Tag: West Bengal

West Bengal

  • Bangladesh: বাংলাদেশে আক্রান্ত কলকাতাগামী বাস, ভারতীয়দের প্রাণনাশের হুমকি! প্রতিবাদ ত্রিপুরার

    Bangladesh: বাংলাদেশে আক্রান্ত কলকাতাগামী বাস, ভারতীয়দের প্রাণনাশের হুমকি! প্রতিবাদ ত্রিপুরার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় যখন বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের তীব্র সমালোচনা চলছে নানা মহলে, ঠিক তখনই ত্রিপুরা লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কলকাতাগামী একটি বাস ঘিরে যাত্রীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ত্রিপুরা থেকে কলকাতাগামী বাসে হামলা চালানোর অভিযোগ। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে কলকাতাগামী ওই বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার বাসে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক, এমনটাই জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনায় অল্প আঘাত পান যাত্রীরা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও বাংলাদেশের হামলার কড়া নিন্দা করেন। হামলা না থামালে কড়া পদক্ষেপের কথাও বলেন তিনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ৩০ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা থেকে কলকাতা (Kolkata) আসছিল শ্যামলী পরিবহণের বাস। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিশ্ব রোডে হঠাৎ বাসটিকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি বড় ট্রাক। কোনওমতে ব্রেক কষে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ান বাসের চালক। গোটা ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরই বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ভারত বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরার পরিবহণমন্ত্রী সুশীল চৌধুরী বলেন, ‘‘ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় আক্রান্ত হয়েছে শ্যামলী পরিবহণের একটি বাস। বাসটি রাস্তার এক ধার ধরে যাচ্ছিল। হঠাৎ বাসটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনার কবলে ফেলার জন্য ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক। একই সময় রাস্তায় থাকা একটি অটো বাসের সামনে চলে আসে এবং শ্যামলী – বাসটির সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন – বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকেন। ভারত- বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে এবং কটু মন্তব্য করে যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। আর বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’’

    সরব হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রশাসনকে এই বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এরকম ঘটনা ঘটতে পারে তা ভাবা যায়নি। বাংলাদেশে যা চলছে তা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। ওরা যদি নিজেদের শুধরে না নেয়, তাহলে ফল ভুগতে হবে। ওখানে যা হচ্ছে তা মোটেও ভালো নয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওখানে সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলছে, তা গোটা বিশ্ব দেখছে। আমি আশা করছি, আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় নেতারা পুরো বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন। সঠিক সময়ে তাঁরা নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। যেহেতু ত্রিপুরার তিন দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত তাই আমরা নজরদারির জন্য বিএসএফ এবং ডিজিপির সঙ্গে কথা বলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সপ্তাহের শেষে পারদ পতন, ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের, কবে থেকে শীত কলকাতায়?

    Weather Update: সপ্তাহের শেষে পারদ পতন, ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের, কবে থেকে শীত কলকাতায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শুরুতেও সেভাবে শীতের দেখা নেই শহরে। শীত-কাতুরে বাঙালির এখন একটাই চিন্তা কবে, থেকে জাঁকিয়ে শীত (Winter in Kolkata) পড়বে শহরে? এখনও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কলকাতার তাপমাত্রা, তবে সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গে পারদ পতনের ইঙ্গিত দিল হাওয়া অফিস (Weather Update)। জমিয়ে শীতের আমেজ ফেরার সম্ভাবনা আগামী সপ্তাহ থেকেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২ দিন পর থেকেই ধীরে ধীরে পারদ নামবে। চলতি সপ্তাহের শেষেই ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার আশা রয়েছে।

    শহরের আবহাওয়া

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই পারদ নামতে পারে কলকাতায়। সেই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ঠান্ডা পড়বে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৩.৪ ডিগ্রি বেশি। রবিবার ১৯ ডিগ্রিতে নেমেছিল শহরের (Winter in Kolkata) তাপমাত্রা। সোমে তা আবার এক ডিগ্রি বেড়েছে। যদিও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও স্বাভাবিকের চেয়ে কম রয়েছে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ। আপাতত রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা আর নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সর্বত্র থাকবে শুকনো আবহাওয়া।

