Tag: West Bengal

West Bengal

  • Dum Dum Fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    Dum Dum Fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা নববর্ষের আগেরদিন শনিবার দুপুরে দমদমের (Dum Dum Fire) ছাতাকল এলাকার একটি বস্তিতে আচমকাই আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। সেই সঙ্গে বস্তির ভিতরে একের পর এক ঘর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। অনেক দূর থেকেও সেই শব্দ শুনতে পাচ্ছেন বাসিন্দারা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। আগুনের যা ভয়বহতা তাতে ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dum Dum Fire)

    দমদমের (Dum Dum Fire) ছাতাকল এলাকায় একটি বস্তি রয়েছে। সেখানে কয়েকশো পরিবারের বসবাস। এদিন দুপুরে বস্তির কোনও একটি ঘরে আগুন লাগে। স্থানীয়দের মতে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বস্তির একাধিক বাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে।আগুনের তীব্রতা এতটাই যে দ্রুত আগুন ছড়াতে শুরু করেছে আশপাশের এলাকায়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশও। দমকলকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়েরাও আগুন নেভাতে সাহায্য করছেন। বস্তিতে অনেক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে। স্থানীয়দের কথায়, বস্তির ৪০ থেকে ৫০টি ঘর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বস্তিবাসীরা।আগুন লাগার ঘটনা নজরে আসতেই প্রথমেই এগিয়ে আসেন স্থানীয়েরা। বস্তির পাশে থাকা খাল থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন তাঁরা। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। এখনও পর্যন্ত হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কী বক্তব্য?

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বস্তিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। আগুন লাগার পর পরই দ্রুত তা ছড়িয়ে প়ড়তে থাকে। অনেকে প্রাণে বাঁচতে পাশের খালে ঝাঁপ দেন। একের পর এক সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে, আগুন আরও বড় আকার নেয়।

    আরও পড়ুন: ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ঘটনার খবর পেয়ে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এখন কোনও রাজনীতি নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আমাদের কর্মীরা রয়েছেন। তবে, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় বলেন, প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। আগুন নেভানোর কাজ করতে আমাদের রোবট আছে। সেই রোবট কাজে লাগানো হবে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের বাঁচানো এখন প্রধান কাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার তো বাড়ির মহিলারা পান। তারপরেও কেন বিজেপি করবি?’ প্রশ্ন করেই বিজেপির বুথস্তরের এক নেতাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা এলাকার কুমারগঞ্জে। সুকান্ত মজুমদারের খাসতালুকে এই হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর পঞ্চায়েতের জল্পর গ্রামে বিজেপির বুথ সহসভাপতি সঞ্জয় রায় বাড়িতে খেতে বসেছিলেন। সেই সময় পাশের গ্রামের কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাঁশ-লাঠি নিয়ে বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। সঞ্জয়ের মা প্রথমে সামনে যান। খানিক বাদে সঞ্জয়ও সামনে আসেন। তখনই তাঁকে হামলাকারীরা বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার সুবিধা নিবি, আবার বিজেপি করবি।” এরপরই বেদম পেটাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে, পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি। আক্রান্ত বিজেপি নেতা সঞ্জয় রায় বলেন, ‘এর আগেও আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। বিজেপি করি বলে ভোট আসলেই আমার ওপর আক্রমণ নেমে আসে। এখনও অভিযোগপত্র থেকে নাম তুলে নিতে ফোনে হুমকি আসছে। আমাদের দাবি, দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    সঞ্জয়ের বাড়িতে যান বিজেপির জেলা (Balurghat) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত হারার ভয়েই এভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ করছে তৃণমূল। ভোটে ওদের হার নিশ্চিত। প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলব। তৃণমূল এই কাজে যুক্ত বলে মানতে নারাজ এলাকার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে কুমারগঞ্জে। একটাও গণ্ডগোল হয়নি। এখন কেন হবে। সঞ্জয় রায় নামে বিজেপির কাউকে চিনি না। তবে, যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তবে আমরা অবশ্যই তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করব। এই ঘটনার খোঁজ নিচ্ছি। দলের কেউ যুক্ত থাকলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: বারাকপুরে ফের তৃণমূলে ধস, অর্জুনের হাত ধরে কয়েকশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Arjun Singh: বারাকপুরে ফের তৃণমূলে ধস, অর্জুনের হাত ধরে কয়েকশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই বারাকপুরে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) হাত ধরে একাধিক বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। এবার ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জ্যোতি পান্ডের স্বামী তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে সহ কয়েকশো কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করলেন। লোকসভা ভোটের আগে এই যোগদানপর্বে বিজেপি কর্মীরা অনেতটাই অক্সিজেন পেলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বারাকপুরে (Arjun Singh)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় নৈহাটিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয় সিং ভবনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ভাটপাড়া এলাকার নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে। তিনি পরিবহণ দফতরের আরটিএ’রও সদস্য ছিলেন। এছাড়া আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু বাম কর্মীও এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। যোগদান পর্বে হাজির ছিলেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও বারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, প্রিয়াঙ্গু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শুধু ভাটপাড়া লেখা নয়, গোটা বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপি শক্তিশালী হল। সারা বছর ধরে তিনি নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। বহু মানুষ তার কাছ থেকে উপকৃত হয়। তিনি আসায় বারাকপুরে দল আরও মজবুত হল।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি

    বিজেপিতে যোগদানকারী নেতার কী বক্তব্য?

    বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে বলেন, তৃণমূল দলটা করা যায় না। ওই দলে থেকে কাজ করার সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। বিজেপিতে যোগ দিলাম। যে দায়িত্বদল দেবে, আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আমার স্ত্রী সহ বহু কর্মী-সমর্থক আগামীদিনে বিজেপিতে যোগদান করবে।

    তৃণমূল প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    যোগদান পর্ব প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, ও তলে তলে অর্জুনের (Arjun Singh) সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। অতীতেও বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। দলে থেকে বিশ্বাসঘাতকতার থেকে প্রতিপক্ষ দলে চলে যাওয়া ভালো। তৃণমূলের শক্তি মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য যা কাজ করেছেন। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এবারের ভোটে উজার করে ভোট দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • BJP Congress clash: অধীরের গড়ে কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের দাদাগিরি! বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক মারধর

    BJP Congress clash: অধীরের গড়ে কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের দাদাগিরি! বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক মারধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের (baharampore) স্কোয়ার ময়দানে একটি টিভি চ্যানেলের বিতর্ক (Debate) সভা চলাকালীন বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার (youth morcha) সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ (BJP Congress clash) উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মূল অভিযোগের তীর কংগ্রেস নেতা শিলাদিত্য হালদারের দিকে। তাঁর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মিলে হামলা করেছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের দ্বারা আয়োজিত এই বিতর্ক সভায় বিজেপির উদ্দ্যেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার পর উত্তর দিতেই মারমুখী হয়ে ওঠে কংগ্রেস (congress) কর্মীরা। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরির গড়ে এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য (BJP Congress clash)

    মুর্শিদবাদ জেলার বিজেপি সহ-সম্পাদিকা অনামিকা ঘোষ বলেন, “বিতর্ক করতে শিক্ষিত সমাজের লোকেরা আসে। সেখানে কী করে এখানকার পাঁচটি টার্মের সাংসদ এইরকম দুষ্কৃতীদের পাঠালেন। তিনি কি ভয় পেয়ে গিয়েছেন? প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতীরা ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের উপর হামলা (BJP Congress clash) করে। কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা বিজেপির যুব মোর্চাকর্মীদের ব্যাপক মারধর করছে। তবে বিজেপির যুবকর্মীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের মহিলা কর্মীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পাশে তৃণমূলের সমর্থকেরা ছিল কিন্তু তারা গোটা ঘটনাপর্ব চলাকালীন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।”

    প্রতিবাদে থানা ঘেরাও

    এই রাজনৈতিক আক্রমণের ঘটনায় অশান্তির পর্ব শেষে বিজেপি (BJP) বহরমপুর (baharampore) থানা ঘেরাও করে। একইসঙ্গে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের (BJP Congress clash) গ্রেফতার করতে হবে। এরকম সমাজবিরোধী ও দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য যদি চলতে থাকে, তাহলে মানুষ ভোট দিতে পারবে না। অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বড় আন্দোলন করা হবে বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ ওড়িশায় লাভ জিহাদের শিকার তরুণী! খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দিল যুবক 

