Tag: West Bengal

West Bengal

  • Fraud: স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা! অভিযুক্ত এডিআই

    Fraud: স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা! অভিযুক্ত এডিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক তৃণমূল নেতা জেলের ঘানি টানছেন। এর মধ্যেই স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা (Fraud) করার অভিযোগ উঠল অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বা এডিআইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আধিকারিকের নাম বনমালী জানা। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিতের (Fraud) নাম রূপা পাঁজা সামন্ত। তাঁর বাড়ি উলুবেড়িয়ার হিরাগঞ্জ এলাকায়। তাঁর স্বামী অচিনকুমার সামন্ত উলুবেড়িয়ার একটি হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তাঁর সঙ্গে বনমালীর পরিচয় ছিল। ২০১৬ সালে তিনি স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে পরীক্ষার ফল বেরোয়। উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। স্ত্রীর চাকরির বিষয়ে বনমালীর সঙ্গে কথা বলতেই তিনি জেলা অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের ‘কোটা’য় চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ২০২১ সালের প্রথম দিকে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাঁরা। কিন্তু, পুরো টাকা না দিলে নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না বলে বনমালী জানানোয় তাঁরা টাকা ধার করে ও গয়না বিক্রি করে বাকি টাকা জোগাড় করে দেন। ২০২১-এর শেষ দিকে কুলগাছিয়া শ্রীকৃষ্ণপুর চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলে গ্রুপ-ডি পদে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে সুপারিশপত্র দেন বনমালী। সেই চিঠি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাভ হয়নি। এই ধরনের কোনও নির্দেশ বা চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষ পাননি বলে জানান ওই প্রধান শিক্ষক। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ইতিমধ্যেই তিনি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, মহকুমা শাসক ও পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    প্রতারিতের কী বক্তব্য?

    প্রতারিত রূপাদেবী বলেন, সুপারিশপত্রে কাজ হচ্ছে না, বনমালীবাবুকে একথা জানালে তিনি নিজে গাড়ি করে সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে নিয়ে যান। সেখানে নিজে হাতে একটি আবেদনপত্র জমা দেন। পরে বারবার নিয়োগপত্র পাওয়ার আশ্বাস দেন। শেষে এবার পুজোর পরে নিয়োগপত্র পাব বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু পাইনি। প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি জানতে পেরে এখন বনমালীবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে হুমকি শুনতে হচ্ছে। টাকা নেওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করছেন।

    অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বনমালীবাবুর বক্তব্য, ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল, এই সুযোগ নিয়ে আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। চাকরি সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু জানা নেই। এই বিষয়ে কোনও কথা বলব না। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অজয় পাল অবশ্য বলেন, বনমালীবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে। তদন্তও শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা! পাচারের আগেই ১০ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত

    BSF: সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা! পাচারের আগেই ১০ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে সোনা পাচারচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে, বিএসএফের কড়া নজরদারির কারণে বার বারই পাচারকারীরা ধরা পড়ছে। এবারও ৬ কেজি ৭০০ গ্রাম সোনার বিস্কুট সহ এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করল বিএসএফ (BSF)। ধৃতের নাম আজর মণ্ডল। তার বাড়ি বাগদার রাজকোল এলাকায়। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার রণঘাট এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচারকারী আজর একটি  বাইকে চেপে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দিক থেকে রণঘাট এলাকায় আসছিল। তার কোমরে কাপড়ে বাঁধা ছিল সোনার বিস্কুট। বাগদায় এক ব্যক্তির কাছে সেগুলি তার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। বাগদার রণঘাট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা আগেই খবর পেয়েছিলেন, ওই রাস্তা দিয়ে রাতে বিপুল অঙ্কের সোনা পাচার হবে। স্বাভাবিকভাবে রাস্তায় বাড়ানো হয় নজরদারি। ওই পাচারকারীকে নিরাপত্তা দিতে আরও একটি মোটরবাইকে একজন পিছু নিয়েছিল। রাত ১১টা নাগাদ ওই যুবক রণঘাটের রাস্তা দিয়ে বাগদা রোডের কাছে পৌঁছয়। তখন জওয়ানরা মোটরবাইকটি ঘিরে ফেলেন। ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করছিল। রিভলভার বের করতেই সে ধরা দিতে বাধ্য হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে সোনার বিস্কুটগুলি উদ্ধার করা হয়। তারপর তল্লাশি করতেই যুবকের কোমরে বাঁধা কাপড়ের বেল্ট থেকে ১৭টি সোনার বার উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেও পেট্রাপোল সীমান্তে খালি ট্রাক থেকে ছোট্ট মাপের ৬০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই ট্রাকের চালককে। কিন্তু তাতেও সোনা পাচার কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে সীমান্তবর্তী থানাগুলির ভূমিকা নিয়েও।

