Tag: West Bengal

West Bengal

  • Jyotipriya Mallick: চালু না হওয়া গোডাউনে চালের বস্তা বোঝাই ট্রাক ঢুকত কার? বালুর জন্মভিটেয় বাকিবুর যোগ

    Jyotipriya Mallick: চালু না হওয়া গোডাউনে চালের বস্তা বোঝাই ট্রাক ঢুকত কার? বালুর জন্মভিটেয় বাকিবুর যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাদ্যমন্ত্রী থাকার সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) খাদ্য দফতরের গোডাউন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। মন্ত্রীর নির্দেশ মতো তাঁর জন্মভিটে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকে গোডাউন তৈরি হয়। কিন্তু, খাতায় কলমে সেই গোডাউন চালু হয়নি। তাতে কী হয়েছে, মাঝে মধ্যে গোডাউনে ট্রাক বোঝাই করে চালের বস্তা ঢুকত। কিছুদিন থাকার পর তা আবার বেরিয়ে যেত। কোথায় তা নিয়ে যাওয়া হত তা কেউ জানেন না। মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর ওই ট্রাক বোঝাই চালের মালিক কারা ছিল তা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। এই গোডাউনে বাকিবুর রহমানের মাল মজুত থাকত কি না তা নিয়ে এলাকাজুড়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

     ঠিক কী অভিযোগ? (Jyotipriya Mallick)

    খাদ্যমন্ত্রী (Jyotipriya Mallick) থাকাকালীন রেশনের চাল মজুতের গোডাউন তৈরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ৫ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন সরকারি গোডাউনটি তৈরি হলেও চালু হয়নি এখনও। নতুন গোডাউন তৈরি হলেও কয়েক মাসের মধ্যে তার অবস্থা জীর্ণ হয়ে পড়ে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছে এই গোডাউনটি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।  জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বর ব্লকের পুড়শুড়ি এলাকায় কয়েক বিঘা জমির উপর কয়েক কোটি টাকা সরকারি অর্থ খরচে তৈরি হয়েছে  এই রেশন সামগ্রী মজুতের বিশাল গোডাউন। এই গোডাউনে রেশনের  চাল মজুত করার কথা। আরও জানা গিয়েছে, ৫ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন গোডাউনটি কয়েক বছর ধরে তৈরি করে পূর্ত দফতর।  ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই গোডাউনটি খাদ্য দফতরের হাতে হস্তান্তর হলেও এখনও চালু হয়নি। এর মধ্যেই রঙ চটা থেকে প্লাস্টার খসতে শুরু করেছে। গোডাউনে থাকা সাইনবোর্ড খুলে ভিতরে রাখা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনে মাঝে মধ্যে ট্রাক বোঝাই করে চালের বস্তা আসত। এখন শুনছি, গোডাউন চালুই হয়নি। তাহলে ওই চালের বস্তাগুলি কাদের ছিল? গোডাউনের ইনচার্জ সুকান্ত মণ্ডল বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে আমরা গোডাউনটি হাতে পেয়েছি। এখনও চালু হয়নি। তবে, গোডাউনে গাড়ি ঢোকার বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে গোডাউন তৈরি করা হয়েছিল। গোডাউন তৈরিতে কাটমানি খেয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। আমাদের এলাকায় মন্ত্রী থাকেন বলে আমরা গর্ব করতাম। এই মন্ত্রী এত দুর্নীতিগ্রস্ত তা ভাবতে পারছি না। আর অবাক হয়ে যাচ্ছি, গোডাউন চালু না হলেও কী করে সেখানে ট্রাকে করে চালের বস্তা আসত। এর পিছনে বাকিবুর জড়িত কি না তা তদন্ত করে দেখা দরকার।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের জেলা নেতা দেবু টুডু বলেন, বালু দাকে (Jyotipriya Mallick) চক্রান্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। তিনি কোনও দুর্নীতি করেননি। আর গোডাউন নিয়ে বিরোধীরা যে সব অভিযোগ তুলছেন সবই ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চাকরির হাহাকার রাজ্যে, ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত শিক্ষিত যুবক!

