Tag: West Bengal

West Bengal

  • West Bengal: পড়ে আছে গ্রামীণ প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে খরচের নির্দেশ রাজ্যের

    West Bengal: পড়ে আছে গ্রামীণ প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে খরচের নির্দেশ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে প্রায়ই গলা ফাটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রতিটি নির্বাচনের আগে নিয়ম করে কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে সস্তা হাততালিও কুড়োন। অথচ তথ্য বলছে, বিভিন্ন গ্রামীণ প্রকল্পের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশন সূত্রে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের (West Bengal) হাতে আসা টাকার প্রায় অর্ধেকই খরচ করতে পারেনি রাজ্য। মধ্য-এপ্রিলে রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। তার আগে ওই টাকা খরচ করতে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, টাকা ঢুকছে। প্রত্যেককে সচেতন করা হয়েছে, যাতে সময়ের মধ্যে খরচ হয়। তিনি বলেন, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা চাইছেন, তা পূরণ করতে মুখ্যসচিব, জেলাশাসক সকলেই তৎপর।

    টাকার পরিমাণ…

    জানা গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চলতি আর্থিক বরাদ্দের ৫০.৪৬ শতাংশ অর্থ এখনও খরচ করতে পারেনি জেলাগুলি। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২৪৪৬ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে টায়েড ফান্ডেই পড়ে রয়েছে ১ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা। পানীয় জল সরবরাহ ও শৌচালয় তৈরিতে এই টাকা খরচ করার কথা। এছাড়া অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে আনটায়েড ফান্ডে খরচ না হয়ে পড়ে রয়েছে ৯১৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দের ৫০ শতাংশের কম টাকা খরচ হয়েছে ৭৬টি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়। ৫২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছবিটাও প্রায় একই।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার

    মাঝ-এপ্রিলে রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বাকি টাকা খরচ না হলে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অস্বস্তিতে পড়তে হবে রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূলকে। তাই জারি হয়েছে দ্রুত টাকা খরচের ফরমান। পঞ্চায়েত দফতর টাইমলাইনে জেলাগুলিকে বলেছে, ৯ জানুয়ারির মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে ভেটড স্কিম বা প্রকল্পগুলিকে ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় অনুমোদন করাতে হবে। ১৪ জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডার ডাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ শেষ করে রাখতে হবে। যাতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করে দেওয়া যায় কাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Human Rights: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস

    Human Rights: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার (Human Rights)। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার সেই অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে বাংলায় আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মানবাধিকার, বিশেষত মহিলা, দরিদ্র এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য কাজ করে এই সংস্থা। এই সংস্থাই গঠন করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই কমিটিই আসবে বঙ্গ দর্শনে। তদন্ত করবে মানবাধিকার  লঙ্ঘনের অভিযোগের। সংগঠন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রচুর অভিযোগ পেয়েছে তারা। সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ধর্ষণ, খুন, লুঠ, অগ্নিসংযোগের একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। এও জানিয়েছে, এসবের নেপথ্যে রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের হাত। সংগঠন জানিয়েছে, দ্য ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস খুন, ধর্ষণ, লুঠ, অগ্নিসংযোগ সহ নানা অভিযোগ পেয়েছে। সরকারি মেশিনারি কাজে লাগিয়ে এসবই করেছে রাজ্যের শাসক দল।

    ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস…

    ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষ, বিশেষত মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। তাদের অভিযোগ, এ রাজ্যে মানবাধিককার (Human Rights) লঙ্ঘনের ঘটনা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সংগঠন গড়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক রাজপাল সিং, মহিলা ওমেন্স রাইটস ল ইয়ার চারু ওয়ালি খান্না, আইনজীবী ওম প্রকাশ ব্যাস, সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক এবং আইনজীবী রোজি টাবা।

