Tag: West Bengal

West Bengal

  • TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল নেতার মারে জখম তৃণমূল নেতা (TMC)। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) বুলন্ডি এলাকায়। শেখ উজির আলি নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

    ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। তার আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আরামবাগের বুলন্ডি এলাকা। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো বুলন্ডিতেও মূল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। আর যুব তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন পলাশ রায়। এলাকা দখল নিয়ে এই দুই নেতার বিবাদের জেরে মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডি। এই যেমন হয়েছিল রবিবার। এদিন বিকেলে পলাশের গোষ্ঠীর এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় কৃষ্ণচন্দ্রের ভাই তথা মায়াপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলক সাঁতরার কয়েকজন অনুগামী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অলক। তিনি বলেন, আমাদের দলের কয়েকজন কর্মীকে বিজেপির লোকজন মারধর করেছিল বলে খবর পেয়ে এলাকায় যাই। ওরা আমাকেও মারধর করে। অলক বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ওরা বিজেপির এজেন্ট ছিল। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছিল। ভোটারদের ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছিল। তাঁর দাবি, এখন তৃণমূলে ঢুকে দলেরই কর্মীদের মারধর করছে ওরা। ঘটনার খবর পেয়ে বুলন্ডি এলাকায় যায় আরামবাগ থানার বিশাল বাহিনী। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় অলককে। ঘটনায় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আরামবাগ থানায়। 

    আরও পড়ুন : নকল দলিল বানিয়ে জমি চুরি তৃণমূল কংগ্রেস নেতার

    রবিবারের ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডির মহেশপুর এলাকা। এদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন বিধায়কের অনুগামী শেখ উজির আলি। অভিযোগ, তাঁকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে পলাশের অনুগামীরা। উজিরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। খবর পেয়ে ফের এলাকায় যায় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। উজিরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।  

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোট যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে সংঘর্ষের ঘটনা। উপদলীয় কোন্দল নির্মূলে একাধিকবার দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। দলনেত্রীর সে নির্দেশ যে অনেক নেতার কানেই ঢোকেনি, বুলন্ডির এই দুই ঘটনাই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি, ভাইপো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় TMC-র অন্তর্দন্দ্বে সরগরম রামপুরহাট

     

  • Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী ৯ জুলাই এক দিনের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসতে পারেন এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (NDA Candidate) শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। কলকাতায় এসে এনডিএ-র বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের প্রচার করতেই তিনি বাংলায় আসছেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি

    বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্ব জাঁকজমকপূর্ণ করতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ (NDA) শরিক দলের জনজাতি বিধায়ক-সাংসদেরা সেদিন প্রচার পর্বের মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন। দ্রৌপদী দেবীর প্রচারের ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতির প্রতি সমর্থন চেয়ে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের চিঠি দিয়েছেন বিজেপির দুই নেতা। ভবানীপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata) চিঠি দিয়ে পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে প্রচার পর্বে এসে দ্রৌপদী দেবী আদৌ তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    এনডিএ-র লক্ষ্য, জনজাতি এই মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে রেকর্ড ভোটে জেতানোর। বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দেশের সবকটি রাজ্যে গিয়ে প্রচার করবেন দ্রৌপদী দেবী। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে ধর্মেন্দ্র প্রধান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, সর্বানন্দ সোনওয়ালের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীদের নিয়ে বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্বের তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ উন্নয়ন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এ নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে গিয়েছেন তিনি। আগামী ৯ জুলাই বিমান বন্দরে স্বাগত জানানো থেকে বিধায়ক-সাংসদদের সভা ঘিরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে ঘিরে কার্যত বিজয় উৎসবের চেহারা দিতে চায় রাজ্য বিজেপি।

    আরও পড়ুন: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

  • Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে অশান্তি বিক্ষোভকারীদের। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (Prayagraj) হিংসার মাস্টারমাইন্ড জাভেদ মহম্মদের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল চক্রী বছর আঠারোর এক তরুণকে। মুজাম্মেল (Muzammil) নামের ওই তরুণ একটি মাদ্রাসার ছাত্র। এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে কেবল উত্তর প্রদেশ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। সব মিলিয়ে চারশোজনের বেশি প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশজুড়ে।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    দিন দশেক আগে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। ঘটনার পরে পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। তার পরেও দেশজুড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে দেয় প্রতিবাদকারীরা। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ, কোথাও দোকানপাঠ ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, কোথাও আবার বাড়িঘর এবং বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।

