Tag: West Bengal

West Bengal

  • By Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে রাজ্যে ছয় কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ

    By Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে রাজ্যে ছয় কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের (West Bengal) ছয় বিধানসভা আসনে আজ উপনির্বাচন (By Election 2024)। সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে বুথগুলিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছয় কেন্দ্রে মোট ১০৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সকালে বিভিন্ন বুথে মোতায়েন করা হয়েছে ১০২ কোম্পানি বাহিনী। আর ছয় কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে স্ট্রংরুম পাহারার দায়িত্বে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এ ছ’টি বিধানসভা আসনের মধ্যে পাঁচটিই ছিল তৃণমূলের দখলে। একমাত্র মাদারিহাট ছিল বিজেপির। ২৩ নভেম্বর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে।

    কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী? (By Election 2024)

    উত্তরবঙ্গের দুটি আসন এবং মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা কিছুটা বেশি। তবে, বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় বাহিনীর সংখ্যা সব থেকে বেশি রাখা হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিতাইয়ে ১৮, মাদারিহাটে ১৮, নৈহাটিতে ১৩, হাড়োয়ায় ১৮, মেদিনীপুরে ১৯ এবং তালড্যাংরায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে রাস্তায়। ১০২ কোম্পানি বাহিনী থাকবে বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে। ভোট শেষে স্ট্রংরুম গার্ড দেবে ছয় কোম্পানি বাহিনী।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    দেড় হাজার বুথে চলছে ভোটগ্রহণ

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (By Election 2024) জন্য মোট দেড় হাজারেরও বেশি (১৫৮৩টি) ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে মেদিনীপুর আসনে। কমিশন জানিয়েছে, সিতাইয়ে ৩০০, মাদারিহাটে ২২৬, নৈহাটিতে ২১০, হাড়োয়ায় ২৭৯,মেদিনীপুরে ৩০৪ এবং তালড্যাংরায় ২৬৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রাখা হয়েছে। সিতাইয়ে ভোটারের সংখ্যা ৩,০৫,৫৬৫, মাদারিহাটে ২,২০,৩৪২, নৈহাটিতে ১,৯৩,৮৩৫, হাড়োয়ায় ২,৯১, ৭১৪, তালড্যাংরায় ২,৪১,৪৯৭। মেদিনীপুর আসনে ভোটারের সংখ্যা ২,৯১,৭১৫। এদিন সকাল থেকে চলছে ভোটগ্রহণ।

    কেন ছয় কেন্দ্রে ভোট?

    হাড়োয়ার প্রাক্তন বিধায়ক হাজি নুরুল সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। তিনি এ বার লোকসভা ভোটে বসিরহাট থেকে জিতেছিলেন। জয়ের কয়েক মাস পরেই প্রয়াত হন নুরুল। ফলে, হাড়োয়া আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। নৈহাটির প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক এখন সাংসদ। তাঁর জয়ের পর নৈহাটির বিধানসভা আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। সিতাইয়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বর্তমানে কোচবিহারের সাংসদ। তালড্যাংরার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী এখন বাঁকুড়ার সাংসদ হয়েছেন। মেদিনীপুরে জুন মালিয়া সাংসদ হওয়ায় বিধায়কের পদ ফাঁকা হয়ে যায়। মাদারিহাটে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। ফাঁকা আসনগুলিতে এবার উপনির্বাচন (By Election 2024) হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে প্রাণনাশের হুমকি, দলবল নিয়ে হাসপাতালে দাপালেন তৃণমূল নেতা!