    আরও পড়ুন: খাবার নেই, জল নেই! কুয়েত বিমানবন্দরে ১৩ ঘণ্টা দুর্ভোগের শিকার ভারতীয় যাত্রীরা

    কুয়াশা ঘেরা সকাল

    রাজ্যে সেভাবে শূত না পড়লেও সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢাকছে আকাশ। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদা এবং দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি। শহর কলকাতাতেও ভোরের দিকে কুয়াশা থাকছে। দক্ষিণে সেভাবে শীত না পড়লেও ইতিমধ্যে পারদ নামতে শুরু করেছে পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি সিকিমেও চলছে তুষারপাত। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে কালিম্পং, কার্শিয়াং। সান্দাকফুতে বরফ দেখতে নেমেছে পর্যটকদরে ঢল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ভারতীয় হিন্দু জানতেই খুনের চেষ্টা ঢাকায়! বেলঘরিয়ার যুবক ফিরলেন প্রাণ হাতে করে

    Bangladesh: ভারতীয় হিন্দু জানতেই খুনের চেষ্টা ঢাকায়! বেলঘরিয়ার যুবক ফিরলেন প্রাণ হাতে করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) গিয়ে আক্রান্ত হলেন উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার যুবক। অভিযোগ, ভারতীয় হিন্দু পরিচয় (Indian Hindu Assaulted) প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর ওপর চড়াও হন বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। টাকা, মোবাইল ছিনতাইয়ের পাশাপাশি তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষির সঙ্গে মুখে ছুরি দিয়ে এবং মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। জখম যুবকের মুখে দু’টি এবং মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। এমনকী, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছেন সঙ্গে থাকা মুসলিম বন্ধুও। হামলাকারীরা সেই বন্ধুর মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকী, যুবকের অভিযোগ, বাংলাদেশের পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সাহায্য তো মেলেইনি, উলটে কোথাও কোনও অভিযোগ জানালে তাঁদের খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bangladesh)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ভারতীয় যুবকের (Bangladesh) নাম সায়ন ঘোষ (২২)। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার (Belghoria) ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেশপ্রিয় নগর এলাকায়। ২৩ নভেম্বর ঢাকায় বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার কথা ছিল নভেম্বরের ২৬ তারিখ। অভিযোগ, ফেরার আগের দিন বন্ধুর সঙ্গে ঢাকার বাজারে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সায়ন। সে সময়ই আচমকা এক দল লোক এসে তাঁদের ঘিরে ধরেন। শুরু হয় ‘জেরা’। ভারত থেকে গিয়েছেন এবং হিন্দু পরিচয় (Indian Hindu Assaulted) জানতে পেরেই নাকি তাঁর ওপর চড়াও হন তাঁরা। শুরু হয় মারধর। প্রকাশ্য রাস্তায় এমন ঘটনা দেখেও এগিয়ে আসেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত ওই বন্ধুর তৎপরতায় দুষ্কৃতীরা পিছু হটে। তবে তত ক্ষণে রক্তে ভেসে যাচ্ছে সায়নের গোট শরীর।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    আক্রান্ত যুবক কী বললেন?

    সায়নের অভিযোগ, থানায় (Bangladesh) গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। প্রথমেই পুলিশ চিকিৎসা করে আসতে বলে। কিন্তু সে ব্যাপারে কোনও সাহায্য করেনি। তার পর আহত অবস্থাতেই একের পর এক হাসপাতালে ঘুরেছেন সায়ন এবং তাঁর বন্ধু। কেউই সায়নের চিকিৎসা করতে রাজি হননি। শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে এসে চিকিৎসা হয় তাঁর। অভিযোগ, সায়নের কাছে থাকা মোবাইল এবং টাকাপয়সা সব কেড়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ওই অবস্থাতেই ভয়ে কোনও মতে প্রাণ হাতে করে গেদে সীমান্ত থেকে চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে চলে আসেন সায়ন (Indian Hindu Assaulted)। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন সায়ন। সোমবার তিনি বিষয়টি নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ (Bangladesh) ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pankaj Dutta: প্রয়াত প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, স্তব্ধ হয়ে গেল আপোষহীন কণ্ঠস্বর

