Tag: West Bengal

West Bengal

  • Amit Shah: ফেব্রুয়ারির শেষে বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর?

    Amit Shah: ফেব্রুয়ারির শেষে বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে রাজ্যে আসার কথা ছিল তাঁর। তবে শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায় তাঁর সফর। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, এবার তিনি আসছেনই এবং সেটাও ফেব্রুয়ারির শেষ দিন ২৯ তারিখে। এদিনই মায়াপুরে ইস্কন মন্দির দর্শনে যাবেন তিনি।

    শাহের কৃষ্ণ দর্শন

    ২০২১ সালেও মায়াপুরে ইস্কন মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন শাহ। ফের যাচ্ছেন এবার। যেহেতু দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, তাই শাহের এই ইস্কন সফরে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বালক রাম। তবে এখনও রাম-দর্শন করেননি শাহ (Amit Shah)। তার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন কৃষ্ণ-দর্শনে। বিজেপি সূত্রে খবর, ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহ আসবেন শহরে। পরের দিন সকালে যাবেন মায়াপুরে, কৃষ্ণ দর্শনে।

    দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক

    মন্দির দর্শন শেষে রানাঘাট সহ আশপাশের কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যেহেতু ওই সময় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে, তাই জনসভা করবেন না। সেই কারণেই নেতাদের সঙ্গে করবেন বৈঠক। কলকাতায় ফিরে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন বিজেপির এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে এত তাড়াতাড়ি নিশ্চিত হওয়া যায় না। ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে তিনি বাংলায় থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন। তবে কখন এবং কোথায় কী কর্মসূচি হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    নির্বাচনের আগে ‘তীর্থ’ করা বিজেপি নেতাদের কাছে নতুন কিছু নয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মায়াপুরে কৃষ্ণ দর্শনে গিয়েছিলেন শাহ। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। মতুয়া সম্প্রদায়ের পরম পূজ্য হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান এটি। মাঝ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাংলায় এসে কালীঘাট মন্দিরে গিয়েছিলেন শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জেপি নাড্ডা। দর্শন করেছিলেন উত্তর কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডের একটি গুরুদ্বারও।

    রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, বাংলায় রামের প্রভাব তেমন একটা নেই। রামকে নারায়ণের অবতার বলে মেনে নিলেও, রাম পুজোর চল এ রাজ্যে খুব একটা নেই। এখানকার হিন্দুরা কালী-কৃষ্ণের ভক্ত। সেই কারণেই শাহের ইস্কন মন্দির দর্শন। কৃষ্ণের আশীর্বাদ নিতেও তিনি মায়াপুরে যাচ্ছেন বলে শাহের (Amit Shah) ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose:  ‘শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে বাঁচান’, রাজ্যপালকে পায়ে হাত দিয়ে আর্জি মহিলাদের

    CV Ananda Bose: ‘শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে বাঁচান’, রাজ্যপালকে পায়ে হাত দিয়ে আর্জি মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এদিকে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারির জেরে সোমবারই এলাকায় বনধ ডেকেছে বামেরা। সোমবার মিনাখাঁর বাসন্তী হাইওয়েতে বামনপুকুর এলাকায় রাজ্যপালকে যেতে বাধা দেওয়া হয়। মহিলাদের হাতে পোস্টার দিয়ে তৃণমূলীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পদে পদে বাধা পেয়ে অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছান রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) কী বললেন আতঙ্কিত মহিলারা?