    আরও পড়ুুন: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা রাজ্যে যাবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। এটাই হবে স্বাধীন, উচ্চ পর্যায়ের সিভিল সোসাইটি কমিটির প্রথমবারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সফর। কমিটির সদস্যরা কথা বলবেন যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের সঙ্গে। গোটা দেশে তাঁদের স্বর তুলে ধরা এবং তাঁদের সুরক্ষা দেওয়াই কমিটির কাজ। প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ওই পাঠানো হয়েছিল ওই টিম। সেই টিম রিপোর্ট দিয়েছে দিল্লিতেে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Vande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    Vande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্রান্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নতুন বছরেই সাধারণের জন্য চালু হয়েছে এই ট্রেন। যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি হল মালদায়। দুষ্কৃতীদের মুহুর্মুহু পাথরের হামলায় ভেঙে যায় ট্রেনের কাচ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যদিও দ্রুত হামলার জায়গা পেরিয়ে এগিয়ে চলতে শুরু করে বন্দে ভারত। তবে কে বা কারা এই ট্রেনকে টার্গেট করল, খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    কী ঘটেছিল

    ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন। বাংলায় বন্দে ভারতের সূচনা লগ্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই ট্রেনের চাকা গড়াতেই এমন কাণ্ড। রেল সূত্রে খবর, তখন সবেমাত্র সন্ধে নেমেছে। এনজেপি থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মালদার কুমারগঞ্জ স্টেশন পার করার সময়ে ট্রেনে সি ১৩ কোচে পাথর ছোড়া হয়। পাথরের আঘাতে দরজার কাচে চিড় ধরেছে। এরপর ট্রেন যখন মালদা টাউন স্টেশনে থামে, তখন ঘটনাটি নজরে পড়ে। কিন্তু কারা এ কাজ করল? কেনই বা করল? তা স্পষ্ট নয়।  ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী গোটা ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে উল্লেখ করে ট্যুইটে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়েছে। এই ঘটনা কি উদ্বোধনের দিনে জয় শ্রীরাম স্লোগানের প্রতিশোধ?’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানান তিনি। পূর্ব রেলের তরফে বলা হয়, ট্রেনে পাথর ছোড়া একটা সামাজিক ব্যাধি। সারা বছর এ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালান হয়। আরপিএফের সঙ্গে এটা জিআরপিরও দেখার কথা। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রেলের তরফে এটা নিয়ে কথা বলা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের পাঁচটি মামলার মতোই কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ‘রক্ষাকবচ’ আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামী ৫ জানুয়ারি টেন্ডার দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    শুভেন্দুর আইনজীবী যা বললেন 

    এদিন মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, গত ২৮ নভেম্বর তাঁর মক্কেলের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছিল। অথচ ২৮ নভেম্বর নতুন মামলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। আইনজীবীর অভিযোগ, সেই তথ্য রাজ্য সরকার গোপন করেছে আদালতে। উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বিরোধী দলনেতার আইনজীবী জানান, এই সমস্ত মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুভেন্দুবাবুর প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও মামলারই কোনও ভিত্তি নেই। অকারণে হেনস্থা করতে পুলিশকে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    শুভেন্দু মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলেনতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত। ফলে পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার কাজ স্তব্ধ করার চেষ্টাও করতে পারে। এই ইস্যুতে ২৬টি এফআইআরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও কোনও এফআইআর করা যাবে না।  এরপরেও তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। যদিও এব্যাপারে নিজের বক্তব্য এদিন জানায়নি রাজ্য সরকার। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলাটির শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ রাখবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    Amit Shah: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম মাসেই বঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সাংগঠিনক কাজেই বাংলায় আসছেন অমিত। বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ জানুয়ারি হুগলির আরামবাগ এবং বীরভূম, এই দুই জায়গায় একই দিনে জোড়া সভা করবেন শাহ। এর আগে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও বাংলায় একাধিক সভা করেছেন শাহ। ২০২৪-এর আগে বাংলাতে তাঁকে দিয়েই প্রচার শুরু করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। 

    পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন 

    ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও বেশি সাংসদ নিয়ে যেতে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে বিজেপি। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসাবে চলতি মাসেই ফের রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আাগমী, ১৭ জানুয়ারি শাহের সফরে যে ২ জায়গায় সভা করার কথা রয়েছে তার মধ্যে বীরভূম বিজেপির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। গোটা জেলায় সেখানে তৃণমূলেরই একাধিপত্য। তবে আরামবাগের হিসাবটা আলাদা। সেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে এক চুলের জন্য জিতে যান তৃণমূল প্রার্থী আফরিন আলি। হুগলি জেলার একাংশে বিজেপির প্রভাব চোখে পড়ার মতো। এই জেলারই হুগলি আসনের সাংসদ বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ফলে সেখানে শাহের সভা বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ‘বাবার মৃত্যুর সময়ও কর্তব্যে অবিচল ছিলেন মোদি’, স্মৃতির সাগরে ডুব ভিএইচপি নেতার

    রাজ্যে আসবেন মোদি-নাড্ডাও

    তবে শুধু শাহ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)-কেও বাংলায় প্রচারে দেখা যাবে। বিজেপি সূত্রে খবর, চলতি বছর এই তিন জনকে দিয়ে বাংলায় মোট ৩০টি সভা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি-র। এর মধ্যে শাহ এবং নাড্ডা, দু’জনে ১২টি করে সভা করবেন। মোদি বাংলায় সভা করবেন ৫টি। তাঁদের ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদেরও বাংলায় দেখা যেতে পারে আগামী দিনে। লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর আগে ২০১৯ সালে ১৮টি আসন দখল করে ২২টি আসন পাওয়া তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছিল বিজেপি। এ বার বিজেপি আরও বড় লক্ষ্য নিয়ে নামতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাংলায় তৃণমূলের থেকে বেশি আসন পাওয়াই আশু লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anti Corruption Branch: পুলিশি তদন্তের মুখে খোদ পুলিশ-ই! উত্তরবঙ্গে তিন অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি

    Anti Corruption Branch: পুলিশি তদন্তের মুখে খোদ পুলিশ-ই! উত্তরবঙ্গে তিন অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির শিকড় এতটাই গভীর যে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যেরই দুর্নীতি দমন শাখা (Anti Corruption Branch)। সম্প্রতি রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার (ACB) পাঁচ সদস্যের একটি দল উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে হানা দেয়। তাদের নজরে রয়েছে বেশ কয়েকজন পুলিশ ইন্সপেক্টর। সঙ্গে বিডিও ও সরকারি আধিকারিকও। তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দুর্নীতিদমন শাখার দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁদের। 

    সক্রিয় রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা

    রাজ্যে তখন সদ্য পালাবদল ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ সালে তৈরি করা হয় রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা (ACB)। উদ্দেশ্য, প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করা। এমনকী, পুলিস-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের গ্রেফতারও করেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সম্প্রতি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন একাধিকবার।  এবার পুলিশকর্তা ও সরকারি আধিকারিকদের বাড়িতে একযোগে অভিযান শুরু করল রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা (ACB)। 

    গত সোমবার শিলিগুড়িতে মাটিগাড়া থানার আইসি সমীর দেউসার ফ্ল্যাটে হানা দেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তল্লাশি চলে। উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি ও নগদ টাকা। রেহাই পাননি মালদহের চাঁচলের আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডুও। ইসলামপুরের আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দেয়ে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরে পুলিশকর্তা, বিডিও ও সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। এমনকী, প্রাথমিক তদন্তে সেই অভিযোগের সত্য়তার প্রমাণ মিলেছে। এরপর অভিযুক্তদের যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। সেকারণেই এই তল্লাশি অভিযান।

    আরও পড়ুন: এখন থেকে বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন নেজাল ভ্যাকসিন, দাম কত জানেন?