    বিএসএফের আধিকারিক কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের এক আধিকারিক বলেন, ‘সোনা পাচারের সময় একজনকে ধরা হয়েছে। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। পাচারকারীর মোটরবাইকটি আটক করা হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ছিটে বেড়ার বাড়ি থেকে অট্টালিকা! উল্কার গতিতে উত্থান রেশন ডিলার নিতাইয়ের

    ED: ছিটে বেড়ার বাড়ি থেকে অট্টালিকা! উল্কার গতিতে উত্থান রেশন ডিলার নিতাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই রাজ্যের একাধিক জায়গার পাশাপাশি রানাঘাটে রেশন ডিলার নিতাই ঘোষের চালকলে ইডি (ED) হানা দেয়। শুধু চালকল নয়, রানাঘাট শহরের ওল্ড বহরমপুর রোডের পাশে থাকা অট্টালিকার মতো বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিতেই নিতাই ঘোষকে নিয়ে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।

    কে এই নিতাই ঘোষ? (ED)

    ছোট একটা বেড়ার ঘরে বাবার সঙ্গে গরুর গাড়ির চাকা তৈরির কাজ করতেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় রানাঘাট শহরের রেশন ডিলার বিশ্বনাথ পালের দোকানের কর্মী ছিলেন নিতাই। অল্প দিনের মধ্যেই পাল পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করেন তিনি। তারপর রেশন ডিলারের লাইসেন্সও হাতে আসে নিতাইয়ের। শুরু হয় রেশন সামগ্রীর ব্যবসা। এক সময়ে বিশ্বনাথ ও নিতাই যৌথ ভাবে ব্যবসা করতেন। পরে নিতাই নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন ও ব্যবসা বাড়িয়ে অন্যান্য রেশন ডিলারদের নিজের ছত্রচ্ছায়ায় নিয়ে আসেন। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, যৌথ ভাবে ব্যবসা করার সময় থেকেই রেশন সামগ্রী কালোবাজারি করার কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় খাদ্য সরবরাহ দফতরের দেওয়া রেশন সামগ্রীর বদলে নিম্নমানের সামগ্রী উপভোক্তাদের দেওয়ার অভিযোগ ছিল। রাস্তার পাশে তাঁদের গরুর গাড়ি চাকা তৈরি করার ভাঙাচোরা ঘরটা এখনও রয়েছে। তার পাশেই উঠেছে তিনতলা বাড়ি। বছর আটেক আগে আনুলিয়ায় চালকল তৈরি করে ব্যবসার পরিধি বাড়ান নিতাই। রানাঘাট রেল বাজারে তাঁর পাইকারি মুদির দোকানও রয়েছে। বর্তমানে রেশন সামগ্রীর ব্যবসা ছাড়াও চালকলের মালিক সেই নিতাই ঘোষই। এমনকী তিনি এখন পশ্চিমবঙ্গ এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের রানাঘাট শাখার সম্পাদকও।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রেশন সামগ্রী নিয়ে অবৈধ কারবার করার জন্য বাম জামানা থেকেই পুলিশ, প্রশাসন ও নেতাদের হাত ছিল তাঁর মাথায়। সরকার বদলের পর শাসক দলের নেতাদের হাত ছিল তাঁর মাথায়। তবে, তিনি কখনও কোনও দলের সামনে আসতেন না। টাকার জোগান দিয়ে নেতাদের মুঠোয় রাখতেন তিনি। ফলে, তাঁকে খুব বেশি কেউ চিনত না। তবে, সামান্য রেশন দোকানের কর্মী থেকে তাঁর উল্কার গতিতে উত্থান নিয়ে এলাকায় চর্চা ছিল। ইডি (ED) তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই তিনি ফের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য! ভেঙে পড়তে পারে দুই রাজ্যের সংযোগকারী সেতু, হুঁশ নেই প্রশাসনের

