Tag: West Bengal

West Bengal

  • ED: বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! কী পদক্ষেপ নিল ইডি?

    ED: বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! কী পদক্ষেপ নিল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির অঘোষিত ‘নবাব’ শেখ শাহজাহান নিজেই অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশে তাঁর স্থায়ী আস্তানা রয়েছে। এমনই গুঞ্জন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকায়। তাই, সন্দেশখালিতে বড় কোনও অপরাধ করলেই সীমান্তে পেরিয়ে তাঁর গোপন ডেরায় আত্মগোপন করে থাকেন তিনি। ইডি-র (ED) উপর হামলার ঘটনার পর সেই চেনা ছকেই তিনি এলাকা ছাড়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশ পালিয়ে গিয়েছেন। তবে, বাম জমানা থেকে উঠে আসা তোলাবাজ এই তৃণমূল নেতার বাংলাদেশে গিয়ে আত্মগোপন করার নাটক নতুন নয়। এমনই বক্তব্য বিরোধীদের।

    বিজেপি-র তিন কর্মীকে খুন করে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন

    ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি লোকসভা ভোটের পর পরই তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তার নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তৃণমূলের এই ‘বেতাজ বাদশা’। পুলিশের একটা অংশের সঙ্গে যোগাযোগ আর মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মাথায় হাত থাকায় কেউ তাঁকে ‘টাচ’ সাহস দেখাত না। স্বাভাবিকভাবে তিন-তিনটে খুন করে এলাকায় বুক ফুলিয়ে শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চাপে পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে বাধ্য হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শাহজাহান সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। পরে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জামিন নিয়ে নেন।

    মুকুল রায়ও এর আগে শাহজাহান নিয়ে মুখ খুলেছিলেন

    তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায় দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতের তালুর মতো চিনতেন। শাহজাহানের গতিবিধির সম্পর্কে তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য ছিল। এখন তৃণমূলে নাম লেখালেও গত লোকসভা ভোটের সময় তিনি বিজেপিতে ছিলেন। সেই সময় সন্দেশখালিতে বিজেপির তিন কর্মী খুন হন। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেছিলেন, শাহজাহান সম্ভবত বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে, মুকুল রায়ের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তথ্য না জেনে এই ধরনের মন্তব্য করবেন না তা বলাবাহুল্য। ইডি কাণ্ডের পর ফের সেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যোগ সামনে এল।

     বাংলাদেশে ফের আশ্রয় নিয়েছে শাহজাহান, দাবি ইডি-র (ED)

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ হয়তো বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতার খোঁজ করতে গিয়ে এমনটাই মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের খোঁজ করতে আইবি এবং বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও ইডির একটি সূত্রে খবর। এ-ও জানা যাচ্ছে যে, তৃণমূল নেতাকে ধরতে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকাগুলিতে বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: তোলাবাজি থেকে মানব পাচার! কে এই সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহান?

    Enforcement Directorate: তোলাবাজি থেকে মানব পাচার! কে এই সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি (Enforcement Directorate) হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

    কে এই শেখ শাহজাহান? (Sandeshkhali)

    বামফ্রন্ট জমানার শেষের দিকে দাপুটে দুই নেতা মজিদ মাস্টার ও বাবু মাস্টারের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে নামে শেখ শাহজাহান। তবে, কোনও পদে ছিল বলে জানা যায়নি। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে এলাকায় তাঁর নামে গুঞ্জন ছিল। সেই অনুপ্রবেশকারী বামফ্রন্ট জমানার শেষ দিকে অত্যন্ত আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের। বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের। মেছোভেরি থেকে ইটভাটা এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত ওই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তারই তত্ত্বাবধানে।