    অশান্তির আঁচ নিভু নিভু হতেই মাস্টারমাইন্ডদের খোঁজে হন্যে হয় পুলিশ। জানা যায়, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের মূল চক্রী জনৈক জাভেদ মহম্মদ। এর পরেই তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি ১২ ও একটি ৩১৫ বোরের অবৈধ পিস্তল। মেলে কার্তুজও। বাড়িতে আপত্তিকর কিছু পোস্টারও মেলে। বাড়িটিও বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এর পরেই বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা জাভেদ মহম্মদের বাড়ি। পুলিশের দাবি, জাভেদের বাড়ির কিছু নথি ‘আদালতের চোখে আপত্তিকর’।

    এদিকে, উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মেল নামের এক তরুণকে। পুলিশ জেনেছে, জুম্মার নমাজেরর পরেই অশান্তি পাকায় সে। মুজাম্মেল স্থানীয় এক মাদ্রাসার ছাত্র। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাহারানপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোয় দুজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। অবৈধ নির্মাণ করায় তাদের বাড়ি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মুজাম্মলির উসকানিতেই মূলত অশান্তি ছড়ায়। সে একটি মাদ্রাসার ছাত্র। অন্য এক চক্রীর নাম সলমান। সে প্রাপ্ত বয়স্ক। সে-ই পোস্টার ছাপিয়েছিল বলে জেনেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অর্থ সাহায্য করে এই অশান্তির আগুনে কে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে উত্তর প্রদেশের আট জেলা থেকে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। হাজার খানেক প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে ১০ জুন রাঁচিতে দুজনের মৃত্যু হয়। জখমও হয় বেশ কয়েকজন।

     

  • SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিতে (SSC Scam) রাঘববোয়ালদের ধরতে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) নাকতলার বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ৮-ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছে।  পাশাপাশি, পিংলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়ের বাড়িতেও ইডি অফিসাররা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইয়ের মামার বাড়িতে যান ইডির ৭ অফিসার। কৃষ্ণ প্রসাদ অধিকারীর খিরিন্দার বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। 

    একইসঙ্গে ইডি (ED) হানা দিয়েছে তৃণমূলেরই (TMC) মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারির (Paresh Adhikary) বাড়িতেও। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। পরেশ অধিকারীর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি অফিসাররা।

    এছাড়াও এসএসসির প্রাক্তন কর্তা শান্তি প্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) বাড়িতেও হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই তিন জায়গা ছাড়াও রাজ্যের আরও দশ জায়গায় এদিন হানা দেয় ইডি। এর মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, টেট দুর্নীতি মামলায় অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর যাদবপুরের বাড়ি এবং পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও যান ইডি অফিসাররা। 

    আরও পড়ুন : এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?

    রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনে (School Service Commission) ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের কেউ কেউ। তার পরেই এই দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছিল তা খুঁজে বের করাই প্রধান লক্ষ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তের গোড়ায় পৌঁছতে সিবিআই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছে। জেরা করা হয়েছে বাম দল থেকে তৃণমূলের আসা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারিকেও।

    এই মামলায় তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। তারা মূলত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এজন্য দুটি এফআইআর রুজুও করেছে ইডি। এ ব্যাপারে একাধিক আবেদনকারী ও সাক্ষীর বয়ানও রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এ থেকেই ইডির ধারণা, এই মামলায় লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে এল, গেলই বা কোথায়, লাভের অঙ্ক কার ঘরেই বা উঠল, ঘটনার নেপথ্যে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা এসবই খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। গত কয়েক দিনে এনিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। তার পরেই এদিন রাজ্যের ১৩টি জায়গায় হানা দেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    জানা গিয়েছে, এদিন এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে পার্থের নাকতলার বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। ইডিরই আর একটি দল গিয়ে হাজির হন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ৯০ জন আধিকারিক দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে হানা দিয়েছেন রাজ্যের ১৩টি জায়গায়। শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বাড়িতেও এদিন হানা দেন তদন্তকারীরা। এদিন শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে যান এক মহিলা সহ ইডির সাতজন আধিকারিক। শান্তি প্রসাদের কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

     

