Tag: West Bengal

West Bengal

  • Shantiniketan: পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরছে পৌষমেলা! সবুজ সংকেত বিশ্বভারতীর

    Shantiniketan: পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরছে পৌষমেলা! সবুজ সংকেত বিশ্বভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা আয়োজিত হতে চলেছে বিশ্বভারতীর পূর্বপল্লির মাঠেই। তিন বছর বাদে আবারও পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরছে পৌষ মেলা। দিন দুয়েক আগেই জেলা প্রশাসনের তরফে মাঠ চেয়ে বিশ্বভারতীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে পূর্বপল্লির মাঠ পৌষমেলার জন্য জেলা প্রশাসনকে দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। তাই মনে করা হচ্ছে সব কিছু ঠিক থাকলে তিন বছর বাদে ফের পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরতে চলেছে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। তবে এতদিন অবধি এই মেলা পরিচালনা করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আর তার আহ্বায়ক ছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তবে, এই বছর পূর্বপল্লির মাঠে মেলা আয়োজিত হলে এবারও জেলা প্রশাসন পরিচালনা করবে।

    বিশ্বভারতীর কাছে মাঠ চেয়ে আবেদন প্রশাসনের (Shantiniketan)

    ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের কারণে মেলা হয়নি। তার পরবর্তী দুই বছর বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মেলা করেননি, এমন অভিযোগ উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তারই বিকল্প হিসেবে বোলপুরের ডাকবাংলা ময়দানে মেলা করেছে জেলা প্রশাসন। এই বছর বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৮ নভেম্বর উপাচার্য রূপে তাঁর মেয়াদ শেষ করেন। তারপরেই শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) পূর্বপল্লির মাঠে মেলা হবে এমনটাই ভেবেছিলেন অনেকে। তবে, প্রথমে বিশ্বভারতীর তরফে সময় ও পরিকাঠামোর অভাবে পূর্বপল্লির মাঠে মেলা করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপর জেলা প্রশাসনের তরফে বৈঠক করে বিশ্বভারতীর কাছে মাঠ চেয়ে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনেই সাড়া দিয়েছে বিশ্বভারতী।

    মেলা নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অশোক মাহাত বলেন, ‘পৌষমেলা হোক আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু, মেলাকে ঘিরে সমস্ত তিক্ততার অবসান চেয়েছিলাম। পাশাপাশি, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে কতকগুলি বিষয় বিবেচনার জন্য বলেছি।’ জানা গিয়েছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: “খেলার মাঠ খেলা ছাড়া অন্য কাজে নয়, ঘোষণা করুন মুখ্যমন্ত্রী”, চ্যালেঞ্জ বিজেপি বিধায়কের

    Siliguri: “খেলার মাঠ খেলা ছাড়া অন্য কাজে নয়, ঘোষণা করুন মুখ্যমন্ত্রী”, চ্যালেঞ্জ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) প্রশাসনিক বৈঠকের দিন চ্যালেঞ্জের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। খেলা বন্ধ করে খেলার মাঠকে এভাবে ব্যবহার করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সোমবার রাতে গ্রেফতার হন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। মধ্যরাত নাগাদ শিলিগুড়ি থানা থেকে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পেয়েই খেলার মাঠকে খেলার জন্য ব্যবহার করার ঘোষণার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপি বিধায়ক।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক করার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব হন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সোমবার সন্ধ্যায় ধর্নায় বসেন বিধায়ক। পুলিশ তাঁকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত  শিলিগুড়ি (Siliguri) থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতাকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত মধ্যরাত নাগাদ শঙ্কর ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি সন্ত্রাসবাদী নই, আমি খেলোয়াড়। যেভাবে শয়ে শয়ে পুলিশ, জলকামান, কমব্যাট ফোর্স ইত্যাদি নামিয়ে এই ধর্না আটকানোর চেষ্টা হয়েছে তা দেখে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এটা জানাতে চাই যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফুটবল, ক্রিকেট লিগ খেলে আমি বড় হয়েছি। আমি সন্ত্রাসবাদী নই। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আবেদন রেখেছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি কর্মসূচি না করে, আপনি আপনার কর্মসূচি অন্য জায়গায় করুন। খেলার মাঠকে বাঁচতে দিন।

