Tag: West Bengal

West Bengal

  • NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, ১২ জনের নামে চার্জশিট এনআইএ-র

    NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, ১২ জনের নামে চার্জশিট এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। ১২ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট পেশ করে এনআইএ (NIA)।

    ঠিক কী অভিযোগ? (NIA)

    জানা গিয়েছে, ২৮ অগাস্ট ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়িতে হামলা হয়। গুলি চালানো হয় গাড়ি লক্ষ্য করে। তিনি ওই দিন কাঁকিনাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন অপর এক বিজেপি নেতা রবি সিং। চালকের পাশেই বসেছিলেন প্রিয়াঙ্গু। পিছনে ছিলেন রবি। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় জখম হন প্রিয়াঙ্গু ও রবি দু’জনেই। সঙ্গে গাড়ির চালক রবি ভর্মাও জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিজেপি প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে। ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেছিলেন, চালককে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। তাঁর কপাল ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যাওয়ায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। মূলত, তৃণমূল নেতা তরুণ সাউ এবং বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকেও অভিযুক্ত করেছিলেন তিনি। থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে, ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ (NIA)।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    ১২ জন অভিযুক্ত কারা?

    এনআইএ (NIA) একটি বিবৃতিতে বলেছে, বিশেষ আদালতের সামনে বিএনএস, অস্ত্র আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে চার্জশিট জমা করা হয়েছে। হামলার পিছনে একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এনআইএ-এর তদন্তে ১২ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁরা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের কর্মীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভিযুক্তরা হলেন মহম্মদ আবেদ খান, মহম্মদ আরিফ, ওয়াসিমুদ্দিন আনসারি, মহম্মদ নাসিম, ফিরদুশ ইকবাল, মহম্মদ তানভীর, সঞ্জয় সাউ, মহম্মদ চাঁদ, আকাশ সিং, মহম্মদ সোহেব আকতার, মহম্মদ আকবর এবং সাগর সিং। মামলার তদন্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে। জানা গিয়েছে, ৬ নভেম্বর এনআইএ এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে।

    ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু?

    একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে যা ঘটনার দিন গুলি চালানোর মুহূর্তটি দেখানো হয়েছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও নিজের এক্স হ্যান্ডলে অভিযোগ করেছিলেন, ভাটপাড়ায় বিশিষ্ট বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডা গুলি চালাচ্ছে। গাড়ির চালককে গুলি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আজ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতর ঘেরাও, সোমবার সীমান্তে অবরোধ বিজেপির

    BJP: আজ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতর ঘেরাও, সোমবার সীমান্তে অবরোধ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সনাতনীদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার বেড়ে চলেছে। সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সেই আন্দোলনের আঁচ এসে লাগে ভারতে। বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে লাগাতার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকে কড়া বার্তা দিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতর ঘেরাও করবেন বিজেপি বিধায়করা। ফলে, ক্রমশ চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের ওপর।

    লাগাতার আন্দোলনের ডাক বিজেপির

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন্ময় প্রভুকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গর্জে ওঠেন। ইতিমধ্যেই চিন্ময় প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেহালা চৌরাস্তা থেকে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বাংলাদেশের সনাতনীদের ওপর ক্রমাগত বেড়ে চলা অত্যাচারের প্রতিবাদ জানানো হয়। ধ্বজা, মশাল নিয়ে সামিল হন সনাতনীরা। আজ, বুধবার, দুপুর তিনটের সময় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতর ঘেরাও করবেন বিজেপি (BJP)  বিধায়করা। রবিবারের (১ ডিসেম্বর) মধ্যে কৃষ্ণদাস প্রভুকে মুক্তি না দিলে সোমবার (২ ডিসেম্বর) পেট্রাপোল সীমান্ত অবরোধ করবেন বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক। সীমান্ত অবরুদ্ধ করে ইউনূস সরকারকে বার্তা দেবে বিজেপি।

    কী বলেছেন শুভেন্দু?

