Tag: West Bengal

West Bengal

  • Arjun Singh: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন জানেন?

    Arjun Singh: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) লড়াই একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। এতদিন দাপুটে দুই নেতার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। এখন তা সামনে চলে এল। রবিবার সন্ধ্যায় অর্জুন সিং ভাটপাড়ায় দলীয়  সভায় যোগ দিতে গিয়ে সোমনাথ শ্যামের নাম না করে পোলট্রি মোরগ বলে কটাক্ষ করেন।

    তৃণমূল কর্মী খুনে জড়িত সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কেউ, সরব বিধায়ক

    এর আগে ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় সাংসদ অর্জুন সিংকে নিশানা করেছিলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। যা নিয়ে ফের চর্চায় এসেছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি। ফলে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। গত ২১ নভেম্বর ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরানি তালাও সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয়। তিন দিনের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যদিও ভিন রাজ্যের ভাড়াটে খুনিরা এখনও অধরা। তাদের ধরতে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে খুনের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, মেঘনা জুটমিলের পুরাতন লাইন থেকে বেরিয়ে খুনিরা খুন করে আবার সেখানে ঢুকে যায়। এই কারণেই আমি বলেছি, কোথাও না কোথাও সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কেউ জড়িত। পরিবারের সেই যুক্ত লোকের নাম পাপ্পু সিং। কেউ প্রভাব খাটাচ্ছে। তাই হয়তো পুলিশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয়, পুলিশ এ বার পিছোবে না, কারণ পুলিশের কাছে গ্রেফতার করার জন্য যথেষ্ট তথ্য আছে। যে খুন করেছে, তাঁকে জেল খাটতেই হবে।

    সোমনাথকে নিয়ে কী বললেন অর্জুন? (Arjun Singh)

    সোমনাথ শ্যামের সেই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি বলেন, আমার ভাইপো আমার সঙ্গে রয়েছে, তারজন্য সে খুনি। আর আমার ভাইপো তাঁর সঙ্গে রয়েছে সে ভাল। আর ভিকি যাদবকে খুন করার পর খুনিরা মেঘনা জুটমিলে ঢুকছিল সেটা তিনি দেখেছেন। তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীতে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এক সময় আমরা হাতে গোনা কয়েকজন দল করতাম। দুদিন আগে দল করে আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করছে। আমার সামনে দাঁড়ানোর কোনও যোগ্যতা তাঁর নেই। দলীয় ঝান্ডা ছেড়ে বেরিয়ে এসে একটা কথা বলে দেখুক জনগন এমন হাল করবে যে তিনি তখন বুঝতে পারবেন।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলেছি রাজ্যের পুলিশ নিষ্ক্রিয়, তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের খুন করেছে। আমাদের এই কথাটাই তৃণমূল বিধায়ক বলে দিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন  শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, একজন বলেছিলেন কালী মদ খায় আর মাংস খায়। এক বছরও গেল না সেই কালী মায়ের কৃপায় সাংসদ হারা হয়ে গেলেন তিনি। নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন তিনি।

    শিশুর বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন, কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    নদিয়ার নবদ্বীপে সারা ভারত কীর্তন ও বাউল গীতি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁকে করতাল হাতে নিয়ে কীর্তন করতেও দেখা যায়। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন ধর্মকে যদি আমরা রক্ষা না করতে পারি তাহলে ধর্ম আমাদের রক্ষা করবে না। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। মুর্শিদাবাদে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য ভালো নেই। যেখানে শিশুর চিকিৎসা হওয়ার কথা, সেই বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছে।

    কৃষক মৃত্যু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যে সারের কালোবাজারি চলছে। সরকারের কোনও হেলদোল নেই। গোঘাট থানার ওসি কৃষকদের সঙ্গে যা আচরণ করেছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে এই সরকার কৃষকদের কথা ভাবে না। তাই, কৃষকরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়ের বিয়ে নিয়েও সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, সরকার যে বিয়ে তা এই প্রথম দেখলাম। এবার তো সরকার প্রজাপতি অফিস খুলবে। পাত্র-পাত্রী কে বাছাইয়ের কাজ করবে। রাজ্যে কৃষকের মৃত্যু হচ্ছে, হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে আর মুখ্যমন্ত্রী বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

    চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ১০০১দিনে পড়ল। ১০০০দিনে এক চাকরি প্রার্থী মস্তক মুন্ডন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে এই সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তাই, এই সরকার যতদিন থাকবে ওই চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক, পর পর তিনজন কৃষকের মৃত্যুতে সরকারি ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Paschim Medinipur: ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক, পর পর তিনজন কৃষকের মৃত্যুতে সরকারি ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমান, হুগলির পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)। ফের আলু চাষির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘটল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চাষির নাম বাপী ঘোষ। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। এই নিয়ে রাজ্যে তিনজন চাষির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে ওই চাষি আত্মঘাতী হয়েছেন, উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?(Paschim Medinipur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা পোখরাজ ও অন্যান্য আলু চাষ করেছিলেন চন্দ্রকোণা লাহিরগঞ্জ এলাকার বাপি ঘোষ নামে এক কৃষক। তবে অকাল বৃষ্টিতে আলুর জমি ডুবে যায়। প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করার পর ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই কৃষক। শুক্রবার গভীর রাতে বিষ খান ওই চাষি। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

    ঘাটালের মহকুমা শাসকের কী বক্তব্য?

    ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বিডিও সাহেব তাঁর বাড়িতে যাচ্ছেন। প্রশাসন সার্বিক ভাবে মৃতের পরিবারের পাশে থাকবে।

    পর পর তিনজন চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিরা নিয়ে  উঠছে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী দুই ব্লকের নিমদহ পঞ্চায়েতের ছাতনি উত্তরপাড়া এলাকায় নিমাই ঘোষ নামে এক আলু চাষির মৃত্যুর আত্মহত্যা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান,বাড়ির পাশেই আম গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এই ঘটনার পর পরই বর্ধমান জেলায় খানাকুলে আরেক কৃষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। মৃত কৃষকের নাম তরুণ পালুই (৩৭)। ওই ব্যক্তি খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ এলাকার বাসিন্দা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায় আরও এক চাষির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। একের পর এক চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের কোনও উদ্যোগ চোখো পড়ছে না। ফলে, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন এলাকার ১৩ জন শ্রমিককে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে দুবাইয়ের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। রবিবার ওই শ্রমিকরা এক ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। আর ওই বার্তা পাওয়ার পরেই ওই পরিবারদের পক্ষ থেকে  বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ি গিয়ে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। সুকান্ত বাবুও এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে  জানিয়েছেন।

    দুবাইয়ে কেন আটকে রাখা হয়েছে শ্রমিকদের?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি দুবাইয়ে কাজের খোঁজে যায়। তাদের জেলারই এক এজেন্ট এর মাধ্যমে ওই কাজে নিয়ে যাওয়া হয়। গত মাস থেকেই  শ্রমিকরা যেতে শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি, গত ৫ তারিখেও বিমানে চেপে জেলার আরও কয়েকজন শ্রমিক শারজাতে কাজে পৌঁছায়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রচুর বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কম্পিউটারের কাজ করতে নিয়ে গিয়ে, নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হচ্ছে। ওই শ্রমিকদের কম্পিউটারে কাজের বদলে তাদের নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হয়। প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা করে কাজ করানো হচ্ছে। কাজের দু একদিন কাজ করতে এই শ্রমিকরা বিদ্রোহ করে বসে। এরপরে তাদের শারজা থেকে আবুধাবির একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। জেলার মোট ১৩ জন শ্রমিকের ওই ঘরের মধ্যে আটকে রাখার শুধু নয় তাদের খাওয়া-দাওয়া বা অন্যান্য খরচও দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ওই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসতে চাইলে তাদের কাছে ক্ষতিপুরন হিসেবে মাথা পিছু এক লক্ষ টাকা চাইছে আরবের এক নির্মান সংস্থা। এমন অবস্থায় প্রবল অসহায় পড়া ওই শ্রমিকরা এবারে ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানায়।

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা কী আর্জি জানিয়েছেন?