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    বিজেপি কর্মীদের এই হামলার (BJP Congress clash) ঘটনায়, পাল্টা কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, “জনসমক্ষে নিজেদের কথা তুলে ধরতে না পেরে রণভঙ্গ করে বিজেপি ময়দান ত্যাগ করেছে। কংগ্রেসের কর্মীরা চিৎকার চেঁচামেচি কিছুই করেনি। হামলার ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেস কোনও ভাবেই জড়িত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attacks On BJP: বাঁকুড়ায় বিজেপির প্রচার গাড়িতে আক্রমণ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    Attacks On BJP: বাঁকুড়ায় বিজেপির প্রচার গাড়িতে আক্রমণ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) প্রচার গাড়ির ওপর হামলার (Attacks On BJP) অভিযোগের আঙুল উঠল তৃণমূলের (TMC) দিকে। বুধবার রাতে বিজেপির একাধিক প্রচার গাড়িতে ব্যাপক হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বাঁকুড়ার (bankura) ইন্দাস থানার খোসবাগ এলাকায় রাতের অন্ধকারে গাড়িগুলি ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে। শুধুমাত্র গাড়ি ভাঙচুরই নয় পাশাপাশি গাড়িতে থাকা প্রচারের সব ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলে হামলাকারীরা। একই ভাবে কর্মীদের করা হয় ব্যাপক মারধর। তবে ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।

    বিজেপির অভিযোগ

    এই হামলার (Attacks On BJP) ঘটনায় স্থানীয় বিজেপির এক নেতা বক্তব্য দিয়ে বলেন, “এদিন রাতে নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকশিত ভারতের প্রচার মূলক দুটি গাড়ি বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এলাকা থেকে ইন্দাসের দিকে যাচ্ছিল। কারণ শুক্রবার ইন্দাস এলাকায় বিকশিত ভারতের একটি প্রদর্শনী হওয়ার কথা ছিল। তবে বৃহস্পতিবার রাতেই ইন্দাসের খোসবাগ এলাকায় আসতেই বিকশিত ভারতের ওই দুটি গাড়ির উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। সেই সঙ্গে চলে ব্যাপক ভাংচুর এবং বিজেপি কর্মীদের উপর চলে ব্যাপক মারধর। তবে ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। মানুষ ভোটে জবাব দেবেন।”

    অভিযোগ নিতে অস্বীকার পুলিশের (Attacks On BJP)

    ঘটনায় গাড়ির চালকেরা ইন্দাস থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ইন্দাস থানার পুলিশ (police) সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। এরপরে ই-মেলের মাধ্যমে পুলিশকে ও নির্বাচন কমিশনকে গোটা ঘটনাটি জানায় বিজেপি নেতৃত্ব। একই সঙ্গে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে রাজ্যের শাসক দলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুনঃ “চেলা কাঠ কেন? গোটা কাঠও দেব”- তৃণমূলের হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে গোটা ঘটনাটিকে বিজেপির সাজানো বলে দাবি করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বরং বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ (saumitra khan) নিজের দলের লোকেদের দিয়ে ভাঙচুর (Attacks On BJP) করিয়ে সমবেদনা আদায়ের চেষ্টা করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ওড়িশায় লাভ জিহাদের শিকার তরুণী! খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দিল যুবক

    Love Jihad: ওড়িশায় লাভ জিহাদের শিকার তরুণী! খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দিল যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল পরিচয় গোপন করে, রীতিমত হিন্দু নাম নিয়ে হিন্দু তরুণীকে লাভ জিহাদের শিকারের অভিযোগ উঠল মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তরুণীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে রেহাই মেলেনি,  বিয়ের পর একেবারে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে স্বস্তি নিয়েছে মুর্শিদাবাদের যুবক (Murshidabad) রাজু শেখ (Raju Sheikh)। ভয়ঙ্কর এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odhisha) ভুবনেশ্বরে। অভিযুক্ত রাজু শেখ সহ আরও দুজন সাগরেদকে গ্রেফতার করেছে ধৌলি (Dhauli) থানার পুলিশ। ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে।