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘কলকাতার রাস্তায় থাকবেন হাজার হাজার হিন্দু। সব এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো হবে। শিয়ালদা স্টেশন থেকে ডেপুটি হাইকমিশন পর্যন্ত মিছিলের আহ্বান জানিয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এক লাখ হিন্দু জমায়েত করবেন। সোমবার, পেট্রাপোলের কাছে বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেবেন হিন্দুরা। আমি সেখানে উপস্থিত থাকব। সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমদানি-রফতানির কোনও প্রশ্নই নেই।’’

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল

    এমনিতেই মঙ্গলবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপি (BJP) বিধায়করা বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রতিবাদে সামিল হন। এর পাশাপাশি হিন্দু সুরক্ষা দলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সাড়ে সাতটা নাগাদ মৌলালি মোড় অবরোধ করা হয়। আন্দোলনকারীরা চিন্ময় প্রভুকে মুক্ত করার দাবি জানান। শুধু মঙ্গলবার নয়, এই একই ইস্যতে বৃহস্পতিবার রয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল। জানা গিয়েছে, শিয়ালদা স্টেশনের কাছে থেকে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হবে। ফলে, মঙ্গলবার থেকে বিজেপি সহ বিভিন্ন সনাতনী ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা পথে নেমে যেভাবে আন্দোলন শুরু করেছেন, তাতে চিন্ময় প্রভুর জামিন না হওয়া পর্যন্ত থামবে না। বরং, আন্দোলন ক্রমশও জোরদার হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার ইডির

    ED: কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমানতকারীদের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে চিটফান্ড প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টর বাসুদেব বাগচী ও অভীক বাগচী। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে। মঙ্গলবার নিউ আলিপুরে প্রয়াগ গ্রুপের (Prayag Group) দুই ডিরেক্টরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি (ED)। এরপরই গ্রেফতার। প্রসঙ্গত, ফের চিটফান্ডগুলির বিরুদ্ধে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে চিটফান্ড প্রতারণা কাণ্ডে শেষ গ্রেফতারি হয়েছিল রোজভ্যালি কাণ্ডের সময়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (ED)

    ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ওড়িশায় দায়ের হওয়া মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রয়াগ গ্রুপের কর্ণধাররা। বর্তমানে জামিনে মুক্ত ছিলেন তাঁরা। এবার তাঁদের গ্রেফতার করল ইডি। মঙ্গলবারই দিল্লি, কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেহালা, নিউ আলিপুরে প্রয়াগ গ্রুপের ডিরেক্টরদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বিভিন্ন বেআইনি স্কিমের টোপ দিয়েই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা তুলেছিল প্রয়াগ গ্রুপ। আমানতকারীদের এই বিপুল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে। তারপরই ঘটনার তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হল। শুধু বাংলাতেই নয়, ওড়িশা, অসম, ত্রিপুরা সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে রয়েছে প্রয়াগ গ্রুপ।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    রাজনীতির যোগ খতিয়ে দেখতে পারে ইডি!

    প্রয়াগ গ্রুপের ডিরেক্টরের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগসূত্র ছিল বলেই জানা গিয়েছে। আর্থিক দুর্নীতিতে রাজনীতির যোগও খতিয়ে দেখতে পারে ইডি (ED)। ২০১৩ সালে সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে প্রয়াগ নামক এই ভুয়ো অর্থ লগ্নি সংস্থাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে আসে। প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের কাছ থেকে তুলে নেওয়া হয়। ২০১২ সালে একাধিক হোটেল, রিসর্ট চালু হয় সেই আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকায়। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে দক্ষিণ ভারতের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানের পর সেখান থেকে প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে কলকাতায় মঙ্গলবার অভিযান চালায় দিল্লি থেকে আসা ইডি আধিকারীদের বিশেষ দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: ‘‘ চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা, মেনে নিচ্ছি না”, গর্জে উঠল কলকাতার ইসকন

