (SSC Recruitment Scam)

    জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের তথ্য তুলে ধরলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। এমনিতেই সরকারি চাকরি বলে  শিক্ষকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয় ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি-ধূপগুড়ির ওই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক প্রায় ৭ কোটি টাকা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের ঋণ দিয়েছে। শুধু এই ব্যাঙ্ক নয়। গোটা জেলার ব্যাঙ্কগুলি ধরলে সেই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। আর গোটা রাজ্য ধরলে কোটি কোটি টাকা চাকরি হারা শিক্ষকদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। পার্সোনাল লোন, হোম লোন নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। সোমবার আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তারপর থেকেই কোর্টের নির্দেশে রীতিমতো ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কেরও।

    আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে!

    ধূপগুড়ি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, “চিন্তা তো খুবই আছে। টাকা কীভাবে তোলা হবে সেটাই এখন মূল মাথা ব্যথা। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে টাকা আছে তা তো পাবলিক ফান্ডের। ঋণ শোধ করতে না পারলে পাবলিকের টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে। লোকজনের ব্যাঙ্কের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাবে।” ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি অত সহজ হবে না। নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, “যে রায় দেওয়া হয়েছে কোর্টের তরফে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া আর সহজ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এসএসসি মামলার রায় (SSC Recruitment Verdict) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। আর সেই সূত্র ধরে আরও একবার নাম উঠল ‘সৎ রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন শিরোনামে ছিলেন চন্দন মণ্ডল। উল্লেখ্য তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস ভিডিয়ো বার্তায় ‘সৎ রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। মূল অভিযোগ হল, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে বহু চাকরি দিয়েছেন। পরে গ্রেফতার হন চন্দন মণ্ডল।

    বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে আধার (SSC Recruitment Verdict)

    জানা গিয়েছে সোমবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরে যে ২৬ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন উত্তর ২৪ পরগনার চন্দনের গ্রামের আশপাশের এলাকার অনেকে। হাইকোর্টের রায়ের পরে মঙ্গলবার ভরা দুপুরেও যেন ‘আঁধার’ নেমে এসেছে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে। চাকরি যাওয়া কারও ফোন বন্ধ, তো কেউ আবার বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    তবে কেবল মামাভাগিনা নয়, আশপাশের চড়ুইগাছি কুরুলিয়া, রামনগর-সহ গোটা বাগদা ব্লকের প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরি (SSC Recruitment Verdict) চলে গিয়েছে বলে গ্রামেরবাসিন্দারা জানিয়েছেন। চন্দনের প্রতিবেশী, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান হারান বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের বেশ কয়েক জন অবৈধ ভাবে চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে ।’’ সেই সঙ্গে আরও বলেন, “গ্রামের অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেলেও সকলে অবৈধভাবে নিযুক্ত হননি। কেউ কেউ নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন।”

    অনেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন

    এদিন হাইকোর্টের রায়ের (SSC Recruitment Verdict) পরে এলাকার পরিবেশ সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। আরও গ্রামবাসীরা বলেন, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা সোমবারের পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হননি। তেমনই এক যুবকের বাড়ি গিয়ে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই জানালেন, কোনও স্কুলে চাকরি করেন না তিনি। মাঠেঘাটে কাজ করেন। গ্রামের এক মহিলার মতে আদালতের এমন সিদ্ধান্তে বাগদার (Bagda) প্রচুর যুবক-যুবতী পথে বসলেন। কারও বিয়ে হয়েছে। কারও সন্তান হয়েছে। কেউ কেউ আবার ঋণ নিয়ে বাড়ি করছেন। তাঁদের এ বার কী হবে!”

    আরও পড়ুনঃউস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে

    মামাভাগিনা (Mamabhagina) গ্রামে চাকরি যাওয়া এক যুবকের আত্মীয় এদিন বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে এখানে যখন চাকরি বিক্রি হচ্ছিল, তখন চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে ছেলের চাকরি হয়েছিল।’’ এ দিন পুরনো স্মৃতি উস্কে বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনের দীর্ঘ লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে। উদ্দেশ্য একটাই, চন্দন মণ্ডলের সাহায্য নিয়ে একটা সরকারি চাকরি (SSC Recruitment Verdict) জোটানো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share