Tag: West Bengal

West Bengal

  • Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

    Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার সময় যত গড়িয়েছে ততই পরিষ্কার হয়ে উঠছে এই খুনের কারণ। গত সোমবার বাড়ির কাছেই খুন হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। এরপর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় জয়নগর এলাকায়। তবে নেতা খুনের ঘটনায় দলুয়াখাঁকির যোগ রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। এই গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আনিসুর লস্কর এমনটাই পুলিশ সূত্রে দাবি। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর করা হয়েছিল তাতে নাম আছে তার। তাঁর বাড়ি দলুয়াখাঁকি এলাকায়। তিনি এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত। নদিয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেখানেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

    কেন খুন করা হল সইফুদ্দিনকে? (Jaynagar)

    পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সুপারি কিলার দিয়েই জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাই, সবকিছুই পরিকল্পনা মতো হয়েছিল। কারণ হিসেবে উঠে আসছে দুটি তথ্য- ১) ক্রমশ এলাকায় সইফুদ্দিন শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। এমনকী তিনি শাসকদলের নেতা হওয়ায় এলাকায় বিরাট অট্টালিকা থেকে শুরু করে প্রচুর টাকা-পয়সা করে ফেলেছিলেন। ২) একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ঝামেলা চলছিল। এমনকী পারিবারিক বিবাদও ছিল দীর্ঘদিনের। এমনটাই মনে করছে পুলিশ। প্রায় ১ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই জয়নগর, বকুলতলা, কুলতলি, বারুইপুর, মন্দিরবাজার পুলিশ অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী একটি স্পেশাল পুলিশ টিমও গঠন করা হয়েছে। টিমের মাথায় রয়েছেন পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ।

    খুন কাণ্ডে বড় ভাইয়ের নাম সামনে আসছে, কে সে?

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত সাহারুল লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদে যে বড় ভাইয়ের নাম উঠে এসেছে, সেই বড় ভাই কে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত জয়নগর (Jaynagar) খুন কাণ্ডে পুলিশের সামনে নাসির হালদার এবং আলাউদ্দিন নামে দুজনের নাম সামনে এসেছে। এই আলাউদ্দিন নাকি নাসির বড় ভাই, তা এখনও পর্যন্ত  পুলিশ তা জানতে পারেনি। তবে, দুজনের বাড়ি মন্দিরবাজার থানার টেকপাঁজা এলাকায় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ধৃত সাহারুল ঘটনার পর চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা মোতালেফ নামে যে ব্যক্তির বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল তিনিও এলাকায় সিপিএম কর্মী বলেই পরিচিত। তবে, ঘটনার পর থেকে সবাই ঘরছাড়া রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, এরা একদিকে যেমন সিপিএম কর্মী বা সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত ছিল, ঠিক তেমনি কেউ দর্জির কাজ, আবার কেউবা ফেরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এই ঘটনায় যে সমস্ত অভিযুক্তের নাম উঠে আসছে তা তাদের সঠিক নাম কিনা তা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি পারিবারিক শত্রুতার কারণে খুন করা হয়েছে সইফুদ্দিনকে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অবহেলিত বুনিয়াদপুর স্টেশনের শ্রী ফেরাতে উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অবহেলিত বুনিয়াদপুর স্টেশনের শ্রী ফেরাতে উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে রেল প্রকল্পকে সামনে রেখে প্রচারে নামলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ করেছে রেল। লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলায় রেলের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের হস্তক্ষেপে খুব শীঘ্রই রেলের উন্নয়নমূলক কাজের শুভারম্ভ হবে, এমনটাই প্রচার চলছে জেলাজুড়ে।

    বুনিয়াদপুরে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে?

    জেলার মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন অবহেলিত। এখনও দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম না থাকার কারণে ট্রেন থেকে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে নামতে হয়। বুনিয়াদপুরে রেলের জমিতে ওয়াগন ফ্যাক্টরি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনই দুরপাল্লার ট্রেন ধরতে কুশমণ্ডি, হরিরামপুর ও বংশিহারি ব্লকের মানুষের একমাত্র ভরসা। রেল স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের খবর জানাজানি হতেই খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে। বুনিয়াদপুর স্টেশনের দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য ৩.৩২ কোটি ও ফুটব্রিজ তৈরির জন্য ৯.১৯ কোটি সহ প্রায় ১৩ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের তরফে এই উন্নয়নের কাজ করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই স্টেশন উন্নয়নে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় সাংসদের (Sukanta Majumdar) উদ্যোগেই এবার শ্রী ফিরতে চলেছে স্টেশনের।