     মুখ্যমন্ত্রীকে কী চ্যালেঞ্জ জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) স্টেডিয়াম নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শঙ্কর ঘোষ বলেন, “মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠ থেকে সরকারি ঘোষণা করুন যে খেলার মাঠ খেলা ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহৃত হবে না। তা না হলে আপনার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর উত্তরবঙ্গের সমস্ত মাঠ সুরক্ষার দাবি নিয়ে খেলোয়াড়, ক্রীড়াপ্রেমী এবং নাগরিকদেরকে নিয়ে রাস্তায় আরও বড়সড় প্রতিবাদে নামবো।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: যাদবপুরের ছায়া রায়গঞ্জে! সিনিয়রদের বেধড়ক মারে অচৈতন্য মেডিক্যাল পড়ুয়া

    Raiganj: যাদবপুরের ছায়া রায়গঞ্জে! সিনিয়রদের বেধড়ক মারে অচৈতন্য মেডিক্যাল পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের যাদবপুরের ছায়া রায়গঞ্জে (Raiganj)। এবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশকে শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। ঘটনার রীতিমতো আতঙ্কিত নিগৃহীত পড়ুয়ারা। তাদের ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj)

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাগিং কাণ্ড ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং রুখতে নড়েচড়ে বসেছিল সরকার থেকে শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও মাঝে মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সিনিয়রদের দ্বারা জুনিয়রদের নিগ্রহের ঘটনা। এবার এমনই অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ (Raiganj) মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে। এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ সিনিয়রদের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে সরব হন। ৩ ডিসেম্বর হস্টেল ক্যাম্পাসে একটি বার্থ ডে পার্টির সেলিব্রেশন ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। নিগৃহীত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁরা ওই দিন এক সহপাঠীর বার্থ ডে সেলিব্রেট করছিলেন। তখনই সিনিয়র অর্থাৎ তৃতীয় বর্ষের কিছু পড়ুয়া তাঁদের বকাঝকা করে। তখনকার মতো ঝামেলা মিটে গেলেও ওই ইস্যুতেই ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে তাদের ডেকে পাঠান সিনিয়ররা। অভিযোগ, এরপরই জুনিয়রদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। মারধর পর্যন্ত করা হয় বলে অভিযোগ। সিনিয়রদের নির্যাতনের প্রতিবাদে জুনিয়ররা জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানান। দোষীদের শাস্তির দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে জোটবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    নির্যাতিত ছাত্র কী বললেন?

    কোমল মীনা নামের এক জুনিয়র ছাত্র বলেন, সিনিয়ররা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলাম। পরে, জল ঢেলে আমাকে সুস্থ করে আবার নির্যাতন করা হয়। আমাদের আবার মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছে। যার জেরে আতঙ্কিত রাজস্থানের বাসিন্দা এই মেডিক্যাল পড়ুয়া। নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন ছাত্রীরাও। রিয়া সিং নামের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, ওই ঘটনার পর আমরা আতঙ্কে হস্টেলে থাকতে পারছি না। আমাকে উদ্দেশ্য করে নানা কুমন্তব্য করা হচ্ছে।

    অভিযোগ অস্বীকার তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ার

    জুনিয়রদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রিষভ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অভিযোগকারী ছাত্রছাত্রীরা কলেজে নেশা করে। কলেজের পঠন-পাঠনের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে, পাল্টা অভিযোগ এনেছেন তিনি। এ বিষয়ে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ।

    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কী বললেন?

    এ ঘটনায় রায়গঞ্জ (Raiganj) মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডঃ বিদ্যুৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিজেপির ধর্নাকেও ভয়! বিধায়ককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল পুলিশ, কেন জানেন?

    Siliguri: বিজেপির ধর্নাকেও ভয়! বিধায়ককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল পুলিশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ। এই ঘটনায় এদিন সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিধায়কের নিশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও কার্যকর্তারা শিলিগুড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান।

    কেন পুলিশের এই পদক্ষেপ? (Siliguri)  