    সন্দেশখালির মাটিতে রাজ্যপাল পা রাখতেই ফুল ছড়িয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় রাজ্যপালকে। এদিন রাজ্যপাল পৌঁছনোর আগেই দেখা যায় রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মহিলারা। কোনও প্ল্যাকার্ডে কেন্দ্রীয় পুলিশের দাবি জানানো হয়েছে। কোথাও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। রাজ্যপালের হাতে রাখিও পরিয়ে দেন অনেক মহিলা। একের পর এক মহিলা এসে তাঁর কাছে অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে থাকেন। অনেক মহিলা তাঁর পায়ে পড়লেন। রাজ্যপালের সামনে অনেকে আবার হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। শাহজাহান বাহিনী নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কথা তাঁরা বলেন। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। গ্রেফতার না করা হলে রাজ্যপাল চলে গেলে, তাঁদের উপর আরও অত্যাচার নেমে আসবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তাঁরা। এক মহিলা রাজ্যপালের সামনে বলেন, ‘আমাদের মায়েদের শান্তির জন্য আপনারা কী চাইছেন জানি না। শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে আমাদের বাঁচান। কিন্তু, শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরাদের না ধরলে আপনারা চলে গেলে আমাদের যে অবস্থা হবে তা আরও ভয়ঙ্কর হবে। আমরা এরপর মুখ তুলে তাকাতে পারব না। ১৩ বছর ধরে যা অত্যাচার হচ্ছে, তার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে। ওরা যদি ফিরে আসে।’

    সন্দেশখালিতে গিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    সবার অভিযোগ শোনেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, “যাবতীয় ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রামের মহিলাদের সুরক্ষিত রাখা ও নিরাপদে রাখার জন্য যা যা করার তা করা হবে।”  সূত্রের খবর, ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কথাও বলেছেন সি ভি আনন্দ বোস। এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “কেরল সফরে ব্যস্ত থাকার সময় সন্দেশখালির ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানতে পারি। তাই সফর কাটছাঁট করেই চলে এসেছি।”

    দফায় দফায় বিক্ষোভ

    কেরল সফর থেকে কলকাতায় ফিরে সোমবারই যে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সন্দেশখালি যাবেন, সেই পরিকল্পনা আগেই ছিল। সকালে বিমানবন্দরে নামার পর নির্ধারিত রাস্তা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কনভয়। সেই পথেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হল রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে। সকাল ১১ টা নাগাদ যখন রাজ্যপালের গাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কনভয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান একদল মহিলা। বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ভিতরে একবার নয়, একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। মিনাখাঁর ওপর দিয়ে বামনগাছির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল কনভয়। প্রথমে বামনপুকুর এলাকায় আটকানো হয় গাড়ি।

    কচিকাঁচাদের হাতে প্লাকার্ড!

    বিক্ষোভকারীদের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। তাতে জানানো হয়েছে বকেয়া টাকার দাবি। সেখান থেকে পুলিশ কোনও ক্রমে জমায়েত সরিয়ে দেওয়ার পর কয়েকশ মিটার দূরে কালীতলা ফের দেখা যায় একই ছবি। আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালেক কনভয়। এমনকী কচিকাঁচাদের হাতে ছিল প্লাকার্ড। কেন পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা জানে না তারা। তৃণমূলীদের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন মহিলারা। অনেকে আবার বলছেন, এলাকায় ইডি কেন আসছে। সন্দেশখালি থানাতে অশান্তি হচ্ছে কেন? এসবের জন্য তাঁরা জমায়েত হয়েছে। রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) কাছে আবাস যোজনার বাড়ি  চাইলেই পাওয়া যাবে বলে তৃণমূলের লোকজন মহিলাদের জমায়েক করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বার বার রাজ্যপালকে বিক্ষোভ দেখানো হলেও পুলিশের ভূমিকা ততটা সক্রিয় ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুন, ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুন, ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নৃশংসভাবে নাবালিকাকে খুন করার ঘটনায় এবার বিশেষ নির্দেশ হাইকোর্ট। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পুলিশের রিপোর্টের বিস্তর ফারাক থাকায় কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। হাইকোর্ট বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।

    আদালত ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে (Murshidabad)…

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত দ্বিতীয়বার ওই কিশোরীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলেন। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়নাতদন্ত শেষ করে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে ওই রিপোর্ট আদালতে  দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা এবং পকসো আইনে মামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানান মৃতের পরিবারের আইনজীবী।

