Tag: West Bengal

West Bengal

  • Ranaghat: গাজন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে ঢাক বাজিয়ে ভোট প্রচার করলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    Ranaghat: গাজন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে ঢাক বাজিয়ে ভোট প্রচার করলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে ঢাক বাজিয়ে ভোট প্রচার শুরু করলেন রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রচারের প্রবণতা বাড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকাতে প্রতিদিন নিয়ম করে প্রচারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথবাবু।

    ঢাক বাজিয়ে প্রচার করলেন বিজেপি প্রার্থী (Ranaghat)

    গরম উপেক্ষা করে কখনও হুট খোলা গাড়িতে, আবার কখনও পায়ে হেঁটে প্রচার অভিযান করছেন সকলে। বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে বাক্য বিনিময় করছেন প্রার্থীরা। এদিন শিবের গাজনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে নিজেই ঢাক বাজিয়ে নৃত্য করলেন জগন্নাথ সরকার। মূলত, চৈত্র মাস পরতেই শুরু হয় শিবের আরাধনায় গাজন উৎসব। আর দুদিন বাদেই নীল পুজো, আর সারা রাজ্যের পাশাপাশি নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই উৎসব চলছে ধূমধামের সঙ্গে। তাই, ভোট প্রচারের আগে গাজন সন্ন্যাসীদের আশীর্বাদ নিয়ে এবং ফল বিতরণ করে বুধবার ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফুলিয়া এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় যান তিনি। এরপর শিবের আরাধনায় মত্ত হওয়া গাজন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দেন শিবের চরণে পুজো, এরপর নিজেই ঢাক কাঁধে নিয়ে বাজাতে শুরু করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ, বোমাবাজি, ঝলসে গেল এক নাবালকের পা

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থীকে কাছে পেয়ে ঢাকের তালে নীচে উঠলেন গাজন সন্ন্যাসীরা। এ প্রসঙ্গে রানাঘাটের (Ranaghat) বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামে মানুষ জীবনে অনেক কিছু স্মৃতি লুকিয়ে আছে আমার। ঢাক বাজানো আমার অনেক দিনের পুরানো অভ্যাস। তাই, কোনও কাজেই তিনি হার মানি না। আজকের দিনে নির্বাচনী ভোট প্রচারের জন্য সন্ন্যাসীদের আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে চললাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “চা শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর, হল যোগদানপর্ব

    Suvendu Adhikari: “চা শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর, হল যোগদানপর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তরবঙ্গ থেকেই আওয়াজ উঠেছে কেন্দ্রে আরও একবার মোদি সরকার।” বুধবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে এসে এই কথাই বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন সভায় মানুষের ভিড় এবং উচ্ছ্বাস দেখে বেশ আল্পুত তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। শুধু তাই নয় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই মালবাজারেই ফাঁকা মাঠে সভা করেন। কিন্তু, বিজেপির সভায় প্রচুর মানুষ এসেছেন। এখানেই পরিষ্কার আগামী ১৯ তারিখের ভোটে মানুষ কোথায় ভোট দেবেন।

    চা শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল সরকার (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, চা-বলয়ের প্রচুর কাজ করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু, রাজ্যে তৃণমূল সরকার চা-শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে। সম্প্রতি কিছু চা-শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই টাকা কেন্দ্র সরকারের লেবার ওয়েলফেয়ার ফান্ডের টাকা। কেন্দ্র সরকারের দেওয়া ২৫০ কোটি টাকা থেকে কিছু টাকা তুলে চা-শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগে চা-শ্রমিকদের পি এফ নিয়ে তৃণমূল যে ধরনা, মিটিং করছে সেটা শুধু মাত্র নিজেদের ফায়দার জন্য। বাগান মালিকরা ওই টাকা তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। দু’বছর আগে যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় ৮জন নদীতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল, তখন রাতে মুখ্যমন্ত্রী আসেন নি। কারণ, তখন ভোট ছিল  না। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সেই রাতেই আসা শুধুমাত্র ভোটের জন্য।

