Tag: West Bengal

West Bengal

  • Puja Rituals: নিয়মিত পুজো করেন? জেনে নিন ঠাকুরের সামনে কতক্ষণ প্রসাদ রাখা যায়

    Puja Rituals: নিয়মিত পুজো করেন? জেনে নিন ঠাকুরের সামনে কতক্ষণ প্রসাদ রাখা যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মে (Hindu religion) পুজো-অর্চনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রীতি। বাড়িতে পুজো করলে একটা গঠনমূলক ভাবনা প্রবাহিত হয়। এছাড়া ভক্তি সহকারে ঠাকুরের আরাধনা করলে মনে শান্তি লাভ করা যায়। যে বাড়িতে নিয়মিত পুজো-অর্চনা (Puja Rituals) হয়, সেখানে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বজায় থাকে। ঠাকুরের দয়ায় জীবনের সব সমস্যা কেটে যায় ও সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয়। এই কারণেই সনাতন ধর্মে সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যে, দু-বেলা পুজো করা উচিত। মন্ত্র জপের পাশাপাশি পুজোয় অন্নদানের গুরুত্ব রয়েছে। সঠিক পদ্ধতিতে নৈবেদ্য দিলেই ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। তবে কতক্ষণ ঠাকুরের সামনে প্রসাদ (Pujo Prasad Rules) রাখা উচিত, তা জানেন কি?

    ভোগ দেওয়ার সময় (Puja Rituals)

    ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, পুজো (Puja Rituals) দেওয়ার পর অবিলম্বে ঠাকুরের কাছ থেকে প্রসাদ সরিয়ে নেবেন না, বা দীর্ঘ সময়ের জন্যও ঠাকুরের সামনে প্রসাদ রেখে দেবেন না। পুজোর পর ঠাকুরের সামনে মাত্র ৫ মিনিটের জন্য ভোগ রাখা ভালো। এরপরে, ভোগ গ্রহণ করুন এবং প্রত্যেকে এটি প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করুন। তবে ভোগকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাকুরের সামনে ফেলে রাখবেন না। কারণ এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। উল্লেখ্য ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করার পর এই প্রসাদ মাটিতে রাখবেন না। আবার ঠাকুরের ভোগ প্রসাদ হয়ে গেলে তা আর মূর্তির খুব বেশি কাছাকাছি রাখবেন না। এছাড়া ঠাকুরকে খাবার দেওয়ার সময় সঙ্গে জল নিবেদন করতে ভুলবেন না। ঠাকুরের ভোগ সব সময় পিতল, রূপো, সোনা বা মাটির বাসনে নিবেদন করবেন। একই ভাবে কলাপাতায় প্রসাদ (Prasad) বিতরণ করা শুভ বলে মনে করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ প্রথমবার পেট্রাপোল পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক

    নৈবেদ্যর জন্য মন্ত্রপাঠ

    তবে যদি আপনি উপবাস রেখে পুজো (Puja Rituals) করেন, তাহলে ভগবানকে অন্ন নিবেদনের জন্য মন্ত্র (Mantra) পাঠ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে নৈবেদ্যর জন্য মন্ত্রপাঠ করলেই ঈশ্বর নিবেদন গ্রহণ করেন। তাই অন্নভোগ অর্পণ করার সময় মন্ত্রপাঠ করা উচিত। তবে পুজোর পর নিজের জন্য নিজে প্রসাদ নেবেন না। এই প্রসাদ আপনি প্রথমে সবার মধ্যে ভাগ করে দিন। এরপর নিজে প্রসাদ নিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কথা রাখল বিজেপি, দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন বিধায়ক

    Alipurduar: কথা রাখল বিজেপি, দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটে গেলে নেতারা ফিরেও চায় না। এরকম অভিযোগ অনেকে করে থাকেন। কিন্তু, ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরও যে দুর্গত মানুষের পাশে নেতারা থাকেন, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। বিজেপি বিধায়কের এই পদক্ষেপে খুশি দুর্গতরা।

    দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করলেন বিজেপি বিধায়ক (Alipurduar)