    রেল প্রকল্পের কাজ নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এর আগে তৃণমূলের সাংসদ শুধু পার্লামেন্টে গিয়েছেন, জেলার মানুষের জন্য কিছুই করেননি। জেলার মানুষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে, আমি বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের মানোনয়ন্ত্রের জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে দরবার করি। আমার জেলার মানুষ যেন ভালো রেল পরিষেবা পান সেটা তুলে ধরি। রেলমন্ত্রী আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। তৃণমূল একে লোকসভা ভোটের প্রচার বলছে। তাদের সাংসদ করতে পারেননি কেন? আর আমরা দায়িত্ব নিয়ে করে দেখিয়ে দিলাম। কেন্দ্রকে দিয়ে জেলায় রেলের আরও উন্নয়নমূলক কাজ করাব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, সাংসদের এটা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) এর কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। আমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি এতদিন করতে পারেননি কেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন চমক দিয়ে কোনও লাভ নেই। জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। আর সাংসদ জেলায় থাকেন না। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তিনি কী বুঝবেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: রাস্তা আটকে চাঁদা আদায়! প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাথা ফাটল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের

    Jalpaiguri: রাস্তা আটকে চাঁদা আদায়! প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাথা ফাটল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির আংরাভাসা এলাকায়। ক্লাবের ছেলেদের হাতে আক্রান্ত হন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়া ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির আংরাভাসা এলাকায় একটি ক্লাবে কালীপুজোর অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় ক্লাবের সদস্যরা এশিয়ান হাইওয়েতে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তুলছিলেন। এর ফলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। তাতে আটকে যায় জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়ার গাড়িও। তাঁর নিরাপত্তারক্ষী গাড়ি থেকে নেমে বিষয়টি দেখতে গেলে চাঁদা আদায়কারীরা তাঁর ওপর চড়াও হন। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজে গাড়ি থেকে নেমে নিরাপত্তারক্ষীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জেরে এলাক জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

    কী বললেন আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিক?

    জখম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াংডেন বলেন, বেশ কয়েকজন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে টাকা তুলছিল। রাস্তায় যানজট হচ্ছে বলে আমার নিরাপত্তারক্ষী বিষয়টি দেখতে যান। ওরা তাঁকে মারধর করে। চোখের সামনে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করতে দেখে আমি তাঁকে বাঁচাতে যাই। ওরা আমার উপর চড়াও হয়।

    জেলার পুলিশ সুপার কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার পুলিশ সুপার খান্ডবহালে উমেশ গণপত বলেন,  রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় করা অন্যায়। তারপর পুলিশ আধিকারিকের উপর চড়াও হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Asansol: নতুন বছরের শুরুতে পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সংস্কারের উদ্যোগ, তালিকায় কাদের নাম রয়েছে জানেন?

    Asansol: নতুন বছরের শুরুতে পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সংস্কারের উদ্যোগ, তালিকায় কাদের নাম রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে আসানসোল (Asansol) ডিভিশনের পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল রেলমন্ত্রক। অমৃত ভারত প্রকল্পে এই উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রক অর্থ অনুমোদনও করেছে। আর সেই সব স্টেশনে কাজ শুরু হওয়ার পথে। নতুন করে পাঁচটি স্টেশনকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়ায় এলাকাবাসীও খুশি।

    ঢেলে সংস্কার করা হচ্ছে কোন পাঁচটি স্টেশন? (Asansol)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের আসানসোল (Asansol) ডিভিশনের আসানসোল, রানিগঞ্জ, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর এবং ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি-এই পাঁচটি স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ নতুন বছরের গোড়া থেকে শুরু হবে। এর জন্য রেল মন্ত্রক প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যেই আসানসোল স্টেশনে কাজ শুরু হয়েছে। শুরুতে অমৃত ভারত প্রকল্পে রানিগঞ্জ স্টেশনের নাম ছিল না। অথচ এই স্টেশন ১৮৫৫ সালে তৈরি হয়েছিল। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল পর্যন্ত রেল চালু হওয়ার পর তা সম্প্রসারণের কাজ বর্ধমান হয়ে রানিগঞ্জ পর্যন্ত হয়েছিল। তাই, এলাকার মানুষ, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সরব হন। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। পরে এই স্টেশনের নাম নথিভুক্ত করা হয়।

    কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে?