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা বলেন,  একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে ১৩ জন শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে আমাদের খাবার, ওষুধ বা অন্যান্য খরচ দিতে অস্বীকার করছে আরবের ওই সংস্থা। দুদিন ধরে ওই ঘরে আটকে রাখার পর থেকে আরব বা দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও এজেন্টই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে করছে না। খুব অসহায় ভাবে দিন কাটছে আমাদের। দ্রুত দেশে না ফেরানো হলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোনও উপায় নেই।

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে ওই শ্রমিকদের দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। সাগরিকা কর্মকার নামে এক শ্রমিক পরিবারের সদস্য বলেন, আমার ভাই ও  ভাগ্নে গিয়েছে দুবাইয়ে। ওরা গত পাঁচ তারিখেই প্লেনে করে রওনা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র দুদিন সেখানে কাজ করার পরই,  তাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ওরা  দেশে ফিরে আসতে চাইছে। কিন্তু তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ওনাদের সকলকে দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে কাছে আমরা সাংসদের (Sukanta Majumdar) কাছে আবেদন জানিয়েছি।

    শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস সুকান্তর (Sukanta Majumdar)  

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, শ্রমিক পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই  বিষয়টি নিয়ে আমি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে, ওই শ্রমিকদের সকলকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে থানায় ঢুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মারিশদার পর এবার হুগলির গোঘাট থানা। থানার ভিতরে ঢুকে রনং দেহি মূর্তি ধারণ করলেন বিরোধী দলনেতা।

    কেন গোঘাট থানায় বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের ভিকদাস ধান্য ক্রয় কেন্দ্রের সামনে। কৃষকরা অভিযোগ তোলে, প্রয়োজনের তুলনায় ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বেশি বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে কৃষকরা। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে সম্প্রতি কৃষকদের উদ্যেশে গালিগালাজের অভিযোগ হুগলির আরামবাগ মহকুমার গোঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের অরূপ মন্ডলে বিরুদ্ধে । সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আগেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার শ্রীনগরে দলীয় কর্মসূচিতে একটি জনসভা ছিল। সেই সভা শেষ করে সেখান থেকে সোজা আরামবাগের গোঘাট থানাতে এসে হাজির হন শুভেন্দু। কৃষকদের হয়ে প্রতিবাদ জানাতে । এদিন সন্ধ্যায় গোঘাট থানর গেটে বিরোধী দল নেতার কোন এসে পৌঁছাতেই বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। 

    থানায় গিয়ে কী করলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গোঘাট থানার  সামনে গাড়ি থেকে নামতেই দলীয় নেতা কর্মীরা গেটের সামনেই ফুলমালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। তারপর তিনি ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক ও পুরশুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ ও গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারককে সঙ্গে নিয়ে থানার ভিতরে ঢোকেন। এরপর থানায় ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করেন থানার ওসি অরূপ মণ্ডল কোথায়?  তার সঙ্গেই কথা বলবো। যদিও ডিউটি অফিসার জানান, তিনি বিশেষ কাজে বাইরে আছেন। তবে এই কথা শোনার পর শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ কর্মীদের ধমক চমক  দিতে থাকেন।

    মমতার পুলিশ কাপুরুষ

    থানায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই অকথ্য ভাষায় কৃষকদের গালিগালাজ কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমিও একজন কৃষক পরিবারের ছেলে, আর এই এলাকায় মানুষ কৃষির উপরে নির্ভরশীল, তাই একজন কৃষককে গালিগালাজ করবে মমতা পুলিশ এট মানা যায় না। সতর্ক করে গেলাম। এই ধরনের কোনওরকম ব্যবহার কোনও মানুষের সঙ্গে যেন আর দ্বিতীয়বার করা না হয়। আমি ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো নিজে আমার মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ভুল স্বীকার করবেন। কিন্তু আমার আসার কথা শুনেই তিনি পালিয়ে গেছেন।  বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মমতার পুলিশ কাপুরুষ। আমি আসবো বলে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমি আবার আসবো, রেহাই কাউকে দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বার বার এই অভিযোগ করা হয়। তাই, বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় থাকে পুলিশ। এবার শাসক দলের দুই নেতা পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করলেন। এর আগে পুলিশকে মেরে তার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন একসময়ের বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিনি এখন জেলে রয়েছেন। এবার পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অশালীন ইঙ্গিত করে প্রকাশ্য মঞ্চে বেলাগাম করলেন মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি।

    পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দুই তৃণমূল নেতার (Malda)

    মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের শহিদ মোড়ে আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভা চলছিল। সেই সভাতেই মঞ্চ থেকে অন্যান্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্বদের সামনেই পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি এবং জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতা বিকাশবাবু বলেন, যে সব পুলিশ অফিসার মানুষের জন্য কাজ করছে না তাঁদের বিছুটি পাতা ঘষে দিতে হবে। পুলিশের একাংশ বিরোধীদের হয়ে দালালি করছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে স্বপন আলিও পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দেন। আর এই দুই শাসক নেতার মন্তব্য নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। এতদিন বিরোধীরা একরাশ অভিযোগ করতেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার শাসকেরই রোশের মুখে পুলিশ। পরবর্তীতেও এই দুই নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের বক্তব্য অনড় থেকেছেন। তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাঁদের বক্তব্যকে তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন।

    তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, সরব বিজেপি

    তৃণমূলের এই বক্তব্য নিয়ে মালদার (Malda) বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়ার কটাক্ষ, তৃণমূল এই সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত। আসলে রাজ্যজুড়ে ইডির হানা চলছে। হয়ত এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরেও আসতে পারে। তাই, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। আগামী মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। আর সেদিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শিলিগুড়িতে পালটা সভা করবেন। কিন্তু, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য ভবন দিতে চাইছে না কেউ। এমনটাই অভিযোগ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের। পুলিশি অনুমতিও নেই। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে – মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন ধরনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন শংকর ঘোষ। পুলিশ সেই কর্মসূচির অনুমতিও দেয়নি।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আয়োজনের মূল দায়িত্ব শংকর ঘোষেরই। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, অন্তত ১০টি ভবনে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মালিকেরা বলছেন, আপনাদের ভবন দিতে পারব না। নিষেধ রয়েছে। চোখ রাঙানো হচ্ছে। কেউ অন্য যুক্তি দিচ্ছেন। তৃণমূল রয়েছে এ সবের পিছনে।’ শংকর দাবি করেন, ‘বাড়ির মালিকেরা আমাদের বলছেন, তাঁদের সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করার। কাউকে বিব্রত করতে চাই না। ‘ এদিন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ধরনা কর্মসূচির অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘সভার নামে স্টেডিয়ামকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। যেখানে রাজ্য সরকার ও পুরনিগমের তরফে অনেকদিন ধরেই বহুবার বলা হয়েছে স্টেডিয়ামের মাঠে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না, সেই মাঠেই মুখ্যমন্ত্রীর সভা কী করে হয়, মেনে নেওয়া যায় না।’ শুধুমাত্র ১৪৪ ধারা বিরোধী দল বা সাধারণ মানুষদের জন্য, শাসকদলের জন্য কেন হয় না, তারও প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক। করছে

    এর আগেও শুভেন্দুর একাধিক সভায় পুলিশ অনুমতি দেয়নি

    প্রসঙ্গত, বিজেপির সভার অনুমতি নিয়ে সবসময় সমস্যা তৈরি  করছে প্রশাসন। সম্প্রতি ধর্মতলায় একুশের সভাস্থলে অমিত শাহের জন সভার জন্য প্রথমে বিজেপি পুলিশি অনুমতি পায়নি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিজেপি সভা করার অনুমতি পায়। এর ক’দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের তাঁর খেজুরিতে স্থানীয় প্রশাসন দিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি পায় বিজেপি। বাঁকুড়ার কোতুলপুরেও দু’দফায় বাধা পাওয়ার পরে আদালতের অনুমতি নিয়েই মিছিল ও পথসভা করেন শুভেন্দু। শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়িতে কী হয় হয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: পায়ে হেঁটে অযোধ্যা পাড়ি দিলেন বাংলার বিশ্বম্ভর, সঙ্গী আরাধ্য বজরঙ্গবলী

    Ram Mandir: পায়ে হেঁটে অযোধ্যা পাড়ি দিলেন বাংলার বিশ্বম্ভর, সঙ্গী আরাধ্য বজরঙ্গবলী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই রামলালাকে কোলে নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিলেন বহরমপুরের হাতিনগর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বম্ভর কলিতা। যাত্রা শুরুর আগেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান অনেক বিশিষ্টজনই। যাঁর মধ্যে ছিলেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়কও। ছেলেকে রওনা করে দেন বাবা-মা। বিশ্বম্ভরবাবুর সঙ্গী বলতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাগ, জয় শ্রী রাম লেখা পতাকা এবং তাঁর আরাধ্য বজরঙ্গবলীর মূর্তি।

    কী বললেন বিশ্বম্ভর কলিতা?