    ISKCON: ‘‘ চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা, মেনে নিচ্ছি না”, গর্জে উঠল কলকাতার ইসকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) ঘটনায় নতুন করে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশের সম্মিলিত জাগরণ জোটের প্রধান মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি। ভারতের পক্ষ থেকে ইউনূস সরকারকে ইতিমধ্যেই হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এবার এই ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন কলকাতার ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষ।

    ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কী বললেন? (ISKCON)

    মঙ্গলবার মুখ খুললেন ইসকনের (ISKCON) ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধা রমণ দাস। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যেভাবে ভারতীয় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছিল, মহিলাদের অপহরণ করা হচ্ছিল, সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তিনি আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। বিক্ষোভ থামাতেই বাংলাদেশের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল চিন্ময় প্রভুর এক সহকারী আমাকে ফোন করে জানান যে চিন্ময় প্রভুকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিন শুনলাম, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা হয়েছে। তারজন্য হিন্দুরা সকলে পথে নেমেছেন। অথচ প্রতিবাদীদের ওপর মৌলবাদীরা আক্রমণ চালাচ্ছে,পুলিশও তাতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা এসব মেনে নিচ্ছি না। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিবাদ। কলকাতায়ও চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানানো হবে, নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিও খুব শীঘ্রই নেওয়া হবে। ভারত সরকারের কাছে আবেদন, বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন রুখতে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। ”এ বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    ৫১ জন আইনজীবী লড়াই করলেও মেলেনি জামিন

    গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাস সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নগরীর কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়। এই ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাঁদের নাম রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে পুলিশ চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। হাজার হাজার হিন্দু পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একটাই দাবি, নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে সনাতন হিন্দু প্রতিনিধি (ISKCON) চিন্ময় প্রভুকে। কিন্তু মুক্তি দূর অস্ত, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহের মামলা। মঙ্গলবার ৫১ জন আইনজীবী চিন্ময় প্রভুর হয়ে লড়াই করলেও জামিন মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ সন্তুকে গ্রেফতার করল সিবিআই, তলব সুজয়কৃষ্ণ-শান্তনুকে

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ সন্তুকে গ্রেফতার করল সিবিআই, তলব সুজয়কৃষ্ণ-শান্তনুকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল সিবিআই। বিভিন্ন সময়ে এই সন্তুর কাছেই নাকি জমা পড়েছে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) কোটি কোটি টাকা! তিনি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আদালতে হাজির করানোর জন্য আবেদন করল সিবিআই (CBI)। একই সঙ্গে হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আদালতে হাজির করানোর আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিবিআই বিশেষ আদালতে তাঁদের হাজির করানো হবে।

    কে এই সন্তু? (CBI)

    সন্তু (CBI) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর বিধানসভা এলাকা বেহালার বাসিন্দা। একটা সময়ে তৃণমূলের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। অভিযোগ, সন্তুর সঙ্গে হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিয়োগকাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির ব্যবসায়ী অয়ন শীলদেরও যোগাযোগ ছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে একাধিক বার সন্তুর নাম উঠে এসেছে। তল্লাশি চালানো হয়েছে তাঁর বাড়িতেও। জেরায় ইডির কাছে অয়ন স্বীকার করেন, পার্থের ঘনিষ্ঠ সন্তুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। অয়ন আরও জানান, ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়োগের জন্য ৪৫ কোটি টাকা তাঁকে দিয়েছিলেন বিভিন্ন জেলার এজেন্টরা। এর মধ্যে ২৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা অয়ন দিয়েছিলেন বেহালার সন্তুকে। কুন্তলই তাঁকে বলেছিলেন ওই টাকা সন্তুকে দিতে। জেরায় ইডিকে একই কথা জানান শান্তনুও। শুধু তা-ই নয়, শান্তনু এ-ও দাবি করেন, বেহালার সন্তু এবং হুগলির কুন্তল- দু’জনেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অয়ন এবং পার্থর মধ্যে তাঁরা সেতু হিসেবে কাজ করতেন। পৌঁছে দিতেন চাকরি প্রার্থীদের অর্থ।

    আরও পড়ুন: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার নিউ আলিপুর, জোকায় চলছে অভিযান

