Tag: West Bengal

West Bengal

  • Birbhum: ‘টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি’, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তোপ নেত্রীর

    Birbhum: ‘টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি’, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তোপ নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারের পর এবার বীরভূম (Birbhum)। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন তৃণমূলের একাধিক নেতানেত্রী। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন তৃণমূল নেত্রী রুবিনা বিবি। এই তৃণমূল নেত্রী গত পুরসভা নির্বাচনে দুবরাজপুর পুরসভায় তৃণমূলের পদপ্রার্থী ছিলেন। টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, পুর নির্বাচনে হারের পর তিনি অভিযোগ তোলেন, ইভিএম বদলে দিয়ে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তিনি ছাড়াও পাঁচ তৃণমূল নেতা এ দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা হাত ধরে তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেন।

    টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি করা হয় (Birbhum)

    লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূলে বড়সড় ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর রুবিনা বিবি বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিলাম। গত পুরসভা নির্বাচনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আমার নামে টিকিট ছিল। কিন্তু শেষ দিনে তা অন্য এক মহিলাকে দিয়ে দেওয়া হয়। যাঁর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক নেই। এর পর আমি নির্দল হয়ে লড়েছিলাম। কারচুপি করে আমাকে হারানো হয়। তৃণমূলের হয়ে অনেক খেটেছি। এখানে কোনও দাম নেই। টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি করা হয়। তাই তৃণমূলে থাকতে চাই না। বিজেপিতে যোগ দিলাম।”

    আরও অনেক তৃণমূল যোগ দেবেন

    এই যোগদানের প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহা বলেছেন, রুবিনা বিবি আজ আমাদের দলে যোগ দিলেন। দুবরাজপুর পুরসভায় রুবিনা বিবি নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন। নৈতিক জয় হয়েছিল তাঁর। কিন্তু, প্রশাসনিক যন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছিল। রুবিনা বিবি-সহ পাঁচ জন নেতা যোগ দিয়েছেন। আরও অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। লোকসভার আগে তা দেখতে পাবেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    এ বিষয়ে বীরভূমের সিউড়ি শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের শহর-সভাপতি আব্দুল শফি বলেন, তৃণমূল থেকে কেউ যোগ দেয়নি। তৃণমূল ছেড়ে অনেক আগেই ওরা চলে গিয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে কেউ যোগ দেয়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: ‘এক সপ্তাহের মধ্যে দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর হবে’, আশ্বাস শান্তনুর

    Shantanu Thakur: ‘এক সপ্তাহের মধ্যে দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর হবে’, আশ্বাস শান্তনুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও সিএএ নিয়ে বড় দাবি করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। এক সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ অর্থাৎ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নিশ্চিন্তপুরে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন শান্তনু।

    এক সপ্তাহের মধ্যে সিএএ কার্যকরী হবে (Shantanu Thakur)

    শান্তনু (Shantanu Thakur) বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের প্রতিটি রাজ্যে সিএএ চালু হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার প্রতিটি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ভারতবর্ষে সিএএ লাগু হবে, এই গ্যারান্টি দিয়ে গেলাম। সেটা আপনারা দেখতে পাবেন।হল, ২০১৯ সালে কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সিএএ আইন সংসদে পাশ করায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরপর চার বছর কেটে গেলেও সেই আইন কার্যকর করা হয়নি। বলা যায়, সিএএ কার্যত ঠান্ডাঘরে চলে গিয়েছিল। তবে গত নভেম্বরে কলকাতায় এসে ধর্মতলার সমাবেশ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিএএ অবশ্যই কার্যকর হবে। সেদিন তৃণমূল সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অমিত শাহকে বলতে শোনা গিয়েছিল, সিএএ গোটা দেশের আইন। বাংলার সরকার এই আইন কোনও ভাবেই রুখতে পারবে না। বাংলায় অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তাই সিএএ কার্যকর করতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এটা দিল্লির আইন। তাই চেষ্টা করলেও এটাকে রুখতে পারবেন না। এদেশে একজন হিন্দু নাগরিকের যতটা অধিকার,শরণার্থীদের অধিকারও ঠিক ততটাই।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র কী বলেছিলেন?

