Tag: West Bengal

West Bengal

  • Kali Puja 2023: সূর্যাস্তের পর প্রতিমা তৈরি করে ভোরের আলো ফোটার আগেই বিসর্জন!

    Kali Puja 2023: সূর্যাস্তের পর প্রতিমা তৈরি করে ভোরের আলো ফোটার আগেই বিসর্জন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যের মুখ দেখেন না দেবী। তাই সূর্যাস্তের পর প্রতিমা তৈরি করে, রাতে শ্যামা মায়ের পুজো করে, ভোরের আলো ফোটার আগেই বিসর্জন হয়। প্রায় পাঁচশো বছর ধরে এমনই রীতি মেনে দীপাবলির রাতে কালীপূজো হয়ে আসছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর কালীবাড়ির মন্দিরে। শুধু তাই নয়, দেবীর আদেশে এই মন্দিরে নেই কোনও ছাদ বা আচ্ছাদন। চারদিক দেওয়াল দিয়ে ঘিরে মন্দির থাকলেও খোলা আকাশের নিচেই পরম জাগ্রত দেবীনগর কালীবাড়ির দেবী পূজিতা হন বেদিতেই (Kali Puja 2023)।

    ভিনরাজ্য থেকে দর্শনার্থীদের সমাগম (Kali Puja 2023)

    শুধু উত্তর দিনাজপুর নয়, রাজ্যের অন্যান্য জেলা সহ কলকাতা, এমনকি ভিনরাজ্য থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয় দীপাবলির রাতে, ঐতিহ্যবাহী দেবীনগর কালীবাড়ির শ্যামাপুজোয়। কথিত আছে, রায়গঞ্জ শহরের দক্ষিণ প্রান্তে দেবীনগরে রাজপথের ধারে এই কালীমন্দিরে এক সময় গাছের তলায় ডাকাতদল পুজো করত। দিনাজপুরের জমিদার তাঁর লোকজন নিয়ে এসে এখানে পুজো করে ফিরে যেতেন। একবার এই পথ দিয়ে ভূপালপুর রাজবাড়ি যাওয়ার পথে এই স্থানে আটকে পড়েন তৎকালীন দিনাজপুরের জমিদার। সেই সময় তিনি দেবীর আদেশ পান এই স্থানে মন্দির তৈরি করে পুজো করার। দেবীর এই আদেশও ছিল মন্দির হবে ছাদ খোলা। মা রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে এখানে পূজিতা হবেন (Kali Puja 2023)। দিনাজপুরের রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন দীপাবলির অমাবস্যায় সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে মায়ের মূর্তি তৈরি করা শুরু হবে। আর সূর্য উদয় হওয়ার আগেই মায়ের বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে। বাকি সারাটা বছর মা পূজিতা হবেন বেদিতেই। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে দিনাজপুরের জমিদার রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরে রাজপথের ধারে তৈরি করে দেন ছাদ খোলা মায়ের মন্দির। সেই থেকে আজও এই ছাদ খোলা মন্দিরে বেদিতে মা কালীর আরাধনা হয়। দীপাবলির রাতে এক রাতেই মায়ের মূর্তি তৈরি করে পুজো করে ভোরের আলো ফোটার আগে বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয় কালী প্রতিমার। একটিবারের জন্যও এই রীতির অন্যথা হয়নি রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর কালীবাড়ির পুজোয়।

    জাগ্রত দেবী বলে এর খ্যাতি (Kali Puja 2023)

    জাগ্রত দেবী বলে এর খ্যাতি ছড়িয়েছে গোটা দেশজুড়ে। অসম থেকে ঝাড়খণ্ড, ওডিশা, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় দীপাবলির কালীপুজোর রাতে। স্থানীয় পুরোহিত সাধন মুখার্জী বলেন, “আনুমানিক ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। তৎকালীন দিনাজপুরের জমিদার স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন। সেই থেকে পুজো হয়ে আসছে। দেবী সূর্যের মুখ দেখেন না। তাই সন্ধ্যায় চক্ষুদান হয় এবং ভোর হওয়ার আগেই বিসর্জন হয়। এখানে বৈষ্ণব মতে পুজো (Kali Puja 2023) হয়। অন্নভোগ হয় না। দেবী জাগ্রত হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয় এখানে। ” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: উত্তরকন্যায় প্রতারণাচক্রের হদিশ! চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে গ্রেফতার এক কর্মী