    আদালতের দ্বারস্থ হন নাবালিকার পরিবার

    গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। তারপর আর ফেরেনি। আত্মীয় এবং বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। যে ঘরে ওই কিশোরী থাকত, সেখানে একটি চিরকুট মেলে। তাতে লেখা ছিল, ‘চিন্তা কোরো না’। পরদিন অর্থাৎ, শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে নিখোঁজ ওই কিশোরীর দেহ মিলল। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, গলায় ফাঁসের দাগ আর উপড়ে নেওয়া হয়েছিল দুটি চোখ। নিহত কিশোরীর পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করে পুলিশ। পরিবার অভিযোগ করে তাদের মেয়েকে বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। প্রথমে তদন্তে নেমে এক জনকে আটক করে পুলিশ। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শরীরে একাধিক ক্ষত, গলায় ফাঁসের দাগ এবং ধর্ষণের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে থাকে মৃত্যুর কারণ। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা খুঁজতে করা হয় দেহের ময়নাতদন্ত। সেখানে উল্লেখ থাকে শরীরের আঘাতের কথা। ধর্ষণ হয়ে থাকলে তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সেই রিপোর্টে। অপ্রত্যাশিত ভাবে দুই রিপোর্টের বিস্তর ফারাকের কারণে কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি এসএসকেএমের চিকিৎসকদের দিয়ে কিশোরীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    BJP: ‘‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল সন্দেশখালিতে। পরে, পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাতে এলাকায় পুলিশ অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। শনিবার বিজেপি-র প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যায়। প্রতিনিধি দলে রাজ্য বিজেপি (BJP) সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, মহিলা নেত্রী অর্চনা মজুমদার সহ বসিরহাট বিজেপি সংগঠনিক জেলা বিজেপির নেতৃত্বরা ছিলেন। ধামাখালি থেকে কিছুটা দূরে রামপুর নস্কর পাড়া এলাকায় আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতা কর্মীদের। দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়।

    পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বিজেপি নেত্রী? (BJP)

    পুলিশের বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারি থানার কারণে এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না বিজেপি (BJP) কর্মীরা। অপরদিকে, বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁরা চারজন রয়েছেন। প্রয়োজনে পুলিশও তাঁদের সঙ্গে যেতে পারে। কোথাও আইন ভাঙা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, “পুলিশ শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না। অথচ যে দিন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলেন, পুলিশ কেস দিয়ে দিল। আমরা নাকি পুলিশ পিটিয়েছি। আমরা শুধু কর্মীদের পাশে থাকতে চাইছি। আমরা বন্দুক-বোম নিয়ে আসিনি। মাত্র চারজন এসেছি। একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গ্রামবাসীরা যাঁদের নামে অভিযোগ করল পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছে না। উল্টে সাধারণ গ্রামবাসী সহ বিজেপি কর্মীদের ওপর রাতের অন্ধকারে পুলিশ অত্যাচার করছে। আমরা শুধু অত্যাচারিত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এখানে রাতে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ ঢুকছে। মারধর করছে। মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে। আমাদের কর্মীদের উপর কোনও ভাবেই অত্যাচার আর সহ্য করব না।”

    বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা নিয়ে উত্তেজনা

    শুক্রবার কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালিতে। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন সন্দেশখালির এক অংশের মানুষ। পাল্টা শিবু হাজরার দলকেও এলাকার দখল নিতে দেখা গিয়েছে। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রচুর পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে সন্দেশখালিতে। এর মধ্যে এলাকায় প্রবেশে বাধা পেলেন বিজেপি-র (BJP) প্রতিনিধি দল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘হাত ধরে টানল আমার, ছুড়ে ফেলে দিল মেয়েকে’’, পুলিশের বিরুদ্ধে সরব নির্যাতিতা

    Sandeshkhali: ‘‘হাত ধরে টানল আমার, ছুড়ে ফেলে দিল মেয়েকে’’, পুলিশের বিরুদ্ধে সরব নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) লাগাম টানতে জারি করা হল ১৪৪ ধারা। শুক্রবার রাত থেকে ত্রিমোহিনী বাজার-সহ সন্দেশখালি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল পুলিশ। এমনিতেই জনতার প্রতিরোধে শেখ শাহজাহান বাহিনী কার্যত এলাকা ছাড়া। পুলিশ গ্রামে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।

    বাচ্চা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! (Sandeshkhali)