    প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরুর আগে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে বাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছিল। ভেঙে পড়েছিল বাড়ি। কিন্তু, সে সময় নির্বাচনের বিধিনিষেধ থাকার কারণে বিজেপি বিধায়ক দুর্গতদের কাছে গেলেও ত্রাণ-সাহায্য করতে পারেননি। তবে, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন। এবার ভোট মিটতেই দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিলেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে সাহায্য নিয়ে গেলেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও।

    আরও পড়ুন: স্বস্তির বার্তা, তাপপ্রবাহের মধ্যেই তিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ভোট হয়ে যাওয়ার পর রবিবার কুমারগ্রামের রায়ডাক, খোয়ারডাঙা-১, ধনতলি টাপুতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে যান ত্রিপল ও শুকনো খাবার। যদিও দুর্যোগের খবর পেয়ে আগেই এলাকায় গিয়েছিলেন শাসকদলের তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। নির্বাচনী বিধিনিষেধ থাকায় তাঁকেও খালি হাতেই যেতে হয়েছিল। তবে আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন ভোট মিটলে যাবেন। কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেন, আসলে ঝড়ে এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছিলাম। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর আমরা দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি।

    দুর্গতদের কী বক্তব্য?

    দুর্গতদের বক্তব্য, ঝড়ে বাড়ি-ঘর সব ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক নিজে নদী পেরিয়ে আমাদের কাছে ত্রাণ পৌছে দিয়েছেন। সকলের অভাব অভিযোগ শুনেছেন। আমরা এলাকার সমস্যার কথা জানিয়েছি। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “এতদিন বাঘিনী ছিলেন, এখন বিড়াল হয়ে গিয়েছেন”, মমতাকে তোপ দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “এতদিন বাঘিনী ছিলেন, এখন বিড়াল হয়ে গিয়েছেন”, মমতাকে তোপ দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এতদিন বাঘিনী, ভোট হয়ে গেলেই বিড়াল হয়ে মেউ মেউ। আমি মেয়ে, আমি মহিলা, আমাকে একা দেখুন ঘিরে ফেলেছে। যা কর্ম করেছেন, তার ফল ভোগ করতে হবে, আর কোনও সহানুভূতি পাবেন না।” নির্বাচনী প্রচারে বের হয়ে ফের তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতাকে কটাক্ষ করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghsoh)।

    মমতাকে ঠিক কী বললেন?

    সোমবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মির্জাপুরে মাঠে প্রাতঃভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এরপর চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানে দেওয়ানদিঘির মোড়ে আসেন দিলীপ। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) লক্ষ্য করে বলেন, “ভোট হয়ে গেলেই নাকি তিনি টার্গেট হন। এতদিন বাঘিনী ছিলেন, এখন বিড়াল হয়ে গিয়েছেন। তিনি কোনও ভাবেই রেহাই পাবেন না। যা কর্ম করেছেন, তার ফল পাবেন। নেতাদের চোর বানিয়েছেন, চোরেদের নেতা বানিয়েছেন। যত ইলেকশন এগিয়ে আসছে ততই নির্বাচনে হারার ভয়ে হিংস্র হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।”

    শত্রুঘ্নকে আক্রমণ

    প্রধানমন্ত্রীর প্লেনে চড়া নিয়ে আসানসোলের (Asansol) তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কারও বাপের টাকায় চড়ছেন নাকি? ১৪০ কোটির দেশের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর জো বাইডেনের থেকেও দামী প্লেনে চাপা উচিত। আমরা ভিখারি পার্টি নই, ভিখারি দেশও নয়। যারা ভিখারি বানিয়েছে তারা এটা করছে। শত্রুঘ্ন সিনহা এবং কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) ওনার এখানকার পরিস্থিতি জানেন না। বাইরে থেকে এসেছেন, ফরেনার তো আগে ভোটটা লড়ুন। শুনলাম একজন বিহার যাচ্ছেন। আর-একজন ভয়ে বেরাচ্ছেন না। এরা কী রাজনীতি করবেন।”

    আরও পড়ুনঃ নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বাতিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি

    অভিষেককে আক্রমণ

    অন্যদিকে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কেও কড়া আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপিকে ২ নম্বর বলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “তিনি একমাত্র ভদ্রলোক! যার বাড়ির বউ থেকে চাকর বাকর, কুকুর সবাইকে ইডি ডাকছে। সোনা নিয়ে যাচ্ছে, রাস্তায় চোর চোর বলে সবাই ডাকছে। ওঁর চোদ্দপুরুষ চোর। আজ মুখ্যমন্ত্রীকেও চোর চোর শুনতে হচ্ছে।”

    সোমবার এসএসসির রায়দান নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এরাজ্যের লোক তাকিয়ে থাকে আদালতের দিকে আর কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে। কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়ন করে আর আদালত ন্যায় বিচার করে। এই তৃণমূল সরকার কিছু করে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: দ্বিতীয় দফার আগে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের তথ্য প্রকাশ করল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: দ্বিতীয় দফার আগে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের তথ্য প্রকাশ করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম দফার নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিল কমিশন (ECI)। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন রয়েছে রাজ্যের ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে (Lok Sabha Election 2024)-দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ (Raiganj) এবং বালুরঘাট (Balurghat)। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফার ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষকদের নাম, ফোন নম্বর, এবং ইমেল আইডি প্রকাশ্যে আনল নির্বাচন কমিশন। ভোটাররা কোনও ক্ষেত্রে ভোট দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে সংশ্লিষ্ট ফোন নম্বর এবং ইমেল আইডিতে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অপর দিকে স্ট্রং রুমের বাইরে শিবিরে ছাড়পত্র দিল কমিশন।

    এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষকদের তালিকা (Lok Sabha Election 2024)

    ১. দার্জিলিং

    শ্রী পুষ্কর কাঠুরিয়া (ফোন নম্বর-7318695201), (email-deodarj@gmail.com)

    শ্রী বি নিশান্থ রাও (ফোন নম্বর-7319349201), (email-chennai.ddit.inv3.3@incometax.gov.in)

    ২. রায়গঞ্জ:

    শ্রী হারশ সিদ্ধার্থ (ফোন নম্বর-9046227872), (Email Id-exobs.raiganj@gmail.com)

    ৩. বালুরঘাট

    শ্রী ভাঙ্গেপাটিল পুশকারাজ রমেশ (ফোন নম্বর-7586926462) (Email Id-expenditureobserver.blg6pc@gmail.com)

    সাধারণ পর্যবেক্ষক (Lok Sabha Election 2024)

    ১. দার্জিলিং 

    শ্রী বিক্রম সিং মালিক (ফোন-736494505), (Email-genobs04darj@gmail.com)

    ২.রায়গঞ্জ

    শ্রী শ্রীধর বাবু আড্ডাকানি (ফোন-9046227870), (Email-genobs.raiganj@gmail.com)

    ৩. বালুরঘাট

    শ্রী নর্মাদেশ্বর লাল (ফোন নম্বর-7384269466), (Email Id-generalobserver.blg6pc@gmail.com)

    পুলিশ পর্যবেক্ষক (Lok Sabha Election 2024)

    ১. দার্জিলিং

    শ্রী প্রদীপ কুমার যাদব (ফোন নম্বর-7318748206), (Email Id-policeobserver24@gmail.com)

    ২. রায়গঞ্জ

    শ্রী সুভাষ চন্দ্র ডুবেই (ফোন নম্বর-9046227871), (Email Id-udpoliceobserver@gmail.com)

    ৩. বালুরঘাট

    শ্রী হনুমন্তারায়া (ফোন নম্বর-7384013279), (Email Id-observerddnj@gmail.com)

    কোন কেন্দ্রে কত স্পর্শকাতর বুথ (Loksabha Election)?