    Siliguri: উত্তরকন্যায় প্রতারণাচক্রের হদিশ! চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে গ্রেফতার এক কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) রয়েছে উত্তরবঙ্গের শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যা। আর সেখানেই প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল সেখানকারই এক নিরাপত্তাকর্মীকে। এই ঘটনায় জড়িত আরও এক নিরাপত্তাকর্মী পলাতক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি জুড়ে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হল মইনুর রহমান ও বিষ্ণুপদ গুপ্ত। দু’জনেই শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরকন্যা সংলগ্ন ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। দু’জনেই উত্তরকন্যায় বেসরকারি সংস্থার অধীন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে। অভিযোগ, উত্তরকন্যায় কাজ করার সুযোগ নিয়ে শিক্ষত বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল অভিযুক্তরা। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে উত্তরকন্যা ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার উত্তরকন্যা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিষ্ণুপদকে। কয়েক বছর ধরে ওই দু’জন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছে উত্তরকন্যায়। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির তিনজন যুবতীর কাছ থেকে মইনুল রহমান কিছু টাকা নেয় শিলিগুড়ি শহরে কোনও একটি নার্সিংহোমে চাকরির দেওয়ার নাম করে। টাকা নিতেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মইনুল। পরে, ফোন করে তিনজনকে অন্য এক নিরাপত্তারক্ষী বিষ্ণুপদ গুপ্তর সঙ্গে সচিবালয়ে দেখা করার কথা বলে মইনুল। তিন যুবতী সেখানে পৌঁছনোর পর বিষ্ণুপদ তাঁদের কাছে ফের টাকার দাবি করে ও বাড়ি চলে যেতে বলে। এতে যুবতীদের সন্দেহ হয়, তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পরবর্তীতে বিষয়টি উত্তরকন্যার আধিকারিকদের জানালে তাঁরা এনজেপি থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ বিষ্ণুপদকে গ্রেফতার করে। তবে, মূল অভিযুক্ত মইনুল পলাতক। তার খোঁজ করেছে পুলিশ।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    প্রতারিতরা বলেন, ‘আমাদের বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি দেবে বলে একজন টাকা নেয়। তারপর উত্তরকন্যায় আরেকজনের কাছে পাঠায়। সেও টাকা দাবি করে। কিন্তু কোথায় ইন্টারভিউ হবে, তা জানায়নি। এতেই আমাদের সন্দেহ হয়। তখন আমরা পুলিশকে জানাই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: রাজ্য নেতৃত্বের সামনে বৈঠকের মধ্যে তুমুল বিক্ষোভ, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    Arambagh: রাজ্য নেতৃত্বের সামনে বৈঠকের মধ্যে তুমুল বিক্ষোভ, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এবার তৃণমুল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সামনেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুলে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল-১ তৃণমূল ব্লক সভাপতি বনাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির অনুগামীদের দ্বন্দ্বের জেরে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে জেলা থেকে রাজ্য নেতৃত্বকে। বৃহস্পতিবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় বলে কর্মীসভায়। দলীয় কর্মসূচিতে খানাকুলে যোগ দেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার,আরামবাগ (Arambagh) সাংসদ অপরুপা পোদ্দার। আর সেখানেই রাজ্য নেতৃত্বের সামনে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এক গোষ্ঠীর লোকজন অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দলবিরোধীর অভিযোগ তুলে সরব হন। মিটিংয়ের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। পরে, রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আবারও অস্বস্তিতে পড়ল আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য নেতৃত্ব চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায়।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    খানাকুল ১ নং ব্লকের যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মাসাদুল মল্লিকের অভিযোগ,  পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নঈমূল হক নিজের ইচ্ছামত কাজ করছে। টাকার বিনিময়ে কর্মাধ্যক্ষ বন্টন করেছে। পাশাপাশি কখনও তৃণমূল আবার কখনো বিজেপিতে যোগ দিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। যদিও  পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলের রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি। অল্প বাকবিতন্ডা হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    যদি এই ঘটনায় আরামবাগ (Arambagh) সংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, যখন জয়প্রকাশবাবু নির্বাচনের লড়াই করেছিলেন তখন তাঁর পিছনে লাথিটা মেরেছিল তৃণমূল। এই দলটার থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। কাটমানি,কোন্দল নিয়ে তৃণমূল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রি করেছে দল’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা

    Nadia: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রি করেছে দল’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভরা মঞ্চে দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন নদিয়ার (Nadia) তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। প্রকাশ্যে তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলা রাজনীতি। চরম বিড়়ম্বনায় পড়েন জেলা নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (Nadia)

    এদিন নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, কল্লোল খাঁ সহ তৃণমূলের এক ঝাঁক শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও একের পর এক নেতৃত্ব বক্তব্য দেওয়ার মাঝে বক্তব্য রাখেন তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। ভরা মঞ্চে নির্বাচনী টিকিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করলাম। সেই প্রার্থী তালিকা জমা দেওয়ার পর দেখলাম আমাদের তালিকা অনুযায়ী প্রার্থী করা হয়নি। সেই তালিকায় কতজন পাশ করেছেন তা জানার অধিকার আমাদের আছে। জেলা নেতৃত্ব কল্লোল খাঁ, নাসিরুদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছু জানেন না বলে জানাচ্ছে। ৪৩ বছরের রাজনীতি জীবনে টিকিট নিয়ে এরকম ঘটনা ঘটেনি। পঞ্চায়েতে টিকিট বিক্রি হয়েছে। যা আমি আমার রাজনীতি জীবনে দেখিনি। দলীয় কর্মী কিছু জানতে চাইলে উত্তর দিতে পারি না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ কী বললেন?

    ভরা মঞ্চে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলতেই তাপস সাহাকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও মঞ্চে তাঁর অভিযোগ তুলে ধরা নিয়ে সকলের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাপসবাবু। তবে, বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হঠাৎই যে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করবেন তাপস সাহা, এটা দলেরই কাছে ছিল অজানা। এই ঘটনায় দলের দ্বন্দ্ব একেবারে সামনে চলে এল। যদিও সভায় উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বেজায় খুশি। তাঁদের বক্তব্য, তাপসদা আমাদের মনের কথা বলেছেন। বহু যোগ্য কর্মী এবার টিকিট পাননি। পঞ্চায়েতে টিকিট নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Card: রাস্তার পাশে ঝোপে ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড, উঠল তদন্তের দাবি

    Ration Card: রাস্তার পাশে ঝোপে ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড, উঠল তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি গ্রেফতার করেছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এই দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে বর্তমান রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড (Ration Card) রয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করছে। এরই মাঝে বেশ কিছু ডিজিটাল রেশন কার্ড রাস্তার পাশে থাকা ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুর এলাকার পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডে। এই ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ration Card)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দেখতে পান, রাস্তার ধারে থাকা একটি ঝোপের আড়ালে বেশ কিছু ডিজিটাল রেশন কার্ড (Ration Card) পড়ে রয়েছে। কিন্তু, ওই রেশন কার্ড কাদের তা জানা যায়নি। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা রায়গঞ্জ থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পড়ে থাকা ডিজিটাল রেশন কার্ডগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু, এই রেশন কার্ডগুলি কীভাবে রাস্তার ধারে এল, তা পরিষ্কার নয়। আর এই ঘটনা থেকে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। কে বা কারা এই রেশন কার্ড রাস্তায় ফেলে গেল, তা নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দা মিন্টু দাস বলেন, প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে আমরা দেখতে পাই রাস্তার পাশে জঙ্গলের মধ্যে ডাঁই হয়ে বহু ডিজিটাল রেশন কার্ড (Ration Card) পড়ে আছে। এমন প্রয়োজনীয় জিনিস রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তী সময়ে আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। আমরা চাই, এই রেশন কার্ডগুলো যাদের, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। এই ঘটনায় রহস্য ভেদ করুক পুলিশ।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: কৃষি দফতরে আবেদনের সাত বছর পর এল অ্যাডমিট কার্ড, তাজ্জব চাকরিপ্রার্থী