    Birbhum: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য! ভেঙে পড়তে পারে দুই রাজ্যের সংযোগকারী সেতু, হুঁশ নেই প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই বীরভূম (Birbhum) জেলায় ঝাড়খন্ড লাগোয়া সেতুর কাছেই নদী থেকে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন। ফলে, ফাঁকা হয়ে গিয়েছে সেতুর পিলারের নিচের অংশ। পিলারের তলা থেকে বালি ও মাটি সরে যাওয়ায় বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বাংলা ও ঝাড়খন্ডের সংযোগকারী সেতু। সেতুটি ভেঙ্গে পড়লে সমস্যায় পড়বেন পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে যেকোনও সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

    প্রতিদিন নদী থেকে কত গাড়ি বালি তোলা হয়? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবুনি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ব্রাহ্মনী নদী। নদীর ওপারে ঝাড়খন্ডের পাকুড় জেলার পাখুড়িয়া থানার বেড়াশিমপুর গ্রাম। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ঝাড়খন্ডের যোগাযোগ করার জন্য ব্রাহ্মনী নদীর উপর গড়ে তোলা হয়েছে ব্রাহ্মনী সেতু। সেতু নির্মাণের সময় থেকেই দুই রাজ্যের প্রশাসন পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী বক্ষ থেকে বালি ও মাটি তোলার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু, সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন। এলাকাবাসীদের দাবী প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার থেকে ১২০০ ট্রাক্টর বালি তোলে মাফিয়ারা। ব্রাহ্মনী নদীর সেই বালি পাচার হচ্ছে রামপুরহাটের বিভিন্ন এলাকায়। দিনের বেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে বালি মাফিয়াদের রমরমা থাকলেও রাতের অন্ধকারে তাদের দাপট আরও বেড়ে যায়। বড় বড় ডাম্পারে করে রামপুরহাট থানার শালবুনী থেকে নারায়ণপুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে বালি বোঝায় গাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সেতুর কাছে থেকে বালি তুলতে বারণ করলেও আমাদের কথায় আমল দেয় না বালি মাফিয়ারা। উল্টে তাদের রক্তচক্ষুর শিকার হতে হয়। এরাজ্যের বালি মাফিয়াদের এতটাই দাপট যে তারা ঝাড়খন্ডের পুলিশের উপরেও চড়াও হতে পিছু পা হয় না। সেতুর কাছ থেকে বালি তোলা রুখতে আসা ঝাড়খন্ডের পাখুরীয়া থানার ওসির উপরেও বীরভূমের (Birbhum) শালবুনী এলাকার বালি মাফিয়ারা চড়াও হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে বালি মাফিয়াদের দাপটে মুখ বুজে থাকতে হয় আমাদের। তাছাড়া মাফিয়াদের পিছনে শাসকদলের মদত রয়েছে। ফলে, জেলার পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়। আমাদের দাবি, দুই রাজ্যের প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করে সেতুটিকে রক্ষা করুক।