    ১২ডিসেম্বর, মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক আগেই ঘোষণা হয়েছে। এজন্য গত ৪ ডিসেম্বর থেকে কাঞ্চনজঙ্গা স্টেডিয়ামে শিলিগুড়ি (Siliguri) ফুটবল লিগ স্থগিত রাখা হয়েছে। মাঠ খুড়ে তৈরি হয়েছে সভামঞ্চ। খেলা বন্ধ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক করার  প্রথম থেকেই প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তার প্রতিবাদে প্রশাসনের তরফে কোনও সাড়া না মেলায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন সোমবার বিকেল চারটা থেকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার শেষ পর্যন্ত তিনি হাশমি চক এলাকায় ধর্নায় বসেন। সেই মতো বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর সমর্থকরা প্লাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের উঠিয়ে দেন। পরে, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ধর্নাস্থল গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, সেই সময় বিধায়ক ও তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে পুলিশের। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপি বিধায়কের অনুগামীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তার প্রতিবাদে শঙ্কর ঘোষ রাস্তায় বসে পড়লে পুলিশ তাঁকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম খেলার মাঠ। সেখানে খেলা হবে।  কিন্তু খেলা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে বার বার রাজনৈতিক সভা ও বাণিজ্যিক জলসা করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি। তাই এদিন শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রাণ কেন্দ্র হাসমি চকে বিক্ষোভ অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রকে হত্যা করে পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে। এবার খেলাকে ধ্বংস করতে নেমেছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: আবাস যোজনায় বাড়ি পিছু তৃণমূল নেতাদের দাবি ১০ হাজার টাকা! অভিযোগ শুনল কেন্দ্রীয় টিম

    Birbhum: আবাস যোজনায় বাড়ি পিছু তৃণমূল নেতাদের দাবি ১০ হাজার টাকা! অভিযোগ শুনল কেন্দ্রীয় টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্ত করতে রাজ্যের একাধিক জেলায় পরিদর্শনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বীরভূম জেলায় গত কয়েকদিন ধরেই রয়েছে এই টিম। রবিবার বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের সিয়ান মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহিপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। পরিদর্শনে গিয়ে আবাস যোজনার বাড়ি করা নিয়ে নানা অভিযোগ শুনলেন তাঁরা।

    দিতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের টাকা (Birbhum)

    শনিবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি থেকে কেন্দ্রীয় দলটি বোলপুরে ফিরে আসে। এরপর দুই সদস্যের দল ডিহিপাড়ায় যায়। ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২-এই তিন অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি হওয়া বাড়িগুলি কাদের নামে এসেছিল, প্রাপকেরা সেই বাড়ি পেয়েছেন কি না, গ্রামবাসীরা বাড়ি তৈরির সম্পূর্ণ অর্থ পেয়েছেন কি না, বাড়িতে শৌচালায় আছে কি না, তা করে দিতে কোনও টাকা দিতে হয়েছে কি না-এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস, বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নোডাল অফিসার তন্ময় পালিত-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকেরা। এখানেই গ্রামবাসীদের একাংশ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে আবাস যোজনার বাড়ি না-পাওয়ার অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে জানান, আবাস যোজনার বাড়ি করার সময়ে এলাকায় তৃণমূল নেতাদের টাকা দিতে হয়েছে। টাকার পরিমাণও তাঁরা বলে দেন। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, আবাস যোজনা বাড়ি পাওয়ার জন্য প্রায় তাঁদের বাড়ি পিছু ১০,০০০ টাকা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দিতে হয়েছে। এক উপভোক্তা বলেন, টাকা না দিলে বাড়ি হবে না বলেছিল। তাই বাধ্য হয়ে তখন আমরা বাড়ির জন্য টাকা দিয়েছি। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে আমরা জানিয়েছি। জানা গিয়েছে, এর পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি বাহিরি পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট শিমুলিয়া গ্রামটিও পরিদর্শন করেন।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    সিয়ান মুলুক এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ আনউয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু দিন আগে অঞ্চল সভাপতি দায়িত্বে এসেছি। আগে কী হয়েছে বলতে পারব না। তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমা জানা নেই। তবে সত্যিই যদি এমন অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, গ্রামবাসীরা বাস্তবটাই তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে। কারণ, তৃণমূল টাকা ছাড়া কোনও কাজই করে না। এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: চক্ষুশূল বিজেপির ‘বিকশিত ভারত’ রথযাত্রাও, হামলা চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দিল তৃণমূল!