    তৃণমূলের দাপুটে নেতা সহ অনেকেই যোগ দিলেন বিজেপিতে

    ভোটের মুখে ফের তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাল বিজেপি। এদিন সভা শুরুতেই একটা যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চা-বলয়ের দাপুটে নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলাপরিষদের মেন্টর অমরনাথ ঝা, কুমারগ্রামের লুইস কুজুর সহ অন্য কিছু নেতা যোগদান করেন। এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। সভায় হাজির ছিলেন সন্দেশখালির বেশ কিছু মহিলা।

    আরও পড়ুন: দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ, বোমাবাজি, ঝলসে গেল এক নাবালকের পা

    কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প তুলে ধরেন শুভেন্দু

    এই ভোটে সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে উচিৎ শিক্ষা দেবেন বলেও বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) দাবি করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি গত ৭ তারিখের ধূপগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সেই সভায় মানুষের যা ঢ্ল নেমেছে তাতে চিত্র পরিষ্কার হয়ে গেছে জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী জিতছেন। কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার এক কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ মানুষকে উজ্বলা গ্যাস দিয়েছে, কয়েক কোটি কিষান সম্মাননিধি দিয়েছে। সেই সঙ্গে কোভিডের সময় প্রত্যেকে মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন এর ব্যবস্থা করেছে। সেই সঙ্গে আরও ৫৫ টি গরিব দেশকে বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন দিয়েছেন। তাই ভারতবর্ষ এখন বিশ্বের দরবারে একটা উজ্জ্বল নাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sreerupa Mitra: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে টোটো চালিয়ে প্রচার সারলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা

    Sreerupa Mitra: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে টোটো চালিয়ে প্রচার সারলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারে (Vote Campaign) বেরিয়ে এবার টোটো ও অটো চালিয়ে জনসংযোগ করলেন মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী (Sreerupa Mitra)। আজ বুধবার সকালে মালদা ইংরেজ বাজার শহরের রথবাড়ি বাজারে ভোট প্রচার করতে যান তিনি। বাজারে গিয়ে সবজি কেনেন। এরপর রথবাড়ি অটো স্ট্যান্ডে অটো ও টোটো চালিয়ে জনসংযোগ করেন এই মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী।

    অভিনব উপায়ে জনসংযোগ (Sreerupa Mitra)

    একই সাথে এদিন নির্বাচনী জনসংযোগ করতে গিয়ে অটো চালকদের সাথে কথা বললেন শ্রীরূপা (Sreerupa Mitra)। এছাড়াও পথ চলতি সাধারণ মানুষের সাথেও কথা বলেন তিনি। উল্লেখ্য এবারের লোকসভা নির্বাচনে মালদা দক্ষিণ থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। লোকসভা ভোটের (loksabha vote) আর বেশি দিন বাকি নেই। তার আগে জোরকদমে প্রচারে নেমেছেন প্রায় প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। আর এবার সেই তালে তাল মেলাতেই অভিনব উপায়ে জনসংযোগ সারলেন মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী।

    আগেও সবজি বিক্রি করেছেন ভোট প্রচার

    যদিও আজই প্রথম নয়, এর আগে প্রচারে বেরিয়ে বাজারে সবজি বিক্রি করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শুধু সবজি বিক্রি নয় মাটির হাঁড়ি-কলসির দোকানেও বসতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপরে চায়ের দোকানেও দেখা মিলেছে তাঁর। নিজে হাতে চা বানিয়ে কর্মী-সমর্থকদের খাইয়েছিলেন (Sreerupa Mitra) তাঁকে দেখতে সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেকেই।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!