    তৃণমূলের জমানায় এলাকার বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠে

    ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হল। বাংলার মসনদে বসল নতুন শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। বাম জমানার ভিত নড়বড়ে হতেই তৃণমূলে যোগদান শেখ শাহজাহানের। বসিরহাটের তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ হাজী নুরুলের সঙ্গে বাড়ে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠতা। সূত্রের খবর, হাজী নুরুলের হাত ধরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে পৌঁছে যান শাহজাহান। মন্ত্রীর আস্থাভাজন হতেই মেলে দলের সাংগঠনিক পদ। তৈরি করেন নিজস্ব বাহিনী। আগে জমির প্রতি বিঘায় তোলা আদায় করত শাহজাহান। তৃণমূলের পদ পেতেই- শুরু হল শাহজাহান বাহিনীর কাঠা প্রতি তোলা আদায়ের কারবার। নিজের বাহিনী তৈরি করে সরবেরিয়ায় তোলাবাজির বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন শাহজাহান। আর বালুর ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়করা ও তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পেতেন না। মাছের ভেড়ি থেকে শুরু করে ইট ভাটা, এমনকী বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এদেশে আসা জামাকাপড়ের কারবারও, এলাকায় সবই চলতে শুরু করল শাহজাহান শেখের নির্দেশে। এমনকী মানব পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গাদের সীমান্তে আশ্রয় দেওয়ার পিছনে তাঁর হাত রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত ছিল এই শাহজাহান

    Enforcement Directorate: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত ছিল এই শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তাঁর ডেরায় ইডি (Enforcement Directorate) হানা দিতেই আক্রান্ত হন আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা হতেই রাজ্য জুড়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসে এই তৃণমূল নেতা। এর আগেও নিজের দাপট দেখিয়েছে গুণধর এই তৃণমূল নেতা। পাঁচ বছর আগে তিন বিজেপি নেতা খুন হন সন্দেশখালির ন্যাজাটে। এই খুনের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন এই শাহজাহান।

    রোহিঙ্গাদের দিয়ে বিজেপি নেতাদের নৃশংশভাবে খুন করা হয়েছিল! (Sandeshkhali)

    ২০১৯ সালে রাজ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। সেই সময় রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বহু এলাকার পাশাপাশি ন্যাজাটেও বিজেপি কর্মীরা প্রচুর দলীয় পতাকা লাগিয়ে রেখেছিলেন। ২০১৯ সালে ৮ জুন বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শাহজানের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। বৈঠকের পরই তৃণমূল ন্যাজাট এলাকায় মিছিল বের করে। তারপরই বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালানো হয়। দলীয় পতাকা খুলে ফেলা হয়। লোকসভা ভোটে এলাকায় সক্রিয়ভাবে যাঁরা বিজেপি-র হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে গুলি করে খুন করা হয়। মৃতদের নাম সুকান্ত মণ্ডল, তপন মণ্ডল এবং প্রদীপ মণ্ডল। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বিজেপি স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি এবং অন্য দুজন ‘শক্তি প্রমুখ’। রোহিঙ্গাদের এই দেশে আশ্রয় দেওয়ার মূল কারিগর এই শাহজাহান। চোখ উপড়ে যে কায়দায় নৃশংসভাবে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হয়েছিল, তার পিছনে রোহিঙ্গারা রয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছিলেন।

    পুলিশ অভিযোগ নিতে টালবাহানা করেছিল!

    তিন বিজেপি কর্মী খুন হওয়ার পর পরিবারের লোকজন শাহজাহানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। এমনিতেই সেই সময় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ছিলেন শাহজাহান। ফলে, পুলিশও তাঁকে ঘাঁটাতে সাহস পায়নি।  পরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। বিজেপি প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এই বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। অনেক টালবাহানার পর শাহজাহানের নামে থানায় এফআইআর হয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। কিছুদিন পরই তাঁকে ফের রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা যায়। এর পরই আদালত জামিন নেন শাহজাহান। তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুলিশের একাংশের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা থাকায় বিজেপি কর্মীদের খুন করার পর এলাকায় দাপটের সঙ্গে তিনি ঘুরে বেড়াতেন। এবারও ইডি-র উপর তাঁর বাহিনী হামলা চালিয়ে নিজের দাপট যে একটুও হারিয়ে যায়নি তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের এই কুখ্যাত নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shankar Adhya: ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি! বালুর ঘনিষ্ঠ হতেই শঙ্করের উত্থান তৃণমূলে