    রেল সূত্রে খবর, রানিগঞ্জে চলমান সিঁড়ি, লিফ্‌ট, আধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পাণ্ডবেশ্বরে সৌন্দর্যায়ন, অন্ডালে লিফ্‌ট, চলমান সিঁড়ি, ফুট ওভারব্রিজ তৈরি হবে। পাশাপাশি, পাণ্ডবেশ্বর লাগোয়া ঝাঁঝরা, সোনপুর বাজারি খনি থেকে রেলের রেকে প্রচুর পরিমাণে কয়লা পরিবহণ করা হয়। তাই পাণ্ডবেশ্বর স্টেশনটির পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নেরও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। আর এই কাজের জন্য রানিগঞ্জের জন্য ৩৫ কোটি, পাণ্ডবেশ্বর স্টেশনের জন্য ২১ কোটি, অন্ডালের জন্য ২০ কোটি এবং কুমারডুবি স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, প্রথম ধাপে আসানসোলের (Asansol) সঙ্গে বাকি চারটি স্টেশনের কাজও চলবে। নতুন বছরেই কাজ শুরু হবে। আসানসোল রেল ডিভিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল কুমারডুবি। সেখানে নতুন স্টেশন ভবন, অত্যাধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়, দু’টি চলমান সিঁড়ি, লিফট তৈরি করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: অফিসের চাপ! মুর্শিদাবাদে আত্মহত্যার চেষ্টা সিভিক ভলান্টিয়ারের

    Murshidabad: অফিসের চাপ! মুর্শিদাবাদে আত্মহত্যার চেষ্টা সিভিক ভলান্টিয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরির চেষ্টা করেও মেলেনি চাকরি। পরে, সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পান মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের ইস্তাক আহমেদ রেজা ওরফে পলাশ। কাজ পেয়ে এতদিন ঠিকঠাক ডিউটি করছিলেন। যা বেতন পেতেন ঘরের খেয়ে চলে যেত। আচমকাই তাঁকে বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে ডিউটি দেওয়া হয়। আর তাতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। কারণ, সিভিকদের যা বেতন দেওয়া হয় তাতে বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়া সম্ভব নয় বলে সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের লোকজনেক দাবি। গ্রাস করেছিল মানসিক অবসাদ। বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।

    সিভিক ভলান্টিয়ারের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার ইস্তাক আহমেদ রেজা ওরফে পলাশ বহুদিন ধরেই নিজের এলাকা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলে সিভিক হিসেব কাজ করছিলেন। স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। মাসিক বেতন ৯ হাজার টাকা। গত ১০ নভেম্বর থেকে বহরমপুরে ডিউটি করতে হবে তাঁকে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বক্তব্য, ওই বেতনে প্রতিদিন গাড়ি ভাড়া দিয়ে ডোমকল থেকে বহরমপুর গিয়ে ডিউটি করা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। আর আমি যা বেতন পাই, তাতে ঘর ভা়ড়া করে পরিবার নিয়ে থেকে খরচ চালানোর অবস্থা নেই। আমার সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরে আমি বাড়ির কাছাকাছি ডিউটি করতে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তাঁদের অনুরোধ করেছিলাম। সেকথা বারবার বলা সত্ত্বেও কেউ পাত্তা দেয়নি। আসলে আমি ভাল বেতন পেলে যে কোনও প্রান্তে যেতে পারি। কিন্তু, যা বেতন দেয় তাতে বদলি করার কোনও মানে হয় না। তাই, আমি বহরমপুরে ডিউটি করতে যাইনি। না যাওয়ায় আমাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে খাতায়। মঙ্গলবার ডোমকল থানায় ফের ডিউটি পরিবর্তন করার আর্জি জানাতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়।  তাতে মানসিকভাবে আমি ভেঙে পড়ি। জানা গিয়েছে, এরপরই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি  সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ৪ দিনের জেল হেফাজত বালুর, মন্ত্রীর নির্দেশেই ৩ সংস্থার ডিরেক্টর হন স্ত্রী ও কন্যা, দাবি ইডির

    Ration Scam: ৪ দিনের জেল হেফাজত বালুর, মন্ত্রীর নির্দেশেই ৩ সংস্থার ডিরেক্টর হন স্ত্রী ও কন্যা, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হল প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) গ্রেফতারের পরে ১৪ দিনই ইডি হেফাজতে ছিলেন বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদনও জানাননি তাঁর মক্কেলের। তবে মন্ত্রীর স্বাস্থ্যের যে অবনতি হয়েছে তা এদিন দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী। অন্যদিকে ইডির দাবি, জেরার মুখে জ্যোতিপ্রিয় স্বীকার করেছেন ৩ সংস্থার ডিরেক্টর পদে তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে তিনিই বসিয়েছিলেন।

    আদালতে কী বললেন ইডির আইনজীবী?