    প্রসঙ্গত দার্জিলিংয়ে মোট পোলিং স্টেশন ১৯৯৯টি। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪০৮। রায়গঞ্জ মোট পোলিং স্টেশন ১৭৩০টি এবং স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪১৮টি। বালুরঘাটে মোট পোলিং স্টেশন ১৫৬৯টি এবং স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৩০৮টি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে (Lok Sabha Election 2024) মোট পোলিং স্টেশন ৫২৯৮ টি এবং মোট স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১১৩৪।

    আরও পড়ুনঃ ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    গণনায় কারচুপি রুখতে কড়া কমিশন

    প্রথম দফা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) কোনও মায়ের কোল খালি হয়নি ঠিকই। তবে একেবারে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে, একথাও বলা যাবে না। শাসক দলের তরফে পুলিশকে কাজে লাগানো, বিরোধী দলের এজেন্টদের বসতে না দেওয়া, ভোটারদের ভয় দেখানো সহ নানা ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের পর গণনায় “খেলা” হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। গণনায় কারচুপির অভিযোগ আটকাতে তার জন্য এবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন ঠিক করেছে, এবার থেকে স্ট্রংরুমের বাইরে যে কোনও রাজনৈতিক দল শিবির করে বসে থেকে নজর রাখতে পারবে স্ট্রং রুমের দিকে। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ভিতরে কোনও কারচুপি হচ্ছে কিনা, জানতে পারবে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। প্রতিটি স্ট্রং রুমের বাইরে এক প্ল্যাটুন অর্থাৎ ২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তিন শিফটে তাদের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে নিয়ম করে রিটার্নিং অফিসারকে স্ট্রং রুমে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে এবং সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট লিখে রেখে আসতে হবে সেখানে রাখা খাতায়। যদি কোনও প্রার্থী স্ট্রং রুমের অবস্থা দেখতে চান, তাঁকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে স্ট্রং রুমের সামনে পৌঁছতে হবে। সঙ্গে জলের বোতল, মোবাইল সহ অন্যান্য কিছুই রাখা চলবে না। শুধুমাত্র সাদা কাগজ এবং পেন নিয়ে প্রার্থী যেতে পারেন স্ট্রং রুমের সামনে। সেখানে রাখা খাতায় তাঁর নিজের নাম, ফোন নাম্বার ঠিকানা সহ যাবতীয় তথ্য লিখতে হবে প্রার্থীকেও। ফলে গণনার আগে “ইভিএমে খেলা” আটকানো যাবে বলে মনে করছে কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ভোটের মুখে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বিজেপির পার্টি অফিস, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Durgapur: ভোটের মুখে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বিজেপির পার্টি অফিস, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের ১৩ মে ভোটগ্রহণ রয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে। এবার সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্ধমান-দুর্গাপুরে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সঙ্গে কড়া টক্করের পরে শেষ হাসি হাসতে পারেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সমীক্ষার রিপোর্ট বিজেপি কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে। আর এই আবহের মধ্যেই এবার আগুনে পুড়ে গেল বিজেপির পার্টি অফিস। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) বিধাননগরের পাম্প হাউস মোড়ের কাছে বিজেপির পার্টি অফিস রয়েছে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় ওই পার্টি অফিস। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। ভিড় জমান স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। আসলে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে হার নিশ্চিত জেনেই তৃণমূল সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে। নিউ টাউনশিপ থানায় জানানো হয়েছে গোটা ঘটনাটি। যদিও দমকল কর্মীরা আগুন লাগার নিশ্চিত কারণ হিসেবে কিছু জানাতে পারেননি। যদি দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ে, তাহলে দল লাগাতার আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগর এলাকায়।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, আসলে বিজেপির জনসমর্থন নেই। তাই, এসব করে তারা খবরের শিরোনামে আসতে চাইছে। এটুকু বলতে পারি, এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। এবার এই আসনে তৃণমূলের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। ফলে, অকারণে এসব আমরা করতে যাব না। তাছাড়া তৃণমূল এরকম নোংরা কাজ করে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তীব্র গরম উপেক্ষা করে হুডখোলা জিপে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তীব্র গরম উপেক্ষা করে হুডখোলা জিপে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের দলীয় প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সমর্থনে বিজেপি প্রচারের কোনও খামতি রাখছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পর শনিবার মিঠুন চক্রবর্তী জেলা বিভিন্ন অংশে রোড শোয়ের পাশাপাশি জনসভা করেছেন। রবিবাসরীয় প্রচারে এদিন ঝড় তুলেছেন সুকান্ত। হুডখোলা গাড়িতে তীব্র গরম ও রোদকে উপেক্ষা করে গ্রামের পর গ্রাম প্রচার করে বেড়াচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর সঙ্গে এদিন প্রচারে ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