    এদিন সকালে বিশ্বম্ভরবাবু মাধ্যম নিউজ পোর্টালকে জানিয়েছেন যে, ৮৭৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তাঁর সময় লাগবে অনেকটাই এবং ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ তিনি পৌঁছাতে পারবেন অযোধ্যায় (Ram Mandir)। বিশ্বম্ভরবাবুর আক্ষেপ, রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন তিনি থাকতে পারছেন না অযোধ্যায়। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বজরঙ্গবলীর ভক্ত। বাড়িতে হনুমানজির মূর্তি প্রতিদিন পূজা করি। তাই আমার বজরঙ্গবলীকে দর্শন করাতে চাই প্রভু রামচন্দ্রের।’’ পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে অত্যাচার ও হিংসার ঘটনা ঘটে চলছে তা থেকে মানুষের মুক্তির জন্য তিনি রামমন্দিরে প্রার্থনাও করবেন বলে জানিয়েছেন।

    বিশ্বম্ভরবাবুর যাত্রাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলেই

    পেশার গাড়িচালক বিশ্বম্ভরবাবুর এই পদযাত্রাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের  সর্বস্তরের মানুষ। মাধ্যম’কে ফোনে বিশ্বম্ভরবাবু আরও জানিয়েছেন যে রামমন্দিরের আগে তিনি মধ্যপ্রদেশের বাগেশ্বর ধাম যাবেন এবং তারপরে গোরক্ষনাথ মন্দির হয়ে তিনি রামমন্দির (Ram Mandir)  দর্শন করবেন। শুক্রবারে তিনি পদব্রজে পৌঁছান বীরভূমের সিউড়িতে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তা পোস্টও করেন বীরভূম জেলা সভাপতি। ধ্রুব সাহা বিশ্বম্ভরবাবুর এই যাত্রা সম্পর্কে বলেন, ‘‘ ওনার যাত্রার সাফল্য কামনা করি। সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ওনার গভীর নিষ্ঠা রয়েছে। ওনাকে গতকালই আমি স্বাগত জানিয়েছি সিউড়িতে।’’

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ঝালদার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল পুরভবনে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Jhalda: ঝালদার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল পুরভবনে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে ৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। জেলা শাসকের উপস্থিতিতে এই ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার সেই ঝালদার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল পুরভবনে।

    কারা অনাস্থা প্রস্তাব আনল? (Jhalda)

    তৃণমূলে যোগ দেওয়া ঝালদার (Jhalda) পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন সাত পুরপ্রতিনিধি। সাত পুরপ্রতিনিধির সই করা অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে ঝালদার মহকুমাশাসক এবং পুরুলিয়ার জেলাশাসকের দফতরেও। সাতজনের মধ্যে শাসকদলের পাঁচ পুরপ্রতিনিধি। আর কংগ্রেসের দুই পুর প্রতিনিধি রয়েছেন। তপন কান্দু খুনে শাসক দলের একাংশ জড়িত রয়েছে বলে তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু অভিযোগ করেছিলেন। সেই পূর্ণিমাও এবার অনাস্থা প্রস্তাবে তৃণমূলের পুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাত মেলানোয় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি পূর্ণিমা। তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, যা বলার তা দলীয় নেতৃত্বই বলবেন। কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি বিপ্লব কয়ালের বক্তব্য, সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার পরে নৈতিকতার খাতিরে পুরপ্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত ছিল। তিনি তা করেননি। হাই কোর্ট জানায়, আস্থা না থাকলে যা করণীয় সেটা পুরআইন অনুযায়ী করতে হবে। আমরাও সেটাই করেছি। অনাস্থাকারীদের অন্যতম ঝালদার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, আলোচনা করেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।

    পুরপ্রধান কী বললেন?