    ফোনে তরুণীকে প্রেম ফাঁসায়

    চলতি এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ ওড়িশার ধৌলি পুলিশ থানা এলাকার দয়া নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে এক তরুণীর মৃতদেহ। পুলিশ তদন্ত নেমে ওই তরুণীকে ভাগ্য ডাকুয়া (Bhagya Dakua) (১৯) নামে শনাক্ত করেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটর বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত নেমে মূল অভিযুক্ত সহ অপর দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রাজু শেখ কর্মসূত্রে ওড়িশায় থাকছিল। সেখানে একদিন ভাগ্য-র সঙ্গে আলাপ হয় তার। এরপর ফোনে তরুণীকে প্রথমে নিজের নাম রাজু এবং ধর্ম হিন্দু জানিয়েছিল। এরপর উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

    ধর্ম পরিবর্তনের জন্য জোর করা হয়

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীকে পরিবার থেকে বের করে ভুবনেশ্বরের (BhuBaneswar) কাছে শিশুপালগড় (Sishupalgarh) এলাকায় দুজনেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে থাকতে শুরু করেছিল। এর পরেই নেমে আসে তরুণীর উপর ধর্মপরিবর্তনের চাপ। ভাগ্য জানতে পারে, রাজু হিন্দু নয় মুসলিম। এরপর নিজের ধর্ম ছাড়তে নারাজ হয় তরুণী। কিন্তু ভাগ্যের উপর ধর্মপরিবর্তনের প্রবল চাপ দিয়ে চলে অকথ্য অত্যাচার। শেষ পর্যন্ত ধর্মপরিবর্তনে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করে দয়া নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

    তরুণীর পরিবারের বক্তব্য

    তরুণীর পিতা হিনা ডাকুয়া বলেন, “তিন মাস আগে এক যুবক আমার মেয়েকে মিথ্যা প্রেমের নাটক করে বাড়ি থেকে নিয়ে চলে যায়। এরপর কয়েকজন মিলে মেয়েকে খুন করার পর দেহ দয়া নদীতে ভাসিয়ে দেয়। আমরা দোষীর ফাঁসি চাই।” পুলিশ তড়িঘড়ি  করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এই বিষয়ে ধৌলি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক কিশোর নায়ক বলেন, “তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর পাওয়ার ঘটনাস্থল থেকে আরও দুটি মোটরবাইক উদ্ধার হয়। এরপর তিন যুবককে আটক করা হয়। মূল অভিযুক্তকে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজু শেখ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবিষয়ে আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

    আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়ায় বিজেপির প্রচার গাড়িতে আক্রমণ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইনের ভাবনা

    প্রসঙ্গত লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা কাল্পনিক বলে তথাকথিত সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ দাবি করলেও এই ঘটনা সমাজে মাঝে মাঝেই ঘটে চলেছে। তারপরও একের পর এক লাভ জিহাদের ঘটনা নাড়িয়ে দিচ্ছে গোটা সমাজকে। এই ধরনের ঘটনা ঘটায় সমাজের অপর আরেক শ্রেণীর মানুষ তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, মুম্বাই, কর্ণাটক, কেরল এবং বাংলায় ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। একাধিক রাজ্যে, নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে বিবাহ এবং বিবাহের পর কন্যার ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ের উপর আইন তৈরি করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য ভারতবর্ষের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদশে, পাকিস্তানে রীতিমত ফতোয়া জারি করে লাভ জেহাদের বিষয়কে পুরস্কার হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। জমিয়তে আহলে হদিশ নামে এক সংগঠন, ব্রাহ্মণ নারী হলে তিন লাখ ও অব্রাহ্মণ হিন্দু নারীকে লাভ জিহাদের শিকার করলে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “চেলা কাঠ কেন? গোটা কাঠও দেব”- তৃণমূলের হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Dilip Ghosh: “চেলা কাঠ কেন? গোটা কাঠও দেব”- তৃণমূলের হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা সরব বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভোটের মুখে এর আগেও বারংবার শিরোনামে উঠে এসছেন দিলীপ ঘোষ। এবার আরও একবার শাসক দলকে নিশানা করলেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানের ডিভিসি বাংলোর পাশের ময়দানে প্রাতভ্রমণে (morning walk) বের হন তিনি। সেখান থেকে বাজার হয়ে যান নীলপুর শ্রীগুরু সঙ্ঘের একটি আশ্রমে। সেখানেই তৃণমূলের গুন্ডামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।