    সুজয়কৃষ্ণ-শান্তনুকে তলব

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি সুজয়কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল। কাকু ছাড়াও নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়া শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সোমবার আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের দাবি, নিয়োগকাণ্ডের তদন্ত এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, কাকু এবং শান্তনুকে জেরা করে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া যেতে পারে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে সিবিআই। সোমবার সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে সিবিআই বিশেষ আদালতে। সেই মতো কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এবং হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আদালতে হাজির করানোর আবেদন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলের ভরাডুবি, মহিষাদলের সমবায়ে প্রথম ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি

    BJP: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলের ভরাডুবি, মহিষাদলের সমবায়ে প্রথম ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল নিয়ে যখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে, ভালো ফল করায় তৃণমূল কর্মীরা উল্লসিত, সেই সময় ফের শুভেন্দুর গড়ে ধাক্কা খেল তৃণমূল। বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্যে ছয়ে ছক্কা হাঁকালেও, পূর্ব মেদিনীপুরে সমবায় নির্বাচনে বিজেপির (BJP) কাছে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। সমবায় হাতছাড়া হল রাজ্যের শাসকদলের। এই জয়ে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, উপনির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল কীভাবে ভোট করেছে তা সকলেই জানেন। তাই, এই ফল নিয়ে কেউ বেশি আগ্রহী নয়। কিন্তু, এতদিন পর এই সমবায়ে বিজেপি আসায় বোঝা যাচ্ছে মানুষ প্রকৃত অর্থে বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।

    বিজেপি কত আসন পেয়েছে?(BJP)

    রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ঝাউপাথরা সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়। মোট ৫২টি আসনে লড়াই করেন বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। তার মধ্যে ৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ১৬টি আসনে। ১টি আসনে টাই হয়। পরে সেটিতেও জয়লাভ করে বিজেপি। ফলে ৩৭টি আসনে জয়ী হয়ে সমবায়ের দখল নিয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। এই প্রথম সমবায়ের ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। জয়ের আনন্দে মেতেছেন বিজেপির কর্মী -সমর্থকরা।

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির (BJP) পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সহ সভাপতি বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উপনির্বাচনে কী ভাবে ভোট হয়েছে, তা সবাই জানে। তাই তার ফলকে মাপকাঠি করে অন্য নির্বাচনের পূর্বাভাস করা ঠিক হবে না। এই নির্বাচনকেও তৃণমূল প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। ঝাউপাথরা সমবায়কে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল বিকলাঙ্গ করে রেখেছিল। এখন ভারতীয় জনতা পার্টি সমবায় দখল করেছে। আমরা সমবায়কে সক্রিয় করে প্রান্তিক কৃষকের স্বার্থে কাজ করব”। তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “এই সমবায়ে দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। তাছাড়া সমবায় নির্বাচনে সদস্যরা ভোট দেন। সদস্যরা যে রাজনৈতিক দলের সদস্য তার পক্ষেই ভোট দেন। সমবায় নির্বাচনের ফল নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ছাপ্পা ভোট দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি ’’, সাফ জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘ছাপ্পা ভোট দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি ’’, সাফ জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাপ্পা ভোট দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি’, উপনির্বাচনে ফল নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “ছাপ্পা মারা আর পুলিশ দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে বিজেপি থাকে না। উপনির্বাচনে কী হয়, পশ্চিমবাংলায় মানুষ জানে।”

    ওয়াকফ বিল নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    এবারের শীতকালীন অধিবেশনেই ওয়াকফ বিল লোকসভায় আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কলকাতায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল সভাও করবে বলে জানা গিয়েছে। এই সব বিষয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, জয়েন্ট পার্লামেন্টরি কমিটি রিপোর্ট দেওয়া না পর্যন্ত কারোরই কিছু বলা উচিত নয়। এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওয়াকফ জয়েন্ট পার্লামেন্টরি কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে বিষয়টি। তারা রিপোর্ট জমা না দিলে আগেভাগে কারোরই কিছু বলা উচিত নয়।”