    Burdwan: কৃষি দফতরে আবেদনের সাত বছর পর এল অ্যাডমিট কার্ড, তাজ্জব চাকরিপ্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে চাকরি পাওয়ার আশায় ফর্ম ফিল-আপ করেছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। আর সেই পরীক্ষা দেওয়ার অ্যাডমিট কার্ড এসে পৌঁছলো সাত বছর পর। অবাক করার মতো এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) শহরের নারকেলবাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৮ ই মার্চ কাগজে বিজ্ঞাপন দেখেন বর্ধমান (Burdwan) শহরের নারকেলবাগান এলাকার বাসিন্দা আশিসবাবু। সেই বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় রাজ্য কৃষি দফতরে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে ৮১৮ জন নিয়োগ করা হবে। যোগ্যতা ছিল উচ্চ মাধ্যমিক। বিজ্ঞপি নং-০৪/WBSSC/২০১৬. বেতনক্রম ছিল ৫৪০০-২৫২০০। সেই মতো আশিসবাবু ওই পদে  আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, আবেদন করার পর থেকে প্রায় সাত বছর তাঁর কাছে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড বা আনুষঙ্গিক কিছু আসেনি। কিন্তু, আচমকা চলতি বছরের ১ নভেম্বর দুপুর একটা নাগাদ চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রায় সাত বছর পরে সেই পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড হাতে পান আশিসবাবু। যা পেয়ে রীতিমতো উৎসাহিত হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু, অ্যাডমিট খুলেই হতবাক হন। কারণ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে প্রায় সাত বছর আগে, ২০১৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর।

    কী বললেন ওই চাকরি প্রার্থী?

    চাকরিপ্রার্থী আশিসবাবু বলেন, যাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়ে অন্য লোককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। কার ভুলে আমাকে এই খেসারত দিতে হল, তা প্রকাশ্যে আসুক। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও ভাবছি। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলগুলি একযোগে শাসকদল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, যেভাবে রাজ্যে শিক্ষা ও পুরসভার মতো কৃষি দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কৃষিমন্ত্রী কী বললেন?

    যদিও শাসকদলের সাফাই, এটা ডাকযোগে এসেছে। যদি কোনও গলদ থাকে তাহলে সেখানে হয়েছে। কৃষিমন্ত্ৰী প্ৰদীপ মজুমদারের বক্তব্য, এটা ২০১৬ সালের ঘটনা। কবে হয়েছে বলতে পারব না। তবে, এক্ষেত্রে তো কারও দায় থাকলে সেটা ডাক বিভাগের।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ঘর থেকে মোবাইল চুরি করে ‘পাসওয়ার্ড’ জানতে ফিরে এল চোর, তারপর কী হল?

    Nadia: ঘর থেকে মোবাইল চুরি করে ‘পাসওয়ার্ড’ জানতে ফিরে এল চোর, তারপর কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘর থেকে মোবাইল চুরি হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু, মোবাইল চুরি হওয়ার পর ফের চোর মোবাইলের পাসওয়ার্ড জানতে ফিরে এসেছে, এরকম ঘটনা কখনও শুনেছেন? অনেকের কাছে এটা অবাস্তব মনে হবে। তবে, এটা বাস্তবে ঘটেছে। নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট থানার বেতাইয়ের দক্ষিণ জিৎপুরের বধূ উর্মিলা বিশ্বাস এই ঘটনার সাক্ষী। তাঁর স্বামী রাজু বিশ্বাস পরিযায়ী শ্রমিক। কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। মোবাইল চুরি যাওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বধূ। তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) বেতাইয়ের রাজু বিশ্বাসের মাটির ঘর আর টিনের ছাউনি। বাড়িতে বধূ একাই ছিলেন। মাঝ রাতে মাটির বাড়ির সিঁধ কেটে চোর ঘরের ভিতর ঢোকে। ঘরের ভিতর হঠাৎ শব্দে উর্মিলাদেবীর ঘুম ভেঙে যায়। ঘরের আলো জ্বেলে এদিক-ওদিক খুঁজেও কিছু দেখতে পাননি। মোবাইল খুঁজতে গিয়েই বুঝতে পারেন, ঘরের ভিতরের মোবাইল উধাও। ঘরের দেওয়াল ভাঙা রয়েছে। তখনই বুঝতে পারেন, ঘরে চোর ঢুকে মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে। সাধের মোবাইল ঘর থেকে চুরি হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে ফের লাইট বন্ধ করে তিনি শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে ফের ঘরের মধ্যেই সেই একই শব্দ শুনে পান। ঘরের মধ্যে অচেনা কারও উপস্থিতি টের পেয়ে হুড়মুড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে বসেন তিনি। ঠিক করে চোখ খোলার আগেই দেখতে পান, ধারাল অস্ত্র নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে চাপা কণ্ঠে বলছে, ‘মোবাইলের পাসওয়ার্ড বলুন।’ ভয়ের চোটে তড়িঘড়ি মহিলাও মোবাইল খোলার পাসওয়ার্ড বলে দেন। তার পরেই সব শান্ত। চোর চলে যাওয়ার আগে মহিলাকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এলাকাবাসীর বক্তব্য, মহিলার একা থাকার সুযোগেই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের সাহস দেখে আমরা হতবাক। চোরের কত বড় সাহস, মোবাইল চুরি করে আবার ফিরে এসেছে পাসওয়ার্ড চাইতে। এই ঘটনা এর আগে কখনও শুনিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, চোরের সন্ধানে নানা জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এখনও তার সন্ধান মেলেনি।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগ, ৪২ লক্ষ টাকা খরচ করে গড়ে উঠছে বৈদ্যুতিক চুল্লি