    স্থানীয় বিধায়ক কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নদী থেকে বালি তোলার বিষয়টি  আমি জানি। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। নাহলে সেতুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সব স্তরে জানাব। প্রয়োজনে সেচমন্ত্রীকে বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল! প্রাণ কাড়ল চারজনের, বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Cooch Behar: দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল! প্রাণ কাড়ল চারজনের, বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতির হানায় বেঘরোরে প্রাণ গেলে চারজনের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি ও মাথাভাঙা এলাকায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির হামলায় যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন বুদেশ্বর অধিকারী (৫৯), আনন্দ বিশ্বাস (৬৫), জয়ন্তী সরকার (৪৬) এবং রেখারানি রায় (৬৮)। বুদেশ্বর ও আনন্দের বাড়ি শীতলকুচির টাউরিকাটা ও ভানুরকুঠিতে। বাকি দু’জনের বাড়ি মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের উনিশবিশায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    বন দফতরের অনুমান, জলদাপাড়া বা চিলাপাতার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তোর্সা নদী পেরিয়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) ঢুকে পড়ে হাতির দলটি। রাতভর চেষ্টা চালিয়েও হাতিগুলিকে ফেরাতে পারেননি বনকর্মীরা। পরে, দিনহাটা থেকে শীতলকুচিতে পৌঁছয় হাতির দলটি। সাতসকালে শীতলকুচি ব্লকের বড় গদাইখোড়া এলাকায় জমিতে কাজ করতে গিয়ে হাতির হামলার মুখে পড়েন আব্দুল মজিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি। শিবপুরে হাতির হামলায় মহম্মদ আলি নামে এক ব্যক্তি জখম হন । প্রত্যেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর পরে, গদাইখোড়া থেকে গাংধর হয়ে মাথাভাঙা ১ ব্লকের শিবপুরে ধরলা নদীর কাছে ছ’টি হাতির দল তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক সঙ্গে চারটি হাতি এক দিকে যায়। বাকি দু’টি দু’দিকে চলে যায়। এর পরেই মাথাভাঙা ২ ব্লকে ওই হাতির হামলায় দু’জনের মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, রেখারানি বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন। সে সময় হাতি তাঁকে পিষে দেয়। জয়ন্তী সরকার ছেলেকে ডাকতে বাইরে বেরিয়ে হাতির মুখে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হাতির হামলায় এক জন বনকর্মীও জখম হয়েছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    হাতির তাণ্ডবের কারণে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এমনভাবে হাতি কোচবিহারের (Cooch Behar) গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর ঘটনা খুব কম। তাই আরও পরিকল্পিত ভাবে মাঠে নামতে হত বন দফতরকে। পাশাপাশি, হাতির গতিপথ ধরে গ্রামে-গ্রামে সতর্কবার্তা দিতে হত। তা হলে বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু, বন দফতর তা করেনি। এই মৃত্যুর জন্য বন দফতরের গাফিলতি দায়ী।

    কী বললেন কোচবিহারের এডিএফও?

    কোচবিহারের এডিএফও বিজন নাথ বলেন, আচমকাই হাতির দলটি ঢুকে পড়ে কোচবিহারের (Cooch Behar) গ্রামে। অল্প সময়ে সব রকম চেষ্টা চালানো হয়েছে। তার পরেও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। নিয়ম মেনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: সৌমেন মহাপাত্রকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বললেন তৃণমূলের যুব নেতা, কেন জানেন?

    Tamluk: সৌমেন মহাপাত্রকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বললেন তৃণমূলের যুব নেতা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের কৃষক সমাবেশ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে সামনে চলে এল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা তমলুক (Tamluk) পুরসভার কাউন্সলির পার্থসারথি মাইতি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন ক্ষোভ তৃণমূল যুব নেতার? (Tamluk)

    একশো দিনের কাজ প্রকল্প, আবাস যোজনা-সহ কেন্দ্ৰীয় বিভিন্ন প্রকল্পে এই রাজ্যের প্রাপ্য টাকার দাবিতে তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে তমলুকে (Tamluk) কর্মসূচি নেওয়া হয়। তাতে সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা মন্ত্ৰী শ্ৰীকান্ত মাহাত, দলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এবং শহরের বিভিন্ন নেতৃত্ব ছিলেন। ওই সমাবেশে তমলুকের পুরপ্রধান, উপ- পুরপ্রধান, একাংশ কাউন্সিলরকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পার্থসারথি মাইতি। যা নিয়ে তিনি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

    কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের যুব নেতা?