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    সরব তৃণমূলের সভা নিয়ে

    জানা গিয়েছে, ৩০ তারিখ কলকাতায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের তরফে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। রানি রাসমণি রোডে এই সভা হবে। এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ নভেম্বর ওয়াকফ বিল নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করবেন লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “এখানে পোলারাইজেশন, তোষণের রাজনীতি ও ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার জন্য প্রতিযোগিতা চলছে। ২৮ তারিখ সিদ্দিকুল্লা সাহেবরা ডেকেছেন। আর ৩০ তারিখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আরও নামল পারদ, কলকাতায় তাপমাত্রা কত? দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: আরও নামল পারদ, কলকাতায় তাপমাত্রা কত? দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের আমেজ। রাজ্যজুড়ে মনোরম আবহাওয়া (Weather Update)। সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। কয়েক জেলায় মাঝারি কুয়াশার সতর্কতা। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা আরও কমল। যদিও কলকাতার তাপমাত্রা নতুন করে আর কমেনি। সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গের দু’টি জেলায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    তাপমাত্রা কত নামল? (Weather Update)

    হাওয়া (Weather Update) অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার কলকাতায় (Kolkata) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি কম। আগামী চার-পাঁচ দিন ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশেই থাকবে কলকাতার তাপমাত্রা। এছাড়া শ্রীনিকেতনে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া, দমদমে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, উলুবেড়িয়ায় ১৬.৪ ডিগ্রি, কৃষ্ণনগরে ১৫.৪ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১৬.৩ ডিগ্রি, ক্যানিংয়ে ১৬ ডিগ্রি, বর্ধমানে ১৫ ডিগ্রি, আসানসোল এবং পানাগড়ে ১৫.৩ ডিগ্রি, সিউড়িতে ১৪ ডিগ্রি, কল্যাণীতে ১৫ ডিগ্রি এবং ঝড়গ্রামে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল দার্জিলিঙে, ৬.৬ ডিগ্রি। এ ছাড়া, কালিম্পঙে ১৩.৫ ডিগ্রি, কোচবিহারে ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    বৃষ্টি কোথায়?

    দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আপাতত তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবারের (Weather Update) মধ্যে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। এখনও পর্যন্ত যার অভিমুখ শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ুর উপকূল। দূরের সমুদ্রে তৈরি হওয়ায় এই নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব পড়ছে না পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। আগামী শনিবার এবং রবিবার উপকূল ঘেঁষা দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে, জানিয়েছে আলিপুর। দক্ষিণের অন্য কোনও জেলায় আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সর্বত্র আবহাওয়া মূলত শুকনো থাকবে।

    উত্তরবঙ্গে কোথায় কেমন ঠান্ডা?

    উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সোমবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায়। উত্তরের অন্য জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া থাকবে। সব জেলাতেই কমবেশি কুয়াশার প্রভাব পড়তে চলেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু’দিন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, মালদা এবং দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। দুই বঙ্গেই আগামী চার দিনে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা

    মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকাতে (Weather Update) মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা। শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাডু উপকূলে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সোমবার সকালের দিকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকবে। বেলা বাড়লে পরিস্কার আকাশের সঙ্গে মনোরম আবহাওয়ার পূর্বাভাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bikash Mishra: পকসো মামলায় গ্রেফতার বিকাশ মিশ্র, কয়লাকাণ্ডে চার্জ গঠন ‘বেলাইন’ করতেই কি?