    Pankaj Dutta: প্রয়াত প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, স্তব্ধ হয়ে গেল আপোষহীন কণ্ঠস্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত (Pankaj Dutta)। শনিবার বারাণসীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, বারাণসীর থিওসফিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার একটা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন পঙ্কজ দত্ত। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বারাণসীর একটা হাসপাতালে। একমাসেরও বেশি সময় ধরে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার প্রয়াত হন তিনি।

    স্পষ্টবক্তা হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন

    জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে রাজ্য পুলিশের (Pankaj Dutta) আইজি পদে থাকাকালীন অবসরগ্রহণ করেন পঙ্কজ দত্ত। স্পষ্টবক্তা হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন তিনি। এদিকে পঙ্কজ দত্ত প্রতি সন্ধ্যায় টেলিভিশনের টকশোয়ে অংশ নিতেন। সেখানে আপোশহীন বক্তব্য রাখতেন তিনি। এজন্য তাঁকে নানা সময়ে নানা সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে, চাপের মুখেও পড়তে হয়েছে। শাসকদলের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। আরজি করকাণ্ডের পর তাঁর একটি মন্তব্য ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়। তেমনই একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বড়তলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসারকে। অভিযোগ, বেশ কয়েক ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, চা-বিস্কুট তো দূরের কথা, জলও দেওয়া হয়নি। ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ঘটনার পর তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরে, বারাণসীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে অসু্স্থ হয়ে পড়েন। সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া

    এদিকে পঙ্কজ দত্তের (Pankaj Dutta) প্রয়াণে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, পঙ্কজ দত্ত চলে গেলেন এই খবরে আমরা অত্যন্ত বিষণ্ণ হয়ে পড়েছি। আগাগোড়া তিনি গঠনমূলক সমালোচনা করে গিয়েছেন। তিনি বার বার মুখ খুলেছেন। বটতলা থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল।আমি বার বার অনুরোধ করেছিলাম ওঁকে ছেড়ে দিন। এরপর তিনি বারাণসীতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পঙ্কজদার মতো মানুষ বার বার ফিরে আসুন। বাঙালি পরে বুঝতে পারবে কী ক্ষতি হয়ে গেল। চিত্রশিল্পী সমীর আইচ বলেন, যেভাবে শাসকদল তাঁর কণ্ঠস্বরকে রোধ করলেন, তা ভাবতে পারছি না। শাসকদল তাদের কুচক্রে থাকা কিছু মানুষকে দিয়ে যেভাবে অভব্যতা করেছিল তা ভাবতে পারছি না। আজ বাঙালির অত্যন্ত বেদনাময় দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি, ২ দিনে মৃত্যু তিনজনের, এক সপ্তাহে আক্রান্ত ১ হাজার!

    Dengue: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি, ২ দিনে মৃত্যু তিনজনের, এক সপ্তাহে আক্রান্ত ১ হাজার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের শেষেও ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। সূত্রের খবর, গত দু’দিনে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গির সংক্রমণে এক স্বাস্থ্য কর্মী-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, বেসরকারি সূত্রের খবর, চলতি মাসে অন্তত পাঁচ-ছ’জনের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, ডেঙ্গির সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে গড়িয়ার এক বাসিন্দার। তিনি স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। এছাড়াও বেলেঘাটা আইডিতে ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি থাকা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দুই রোগীরও মৃত্যু হয়েছে। জেলায় জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। যা চরম আতঙ্কের।

    রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কত?

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। এর আগে গত ৯ নভেম্বর কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকায় ডেঙ্গির সংক্রমণে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গির। তবে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরেও। যেহারে মশার উপদ্রব বাড়ছে তাতে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে চলতি বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এর মধ্যে গত ১৯ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর- এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের প্রায় এক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। 

    ২ সপ্তাহে আক্রান্ত ২ হাজার!