    ভোট প্রচারে সুকান্তর স্ত্রী (Sukanta Majumdar)

    এদিন বালুরঘাট শহর লাগোয়া তপন ব্লকের একাধিক গ্রামে জনসংযোগ করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। ভোটের আগে শেষ রবিবারের প্রচারে সারাদিনই জনসংযোগ কর্মসূচিতেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। প্রচারে বেরিয়ে ২৬ তারিখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান সুকান্ত। পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার দ্বিতীয়বারের জন্য এবার নির্বাচনে লড়াই করছেন। প্রসঙ্গত,দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাতটি ও উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার বিধানসভা মিলিয়ে বালুরঘাট লোকসভা আসন। মোট ১৮০০ বেশি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে বুথে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না  প্রার্থীর। কারণ, এক মাসের মধ্যে লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। এই অবস্থায় বালুরঘাট শহরে স্বামীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল চৌধুরী মজুমদার। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে নির্বাচনী প্রচারে সারছেন সুকান্ত মজুমদারের সহধর্মিণী। ভোট পর্যন্তই এভাবেই তাঁর স্ত্রী প্রচার চালাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি বালুরঘাট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারও জেলা জুড়ে চুটিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    কী বললেন সুকান্ত?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,ভোটের আগে শেষ রবিবার। তাই, রোদ গরমকে উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়লাম প্রচারে। প্রচারে বেরিয়ে ২৬ তারিখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি ভোটারদের। যেহেতু আমি সব জায়গায় প্রচার করছি বালুরঘাটে সেই ভাবে প্রচারে সময় দিতে পারছিনা। তাই আমার হয়ে আমার স্ত্রী প্রচার করছে। তাঁর রাজনীতিতে আসার কোনও ইচ্ছে নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ভোটের বাজারে উলট পুরাণ সিউড়িতে! তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের বিজেপির

    Birbhum: ভোটের বাজারে উলট পুরাণ সিউড়িতে! তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগেই বীরভূমে (Birbhum) জোর চঞ্চল্য। একসঙ্গে প্রায় ৪০ জন তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বসল বিজেপি। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেছে। ফলে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে দুই শিবিরেই। তাহলে কি আসন্ন লোকসভায় পরিস্থিতি বদল হতে শুরু হয়েছে কেষ্টহীন (Abubrata Mondal) বীরভূমে? তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার।

    সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ (Birbhum)

    স্থানীয় (Birbhum) সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ তুলে জানিয়েছে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানো ও ভয় দেখানোর কাজ করে রাজ্যের শাসক দল। আর তাই একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে মোট ৪০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ভোটের বাজারে এহেন রাজনৈতিক মামলা দায়ের করার রেওয়াজ রয়েছে বঙ্গে। তবে সাধারণত বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনন্য সাক্ষী থেকেছে এই বাংলার মানুষ।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বীরভূম জেলার সহ সভাপতি দীপক বোস বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্যি। কে কোথায় কবে সন্ত্রাস করেছে তা সকলের জানা। দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাবছে। আগামী দিনে প্রমাণ হয়ে যাবে তৃণমূল কতটা জলে আছে। দু’নম্বর ব্লক স্পর্শকাতর ঘোষণা হতে চলেছে। আমরা যা যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তা গ্রহণ করব। আমরা সমস্ত বুথে এজেন্ট বসাব। বিজেপির ব্লক অফিস ঘিরে রাখার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিগত দিনে প্রার্থী দিতে দেয়নি আমাদের। নুরুল ইসলাম ভেবেছেন সিউড়ি জুড়ে সন্ত্রাস চালাবেন, এটা হতে পারে না।”

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতা হয়েও রেহাই পেলেন না পুলিশের কাছে, আমডাঙায় জুটল মার!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় সিউড়ি (Siuri) ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, “যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল নেতা হয়েও রেহাই পেলেন না পুলিশের কাছে, আমডাঙায় জুটল মার!