    Shankar Adhya: ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি! বালুর ঘনিষ্ঠ হতেই শঙ্করের উত্থান তৃণমূলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির মামলায় বালু ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান  শঙ্কর আঢ্যকে (Shankar Adhya) ইডি গ্রেফতার করেছে। তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে এই শঙ্কর? দাপুটে তৃণমূল নেতা হলেও আগে তিনি কী করতেন? কীভাবে হয়ে উঠলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা।

    ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি! (Shankar Adhya)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্কর আঢ্যর (Shankar Adhya) বাবা হারাধন আঢ্য একসময় ফুটপাতে কাটাকাপড়ের ব্যবসা করতেন। কোনও রকমে সংসার চলত। ফুটপাতের ওই দোকানে বাবাকে সাহায্য করতেন শঙ্কর। পরে,বনগাঁ পেট্রাপোলে একটি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় দোকানে কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে নিজের নামে লাইসেন্স করে নিজেই বিদেশি মুদ্রা বিনিময় করতেন। ধীরে ধীরে ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকেন শঙ্কর। এরপর বনগাঁ-শিমুলতলা চত্বরে বিদেশি মদের দোকান খোলেন। কোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠেন।

    কাউন্সিলর খুনে অভিযুক্ত ছিলেন শঙ্কর

    ২০০৫ সালের প্রথম দিকে জালটাকা কারবারের অভিযোগে ডিআরআই তাঁর অফিসে হানা দেয়। উদ্ধার হয় প্রচুর জাল টাকা। সেই অভিযোগে বেশ কয়েকমাস জেলেও ছিলেন তিনি। ২০০৫ সালে বনগাঁর প্রয়াত বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ শেঠের উদ্যোগে শঙ্কর প্রথম পুরসভার ভোটে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। ২০০৬ সালে বনগাঁ-চাকদা রোড সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সেই সময় চাকদা রোডের পাশে প্রচুর প্রাচীন গাছ বেনামে বিক্রি হয়। সেই গাছের টাকা ও বনগাঁ পুরসভার টাকা লেনদেন নিয়ে শঙ্করের (Shankar Adhya) সঙ্গে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের বিবাদ শুরু হয়। ২০০৬ সালে ২১ জুন বনগাঁ পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর-সহ তাঁদের পরিবার পুরীতে বেড়াতে যান। ২২ জুন সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে খুন হয় বনগাঁর কাউন্সিলর তাপস মিত্র। সেই খুনের দুই অভিযুক্ত ছিলেন শঙ্কর আঢ্য আর বনগাঁর বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর নারায়ণ ঘোষ ওরফে নান্ত। সেই সময় প্রায় তিন বছর পুরীর জেলে ছিলেন দুই অভিযুক্ত।

    জ্যোতিপ্রিয় মাথায় হাত রাখতেই পুরপ্রধান হন শঙ্কর!

    ২০১০ সালে নিজের ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তিনি ভোটে না দাঁড়িয়ে প্রার্থী করেছিলেন স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে। ভোটে জিতে জ্যোৎস্না পুরপ্রধান হন। রাজনৈতিক পদোন্নতি ও সামাজিক প্রভাব বাড়তে শুরু করেছিল ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। সেসময় থেকেই জ্যোতিপ্রিয়বাবুর সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে। ২০১৫ সালে পুর নির্বাচনে বনগাঁর ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে তৃণমূল জয়লাভ করে। ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন শঙ্কর। জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, বনগাঁর চেয়ারম্যান হন তিনি। পরবর্তী সময়ে তাঁকে বনগাঁ শহর তৃণমূলের সভাপতি করা হয়, বাগদায় দলের পর্যবেক্ষকও করা হয়েছিল। এছাড়াও দলের একাধিক পদ সামলেছেন শঙ্কর (Shankar Adhya)।