    তৃণমূল যুব নেতা পার্থসারথিবাবু সমাজ মাধ্যমে সৌমেন মহাপাত্রের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আজ আছি কাল নেই। নোংরামি বন্ধ হোক। আমরা বিরোধী দলকে জেতাতে চাই না, হারাতে চাই।’ এরপরেই সৌমেনের নাম না করেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সভাপতি তুমি কার । তুমি তো জেলার সভাপতি। তুমি যে তমলুকের বিধায়ক। তোমার কাছে সবাই সমান। তুমি কি জানবে না, কেন নেই চেয়ারম্যান? কেন নেই ভাইস-চেয়ারম্যান। কেন নেই সব কাউন্সিলর?’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে চলুন। আপনার কাছে কর জোড়ে অনুরোধ, আপনি অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হবেন না।’

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের তমলুক (Tamluk) শহর সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া অবশ্য তৃণমূল এই যুব নেতার বিরুদ্ধে জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা জানিয়েছেন। চঞ্চল বলেন, ‘ওই যুব নেতা যেভাবে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সমাজ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন তা দল বিরোধী কাজ। এই বিষয়ে দলের জেলা সভাপতি ও রাজ্য নেতৃত্বকে অভিযোগ জানানো হবে।’ আর পার্থর মন্তব্য নিয়ে সৌমেন মহাপাত্র বলছেন, ‘দলের শাখা সংগঠনের কর্মসূচিতে কাকে ডাকা হবে, তা তাদের বিষয়। কিন্তু, সমাজ মাধ্যমে ওই যুব নেতৃত্ব এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। এ বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: গরু তুমি কার! প্রকৃত মালিক খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা পুলিশের, কী হয়েছে জানেন?

    Balurghat: গরু তুমি কার! প্রকৃত মালিক খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা পুলিশের, কী হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু তুমি কার! গরুর প্রকৃত মালিক খুঁজতে ঘুম ছুটেছে পুলিশের। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) থানা এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গরুর প্রকৃত মালিক কে, তার ফয়সালা করতেই গলদ ঘর্ম দশা পুলিশের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুর দাবিদার দুজন। দুপক্ষই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ একবার ফয়সালার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, দুপক্ষই গরুর সম্পর্কে গোপন কিছু কথা তুলে ধরা এবং প্রতিবেশীদের সাক্ষ্য দেওয়াতে পুলিশ আরও সমস্যায় পড়েছে। প্রকৃত গরুর মালিক কিভাবে  চিহ্নিত করা যাবে,  সেই বিষয়েও পুলিশকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিচ্ছেন। বালুরঘাট (Balurghat) শহরের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গোরু নিয়ে বিবাদ শুরু হয় মাস তিনেক আগে। গরুর আসল মালিক বলে যিনি দাবি করছেন সেই কল্পনা ঘোষ,  তার বাড়ির গরুগুলিকে ছেড়ে দিতেন মাঠে খাওয়ার জন্য।  সকালে গোরুগুলি ছেড়ে দেওয়া হলেও, প্রতিদিন রাতেই কল্পনা ঘোষের কংগ্রেসপাড়ার বাড়িতে ফিরে আসত গরুগুলি।  কিন্তু,  মাস তিনেক আগে অন্য গরুগুলি ফিরে এলেও, বিতর্ক তৈরি হওয়া গরুটি ফেরেনি। এরপর  তিনি খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। মাস কয়েক ধরে তিনি খোঁজাখুঁজির পর সেটাকে না পেয়ে, সম্প্রতি এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন বালুরঘাট শহরের নেপালি পাড়া এলাকার সাবিত্রী সাহার বাড়িতে  তাঁর গোরুটি বাঁধা রয়েছে। এর পর ওই বাড়িতে গিয়ে তাঁর  গোরুটি খুলে আনতে গেলে বাধা পান তিনি। যদিও ছেলেদের সহায়তায় জোর করে কল্পনা ঘোষ ওই গরুটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।

    দুই দাবিদারের কী বক্তব্য?