    শুক্রবার রাতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার খুলনা পঞ্চায়েতের শিতলিয়া গ্ৰামে একাধিক ঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয়। নির্যাতিতা এক মহিলা বলেন, মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ এসে আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর বাড়ির জানলা ভেঙে  আমার হাত ধরে টানে। আমার হাতে পলা ভেঙে যায়। আমার মেয়েকে ছুড়ে ফেলে দেয়। বাড়ির দরজা- জানলা ভেঙে দেয়। পুলিশ বাড়িতে চড়াও হয়ে এসব করেছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সমাজবিরোধীদের মতো করে পুলিশ গালিগালাজ করছে। বাড়ি ভাঙচুর করছে। এভাবে গ্রামে ঢুকে পুলিশি অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। এলাকার মানুষ পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। এমনিতেই শাহজাহান বাহনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এবার ১৪৪ জারি জারি হওয়ার পর এবার পুলিশি অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলার দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) জেলিয়াখালিতে শাহজাহান বাহিনীর মাতব্বর এবং মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে এদিন উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। হামলা চালানো হয় শিবু হাজরার পৈতৃক বাড়িতেও। সব মিলিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। এদিকে ওই খবর সংগ্রহে গেলে শিবু হাজরার দলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। পোল্ট্রি ফার্মের আগুনের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ৭ ফেব্রুয়ারি রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে ৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো, তাঁদের গঠন নয় নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তিত সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা। নিজেদের বেতন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষক সমাজের একাংশ, এমনই অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    কী বললেন বিচারপতি

    বুধবার রাজ্য সরকারের সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেখানেই অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত প্রার্থীদের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, “এই পদগুলো তৈরি হয়েছে যাদের চাকরি চলে গিয়েছে তাদের চাকরি দেওয়ার জন্য। তারা রোজ কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করছে। ওদিকে এই টানাপোড়েনে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”  বিচারপতি বসুর কথায়, যারা এখন চাকরির জন্য কাকুতি মিনতি করছে চাকরি পেলেই তাদের ভোল বদলে যাবে। বাড়ির কাছে বদলি করে দেওয়ার আবেদন জানাবে। উৎসশ্রী, শুভশ্রী প্রকল্পে আবেদন করবে। বেতন সহ পাঁচটা জিনিস নিয়ে মগজমারি করবে। কিন্তু মন দিয়ে পড়াবে না।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলাকালীন শুধুমাত্র দুর্নীতি নিয়ে নয়, প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। স্কুলগুলির বেহাল অবস্থা, ছাত্র সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিচারপতি বসুর এজলাসে। এবার শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর মন্তব্য, “ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নই।” ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা সরকারের থেকে বেতন নিয়ে নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করছেন। নিজেদের পছন্দ মতো স্কুলে বদলিও নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে অতটা চিন্তা করা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশ যে যে মামলা রুজু করছে, সেগুলির উপরেও আপাতত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ  দিয়েছে আদালত। সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) কারা তদন্ত করবে, সিবিআই না রাজ্য, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি এবং রাজ্য দু’পক্ষই। বুধবার সেই মামলা সংক্রান্ত একটি নির্দেশে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। যার ফলে আপাতত সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত অন্তত এক মাস পিছিয়ে গেল বলে মনে করছেন আইনজীবী এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ইডির সওয়াল

    ইডি প্রথম থেকেই চেয়েছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই মর্মে তারা কলকাতা হাইকোর্টে আর্জিও জানিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়ে দেন, শুধু সিবিআই নয়, এই মামলার তদন্ত করতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৈরি করা হবে। সেই সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য, দু’তরফেরই এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। এ ছাড়া দু’পক্ষেরই সমান সংখ্যক সদস্য সিটে থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। বিচারপতি এ-ও জানিয়েছিলেন আদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত হবে। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় ইডি। 