    শঙ্করের বিরুদ্ধে দলেই বিদ্রোহ শুরু হয়ছিল

    ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ পুরসভা এলাকায় বিজেপির থেকে ভোটের নিরিখে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে যায় তৃণমূল। এরপরেই বনগাঁ পুরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর শঙ্করের (Shankar Adhya) বিরুদ্ধে স্বৈরাচার ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে অনাস্থা এনেছিল। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে শঙ্করকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে, কয়েকজন কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরে আসায় ধ্বনিভোটে জয়লাভ করেন শঙ্কর। সম্প্রতি শঙ্কর জানিয়েছিলেন, জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অনেক অনৈতিক কাজ করে বনগাঁর মানুষের মন থেকে দূরে সরে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বনগাঁয় তৃণমূলের পরাজয়ের পরে শঙ্করকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলে কিছুটা কোণঠাসা ছিলেন!

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের মদতেই রমরমিয়ে চলছে মাটি-বালি পাচার! আটকালেন বিজেপি বিধায়ক

    Arambagh: তৃণমূলের মদতেই রমরমিয়ে চলছে মাটি-বালি পাচার! আটকালেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদী সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকার বালি ও মাটি তুলে তা রাতের অন্ধকারে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ। আরও অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশ এবং তৃণমূলের মদতেই চলছে এই সব বেআইনি কারবার। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) হুগলির খানাকুলের হরিশচক এলাকায়।

    রাতের অন্ধকারে পাচার হয়ে যাচ্ছে বালি ও মাটি (Arambagh)

    জানা গিয়েছে, আরামবাগের (Arambagh) মুন্ডেশ্বরী নদীতে বাঁধ সংস্কারের জন্য নদী খননের কাজ শুরু করে সেচ দফতর। সেই মতো টেন্ডার দেওয়া হয় একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাকে। অভিযোগ, ওই বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা বাঁধ সংস্কার ও নদী খননের নাম করে নদী থেকে বালি তুলে তা পাচার করে দিচ্ছে। দিনের আলোয় মাটি, বালি মজুত করা হচ্ছে নদী বাঁধের পাশে। আর রাতের অন্ধকারে তা ডাম্পারে ও ট্রাক্টর ,লরি করে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    তৃণমূলের মদতেই পাচার, সরব বিজেপি বিধায়ক

    আর্থ মুভার দিয়ে কখনও রাতের অন্ধকারে আবার কখনও প্রকাশ্য দিবালোকে নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালি ও মাটি তোলার পর তা গোপনে অন্যত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে, এবার এমনই অভিযোগ তুলে সরব হন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। আটকে দেওয়া হয় বালি বোঝাই ট্রাক্টর ও লরি। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধায়ক সহ বিজেপি কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ, নিয়ম মানা হচ্ছে না এই ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে। বালি দিয়ে বাঁধ মেরামত হচ্ছে না। তাহলে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর ও লরি লরি বালি যাচ্ছে কোথায়? লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এই বালি। প্রশাসনের সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কোনও সঠিক উত্তর মেলেনি। আসলে প্রশাসনের একাংশ ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মদতেই এসব হয়েছে।

    ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গাড়ি ও মেশিনের আওয়াজে রাতে ঘুমোতে পারা যায় না। তবে, এলাকার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, যদি বৈধ কোনও কাজই হয় তাহলে তা দিনের আলোয় হয় না কেন? রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে কেন বালি তোলার কাজ হবে?

    মহকুমা শাসক কী বললেন?

    আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা শাসক সুভাষিনী বলেন, নদী বাঁধের কাজের জন্য কয়েক জায়গায় খননের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নদী থেকে তোলা ওই বালি বিক্রি হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অনুব্রতের খাসতালুকে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে উধাও! জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য