    সঙ্গত কারণেই তল্লাশি

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, এসিবি-র এই সক্রিয়তা আকস্মিক কিছু নয়। শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু ও কয়লা পাচারের মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী, কিছু সরকারি আধিকারিক, এক শ্রেণির পুলিশকর্তার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তিতে কালি লেগেছে বলে বিরোধী শিবির যখন সরব, সেই সময়ে কালি মোছার পালা গতি পেয়েছে সঙ্গত কারণেই। দুর্নীতি ঠেকাতে তাই নিচু তলার পুলিশ আধিকারিক থেকে সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এসিবি সূত্রের খবর,রাজ্য সরকারের ১৭ জন অফিসার-কর্মীর বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট’ বা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করেছে এসিবি। চলছে হানাদারিও। গত শুক্র ও শনিবার বর্ধমানের কেতুগ্রাম, বর্ধমান শহর, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গে অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে এসিবি সূত্রের খবর। ওই অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জন পুলিশ অফিসারও আছেন। তদন্তকারীদের দাবি, গত সোমবার উত্তরবঙ্গে তিন পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু এসিবি-র তদন্তকারীরা কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি করতে পারেননি। তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানায় ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়েছে এসিবি।

  • Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Covid 19) চোখরাঙানি আবার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বড়দিনের উৎসব আর আলোর রোশনাইয়ে ফিকে হয়ে যাচ্ছে মানুষের মহামারির গুরুত্ব! বড়দিনের উৎসবে সেজে উঠেছে কলকাতা। কিন্তু কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলো কি করোনা মোকাবিলায় সবরকমভাবে সেজে উঠতে পেরেছে?

    করোনার (Covid 19) দ্বিতীয় ঢেউ দেখিয়েছিল, হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট কতখানি জরুরি। কৃত্রিম অক্সিজেন ছিল একমাত্র হাতিয়ার। রোগীকে সুস্থ করতে কৃত্রিম অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছিল। তাই কেন্দ্রের তরফে হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কেন্দ্র সরকার সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির জন্য আলাদা আর্থিক বরাদ্দ ও করে।

    কাজ কতখানি এগিয়েছে?

    রাজ্যের সব হাসপাতাল তো দূর অস্ত। কলকাতার (Covid 19) সব সরকারি হাসপাতালেও পর্যাপ্ত কৃত্রিম অক্সিজেন সরবরাহ থাকে না। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃত্রিম অক্সিজেনের জন্য এখনও সরকারি হাসপাতালের ভরসা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। সেখানেই রয়েছে অক্সিজেন প্লান্ট। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল হলো সংক্রামক রোগের চিকিৎসার হাসপাতাল। তাই ডেঙ্গি হোক কিংবা করোনা, সবচেয়ে বেশি রোগীর চাপ থাকে এই বেলেঘাটা আইডি-তেই। তাই নিজের হাসপাতালের রোগীদের চাহিদা মিটিয়ে, আরেক হাসপাতালে কৃত্রিম অক্সিজেন পাঠানো বেশ কঠিন হয়ে যায়।

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, কাজ অনেকটাই বাস্তবায়িত হলেও চাহিদা পূরণের জন্য এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি। এনআরএস, এসএসকেএম কিংবা আরজিকরের মতো প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলো এখনও কৃত্রিম অক্সিজেন তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, যদি ফের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি ২০২০-২১ সালের মতো হয়, তাহলে রাজ্যে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। 

    চিকিৎসকদের আশঙ্কা, রাজ্যে সচেতনতা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। চিনে করোনার (Covid 19) প্রকোপ বাড়তেই কেন্দ্র সতর্ক করেছে। মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য ঘোষণা করেছে। কিন্তু কলকাতায় মাস্ক উধাও। অতিরিক্ত জনসমাগমেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের পরামর্শকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য। বড়দিনের উৎসব হচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দেই। পার্ক স্ট্রিট থেকে ব্যান্ডেল চার্চ, গত দুদিন শহর থেকে জেলা, সর্বত্র উপচে পড়া ভিড়। কোথাও মাস্ক পরার রেওয়াজ নেই। প্রশাসনের তরফেও কোথাও নজরদারি নেই। তাই করোনা সংক্রমণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের। 

    সংক্রমণ বাড়লে রাজ্য সামাল দিতে পারবে তো?