    রাজ্যে শেষ ২ সপ্তাহে নতুন করে ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় চার হাজার জন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন ২৩ হাজার ২২৭ জন। উদ্বেগের বিষয়, তারপর ৪ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত, মাত্র ১৪ দিনে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ১৪২। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে টেস্ট করানোর পর ডেঙ্গি পজিটিভ হয়েছেন ২১ হাজার ২০৯ জন। বেসরকারি হাসপাতাল এবং ল্যাব থেকে ডেঙ্গি টেস্টের পর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৫ হাজার ৯৩৩ জনের।

    গত চার মাসের আক্রান্তের পরিসংখ্যান

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত জুলাই মাসে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হন ১ হাজার ৮৮৮ জন। অগাস্টে আক্রান্ত হন ৪ হাজার ৫১৬ জন। সেপ্টেম্বরে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১৯৯। অন্যদিকে, অক্টোবরে নতুন করে আক্রান্ত হন ৭ হাজার ৫১ জন এবং নভেম্বরের ১৮ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২২৩ জন।

    সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মুর্শিদাবাদে

    এর মধ্যে সব থেকে বেশি ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ১৪৭। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালদা, এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৩। পাশাপাশি, ২ হাজার ২৭৮ জন আক্রান্ত হওয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই তালিকাতে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কলকাতা। এখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৩ জন। শীত বাড়লে কমতে পারে ডেঙ্গির প্রকোপ, এমন মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    ম্যালেরিয়ার উপদ্রবও

    ডেঙ্গির (Dengue) পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার উপদ্রবও দেখা দিয়েছে রাজ্যের ৮টি জেলায়। এর মধ্যে রয়েছে আলিপুরদয়ার, মালদা, দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বিষ্ণপুর স্বাস্থ্য জেলা। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর আগে পুজোর সময় ডেঙ্গির পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া নিয়েও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পুজোর আগে থেকেই মালদা, মুর্শিদাবাদের একাংশে অজানা জ্বরের উপদ্রব দেখা দিয়েছিল। জ্বরের সঙ্গে মাথা ধরা, অসহ্য হাতে পায়ে ব্যথা। তবে প্রথমের দিকে অনেকেই এটিকে সাধারণ জ্বর ভেবেছিলেন। কিন্তু কারও কারও দু’সপ্তাহ পরেও জ্বর বা মাথা ব্যথার প্রকোপ না কমায় নতুন করে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তখনই জানা যায়, সাধারণ কোনও জ্বর নয়, গ্রামের অনেকেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। ফলে মশাবাহিত মারণ রোগের মোকাবিলায় শুরু হয়েছে মশা নিধন পর্ব। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতা প্রচারেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া উচিত’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ‘‘ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া উচিত’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারতেও বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। সোমবার সীমান্ত অবরুদ্ধ করার ডাক দিয়েছে বিজেপি। এই আবহের মধ্যে মহম্মদ ইউনূসকে কড়া বার্তা দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।

    ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া উচিত (Abhijit Ganguly)

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘‘অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ সরকার এই নিয়ে বিশেষ কিছু করছে বলে মনে হচ্ছে না। এই ইউনূস, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন, আমার মনে হয়, এই ইউনূস যেভাবে গত ৯০ দিন ধরে চালাচ্ছেন, একটা বেআইনি সরকার চলছে, কারণ তাঁদের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেননি এখনও। যেভাবে অন্য ধর্মের ওপর, বিশেষত হিন্দু ধর্মের ওপর যে আক্রমণ চলছে, তাতে আমি মনে করি নোবেল কমিটির এই মুহূর্তে তাঁর নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। আপনারা হয়ত আমায় জিজ্ঞেস করতে পারেন, নোবেল কমিটির এই রুল আছে কিনা? আমি বলতে পারব না। কিন্তু একটা সাধারণ নিয়ম আছে, কোনও কর্তৃপক্ষ, যদি কোনও একটা কাজ করতে চান, অর্থাৎ কোনও একটা কাজ করানোর ক্ষমতা থাকে, তাহলে তার সেই কাজ নাকচ করানোরও ক্ষমতা থাকে।’’