  • Air pollution: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    Air pollution: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুদূষণের জেরে দেশবাসীর প্রত্যাশিত আয়ু কমতে পারে প্রায় পাঁচ বছর। এমনই দাবি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের (Energy Policy Institute at the University of Chicago)এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্সের (একিউএলআই) নবতম রিপোর্টে এই কথা বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি। দূষণের জেরে সেখানে আয়ু কমতে পারে ১০.১ বছর। অন্য দিকে,বিশ্বে বায়ুদূষণের জেরে ৯৭.৩ শতাংশ নাগরিকের জীবনই ঝুঁকির মুখে।

    ২০২০ সালে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৬৩ শতাংশ ভারতীয় দেশের এমন অঞ্চলে বাস করেন, যেখানে বায়ুদূষণ জাতীয় মানের (প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রোগ্রাম)উপরে। তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বায়ুদূষিত দেশগুলির তালিকায় বাংলাদেশের (৭৫.৮ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার, নাগরিকদের আয়ু কমতে পারে ৬.৯ বছর) পরেই রয়েছে ভারত। দেশে বায়ুদূষণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে সপ্তম স্থানে। এ রাজ্যে দূষণের পরিমাণ ৬৫.৪ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার। তার ফলে রাজ্যবাসীর আয়ু কমতে পারে ৫.৯ বছর।

    আরও পড়ুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই রিপোর্ট বলছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের জেরে মানুষের আয়ু কমতে পারে ২.২ বছর। অন্য দিকে ধূমপানে ১.৯ বছর, মদ্যপানে আট মাস, অসুরক্ষিত জলের মাধ্যমে সাত মাস, এইচআইভি ৪ মাস, ম্যালেরিয়া ৩ মাস এবং সন্ত্রাসের জেরে আয়ু কমতে পারে ৯ দিন। এই গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে পৃথিবীতে দূষণবৃদ্ধির হারের ৪৪ শতাংশের জন্য দায়ী ভারত। ২০১৩ সালে যেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৫৩ মাইক্রোগ্রাম দূষণ ছিল, সেটাই বর্তমানে বেড়ে হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৫৫.৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বেঁধে দেওয়া সীমার (প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম) চেয়ে যা ১১ গুণ বেশি! গত বছর দূষণ বিধির ক্ষেত্রে পরিবর্তন করেছিল হু। আগে বছরে প্রতি ঘনমিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম দূষণ সহনশীল হিসাবে বিবেচিত হত। তা কমিয়ে করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম। দূষণবৃদ্ধির কারণ হিসাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কলকারখানা বৃদ্ধি, গাছ কেটে শহরাঞ্চলের প্রসারকে দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবছরই শীতকালে প্রায় ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় রাজধানী দিল্লি। এ বিষয়ে বারবার সতর্ক হওয়ার কথা বলেছেন পরিবেশবিদরা।

  • Black Fever: জেলায় বাড়ছে কালাজ্বরের প্রকোপ, সংক্রমিত ৬৫

    Black Fever: জেলায় বাড়ছে কালাজ্বরের প্রকোপ, সংক্রমিত ৬৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ফের বাড়ছে কালাজ্বরের (Black Fever) প্রকোপ। গত কয়েক সপ্তাহে বাংলার ১১টি জেলায় কালাজ্বরে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৫ জন। সংক্রমণ রুখতে নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের (Health department) এক শীর্ষ আধিকারিক। তিনি জানান, দার্জিলিং (Darjeeling), মালদহ (Malda), উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur), দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) এবং কালিম্পংয়ে এই জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানান ওই আধিকারিক।

    উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও কালাজ্বরে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতেও এই রোগে সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাজ্বর ছড়ায় মাছি থেকে। রোগের উপসর্গ হল, জ্বর থাকবে ১৪ দিন ধরে। জ্বরের পাশাপাশি কমে যাবে খিদে, কমবে ওজন। চামড়া যাবে শুকিয়ে। রক্তাল্পতা ও বমি বমি ভাবের উপসর্গও থাকবে। সংক্রমিতের যকৃত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, সময় মতো কালাজ্বর ধরা পড়লে দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, জেলায় এই জ্বরের প্রকোপ বাড়লেও, কলাকাতায় এখনও সংক্রমিতের কোনও খবর মেলেনি। বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে যাঁরা দীর্ঘদিন ছিলেন, তাঁরাই এই জ্বরে সংক্রমিত হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে আসা বেশ কয়েকজনের শরীরেও এই জ্বরের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    রাজ্য থেকে কালাজ্বর নির্মূল হয়ে গিয়েছিল বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে ফের মিলছে সংক্রমিতের হদিশ। গত কয়েক দিনে ১১ জেলায় ৬৫ জনের শরীরে এই রোগের জীবাণু মিলেছে। সংক্রমণ রুখতে সরকার সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। কালাজ্বরে সংক্রমিতদের নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান রাজ্য সচিবালয়ের এক শীর্ষ আমলা। কোনও বেসরকারি ল্যাবরেটরি কিংবা হাসপাতালে পরীক্ষায় যদি কালাজ্বরের জীবাণুর হদিশ মেলে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জ্বরে সংক্রমিতদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমলা। তবে এই রোগে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর মেলেনি বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