    প্রসঙ্গত, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের পর জ্যোতিপ্রিয়কে আগামী সোমবার আদালতের সামনে হাজির করানোর কথা ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তবে ঠিক তার একদিন আগে রবিবারই তাঁকে পেশ (Ration Scam) করা হয় আদালতে। এখানেই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির আইনজীবী জানান, জ্যোতিপ্রিয়র নির্দেশেই তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাকে তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার কাছে একথা স্বীকারও করেছেন মন্ত্রী। অন্তত এমনটাই দাবি ইডির আইনজীবীর। এর পাশাপাশি ওই তিন সংস্থা যে জ্যোতিপ্রিয় নিজেই চালাতেন একথাও স্বীকার করেছেন মন্ত্রী। ইডির মতে, জ্যোতিপ্রিয়কে এখনও জেরা করা বাকি রয়েছে। কারণ বেশ কিছু বিষয় এখনও তদন্তে উঠে আসতে পারে বলে ধারনা কেন্দ্রীয় সংস্থার। তাই পরবর্তী জেরা তারা জেলে গিয়েই করতে চায়। এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘আমরা জানি কী করতে হবে। অভিযুক্ত রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী। তাই তদন্ত সংক্রান্ত কোনও তথ্য বাইরে এলে সমস্যা হবে। আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সে বিষয়ে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ (Ration Scam) করা প্রয়োজন।’’

    কী জানাল আদালত?

    আদালত এদিন জানিয়েছে, রবিবার বাড়ির দেওয়া খাবারই খেতে পারবেন মন্ত্রী। তবে বেসরকারি হাসপাতালের তরফে মন্ত্রীকে যে ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তা জেলে পাওয়া যাবে কিনা সে রিপোর্ট সোমবারই দেবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিন ইডি আধিকারিকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিড়বিড় করে মন্ত্রীকে (Ration Scam) বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি মরে যাব, অবস্থা খুব খারাপ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘৯০ শতাংশ তৃণমূল কার্যালয় খোলে না’, দলীয় সভায় আক্ষেপ করলেন অর্জুন

    Arjun Singh: ‘৯০ শতাংশ তৃণমূল কার্যালয় খোলে না’, দলীয় সভায় আক্ষেপ করলেন অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে কর্মীদের রাজনীতির পাঠ শেখালেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শুক্রবার শ্যামনগরের সুব্রত পল্লিতে তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অর্জুন।  তাঁর কথায়, আগামিদিনে নির্বাচন আছে। শত্রুকে কোনও দিন কমজোরি ভাববেন না। শত্রু কখনও কমজোরি হয় না। আর আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় না। যদি বুথে কর্মী সঠিক না থাকেন, ভোটার লিস্ট যদি আপনাদের মুখস্থ না থাকে, কে বিরোধী রাজনীতি করেন, তা যদি বুঝতে না পারেন, তা হলেই সমস্যা। মানুষের সঙ্গে ব্যবহার ঠিক রাখতে হবে।

    বিজেপি থেকে অনেক কিছু শিখেছি, স্বীকার অর্জুনের (Arjun Singh)

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, রাজনীতিতে সব সময় শিখতে হয়। আমি ভোট করতে শিখেছি। কংগ্রেস থেকে শিখে এসেছি। এমনকী, ভোটের রাজনীতি করতে গেলে বিজেপির কাছেও অনেক শিখতে হয়েছে। আমি শিখেছি। জ্ঞান নিতে গিলে মাস্টারমশাইয়ের জামার কলার ধরলে হবে না। মাস্টারমশাইকে প্রণাম করতে হবে। হাতজোড় করে জ্ঞান নিতে হবে।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা নিয়ে কী বললেন অর্জুন

    অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, এজেন্সির সঙ্গে লড়তে গেলে নিজেদেরও ঠিক থাকতে হবে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী চলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপ করবেন, সেই অনুযায়ী আমাদের সবাইকে চলতে হবে।“দলের কিছু সদস্যের জন্য যদি সবাই অসুবিধার মধ্যে পড়েন, আমি মনে করি, সেই লোককে দলে না রাখাটাই ভাল। যে লোকটা দু’দিন আগে মানুষকে ভয় দেখিয়েছে, সেই মানুষ যদি বুথে বসে থাকে, মানুষ অন্য কাউকে ভোট দেবেন। তাই আমাদের নজর রাখতে হবে। কোনও নাককাটা, গালকাটা বা কানকাটাকে বুথে বসতে দেওয়া যাবে না। সভ্য, ভদ্র মা-দিদি কাউন্সিলর যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বুথে ফিরিয়ে আনুন।

     তৃণমূলের ৯০ শতাংশ পার্টি অফিস খোলেই না, আক্ষেপ অর্জুনের

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, এখন তো আমরা পানের দোকান, চায়ের দোকানে বসতেই ভুলে গিয়েছি। পাড়ায় আড্ডা মারছি না। ভেবে নিয়েছি, সবাই আমাদের ভোট দিয়ে দেবেন। আমাদের এই অঞ্চলে ৯০ শতাংশ পার্টি অফিস খোলেই না। কিন্তু অফিসে বসুন। সময় দিন। আমি কিন্তু এলাকায় থাকলে অফিসে বসি। মানুষের সমস্যা শুনতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সরকারি বস্তা কেটে আটা বের করে বাজারে বিক্রি! কালোবাজারি ধরলেন বিজেপি সাংসদ

    Nadia: সরকারি বস্তা কেটে আটা বের করে বাজারে বিক্রি! কালোবাজারি ধরলেন বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্যে একাধিক রেশন ডিলার, রাইস মিল মালিকের বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে। বহু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন ইডি হেফাজতে। এরইমধ্যেই নদিয়ার (Nadia) বীরনগরে এক ব্যক্তির বাড়ির কলাবাগানের ভেতর থেকে উদ্ধার শয়ে শয়ে রেশনের আটার বস্তা উদ্ধার হয়েছে। যাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে  নদিয়ার তাহেরপুর থানার বীরনগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরক ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) বীরনগরের প্রশান্ত পাল নামে এক ব্যক্তি এলাকারই বেশ কয়েকটি রেশন ডিলারের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতেন। আগে পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন। রেশন সামগ্রীর কালোবাজারি করে হঠাৎই ফুলে ফেঁপে ওঠে। শনিবার ওই ব্যক্তির বাড়ির কলাবাগানে প্যাকেটে সরকারি সিল মারা আটার বস্তা পাওয়া যায়। পাশাপাশি কয়েকশো খালি বস্তাও পাওয়া যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি সরকারি শিলমারা আটার বস্তা থেকে আটা বের করে লোকাল ব্র্যান্ডের স্টিকার মেরে তা খোলা বাজারে তা বিক্রি করত বলে অভিযোগ। আজ ওই ব্যক্তির কুকীর্তি সকলের নজরে পড়ে। এরপরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এরপর রেশন দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি সাংসদ। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এছাড়াও অভিযুক্ত প্রশান্ত পাল নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, রেশন দুর্নীতি কোন পর্যায়ে গিয়েছে এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তবে, প্রশান্তের মতো রাজ্য জুড়ে রেশন চুরির বড় চক্র রয়েছে। আমরা না আসলে পুলিশ এই বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দিত। আমরা এই চক্রের সঙ্গে যে বার যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: ক্লাবে এসে কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর নির্মাণের কাজ বন্ধ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Raiganj: ক্লাবে এসে কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর নির্মাণের কাজ বন্ধ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর চাঁদা দিতে ক্লাব প্রাঙ্গনে না আসায় রায়গঞ্জের এক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ীর বহুতল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত এক পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ (Raiganj) থানায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের পাশাপাশি বণিক সংগঠনের কাছেও পাঠিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহর জুড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Raiganj)