    Birbhum: অনুব্রতের খাসতালুকে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে উধাও! জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩২ কিলোমিটার সেচ খাল সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে সাফ করে দেওয়ার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরে। বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই সেচ খালের দুদিকে হাজার হাজার বড় বড় গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ। সরকারের কোন দফতর বিপুল পরিমাণে গাছ কাটল? কোন খাতে গেল সেই টাকা? তার কোন সদূত্তর নেই। শাসক দলের নেতাদের মদতেই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। ঘটনার তদন্তের দাবি করা হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর থেকে কীর্ণাহার যাওয়ার রাস্তার ধারে প্রায় ৩২ কিলোমিটার একটি সেচ খাল রয়েছে। কমপক্ষে ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সেচ খালটি। অর্থাৎ, এই খাল থেকে কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিপ্রটিকুরি, কীর্ণাহার ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত, দাসকলগ্রাম ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ চাষের জল পেয়ে উপকৃত হন। এই খাল সংস্কার শুরু হয়েছে। আর দেখা যাচ্ছে সেচ খাল সংস্কার করতে গিয়ে দুদিকে থাকা হাজার হাজার গাছ কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে চলছে অপ্রয়োজনীয় ভাবে বৃক্ষ নিধন যজ্ঞ। বন দফরের কাছ থেকে কোনওরূপ অনুমতি না নিয়েই কীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে ফেলা হল? সরকারের কোনও দফতর এই গাছগুলি কাটল? তা এখনও কেউ কিছু বলতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষজন জানাচ্ছেন, সেচ খালের দুদিকেই প্রচুর গাছ ছিল। ছোট-বড় গাছের জঙ্গল ছিল। সব কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণে গাছ কেটে নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ স্থানীয়দের। তাঁরা বলেন, ‘চোখের সামনে প্রচুর কাছ কেটে নেওয়া হল। এত গাছ কাটার দরকার ছিল না।’

    বন বিভাগের আধিকারিক কী বললেন?

    বন বিভাগের বোলপুর রেঞ্জের রেঞ্জার প্রদীপ হালদার বলেন, ‘গাছ কেটে নেওয়ার কোনও তথ্য আমরা পাইনি। এখন শুনলাম গুঁড়ি পরে আছে শুধু। আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিরোধিতার মাশুল! ভোজালি দিয়ে বিজেপি কর্মীকে খুন করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা

    Nadia: বিরোধিতার মাশুল! ভোজালি দিয়ে বিজেপি কর্মীকে খুন করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীকে ভোজালি দিয়ে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার পুড়াগাছা এলাকায়। মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম নিমাই বাগ, বয়স আনুমানিক ৫৯ বছর। জানা গিয়েছে, ভীমপুর থানার আসাননগর পুরাগাছা এলাকার বাসিন্দা নিমাই বাগ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও বিজেপি করার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হত। যেহেতু ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিমাই বাগের সুসম্পর্ক ছিল, সেই কারণে তৃণমূলের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গতকাল রাতে তিনজন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ রাস্তায় তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তাঁঁর পরিবারের মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ভীমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপরে নিমাই বাগের মৃতদে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। আজ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে ওই এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।

    অভিযুক্তদের গ্রেফতার চান মেয়ে (Nadia)

    এ বিষয়ে মৃত নিমাই বাগের মেয়ে কাজল বাগ (Nadia) বলেন, আমার বাবাকে ভোজলি দিয়ে খুন করেছে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী পরেশ সাঁতরা। বিজেপি করার কারণে এর আগেও তারা আমার বাবাকে হুমকি দিয়েছিল। আমি চাই অবিলম্বে অভিযুক্ত গ্রেফতার হোক এবং আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন।

    আন্দোলনের হুমকি বিজেপির (Nadia)

    অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুরাগাছা পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান (Nadia) অশোক বিশ্বাস। ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামিকালের মধ্যে যদি অভিযুক্ত গ্রেফতার না হয়, তাহলে আমরা বড়সড় আন্দোলনের নামব। পাশাপাশি তিনি বলেন, শুধুমাত্র পোড়াগাছার ঘটনা নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল বুঝতে পেরেছে তাদের আর কোনও জায়গা নেই। সেই কারণেই বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। মানুষ পুলিশের কাছে গিয়েও রেহাই পাচ্ছে না। তার কারণ পুলিশ তৃণমূলের দলদাস। আমরা বহুবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এবার প্রয়োজনে রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North Dinajpur: “অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!” মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    North Dinajpur: “অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!” মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: :”হি ইজ এ ননসেন্স”, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত কুণাল ঘোষকে ইমিডিয়েট স্যাক করে দেওয়া। তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ ইস্যুতে কুণাল ঘোষের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে এই মন্তব্য করলেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (North Dinajpur)

    বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ইসলামপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ খোলেন দাপুটে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রবীণদের ছাড়া বাংলা কেন, কোনও রাজ্য বা ভারতবর্ষ চলবে না। প্রবীণদের যে জ্ঞান-বুদ্ধি আছে, তাঁরা তা দেবেন। প্রবীণদের বাদ দিয়ে দেশ চলে নাকি? কোনও রাজ্য চলে? ভারত চলবে? এইজন্য এই লোকটা যে নিজের স্বার্থের জন্য কথা বলছেন, আমার মনে হয় মমতার উচিত এই লোকটাকে সরিয়ে দেওয়া। কারণ এদের বক্তব্যে প্রবীণ সম্মানীয় নেতারা কষ্ট পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, “নবীনদের হাতে দেওয়া মানে ‘বাঁদরের হাতে নারকেল দেওয়া।’ চালাতে পারবে নাকি তারা? দেশের জন্য অনেক ত্যাগ দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। অন্য দলে অথবা এই দলেও কোনও যোগ্য ব্যক্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন করিম চৌধুরী?

    এমনকী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে, এ বাচ্চা আছে, এ বালক আছে। একে আপনি সঙ্গে রাখেন। কিন্তু, তাঁকে সব ক্ষমতা দেবেন না। এ বাচ্চা আছে, নাদান আছে। ‘নাদান, বাচ্চা, নাবালক’কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাপতি করে দিয়েছেন। আস্তে আস্তে ট্রেনিং পাবে, তারপর উঠবে। এখন ট্রেনিং পাওয়ার আগেই যদি ও উঠে যেতে চায়, এটা অসম্ভব। অভিষেককে বলব, ধৈর্য ধরো। ধৈর্য রাখো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: দলেরই নেত্রীকে ‘ফুলন দেবী’ বলার মাশুল, তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর

    Hooghly: দলেরই নেত্রীকে ‘ফুলন দেবী’ বলার মাশুল, তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে তৃণমূলের হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে জেলা পরিষদ সদস্য রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব কার্যত সামনে চলে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রুনা খাতুনকে তৃণমূল বিধায়ক ফুলন দেবী বলে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। তারপর বিরোধ কার্যত সামনে চলে আসে।

    বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর (Hooghly)

    দলীয় নেত্রী রুনা খাতুনের উদ্দেশে মনোরঞ্জনবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, বলাগড়ের ফুলন দেবী! যে কুড়ি-পঁচিশজন সার্ফ শুটার সঙ্গে নিয়ে ঘোরে, যে আমাকে হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে মহিপালপুরে জনসভা করে মাটিতে পুঁতে দেবে বলেছেন, হয় সে আমাকে সত্যি সত্যিই পুঁতে দেবে, আর তা না হলে আমি তাকে তার রাজনৈতিক জীবন থেকে রিটায়ার করিয়ে দেব। দেখব, তাঁর কলকাতার ‘বাবু’ তাকে কীভাবে বাঁচায়! প্রয়োজনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যাব। তৃণমূল বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। রাতেই তৃণমূল বিধায়কের জিরাটের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। কাদা লেপে দেওয়া হয়। এমনকী বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মারধরও করা হয়। রুনা খাতুনের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে বিধায়ক অনুগামীদের অভিযোগ।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুন

    হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুন বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যান। টাকাপয়সা লাগলে আমি দেব। আমি একজন শিক্ষিকা। ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে গিয়ে বিধায়ক এত নীচে নেমে যাবেন তা ভাবতে পারিনি। আমাকে কিছু বলতে বাকি রাখেননি। অথচ আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। আমি ও পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত। নিজেই লোক পাঠিয়ে নিজের অফিস ভেঙে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তাই, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হলাম।