    Bikash Mishra: পকসো মামলায় গ্রেফতার বিকাশ মিশ্র, কয়লাকাণ্ডে চার্জ গঠন ‘বেলাইন’ করতেই কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ও গরু পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল বিকাশ মিশ্রকে (Bikash Mishra)। পরে, জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। এরই মধ্যে এবার এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে। এরপরই কালীঘাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। বিকাশের গ্রেফতারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মূলত, সোমবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে কয়লা পাচার মামলায় চার্জ গঠন হওয়ার কথা। সেই মামলার চার্জ গঠন বেলাইন করতেই কি বিকাশকে গ্রেফতার করার কৌশল মমতার পুলিশের? জোর চর্চা শুরু রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। 

    কে এই বিকাশ মিশ্র? (Bikash Mishra)

    কয়লা পাচার কাণ্ডের (Coal Smuggling Case) অন্যতম পাণ্ডা হিসেবে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। তাঁরই ভাই বিকাশ মিশ্র (Bikash Mishra)। বিনয় এখন দেশ থেকে পলাতক। শোনা যায়, সম্ভবত মধ্যপ্রাচেয়র কোনও দেশে আছেন তিনি। এদিকে বিকাশকে কয়লা ও গরু পাচারের দুই মামলাতে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। দীর্ঘদিন আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন। পরে জামিন পেলেও প্রতি সপ্তাহে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে যেতে হয় তাঁকে। আসানসোলে কয়লা পাচার চক্রের অন্যতম মাথা মনে করা হয় বিকাশকে।

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    কেন গ্রেফতার?

    বিকাশের (Bikash Mishra) বিরুদ্ধে তাঁর দাদার নাবালিকা মেয়েকে যৌন হেনস্থা সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ করেছেন তাঁর বউদি তথা বিনয় মিশ্রর স্ত্রী। তবে, এটা প্রকাশ্যে আসলেও পুলিশের অতি সক্রিয় হয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। সোমবারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) চার্জ গঠন হওয়ার কথা। কিন্তু, রবিবার পকসো মামলায় কলকাতা পুলিশের হাতে কয়লাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র গ্রেফতার হওয়ার পর এদিন চার্জ গঠন হবে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর এই মামলায় শেষ সওয়াল জবাব হওয়ার পর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ২৫ নভেম্বর চার্জ গঠনের দিন নির্ধারণ করেন। কয়লা মামলার অভিযুক্ত লালা (অনুপ মাজি) জয়দেব মণ্ডলসহ সকলকে এই দিনে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। তার আগে, রবিবার বিকাশ মিশ্রর (Bikash Mishra) গ্রেফতারিতে চার্জ গঠন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। 

    বিকাশের হাজিরা নিয়ে কী নির্দেশ দিল সিবিআই আদালত

    বিকাশ মিশ্র গ্রেফতার হওয়ায় সোমবার কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) তাঁকে এদিন ভার্চুয়ালি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। জেল বা থানা, বিকাশ যেখানেই থাকুন, সেখান থেকে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। আসানসোল সিবিআই আদালত থেকে বিকাশের ভার্চুয়াল হাজিরার জন্য প্রেসিডেন্সি জেলে মেল পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ‘মুখ খুললে সরকার পড়ে যাবে

    বিনয় মিশ্রকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত থেকে বেরনোর সময় প্রিজন ভ্যানে উঠতে-উঠতে বিকাশ বলেন, ‘‘আমাকে মারার চক্রান্ত হচ্ছে। আমি মুখ খুললে সরকার পড়ে যাবে।’’ বিকাশের আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশের হেফাজতে থাকলে আমার মক্কেলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে সরকারি তরফের আইনজীবীর দাবি, বিকাশ বাইরেই ছিল। তার কোথাও নিরাপত্তার বিঘ্ন হয়নি।

    এখানেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। তাঁঁদের আরও আশঙ্কা, বিকাশ (Bikash Mishra) শাসক দলের এমন কিছু তথ্য জানে যা প্রকাশ্যে আসলে সরকারকে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। সিবিআই (CBI) দফতরে তাঁকে হাজিরা দিতে হয়। সেটা আটকাতে এই কৌশল কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অতীতে, অনুব্রত মণ্ডলের সময়েও পুলিশ এরকম সক্রিয় হয়েছিল। তাছাড়া সিবিআইয়ের (Coal Smuggling Case) কাছে তিনি সব তথ্য ফাঁস করে দিলেন কি না তা তার নজরদারি করতেই হয়ত এই গ্রেফতার, মনে করছে বিরোধী-মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rabi Ghosh: চাকরি ছেড়ে দিয়ে অভিনয়, পড়ুন বডিবিল্ডার রবি ঘোষের কমেডিয়ান হয়ে ওঠার কাহিনি