    South 24 Parganas: অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে প্রাণনাশের হুমকি, দলবল নিয়ে হাসপাতালে দাপালেন তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে ঢুকে দাদাগিরি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে। প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সৌরভকুমার দাস বলেন, “তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তৃণমূল নেতার সঙ্গে ছিলেন হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক সাফাইকর্মী এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের একাংশ। আসলে ডিউটি রস্টারে রদবদল হলেও চুপ করে থাকা, কাউকে না জানিয়ে একজনের ডিউটি অন্যজন করা, কাজে না এসেও বেতনের বিলে সই করা, ওয়ার্ডে আয়াকে ঢুকতে দেওয়ার মতো একাধিক ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করা হয় আমার ওপরে। ৭-৮ মাস ধরে সিকিউরিটি স্টাফের রস্টারটা আমি চাইছিলাম। পাচ্ছিলাম না। কারণ সেটা দেখে বিল সই করতে হয়। ওদের দাবি, ওরা ডিউটি না করলেও বকেয়া স্লিপে আমাকে সই করে দিতে হবে। একজনের ডিউটি আরেকজন করবে, সেসব মেনে নিতে হবে। কিন্তু, আমি মাথা নত না করায় এদিন হুমকি দেওয়া হয়। আমাকে বলেছে, আপনার অত রোস্টার দেখার দরকার নেই। আয়াদের হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে দিতে হবে। বেশি নিয়ম দেখালে কী করে ক্যানিং থেকে বের হন, দেখে নেব।”

    আরও পড়ুন: কোড অফ কনডাক্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-জব কার্ডের ফর্ম ফিলাপ

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিঘিরপারা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য তন্ময় দাস। তিনি ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক পরেশরাম দাসের ঘনিষ্ঠ। গোটা ঘটনার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। যদিও এই বিষয় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ও তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা বলেন, “হাসপাতালে যদি এমন হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। চিকিৎসক মানে ভগবানের সমতুল্য। তৃণমূল এইরকম হুমকির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। প্রশাসন সঠিক তদন্ত করুক এবং এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদের দলমত নির্বিশেষে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভয় পেয়েই পাহাড়ে পালিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী’’, চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভয় পেয়েই পাহাড়ে পালিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী’’, চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। আপনাদের ভয় পেয়েই পাহাড়ে পালিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।” চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। আর ২০২৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করার হুমকি দেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “১৫ মাস সময় দিন, ভাইপোকে জেলে পাঠাব।”

    রাজ্যে নিয়োগ হবে না (Suvendu Adhikari)

    সোমবার থেকেই ফের চাকরির দাবিতে পথে নেমে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। নবান্নের কাছেই হাওড়ার মন্দিরতলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে গ্রুপ ডি ওয়েটিং ঐক্য মঞ্চ। মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভকারীদের মঞ্চে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা একদিন জয়যুক্ত হবেন। তবে চাকরিতে এই সরকারের আমলে কতটা নিয়োগ হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, এই জটিলতা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, উনি শুধু ভোটের রাজনীতি বোঝেন। লিখে রাখুন, পশ্চিমবঙ্গে যতদিন না ওবিসির জট কাটছে, একটাও নিয়োগ হবে না।”

    আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    লং মার্চ!

    শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, “জানুয়ারি মাসে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে লং মার্চ হবে। লাখো লাখো বেকার ছেলে-মেয়ে নবান্ন অভিযানে পথে নামবেন।” শুধু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানই নয়, এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, “টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেও যদি সরকারের ঘুম না ভাঙে, তাহলে আগামী দিনে পুলিশকে বাঁচানো সম্ভব হবে না”

    দুর্নীতি নিয়ে সরব

    নিয়োগ মামলায় জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, “টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে। মেধা-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রী যোগ্যদের চাকরি দেননি।” বাম আমলের সঙ্গে বর্তমান তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির হিসেব সামনে আনেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বাম আমলে ৫ লক্ষ মানুষ বাইরে কাজে যেত। এখন ৫৫ লক্ষ মানুষ কাজে যান। রাজ্যে বেকারের সংখ্যা ২ কোটি।” উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গ্রুপ ডি পদে পরীক্ষার পর চাকরিপ্রার্থীরা তালিকাভুক্ত হন, ইন্টারভিউও হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু পাঁচ বছর হতে চললেও মেলেনি নিয়োগ। আগেই চাকরির দাবিতে নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরে প্রশাসনের তরফে গ্রিন সিগন্যাল না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপরই নবান্নের অদূরে মন্দিরতলায় ৪৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি মেলে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মঞ্চে দেখা যায় কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া কৌস্তভ বাগচীকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Exam 2025: মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে গেলে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, কবে শুরু প্রক্রিয়া?