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ করেছে সেদেশের হাইকোর্ট। সরকারের কোর্টে বল ঠেলে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘দেশের জনগণের প্রাণ ও সম্পত্তি, কারও যেন কোনও ক্ষতি না হয়, এটা সবারই চিন্তা।’’ এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কলকাতায় মিছিল করে, বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে তা চরম আকার নিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। ঢাকাকে বার্তা দিয়েছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    Weather Update: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ শহরে। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিও (Weather Update) হয়েছে। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের (Cyclone Fengal) প্রভাব পড়ছে বাংলায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে শুক্রবারই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে গিয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে হবে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলে হবে ঘূর্ণিঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’।

    বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

    সরাসরি না হলেও এই ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় (Weather Update)। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে (West Bengal Weather Update) জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। বৃষ্টি হবে উপকূলবর্তী পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এছাড়াও কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।

    কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি 

    নিম্নচাপের (Cyclone Fengal) প্রভাবে সকালে শহরের তাপমাত্রা কম থাকলেও রাতের দিকে গরম বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুুর। শনিবার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় পাঁচ ডিগ্রি বেশি রয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। শনিবার তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৪.৫ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর কলকতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৭ এবং ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। 

    ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল, তামিলনাড়ুতে সতর্কতা

    মৌসম ভবনের (Weather Update) তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে গত ছ’ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Fengal) ক্রমে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। এই সময়ে সমুদ্র তার গতি ছিল ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার। শনিবার সকালে চেন্নাই থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পুদুচেরি থেকে ১৮০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে সরবে। তামিলনাড়ু-পুদুচেরী উপকূলে কারইকাল এবং মহাবলীপুরমের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়, জানিয়েছে মৌসম ভবন। এই সময়ে তার গতি থাকবে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে ‘ফেনজলের’ বেগ। এর ফলে সোমবার পর্যন্ত তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকের বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    কুয়াশাচ্ছন্ন উত্তরবঙ্গ

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Fengal) প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়লেও উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদার আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এর মধ্যে বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে সকালের দিকে (Weather Update)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা। তৃণমূল জমানায় নানা প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মিথ্যা দাবি তুলে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই আবহে ফের একবার তথ্য দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমূলের মালিকরা বারেবারে বলে বিজেপির জমিদাররা ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা কর নিয়েছে। ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার নায্য পাওনা আটকে রেখেছে। ভারত সরকার ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে।’’

    কেন্দ্রের সুদের টাকায় মেলা-খেলা 

    তৃণমূল সরকারকে (West Bengal) তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘আসলে এরা আগে সেন্ট্রালের শেয়ার নিয়ে অ্যাকাউন্টে রেখে দিত। তার সুদের টাকায় খেলা-মেলা-দান-ভাতা এসব করতো। কেন্দ্র এটাকে আটকে দিয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন চালু করেছে। যার মধ্যে এরা আসতে রাজি নয়। কারণ এটা তো আলাদা রাজ্য। এখানে আলাদা জাতীয় বাংলা সঙ্গীত রয়েছে, আলাদা পতাকা, আলাদা সংবিধান, পুজো-পার্বনের আলাদা নিয়ম।’’

    থমকে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প

    একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প মমতা সরকার বাংলায় চালু করেনি। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মোদিজীর কাছ থেকে ৮২ লক্ষের কাছাকাছি শৌচালয় পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু, কে পেয়েছে শৌচালয় কেউ জানে না। বাংলায় ৮৩ লক্ষের বেশি পিএম কিষাণ পাচ্ছে না। কেন পাঠানো হচ্ছে না নাম? কেন সেন্ট্রাল স্কিমগুলি চালু হচ্ছে না? আপনার কার্ড বাইরে চলে না কিন্তু আপনি কেন আয়ুষ্মান ভারত অন্তত বাইরে চালু করছেন না? বিশ্বকর্মা যোজনা নিয়ে ডিএম-দের দিয়ে মিটিং করাচ্ছেন না। তার কোনও উত্তর নেই।’’