    Cooch Behar: চক্ষুশূল বিজেপির ‘বিকশিত ভারত’ রথযাত্রাও, হামলা চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দিল তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বার্তা দিতে বিজেপি-র উদ্যোগে তৈরি “বিকশিত ভারত” নামে একটি সুসজ্জিত রথ আটকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বার্তা দিতে সোমবার থেকে কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা জুড়ে এই রথ ঘুরবে বলে ঠিক ছিল। কিন্তু, সেই সুসজ্জিত রথ যখন কোচবিহারের নিউ কোচবিহার রেলওয়ে স্টেশনের সামনে আসে। ঠিক সেই মুহূর্তে তৃণমূল নেতৃত্ব সেই রথ আটকে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। শুধু আন্দোলনই নয় তারা সেই গাড়ির ফেস্টুন ছিড়ে দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফেষ্টুনে কালি পর্যন্ত ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গাড়ি আটতে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    রথযাত্রা করতে দেব না, হঁশিয়ারি তৃণমূল নেতৃত্বের

    এই বিষয়ে হামলাকারী তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরুপ দে ভৌমিক বলেন, কেন্দ্র সরকার যখন ভারতের আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না, সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য টাকা না পেয়ে দিনের পর দিন কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। অথচ আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের কাছে তারা নতুন করে ভুল বোঝাতে এই রথ যাত্রার শুভ সূচনা করতে চাইছেন। মানুষ তা মেনে নেবে না। এই জেলায় এই ধরনের কর্মসূচি করা চলবে না। আমরা রাস্তায় নেমে আন্দেলন করছি। আগামীদিনেও করব।

     তৃণমূলীদের বাধা আমরা মানব না, সরব বিজেপির জেলা সভাপতি

    বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, মোদি সরকার যে উন্নয়ন সেটা মানুষ জানলে তৃণমূলকে আর কেউ ভোট দেবেনা। তৃণমূলের দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। এরপর তিনি বলেন, আমরা জানি সারা ভারতবর্ষ জুড়ে কেন্দ্র সরকার উন্নয়নের যে প্রচার চলছে তার যে পারমিশন রয়েছে, সেই পারমিশনই চলবে। কিন্তু লোকাল থানা থেকে বলছে তাদেরও পারমিশন নিতে হবে। আমরা এই রথ যাত্রা করব, তৃণমূলীদের বাধা আমরা মানব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: কষ্টের পয়সায় বাড়ি করবেন, তাতেও লাগবে তৃণমূলের অনুমতি! না হলে খুনের হুমকি?

    Asansol: কষ্টের পয়সায় বাড়ি করবেন, তাতেও লাগবে তৃণমূলের অনুমতি! না হলে খুনের হুমকি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা খরচ করে নিজের বাড়ি তৈরি করবেন। আর তার জন্য তৃণমূলের অনুমতি নিতে হবে। আসানসোলের (Asansol) ফতেপুরের এলাকাবাসীর একাংশের এমনই অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা! (Asansol)

    আসানসোলের (Asansol) ফতেপুর এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জমি মাফিয়ারা। অতিষ্ঠ হয়ে তৃণমূলের নেতার কাছে এলাকাবাসী দরবার করেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন এলাকাবাসী। ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সভাটির আয়োজন করেন। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তৃণমূলের স্থনীয় পুরপ্রতিনিধি সমিত মাজিকেও। সকাল ১১টা নাগাদ সমিত সভামঞ্চে আসেন। অভিযোগ, সভা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন সেই সভা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে, আয়োজকেরা সভার কাজ চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে অনড় থাকেন। সভার জন্য পুলিশের থেকে আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাসের নেতৃত্বে র‍্যাফের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তার পরে, পুলিশের উপস্থিতিতেই সভার কাজ শেষ হয়।

    প্রতিবাদ সভার আয়োজকদের কী বক্তব্য?

    সভার অন্যতম আয়োজক তথা বড়তোড়িয়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু মণ্ডল বলেন, কয়েক মাস আগে নিজের জমিতে আমি বাড়ি করতে গিয়েছিলাম। জমি মাফিয়ারা বাধা দেয়। দেওয়া হয় খুনের হুমকিও। তাদের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়। নির্মাণ সামগ্রীও তাদের থেকে নেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকী বাড়ি করার আগে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয় থেকে অনুমতি নেওয়ার কথাও বলা হয়। ফতেপুরের স্বরূপকুমার মাজির আবার অভিযোগ, নিজের জমি বিক্রি করতে গেলেও, এক দল লোক এসে জমি বিক্রিতে বাধা দিচ্ছে। পাশাপাশি, এলাকার পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়েও সরব হয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বরাচকের হনুমান মন্দির থেকে বরাচক স্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটি বেহাল। পথবাতি নেই। নিকাশি পরিস্থিতি বেহাল। বিষয়টি পুরপ্রতিনিধিকে জানানো হলেও লাভ হয়নি।

    পুর প্রতিনিধির কী বক্তব্য?