    Madhyamik Exam 2025: মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে গেলে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, কবে শুরু প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের মাধ্যমিক (Madhyamik Exam 2025) পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ফিলাপ সম্পূর্ণ অনলাইনে (Online Form Fill up) হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে। ২ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ফর্ম ফিলাপ শুরু হবে। চলবে ১৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। অনলাইন ফর্ম ফিলাপ কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলকেই। পর্ষদের তরফে একটি ওয়েবসাইট (www.wbbsedata.com) দেওয়া হয়েছে। সকল মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর তথ্য পর্ষদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে স্কুলগুলিকে।

    রাইটার নিতেও অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ (Madhyamik Exam 2025)

    এর আগে, পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসে জমা পড়ত পূরণ করা ফর্ম। কিন্তু এবার থেকে তা হবে না। বড়সড় বদল নিয়ে আসা হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। এবার থেকে প্রতিটি স্কুলে একদম সরাসরি পর্ষদের দেওয়া ওয়েবসাইটেই সকল তথ্য আপডেট করবে। আপলোডে দেরি হলে কঠোর পদক্ষেপ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে হুঁশিয়ারি পর্ষদের। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে পর্ষদ অফলাইনে ফর্ম জমা (Online Form Fill up) নেবে বলে সূত্রের খবর। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Madhyamik Exam 2025) এক আধিকারিক জানান, এত দিন পর্যন্ত ফর্ম স্কুলের কাছে পাঠানো হত। স্কুলগুলি তা ছাত্রদের দিয়ে পূরণ করিয়ে বোর্ডের কাছে পাঠাত। এ বার সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে করা হবে। শুধু তাই নয়, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়ারাও তাদের রাইটার বা অনান্য সুবিধা নেওয়ার আবেদন এই অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ (Online Form Fill up) সময় করতে হবে। পড়ুয়াদের শংসাপত্র দেওয়া হবে অনলাইনের মাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের নেতা কী বললেন?

    স্কুলের (Madhyamik Exam 2025) ওপরে সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “ক্রমাগত বিদ্যালয়ের ওপর একটার পর একটা কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিকাশ ভবন থেকে যেসব কাজ করা হত, সে কাজগুলি বিদ্যালয়গুলির ওপর চাপানো হচ্ছে। এই সমস্ত কাজ এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়, স্বাভাবিক ভাবে শিক্ষকদের এই কাজে ব্যত থাকতে হয়। বহু বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে পঠন পাঠন ব্যাহত হয়। তার সঙ্গে রয়েছে বহু ধরনের প্রকল্পের কাজ।”

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কী বললেন

    জানা গিয়েছে, অনলাইন পদ্ধতিতে ফর্ম পূরণের (Online Form Fill up) পরে তা ডাউনলোড করে দু’কপি প্রিন্ট আউট নিতে হবে। একটি কপি স্কুল নিজের কাছে রাখবে এবং অন্যটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কাজে গতি আনতে এবং নির্ভুল প্রক্রিয়াকরণ করতে ডিজিটাইজেশনের পথে ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। এতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যে বিপুল পরিমাণ কাজের চাপ তা অনেকটাই কমবে।”প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2025) শুরু হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রথম ভাষার পরীক্ষা, ১৫ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ভাষা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস পরীক্ষা, ১৮ ফেব্রুয়ারি হবে ভূগোল, ১৯ ফেব্রুয়ারি জীবন বিজ্ঞান, ২০ ফেব্রুয়ারি ভৌতবিজ্ঞান, ২২ ফেব্রুয়ারি অঙ্ক ও ২৪ ফেব্রুয়ারি ঐচ্ছিক বিষয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: অনুপ্রবেশের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন! বাংলা-ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা

    ED: অনুপ্রবেশের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন! বাংলা-ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) (ED)। অনুপ্রবেশের সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপের তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় মঙ্গলবার তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ, বারাকপুর-সহ আরও একাধিক জেলায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। বুধবার, ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফায় নির্বাচন হবে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেদিনই। এই আবহে ভোটের একদিন আগে এই তল্লাশি অভিযান বেশ উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (ED)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক মহিলার বাড়িতে সকাল থেকে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা (ED)। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েক জন মহিলাকে কাজের টোপ দিয়ে এ দেশে নিয়ে এসেছিলেন ওই মহিলা। চোরাপথেই তাঁদের আনা হয়েছিল ভারতে। কাজের প্রলোভন দিয়ে এ দেশে আনলেও শেষে তাঁদের বিভিন্ন অসাধু কাজে যুক্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে ওই চক্রের থেকে কয়েক জন পালিয়ে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের একটি থানায় অভিযোগ জানান। মামলা দায়ের হয় পড়শি রাজ্যে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। সূত্রের খবর, এই রাজ্যে কলকাতা লাগোয়া আটটি জায়গা-সহ রাজ্যের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চলছে। ঝাড়খণ্ডে দায়ের হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইডি তদন্তে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনের বিষয়টি। পরে, সেই কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে সাদা করার চেষ্টা হয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    অনুপ্রবেশ-হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেন!

    অনুপ্রবেশ ঘিরে কালো টাকার লেনদেনের তদন্তে একটি ক্যাব ব্যবসার তথ্যও ইডির (ED) হাতে উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই অনুপ্রবেশ ও হাওয়ালার (Hawala) মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সঙ্গে ক্যাব ব্যবসার কী ধরনের যোগ রয়েছে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের পাচার করে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে আসা হচ্ছিল। জানা যায়, এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই অভিযোগকারী নিজে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার করে বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। পরে, তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে স্থানীয় এক রিসর্টে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। পরে, সেই অভিযোগকারী অনুপ্রেশকারী ৫-৬ জন মহিলাদের নামও বলে দেন তদন্তকারীদের। তাঁদের কাছ থেকে আবার একটি ভুয়ো আধার কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।  

    অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব মোদি-শাহ

    এর আগে ঝড়খণ্ডে এক নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য জুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে সরকারপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘তোষণার রাজনীতিকে চরমে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্যে এদের গোটা রাজ্যে বসবাসের জন্যে জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল। পরিস্থিতি এখানে এমন হয়ে গিয়েছে যে সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপদ কতটা বড়। যখন অনুপ্রবেশের মামলা আদালতে যায়, কিন্তু প্রশাসন সেটা অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গিয়েছে।’’ একই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন অমিত শাহ-ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজো মানে একবাক্যে সকলেই চন্দননগর, কৃষ্ণনগরের নাম বলবেন। কিন্ত, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারের কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhatri Puja 2024) আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি গ্রাম জুড়ে হয় ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো। আধুনিকতা কিংবা চাকচিক্য নয়, এখানকার পুজোর বিশেষত্ব সাবেক বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য। এরই সঙ্গে মিশে আছে মেলা, নাগরদোলা, কবিগান, বাউলগান আর আবালবৃদ্ধবনিতার অনাবিল আনন্দ। জগদ্ধাত্রী এক দিনের পুজো হলেও এর রেশ থেকে যায় বেশ কয়েকটা দিন।

    কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন (Jagadhatri Puja 2024)

    কাগ্রাম জেলার প্রান্তবর্তী এক প্রাচীন বনেদি গ্রাম। রয়েছে বহু ব্রাহ্মণ, শাক্ত ও বৈষ্ণব পরিবার। মধ্য রাঢ়ের অতি প্রাচীন এই গ্রামের নামকরণ গ্রাম্যদেবী কঙ্কচণ্ডীর নামানুসারে। অতীতের কাগাঁ আজকের কাগ্রাম। পারিবারিক ও বারোয়ারি মিলিয়ে এখানে পুজোর সংখ্যা ২৭টি। এ গ্রামে দুর্গাপুজো, কালীপুজো সহ অন্যান্য পুজো (Jagadhatri Puja 2024) হলেও মুখ্য আকর্ষণ সাবেক মেজাজের জগদ্ধাত্রী পুজো। এ গ্রামের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মার্সায় বাড়ির পুজো। সাবেক বাংলা রীতির প্রতিমায় আজও দেখা যায় অভিজাত্যের ছোঁয়া। শোনা যায়, পরিবারের আদিপুরুষ নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন করেন। পরবর্তী কালে বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়। আজও পুজোর প্রধান আকর্ষণ মহিষ বলি। পুরনো প্রথা মেনে হয় কুমারী পূজাও। এই পুজো ঘিরে হয় সাত দিন ব্যাপী মেলাও। এছাড়া রায়বাড়ির পুজো, পালবাড়ির পুজো, পশ্চিমপাড়ার বারোয়ারি পুজো দেখতে ভিড় উপচে পড়়ে। সারা রাত ধরে প্রতিমা দেখতে আশপাশর বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন।