    বিজেপির অস্ত্র ভোট (Dilip Ghosh)

    প্রচারের মাঝে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) একাধিক বিষয়ে মত প্রকাশ করেন। তৃণমূলের চেলা কাঠ প্রসঙ্গে উত্তর দিয়ে বলেন, “চেলা কাঠ কেন? গোটা কাঠও দেব। যে যা ইচ্ছা বলবে, ওই দিন চলে গিয়েছে। আমরাও পাল্টা বলব। বিজেপির (BJP) কিছু লাগে না। ভোটই (vote) অস্ত্র আমাদের। মানুষ ওটা দেবে আমাদের, এভাবেই হারাবো তৃণমূলকে।” একই ভাবে অনন্ত মহারাজ দলে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনন্ত মহারাজ অনেক দিন বাইরে থেকে সাপোর্ট করেছেন। এবারে যোগ দিয়ে দলের হয়ে কাজ করছেন। এটা ভালো কথা।”

    শাহজাহান প্রসঙ্গে কী বললেন?

    শাজাহানের প্রসঙ্গে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “শাজাহানকে (sheikh shahjahan) টিএমসি (TMC) ব্যবহার করেছে। তৃণমূলের হয়ে টাকা তুলেছেন তিনি। দুমাস চেষ্টা করল তাঁকে রক্ষা করতে। এখন তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে সিবিআই তদন্ত করলে আরও অনেকে ধরা পড়বেন।” উল্লেখ্য গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের শিবিরে ঢুকে ভাষণ দিয়েছেন, শরবত খেয়েছেন দিলীপ। তা নিয়ে প্রশ্ন এলে তিনি বলেন, “কোনও রঙ কারও কেনা নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আমায় ডেকেছেন। আমায় ভাষণ দিতেও বলে ছিলেন ওঁরা। রাজনীতি (politics) ছাড়া কিছুই বোঝে না তৃণমূল। ভালোবেসে খাওয়ালে শরবতও মিষ্টি লাগে। ওঁরা কাল ভালোবেসে খাইয়েছেন। যাঁরা আমার গাড়িতে হামলা করত তাঁরাই যদি শরবত খাওয়ায় তাহলে বুঝতেই পারছেন পরিস্থিতি কেমন এখন।”

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    কীর্তি আজাদ প্রসঙ্গে কী বললেন?

    কীর্তি আজাদ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “আমি বলেছিলাম একসপ্তাহ পরে দেখবেন। কীর্তি আজাদ (kirti azad) অনেক বড়বড় কথা বলে ছিলেন। মনোনয়নের আগেই বুঝবেন কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি লাল মেঘ দেখছেন। লাল মেঘ দেখলে গরু যেমন লাফায় তেমন লাফাচ্ছেন।” আবার নিয়োগ মামলায় এফআইআর প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফআইআর হয়েছে। মানুষ ক্ষুদ্ধ, বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে মানুষ আশাহত হবেন। এবারে আশাকরি ওঁরা সাজা পেয়ে যাবেন।” বিনয় তামাং প্রসঙ্গে তিনি আবার বলেন, “বিনয় তামাং (binay tamang) এন্ড কোম্পানি আমার উপর হামলা করেছিল। আমার এফআইআর নেয়নি সেই সময়। এখন এফআইআর হয়েছে। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024), আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চলছে শাসক-বিরোধী দলের তীব্র লড়াই। ভোটের মুখে এবার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিরোধী ভোটারদের প্রকাশ্যে দেখে নেবার হুমকি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার (Chopra) বিধায়ক হামিদুল রহমান। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে পরিস্থিতি হবে ভয়ঙ্কর । ২৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবার পর তৃণমূল বাহিনীই থাকবে, তখন বিরোধী ভোটারদের (Voter) কিছু হলে তার সমাধান তিনি করবেন না বলে প্রকাশ্যে জানালেন তৃণমূল বিধায়ক।