    সিএএ নিয়ে গত চার বছর ধরে বিতর্ক অব্যাহত। এই আইনের সাহায্যে মূলত ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান ও জৈন শরণার্থীরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে নাগরিকত্ব পাবেন। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ঠাকুর নগরে এসে মার্চ মাসের মধ্যে সিএএ-র চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারপরই আইন আসবে বলে তিনি বলেছিলেন। এই আবহের মধ্যে রবিবার কাকদ্বীপের সভায় রীতিমতো সময় বেঁধে দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) দাবি করলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই সিএএ লাগু হয়ে যাবে।’ যে দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেটা হলে লক্ষ লক্ষ মতুয়া ভোট যে বিজেপির দিকে নিশ্চিত ভাবে চলে আসবে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: রানাঘাট মাতৃভূমি লোকাল ট্রেনে চালু হচ্ছে এসি কোচ! কী কী সুবিধা রয়েছে জানেন?

    Ranaghat: রানাঘাট মাতৃভূমি লোকাল ট্রেনে চালু হচ্ছে এসি কোচ! কী কী সুবিধা রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মাতৃভূমি স্পেশাল ট্রেনে আধুনিক পরিষেবা সংযোজিত হল। এবার থেকে এই ট্রেনে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দুটি কামরা থাকবে। গরমকালে এসি পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। তবে, বিশেষ এই কামরায় উঠতে যাত্রীদের সামান্য বেশি ভাড়া গুনতে হবে। আর মহিলা যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ এই ট্রেনের কামরার সংখ্যাও বাড়ানো হল। রবিবার নতুন পরিষেবা যুক্ত মাতৃভূমি স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। উপস্থিত ছিলেন শিয়ালদার  ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক নিগম। এই ট্রেনটিতে মিলবে একাধিক যাত্রী পরিষেবা। এদিন সকাল ১০:৪৫ মিনিট নাগাদ রানাঘাট (Ranaghat) পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছাড়়ে।

    মাতৃভূমি ট্রেনে কী কী সুবিধা রয়েছে? (Ranaghat)

    এই ট্রেনটিতে রয়েছে দুটি স্পেশাল কামরা। রয়েছে প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণি। এছাড়াও জনসাধারণের জন্য জেনারেল কামরা রয়েছে। প্রথম শ্রেণির কোচের আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা সহ সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তা, মোবাইল চার্জিং ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও একাধিক সুবিধা রয়েছে। এর আগেও রানাঘাট (Ranaghat) থেকে শিয়ালদা মাতৃভূমি ট্রেন চলত। কিন্তু, সেই ট্রেনটিতে ছিল মূলত নয়টি কামরা। এবার ট্রেনের কামরা সংখ্যা বাড়িয়ে করা হল ১২টি। দুটি কামরা স্পেশাল করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে উন্নত মানের বসার চেয়ার এবং নিরাপত্তার কারণে রাখা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে আরও উন্নত করা হবে এই ট্রেনগুলিকে। এক মহিলা যাত্রী বলেন, আগে ৯ কামরা ছিল। এবার ১২টি কামরা করা হয়েছে। শুধু মহিলাদের জন্য আরও গুরুত্ব দিয়ে পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    ট্রেন উদ্বোধনের শেষে বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, লোকাল ট্রেনে এসি কামরার সুবিধা পূর্ব ভারতে প্রথম। ইস্টার্ন রেলওয়ে এই প্রথম লোকাল ট্রেনে এই ধরনের পরিষেবা চালু করেছে। মুম্বইয়ের পর দ্বিতীয় এই ট্রেন। সপ্তাহে রবিবার বাদে প্রতিদিনই রানাঘাট (Ranaghat) স্টেশন থেকে ৭:৪৫ মিনিটে শিয়ালদাগামী এই ট্রেন ছাড়বে। আমি অত্যন্ত খুশি ইস্টার্ন রেলওয়ের এই উদ্যোগে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) পিন্ডি চটকে যাওয়ার মতো অবস্থা! এর আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর জন্য সভামঞ্চ খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদে রাহুলের কর্মসূচিতে আসা কংগ্রেস কর্মীদের থাকার জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। মমতার প্রশাসন তা নাকচ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে এবার জুড়ল জলপাইগুড়ির নাম। রাহুলের ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি। টিম রাহুলের বাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই অশান্তির মাঝেই শহরে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। মমতার পুলিশের এহেন আচরণে চরম ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Indi Alliance)

    জলপাইগুড়িতে রাহুলের ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি রয়েছে। আর এদিন রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষা রয়েছে। জলপাইগুড়িতে একাধিক পরীক্ষার সেন্টার করা হয়েছে। শহর জুড়ে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। সাড়ে এগারোটায় বাগডোগরায় নেমেছেন রাহুল। এদিন সকালে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড়ে ন্যায় যাত্রার বাস ঢুকতেই বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। ফলে, কংগ্রেস কর্মীরা ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে বাধা পান বলে অভিযোগ। কংগ্রেস কর্মীদের বত্তব্য, পরিকল্পনামাফিক পুলিশ বাধা দিয়েছে। নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এর আগে শনিবার ধূপগুড়ির একাধিক এলাকায়  রাহুল গান্ধীর একাধিক পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বার বার এই ঘটনায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলার মাটিতে কংগ্রেসকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে তৃণমূল রাজি নয়, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ন্যায় যাত্রায় রাহুল

    এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমে রাহুল সোজা যান জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুরে। সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে এক ধাবায় মধ্যাহ্নভোজন করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেখান থেকে চলে যান জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড়ে। পিডব্লুডি মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন রাহুল। পোস্ট অফিস, থানা মোড় হয়ে কদমতলা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এই কর্মসূচি শেষ করে সেখান থেকে অসম মোড়, ফাটাপুকুর, ফুলবাড়ি হয়ে রাহুল গান্ধী পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পর পর বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ল যুবকের

    Bomb Blast: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পর পর বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ল যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পর পর তিনটে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast)। আর তাতেই হাত উড়ল এক যুবকের। জখম হয়েছেন দুজন। রবিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়ার সুবোধ রায় সরণির মণ্ডলবাজার এলাকায়। জখম দুজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধু রায় নামে এক ব্যক্তির টিন-লোহা ভাঙার ব্যবসা রয়েছে। বাড়ির পাশেই গোডাউন। সেই গোডাউনে টিন, লোহা ভাঙা মজুত থাকে। দোকানের শ্রমিকরা সাইকেল করে ফেরি করে টিন-লোহা ভাঙা গোডাউনে মজুত করে। এদিন দুপুরে দুজন শ্রমিক ফেরি করে গোডাউনে টিন ভাঙা মজুত করছিলেন। সেই সময় টিনের জিনিসপত্র সরাতে গিয়ে প্রথম বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়। তার কিছুক্ষণ পরই আবারও পর পর দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এক শ্রমিকের পাঞ্জা থেকে হাত উড়ে যায়। আর অন্যজন হাতে জখম হন। আর দিনের বেলার পর পর বোমা বিস্ফোরণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গোডাউনের মালিক বলেন, কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটল তা বুঝতে পারছি না। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। দুজন শ্রমিক জখম হয়েছেন। তাঁদের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের পাশে বাচ্চাদের স্কুল রয়েছে। পাড়াতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা ধূলা করে। এদিন রবিবার থাকা স্কুল বন্ধ ছিল। না হলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    স্থানীয় কাউন্সিলর শর্মিষ্ঠা মজুমদার বলেন, শান্ত কাঁচরাপাড়াকে এভাবে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কী করে এরকম ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। দলের সুপ্রিমোর জেলা সফরের আগেই বহু কর্মীর দলবদলের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     বিজেপিতে যোগ দিয়ে কী বললেন? (Alipurduar)

    শনিবার বিকালে আলিপুরদুয়ার-১ (Alipurduar) ব্লকের বিবেকানন্দ-২ অঞ্চলের বাদলনগর স্কুলের মাঠে বিজেপি-র যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই বিজেপির চার নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ১২/১৪৫ পার্টের নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য উমা দাস। তিনি এক সময় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধান ছিলেন। যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা কর, বিশু রায়-সহ ৫০ জন তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধান উমা দাস বলেন, “তৃণমূল আমাকে টিকিট দেয়নি এবার। দল আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। তাই, আমি নির্দলে দাঁড়িয়েছিলাম। গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কারমষ মানুষের সঙ্গে আমি প্রতারণা করিনি। মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে। তাই, তৃণমূল দল করার কথা আর কোনওদিন ভাবিনি। আমি ঠিক করেছিলাম,তৃণমূলে আর ফিরব না, ফিরিওনি। এবার বিজেপিতে যোগ দিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নানা কর্মকাণ্ড দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মানবকল্যাণকর কর্মসূচি নিচ্ছেন তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই আমার এই যোগদান।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ ব্যাপারে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের কোনও পদে আছেন এমন কেউ বিজেপিতে যাননি। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া হয়নি। কয়েকজন নির্দল হয়ে জিতেছিলেন। তাঁরাই ওই দলে গিয়েছেন। আর কিছু কর্মী ভোট এলেই এদিক ওদিক করেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ভোটের মুখে কোনও সমস্যা হবে না। বিজেপি এবার হারবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয় ও হিমালয় পাদদেশের পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণার জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন শিলিগুড়ির বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা। দীর্ঘ ৪০ বছরের গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেছেন। এই আনন্দের দিনেও পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তিনি। তাঁর নাম পদ্মশ্রী (Padma Shri) সম্মানের জন্য ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের শুভেচ্ছা আসার পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন তাঁকে অভিনন্দন জানাতে। আনন্দের এই আবহেও  তিনি বলেন, পাহাড় নিয়ে ছেলেখেলা করা ঠিক হচ্ছে না। সম্প্রতি সিকিমের যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ, পাহাড় অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ। এর চরিত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া মারাত্মক ভুল এবং বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    কীভাবে উত্তোরণ? (Padma Shri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কাকা কে সামনে রেখে একলব্য শর্মার পথ চলা শুরু। কাকা টিকারাম শর্মা ছিলেন খ্যাতনামা পরিবেশবিদ। পরিবেশ রক্ষায় তিনি গবেষণা করেছেন। কাজেই ছোটবেলা থেকে বাড়িতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সামনে থেকে দেখেছেন। এই আবহে কাকাকে আদর্শ করে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন একলব্য শর্মা। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে, তাঁর জন্ম কার্শিয়াংয়ে। কার্শিয়াংয়ের সেন্ট আলফানসো স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে পিএইচডি করেন। তারপর নেপালের কাঠমান্ডুতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। তারপর সিকিমের জিবি পন্থ ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের মুখ্য গবেষক পদে যোগ দেন। একলব্য শর্মা ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যাকাদেমির একজন অন্যতম গবেষক। পরে তিনি দিল্লির টেরি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদেও ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরাখন্ডের জিপি পন্থ ইউনিভার্সিটি অব ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টের মুখ্য উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।

     বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের অভিনন্দন

    একলব্য শর্মাকে (Padma Shri) তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই কৃতি বিজ্ঞানীর সঙ্গে দেখা করার পর বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমরা খুব খুশি। কারণ, উত্তরের এক বিজ্ঞানী তথা পরিবেশবিদ পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন। হিমালয় তথা হিন্দুকুশ পর্বতের উপর তাঁর গবেষণা এক অনন্য নজির। আগামীতে এই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন,পরিবেশ রক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ভূমিকা থাকবে।

    কী বললেন একলব্য শর্মা?

    হিমালয়ের ওপর সামগ্রিক আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই তাঁর গবেষণা। কোথাও প্রাকৃতিক কারণে হিমালয়ের ক্ষতি। কোথাও বা মানুষের দ্বারা ভূমি, বন, জীবজন্তুর ওপর আঘাত তিনি মেনে নিয়ে পারেননি। তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। আর হিমালয়কে রক্ষা করার জন্যই তিনি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে সবাই “হিমালয়ের পাহারাদার” বলে ডাকেন। একলব্য শর্মা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবনে আমার লক্ষ্য ছিল হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা। পদ্মশ্রী সম্মান পাব ভেবে ভালো লাগছে। হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ডায়মন্ড হারবার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার হরিপালের সভা থেকে তিনি মমতার প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন। এমনকী অভিষেককে তাঁর খাসতালুকে তৃতীয় করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

    ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ! (Suvendu Adhikari)

    শনিবার হরিপালের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে ১৮ থেকে কুড়ি হাজার বিজেপি কর্মীর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে যারা সক্রিয় কর্মী তাঁদের নাম বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাপকভাবে গরমিল করা হয়েছে।” তিনি  হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা এটা ছাড়ব না। এসব চলবে না। ফলতার বিডিওকে বলে রাখলাম, দরজা পরিষ্কার করে রাখুন আপনার কাছে যাচ্ছি, যে কোনও দিন। ভাইপো কে ওখানে হারাবো। বিজেপি জিতবে, ভাইপো থার্ড হবে।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভোটার তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সারা রাজ্যের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রেও ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সেই ভোটার তালিকায় মমতার প্রশাসন কতটা গরমিল করেছে তা দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই কলকাতায় সংহতি মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মমতা বলেছিলেন, “বিজেপি রাম নিয়ে এত উচ্ছ্বাস দেখালেও সীতা দেবীকে নিয়ে কোনও কথা বলে না। বিজেপি নারী বিরোধী বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।” সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এসব চপবাজি কেউ খাবে না। পশ্চিমবঙ্গের সীতাদের খোঁজ নিতে বলুন, হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ, রামপুরহাটের সীতারা কি অপরাধ করেছে? শিখল তুলে পুড়িয়ে মেরেছেন লজ্জা লাগেনা?” প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবারে এবারেও বড় অঘটন না ঘটলে প্রার্থী হচ্ছেন অভিষেক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বিজেপিও প্রভাবশালী কাউকে দাঁড় করাবেন বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূলের যুবরাজের আসনেই তাঁকে হারানার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বগটুই কাণ্ড! তিন ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রামে হুলিয়া জারি করল সিবিআই