    অনাস্থা প্রসঙ্গে ঝালদা (Jhalda) পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাত জনের সই করা অনাস্থার একটি চিঠি পুরসভার অফিসে জমা পড়েছে বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।

    পুর প্রধানকে সরাতে মামলা হয় আদালতে

    কংগ্রেস ও নির্দল জোটের সমর্থনে ঝালদা পুরসভায় শীলা পুরপ্রধান হলেও তাতে সিলমোহর দেয়নি রাজ্য সরকার। এনিয়ে আদালতে মামলা হয়। হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত শীলার পুরপ্রধান পদে থাকতে সমস্যা নেই। ইতিমধ্যে শীলা ও চার কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তৃণমূলে যেতেই সমীকরণ বদলায়। তৃণমূলের আদি পাঁচ পুরপ্রতিনিধি শীলাকে পুরপ্রধান হিসেবে মানতে নারাজ। শীলা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন দাবি করে তৃণমূলের ওই পাঁচ পুরপ্রতিনিধি ও কংগ্রেসের দুই পুরপ্রতিনিধি তাঁকে পুরপ্রধান পদ থেকে সরাতে দু’টি পৃথক মামলা করেছিলেন। সেখানে সিঙ্গেল বেঞ্চের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার জানায়, পুরপ্রধানের প্রতি আস্থা না থাকলে পুরআইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Murshidabad: ভোট এলেই বোমা তৈরির জন্য কদর বাড়ে ওদের! একদিনে আয় পাঁচ-আট হাজার টাকা

    Murshidabad: ভোট এলেই বোমা তৈরির জন্য কদর বাড়ে ওদের! একদিনে আয় পাঁচ-আট হাজার টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের হাত ধরে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নতুন কোনও শিল্প না এলেও বোমা তৈরির কারবার কুটির শিল্পের আকার নিয়েছে। এমনই অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের। ভোট এলেই বোমা তৈরির কারবারীদের কদর বাড়তে শুরু করে। প্রয়োজন মতো দর হাঁকিয়ে বসে। এমনিতেই দিন মজুরি বা কোথাও কাজ করে একদিনে এত টাকা পাওয়া যায় না, একদিন বোমা তৈরি করে যা রোজগার হয়।

    বোমা তৈরি করতে একদিনে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা আয় (Murshidabad)

    পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার একাধিক ব্লকে বোমা মজুত করা শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শাসক দলের মদতেই এই কারবার চলে। আর বোমা তৈরির কারবারিরাও নিজেদের মতো দর হেঁকে বসে। যার কাজের হাত যত ভালো, তার রেটও বেশি। তবে, বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই জেলায় ঘটেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে দুজন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। আর সামশেরগঞ্জ, বেলডাঙা, রেজিনগর সহ জেলার একাধিক এলাকায় বোমা মজুত রয়েছে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রচুর বোমা বাজেয়াপ্ত করে। জানা গিয়েছে, বোমা তৈরির জন্য কারবারীদের পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা একদিনে মজুরি দেওয়া হয়। লোভনীয় অর্থের জন্যই অনেকেই বোমা তৈরির কারবারে নামও লেখায়। আর কয়েক মাস পর লোকসভা ভোট। আর এই ভোট আসতেই আবার ওদের ডাক পড়তে শুরু করেছে। পুলিশ কড়া নজরদারি না দিলে এই সব কারবারীরা রমরমিয়ে বোমা তৈরির কাজ শুরু করবে। এমনিতেই এই জেলায় বোমা তৈরি কুটির শিল্পের আকার নিয়েছে, ভোটের আগে এই কারবার আরও জড়ালো হবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পরিত্যক্ত বোমা প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা থাকে। পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এলাকার মানুষ দেখতে পান না। জানতে পারেন না কে বা কারা ওই বোমা রেখে যায়। কিন্তু, পুলিশ জানতে পারে যে সেখানে বোমা রয়েছে। পুলিশ এসে সেই বোমা উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর মিলেছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধী ধরা পড়ে না। কখনও পুলিশ অনেক পরে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে। পুলিশ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই কারবার বন্ধ করা সম্ভব হয়। কিন্তু, পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share