    বিসর্জনে শোভাযাত্রা

    শুধু সাড়ম্বরে পুজো নয়। কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2024) বিসর্জনের শোভাযাত্রাও সমান আকর্ষণীয়। এক একটি প্রতিমার শোভাযাত্রা হয় দীর্ঘ বিস্তৃত। সঙ্গে থাকে আলোকসজ্জা এবং নানা ধরনের বাজনা। যেমন ব্যান্ড তাসা ইত্যাদি। বিসর্জন উপলক্ষে মেলে প্রশাসনের বিশেষ সহযোগিতা। প্রতিটি পাড়ার প্রতিমার সঙ্গে থাকে পুলিশ পোস্টিং।  আগে বাহকদের কাঁধে চেপে প্রতিমা বিসর্জনে গেলেও এখন ট্রলিতে কিংবা ভ্যানে প্রতিমা বিসর্জনে যায়। যে সব পুজোগুলি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে প্রশাসনের তরফে পুজো কমিটিকে প্রতিমা তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে। সেই অনুযায়ী হয় বিসর্জন। মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে এই সব প্রতিমা সারা রাত গ্রাম প্রদক্ষিণ করে পরদিন সকাল ৯টা নাগাদ মণ্ডপে ফেরে। তার পরে শুরু হয় বিসর্জন পর্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরে ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা, রাজবাড়িতে হল সিঁদুর খেলা

    Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরে ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা, রাজবাড়িতে হল সিঁদুর খেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার একদিকে যখন কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে মহিলারা উন্মাদনায় মেতে ওঠেন, ঠিক সেই সময় শহর জুড়ে বিভিন্ন বারোয়ারির ঘট বিসর্জন ঘিরেও উচ্ছ্বাস দেখা গেল শহরে। বিভিন্ন রাস্তায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagadhatri Puja 2024) কেন্দ্র করে এ যেন এক অন্য কৃষ্ণনগর!

    ঘট বিসর্জনে শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024)

    পুজো এবং প্যান্ডেলের পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আকর্ষণ বিসর্জন। বিসর্জন ঘিরে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের প্রতিটি জগদ্ধাত্রী মাতা (Jagadhatri Puja 2024) একদিন পূজিতা হন। সোমবার সকাল থেকেই একাধিক বারোয়ারি ঘট বিসর্জনের জন্য শোভাযাত্রা নিয়ে রাজপথে রওনা দেয়। তবে অন্যান্য বারোয়ারি ঘট বিসর্জন করলেও কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি তা করে না। সেই কারণেই রাজবাড়িতে দেখা গেল রানিমার উপস্থিতিতে সিঁদুর খেলা। তা চলল দফায় দফায়। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড়ে সকাল থেকে রাস্তার পাশে মানুষের উপস্থিতি। তাদের মধ্যে মূল আকর্ষণ চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমাকে ঘিরে। সকাল থেকে ঘট বিসর্জনের পর রাতে জগদ্ধাত্রী মাতাকে নিয়ে বের হয় তারা। মূলত সাং যাত্রার মাধ্যমে চলে রাতের শোভাযাত্রা। এখানে প্রতিমা কোনও গাড়িতে করে যায় না। মূলত মানুষের কাঁধে করে বিসর্জনের পথে রওনা দেয় কৃষ্ণনগরের প্রতিটি বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী মাতা। বিভিন্ন বারোয়ারি নিত্যনতুন আকর্ষণ তুলে ধরেছে। পুরুলিয়ার ছৌ নাচ থেকে শুরু করে বাংলার যে সমস্ত সংস্কৃতি এবং শিল্প রয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হয় এই শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে।