    বাংলা বঞ্চিত নয়, বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে  

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বেলডাঙার এক প্রধান একা ১৭টি বাড়ি নিয়েছেন। কাবিলপুরের প্রধান সাগরদিঘির একা আত্মীয়-স্বজন মিলে ৩৫টি বাড়ি নিয়েছেন। কারণ পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা বাইরে আছে এটাই আশ্চর্যের। এদের ভিতরে থাকার কথা। প্রত্যেকটা লোক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। বাংলা বঞ্চিত নয়। বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে বজরংবলির মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা, ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে বলে টুইট করলেন শুভেন্দু

    Birbhum: বীরভূমে বজরংবলির মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা, ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে বলে টুইট করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যার জেরে উত্তাল ওপার বাংলা। সেই ঘটনার আঁচ পড়েছে এপারেও। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সনাতনীরা। এই আবহের মধ্যে এবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়ে একটি মন্দিরে হনুমান মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিউড়ি থানার পুলিশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন মন্দিরের পুরোহিত? (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি-বোলপুর (Birbhum) রাস্তার ধারে ১০-১২ বছর আগে একটি হনুমান মন্দির গড়ে ওঠে। প্রতিদিন সেখানে নিয়ম করে পুজোও হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা বজরংবলির মূর্তি ভাঙে। শুক্রবার সকালে পুরোহিত মন্দিরে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। মন্দিরের পুরোহিত মনোজ দাস বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানতে পারি। সকাল হতেই মন্দিরে ছুটে আসি। এসে দেখি মূর্তিটি দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন পুলিশ এসেছিল। সমস্ত বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। আমরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।”

    সরব শুভেন্দু

    বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যটাকে বাংলাদেশ করার চেষ্টা চলছে। আমরা এসব হতে দেব না। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্য নেতৃত্বকে সমস্ত বিযয়টি জানানো হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি (Suvendu Adhikari) লেখেন, “বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ২ ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়ে বজরংবলির মূর্তি ভাঙা হয়েছে। আমি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক।” জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, তাঁরা বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন। নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Leader: বাড়িতে মিলল তেজস্ক্রিয় ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’, সেনা নথি পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেফতার

    TMC Leader: বাড়িতে মিলল তেজস্ক্রিয় ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’, সেনা নথি পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রাণঘাতী তেজস্ক্রিয় মৌল। দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ির তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ফ্রান্সিস এক্কার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’ নামে বহুমূল্য ওই তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক। দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত সন্দেহে নকশালবাড়ির (Naxalbari) বেলগাছি চা বাগান থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল সেনাবাহিনী। শাসক দলের নেতার বাড়িতে এই ধরনের তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক কী করে এল তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কে এই ফ্রান্সিস? (TMC Leader)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলগাছি চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করতেন ধৃত তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ফ্রান্সিসের স্ত্রী অমৃতা এক্কা। গত মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তিনি। অপ্রচলিত শক্তি বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর বাগানের কাজ ছেড়ে দেন অমৃতা। স্বামী ফ্রান্সিস স্ত্রীর সুবাদেই বাগানে থাকেন। সূত্রের খবর, নেপালে ফ্রান্সিসের যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি তাঁর চালচলন-পোশাকে নাকি বড় পরিবর্তন হয়েছিল। যা চোখে পড়েছিল প্রতিবেশীদেরও। তবে, তিনি তৃণমূল নেতা হওয়ায় কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেননি।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তিনদিন আগে আচমকা বাগানের চার্চ লাইনে ফ্রান্সিসের (TMC Leader) বাড়ির সামনে বেশ কিছু গাড়ির কনভয় এসে দাঁড়ানোয় সবাই চমকে ওঠেন। আপাদমন্তক ঢাকা ‘হ্যাজমাত স্যুট’ পরা বেশ কিছু লোকজন এবং প্রচুর পুলিশ দেখে কেউই আর এগিয়ে আসার সাহস পাননি। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গোটা বাড়িতে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালায় সেনা ও এনডিআরএফ। বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজরদারি করে পানিঘাটা ফাঁড়ির পুলিশ। অপারেশন শেষে উদ্ধার হওয়া সমস্ত সামগ্রী সহ ফ্রান্সিসকে নিয়ে চলে যায় সেনা। ভোরে তাঁকে পানিঘাটা ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, “সেনাবাহিনী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আমাদের হাতে দিয়েছে। একটি অভিযোগও দায়ের করেছে। যে সমস্ত সরঞ্জাম ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি সেনাবাহিনী নিয়ে গিয়েছে।” তবে, এই ক্যালিফোর্নিয়াম এবং ডিআরডিও-র নথি আসল না নকল সেটা সেনাবাহিনী পরীক্ষার পরই বলতে পারবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    কী অভিযোগ রয়েছে?