  • West Bengal: উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    West Bengal: উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাগেরোয় নবান্ন (Nabanna)। সংসার চালানোর টাকা নেই। কারণ মেলা, খেলা, খয়রাতি এবং উৎসবের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। অথচ রোজগারের বালাই নেই। বাধ্য হয়ে অর্থ দফতর বেতন ছাড়া বাকি সব খরচ হ্যাচকা টান মেরে বন্ধ করে দিয়েছে। বাজেটে বড় মুখ করে যে সব গালভরা কথা বলা হয়েছিল, অর্থ দফতর গত ১০ জুলাই নির্দেশিকা জারি করে বলে দিয়েছে, কেবলমাত্র বেতনের টাকাটুকুই পুরো খরচ করা যাবে, বাকি সব কিছুর উপরই সারা বছর কোপ পড়ছে। 

    নবান্ন সূত্রের খবর, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চার মাস কেটে গিয়েছে। বছরের শুরুতে খরচের বহর বাড়াতে নিষেধ করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনেকের আশা ছিল, প্রথম ত্রৈমাসিকের পর অন্তত খরচের রাশ আলগা হবে। তবে গত ১০ জুলাইয়ের নয়া নির্দেশেও বলে দেওয়া হয়েছে, সারা বছরই খরচে লাগাম থাকবে। কেবল বাজেটে বেতন-পেনশন খাতে যে টাকা ধরা আছে তা খরচ করা যাবে। প্রশাসনিক খরচ থেকে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের খরচও করা যাবে না। কারণ ভাঁড়ারে টাকা নেই।

    অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী ১ লক্ষ ২৬ হাজার কোটি টাকার স্টেট ডেভেলপমেন্ট স্কিম বা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু যা অবস্থা তাতে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২০ শতাংশের বেশি টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। ফলে প্রতিটি দফতরকে বলে দেওয়া হয়েছে, বাজেটে যে পরিমাণ টাকা উন্নয়ন খাতে ধরা হয়েছে তার ২০ ভাগই কেবল খরচ করতে হবে। বেশি খরচ হলে তার দায় অর্থ দফতর নেবে না। শুধুমাত্র বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ক্ষেত্রে ছাড় থাকছে। 

    আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    একইভাবে কোপ পড়ছে সরকার চালানোর প্রশাসনিক খরচেও। বেতন এবং উন্নয়নের বাইরে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় এই প্রশাসনিক খরচে। সরকারি গাড়ি ঘোড়া, ইলেকট্রিক বিল, সরকারি অনুষ্ঠানসহ নানা খাতে ৫৮টি দফতরের প্রশাসনিক খরচ বাবদ বাজেটে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা ধরা আছে। অর্থ দফতরের নির্দেশ, বাজেট বরাদ্দের ৫০% টাকাতেই সারা বছরের সরকারের সংসার চালিয়ে নিতে হবে। এক দফতরের সচিবের আক্ষেপ, সংসার চালানোর খরচ যদি ৫০ ভাগ কমিয়ে দেওয়া হয় তা হলে কি সংসার চলে? এর চেয়ে খারাপ অবস্থা আর কী-ই বা হতে পারে।

    দফতরের নির্দেশ, কোনও একটি প্রকল্পের খরচ দেড় কোটি টাকার বেশি হলেই নবান্নে ফাইল পাঠিয়ে অনুমোদন নিতে হবে। এক সরকারি কর্তার কথায়, মন্ত্রীমশাইয়ের বাথরুম সারাই করতেই তো অনেক সময় দেড় কোটি টাকার বেশি খরচ হয়, সেই ফাইল যদি নবান্ন পাঠিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসতে হয় তা হলে সরকার কেমন চলছে বোঝাই যাচ্ছে।