    চোপড়ায় সভায় হুমকি (Uttar Dinajpur)

    বুধবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী (TMC Candidate) গোপাল লামার সমর্থনে চোপড়া ব্লকের (Uttar Dinajpur) মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোপড়ার বিধায়ক বিরোধী দলের ভোটারদের এমনই হুমকি দিলেন। বিধায়কের এই হুমকির পরেই জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে এই নির্বাচনী প্রচারে হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছে চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুন সিংহ।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    চোপড়া (Uttar Dinajpur) তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল সভায় বলেছেন, “চোপড়ার প্রতিটি পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য। এলাকায় প্রতিটি বুথে ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূল কংগ্রেস না পেলে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দিয়ে দলের নেতাদের দিয়ে উন্নয়ন করাবো। পঞ্চায়েত সদস্যদের শুধু বুথে লিড দিলেই হবে না, বুথে বুথে ৯০ শতাংশ ভোট দলের প্রার্থী গোপাল লামাকে দিতে হবে। যদি এই কাজ না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।” ঘটনায় এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই প্রসঙ্গে চুপ থাকেননি চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিজেপি নেতা বরুন সিংহও। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক হামিদুল রহমানকে অত হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা বলেছেন, “ভোটে তৃণমূল সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন (lok sabha vote 2024) দুটি আলাদা নির্বাচন। নির্বাচনে বল খাটাতে গেলে তার পরিনাম ভাল হবে না।”

    আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে, জানালেন অমিত মালব্য

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তপ্ত ছিল চোপড়া

    উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা ছিল চোপড়া (Uttar Dinajpur)। বিরোধী সিপিএম (CPIM), কংগ্রেস (congress) মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মিছিলের উপর গুলি, বোম ছোড়া হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও পর্যন্ত হয়েছিল। গুলি এবং বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনগুলি জয় লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে “চোর, চোর” স্লোগান, শোরগোল

    Mamata Banerjee: জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে “চোর, চোর” স্লোগান, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দেখেই “চোর, চোর” স্লোগান দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন জলপাইগুড়ির চালসার মঙ্গলবাড়ি এলাকার মানুষ। ভোটের মুখে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে এভাবে বিক্ষোভের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পড়বেন তা কেউ আশা করেননি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে চোর, চোর স্লোগান (Mamata Banerjee)

    বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের একবার চার দিনের নির্বাচনী সভার জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। চালসার টিয়াবন এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কপ্টার নামে। সেখান থেকে গাড়িতে চালসার একটি বেসরকারি রিসর্টের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সেই সময় চালসার মঙ্গলবাড়িতে বিজেপির একটি পথসভা চলছিল। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞার সমর্থনে সভা করছিলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। ওই রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বলেন তাঁকে দেখতে স্থানীয় বাসিন্দারা হাজির হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আসছে বলে পুলিশের তরফে বিজেপি কর্মীদের মাইকের আওয়াজ কমাতে বলা হয়। আর তাতেই তাল কাটে, পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয় পুলিশ রীতিমতো হুমকি দিয়ে তাদের মাইকের আওয়াজ বন্ধ করতে যায় বলেও অভিযোগ। আর তাতেই সমস্যা চরমে ওঠে। বিজেপি কর্মীরা মাইক বন্ধ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। মাইকেই বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা যায়, অনুমতি নিয়েই তারা পথসভা করছে, ফলে মাইক বন্ধ করার কোনও প্রশ্নই নেই। এরপরেই ওই আবহের মধ্যে রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় এলে, স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে “চোর, চোর” স্লোগান দিতে শুরু করেন। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী এই মঙ্গলবাড়িতে এসে চা-য়ের দোকানে চা তৈরি করে খাইয়েছেন সবাইকে। দিন কয়েকের ব্যবধানে এই জায়গাতেই তাঁকে এমন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হবে তা হয়তো দলের নেতা-কর্মীরা কেউ  স্বপ্নেও ভাবেননি। ১২ তারিখ থেকে তার বেশ কয়েকটি নির্বাচনী সভা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। সেই কারনেই তিনি বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের চালসায় এসেছেন। এখান থেকেই তিনি সভাস্থলে যাতায়াত করবেন।