    Fraud: চাকরির হাহাকার রাজ্যে, ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত শিক্ষিত যুবক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের হাতে এরাজ্যে কাজ নেই। আগে টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ধরে কিছুটা সরকারি চাকরি হলেও নিয়োগ-দুর্নীতি সামনে আসতেই এখন সরকারি নিয়োগও খুব কম হচ্ছে। ফলে, ভালো চাকরি পাওয়ার আশায় শিক্ষিত অনেক বেকার ছেলেমেয়ে খপ্পরে পড়ে প্রতারণার (Fraud) শিকার হচ্ছেন। শুধু সরকারি নয়, টাকার বিনিময়ে বেসরকারি চাকরি পেতেও মরিয়া হয়ে উঠেছেন শিক্ষিত বেকার যুবকরা। এরকমই একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক যুবকের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানা এলাকায়। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুদীপ ভট্টাচার্য। উত্তর ২৪ পরগণার নিমতা থানার ২ নম্বর শ্রীকৃষ্ণপল্লিতে তাঁর বাড়ি। বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। পরের দিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়। তারপর নানা অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় ওই বেকার যুবক প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেন। তিনি বাবা-মা এবং পরিচিতদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৮ টাকা প্রতারকদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেন। কিন্তু, চাকরি হয়নি। উল্টে আরও ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা করার জন্য বলা হয়। টাকা জমা না করলে চাকরি হবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। বারবার টাকা চাওয়ায় সন্দেহ হয় অর্ঘ্যের। প্রতারিত (Fraud) হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে গত ১২ অক্টোবর শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। শক্তিগড় থানা ঘটনার কিনারা করতে সাইবার থানা থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেয়। অভিযুক্তদের ফোন নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সাইবার থানা জানতে পারে, কলকাতার বিরাটি থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় অর্ঘ্যর দেওয়া টাকা জমা পড়েছে। ব্যাঙ্কের নথি দেখে সেটি সুদীপের বলে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। তাঁর অ্যাকাউন্টে ৪ দফায় টাকা জমা পড়ার নমুনা পান তদন্তকারীরা। তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এর পিছনে বড় প্রতারণা (Fraud) চক্র কাজ করছে। এর সঙ্গে অনেকেই রয়েছে। কারণ, এতবড় চক্র একজনের পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। টাকা কার কার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আমরা একজনকে ধরতে পেরেছি। ৬ দিনে হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই চক্রের সঙ্গে যারা রয়েছে তাদের সকলকে ধরা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘কেষ্ট’র জেলযাত্রা দেখেও শিক্ষা হয়নি! তাঁরই কায়দায় বিরোধীদের হুঁশিয়ারি কাজল শেখের

    Birbhum: ‘কেষ্ট’র জেলযাত্রা দেখেও শিক্ষা হয়নি! তাঁরই কায়দায় বিরোধীদের হুঁশিয়ারি কাজল শেখের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চড়াম-চড়াম’, ‘নকুল দানা’ সহ আরও কত কী! তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দৌলতে বঙ্গ রাজনীতিতে এই সব শব্দের আমদানি হয়েছিল। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত এখন তিহার জেলে রয়েছেন। তাতেও যে অনুব্রতহীন বীরভূমে শাসক নেতাদের তেজ একটুকুও কমছে না, তা প্রমাণ করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এখন তিনিও সেই অনুব্রতের ঢঙে হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু করেছেন।

    ঠিক কী বলেছেন কাজল শেখ? (Birbhum)