    CBI: বগটুই কাণ্ড! তিন ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রামে হুলিয়া জারি করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য হুলিয়া জারি করল সিবিআই (CBI)। তিন জনের নাম দিয়ে বীরভূমের বগটুই গ্রামে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ৩০ জানুয়ারি হাজিরার নির্দেশ (CBI)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বগটুইতে গিয়ে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা(CBI)। নোটিশে তিন অভিযুক্তের নাম রয়েছে— রোহন শেখ, মারফত শেখ এবং খুশিল শেখ। এঁদের মধ্যে রোহন বগটুইকাণ্ডে ধৃত এবং সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হওয়া লালন শেখের ছেলে। মারফত শেখ বগটুইয়ের ঘটনার দিন নিহত ভাদু শেখের বাবা। বগটুইয়ের ঘটনার পর থেকেই খুশিল শেখের এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ওই নোটিশে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি রামপুরহাট মহকুমা আদালতের এসিজেএমের এজলাসে তিন জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।

    তিন অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি উঠল

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমার আঘাত এবং গুলি লেগে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপ প্রধান ভাদু শেখ। তার অব্যবহিত পর সেই রাতেই অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা বগটুই গ্রাম। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শিশু এবং মহিলা-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর বীরভূমে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের তরফে সাহায্য প্রদান করা হয়। ঘটনাক্রমে বগটুইকাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই (CBI)। স্থানীয় বাসিন্দা মিহিলাল শেখ বলেন, বগটুই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিন অভিযুক্ত বগটুইকাণ্ডে বর্বরতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাদের আমরা ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sreela Majumdar: তিন বছরের লড়াই শেষ! না ফেরার দেশে চলে গেলেন শ্রীলা মজুমদার

    Sreela Majumdar: তিন বছরের লড়াই শেষ! না ফেরার দেশে চলে গেলেন শ্রীলা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যানসারে ভুগছিলেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার (Sreela Majumdar) । তিন বছর ধরে মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন তিনি। না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া।

    তিন বছর আগে অভিনেত্রীর শরীরে মারণরোগ থাবা বসায় (Sreela Majumdar)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে তাঁর (Sreela Majumdar) শরীরে মারণরোগ থাবা বসায়। নিয়মিত তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। তবে, গত বছর নভেম্বর মাস নাগাদ তাঁর শারীরীক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। পরে, চিকিৎসা করিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে, চলতি মাসে তাঁর ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে টাটা মেডিক্যাল ক্যানসার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ২০ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর স্বামী এসএনএম আব্দি তাঁর দেখাশুনা করছিলেন। তাঁর ছেলে সোহেল আব্দি পড়াশুনার জন্য লন্ডনে থাকেন। তিনিও মায়ের শারীরীক অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পেয়ে আগেই বাড়ি ফিরে এসেছেন। শনিবার রাতে কেওড়াতলা শ্মশানে অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। টলি পাড়ার অনেকেই শোক প্রকাশ করেন।

     মৃনাল সেনের হাত ধরে প্রথম টলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী

    টলিপাড়া ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বনামধন্য পরিচালক মৃনাল সেনের হাত ধরেই শ্রীলা মজুমদারের (Sreela Majumdar)টলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ। বয়স তখন তাঁর মাত্র ১৬ বছর। একটি নাটকের মহড়া থেকে সিনেমার জগতে তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন পরিচালক মৃণাল সেন। ১৯৮০ সালে মৃণাল সেন পরিচালিত ‘পরশুরাম’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে তিনি প্রথম পা রাখেন। তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’। অঞ্জন চৌধুরির ‘পূজা’, হরনাথ চক্রবর্তীর ‘প্রতিবাদ’। এই সব সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁচ্ছে গিয়েছিলেন। বাংলার পাশাপাশি বলিউডের নামজাদা তারকা শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাটিলের সঙ্গেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। শ্রীলা মজুমদারের অভিনয় কেরিয়ারের আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, ২০০৩ সালে চোখের বালি সিনেমায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্য বাংলায় কণ্ঠ দিয়েছিলেন। শেষবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পালান’ সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। মারণরোগ থাবা বসাতে কাজ তিনি কিছুটা কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে, তাঁর অনুরাগীদের বক্তব্য, এরকম প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীকে ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়নি। এটা নিয়ে তাঁর অভিমান ছিল। তবে, তিনি এই বিষয় নিয়ে কারও কাছে অভিযোগও কোনওদিন করেননি। স্বর্ণযুগের সমান্তরাল ছবির নায়িকা শ্রীলা মজুমদারের অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share