    কী বলল আদালত

    এদিনের শুনানির সময়ে ইডি-র আইনজীবী  এস ভি রাজু সওয়াল করেন, “খুব সিরিয়াস একটি বিষয়। রাজ্য এক্ষেত্রে তদন্ত করলে পক্ষপাতদুষ্ট হবে।” তিনি আদালতে জানান,  সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল রাজ্য তদন্তে অসন্তুষ্ট। তাও রাজ্য পুলিশকে রাখা হয়। একজন মন্ত্রী জড়িত, সেখানে রাজ্য পুলিশ কীভাবে তদন্ত করতে পারে? তাঁর কথায়, “জয়েন্ট টিম এর পারপাস ক্লিয়ার করতে পারবে না।” সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। এদিনের শুনানিতে ইডি-র বক্তব্যের পর প্রধান বিচারপতি আর কারোর বক্তব্য শুনতে চাননি। তিনি সরাসরি সিট গঠনের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। একইভাবে রাজ্য সরকারের পুলিশ যে কটি তদন্ত করছিল, সব কটির ওপরই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ আপাতত স্থগিত থাকবে। কোনও এফআইআরের উপরই তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশও। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানায় বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তেন! আদালতে পার্থর পর্দাফাঁস করল সিবিআই

    Partha Chatterjee: আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তেন! আদালতে পার্থর পর্দাফাঁস করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক পদে বা শিক্ষাকর্মী হিসেবে কারা চাকরি পাবে, কারা পাবে না… গোটাটাই ঠিক করা হত সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক। শুধু তাই নয়, দফতরের যাঁরা এই বিষয়ে সঙ্গ দিতেন না, তাঁদের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হত। সবটাই হতো রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই। শনিবার আলিপুর আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এমনই দাবি করল সিবিআই। 

    আদালতে সিবিআই-এর দাবি

    শনিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পার্থর জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই সিবিআইয়ের তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জানানো হয়, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে কাকে নিয়োগ করা হবে, কাকে সরানো হবে, পার্থ সেই প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন। যাঁরা এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন না, তাঁদের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কোপে পড়তে হত। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত তাঁদের। সিবিআই জানিয়েছে, পার্থ নিজের বাড়িতে বৈঠক করে অনেককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘দুর্নীতির সম্পূর্ণ ছবিতেই রয়েছেন পার্থ। অপরাধ তিনি এমন ভাবে করতেন, যাতে নিজে পিকচারে না থাকেন।’’

    আরও পড়ুুন: ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি

    শিক্ষা সমাজ তৈরি করে

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করার সময় এদিন সিবিআই-এর সওয়ালে উঠে আসে সামাজিক অবক্ষয়ের উদ্বেগও। সিবিআই আইনজীবী বলেন, ‘‘শিক্ষা এমন একটা বিষয়, যা সমাজ গঠন করে। চিকিৎসক কোনও ভুল করলে রোগীর ক্ষতি হয়। কিন্তু এঁরা যে ধরনের অযোগ্য শিক্ষক এনেছেন, তাতে সমাজ কোন দিকে যাবে, ঠিক নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতেই সেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।’’ বহু ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে বলে জানায় সিবিআই। পার্থের আইনজীবী অবশ্য সিবিআইয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তারপর থেকে জেলই তাঁর ঠিকানা। বহুবার আবেদন করেও মেলেনি জামিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Junput: দিঘার কাছে জুনপুটে হবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, শুরু হয়েছে তৎপরতা

    Junput: দিঘার কাছে জুনপুটে হবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, শুরু হয়েছে তৎপরতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার কাছে জুনপুটে (Junput) ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হতে চলেছে। ওড়িশার চাঁদিপুর বা অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হলেও এ রাজ্যে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। পূর্ব  ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চের গোড়াতেই এখান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার কথা কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিআরডিও-র (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন)। তবে গোড়ায় কিছুই জানতেন না বাসিন্দারা। কয়েক দিন ধরে লঞ্চিং প্যাড তৈরি হচ্ছে, বসেছে বোর্ড।

    এলাকাবাসীদের সরানোর উদ্যোগ (Junput)

    কাঁথি থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে জুনপুট (Junput)। জুনপুটে তৈরি হয়েছে নতুন বোল্ডারের রাস্তা। টিনের ছাউনি দেওয়া লঞ্চিং প্যাডের পাশে বসেছে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থার বোর্ড। তার এক দিকে চলছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর রেডার স্টেশন তৈরির কাজ। এখান থেকে দু’কিলোমিটারের মধ্যেই হরিপুর। ২০০৬ সালে সেখানে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা হয়েছিল। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা তখন কমিটি গড়ে আন্দোলনে নামেন। পাশে ছিল তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল। শেষে পিছু হটেছিল তদানীন্তন বাম সরকার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য কাঁথি-১ ব্লকের বিরামপুট এবং দেশপ্রাণ ব্লকের চেচড়াপুট গ্রামে এর মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে এই নিয়ে। সংশ্লিষ্ট দুই ব্লক প্রশাসন এবং ভূমি দফতর সমীক্ষা করে রিপোর্ট কাঁথির মহকুমাশাসকের দফতরে জমা দিয়েছে। ওই দুই গ্রাম থেকে ১৫৫০ জন পূর্ণবয়স্ক এবং ৩৭০ জন নাবালককে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। গবাদি পশুর ক্ষতির আশঙ্কায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