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ধীরে ধীরে তপ্ত হতে শুরু করেছে বাংলার মাটিও। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের সুরেই বীরভূমে (Birbhum) দাঁড়িয়ে হুমকির সুর শোনা গেল কাজল শেখের গলায়। তিনি বললেন, ‘খেলা হবে অপেক্ষা করুন।’ এদিন কাজল বললেন, ভোটের আগে বহিরাগতরা বীরভূমে এলে তাদের কোথায় পাঠাতে হবে, সেটা আমি ঠিক সময়ে দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দেব।’ বীরভূমের রামপুরহাটে দলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভা ছিল। সেখানেই রণংদেহি মেজাজে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখার সময় দলের কর্মীদের উদ্দেশে কাজল বলেন, ‘ভোটের সময় অন্য রাজ্য থেকে প্রতিবারই আসে। ওরা আসবে। আমাদের আজকের প্রজন্মের তরুণ ভাইদের টাকার লোভ দেখিয়ে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করবে। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করবে। তাই আমি আমার ভাইয়ের বলব তোমরা একজোট হও, সব সময় চোখ খোলা রেখো, ঘুমিয়ে থেকো না। তাদের সকলকেই নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে হবে। তবে কোথায় পাঠাতে হবে সেটা এখন বলব না। সময় এলে ঠিক বলে দেব।’ কেষ্টর ঢঙে তাঁর এই হুঁশিয়ারি নিয়ে এখন জেলাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, জেলায় অনুব্রত বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল। তিহারে যাওয়ার পর থেকে দলের সংগঠনের রাশ কাজলের হাতে চলে আসে। দিন দিন কোণঠাসা হয়ে প়ড়ছে কেষ্ট অনুগামীরা। দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে কেষ্টর নাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহ ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে জমি। ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। ভিটেছাড়া হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। প্রাণ হাতে করে গ্রাম ছাড়ছেন লোকজন। এরকম একটা অবস্থায় কী করছে প্রশাসন? তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গত সপ্তাহ থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ২২টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে সংখ্যাটি অনেক বেশি। ভাঙন রুখতে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। ২০-২৫ নৌকা ভর্তি বালির বস্তা দিলে কিছুটা কাজ হত। সেখানে দুনৌকা বালির বস্তা নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ফলে, এলাকাবাসী নৌকা ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। পরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এখানে বালির বস্তা দিচ্ছে। আমাদের তো মনে হচ্ছে এতে আরও সমস্যা বাড়ছে। আমাদের মা-বোনরা সবাই বারান্দায় ঘুমচ্ছে। খেয়াল রাখছে এই বুঝি হয়ত বাড়ি ভেঙে পড়ে গেল নদীর জলে। বালির বস্তার জায়গায় যদি পাথর ফেলা হতো তাহলে হয়ত ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হত। বারংবার এই দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি।

    পঞ্চায়েত সমিতি কর্মাধ্যক্ষ কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মইমুর শেখ বলেন, পাথর ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার মতো অর্থ আমাদের নেই। ফলে, তা আমরা করতে পারব না। বালির বস্তা দিয়ে আমরা যতটা পারছি ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি। গত সপ্তাহে দুনৌকা বালি দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। এখন পর্যাপ্ত বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন মোকাবিলা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    Durga Puja 2023: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা কয়েকদিন পর কালীপুজো শুরু। তার আগেই উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির সিঙ্গারদহ গ্রামের বাসিন্দারা মেতে ওঠেন দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2023)। রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষরা এই পুজো করেন। লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’। চারদিন ধরে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।

    দশমীর আটদিন পর শুরু হয় এই পুজো (Durga Puja 2023)

    উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির সিঙ্গারদহের বাসিন্দারা দশমীর আটদিন পর দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) আনন্দে মেতে ওঠেন। এখানে ‘সোনামতি কুম্ভরানি’ হিসেবে পূজিত হন দেবী দুর্গা। করণদিঘির অন্যত্র যখন বিষাদের সুর, তখনই দেবীর বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভেসে গিয়েছে গোটা গ্রাম। দুর্গাপুজোর সঙ্গে এই পুজোর মিল রয়েছে অনেকটাই। যেমন দুর্গাপুজোর মতোই সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী পূজিত হন এখানে। পুজোকে কেন্দ্র করে মেলাও বসে গ্রামে। মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় এখানে। প্রচলিত আছে পশু বলিও। কয়েকশো বছর আগে এই পুজো শুরু হয়েছিল। পুজোর প্রায় এক সপ্তাহ পর এই পুজো শুরু হওয়ায় এই গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে এর গুরুত্বই আলাদা। তাই এখানকার পুজোতে ভক্তির টানে ছুটে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। মায়ের নামে বেশ কয়েক বিঘা জমি আছে। জমির ফসলের লাভ থেকে এই পুজো হয়।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    পুজো কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত সিনহা বলেন, সঠিক কবে এই পুজো শুরু হয়েছিল, তা জানা নেই। তবে, কয়েক পুরুষ ধরেই এই পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোয় (Durga Puja 2023) প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরা এসে ভিড় করেন। শুধু তাই নয়, এই পুজো দেখতে পাশের বিহার, বাংলাদেশ এবং নেপালের মানুষও সামিল হন। পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা হয়। মায়ের কাছে মানত রাখেন। দুর্গাপুজো নয়, আমরা সারা বছর এই পুজোর জন্যই মেতে অপেক্ষায় থাকি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণধর্ষণের শিকার, পূর্ব মেদিনীপুরের ১১ বছরের নাবালিকার (11 years old girl) গর্ভপাতে সন্মতি (Abortion Permission) দিল মেডিক্যাল বোর্ড। এরপরই ওই নাবালিকার যত দ্রুত সম্ভব গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। সেই কারণে তমলুক হাসপাতালে পরিকাঠামো না থাকায় এসএসকেএম হাসপাতালে ওই নাবালিকাকে নিয়ে আসতে বলেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ

    পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরে। জানা গেছে, তমলুকের বাসিন্দা, ওই ১১ বছরের মেয়ে যে ছ’মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে, তা নাকি জানতেই পারেননি বাবা-মা! জানতে পারার পরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁদের। তাই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন চলতি মাসের ১৬ তারিখে। আবেদন করেন, ২৪ সপ্তাহের ভ্রূণ গর্ভপাত করাতে চান মেয়ের। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হয়। তাতে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন নাবালিকার বয়স নিয়ে। মেয়েটির পরিবারের আইনজীবী আদালতে জানান, মেয়েটি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এখন সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। তবে সেই নাবালিকা সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো মানসিক বা শারীরিক অবস্থায় নেই। ২৪ সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের নজির বিরল, তবে এক্ষেত্রে নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালত অনুমতি দিক। 

    আরও পড়ুন: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় বছর এগারোর ওই কিশোরী। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনও নাবালক। রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তার পর থেকে নাবালিকা এখন হোমে রয়েছে। সে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বেশ দুর্বল। তাছাড়াও একটি ১১ বছরের মেয়ের পক্ষে সন্তানের জন্ম দেওয়া ও দায়িত্ব নেওয়া প্রায় অসম্ভব। তার মেডিক্যাল রিপোর্টও বলছে, বয়স কম হওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের ওজন কম রয়েছে এবং অন্য সমস্যাও বেশ কিছু রয়েছে। তমলুক হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে দেখা গিয়েছে গর্ভপাতের প্রয়োজন রয়েছে। এরপরই আদালত (Calcutta High Court) এই রায় দেয়।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • CV Ananda Bose: “মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে দিল্লি যাচ্ছি”! তির্যক মন্তব্য রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে দিল্লি যাচ্ছি”! তির্যক মন্তব্য রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, আজ সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই জেলায় জেলায় ঘুরছেন রাজ্যপাল। ভোটে নিহত বা আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। গিয়েছেন হাসপাতালেও। জানা যাচ্ছে, সেই রিপোর্টই তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দিতে পারেন। 

    কেন হঠাৎ দিল্লি যাত্রা?

    নির্বাচনের আগে থেকেই সক্রিয় দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। নিজেকে গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলে অভিহিত করেছেন সিভি আনন্দ বোস। নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন ভোট সন্ত্রাসের করুণ কাহিনি। ভোটের দিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। তার আগে আরও ১৯ জনের প্রাণ গিয়েছে এই ভোটকে কেন্দ্র করে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের বলি হিসেবে উল্লেখ করেছে মাত্র ১০ জনকে। আর ভোটের দিন প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র ৩ জন। ময়দানে নেমে এই বৈপরীত্যও প্রত্যক্ষ করছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেছেন, “এই হিংসাশ্রয়ী ভোট দেখার পর রাজ্যপাল হিসেবে যা করার করব।” একই সঙ্গে দিল্লি রওনা হওয়ার আগে রাজ্যপালের তির্যক মন্তব্য “একটু মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে আমি দিল্লি যাচ্ছি।” রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিতে পারেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: আজ গান্ধীনগর থেকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন এস জয়শঙ্কর

    রবিবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছয় রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) কনভয়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন রাজ্যপাল। মুখে ছিল স্মিত হাসি। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি রাজ্যে ৩৬৫ ধারা জারির সুপারিশ করতে দিল্লি যাচ্ছেন? রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন জানাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে? জবাবে রাজ্যপাল বলেন, তিনি একটু মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে চান, তাই দিল্লি পাড়ি। নিজের ব্যক্তিগত কিছু কাজও রয়েছে বলে জানান তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে প্রার্থী সংখ্যা ৭০ হাজার, মনোনয়ন পেশে বরাদ্দ মাত্র ২৪ ঘণ্টা!