    কদমতলা ঘাটে নিরঞ্জন

    কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বিভিন্ন রাজপথ অতিক্রান্ত করে কদমতলা ঘাটে বিসর্জন হয় জগদ্ধাত্রী মাতার। অন্যদিকে, এই শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024) ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে কারণে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘একটি ক্যামেরা লাগাতে খরচ ৩.৫ লক্ষ টাকা’’! সিসিটিভি-দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘একটি ক্যামেরা লাগাতে খরচ ৩.৫ লক্ষ টাকা’’! সিসিটিভি-দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোয় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় নথি পেশ করে শুভেন্দুবাবু দাবি করেছেন, আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর খরচ দেখানো হয়েছে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, অবিশ্বাস্য, নির্লজ্জ। প্রত্যেকে জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু এবার তারা নিজেরাই নিজেদের ছাপিয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    কী অভিযোগ করলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়ার পর সিসিটিভি লাগানো নিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে অনেক গলাবাজি করেছেন। এরপর স্বাস্থ্য দফতর সিসিটিভি লাগাতে টেন্ডার জারি করে। আর হাসপাতালে সেই সিসি ক্যামেরা লাগানোর নাম করেই তৃণমূল সরকার টাকা তুলছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। ঝাড়গ্রাম এবং আরামবাগের দুটি হাসপাতালের তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯৫টি সিসিটিভি লাগানোর কথা, তাতে মোট খরচ হবে ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৫২ হাজার ৯২৩! অর্থাৎ ইউনিট প্রতি খরচ ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, আরামবাগের প্রফুল্লচন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০টি সিসিটিভি লাগাতে হবে। তার জন্য খরচ হবে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৩৯ টাকা। ইউনিট প্রতি খরচ ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৭৪! বিজেপি নেতার স্পষ্ট দাবি, কলেজ-হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি বসানো নিয়ে কাটমানি তুলছে তৃণমূল। গোটা ঘটনাকে অত্যাশ্চর্য, অভাবনীয় বলার পাশাপাশি লজ্জাজনকও বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার যে দুর্নীতিগ্রস্থ তা সকলের জানা। কিন্তু এই কাজ করে তাঁরা সব সীমা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিকে টাকা কামানোর সুযোগে পরিণত করার জন্য তৃণমূলের হাততালি প্রাপ্য।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আদালতে শুরু আরজি কর মামলার বিচার প্রক্রিয়া, রুদ্ধদ্বার কক্ষে হবে সওয়াল-জবাব

    RG Kar Case: আদালতে শুরু আরজি কর মামলার বিচার প্রক্রিয়া, রুদ্ধদ্বার কক্ষে হবে সওয়াল-জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় সোমবার থেকে শিয়ালদা আদালতে শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। সিবিআই তদন্তভার গ্রহণের ৮৭ দিন পর সোমবার থেকে ‘ইন ক্যামেরা’ বা বন্ধ কক্ষে হচ্ছে মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এই আদালতে চলছে আরজি কর মামলা। রোজ চলবে এই মামলার শুনানি। এর আগে এই মামলায় সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম ছিল। ধর্ষণ-খুনে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন বলে বারে বারে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের তরফে। যদিও সিবিআইয়ের চার্জশিটে বা শুরুর দিকে কলকাতা পুলিশের তদন্তে তেমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি। তবে সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে সিবিআই এর হাতে।

    আমাকে ফাঁসানো হয়েছে (RG Kar Case)