    মৎস্যজীবীরা কী বললেন?

    পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস শ্যামলের মতে, “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে বসেছে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হলে সামুদ্রিক মাছের ঘাটতি হবেই।” জুনপুটে (Junput) মৎস্যজীবী প্রধান এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এতে দূষণ বাড়বে। বিপন্ন হবে জীবন-জীবিকা।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কী বক্তব্য?

    পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তনবীর আফজল মানছেন, “ফেব্রুয়ারি শেষে বা মার্চের গোড়ায় ডিআরডিও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করবে। একটা রকেট ছাড়া হবে বালেশ্বর থেকে। আর একটা জুনপুট থেকে। কীভাবে মাঝ-আকাশে একটা ক্ষেপণাস্ত্র কী করে আরেকটাকে ধ্বংস করে, সেই সংক্রান্ত গবেষণার জন্য জেলার এই জায়গাটি বেছেছে ডিআরডিও। এ জন্য রাজ্য সরকার জমি দিয়েছে। সব রকম সহযোগিতা করা হয়েছে।” মহকুমাশাসক শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, “ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় সাময়িকভাবে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সব নিয়ন্ত্রণ করবে ডিআরডিও। কিছু মানুষকে কয়েক ঘণ্টার জন্য সরে যেতে হবে। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও রয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ‘ব্যাঙ্ক কর্তা’ পরিচয় দিয়ে গায়েব করল ২০ লক্ষ টাকা, ফের সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    Fraud: ‘ব্যাঙ্ক কর্তা’ পরিচয় দিয়ে গায়েব করল ২০ লক্ষ টাকা, ফের সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কের কোনও তথ্য ফোনে না- জানানোর জন্য প্রচার করা হলও এক শ্রেণির মানুষ বার বার ভুল করে ফেলছেন। আর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছেন। আর অপরাধীদের মূলত টার্গেট  বয়স্কদের। সাইবার অপরাধীদের পাল্লায় পড়ে প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন হুগলির শ্রীরামপুরের ৫৮ বছরের এক মহিলা। প্রতারিত মহিলার নাম মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একটি বিমা সংস্থার কর্মী। প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে ২০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়ে সুনন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রবর্তীর নামে বেসরকারি ব্যাঙ্কের শ্রীরামপুর শাখায় যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাতে ফোন নম্বর রয়েছে মৌসুমীর। সুনন্দিতা বলেন, বুধবার বিকেলে মায়ের মোবাইলে পুরুষকণ্ঠে ফোন আসে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে। বলা হয়, অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে কিছু তথ্য দরকার। অভিযোগ, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ‘কাস্টমার আইডি’ জানার অনুরোধ পাঠায় প্রতারক। তা যাচাইয়ের জন্য ওটিপি আসে মৌসুমীর মোবাইলে। সাইবার প্রতারকের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে তিনি ওটিপি বলে দেন। আরও নানা তথ্য হাতিয়ে নেয় সে। মৌসুমীকে বিভ্রান্ত করে মোট ৪৪ বার তাঁর থেকে ওটিপি জেনে নেয় প্রতারক। দেড় ঘণ্টার মধ্যে ১৬ বারে অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৬৯ টাকা তুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরেই ব্যাঙ্কে লেনদেন প্রক্রিয়া বন্ধ করেন সুনন্দিতারা। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশেরও দ্বারস্থ হন। হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক জন প্রবীণ নাগরিক এ ভাবে প্রতারণার (Fraud) শিকার হয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ব্যাঙ্কের তথ্য কী ভাবে পেয়ে যাচ্ছে প্রতারকেরা? যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share