    পুরপ্রতিনিধি সমিত মাজি বলেন, কারও নাম উল্লেখ না করে জমি মাফিয়াদের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। বিস্তারিত খোঁজখবর করব। বাসিন্দাদের নিজেদের জমি কেনাবেচার আগে বা বাড়ি তৈরি করার আগে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় না। কে বা কারা এই কাজ করছেন, তা-ও দেখা হবে। পাশাপাশি, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি আসানসোল (Asansol) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ওই এলাকায় জমি মাফিয়াদের বখরাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে দু’টি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। তা নিয়েই গোলমাল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ২৪ ঘণ্টায় ১১ শিশুর মৃত্যু! বাল্যবিবাহ এবং অপুষ্টিরই করুণ পরিণতি?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ২৪ ঘণ্টায় ১১ শিশুর মৃত্যু! বাল্যবিবাহ এবং অপুষ্টিরই করুণ পরিণতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর এই মৃত্যুর ঘটনার জন্য পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। নজরদারি অভাব বা গাফিলতির জন্য পর পর এই শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, এমনই দাবি মৃতের পরিবারের লোকজনের।

    শিশুমৃত্যুর তদন্তে কী উঠে এল? (Murshidabad)

    একের পর এক শিশুমৃত্যুর কারণ নিয়ে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ এবং জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল একে অন্যের দিকে দায় ঠেলেছে। পরিস্থিতি দেখে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শিশুমৃত্যুর কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল। তাতে উঠে আসে একটি তথ্য। দেখা যাচ্ছে, সদ্য সন্তান হারানো মায়েদের ঠিকানা আলাদা হলেও তাদের বেশির ভাগের মধ্যে একটি মিল, অপরিণত বয়সে বিয়ে এবং মা হওয়া। ১১ জন শিশুর মধ্যে সাত জনের মা নাবালিকা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরী ৪৬০ গ্রাম ওজনের একটি সন্তানের জন্ম দেয়। জঙ্গিপুরের ১৭ বছর ৩ মাস বয়সি এক নাবালিকা যে সন্তান প্রসব করে, তার ওজন ছিল ৫১০ গ্রাম। শুধু এই দুই মা নয়, ২৪ ঘণ্টায় যে ১১ সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মায়েরা সবাই হয় নাবালিকা নয়তো সবে আঠারো পেরোনো। আসলে শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিতে না দিতেই মেয়েদের পাত্রস্থ করার চল এখনও রয়েছে মুর্শিদাবাদের গ্রামগঞ্জে। বাল্যবিবাহ রুখতে কেন্দ্র এবং রাজ্যের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের গ্রামে গ্রামে গেলে দেখা যাবে বাল্যবিবাহের ছবি। বাড়ির মেয়েরা ভালো খাবার না পেয়ে অপুষ্টিতে ভোগেন। আর তারই ফলশ্রুতিতে অপুষ্টিজনিত সমস্যা নিয়ে শিশুদের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন অসুখে ভুগে থাকে তারা।

    বাবা-মায়েরা কন্যাসন্তানের প্রতি যত্নবান নন

    গ্রামবাংলার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার কমিশনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য প্রসূন ভৌমিক বলেন, ‘আসলে এখনও বাবা-মায়েরা ছেলেদের প্রতি যতটা যত্নবান হন, কন্যাসন্তানের প্রতি ততটা নন। এই ভয়াবহ সামাজিক অভিশাপেই এক নাবালিকার অল্প বয়সে মা হতে হয়। প্রসবের সময় প্রাণের ঝুঁকি থাকে তাদের দু’জনেরই।’

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন,  আমাদের হাসপাতালে প্রচুর রেফার হচ্ছে। নার্সিংহোম থেকে শেষ মুহূর্তে রেফার করা হচ্ছে। আর ডাক্তার বা নার্সদের কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না তা জানতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১৬ থেকে ১৭ বছরের মেয়ে মা হচ্ছে। তার ফলে কম ওজনের সন্তানের জন্ম হচ্ছে। পাশাপাশি জন্মগত ত্রুটি নিয়ে সন্তানের জন্ম হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • East Medinipur: সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় বক্তব্য! বিতর্কে মন্ত্রী অখিল গিরি