    গত চার মাসে ২২টি দফতরের আরআইডিএফ প্রকল্পে ৫৩৪ কোটি টাকা দিতে পেরেছে নবান্ন। এর বাইরে হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছে তৃণমূল সরকার। নরেন্দ্র মোদি (Modi) টাকা পাঠালে তবেই উন্নয়নের ঢাক বাজাতে পারবে তারা। রাজ্যের কঠিন আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে বাংলাকে। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদিও পাইয়ে দেওয়ার প্রকল্পের সর্বনাশা পরিস্থিতির কথা রাজ্যগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এরাজ্যে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রী-সিরিজের প্রকল্পগুলির মাধ্যমে খয়রাতির ধাক্কায় এবার রাজ্য সরকারই না দেউলিয়া হয়ে যায়। অনেকের মতে, যে সরকার উন্নয়ন খাতে বাজেটের ৮০ ভাগ বরাদ্দ ছাঁটাই করে দেয় সেই সরকার কি আদৌ সুস্থির?

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

  • Birbhum Bombs recovered: বারুদের স্তূপ বীরভূম! এবার ডোবা থেকে উদ্ধার ট্রাঙ্ক-ভর্তি বোমা

    Birbhum Bombs recovered: বারুদের স্তূপ বীরভূম! এবার ডোবা থেকে উদ্ধার ট্রাঙ্ক-ভর্তি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুই ঘটনার পর কেটে গেছে ৬৭ দিন। এখনও বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা বারুদ অস্ত্র। এবার ডোবা থেকে এক ট্রাঙ্ক ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। আবার কেন্দ্রস্থল সেই মাড়গ্রাম, যেখান থেকে গত ২ মাসে অন্তত ৪ বার বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। 

    ২১ মার্চের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল যাবতীয় বোমা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তারপর থেকে উদ্ধার হয়েই যাচ্ছে। বগটুই গ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয় মাড়গ্রাম। গত ২ মাসে এই এলাকার নাম বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে। 

    কখনও ড্রামের মধ্যে, নদীর পাড়ে, কখনও পরিত্যক্ত শৌচাগারের চেম্বার, কখনও আবার ঝোপ। সাম্প্রতিককালে, বীরভূম জেলার একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে চারশোরও বেশি তাজা বোমা। 

    এর আগে গত ২৫ মার্চ, মাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত ছোট ডাঙাল গ্রামেও থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর তাজা বোমা। প্রায় ২০০ বোমা উদ্ধার হয়। খালের পাশে ৬ টি ব্যারেলের মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল। খবর পেয়ে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। 

    একদিন পরই, মাড়গ্রামে রামপুরহাট-বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়কের ধারে নির্মীয়মাণ বাড়ির পিছনের চৌবাচ্চায় ৪ বালতি-ভর্তি বোমা মিলেছিল। বালতিগুলি খড় দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল। স্থানীয় মানুষ খবর দেয় পুলিশকে। অন্তত ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। 

    ফের একবার বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শিরোনামে মাড়গ্রাম। এবার মাড়গ্রাম থানার মাহিপাড়া থেকে উদ্ধার করা হল ট্রাঙ্কভর্তি বোমা। আর শুধু মাড়গ্রাম নয়, গোটা বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গত ২ মাসে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হয়েছে। রামপুরহাট থেকে দুবরাজপুর  বা  নানুর থেকে লাভপুর– বারবার বোমা উদ্ধার হয়েছে এই জলা থেকে। 

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সাম্প্রতিককালে বীরভূম থেকে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনাবলি-

    ২৫ মার্চ – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ২৬ মার্চ – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ৪ এপ্রিল – লোকপুরে তাজা বোমা উদ্ধার
    ৯ এপ্রিল – নানুরে ৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার ৫ জন।
    ১৬ এপ্রিল – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ৩ মে – রামপুরহাটে তাজা বোমা উদ্ধার
    ১০ মে – বোমা উদ্ধার পাইকরে
    ১১ মে – পিস্তল উদ্ধার রামপুরহাটে
    ১৬ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ১৯ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৪ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৫ মে  – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৫ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার লাভপুরে
    ২৭ মে – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে

    এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “প্রতিদিন বোমা উদ্ধারের পরও কিভাবে এলাকায় এত বোমা পাওয়া যাচ্ছে? কাদের মদতে এলাকায় বোমা বারুদের শিল্প তৈরি হচ্ছে?” বিরোধীদের কটাক্ষ, বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে গোটা জেলা। এই জেলায় যত বোমা এবং বারুদ মজুত আছে তাতে শুধু বীরভূম কেন, একটা দেশ উড়ে যেতে পারে! 