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে প্রার্থী সংখ্যা ৭০ হাজার, মনোনয়ন পেশে বরাদ্দ মাত্র ২৪ ঘণ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) ৭০ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা! অন্তত এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। অভিযোগ যে অমূলক নয়, তাও হিসেব কষে দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

    ২৪ ঘণ্টার হিসেব

    ৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ পর্ব। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে একদিন রবিবার, সেদিন মনোনয়নপত্র পেশ করা যাবে না। হাতে রইল ৬ দিন। মনোনয়নপত্র পেশের সময় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত। দিনে ৪ ঘণ্টা। তাহলে ৬ দিনে দাঁড়াল ২৪ ঘণ্টা। এত কম সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র পেশ করা সম্ভব কীভাবে, সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই নির্ঘণ্ট।

    বিজেপির তোপ

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর ট্যুইট-বার্তা, এখন থেকেই রিংগিং শুরু হয়ে গেল। বিরোধী প্রার্থীদের আটকাতেই মনোনয়নপত্র পেশের জন্য অল্প সময় দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রের হত্যা বলে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও।

    বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নিয়েছেন রাজীব সিনহা। বৃহস্পতিবারই তিনি বাজিয়ে দেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দামামা। তিনি জানান, নির্বাচন হবে ৮ জুলাই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৯ জুন থেকে। শেষ দিন ১৫ জুন। ১৭ তারিখ শেষ দিন স্ক্রুটিনির। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য প্রার্থীরা সময় পাবেন ২০ জুন পর্যন্ত।

    ভোট গণনার সম্ভাব্য দিন ১১ জুলাই। রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ৩ হাজার ৩১৭টি। নির্বাচন কেন্দ্র রয়েছে ৫৮ হাজার ৫৯৪টি। পঞ্চায়েতের মোট আসন ৬৩ হাজার ২৮৩টি। প্রার্থী হতে পারেন ৭০ হাজারেরও বেশি। এত প্রার্থী (Panchayat Election 2023) কীভাবে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মনোনয়নপত্র পেশ করবেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘সর্বদল বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা’! রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Peasant Economy:  কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে করুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের, বলছে রিপোর্ট

    Peasant Economy: কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে করুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিপ্রধান রাজ্য নামেই পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতিতেও (Peasant Economy) অনেক পিছিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যের কৃষি নীতির জন্যই এমন অবস্থা হয়েছে। পরিকাঠামোগত সমস্যা তো রয়েছেই পাশাপাশি সরকারি সদিচ্ছারও অভাব রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিখ্যাত ছিল ধান উৎপাদনের জন্য। পরিসংখ্যান বলছে, সেখানেও পিছনের সারিতে চলে গেছে বাংলা। হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদনে  সারাদেশের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পঞ্জাব। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ নেমে গিয়েছে পঞ্চমস্থানে।

    আরও পড়ুন: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    রাজ্যের জিডিপিতে কৃষির (Peasant Economy) অবদান বেশি- কতটা সত্য? 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের জিডিপিতে কৃষির অবদান বেশি একথা সর্বাংশে সত্য নয়। এটা সত্য ছিল ষাটের দশকে। পরবর্তীকালে বামফ্রন্ট জমানায় ভূমি সংস্কার আন্দোলন হলেও কৃষির ওপর নজর দেয়নি তারাও। বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে কৃষকরা ফসলের দাম পেয়ে আত্মহত্যাও করছেন, এমন নজিরও দেখা গিয়েছে। শিল্পতো বিশ বাঁও জলে! তার সঙ্গে রাজ্যের কৃষির অবস্থাও খুব খারাপ। অন্তত, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান তাই বলছে।

    ধান উৎপাদনে বিশ্বের গড়মানের অনেক নীচে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ

    ধান উৎপাদনে গ্লোবাল অ্যাভারেজ হল হেক্টর প্রতি ৪,২৫০ কেজি। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ অনেক পিছনে রয়েছে। বাংলায় হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন ২,৯৬২। তালিকায় শীর্ষে থাকা পঞ্জাব হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন (Peasant Economy) করে ৪,৩৬৬ কেজি। এতেই উঠছে প্রশ্ন। ধান চাষের (Peasant Economy) সমস্ত অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্রে ভুল সরকারি নীতির কারণেই রাজ্যের আজ এই অবস্থা। একটা সময় ছিল  যখন বর্ধমান জেলাকে ধানের গোলা বলা হতো।  রাজ্য সরকার যাই বলুক, কৃষি নিয়ে যতই গর্ব করুক। বাস্তব রিপোর্ট কিন্তু অন্য ধরা পড়ছে।

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ বৃদ্ধির (DA Protest) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা যন্তর মন্তরে ধর্নাও দিয়েছেন। হাইকোর্টে নির্দেশে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে কর্মচারিদের একাংশের। কিন্তু তাতেও মেলেনি রফাসূত্র। এই আবহেই, ২২ মে সোমবার ফের এক দফা পেন ডাউন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। এবারেও কড়া অবস্থান নিল নবান্ন। আগের বারের মতো এবারেও নবান্নের বক্তব্য যে পেন ডাউন কর্মসূচির ফলে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ। এবং তা সরকারি অফিসের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটাবে। নবান্নের আরও হুঁশিয়ারি, নিজের অফিসে থেকে দায়িত্ব পালন করতে যদি কোন কর্মচারীকে না দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিজ্ঞপ্তিতে কী জানাল নবান্ন?

    শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে নবান্ন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কোনভাবেই এই কর্মসূচি বরদাস্ত করবেনা সরকার। নির্দেশিকায় নবান্নের বক্তব্য, জনস্বার্থে পদক্ষেপ করবে সরকার। হাসপাতালে ভর্তি, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা আগে থেকে নেওয়া অন্যান্য বিশেষ কারণের ছুটিগুলি ছাড়া সেই দিনগুলিতে অর্ধ বা পূর্ণদিবসের ছুটি নেওয়া যাবে না। অন্যথায় কারণ দর্শাতে হবে। এমনকি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতেও কোন সরকারি কর্মীকে যদি কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, উপযুক্ত কারণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস থেকে বের হতে পারবেন না কোন সরকারি কর্মী। বেলা দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় অন্য কোন কর্মসূচি পালন করা চলবে না, অন্যথায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের মুখেও পড়তে হতে পারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। শুধু তাই নয়, যদি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় কেউ কর্মসূচি পালন করে তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে তিনি সেদিন গরহাজির ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে সেইরকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এই আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গত সোমবারেই জানিয়েছেন, সরকারি চাকুরিজীবীরা বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান কাজ করার জন্য। তাঁদের আন্দোলনের ফলে বিঘ্নিত হয় সাধারণ মানুষের পরিষেবা।

    কী বলছে কর্মচারী সংগঠনগুলি?

    কর্মচারী সংগঠনের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘ন্যায্য দাবিতে কর্মীরা আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার দাবি মিটিয়ে দিলে এই সব আন্দোলনের দরকার পড়ে না। টিফিনের সময় হল কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সময়। সেই অধিকারেও হস্তক্ষেপ করেছে সরকার। ওই নির্দেশনামা বাতিলের দাবিতে সোমবার টিফিনের সময় দফতরে দফতরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।’’ অপর এক আন্দোলনকারীর মতে, ‘‘রাজ্য সরকার এভাবে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। যত দমন পীড়ন চলবে, প্রতিরোধ ততই বাড়বে।’’ আরেকটি কর্মচারী সংগঠনের মত হল, ‘‘কর্মবিরতি পালনে বেতন কাটা যেতে পারে কিন্তু অন্য কোন শাস্তি এভাবে দিতে পারে না সরকার। এটা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক এবং ডিএ সহ নানা দাবীতে আন্দোলন বাছাই করতে পদক্ষেপ।’’ এখন দেখার সোমবারে রাজ্য জুড়ে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share