    Nadia: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগ, ৪২ লক্ষ টাকা খরচ করে গড়ে উঠছে বৈদ্যুতিক চুল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাসে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিন মাসের মধ্যে তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন। সাংসদের হাত ধরে এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বৈদ্যুতিক চুল্লি পেতে চলেছেন নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস এলাকার বাসিন্দারা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস একটি ধর্মীয় তীর্থস্থান হওয়ার সুবাদে সারা বছর দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে ওই এলাকায়। পাশাপাশি ধর্মীয় স্থান হওয়ার সুবাদে একটি অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণের মধ্যে দিয়ে মহাশ্মশান গড়ে তোলার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন এলাকাবাসীরা। গত ১৮ই অগাস্ট ভারত ভুক্তি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে এসে এলাকাবাসীদের দাবি মতো শিবনিবাসে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি গড়ে তোলার আশ্বাস দেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এরই মধ্যে এলাকার উন্নতির স্বার্থে শুকদেব ঘোষ নামের স্থানীয় এক সহৃদয়ক ব্যক্তি বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণের জন্য স্বেচ্ছায় জমি দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এমনকী সরকারকে তিনি জমি রেজিস্ট্রি পর্যন্ত করে দেন। মূলত তারই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসীদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। চূর্ণি নদীর ধারে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সাংসদ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার তিনমাসের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ায় খুব ভালো লাগছে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, এই এলাকার মানুষের এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। গত অগাস্ট মাসে তাঁদের দাবির বিষয়টি জানতে পারি। এরপরই আমি উদ্যোগী হয়ে ৪২ লক্ষ টাকা অনুমোদনের ব্যবস্থা করি। আসলে এই চুল্লিটি তৈরি হলে কৃষ্ণগঞ্জ, শিবনিবাস এলাকা ছাড়াও আশপাশের একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের শবদেহ দাহ করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে হামলা, ভাঙচুর করা হল মঞ্চ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Cooch Behar: কোচবিহারে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে হামলা, ভাঙচুর করা হল মঞ্চ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই সংগঠনকে ঢেলে সাজানো ও শক্তিশালী করে তুলতে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যের শাসকদল যেমন দিনহাটা মহকুমার বিভিন্ন স্থানে বিজয়া সম্মিলনী করে চলেছে, তেমনই পিছিয়ে থাকছে না গেরুয়া শিবিরও। বিজেপির সেই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। বুধবার কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের আটিয়াবাড়ি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলতলা এলাকায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানস্থলে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে, পুলিশি নিরাপত্তায় বিজয়া সম্মিলনী হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Cooch behar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের আটিয়াবাড়ির বেলতলা এলাকায় বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর প্রস্তুতি চলছিল। তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী লাঠিসোঁটা নিয়ে বাইকে চেপে সেখানে এসে তাণ্ডব চালাতে থাকে। তারা মঞ্চ ছাড়াও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। অনুষ্ঠানের হাঁড়ি-কড়াই নিয়ে চলে যায়। বিজেপি কর্মীরা তাদের দেখে সেখান থেকে কার্যত পালিয়ে যান। খবর পেয়ে দিনহাটা থানার বিশাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়। এরপর পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিজেপির পূর্বনির্ধারিত বিজয়া সম্মিলনী সম্পন্ন হয়।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির দিনহাটা মণ্ডলের সহ-সভাপতি রফিক খান বলেন, ‘সন্ত্রাস করে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা এসে অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর করে, দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেয়। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ করায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।’