     

  • Amarnath:   অমরনাথে বাঙালি ছাত্রীর মৃত্যু, আটকে ১৬, চালু হেল্পলাইন

    Amarnath:   অমরনাথে বাঙালি ছাত্রীর মৃত্যু, আটকে ১৬, চালু হেল্পলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথে (Amarnath) মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) সঙ্গে নেমে আসা আকস্মিক বিপর্যয়ের অভিঘাতের ধাক্কা লেগেছে বাংলায়ও। মৃত্যু হয়েছে এক বাঙালি ছাত্রীর (Student)। এমতাবস্থায় তুষারতীর্থে আটকে থাকা এ রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে তৎপর রাজ্য সরকার। অমরনাথে আটকে থাকা বাংলার বাসিন্দাদের জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন (Help Line)। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারকেও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

    শুক্রবার বিকেলে আচমকাই মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে মৃত্যু হয় ১৬ জন পুণ্যার্থীর। জলের তোড়ে ভেসে যায় পুণ্যার্থীদের তাঁবু, লঙ্গরখানা। তুষারতীর্থ দর্শনে গিয়ে যে ক’জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন এক বাঙালি ছাত্রীও। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা। নাম বর্ষা মুহুরি। বারুইপুরের একটি কলেজে ভূগোলে এমএসসি-র ছাত্রী ছিলেন। জানা গিয়েছে,  ছ’ জনের একটি দলের সঙ্গে অমরনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রীও। ১ জুলাই কলকাতা থেকে উত্তর ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। প্রথমে পহেলগাঁওয়ের একটি জায়গায় ছিলেন। সেখান থেকে শুরু করেন অমরনাথ যাত্রা। তার পরেই মেঘভাঙা বৃষ্টির শিকার।

    আরও পড়ুন : অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন বেঁচে ফেরা যাত্রীরা?

    অমরনাথে এখনও আটকে রয়েছেন রাজ্য়ের কয়েকজন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ৬ জন, কলকাতার ৮ জন এবং পুরুলিয়ার ২ জন। কলকাতার এই আটজনের মধ্যে রয়েছেন বিপুল ঘোষ নামে একজন। তিনি কলকাতার লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির বাসিন্দা। ৫ জুলাই জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে চড়েন বিপুল। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেষ্টপুরের আরও সাতজন। শুক্রবার রাতে বিপুল বাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁরা পহেলগাঁও বেস ক্যাম্পে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন : অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টি নয়, তবে কেন দুর্ঘটনা? কী বলছেন আবহ বিজ্ঞানীরা?

    এদিকে, আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের খবরাখবর পেতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে নবান্ন। নম্বরটি হল, ০৩৩-২২১৪৫২৬। নম্বর চালু থাকবে ২৪ ঘণ্টাই। প্রসঙ্গত, অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ৪৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর। নিখোঁজ পুণ্যার্থীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন মাউন্টেন রেসকিউ টিম ও অন্যান্য দলের সদস্যরা।

  • SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর!

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers recruitment scam) মামলা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই (CBI)। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikary) দফায় দফায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তে ময়দানে নামতে চলেছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি। ফলে, তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও যে বাড়তে চলেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

    কিন্তু, ইডি কেন তদন্ত করছে? জানা গিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক যে চাঞ্চল্যকর তথ্য ও নথি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে একটা বিষয় নিশ্চিত। তা হল, এই ঘটনায় কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই টাকা কার কার কাছে পৌঁছেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতর থেকে কলকাতায় সিবিআই (CBI) দফতরে ইমেল করা হয়। তাতে সিবিআইয়ের কাছে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) দায়ের করা ৪টি এফআইআরের কপি ও অন্যান্য নথি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা যা উঠে এসেছে তা সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট আকারে চেয়েছে ইডি। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যাবতীয় নথি চাওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, দু-একদিনের মধ্যেই সব নথি দেওয়া হবে ইডিকে। ইতিমধ্যেই, দুই মন্ত্রী এবং এসএসসি-র নিয়োগ কমিটির আধিকারিকদের সম্পত্তির তথ্য খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিবিআই। এবার অর্থের তছরূপ নিয়ে তদন্ত শুরু করবে ইডি (ED)। 

LinkedIn
Share