    নিখোঁজ পোস্টার

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভোটের আগে মালদা দক্ষিণের এই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল। তাঁর বিধানসভা এলাকার পোস্ট অফিস মোড়, মালদা মেডিক্যাল কলেজ চত্বর, কানির মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার পড়েছিল ইংরেজবাজারের বিধায়ক এবং মালদা দক্ষিণের বিজেপির প্রার্থী (BJP candidate) শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর (Sreerupa Mitra) নামে। আর তা নিয়ে একে অপরকে বিঁধেছে তৃণমূল-বিজেপি। পোস্টারকাণ্ডে বিজেপির সন্দেহে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা বিজেপির একাংশের কাজ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ, বোমাবাজি, ঝলসে গেল এক নাবালকের পা

    Murshidabad: দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ, বোমাবাজি, ঝলসে গেল এক নাবালকের পা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে দলেরই একাধিক বিধায়ক, কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। ভরতপুরের বিধায়ক তো প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এই আবহের মধ্যে এবার ইউসুফ পাঠানের নামে দেওয়াল লিখনকে ঘিরে তুমুল গন্ডগোল বাঁধল। বিধায়ক বনাম দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের মধ্যে গন্ডগোল প্রকাশ্যে চলে এল। চলল বেপরোয়া বোমাবাজি। আহত এক নাবালক-সহ মোট ৬ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরের আন্দুলবেড়িয়ায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের গোষ্ঠীর সঙ্গে রেজিনগরের বিধায়ক তথা বহরমপুর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের অনুগামীদের বিবাদ অনেক পুরানো। মাঝে মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হত। কিন্তু, নির্বাচনের প্রাক্কালে বিষয়টি আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে আন্দুলবেড়িয়া এলাকায় দেওয়াল লিখতে গিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা রবিউল আলম গোষ্ঠীর অনুগামীরা। সে সময়ে আবার ওই এলাকায় ছিলেন ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সভাপতির অনুগামীরা। দেওয়াল লিখনের সময়েই রবিউল আলমের গোষ্ঠীর লোকেদের ওপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বাড়ির সামনেই ছিল বছর দশেকের এক নাবালক। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে ঝলসে যায় তার পা। বোমাবাজির মধ্যে পড়ে আহত হন আরও পাঁচ জন। ক’দিন আগেই মুর্শিদাবাদে বোমা ফেটে এক ব্যক্তির হাত উড়ে গিয়েছে। এলাকায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যেই এই ধরনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুন: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহ-র

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    বিধায়ক রবিউল আলম বলেন, এটা দুজনের পারিবারিক বিষয়, দেওয়াল লিখন না। তৃণমূলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠী তথা দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “ভূপতিনগরের অভিযুক্তদের সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে”, হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    Amit Shah: “ভূপতিনগরের অভিযুক্তদের সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে”, হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগরে এনআইএ-র ওপর হামলা নিয়ে রাজ্য সফরে এসে মমতাকে কড়া আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণ ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন। বুধবার বালুরঘাটে বিজয় সংকল্প সভায় হাজির হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বারের ভোটে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম বার বাংলায় সভা করতে এলেন শাহ। সভায় ভিড়ের প্রশংসা করেন তিনি। সুকান্তকে বলেছেন, “আপনার ভোটের ফল তো এখানেই হয়ে গেল!”

    ভূপতিনগর নিয়ে মমতাকে আক্রমণ শাহের

    এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ভূপতিনগরে যারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন, তাদের জেলের ভিতরে থাকা উচিত নয়। আদালতের নির্দেশ পেয়ে এনআইএ এই ঘটনার তদন্তভার পেয়েছে। আধিকারিকরা তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। মমতা দিদি এই হামলাকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ভূপতিনগরের দুষ্কৃতীদের আড়াল করছেন। লজ্জা হওয়া উচিত। ভূপতিনগরের ঘটনায় জড়িতদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।” এরপর তিনি বলেন, “একসময় বাংলায় রবীন্দ্র সংগীত বাজত। মানুষ গান শুনতেন। এখন বোমার আওয়াজ শুনতে পান। বাংলায় কোনও কারখানা আসেনি। সবকিছুতেই কাটমানি। দেশের অন্য রাজ্য যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে।”