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অপরদিকে তৃণমূলের আটিয়াবাড়ি ২ নম্বর অঞ্চল সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা না পেয়ে সেই টাকা সম্পর্কে জানতে গিয়েছিল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ অন্যদিকে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিয়ে বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই গন্ডগোল করে। তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। এতে লাভ কিছু হবে না।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: প্রকাশ্যে ছাত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ, বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন একজন, রোমহর্ষক ঘটনা বীরভূমে

    Birbhum: প্রকাশ্যে ছাত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ, বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন একজন, রোমহর্ষক ঘটনা বীরভূমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনবহুল এলাকায় মিষ্টির দোকানে বসেছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। আচমকা তিনজন এসে প্রকাশ্য দিবালোকে ওই কলেজ ছাত্রীকে কাটারি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম কলেজ ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সদর হাসপাতালে। হামলাকারী কলেজ ছাত্রীর পূর্ব পরিচিত। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়ার তালতলায়। অভিযুক্ত যুবকের নাম আজিজুল সেখ। তাকে গ্রেফতার করেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর থানার ওলকুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী তাঁর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার নিজের কলেজ সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ে মার্কশিট তুলতে গিয়েছিলেন। কলেজে গিয়ে ছাত্রীটি জানতে পারে তার মার্কশিট অন্য কেউ তুলে নিয়েছে। খোঁজ খবর করে জানা যায়, ছাত্রীরই পূর্ব পরিচিত আজিজুল সেখ জালিয়াতি করে তার মার্কশিট তুলে নেয়। ছাত্রীর বন্ধু বান্ধবরা মিলে অভিযুক্ত যুবককে ধরে তার কাছ থেকে মার্কশিটটি উদ্ধার করে। ওই যুবককে বকাঝকাও করা হয়। এরপরে মেয়েটি যখন বাবার সঙ্গে কলেজ থেকে বেরিয়ে সাঁইথিয়ার তালতলায় এসে বাস ধরার জন্য যায়। বাস দেরিতে আসছে দেখে একটি  মিষ্টির দোকানে তারা ঢোকেন। অভিযুক্ত আজিজুল সেখ তার দুই বন্ধুকে নিয়ে সেখানে কাটারি নিয়ে আচমকা হামলা চালায় ছাত্রীর উপর। ছাত্রীর হাত ও পায়ে আঘাত লাগে। মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন মিষ্টির দোকানের মালিকও। সেই এলাকার মানুষজন ছুটে এসে অভিযুক্ত যুবকদের ধরে ফেলে ও পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রীটিকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ও আহত দোকানদারকে সাঁইথিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবকটিকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ময়ূরেশ্বরের ছোটতুড়ি গ্রামে। আক্রান্ত ছাত্রীর বাবা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছেলেটি আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিল। কলেজেও এদিন ঝামেলা হয়েছিল। তারপরই এভাবে হামলা চালাবে তা আমরা ভাবতেই পারছি না। কয়েক বছর আগে প্রকাশ্য রাস্তায় সুতপা চৌধুরী নামে এক কলেজ পড়ুয়াকে সুশান্ত চৌধুরী কুপিয়ে খুন করেছিল। এদিনের হামলার ঘটনা সেই ঘটনাকেই স্মরণ করিয়ে দিল।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কী বক্তব্য?

    প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওরা খুব চুপচাপ ঘটনাস্থলে এসেছিল। ওদের সঙ্গে ধারাল অস্ত্র ছিল তা কেউ দেখতে পায়নি। আচমকা তারা হামলা চালায়। তবে, মিষ্টি ব্যবসায়ী ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার না করলে বড় বিপদ হতে পারত।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share