    আদালত সূত্রের খবর, সিবিআই চার্জগঠন (RG Kar Case) করার সময় ১২৮ জনকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে প্রথম পর্যায়ে ৫৬ জনের সাক্ষী নেওয়া হবে। এই মামলায় প্রথম দুই সাক্ষী হিসাবে আদালতে বয়ান নথিবদ্ধ করাবেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এই ১২৮ জনের মধ্যে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার, কলকাতা পুলিশ, ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিকেরাও। ধাপে ধাপে প্রত্যেকেরই বয়ান নথিবদ্ধ করা হবে।সূত্রের খবর, ১১ নভেম্বর আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলার বিচার প্রক্রিয়ার শুরুর দিনই নির্যাতিতার পরিবারের কারও সাক্ষ্য নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার শিয়ালদা আদালতে চার্জ গঠনের দিনে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে বড় অভিযোগ সামনে এনেছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার কোনও কথা শোনেনি আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে সব দোষ দেওয়া হচ্ছে। আমি ধর্ষণ-খুন করিনি। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি, আমাকে নীচে নামিয়ে দেওয়া হল। আমি পুরোপুরি নির্দোষ, আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’’ স্বভাবতই, এই সোমবার থেকে শুরু হওয়া শুনানিতে সঞ্জয়ের প্রসঙ্গটিও উঠে আসে কিনা, সঞ্জয় এব্যাপারে নতুন কিছু বলেন কিনা, তা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে সব মহলে।

    আরও পড়ুন: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    বন্ধ দরজার পিছনে সওয়াল-জবাব

    গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চারতলায় সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের হয় কলকাতার সিঁথি থানায়। ঘটনার পরদিন কলকাতা পুলিশ একটি ছেঁড়া হেডফোনের তার ও সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। পরে সিবিআই (CBI) এই ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তভার হাতে নেয়। তারপর গত ৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেখানে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নামই ছিল। ১১ নভেম্বর থেকে মামলার বিচারপর্ব বা ‘ট্রায়াল’ শুরু হয় দুপুর ২ টোয়। সওয়াল জবাব চলবে বন্ধ দরজার পেছনে। ছুটির দিনগুলি ছাড়া প্রত্যেকদিনই বিচারপর্ব চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করলে ৭ দিনে টাকা উদ্ধার’’, আশ্বাস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করলে ৭ দিনে টাকা উদ্ধার’’, আশ্বাস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনকে (By Election 2024) কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রবিবার তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে শাসক দলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়ার তালডাংরার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। সেখানেই প্রচারে গিয়ে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    ঠিক কী বলেনছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বিনপুরের সিভিক ভলান্টিয়ারের ছবি দিয়েছি আমি। বিনপুর থানার সিভিক ভোট চাইতে যাচ্ছে। বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব। ওর বাপের টাকা? সরকারের টাকা। আমার জেলায় ১৫টা বিধানসভায় হেরেছে। সৌমিত্র খাঁ জিতেছে। আমাদের এলাকায় একটা মা দিদি বোনের কোনও ভাতা – টাকা – বন্ধ করার ক্ষমতা ওরা দেখাতে পারেনি। আর তালডাংরায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য যদি একজন মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়, তাহলে শুধু হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকাউন্ট নম্বরটা দেবেন। সুদ সহ টাকা ৭ দিনের মধ্যে যদি আদায় করতে না পারি, বিরোধী দলনেতা আর কোনও দিন আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসবে ন।’’

    সিভিককে তোপ

    এক্স হ্যান্ডেলে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘ইনি ভীম মণ্ডল। বাঁকুড়ার জেলার ইন্দপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। দেখা যাচ্ছে, তিনি তালডাংরা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন এই সিভিক ভলান্টিয়ার। ওর বাপের টাকা? এটা সরকারের টাকা।’’

    কমিশনে বিজেপি

    বাঁকুড়া জেলা বিজেপির তরফে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও ইন্দপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রেজাউল খাঁ বলেন, ‘‘আমাদের লোক সবাই। শুধু সিভিক ভলান্টিয়ার কেন? আমাদের লোক, একজন হাইস্কুলের মাস্টার। প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার। আশাকর্মী। সবাই আমাদের লোক। মিথ্যা অভিযোগ। আমাদের দলের ছেলেরা প্রচারে বেরিয়েছিল। রাস্তায় দেখা পেয়েছে। তাঁদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেছে। ব্যস, এটুকুই। অন্য কিছু নয়। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জানান, সিভিক ভলান্টিয়ার প্রচার করছেন, এমন কোনও তথ্য আসেনি।’’ ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share