    কল্পনা ঘোষ নামে এক দাবিদার বলেন,  আমার বাড়ির এই  লাল সাদা রঙের গরুটিকে আমরা মাস তিনেক ধরে খুঁজে পাচ্ছিনা। দুদিন আগে খবর পেয়ে ওই সাবিত্রী সাহার বাড়ি থেকে গরুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এরপরেই সাবিত্রী বালুরঘাট (Balurghat) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আমাদের গরু বেঁধে রেখে, আবার আমাদের নামেই অভিযোগ করেছে।  সাবিত্রী সাহা নামে অন্য এক দাবিদার বলেন, লকডাউনের সময় আমি বাছুরকে মাঠে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপর থেকে সেটির কোনও হদিশ পাইনি। অবশেষে মাস কয়েক আগে বাছুরের কানে জন্মের দাগ রয়েছে, তা দেখেই চিনি। সেখান থেকেই বাড়িতে নিয়ে যাই। কিন্তু, আচমকা ওরা আমার বাড়ি থেকে জোর করে গরুটিকে নিয়ে গেল। তাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

    পুলিশের কী বক্তব্য?

    বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন,  ‘গরুর তো আর মালিকানার কাগজপত্র হয় না। দুজনই দাবি করছেন, গরুটি তাঁদের। এতেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি, বিষয়টি কী ভাবে সমাধান করা যায়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ দলদাস। শাসক দলের হয়ে কাজ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ করে বিরোধীরা। আর সেই শাসকদলের হয়ে সারা বছর ধরে কাজ করা পুলিশকে ‘ভেট’ দেওয়া হবে না, সেটা কি হয়! আর তাই এবার পুজোর সময় মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি দেবদূত গড়মের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন তৃণমূলের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। নবমীর রাতের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর এতে তৃণমূল এবং পুলিশ দুপক্ষই চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Malda)

    জলপাই পোশাকে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর আইসি দেবদূতবাবু। তাঁর দিকে হাসি মুখে উপহার এগিয়ে দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। বিধায়কের পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তির হাত থেকে নতুন জামাও নিলেন আইসি। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। জানা গিয়েছে, নবমীর রাতে  হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে আইসি-কে ‘পুজোর উপহার ’দেন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক তাজমুল। বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ এবং শাসকদলের নেতাদের মধ্যে যে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক, তা এই ভিডিওতেই পরিষ্কার। আমাদের প্রশ্ন, এর পরও বিরোধীরা কী ভাবে আশা করবেন যে কোনও রাজনৈতিক অশান্তিতে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে পুলিশ? গোটা বিতর্কে মুখ খুলতে নারাজ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ যাদব।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    এই বিষয় নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাজমুল-ঘনিষ্ঠরা। তাজমুল হোসেন বলেন, এটা সৌজন্য। পুজো উপলক্ষে সামান্য উপহার দিয়েছি আইসিকে। তবে এই ভাবে উপহার দেওয়া যায় কি না, সেটা আমার জানা নেই।

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি?