    TMC: তৃণমূল নেতা হয়েও রেহাই পেলেন না পুলিশের কাছে, আমডাঙায় জুটল মার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। শাসক দলের নেতাকে পেটাচ্ছে পুলিশ! তাও আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে। আমডাঙার (Amdanga) ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত ক্ষোভের আগুন জ্বলেছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের মারে হাত ভেঙেছে তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহমেদ মন্ডলের। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ওঁই তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ ভৌমিক ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে বিকেলে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় পুলিশ আচমকা ওঁই তৃণমূল কর্মীকে মারতে শুরু করেছে। মোস্তাকের অবশ্য, অভিযোগ কোনও প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশ মারধর করতে শুরু করে। আটকাতে গেলে আমাকেও লাঠিপেটা করা হয়। মারের চোটে হাত ভেঙে গিয়েছে। সেই অবস্থাতেই তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে আসা হয়।

    জাতীয় সড়ক অবরোধ

    ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূল নেতা মোস্তাকের অনুগামীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। গভীর রাত পর্যন্ত টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। উত্তেজনা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ক্ষোভ থামাতে ময়দানে নামেন ব্যরাকপুরের (Barrackpore) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক।

    আরও পড়ুনঃ মনোনয়নে সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি! বিধিভঙ্গের অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কেন পুলিশ মারধর করল? জিজ্ঞেস করা হলে মোস্তাক বলেন, “আমার উপর পুলিশের কী কারণে রাগ আমি জানি না। যেভাবে ধরে মারল আমার কিছু বলার নেই। আমার সারা শরীরে লাঠির আঘাত করেছে। গোটা শরীরে যন্ত্রণা আছে।” অপরদিকে মোস্তাকের অনুগামীরা জানিয়েছেন, “স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে নিয়ে গোপনে মিটিং মিছিল করছেন। এই কাজের প্রতিবাদ করায় বিধায়কের নির্দেশে পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে।” যদিও রফিকুর রহমান অর্জুন সিংকে নিয়ে মিটিং করার কথা অস্বীকার করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur: “বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী”, বললেন নির্যাতিতা

    Santipur: “বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী”, বললেন নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালির ছায়া শান্তিপুরে (Santipur)! রাতের অন্ধকারে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে একাধিক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। অভিযুক্ত শাসকদলের মদত দিচ্ছে প্রশাসন, দাবি বিজেপি প্রার্থীর। রাত হলেই চরম আতঙ্কে ঘুম উড়েছে মহিলাদের। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার বাগআচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করমচাঁপুর এলাকার।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Santipur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত হলেই ওই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী প্রদীপ সরকার বিভিন্ন বাড়িতে (Santipur) ঢুকে পড়ছে। বাড়িতে ঢুকে মহিলারা যখন ঘুমিয়ে থাকছে তাদের গায়ে হাত দিচ্ছে। পাশাপাশি জানালা দিয়ে  উঁকি মেরে মহিলাদের দেখছেন ওই অভিযুক্ত। এর আগেও তারা প্রশাসনকে একাধিকবার বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু, প্রশাসন অভিযোগ হাতে পেলেও কোন কর্ণপাত করেনি। এক মহিলা বলেন, বাড়িতে পুরুষরা না থাকলেই ওই তৃণমূল কর্মী বাড়িতে এসে চড়াও হয়। মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে। তৃণমূল করে বলে পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নেয় না। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। এ বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা সনৎ সরকার বলেন, দিন কয়েক আগেও ওই অভিযুক্ত আমার বাড়িতে গিয়েছিল। রাতের অন্ধকারে আমার বাড়ির মহিলাদের ওপর হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রবিবার ওই এলাকায় যান রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তথা এবারের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি এলাকার মহিলাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর ওই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যাতে কঠোর শাস্তি হয় সেই আশ্বাস দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “গোর্খারা ন্যায় বিচার পাবে”, সভায় যেতে না পেরে ফোনে বার্তা দিলেন অমিত শাহ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই অভিযুক্ত প্রদীপ সরকারের সঙ্গে শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের পুরোপুরি মদত রয়েছে। নাহলে বছরের পর বছর কীভাবে ওই তৃণমূল কর্মী এই কাজ করতে পারে। পাশাপাশি মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, এই সমস্ত অভিযুক্তদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুষে রেখেছে। তাঁর সাহসেই এরা দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে আগামীদিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।  এ বিষয়ে শান্তিপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, মহিলাদের সঙ্গে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমিও চাই অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হোক। তবে, এটাও বলব ওই পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। তাহলে চাইলেই প্রধান এবং ওই গ্রামের পঞ্চায়েত বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হতে পারতেন। তবে, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর ঘোষের সমর্থনে জলঙ্গিতে জনসভা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বাংলায় তিনটি সভা করেন। প্রথম সভা মুর্শিদাবাদে। দ্বিতীয় সভা মালদা উত্তর এবং তৃতীয় জনসভা শিলিগুড়িতে। এদিন মুর্শিদাবাদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করেন।