    রায়গঞ্জের (Raiganj) ওই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ আগরওয়াল পুলিশের কাছে করা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়ায় অবস্থিত ‘বয়েজ সুকান্ত’ ক্লাবের সভাপতি সহ কয়েকজন সদস্য তাঁর অফিসে এসে আন্তরিকতার সঙ্গে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে চাঁদা দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই প্রস্তাবে রাজিও হন এই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লাবের কয়েকজন যুবক তাঁর নির্মীয়মান বহুতলে আসেন। সংস্থার ম্যানেজারের কাছে পুজোর চাঁদার বিষয়ে জানতে চান। ম্যানেজারের ফোন থেকে ক্লাবের এক সদস্য জয়প্রকাশবাবুকে ফোনে জানান, পুজোর চাঁদা ক্লাবে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন জয়প্রকাশবাবু। চাঁদার জন্য নিজের অফিসে ক্লাব সদস্যদের আসতে বলেন তিনি। এরপরেই ক্ষুব্ধ ক্লাব সদস্যরা কর্মরত শ্রমিকদের জোর করে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। বন্ধ হয়ে যায় বহুতল নির্মাণের কাজ। জয়প্রকাশ বাবুকে বলা হয় পুনরায় কাজ শুরু করতে হলে ক্লাবের মূল কর্মকর্তা রন্তু দাসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ততক্ষন বন্ধ থাকবে বহুতল নির্মাণের কাজ। উল্লেখ্য, রন্তুবাবু জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতির পাশাপাশি পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা ও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর অতি ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

    কী বললেন ব্যবসায়ী?

    এদিন জয়প্রকাশবাবু বলেন, হুমকির মুখে স্থানীয় শ্রমিকেরা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এতো বড় প্রজেক্ট। নিয়ম মেনে রেজিষ্ট্রেশন, প্ল্যান পাস, জি এস টি সহ সমস্ত টাকা সরকারকে দিয়েছি। তারপরেও এধরণের ঘটনা ঘটলে কী ভাবে কাজ করবো? কাজ যাতে পুনরায় শুরু করতে পারি সেজন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা চাইছি।

    তৃণমূল পরিচালিত ক্লাব কমিটির কর্মকর্তার কী বক্তব্য?

    যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সভাপতি নব্যেন্দু ঘোষ। তিনি বলেন,আমাদের ক্লাব কখনও চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি করে না। স্বেচ্ছায়,ভালোবেসে যে যা চাঁদা দেয় সেটাই নেওয়া হয়। জয়প্রকাশবাবু যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dakshin Dinajpur: শান্তির বার্তা নিয়ে সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই

    Dakshin Dinajpur: শান্তির বার্তা নিয়ে সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এই বার্তাকে সামনে রেখে গোটা ভারতবর্ষ ভ্রমণের পর এবার বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে বের হলেন দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার তপন ব্লকের বাদ শংকরের যুবক মাধাই পাল। জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ওই যুবক সাইকেলে করে যাত্রা শুরু করেন। আপাতত সার্কভুক্ত দেশগুলিতেই যাওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে ওই যুবকের। সাইকেল নিয়ে যাত্রার একটাই উদ্দেশ্য, যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এই বার্তা পৌঁছে দিতে এই যাত্রা বলে ওই যুবক জানিয়েছেন।

    সাইকেল চড়ে দেশ ভ্রমণ করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই (Dakshin Dinajpur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধাই পেশায় গাড়ি মিস্ত্রী। করোনার সময় প্রথম মাথায় আসে সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমণের। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণে। গত দুই বছরে সাইকেলে করে দেশ ভ্রমণ করেন। এরপর বাড়িতে কিছু দিন থেকে, এখন দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) থেকে বিশ্ব ভ্রমণে উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিয়েন তিনি। বিশ্ব ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে শান্তির বার্তা দিতে চান মাধাই। অনেক সময়ের ব্যাপার। তবু যতদিন শরীরে ক্ষমতা থাকবে বিশ্বের সার্কভুক্ত দেশ ঘুরবেন বলেই মাধাই জানিয়েছেন। এদিকে তার এই যাত্রাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন জেলাবাসী। এবিষয়ে মাধাই পাল বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছে। সেটা শুধুমাত্র সাইকেলেই। সাইকেল ইকো ফ্রেন্ডলি। তাই সাইকেলেই নানা দেশ দেখার ইচ্ছা। এছাড়াও সব দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আজ বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হলাম। এর আগে আমি ভারতবর্ষের সব জায়গায় সাইকেল নিয়ে ভ্রমণ করেছিলাম।

    কী বললেন সাইকেল আরোহীর মা?

    এবিষয়ে ওই যুবকের মা অঞ্জলী পাল বলেন, এর আগে আমার ছেলে ভারতবর্ষ ঘুরে বেরিয়েছে। এবার অন্যদেশে ভ্রমণ করতে বের হলেন। এনিয়ে একটু চিন্তা হচ্ছে। তবে, ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি ছেলে যেন তাঁর লক্ষ্যপূরণ করে বাড়ি ফিরতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share