    Rabi Ghosh: চাকরি ছেড়ে দিয়ে অভিনয়, পড়ুন বডিবিল্ডার রবি ঘোষের কমেডিয়ান হয়ে ওঠার কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা ছবির কিংবদন্তী অভিনেতা (Actor) রবি ঘোষ। শুধু কমেডিয়ান বললে তাঁকে সঠিক সম্মান জানানো হয় না। বুদ্ধিদীপ্ত কমেডি অভিনয়ের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ছিলেন রবি ঘোষ, যাঁর চোখ কথা বলত। সেই চোখের প্রশংসা করেছিলেন সত্যজিৎ রায় থেকে তপন সিন‍্‍হা। ১৯৩১ সালের ২৪ নভেম্বর কোচবিহারে জন্ম হয় রবি ঘোষের (Rabi Ghosh)। তাঁর আসল নাম ছিল রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি। 

    স্কুল-কলেজ জীবন (Rabi Ghosh)

    রবি ঘোষের (Rabi Ghosh) পূর্বপুরুষরা ছিলেন বাংলাদেশের বরিশালের লোক। তাঁর বাবা জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে থাকতেন কলকাতার মহিম হালদার স্ট্রিটে। কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা রবির। তারপর দেশভাগ। ভারতবর্ষ স্বাধীনতা পেল। ১৯৪৭ সালে কলকাতার ‘সাউথ সাবার্বান মেন স্কুল’ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। স্কুলে রবির সহপাঠী ছিলেন উত্তম কুমারের ছোটভাই তরুণ চট্টোপাধ্যায়, অর্থাৎ অভিনেতা তরুণ কুমার। তখন কে জানত পরবর্তীকালে দুই বন্ধু একইসঙ্গে বাংলা ছবির উজ্জ্বল নক্ষত্র হবেন। রবি ঘোষ এবং তরুণ কুমার একসঙ্গে শুধু ফিল্ম নয়, প্রচুর নাটকও করেছেন পেশাদার রঙ্গমঞ্চে। রবি ঘোষ আশুতোষ কলেজ থেকে আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯৪৯ সালে এবং সেই কলেজেরই নৈশ বিভাগ শ্যামাপ্রসাদ কলেজে বি.কম-এ ভর্তি হন। নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু কলেজের ব্যায়ামাগারেই। কারণ রবির দু’চোখে তখন শুধু বডিবিল্ডার হওয়ার স্বপ্ন। অভাব-অনটন-দুর্যোগ কাটিয়ে রবি ঘোষ বডিবিল্ডার হতে পেরেছিলেন। যে কারও চোখ ঝলসে যেত রবির পেশি ফোলানো চেহারা দেখে। কোন বাঙালি ছেলের অমন চেহারা দেখা দুর্লভ তখন। রবি হতে চেয়েছিলেন বডি বিল্ডার, হয়ে গেলেন কমেডিয়ান।