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য বলছেন, ইতিমধ্যেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড বাড়ানো হয়েছে। আলাদা করে করোনার জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশ ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের টিকা ঘাটতি অন্যতম সমস্যা বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। তারা জানাচ্ছেন, করোনার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার প্রবণতা অধিকাংশ মানুষের নেই। তবে, চাহিদা তৈরি হলেও জোগান দেওয়ার ক্ষমতা আপাতত রাজ্যের নেই। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোভ্যাকসিন ছাড়া আর কোনও করোনার (Covid 19) টিকা তাদের কাছে মজুত নেই। ফলে, টিকা না পেলে করোনা প্রতিরোধ আরও কঠিন হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: “মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে”, শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তুনিশার মা

    আপাতত উৎসবে মজে থাকা বাঙালির আগামী বছর কেমন কাটবে সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে করোনা (Covid 19) প্রস্তুতি ছিটেফোঁটাও নেই। সময় মতো কেন্দ্রকে টিকার প্রয়োজনীয়তাও জানাতে পারেনি রাজ্য। তাই সবরকম টিকা ও ভাণ্ডারে নেই। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জনসচেতনতাই রেহাই দিতে পারে। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার আর অকারণ ভিড় এড়িয়ে চলাই করোনার ঢেউ আটকাতে পারে। কিন্তু বড়দিনের জনপ্লাবন সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের গড় হিসেবে পরিচিত বীরভূমের নলহাটিতে সভা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনায় দুর্নীতি, ১০০ দিনের কাজে বেনিয়ম-সহ শাসক দলের নেতাদের একাধিক দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে নলহাটির হরিপ্রসাদ হাই স্কুল ময়দানে বেলা দুটোয় সভার আয়োজন করেছে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা। ‘অনুব্রতহীন’ বীরভূমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূল ছাড়লেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ

    শুভেন্দুর সভার ঠিক আগে দল ছাড়লেন বীরভূমের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বিপ্লব ওঝা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই নেতা আচমকা দল ছাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা তুঙ্গে। ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেন তিনি। সেই সময়ে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। দলবদলের জেরে নলহাটি পুরসভা কংগ্রেস থেকে তৃণমূল হয়ে যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত পুরপ্রধান ছিলেন বিপ্লব। তিনি বলেন, “আমি ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আজ থেকে আমি তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করব। আমি রাজনীতির লোক। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে ভালবাসি। কিন্তু দীর্ঘদিন দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না।” অন্য দলে যোগ দেবেন কিনা, সেই প্রশ্নে কিছুটা ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবেই বিপ্লব ওঝা বলেন, “রাজনীতি যখন করি তখন অনেক রাস্তা খোলা থাকছে।” এরপরই মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতেই যোগ দিতে চলেছেন বিপ্লব। 

    আরও পড়ুন: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    একুশের নির্বাচনের পর সব জেলার মতো বীরভূমেও বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা বসে গিয়েছেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, অনুব্রতহীন বীরভূমের দখল নিতে মরিয়া বিজেপি। তাই দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে মঙ্গলবার রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখান থেকে শুভেন্দু অধিকারী এখন ঠিক কি বার্তা দেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Narendra Modi: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    Narendra Modi: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে চার ঘণ্টার ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর, শুক্রবার তাঁর শহরে আসার কথা। ওই দিন হাওড়া স্টেশন থেকে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, জাতীয় গঙ্গা পরিষদ (ন্যাশনাল গঙ্গা কাউন্সিল)-এর বৈঠকেও তাঁর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবারের কর্মসূচির একটি তালিকা সামনে এসেছে।

    অরাজনৈতিক সফর মোদির

    শুক্রবার, সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন মোদি। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে মোদি পৌঁছবেন রেস কোর্সের মাঠে। সেখান থেকে গাড়িতে সোজা হাওড়া স্টেশন। রাজ্যের প্রথম ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের সূচনা তাঁর হাতেই হওয়ার কথা। হাওড়া থেকে ‘বন্দে ভারত’ যাবে নিউ জলপাইগুড়ি।  ৩০ মিনিট হাওড়া স্টেশনে কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকাল ১০.৩০ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এ এসে পৌঁছাবেন। ওখানে শিশুদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির এ বারের সফর একেবারেই অরাজনৈতিক। এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। আগে রাজ্য বিজেপির তরফে হাওড়ায় একটি সভায় প্রধানমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সফরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি  

    একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচি

    হাওড়া থেকে গার্ডেনরিচে ভারতীয় নৌসেনার পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয়ে যাবেন মোদি। সেখানে তিনি নেতাজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানেই ‘নমামি গঙ্গে’ এবং ‘ডিডব্লিউএস’-এর একটি প্রদর্শনীতে তাঁর হাজির থাকার কথা। ‘নমামি গঙ্গে’র কাজ কেমন চলছে তা-ও খতিয়ে দেখার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে মোদির যাওয়ার কথা জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে। শেষ বার ২০১৯-এর ডিসেম্বরে কানপুরে গঙ্গা পরিষদের বৈঠক হয়। সে বার পশ্চিমবঙ্গ আর ঝাড়খণ্ড অনুপস্থিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ওই পরিষদের সভাপতি। পরিষদের সদস্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সেই বৈঠকে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এরপর দুপুর দু’টো ১৫ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে দিল্লি রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid 19 Update: ফের করোনা-ঢেউয়ের ভ্রুকুটি! রাজ্যে কোভিড নজরদারিতে বিশেষ কমিটি

    Covid 19 Update: ফের করোনা-ঢেউয়ের ভ্রুকুটি! রাজ্যে কোভিড নজরদারিতে বিশেষ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে চিনের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণনস্বরূপ নিগমকে এ নিয়ে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। চিনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা শুনে বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘আমাদের স্বাস্থ্য দফতরকে একটু খবর রাখতে বলব। চিনে যে ভাবে ছড়াচ্ছে… যাঁরা এই রোগটি সম্পর্কে বোঝেন, তাঁদের নিয়ে একটি টিম গঠন করুন।’’ মুখ্যমন্ত্রীই জানিয়ে দেন, ওই দলে কারা কারা থাকবেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই টিমটাকে নেতৃত্ব দেবেন স্বাস্থ্যসচিব। থাকবেন ডিএম, ডিএইচএসও।’’

    রাজ্যে করোনা নজরদারিতে নতুন কমিটি

    চিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এ রাজ্যেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এ নিয়ে তিনি একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মতো নজরদারি কমিটিও গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই ওই কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে। এ ছাড়াও ওই কমিটিতে করোনা চিকিৎসার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কোভিড বিশেষজ্ঞদের রাখা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘ভিড়ে মাস্ক পরুন, বুস্টার ডোজ নিন’, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তর পরই পরামর্শ কেন্দ্রের

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসতে পারে ওই কমিটি। কোভিড পরিস্থিতির বিষয়টি নজরে রেখে ভবিষ্যতে কী কী নির্দেশিকা জারি করা যেতে পারে, এই বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো নিয়মের উপর আবার জোর দেওয়া নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পৌনে তিন বছর পর গত শনিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নেমে গিয়েছিল। এর পর মঙ্গলবারই রাজ্যে সাত জন করোনা আক্রান্তের হদিস মেলে। মৃত্যুও হয় এক জনের।

    কেন্দ্রের সতর্কতা

    কোভিডের চোখ রাঙানিতে উদ্বেগ বাড়ছে জাপান, কোরিয়া ও আমেরিকায়। বিপদের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে ভারতেও। চিনে যে ওমিক্রন সাব ভ্যারিয়েন্ট তাণ্ডব চালাচ্ছে, সেই বিএফ.৭-র হদিশ মিলেছে এ দেশে। ওড়িশার একজন, আর গুজরাটে দু’জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে নয়া প্রজাতির ভাইরাস। স্রেফ রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা নয়, এদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ফের কিছু কিছু বিধিনিষেধ জারি করা যায় কি না, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। রিপোর্ট পজিটিভ হলেই, নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share