    East Medinipur: সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় বক্তব্য! বিতর্কে মন্ত্রী অখিল গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক! গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান থেকে বিজেপির প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। সরকারি অনুষ্ঠানে সেখানেই দলীয় বক্তব্য রাখেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের জেরে কিছু সময়ের জন্য সভা বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চায়েত প্রধান জনগণের সামনে ভুল স্বীকার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? (East Medinipur)

    পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মন্ত্রী অখিল গিরি মহুয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কোনও ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলেও তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কী চান? নির্লজ্জভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আমাদের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। দু’মাস-ছ’মাস পর ভোট হবে, কৃষ্ণনগর থেকে আবার জিতে আসবে মহুয়া মৈত্র।’ পাশাপাশি তিনি হুমকির সুরে বলেন, ‘বিজেপি কেমন ভাবে জিতবে সেটা আমরা দেখব। এই বক্তব্যের পরেই উপস্থিত সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই বক্তব্য থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের বক্তব্য কেন তা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। পরে নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর দাবি, বিরোধীরা তাঁদের মতো বলবেন, আমরা আমাদের মতো বলব। মন্ত্রী মঞ্চ ছাড়তেই পুনরায় কার্যত জনগণের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর পরেই কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপন দাস ও প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। এদিনের সভায় উপস্থিত জনগণের সামনে ক্ষমা চান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপনকুমার দাস।

    তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘এই মঞ্চে আমাদের পক্ষ থেকে দলীয় প্রচার করার কোনও ইচ্ছা নেই। গ্রাম পঞ্চায়েতের দল-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই থাকবেন এই বার্ষিক সভায়।’

    বিজেপি নেতা কী বললেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা অনুপম জানা বলেন, ‘গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় একাধিক মন্ত্রী উপস্থিত রয়েছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। এলাকার উন্নয়নের জন্য বিরোধী দল হিসেবেও সহযোগিতা করব। এই সরকারি অনুষ্ঠানটি অন্যরকম হয়ে গেল মন্ত্রী অখিল গিরির বক্তব্যে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: দলের অঞ্চল সভাপতিকেই বেধড়ক মার! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    North 24 Parganas: দলের অঞ্চল সভাপতিকেই বেধড়ক মার! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে আহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে এলাকা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হাড়োয়ার শালিপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম শনিবার হাড়োয়ার ধোনপোতা বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা বেশ কিছু দুষ্কৃতী তাঁর ওপর হামলা চালায়। লোহার রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তরিকুলের চিৎকারে বাজারে থাকা বেশ কিছু লোকজন ছুটে আসলে দুষ্কৃতীরা সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায়। তারপর আহত তরিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা করানোর পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পর রবিবার শালিপুর অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শালিপুর অঞ্চলের প্রধান-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাড়েয়া থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    এ-প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তরিকুল ইসলাম বলেন,’পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকায় এলাকায় ঘুরে সংগঠন মজবুত করেছি। এলাকার মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করছি। সেটা বর্তমান তৃণমূলের কর্মীদের সহ্য হচ্ছে না। তাই, ওরা আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছে।’

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তরিকুল তৃণমূলের নাম করে এলাকায় সম্প্রতি তোলাবাজি শুরু করেছে। সেটা এলাকার মানুষ সহ্য করতে না-পেরে ওকে মারধর করেছে। আর ও সহানুভূতি পাওয়ার জন্য মিথ্যাভাবে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে।’

    তোলাবাজির বখড়া নিয়ে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির

    বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা তথা বসিরহাটের পর্যবেক্ষক শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলের অন্দরে তোলাবাজির টাকার বখড়া নিয়ে গোলমাল শুরু হয়েছে। বখড়ায় ভাগে কম পড়লেই সংঘর্ষ হচ্ছে। শালিপুত্রের ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে সেই বখড়া সঙ্গে বাঁটোয়ারা সংক্রান্ত বিবাদ। মানুষ সব দেখছে। আগামী লোকসভা নিয়ে নির্বাচনে তোলাবাজদের বিরুদ্ধে মানুষ জবাব দেবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share