    আরও পড়ুন: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহ-র

    সন্দেশখালি ইস্যুতে মমতাকে তোপ শাহ-র

    সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে এক হাত নেন শাহ। সন্দেশখালির মতো লজ্জাজনক ঘটনা নিয়েও আপনি রাজনীতি করছেন! মমতাকে প্রশ্ন শাহের। এদিন ভূপতিনগরের পর সন্দেশখালি ইস্যুতে ফের মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “সন্দেশখালিতে তৃণমূলের গুন্ডারা মা, বোনেদের সঙ্গে কী আচরণ করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছেন। মমতা দিদি তাদের বিরুদ্ধে কিছু করেনি। আদালতের নির্দেশে দুর্নীতির তদন্তে ইডি যখন গেল, তখন তাদের ওপর হামলা হল। পরে, অভিযুক্তরা পালিয়ে বেড়াল। মমতার সরকার তাদের বাঁচাল। আদালত হস্তক্ষেপ করার পর অভিযুক্তরা ধরা পড়ল।” এরপর তিনি বলেন, “কেন সন্দেশখালির দোষীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন মমতা দিদি? তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার অর্থ গুন্ডাদের সমর্থন করা। সন্দেশখালির মতো ঘটনা আবারও ঘটবে। আর বিজেপিকে সমর্থন করার অর্থ সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।” এরপর কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এত রাগে বোতাম টিপবেন বালুরঘাটে, যেন কলকাতায় মমতা দিদির গায়ে কারেন্ট লাগে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহের

    Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে বিভ্রান্ত করছেন। বলছেন সিএএ-তে আবেদন জানালেই নাগরিকত্ব হারাবেন আপনি। তিনি সকলকে ভুল বোঝাচ্ছেন।” বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বংশিহারিতে সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে জনসভায় যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এই মন্তব্য করেন। তিনি তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করেন।

    সিএএ নিয়ে মমতাকে তোপ (Amit Shah)

    এদিন সিএএ ইস্যুতে মমতাকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । তিনি বলেন, “আমি বলছি, বাংলার শরণার্থীরা নির্ভয়ে আবেদন করুন। বাংলার শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র। মমতা সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বরং, আবেদন করলে শরনার্থীরা এদেশের নাগরিক হয়ে যাবেন। এই দেশের নাগরিকের যা অধিকার, সেই অধিকার আপনিও পেয়ে যাবেন। আর সেটা নিয়ে মমতা রাজনীতি করছে। আর এসব চলবে না। আসলে অনুপ্রবেশকারীরাই মমতার ভোটব্যাঙ্ক। তুষ্টিকরণ করা এই তৃণমূল দল কিচ্ছু করতে পারবে না। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প আটকে রেখেছেন মমতা। উন্নয়ন করতে পারে একমাত্র বিজেপি।” এরপর তিনি বলেন, “হাতজোড় করে বাংলার জনতাকে বলতে চাই, মমতা দিদি বাংলার লোকেদের বোকা বানাচ্ছেন। আমি বলতে চাই, ভয় না পেয়ে যত শরণার্থী এসেছেন, তাঁরা যেন নাগরিকত্বের আবেদন করেন। কারও নাম বাদ যাবে না।”