    আরও পড়ুন: এনআইএ-র ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ জামিনযোগ্য ধারা পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন

    স্লোগান শুনেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী

    কয়েক বছর আগে মেদিনীপুরে তাঁর কনভয়ের সামনে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান দিয়েছিলেন কিছু মানুষ। সেই সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, এখানে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়াই লক্ষ্য করা যায়নি। উলটে ওই এলাকা ছেড়ে তিনি তাড়াতাড়ি চলে যান। কিছুটা দূরে গিয়ে আবার তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে গাড়ি আস্তে করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। যদিও সেটা গাড়িতে থেকেই। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে বা তার কনভয়ের সামনে “চোর, চোর” স্লোগান কিন্ত এই প্রথমবার দেখা গেলো। যা কিন্তু, বেশ চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে তৃণমূলের কপালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে, জানালেন অমিত মালব্য

    Murshidabad: নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে, জানালেন অমিত মালব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বুধবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে (BJP party office) সংগঠনিক বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সহরকারী পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য (amit malviya)। এদিন অমিত মালব্য বিজেপির প্রার্থীর (BJP candidate) হাতে সিম্বল তুলে দেন এবং নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে তাও বলে দিলেন। যদিও তিনি সাংবাদিকদের সামনে কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার বহরমপুরের কারবালা রোডে এক বেসরকারি অতিথি আবাসনে লোকসভা ভোটের জন্য বিজেপির কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এখানেই আজ লোকসভার ইলেকশন (lok sabha election) ম্যানেজমেন্ট টিমের বৈঠক করা হয়।

    বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর ঘোষের বক্তব্য (Murshidabad)

    এদিন মুর্শিদবাদে (Murshidabad) অমিত মালব্য, বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক আছে বলে জানান গৌরীশংকর ঘোষ। এখানে নির্বাচনে কী রকম লড়াই হবে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, “লড়াই বলতে তো মূলত মানুষের ভোট। এই ভোট মানুষ কেন বিজেপি (BJP) কে দেবে, সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। আজ রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের যে সন্ত্রাস চলছে, চাকরি চুরি, রেশন চুরি, গরু পাচারেও তৃণমূল (TMC) রেকর্ড তৈরি করেছে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা সারা রাজ্য জুরে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে বিগত ১০ বছর ধরে সব কা সাথ সবকা বিকাশ, সেবা, সুশাসন মানুষকে যেভাবে মোদি দিচ্ছেন সেই সার্বিক সুবিধাগুলি জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।”

    করণীয় কাজ বলে দিলেন অমিত মালব্য

    মুর্শিদবাদ (Murshidabad) জেলা বিজেপি সভাপতি শাখারাভ সরকার বলেন, “লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে আজকে কারবালা রোডে (karbala road) নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সহকারী পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। আজ আলোচনা হয় কীভাবে এই লোকসভা নির্বাচনে (general election 2024) দল কাজ করবে। সমস্ত বিষয়টি তিনি আজকে এখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন। করণীয় কাজ এবং মানুষের কাছে গিয়ে কী কী বলা হবে সেই সমস্ত নিয়ে আলোচনা হয়।”

    আরও পড়ুনঃ কোন্নগরেও গার্ডেনরিচ-বিরাটির ছায়া! ফের পাঁচিল ধসে মৃত ২ শ্রমিক

    ৭ মে বিশেষ আলোচনা সভা

    উল্লেখ্য, আগামী ৭ই মে ভারতীয় জনতা পার্টি (bharatiya janata party) মন্ডল স্তরের কার্যকর্তা, বিধানসভার স্তরের কার্যকর্তা এবং এই জেলা (Murshidabad) কমিটিকে নিয়ে লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি সার্বিক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। মূলত কীভাবে মানুষের কাছে যেতে হবে, কীভাবে লড়াই করতে হবে এবং বিষয় ঠিক করা হবে উক্ত বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share