    পুলিশের চাকরি ছেড়ে অভিনয়ে

    ১৯৫৩ সালে কলকাতা পুলিশ-কোর্টে (Rabi Ghosh) চাকরি শুরু করলেও ১৯৬১ সালে সেসব পাট চুকিয়ে পাকাপাকি অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। অভিনয় জীবন শুরু পঞ্চাশের দশকে ‘সাংবাদিক’ নাটক দিয়ে। পরিচালক ছিলেন উৎপল দত্ত। রবি ঘোষের ছবি করা শুরু হয় অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘কিছুক্ষণ’ ছবি দিয়ে। সে ছবি আজ লুপ্ত। সে সময়ে হিরোদের বাহুবলী হওয়ার দরকার পড়ত না। দরকার পড়ত অভিনয়ের, আর খানিকটা সুন্দর মুখেরও। রবি ঘোষের ‘সুন্দর মুখ’ ছিল না, তাই নায়ক হওয়া হয়নি। উত্তম-সৌমিত্র-বসন্ত যুগে পেলেন না রবি নায়কের রোল।  কিন্তু রবি তাঁর প্যাশন বিসর্জন দিলেন না। তবে, ‘গল্প হলেও সত্যি’র ধনঞ্জয় তো নায়কই। হিন্দিতে যখন ‘গল্প হলেও সত্যি’র রিমেকে ‘বাবুর্চি’ হলেন রাজেশ খান্না, সে তো কাকের গায়ে ময়ূরপুচ্ছ লাগানো হল। রাজেশ খান্না সুপারস্টার হিরো। কিন্তু সেই স্টারডমে যেন ধনঞ্জয়ই এগিয়ে রইলেন। এখানেই রবি ঘোষের জয়। যদি হিন্দি রিমেকেও রবি ঘোষ থাকতেন তাহলে হয়তো ছবিটা অন্য ইতিহাস করত। কিন্তু বলিউড প্রযোজকরা একজন আঞ্চলিক অভিনেতার ওপর ভরসা করতে পারেননি।

    সব ধরনের অভিনয়ে বাজিমাত!

    সত্যজিৎ রায়, তপন সিন‍্‍হা, দীনেন গুপ্ত থেকে অঞ্জন চৌধুরী। সব ধারার ছবিতে দশকের পর দশক রবি ঘোষ (Rabi Ghosh) অনন্য, কি কমেডি কি অন্যধারার অভিনয়। সত্যজিৎ রায়ের বাঘার অভিনয় সকলের নজর কেড়েছিলেন। ‘আগন্তুক’ বা ‘নির্জন সৈকতে’র রবি ঘোষ দুটো একদম ভিন্ন চরিত্র। একটি চরিত্র বন্ধুবৎসল, বিচক্ষণ লোক এবং অন্যটি পুরীর পান্ডা, যে উড়ে-ভাষী। কী রেঞ্জ অভিনয়ের! ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’য় পানু প্রাণকেষ্টর চরিত্রেও অসামান্য রবি ঘোষ। মৃণাল সেনের কোরাস সিনেমাটির শুরুতেও তাঁকে দেখা যায়। তরুণ মজুমদার অনেক ছবিতেই রবি ঘোষকে নিয়ে কাজ করেন, যেমন ‘ঠগিনী’, ‘রূপসী’, ‘শহর থেকে দূরে’। বিজয় বসুর ‘বাঘিনী’র ভিলেন রোলেও রবি দুরন্ত। সত্যজিৎ বাবুর ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিতে রবি ঘোষ মাতাল বন্ধুদের সঙ্গে থেকেও মদ্যপান করেননি। তাঁর শেষ কাজ কলকাতা দূরদর্শনে ‘গোপাল ভাঁড়’, তা দেখতে প্রতি রবিবার দুপুরে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যেত।

    মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি

    কলকাতা শহরে রবি ঘোষকে (Rabi Ghosh) নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান নেই, চর্চা নেই। এমনই আক্ষেপ তাঁর অনুগামীদের। লেজেন্ডরা সরকারি স্বীকৃতি কবেই বা পেয়েছেন! তবু দর্শক মনে তাঁদের চির-উজ্জ্বল উপস্থিতিই যেন আসল পুরস্কার। ভয়ঙ্কর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন রবি ঘোষ। প্রয়োজনের বাইরে একটি কথাও তিনি বলতেন না। রাশভারী গোছের মানুষ ছিলেন। তবে অভিনয় জগতে ‘সিন স্টিলার’ ছিলেন তিনি। দৃশ্য চুরি করে নিতে পারতেন অনায়াসেই। রবি ঘোষ এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি খেতে খেতে খুব ভালো কথা বলতে পারেন। প্রিয় খাবার ছিল লুচি আর পাঁঠার মাংস। ১৯৯৭ সালের 8 ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। তবে, তাঁর অভিনয়ের মধ্যে দিতে তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন বাঙালির মনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share