    আরও পড়ুন: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    ৩০ আসন পেলেই বন্ধ হবে অনুপ্রবেশ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, বিজেপি অসমে অনুপ্রবেশ খতম করেছে। বাংলায় লোকসভা ভোটে ৩০ আসন পেলে এখানে সীমান্ত টপকে কোনও ‘পরিন্দা’ও ঢুকতে পারবে না। ২০১৪-য় দু’টি আসন দিয়েছিলেন, ২০১৯-এ দিলেন ১৮টি আসন। ২০২৪ সালে ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করতে হবে। যাতে বিজেপির ৩৭০ আসন নিশ্চিত হয়। কী ভাবে ভোট দেবেন, বলে দিলেন তিনি। তিনি বলেন, “স্নান করে, শিবের পুজো করে ১৯ তারিখে পদ্ম প্রতীকে বোতাম টিপতে হবে। মমতা দিদিকে জবাব দিতে হবে। বাংলায় ৩০ আসন পার করবে বিজেপি। সোনার বাংলা দুর্নীতিতে ভরে গেছে। বাংলায় কাটমানি সংস্কৃতি। অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। বাংলায় কাটমানি করতে দেওয়া হবে না, গরু পাচার করতে দেওয়া হবে না। বাংলায় বিজেপি সরকার গড়তে হবে। বাংলা থেকে তৃণমূলের অপশাসন ঘটান।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: এনআইএ-র ওপর হামলা কাণ্ডে ফের তদন্তকারী আধিকারিক বদল, কে দায়িত্ব পেলেন?

    Bhupatinagar: এনআইএ-র ওপর হামলা কাণ্ডে ফের তদন্তকারী আধিকারিক বদল, কে দায়িত্ব পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন তোলপাড়। রাজ্য সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনআইএ-র ওপর হামলা নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করেছেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এই আবহের মধ্যে হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন। এক সপ্তাহ যেতে না যেতে এই ঘটনায় দুবার তদন্তকারী অফিসার বদল করা হল।

    নতুন তদন্তকারী আধিকারিক কে হলেন? (Bhupatinagar)

    এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানার ওসি গোপাল পাঠককে সরিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকের  দায়িত্বে আনা হয়েছিল ভূপতিনগরের সার্কেল ইনস্পেক্টর শ্যামল চক্রবর্তীকে। এবার দুদিন যেতে না যেতেই এবার তাঁকেও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় নতুন তদন্তকারী অফিসার করা হল ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার সত্যমকুমার ঘোষকে। তিনি এবার থেকে এই ঘটনার তদন্তভার পরিচালনা করবেন। তদন্তকারী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েই মঙ্গলবার দুপুরে অর্জুনপুর গ্রামে যান তিনি। কথা বলেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে। ধৃত মনোব্রত জানার বাড়িতে ঢুকে কথা তিনি বলেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। যদিও তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক।

    আরও পড়ুন: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    কমিশনে রিপোর্ট পাঠিয়েছে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, তলব করার পরও হাজিরা দেননি বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার তদন্তে গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। সেই ঘটনায় এনআইএ-র পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ঘটনায় ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ভূপতিনগরে এনআইএ-র টিমের ওপর ‘হামলা’ হয়েছিল। তবে, হামলার ঘটনায় বার বার তদন্তকারী আধিকারিক পরিবর্তন করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    Suvendu Adhikari: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই লোকসভা নির্বাচনে যেটা হচ্ছে সেটা ট্রেলার। বিধানসভা নির্বাচনেই হবে মূল সিনেমা।” মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে বিজেপির বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একথা বলেন। পাশাপাশি আগামীদিনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে বিশেষ ভাতার কথা ঘোষণা করেন তিনি।

    “সংগ্রামী ভাতার” প্রতিশ্রুতি দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    লোকসভা ভোটের আবহের মধ্যেই ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) । বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ‘সংগ্রামী ভাতা’ দেওয়ার আশ্বাস দিলেন শুভেন্দু। সংগ্রামী ভাতার আওতায় কত টাকা করে সাম্মানিক দেওয়া হবে, সে কথাও জানিয়ে দিলেন তিনি। কারা পাবেন এই সংগ্রামী ভাতা? সে কথাও এদিনের সভা থেকে স্পষ্ট করে দেন শুভেন্দু অধিকারী। যাঁরা ‘মিথ্যা মামলায়’ জেলে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ বলে বুথকর্মীদের সভায় বার্তা বিরোধী দলনেতার। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বললেন, ‘যতজনকে জেল খাটিয়েছে, বিজেপি সরকার যেদিন রাজ্যে আসবে, তাঁদের সবাইকে সংগ্রামী ভাতা দেব আমরা। যত জনকে জেল খাটিয়েছে, প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেব।’ একইসঙ্গে পুলিশের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন, ‘যে তদন্তকারী অফিসাররা মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে এদের গ্রেফতার করেছেন, তাঁদের নাম লেখা থাকল।’ শুভেন্দুর বক্তব্য, এটা কোনও হুঁশিয়ারি নয়, এটা সতর্কবার্তা।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর প্রথম রামনবমী, কতটা প্রস্তুত অযোধ্যা?