    ফ্রান্সিসের (TMC Leader) বাড়ি থেকে রেডিওঅ্যাক্টিভ বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ ক্যালিফোর্নিয়াম (Californium) এবং প্রচুর ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (DRDO) প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে। দেশের নামীদামি বিজ্ঞানীরা এখানে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে বিভিন্ন গবেষণা করেন। সেই সমস্ত গবেষণাপত্র পাচারের অভিযোগ রয়েছে ফ্রান্সিসের বিরুদ্ধে। সেই নথি কীভাবে তাঁর হাতে এল, সেই চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। তবে, গবেষণাপত্রগুলি আসল না নকল তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সেনা। সেনা সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক বাজারে মাত্র এক গ্রাম ক্যালিফোর্নিয়ামের মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ডিআরডিও’র প্রচুর নথি এবং ক্যালিফোর্নিয়াম নামক রেডিওঅ্যাক্টিভ পদার্থ ভর্তি কনটেনার পাওয়া গিয়েছে ফ্রান্সিসের কাছে। মাস তিনেক আগে বিহার থেকেও এই ক্যালিফোর্নিয়াম সহ তিনজন ধরা পড়েছিল। এই চক্রের সঙ্গে ফ্রান্সিসের যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী এই ক্যালিফোর্নিয়াম?

    সেনাকর্তারা বলছেন, “গবেষণাগারে কিউরিয়াম এবং আলফার মিশ্রণে ল্যাবরেটরিতে ক্যালিফোর্নিয়াম তৈরি করা হয়। এটা মানুষের দ্বারা তৈরি একটি সিন্থেটিক পদার্থ। আন্তর্জাতিক বাজারে যার এক গ্রামের দাম কয়েক কোটি টাকা। ভারতে সাধারণ মানুষের এই রেডিওঅ্যাক্টিভ ব্যবহার নিষিদ্ধ। মূলত নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে এগুলি ব্যবহৃত হয়।” এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তা আরকে দাস। তিনি বলেন, “ক্যালিফোর্নিয়াম অত্যন্ত সেন্সিটিভ, ডেঞ্জারাস। একটা সাধারণ মানুষের (TMC Leader) বাড়িতে কীভাবে এল, সেই প্রশ্ন তো উঠবেই। এই রাসায়নিক খুব গোপনভাবে ব্যবহার হয়। এই ক্ষেত্রে নিরাপত্তার গাফিলতি সামনে আসছে। এটা দেশের জন্য চিন্তার বিষয়।”

    কী বললেন অর্জুন সিং?

    কয়েকদিন আগেই বিজেপি নেতা অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন, রাশিয়া থেকে রাসায়নিক আনা হয়েছে তাঁকে খুন করার জন্য। এই ঘটনার পর ফের মুখ খুললেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “অসাধু চক্রের সঙ্গে যে তৃণমূলের (TMC Leader) যোগ আছে, সেই প্রমাণ আগেই মিলেছে। এবার সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share