    সন্দেশখালির ঘটনা মানবতার জন্য লজ্জার (Rajnath Singh)

    এদিন রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “বাংলা অরাজকতার পরিবেশ। বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। সন্দেশখালির যে ঘটনা তা মানবতার জন্য লজ্জার। এই বাংলায় শিক্ষা, রেশন, আবাস যোজনায়, চাকরি ক্ষেত্রে সর্বত্র দুর্নীতি। এখানে মমতাদি গরিবকে আবাস যোজনা দেওয়ার কথা বলছেন, কিন্তু আবাস যোজনা ক্ষেত্রেও ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে।  মমতাজি পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে লালসা দেখাচ্ছেন। কিন্তু, আপনি বাংলার মানুষক কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করতে দেননি, যেখানে গরিব মানুষ ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। মমতাদি, আপনার পাপের ঘড়া ভরে গিয়েছে, এবার আপনার পতন। আপনি যতই মানুষকে ভুল বোঝান না কেন মানুষ আপনার এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনবে না।”

    আরও পড়ুন: “গোর্খারা ন্যায় বিচার পাবে”, সভায় যেতে না পেরে ফোনে বার্তা দিলেন অমিত শাহ

    নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী হবে

    রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “আমাদের সরকার বাংলায় ইন্ডাস্ট্রি রিসোর্ট বানানোর জন্য পয়সা দিয়েছে, চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার সেন্টারের জন্য পয়সা দিয়েছে, সত্যজিৎ এওয়ার্ড ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন সেন্টারের জন্য পয়সা দেওয়া হয়েছে, সেই পয়সা কোথায় গেল?” তিনি আরো বলেন, “২০২২ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর আমাদের প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এসে বন্দে মাতরম ট্রেন উদ্বোধন করেন। সেই দিনই ৭৮০০ কোটি টাকার যোজনার শিলান্যাস করেন। প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন করার জন্য অন্তর থেকে তৈরি আছেন। কিন্তু, মমতাদির এ বিষয়ে কোনও চিন্তা নেই।” রাজনাথ সিং এই জনসভা থেকে মমতাদির উদ্দেশ্যে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যদি কাউকে বিশ্বাস করে তিনি হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি। তাঁকে সকলেই ভালোবাসেন এবং সম্মান করেন।” তিনি বলেন, “আমরা বলেছিলাম ধর্মের কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে যাদের হেনস্তা করা হয়েছে, সারা ভারতে এলে এক নাগরিকত্ব আইন করে দেওয়া হবে। আর মমতাদি, আপনি বলছেন আমি পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব আইন করতে দেব না।” এরপর জনসভা থেকে হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, “মমতাদি ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গে আসছে। নাগরিকত্ব আইন এই পশ্চিমবঙ্গে কার্যকরী করবই । দুনিয়ায় এমন কোনও শক্তি নেই এই নাগরিকত্ব আইন করতে বাধা দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share