    মামলার হুমকি দিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে টানার চেষ্টা!

    এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা(Suvendu Adhikari) । তিনি বলেন, এসপি, ওসিদের বলব কমিশনের আওতায় কাজ করছেন। সাবধান হয়ে যান। নিরপেক্ষ হওয়ার চেষ্টা করুন। তিনি আরও বলেন, জোর করে পুলিশকে দিয়ে বিজেপির আন্দোলন ভাঙতে চাইছে তৃণমূল। মামলার হুমকি দিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে টানার চেষ্টা চলছে। তবুও, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিজেপি তৃণমূলের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: কে কোন দল করে বলার জন্য বা়ড়ি বাড়ি গিয়ে চাপ তৃণমূলের, কমিশনে যাবে অর্জুন

    Arjun Singh: কে কোন দল করে বলার জন্য বা়ড়ি বাড়ি গিয়ে চাপ তৃণমূলের, কমিশনে যাবে অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম। কে কোন দল করে বলার জন্য বা়ড়ি বাড়ি গিয়ে চাপ দিচ্ছে তৃণমূল। অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) গড় ভাটপাড়ায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তৃণমূল এই কাজ শুরু করতে চলেছে। রীতিমতো ফর্মে লেখা রয়েছে, একাধিক রাজনৈতিক দলের নাম। আর কেউ মতামত না জানতে চাইলে ইভিএমে নোটার মতো ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। তাদের মূলত ফ্লোটিং ভোটার হিসেবে তৃণমূল চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তৃণমূলের এই সমীক্ষা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ভোটের মুখে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বারাকপুর লোকসভায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ১৯ তারিখের মধ্যে সমীক্ষা শেষ করার নির্দেশ

    অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) খাসতালুক ভাটপাড়া। বামফ্রন্টের জমানাতেও অর্জুন গড় টলাতে পারেনি সিপিএম। ভাটপাড়াবাসী  দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন অর্জুন সিংকে। ২০০১ সাল থেকে বিধায়ক। বর্তমানে তার ছেলে বিজেপির বিধায়ক। গত লোকসভায় শেষ মুহূর্তে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন অর্জুন। বারাকপুর লোকসভায় সাতটি বিধানসভার মধ্যে ভাটপাড়ায় প্রায় ৩০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সেখানে ভাটপাড়ায় অর্জুনের ক্যারিশ্মা অটুট ছিল। প্রায় ১৩ হাজার ভোটে অর্জুন পুত্র পবন জয়ী হয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবে ভাটপাড়ায় অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। তাই, এবার অর্জুনের সেই গড়ে থাবা বাসাতে তৃণমূল এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাপ দিয়ে ভোটারদের কাছে থেকে কে কী দল করে তা জানতে চাইছে। ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে তারা তাকে ভোট দেন, তৃণমূল, বিজেপি না সিপিএমকে। ১৯ তারিখের মধ্যে সেই সমীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    বাড়ি বাড়ি গিয়ে কী করছে তৃণমূল?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার লিস্টের মতো সেখানে ভোটারের নাম এবং তাঁর বাবার নাম রয়েছে। এরপর সেই ব্যক্তি কোন ধর্মের সঙ্গে যুক্ত, মুসলিম, মতুয়া, জেনারেল, এসসি এবং এসটি। এরপর তৃণমূল, সিপিএম এবং বিজেপি-র নাম উল্লেখ রয়েছে। আর কেউ বলতে না চাইলে চিহ্নিত করা গেল না বলে উল্লেখ রয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই ফর্মে নির্দিষ্ট জায়গায় ফিলআপ করার জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু করা হচ্ছে। ভাটপাড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, আমরা এই কাজ শুরু করতে চলেছি। ভাল সাড়া মিলছে। তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, শুধু ভাটপাড়া নয়, সাত বিধানসভায় আমরা এভাবে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করব।