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি উপহার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সামান্য পুষ্পস্তবক দিয়েছেন মন্ত্রী। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা মন্ত্রীর এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই প্রায়ই তিনি এখানে আসেন। এর বেশি কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই। লুকোছাপা নেই। কোথাও পুলিশই তৃণমূল দল  চালাচ্ছে। কোথাও তৃণমূল নেতারা পুলিশকে চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের এটাই এখন পরিস্থিতি। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: ব্যাগে মিলল ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, মহিলা পাচারকারীকে দেখে তাজ্জব পুলিশ

    Duttapukur: ব্যাগে মিলল ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, মহিলা পাচারকারীকে দেখে তাজ্জব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আগ্নেয়াস্ত্র সহ অস্ত্র পাচারকারী বা ক্যারিয়ারকে গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটছে। এতে নতুন কিছু নয়। তবে, সেই অস্ত্র পাচারকারী যদি মহিলা হয় তাহলে তো অবাক হওয়ার বিষয়। এমনই এক মহিলা অস্ত্র কারবারির হদিশ মিলল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর (Duttapukur) থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম পূজা বিশ্বাস। বছর ৪৫-এর ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Duttapukur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ থেকে ১২টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কলকাতা যাচ্ছিল পূজা নামে ওই মহিলা পাচারকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা শনিবার সকাল থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার আলগরিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান। ওই সময় এক মহিলাকে তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর পাননি শুল্ক আধিকারিকেরা। তাঁরা খবর দেন দত্তপুকুর থানায়। এর পর পুলিশ এসে ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর কাছে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ থেকে মেলে ১২টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। দেখে পুলিশ কর্মীরা তাজ্জব হয়ে যান। পরে, পুলিশ জানতে পারে, মালদহ থেকে ওই অস্ত্রগুলি আসে মহিলার কাছে । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় কলকাতায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। শনিবার তাঁকে বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁকে বারাসাত আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়। কিন্তু, বিচারপতি ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন,  কার কাছ থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পেয়েছে, কাকে বিক্রি করতে যাচ্চিল, এই সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে,  মূলত অস্ত্র পাচারের কাজ করত সে। এমনকী, ভিনরাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারে হাত পাকিয়েছে অভিযুক্তা। ওই মহিলার সঙ্গে বড় কোনও অস্ত্র পাচারচক্র জড়িত থাকতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে  নন্দকুমারে ” বিজয়া সম্মিলনী”র আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা আগেই জেলে গিয়েছে, এবার গিয়েছে খাদ্য। এদের মাথায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় চোর। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। আসল চোরকে ধরতে হবে। এই চোরকে জেলে না পাঠানো পর্যন্ত আমাদের নিস্তার নেই। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন। সব তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। কোভিডের সময় কোটি কোটি টাকা মাস্ক সহ অন্যান্য জিনিসের টাকা লুট হয়েছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মৌসুমী বলে একজন ভাইপোর শ্যালিকার শ্বশুর পবন অরোরা মিলে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। এই পবন অরোরা সবুজ সাথি সাইকেল রাজ্যে সরবরাহ করেন। প্রতিটি সাইকেলে ৪০০ টাকা করে কমিশন খান। তাই. শুধু শিক্ষা, খাদ্য নয় স্বাস্থ্যকে জেলে ঢোকাতে হবে।

    কুণাল ঘোষকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শিশিরের সম্পত্তি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, কে মন্তব্য করেছে? আমি ওর কথার উত্তর দিইনা। ও একটা নেড়ি। রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। ভাইপো এই সব বলার জন্য মাসে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে। তাই এই সব বলছে। শিশির অধিকারী একজন লিজেন্ড। তাঁর বিরুদ্ধে যারা আঙ্গুল তুলবে তারা ধ্বংস হবে।

    বন দফতরে বালুর টাকা তোলা নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন  মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকদের সাবধান করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বালু জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বন দফতরের প্রতিটি রেঞ্জ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হত। গত মাসেও এই টাকা দেওয়া হয়েছে। সব বন দফতরের আধিকারিকদের বলছি, এখনও সময় আছে বন্ধ করুন। না হলে খাপ খুলব। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির প্রার্থী দিয়ে ভাপোকে হারাবোই। পাশাপাশি  তমলুক ও কাঁথি লোকসভায় দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জয়লাভ করবো কথা দিচ্ছি। আগামী ২৯ তারিখে কলকাতায় সমাবেশে জেলা থেকে বেশি সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share