    ক্ষমা চাইলেন বিধায়ক

    কুরুচিকর ভাষা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে এবার বিধায়ক ক্ষমা চাইলেন। বিধায়ক মনোরঞ্জনবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট তুলে নেন। এরপর বিধায়ক বলেন, এমনটা লেখা আমার উচিত হয়নি। ভুলে যাওয়া উচিৎ হয়নি আমি একজন লেখক। ওদের মতো নিকৃষ্ট জীব নই। তাই, আমার পাঠক, রাজ্য তথা দেশের সমস্ত পরিচিত ও অপরিচিতদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ব্যুমেরাং, মমতার সিল্ক হাব তৈরির স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ল কৃষকদের জমি আন্দোলনে

    Hooghly: ব্যুমেরাং, মমতার সিল্ক হাব তৈরির স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ল কৃষকদের জমি আন্দোলনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে কৃষকদের বাধায় টাটাদের ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি তৎকালীন রাজ্য সরকার। কৃষকদের আন্দোলনের পাশে সেই সময় ছিল তৃণমূল। এখন সরকারে তৃণমূল। এবার সেই হুগলি জেলায় সিল্ক হাব করতে গিয়ে কৃষকদের বাধার মুখে পড়লেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তৃণমূল কাউন্সিলরের সামনেই চলল বিক্ষোভ। এবার ঘটনাস্থল শ্রীরামপুর। সিঙ্গুর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে স্রেফ কৃষকদের বাধায় তৃণমূল সরকার সিল্ক হাব করতে পারল না।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Hooghly)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাস নগরে সিল্ক হাব হবে বলে ২০১৬ সালে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জমিজটে সেই সিল্ক হাব তৈরির কাজ থমকে ছিল এতদিন। কয়েকদিন আগে সেখানে নীচু জমি ভরাট করতে মাটি ফেলা শুরু হয়েছে। প্রায় কুড়ি একর জমির উপর গড়ে উঠবে সিল্ক হাব। বুধবার সকালে প্রস্তাবিত সিল্ক হাবের জায়গা মাপজোক করতে যান এসডিএলআরও দফতরের কর্মীরা। ছিলেন শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলররাও। সেই সময় তাঁরা কৃষকদের বাধার মুখে পড়েন। সরকারি আধিকারিকদের ঘিরে ধরে তাঁদের দাবি জানাতে থাকেন কৃষকদের।

    বিক্ষোভকারী কৃষকরা কী বললেন?

    কৃষকদের বক্তব্য, বহুদিন ধরে এই জমিতে চাষ করে আসছেন। এই জমিতে সিল্ক হাব হলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। এই জমিতে আমরা ৪০-৫০ বছর চাষ করি। সরকারি খাস জমি বলছে, সেটা কী করে হয়? আর খাস জমি যদি হয়, তাহলে সেই জমিতে আবাসের ঘর কী করে হয়? আমরা চাই সিল্ক হাব হোক, আমাদের পুনর্বাসন দিয়ে যা হওয়ার হোক। না হলে আমরা আন্দোলন শুরু করব। কোনওভাবে এখানে সিল্ক হাব হতে দেব না।

    প্রশাসনের আধিকারিকরা কী বললেন?

    যদিও প্রশাসনের দাবি, সরকারি কিছু খাস জমি পড়ে রয়েছে, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সিল্ক হাব করার কথা বলেছিলেন। এর মধ্যে দিয়ে হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুর ও বৈদ্যবাটির সিল্ক প্রিন্টিংকে এক ছাতার তলায় আনা হবে। এর ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। পুরভার কাউন্সিলর সন্তোষ সিং, পিন্টু নাগরা বলেন, ‘সরকারি খাস জমিতে সিল্ক হাব তৈরি হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষক দরদী। কোনও কৃষককে বঞ্চিত করা হবে না। আমরা বলেছি, জমির কাগজ যদি কিছু থাকে তা নিয়ে আসুন, পুরসভায় দেখান। মুখের কথায় হবে না। যদি কাগজ থাকে কাজ বন্ধ থাকবে। আর কাগজ না থাকলে প্রশাসন নিজের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share