    কমিশনে যাবে বিজেপি

    বিজেপি অর্জুন সিং বলেন, ভাটপাড়ার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাঁরা কখনও আমাকে ফেরাইনি। আসলে ভাটপাড়ার মানুষের সঙ্গে সব সময় আমি থাকি। ওরা সেটা জানে। তবে, এভাবে কে কোন দল করে তা জানা যায় না। এটা তৃণমূল জোর করে এসব করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব। আর এটুকু বলতে পারি, তৃণমূল যাই করুক না কেন কিছু করতে পারবে না। আমি এবার ভাটপাড়া থেকে ৪০ হাজার ভোটে জয়ী হব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “আসল ওএমআর শিট না পেলে ২০১৪ টেট বাতিল”, হুঁশিয়ারি বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: “আসল ওএমআর শিট না পেলে ২০১৪ টেট বাতিল”, হুঁশিয়ারি বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজে না পেলে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষাই বাতিল করে দেব।” মঙ্গলবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেন, “ডিজিটাল তথ্য সহজে নষ্ট হয় না। মুছে ফেললেও তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। পৃথিবী থেকে মঙ্গলে গেলেও, ওই তথ্য পাওয়া যেতে বাধ্য। তার পরেও যদি তথ্য হাতে না আসে, তাহলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করতে বাধ্য হবে আদালত।”

    ‘ফুটপ্রিন্ট কোথায়?’ (Calcutta High Court)

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা (Calcutta High Court) বলেন, “ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজে বার করুন। ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট কোথায় রয়েছে তার সন্ধান করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবারের মধ্যে অতিরিক্ত রিপোর্ট দিয়ে সংক্ষেপে জানাতে হবে, নিয়োগ কীভাবে হয়েছিল? দুর্নীতিই বা হয়েছে কোথায়।”

    কী বলছে পর্ষদ?

    ২০১৪ সালের টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে। তার পরিবর্তে ডিজিটাইজড ডেটা হিসেবে ওই সব তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এদিন পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মান্থা বলেন, “পর্ষদের দাবি সব ওএমআর শিট ডিজিটাইজড ডেটা হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে হেমন্ত চক্রবর্তী নামে এক পরীক্ষার্থীকে ওএমআর শিটের প্রতিলিপি দেওয়া হয়। অর্থাৎ ডিডিটাল ফুটপ্রিন্ট থাকার কথা।” তাঁর প্রশ্ন, “তার পরেও ওএমআর শিটের তথ্য পাওয়া যাবে না কেন?” সিবিআইকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, “তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞান বলছে তথ্য মুছে ফেললেও, তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। অর্থাৎ, ওএমআর শিটের তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আর ওই সব তথ্য সিবিআইকে খুঁজে বার করতে হবে। তার জন্য যদি হার্ড ডিস্ক বা অন্য কোনও সূত্রের প্রয়োজন হয়, তবে প্রয়োজনে পর্ষদ অফিসেও যেতে পারবে সিবিআই।”

    আরও পড়ুুন: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ৩০৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। চার্জশিট এবং অতিরিক্ত চার্জশিট ফাইলও করা হয়েছে। বিচারপতি মান্থা জানান, এই মামলায় সিবিআইয়ের অনেক রিপোর্ট আদালতে পৌঁছায়নি। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ওই সব রিপোর্ট তাঁর এজলাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share